নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ এবং মুসলমানদের মধ্যে কথোপকথন (কাল্পনিক)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭


আল্লাহঃ তোমাদের কি হল ? তোমরা কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ? তোমাদের কি কোন কিতাব আছে, যা তোমরা পাঠ কর।তাতে তোমরা যা পছন্দ কর, তাই পাও? (৬৮:৩৬-৩৮)

মুসলিমঃ অবশ্যই। আমাদের কাছে বখারি, মুসলিম, দাউদ, নিসায়ী, উসুল কাফি, নাযুল বালাগ এই রকম অনেক কিতাব আছে যা আমরা পাঠ করি। সেইখানী আমরা যার যা খুশি তাই পাই।

আল্লাহঃ তোমরা আমার কাছ থেকেকেয়ামত পর্যন্ত বলবৎ কোন শপথ নিয়েছ যে, তোমরা তাই পাবে যা তোমরা সিদ্ধান্ত করবে? (৬৮:৩৯)

মুসলিমঃ অবশ্যই, আমাদের কিতাবে সব শর্টকার্ট দেওয়া আছে।

আল্লাহঃ আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন হাদিসে (কথায়) বিশ্বাস স্থাপন করবে? (৪৫:৬)

মুসলিমঃ আমরা বখারি, মুসলিম, দাউদ, নিসায়ী, উসুল কাফি, নাযুল বালাগ এই রকম অনেক হাদিসে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করি।

আল্লাহঃ যদি তারা সত্যবাদী হয়ে থাকে, তবেএর অনুরূপ কোন হাদিস উপস্থিত করুক।(৫২:৩৪)

মুসলিমঃ আমাদের কিতাবে (আবু দাউদ) বলা আছে নবী নাকি বলেছেন “ I was given Quran and hadith like it”. সুতরাং আপনার এই চ্যালেঞ্জ আমাদের কাছে কোন ব্যাপারই না। (আমাদের হাতে অসংখ্য হাদিস আছে যা কোরআনের সমতুল্য)

আল্লাহর উপসংহার
And when Allah is mentioned alone, the hearts of those who do not believe in the Hereafter shrink with aversion, but when those other than Him are mentioned, immediately they rejoice. (৩৯:৪৫)

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: সারাবিশ্বে মুসলমানদের জন্য এবং সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্য পাথেয় হিসেবে যেই হাদিস গ্রন্থ গুলো যুগে যুগে মুসলমানরা পাঠ করে আসছে, যেই সহীহ হাদিস গ্রন্থ নিয়ে কোন মুনাফিক তো দূরের কথা কোন কাট্টা কাফের পর্যন্ত প্রশ্ন তোলার সাহস পায়নি। অথচ আপনি কোন কলি যুগের পন্ডিত যে কিনা সরাসরি এই পবিত্র হাদিস গ্রন্থগুলো নিয়ে উপহাস করার দৃষ্টতা দেখাচ্ছেন???????

চালায়া যান, চালায়া যান

সমস্ত কিছু আল্লাহ তাআলা দেখতাছেন আর ফেরেশতারা তা লিখতেছেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কাছে এটা উপহাস কেন মনে হল একটু দয়া করে বলবেন কি? এইখানে কোথায় ভুল লেখা আছে? যে প্রশ্নগুলি আমি দিয়েছি সেগুলি সরাসরি কোরআন থেকে নেওয়া। সাথে রেফারেন্স দেওয়া আছে। সন্দেহ হলে মিলিয়ে দেখুন। আর যেই উত্তরগুলি এইখানে লিখেছি সেইগুলি বেশিরভাগ মুসলমানই বিশ্বাস করে। আপনি করেন না? তাহলে আপনার কোথায় সমস্যা হচ্ছে?

আপনি এইখানের কোনটা বিশ্বাস করেন না সেটা বলেন। তাহলে আপনার ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হবে।

আপনি বলেছেন "যেই সহীহ হাদিস গ্রন্থ নিয়ে কোন মুনাফিক তো দূরের কথা কোন কাট্টা কাফের পর্যন্ত প্রশ্ন তোলার সাহস পায়নি। "- ভাই বাস্তবে আসেন। মুনাফিকের কথা বাদ দিলাম আপনার বড় বড় স্কলাররা পর্যন্ত এই তথাকথিত সহি গ্রন্থ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমাকে বলতে হবে না। আগে জানুন পরে আপনার রাগ দেখাইয়েন।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি কি বলতে চাইছেন যে, হাদিসের ভিত্তি নেই?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রশ্নটার উত্তর আসলে দেওয়া যায় এইভাবে যে আল্লাহ কোথাও হাদিস সংরক্ষণের কথা বলেননি । নবী এবং তার পরবর্তী চার খলিফার সময়েও কোন হাদিস সঙ্কলিত হয়নি। এই হাদিস কে সংরক্ষণ করার ব্যাপারেও আল্লাহ কিছু বলেন নি। এরপরেও এই হাদিসের মধ্যেই হাদিস সঙ্কলনের নিষেধ করা আছে। এই হাদিস গুলি কালেকশন করা হয় নবীর মৃত্যুর ২০০-২৫০ বছর পরে। তখন তৎকালীন রাজাদের ইচ্ছামত হাদিস বানানো হত এর প্রচুর প্রমান আছে। এই হাদিস গুলি মুলত বেশিরভাগই জাল। এই হাদিস গুলি একটা আরেকটার সাথে কনফ্লিক্ট করে এমনকি অনেক সহি হাদিস কোরআনের সাথে সরাসরি কনফ্লিক্ট করে। অনেক সহি হাদিস দ্বারা আমাদের নবীকে বিভিন্নভাবে অপমান করা হয়েছে। এই হাদিসই মুলত মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদের জন্য দায়ী। খেয়াল করে দেখবেন ইসলামে যত দল আছে তারা সবাই এই হাদিস দ্বরা বিভক্ত। অনেকেই মনে করেন হাদিস অস্বীকার করলে বুঝি নবীকেই অস্বীকার করা হয়। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। আসলে যে প্রশ্নটা মানুষ বুঝতে চায়না সেটা হচ্ছে নবী যা বলেছেন বা করেছেন হাদিস লেখকরা তাই লিখেছেন কিনা। যেহেতু আল্লাহ নিজেই বলেছেন নবী শুধুমাত্র কোরআন অনুসরণ করতেন, সেহেতু কোরআন এবং হাদিসের মধ্যে শিক্ষাগত কোন কনফ্লিক্ট থাকতে পারেনা। কিন্তু এই কনফ্লিক্ট আমরা প্রচুর পরিমানে দেখে আসছি। সেই জন্য যখন এই সব হাদিস কালেকশন প্রসিডিওর নিয়ে গবেষণা করা হয় তখন আসল সত্য বেড়িয়ে আসে। আমার খুব ছোট করে দুইটা লেখা আছে এই ব্যাপারে। ইচ্ছা হলে পড়ে দেখতে পারেন।

http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30086284#nogo
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30092964

সুতরাং সহি বলতে যে সব হাদিস গ্রন্থকে বোঝানো হয় তার মধ্যেও অনেক জাল এবং ভুল হাদিস আছে। সুতরাং গ্রন্থ হিসাবে কোন হাদিস গ্রন্থই সহি না। শুধু মাত্র সেই হাদিস গুলি সহি যা কোরআনের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ তা যে হাদিস গ্রন্থেই থাকুক না কেন এবং ঐ সব হাদিস জাল যা কোরআনের সাথে বিপরীত তা যে কোন হাদিস গ্রন্থেই থাকুক না কেন।
হাদিস সহি নাকি জাল তা নির্ণয় করার জন্য কোন হাদিস লেখক সে যেই হোক না কেন কখনই কোরআনকে মাপকাঠি হিসাবে ধরে নাই।

সুতরাং আমি সেইসব হাদিস বিশ্বাস করি যা কোরআনের সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ। এই সব হাদিস মানতে আমার কোন সমস্যা নাই। কিন্তু বেশিরভাগ হাদিসই এই ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করেনা।

মুসলমানদের পারস্য জয়ের সময়কাল থেকে হালাকু খাঁ এর হাতে বাগদাদ পতন হবার সময়কাল- এই সময়টা নিয়ে যদি কেউ পারস্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে গবেষণা করে তবে হাদিস সংক্রান্ত অনেক ভয়ঙ্কর সত্য বেড়িয়ে আসবে।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

লাবু২২ বলেছেন: মন্র হয় চুলকানি টা একটু বেশীই বেড়ে। আগে ডাক্তারের কাছে গিয়ে একটু দাওয়াই খেয়ে আসেন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: এই সব পাবলিকরে কিতা কইতাম???

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

মাসূদ রানা বলেছেন: আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর তারা কোন হাদিসে (কথায়) বিশ্বাস স্থাপন করবে? (৪৫:৬)


হানিফঢাকা ভাই, আয়াতটির মানে এই নয়, যে পবিত্র কোরআনের আয়াতসমুহ ছাড়া আর কোন সত্য হাদিসে বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না ।

হাদিসমুহে ভুল ভ্রান্তি আছে এটা ঠিক, তার মানে এই নয় সকল হাদিসই ত্রুটিপূর্ন । ধন্যবাদ ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সকল হাদিস ক্রুটিপূর্ণ- এই কথাটা আমি বলি নাই। আমার ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে যা কিছু কোরআনের সাথে সাঙ্ঘ্রসিক তা যে কোন বইয়েই থাকুক না কেন বা যেই বলে থাকুক না কেন তা অবশ্যই জাল হাদিস।

সঠিক এবং শুদ্ধ হাদিস অবশ্যই আছে। তার সংখ্যা খুবই কম। আমি যত গুলি হাদিস পড়েছি তার মধ্য বলে দিতে পারব কোনটা সঠিক এবং কোনটা জাল।

কিন্তু মজার বিষয় কি জানেন, আমাদের সম্মানিত উলামারা সেইসব সঠিক হাদিস খুবই কম বলেন, ইগনোর করে যান। কারন একটাই এইসব হাদিস যা কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বললে তাদের ব্যাবসা হয় না।

আমার এই লেখাতেই একটা জাল হাদিসের উদৃতি দিয়েছি। সেটা হচ্ছে" I was given Quran and hadith like it"
এই হাদিস আবু দাউদে থাকার কারনে এবং আবু দাউদ সিহা সিত্তার অন্তর্ভুক্ত হবার কারনে কেউ এইটাকে জাল বলতে নারাজ।
কিন্তু এই হাদিস যদি সত্যি হয়, তবে আল্লাহর চ্যলেঞ্জের কোন ভিত্তি থাকেনা। এই হাদিস কি আল্লাহর চ্যালেঞ্জকে কি বুড়া আঙ্গুল দেখায় নাই? আশা করি বুজতে পেরেছেন।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

মাসূদ রানা বলেছেন: পরিষ্কার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই । আপনার কথার সাথে আমার ধারণার মিল পেলাম। যাযাকাল্লাহ খায়ের ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



পড়লাম, কিছুই বলতে চাই না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: কেন বলতে চান না? এইগুলি কি হার্ডকোর ফ্যাক্ট না?

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ভাই আপনারা শিয়ারা এই সব হাদিসের বই পড়েন না এবং মানেন ও না ।


আপনাদের ও কিছু বই আছে , সেগুলা সম্পর্কে বলেন না শুনি ।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: আমারে এক ধাক্কায় শিয়া বানাইয়া ফালাইলেন? আপনার নিজের দল সম্পর্কে দেখি আপনার কোন ধরনা নেই। "উসুল কাফি, নাযুল বালাগ"- এইগুলি কি সুন্নী গ্রন্থ? নিজের হাদিস গ্রন্থগুলির নাম জানেন ত? শিয়া রিলেটেড আমার একটা লেখা আছে। পড়ে দেখতে পারেন তাহলেই বুঝবেন আমি শিয়া কি না।
http://www.somewhereinblog.net/blog/hanifdhaka/30067495

৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: কিছু না বলাই শ্রেয়।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: কেন কোন সমস্যা হচ্ছে?

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

লাবু২২ বলেছেন: হাদিস গ্রহনের ক্ষেত্রে কতগুলো বিষয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে হয়। যেমন সেটা কোরানের বিরোধিতা করে কি না, যদি করে তবে সেটা সাথে সাথে বাদ দিতে হবে। তা ছাড়া হাদিছের রাবি বা বর্ননাকারী কারী কে সেটাও দেখতে হবে। কোন অপ্রসিদ্ধ সাহাবী কর্তৃক বর্ণীত হাদিস অনেকটাই দূর্বল। এ ছাড়াও অনেক বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখতে হয়। অতএব কোন হাদিস দেখলেই সেটা সাথে সাথে গ্রহণ করা যাবে না, দেখতে হবে এটার বর্ননাকারী কে, তার স্মৃতিশক্তি কেমন, এটা কোন হাদিস গ্রন্থ থেকে সংকলিত ইত্যাদি ইত্যাদি।

আর একটা কথা আপনার লেখাটা অসম্পূর্ণ থাকায়, আপনার সম্পর্কে আমার একটা ভুল ধারণা ছিল। তার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি বলেছেনঃ "যেমন সেটা কোরানের বিরোধিতা করে কি না, যদি করে তবে সেটা সাথে সাথে বাদ দিতে হবে। "- এইটা আমিও বিশ্বাস করি। কিন্তু কোন হাদিস লেখক হাদিসের সত্যতা নিরূপণের জন্য কখনোই কোরআনকে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে ধরে নাই- সেই যেই হোক বা যেই দলেরই হোক। যদি তাই করত তবে আমরা এত জাল এবং নবী সম্পর্কে আপমান সুচক হাদিস পেতাম না। চিপা দিয়া ধরলে অনেক মোল্লা কোন উত্তর দিতে পারেনা আবার অনেক সময় অনেকে এই হাদিসের ভুল স্বীকার করে। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। কোন হাদিস জাল প্রমানিত হবার পরেও ঐ হাদিস কে বাদ দেওয়া হয়না, বরং ঐ হাদিস সহি হিসাবে ঐ বইয়ে রয়ে যায়। সাধারন মানুষ এই গুলি বুঝতে পারেনা। ফলে ঐ সব জাল হাদিসকে সাধারন মানুষ সহি মনে করে। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরী হয়। মোল্লাদের মধ্যে বিভাজনের একমাত্র কারন এই হাদিস।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: পরিষ্কার হইছে বলে মনে হলো না!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কোন জায়গায় পরিষ্কার হইছে বলে মনে হচ্ছে না। এই লেখায় দুইটা পার্ট আছে। প্রথমটা প্রশ্ন যা সরাসরি কোরআন থেকে কপি করা হয়েছে এবং রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এইখানে না বুঝার কিছু নাই। দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে উত্তর। এই উত্তর গুলি বেশিরভাগ মুসলমান মনে প্রানে বিশ্বাস করে। তাহলে সন্দেহটা কোথায়?

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

ধমনী বলেছেন: জাল হাদিসের বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তবে আপনার পোস্টে হাদীস বা ফিকাহর গ্রন্থের সাথে কুরআনের যে সাংঘর্ষিক উপস্থাপন করেছেন সেটা নিন্দনীয়। যারা বুখারী, মুসলিম পড়ে, তারা কুরআন পড়ে না এটা কত শতাংশ মুসলমানের ক্ষেত্রে সত্য?? সবাই তো আর আপনার মত গবেষক হতে পারবে না যে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জ্ঞান অর্জন করবে। কুরআন বুঝার জন্য হাদীস, সীরাত, ফিকাহ পড়তেই হবে। আরেকটা প্রশ্ন- কুরআনের বাংলা অনুবাদে কি আপনার আস্থা নাই, যেকারণে আরবী বা বাংলা উদ্ধৃতি না দিয়ে ইংরেজী অনুবাদের উদ্ধৃতি দেন?

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন:
“জাল হাদিসের বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে”।- অবশ্যই জাল হাদিসের বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। কিন্তু এই সচেতনতার অর্থ কি? সমস্ত তথ্য উপাত্ত দিয়ে যখন একটা হাদিস জাল প্রমানিত হয় তখন ঐ হাদিসটাত ঐ বই থেকে রিমুভ করা হয়না। ঐটা সহি হিসাবেই থেকে যায়। কেন? যেমন বুখারীতে একটা হাদিস আছে যেখানে বলা আছে আমদের নবী (সাঃ) আয়েশা (রাঃ) কে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করেছেন। ঐ হাদিসটা কোরআন দ্বারা, অন্য বিভিন্ন হাদিস এবং ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট দ্বারা ভুল প্রমানিত হয়েছে। আজকে নয় আনেক বছর আগেই হয়েছে। কিন্তু ঐ হাদিস কি ঐ বই থেকে রিমুভ করা হয়েছে? যারা জানে না তারা কি ঐ হাদিস কে সহি মনে করছেন না? এখন কেউ যদি বলে ঐ হাদিস জাল, তবে বুখারী হাদিস জাল বলার কারনে আপনাকে গালাগালি করতে পারে এমনকি মেরেও ফেলতে পারে। মোল্লারা একমাত্র বিপদে পড়লে স্বীকার করে, কিন্তু বিপদ যখন কেটে যায় তখন ঐ হাদিসকেই আবার সহি বলে প্রচার করে। এই রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। কিছু বললেই বলে সচেতন হতে হবে। এইটা মুখের কথা ছাড়া কিছু না। প্রকৃত অর্থেই যদি সচেতন হতে হয় তবে অইসব হাদিস রিমুভ করা উচিত যাতে পরে যারা হাদিস পরে তারা যেন ভুল ভ্রান্তির স্বীকার না হয়। এটা কি মোল্লাদের দায়িত্ব ছিল না? এইরকম একটা সাধারন উদাহরণ আমার নিচের লিঙ্কে দেখতে পাবেন। Click This Link

তবে আপনার পোস্টে হাদীস বা ফিকাহর গ্রন্থের সাথে কুরআনের যে সাংঘর্ষিক উপস্থাপন করেছেন সেটা নিন্দনীয়। - কেন নিন্দনীয় হবে উত্তর দেন। প্রচুর হাদিস এবং ফিকহ কি কোরআনের সাথে সাঙ্ঘ্রসিক নয়? সত্য কথা বললে নিন্দনীয় হবে কেন? মানতে কষ্ট হতে পারে কিন্তু সত্য সত্যই।

যারা বুখারী, মুসলিম পড়ে, তারা কুরআন পড়ে না এটা কত শতাংশ মুসলমানের ক্ষেত্রে সত্য?? - আমি প্রচলিত কোন জরিপ করিনি। সুতরাং এইভাবে বলতে পারবনা। আমি শুধু এইখেত্রে আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারব, এটাই যে সার্বজনীন হবে সেটার কোন গ্যারান্টি নাই। আমার মতে মানুষ কোরআন পড়ে সোয়াবের আশায় আর হাদিস এবং ফিকহ অধ্যায়ন করে বিভিন্ন বিধানের জন্য। এইটা আপনি খুব সহজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনার পরিচিত কোন আলেম কে যদি জিজ্ঞেস করেন অমুক বিষয়ের বিধান কি, দেখবেন সে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিধান দেবে হাদিস আর ফিকহ থেকে। যদি তাকে আবার জিজ্ঞেস করেন ঐ বিষয়ে আল্লাহর বিধান কি? আপনার যে অভিজ্ঞতা হবে আমাকে জানাইয়েন।

সবাই তো আর আপনার মত গবেষক হতে পারবে না যে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জ্ঞান অর্জন করবে।- আমি প্রচলিত অথবা অপ্রচলিত কোন অর্থেই গবেষক না। আপনি বোধহয় জানেন যে অনেক কোরআনের শেষে সাব্জেক্ট ইন্ডেক্স দেওয়া থাকে। এবং সব হাদিস গ্রন্থই সাব্জেক্ট অনুযায়ী ভাগ করা। সুতরাং কোন বিষয় জানতে হলে এই সম্পর্কে কোরআন এবং হাদিস কি বলেছে বের করা এখন খুব সহজ। কোরআন বুঝার ক্ষেত্রে আমার মতে প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে কোন পূর্ব ধারনার বশবর্তী না হয়ে কোরআন পড়া। আমাদের স্কলাররা যদি এই বিশ্লেষণগুলি ইমপ্লিম্যন্ট করে এই সব আপত্তিকর হাদিস গুলিকে রিমুভ করার পদক্ষেপ নিতেন তাহলে আমাদের মধ্যে এত সমস্যা তৈরি হতনা।

কুরআন বুঝার জন্য হাদীস, সীরাত, ফিকাহ পড়তেই হবে।- সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। আমাকে বলেন এই কথা কোথায় পেয়েছেন। শুধুমাত্র মোল্লারা এই কথা বলেন। কোরআন সম্পূর্ণ এর বিপরীত কথা বলে। কোরআন তার নিজের ব্যখ্যার জন্য অন্য কোন বইয়ের উপর নির্ভরশীল না। আল্লাহ কোরআনে অনেক জায়গায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কোরআন বোঝা সহজ, সম্পূর্ণ, ডিটেইলস, সবধরনের সিমিল্টিউড দেওয়া। সুতরাং কোরআন অন্য কোন বইয়ের উপর নির্ভরশীল নয়। আমি আপনাকে উপরে যে লিঙ্কটা দিয়েছি সেইখানে আপনার কথার উৎপত্তি দেওয়া আছে। কোরআন বুঝতে হলে কোরআন দিয়েই বুঝতে হবে। হাদিস কিভাবে কোরআনের অনেক অর্থ কে বিকৃতি করেছে সেটা লিখতে গেলে অনেক বড় হবে। নিজে পরে দেখুন, আশা করি বুঝতে পারবেন। সীরাত পড়ে নবী সম্পর্কে অনেক খারাপ এবং মিথ্যা কথাও জানতে পারবেন। সীরাত পড়ার আগে এর ইতিহাসটাও জেনে নিয়েন। ইবনে হিশাম- তার ভুমিকাতে কি বলেছেন তাও একটু পড়ে দেইখেন, হয়ত বুঝতে পারবেন।

আরেকটা প্রশ্ন- কুরআনের বাংলা অনুবাদে কি আপনার আস্থা নাই, যেকারণে আরবী বা বাংলা উদ্ধৃতি না দিয়ে ইংরেজী অনুবাদের উদ্ধৃতি দেন? - এই প্রশ্নটা নতুন না। বেশ কয়েক জায়গায় আমি এর উত্তর দিয়েছে। সম্প্রতি একটা পোস্টের কমেন্টে এই বিষয়ে বলেছিলাম। নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম। অইখানে আমার দুইটা কমেন্ট পড়লেই কিছুটা ধারনা পাবেন কেন আমি বাংলা অনুবাদ কম দেই।
http://www.somewhereinblog.net/blog/arshafi/30099869#c11249979
সাধারণত কোরআনের কোন অনুবাদে পোস্টে লেখার আগে আমি এর কন্টেক্সট এবং এর সত্যিকার অর্থ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তার পর দেই। (এর পরেও ভুল হতে পারে, কারন কেউ ভুলের উরধে নয়)। আরেকটা কারন হচ্ছে প্রতিটা শব্দের অর্থ (ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড), লেক্সিকান, কনকরডেন্স ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিষ আরবী টু ইংরেজী তে সব পাওয়া যায় যেখানে বাংলা ভাষায় তেমন কিছু নেই।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

Biniamin Piash বলেছেন: লেখাটা এবং মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।ভাল লাগল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনার পোস্টে যথেষ্ট ভুল বুঝার অবকাশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে পোস্ট এ সবাই এসে হামলে পড়তে পারে।
কিন্তু কমেন্ট এ এসে সেটা পরিষ্কার করা হয়েছে।
আমি এভাবে কখনো দেখিনি। তবে আমার কাছে বেশ কয়েকটা হাদিসের বই আছে। এর মধ্যে বুখারী শরীফের হাদিস পড়তে গিয়ে আমার যেন কেমন লেগেছিল। যথাসম্ভব নারী সম্পর্কিত কোন হাদীস।
তবে আপনি যেমন কুরআনের বঙ্গানুবাদ তুলে ধরে বোঝাতে চেয়েছেন তাতেও পরিষ্কার হয়না। কারণ শুধুমাত্র একটা আয়াতের মাধ্যমে এভাবে বোঝানো যায়না।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে পোস্টটা আবার পড়লাম। এইখানে ভুল বুঝার কিছু দেখছিনা। এইটা হতে পারে এটা পড়লে কিছু মানুষের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু এটাও সত্য যে এইখানে কোন ভুল, মিথ্যা কিছু বলা হয় নাই, এবং খুব সহজভাবেই লেখা হয়েছে। তারপরেও যদি কেউ ভুল বুঝেন সেইখেত্রে কোথায় ভুল হয়েছে বললে অবশ্যয় উত্তর দেবার চেষ্টা করব।

আপনি বলেছেন "আপনি যেমন কুরআনের বঙ্গানুবাদ তুলে ধরে বোঝাতে চেয়েছেন তাতেও পরিষ্কার হয়না। কারণ শুধুমাত্র একটা আয়াতের মাধ্যমে এভাবে বোঝানো যায়না। "- আপনার কোন জায়গাটাতে কনফিউশন আছে বললে আমার জন্য সুবিধা হত, থলে হয়ত সেই বিষয়ে বলতে পারতাম। এইখানে আমি কোরআনের একটা আয়াত দেইনি। এইখানে কোরআনের ৭টা আয়াত আছে। ভাল করে পড়ে দেখুন। এরপরেও যদি কনফিউশন থাকে স্পেসিফ্যাকেলি বল্লে আমার জন্য উত্তর দিতে সুবিধা হত।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: নামাজ এমন একটা জিনিস যার চর্চা ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের পর গত ১৪০০ বৎসর ধরে প্রতিদিন করা হয়েছে । এই ১৪০০ বৎসরের এমন একদিন নাই যে দিন মুসলমানদের একটা অংশ নামাজ পড়েনি । এবার আসা যাক হাদিসের বিষয়ে -- হাদিস নামাজের মত প্রতিদিন চর্চার বিষয় নয় কেউ কেউ কোন হাদিস জানে এবং অনেকে হয়তো তা জানে না । হাদিস জানা একটা গবেষনা বা পড়ার আগ্রহের বিষয় এবং প্রথম ৩০০ বৎসর এইটা মুখে মুখে চর্চা হয়েছে তবে নামাজের মত প্রতিদিন পাচ বার নয়। শিক্ষিত অশিক্ষিত সকলেই নামাজ পড়া জানে কিন্তু শিক্ষিত বা অশিক্ষিত সবাই হাদিসের সব কিছু জানে না । এবার প্রশ্ন হোল যে নামাজ প্রতিদিন পড়া হয়েছে তাহোলে সেই নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন তো সবার এক হওয়ার কথা -- শুধু সুন্নিদের মধ্যেই নামাজ পড়ার কত রকমের ধরন হাত বাধা, বসা, আস্তে আমিন বলা বা জোড়ে সোড়ে আমিন বলা ইত্যাদি । যদি কেউ শিয়াদের নামাজ পড়া দেখেন তখন বুঝবেন কত তফাত -- প্রতিদিন নামাজ যেটা আমাদের রসুল (সা) শিক্ষিয়েছেন ১৪০০ বৎসর ধরে প্রতিদিন চর্চা হওয়ার পর সবার নামাজ পড়ার ধরন তো এক হওয়ার কথা , তাহোলে দেখা যাচ্ছে খোদ নামাজ প্রতিদিন চর্চা হওয়ার পর ও ধরনের পরিবর্তন হয়েছে ।

তাহোলে ৩০০ বৎসর যে হাদিস একটা অরক্ষিত দলিল ছিল এবং নামাজের মত প্রতিদিনের চর্চার বিষয় ছিল না সেটার মধ্য ভুল ভ্রান্তি থাকা কি স্বাভাবিক নয় ? যারা অন্ধ ভাবে হাদিস ফলো করে তারা কেন বাইবেল মানে না ?? বাইবেল লেখা শুরু হয় যিশু খৃষ্ঠ মারা যাবার ৬০ বা ৭০ বৎসর পরে এবং বাইবেলের অনেক আয়াত কোরানের সাথে মিলে যায় । সুতরাং যারা হাদিস অন্ধভাবে ফলো করে যা ৩০০ বৎসর পরে লেখা, তাদের ৭০ বৎসর পরে লেখা বাইবেল মানতে অসুবিধা কোথায় ??

কিছু দিন আগে অভিজিৎ রায় নামক একজন বিজ্ঙান মনোষ্ক ব্লগারকে হত্যা করা হয় তার একটা লেখার জন্য যেখানে রসুল (সা) এর খুব খারাপ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে । যদি কেউ পড়েন ঐ লেখা তাহোলে দেখবেন ওটা পুরা একটা রিসার্চ ডকুমেন্ট প্রতিটি বক্তব্যের জন্য হাদিসের রেফারেন্স দেওয়া আছে তখন অনেকে বল্লেন ওগুলো জাল হাদিস। যদি স্বীকারই করেন ওগুলো জাল হাদিস তাহোলে তো তাকে হত্যা করা হোল কেন কারন অভিজিৎ তো মিথ্যা রেফারেন্স দেয় নি হাদিস থেকে দিয়েছে -- আসল ব্যপারটা হোল অভিজিৎকে মেরে ফেলা হোল ঠিকই কিন্তু ঐ জাল হাদিস গুলো হাদিসের বইতে ঠিকই থেকে গেল - এমন তো হওয়ার উচিৎ ছিল না । জাল হাদিস গুলোকে রিমুভ না করে অভিজিৎকে হত্যা করে ইসলামের কি উপকার হোল । ভবিষ্যতে যদি ঐ হাদিসের উদাহরন দিয়ে রসুল (সা)কে আবার অপমান করা হয় তখন তার কল্লা কাটা হবে কিন্তু ঐ সমস্ত হাদিস হাদিসের বইতে থেকে যাবে । ঐ হাদিস কোন দিন রিমুভ করা হবে না কারন তাহোলে মোল্লাদের ফতুয়া ব্যবসা বন্দ হয়ে যাবে ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। মোল্লারা এই সব হাদিস রিমুভ করেন না কারন এই হাদিস হচ্ছে তাদের অস্তিত্বের ভিত্তি। আমি ইউটিউবে একজন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলারের ইন্টারভিউ দেখেছি, যেখানে উনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে কোরআন অনুযায়ী কোরআন কি তার ব্যাখার জন্য হাদিসের উপর নির্ভরশীল কিনা। উনি একটু থতমত খেয়ে বলেছিলেন যে না কোরআন তার ব্যাখার জন্য হাদিসের উপর নির্ভরশীল না। কিন্তু কেউ যদি হাদিস না পড়েন তবে সে কোরআনের উপর কমেনট্রি মিস করবেন। তাকে শেষে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে কিছু হাদিস আছে যা সন্দেহজনক, সেইগুলিকে বাদ দেওয়া হয় না কেন। তিনি উত্তরে বলেছিলেন যে আপনি যদি হাদিস বই থেকে আজকে একটা হাদিস বাদ দেন, কালকে আরেকজন আরেকটা হাদিস বাদ দেবে। এইভাবে এইটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা বলা মুশকিল। সেইজন্য কোন হাদিস বাদ দেওয়া হয় না এবং যে অবস্থায় আছে সেইভাবেই উহার উপর সম্পূর্ণ ভাবে পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়। ইন্টার্ভিউয়ের সারমর্ম এইরকমই ছিল। একজন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার সন্দেহজনক হাদিস বাদ দিতে চান না এর কারন হচ্ছে এতদিন এইসবকে সম্পূর্ণ সহি গ্রন্থ বলে মানুষের মধ্যে বিশ্বাসের ভিত্তি বানিয়ে তা দিয়ে ব্যবসা করেই তাদের মোল্লাতন্ত্র টিকে আছে। সেটা চলে গেলে তাদের আর কি থাকবে। কোরআনত আগেই পরোক্ষ ভাবে রিজেক্ট করে রেখেছেন। কোরআনে মোল্লা তন্ত্র নামক কোন প্রফেশনের কোন স্থান নাই।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

হ্যাঁ এবং না বলেছেন: যদিও আমি কোরান পরিনা, চেষ্টা করছি। কিন্তু ''কুরআন বুঝার জন্য হাদীস, সীরাত, ফিকাহ পড়তেই হবে।- সম্পূর্ণ ভুল ধারনা'' কথাতার সাথে একমত।

আমি ধর্ম বুঝি কম। কিন্তু আমার মতে কোরান ও হাদিস পড়ার সময় কিছু যুক্তি মনে রাখতে হবে।

১। আমি জানিনা কোরান এ হাদিস ফলো করার কথা আছে কিনা। সম্ভবত নাই। থাকলে হাদিস এত পরে সংগ্রহ করা হতনা।
২।আমাদের নবী সেটা বলে যেতে পারতেন এবং সেই সময়ে থেকেই হাদিস এর বিশুদ্ধতা রক্ষা করা যেতো। কিন্তু সেটাও করা হয়নি।
৩। সৃষ্টিকর্তা কোরান আমদের জন্য দিয়েছেন এবং আমাদের মহানবীর মাধ্যমে আমরা তা পেয়েছি। যদি আমরা বলি হাদিস জানতে হবে কোরান বোঝার জন্য তাহলে সৃষ্টিকর্তা কাজ একটু প্রশ্ন বিদ্ধ হয়। কিভাবে ?
ক। সৃষ্টিকর্তা মানুস্কে যে বই দিয়েছেন সেটা কোন ভাবেই আমরা বুঝতে পারবনা, অর্থাৎ কোরান নিজে কোন সঠিক অর্থ মানুষকে দিতে পারেনা।
খ। সৃষ্টিকর্তার বানী (কোরান) এর অর্থ মানুষের ব্যাখ্যার বা কাজের ওপর নির্ভরশীল ( অবশ্যই মহানবী একজন মানুষ)।
গ। তাহলে যারা মহানবীর পাশ ছিলোনা তারা সঠিক অর্থ জানতে পারবেনা। সময়ের সাথে তা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাহলে কোরানের মুল উদ্দেশ ঝুকির মধ্যে পরবে, অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তার বানী থাকবে কিন্তু কেউ সেটার মানে জানবেনা। ফলে কোরানের সাথে হাদিস সংরক্ষণ প্রায় একই পরিমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরছে। অর্থাৎ মানুষের কাজ ও বানী (হাদিস) এবং কোরান সম অবস্থানে চলে আসছে ( সংরক্ষণ এর প্রশ্নে )।

৪। যদি মহানবী হাদিস সংরক্ষণের কথা নাই বলে থাকেন, তাহলে তার ভুমিকাও প্রশ্ন বিদ্ধ হয়ে যায়। কারণ যেই উদ্দেশে তিনি আমদের কাছে কোরান এনেছিলেন, সেই উদ্দসই নষ্ট হয়ে যাবে যদি তার কথা আমরা সংরক্ষণ না করি। কিন্তু উনি সেটা বলেন নাই, কেন???

আমি জানিনা আমার ব্যাখ্যাটা কত খানি যুক্তি মত হল। তবে আমার বুঝ হল, সৃষ্টিকর্তার বানী আমাদের জন্য যথেষ্ট আর মহানবী যে কাজ করতে বলেন নাই সেটা জোর করে করার কোন মানে হয়না।

আমার ধর্ম সম্পরকে জ্ঞান খুবই কম। একটু একটু কোরান পড়া শুরু করেছি। আগে আরবি না বুঝে পরতে পারতাম। এখন বুঝে ইংরেজি পড়া শুরু করেছি। কোন কিছু ভুল বলে থাকলে ধরিয়ে দেবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। কোরআনে কোথাও হাদিস সংরক্ষণের কথা বলা হয়নি। নবীর সময় থেকে চার খলিফার সময় পর্যন্ত কোন হাদিস লিখিত ভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি, বরং যা অল্প কিছু লেখা হয়েছিল তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। হাদিস মুলত নবীর মৃত্যুর ২০০/২৫০ বছর লেখা শুরু হয়।

কোরআন কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। যেহেতু কোরআন পড়ছেন সেটা এমনিতেই বুঝবেন। এর জন্য জ্ঞানী হওয়া লাগেনা। কোরআন সংরক্ষণের সম্পর্কে যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভুল। কোরআন সংরক্ষণ এবং সংকলন নবীর সময়েই হয়েছে। হাদিস এবং কোরআনের সংকলন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি কখনোই এক না। যারা এটা বলে তারা মিথ্যা বলে।

আমার ধর্মীয় জ্ঞান খুবই সীমিত। আমার অবস্থা আপনার চেয়ে খুব একটা ভাল না। আমিও চেষ্টা করছি শেখার জন্য।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

হ্যাঁ এবং না বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি বলেছি ''কোরানের সাথে হাদিস সংরক্ষণ প্রায় একই পরিমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরছে। অর্থাৎ মানুষের কাজ ও বানী (হাদিস) এবং কোরান সম অবস্থানে চলে আসছে ( সংরক্ষণ এর প্রশ্নে )। ''

আমি বলি নাই কোরান সংরক্ষণ হয়নাই ঠিক মত। বলেছি হাদিস খুব বেশি গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে পরে সংরক্ষণ এর প্রশ্নে। প্রায় কোরান এর সমকক্ষ।

ব্লগে নতুন। তবে আপনার লেখাগুল ফলো করি।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আপনার প্রশটিকে আমি ভুল বুঝেছি এটি ধরিয়ে দেবার জন্য। আপানার এই বিষয়ে মন্তব্য পড়ে আমি একটু কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম। সরি ফ্র দ্যাট।

এইবার আসি আপনার প্রশ্নের ব্যপারে। প্রশ্নটার উত্তর অনেক সোজা। আল্লাহ কোরআনে কি বলেন নাই যে আল্লাহ সব জানেন? আল্লাহ কি বলেন নাই যে উনি ছাড়া কেউ ভবিষ্যৎ জানেন না?

১। প্রথম কথা হচ্ছে আল্লাহ কোরআন সম্পর্কে যা বলেছেন তা হচ্ছে ইহা স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিস্তারিত, সবধরনের সিমিল্টিউড দেওয়া আছে, বুঝতে সহজ, মনে রাখতেও সহজ। সুতরাং এই কোরআন নিজের ব্যাখ্যার জন্য কোন কিছুর উপর নির্ভরশীল না। এতটুকু বুজলে বাকিটুকু সহজ। অর্থাৎ কোরআন যদি সবসময়ের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকে তাহলে কোরআন সম্পর্কে আল্লাহ যা বলেছেন (যা একটু আগে বললাম) তা সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। অর্থাৎ কোরআন সব সময়ের জন্যই সহজ এবং কোন বইয়ের উপর নির্ভরশীল না।

২। সুতরাং যদি ভবিষ্যতে কোরআন ব্যাখ্যার জন্য হাদিসের কোন গুরুত্ব থাকতই তবে এটা কি আল্লাহ জানতেন না? যদি এরকম কোন কিছু হত তবে অবশ্যয় হাদিস সংরক্ষণের কথা বলতেন। আমাদের মত আল্লাহ ত আর সময়ের মধ্যে বন্দী না।

৩। যদি এই সব হাদিস সংরক্ষণ সময়ের সাথে জরুরি হত তবে আমি আমার লেখায় যে প্রশ্নগুলি দিয়েছি কোরআন থেকে, সেগুলির কোন ভ্যলিডিটি থাকে না, অর্থাৎ আল্লাহ এই প্রশ্নগুলি করতেন না।

৪। আপনার কথা অনুযায়ী সাহাবারা কোরআন সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জানত। ধরে নিলাম আপনার কথা সঠিক। এখন আমাকে বলেন কেন সাহাবাগন এবং চার খলিফা কোরআন ভাল ভাবে জানার পরও এবং নবীর সাহচর্যে থাকার পরেও হাদিস সংরক্ষণের বিপরীতে ছিলেন। কেন? তারা এইটার গুরুত্ব বুঝেন নাই? গুরুত্ব বুঝেছে ২৫০ বছর পরে ইরানের কিছু পাব্লিকে? কোথায় আরব আর কোথায় ইরান? এই ইমামদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে স্টাডি করলে অনেক মজার বা ভয়ঙ্কর (যার কাছে যেমন) তথ্য পাবেন। আপনাকে একটা ক্লু দেই। আপানর সিহা সিত্তার ৬ টা হাদিস বইয়ের সব লেখক ছিলেন পার্সিয়ান, কেউ আরব নন।

আমি যদি আপনাকে বুঝাতে না পারি বা আমার উত্তর যদি আপনার মনপুত না হয় অথবা যদি মনে হয় আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পারিনি, দয়া করে কোন রকম দ্বিধা না করে জানাবেন। আলোচনার মাধ্যমেই অনেক কিছু জানা যায়।

আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩০

হ্যাঁ এবং না বলেছেন: দুঃখিত, আমি সাহাবাদের কথাও বলিনাই :-)। আম্র প্রশ্নগুলো আসলে আপনার প্রতি প্রশ্ন নয় :-)
আপনার কথা গুলো খুবই যুক্তি যুক্ত। ফলো করছি।

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:১০

অাহসান শান্ত বলেছেন: হা হা।আপনি কি জানেন নগরী নিয়ে হোমার Iliad & Odessy কত শত বছর পর লিখেছিল? ৭০০-৮০০ বছর পর।এটা মিথ ছিল।১৮৬৫ সালে ফ্রানক কার্লভার্ট ইংরেজ প্রত্নতত্ত্ববিদ সরবপ্রথম ট্রয় নগরীর সন্ধান পান।তিনি হিসার্লিকে এক কৃষকের কাছ থেকে এক খন্ড জমি কিনে খনন কাজ শুরু করেন। কিন্তু তা সমাপ্ত করতে পারেন নি। ১৮৭০ সালে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ হাইনরিশ শ্লিমান এই এলাকায় খনন কাজ শুরু করেন। এই খনন চলতে থাকায় এক সময় প্রমাণিত হয় যে, এখানে একের পর এক বেশ কয়েকটি শহর নির্মিত হয়েছিল। এই শহরগুলোরই একটি হোমারের ট্রয়। হোমার যদি ৮০০ বছর পর ট্রয়ের যুদ্ধ লোক মুখে শুনে মহাকাব্য লিখতে পারেন আর ১৮৭০ সালে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ হাইনরিশ শ্লিমান তার উপর ভরসা করে ট্রয় নগরীর সন্ধান পান তবে আপনি কোন কলি যুগের পন্ডিত যে কিনা এই পবিত্র হাদিস গ্রন্থগুলো নিয়ে উপহাস করেন বা তার সত্যতা যাচাই করেন?সহীহ হাদীস কিভাবে যাচাই করেছেন ইমাম বোখারী সেটা জানেন আগে।হোমার যুগে মুখে মুখে কাহিনী বিস্তার হতো কিন্তু ইমাম বোখারী এর সময় লিখার প্রচলন ছিল।এটা জানেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.