নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা আর্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট- হারিয়ে যাওয়া লিজেন্ড

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

(আমি এই খানে বিভিন্ন স্ক্রিপচার অনুযায়ী “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- এর ঘটনা বর্ণনা করার চেস্টা করেছি। মুল ঘটনা বলার আগে এটা বলে রাখা ভাল যে এইখানে কোন ধর্মীয় পারস্পেক্টিভে কাহিনী বর্ণনা করছিনা, যার ফলে দয়া করে এটাকে কেউ বিশুদ্ধ ধর্মীয় কাহিনী বলে ভুল করবেন না। এইখানে অনেক বিষয় আছে যা ধর্মীয় পারস্পেক্টিভে চরম আপত্তিকর। এই কাহিনীটিকে একটা ঐতিহাসিক ঘটনা এবং মিথ –এই পারস্পেক্টিভেই দেখার চেস্ট করেছি যদিও এই কাহিনী ইহুদী এবং খৃস্টনাদের কাছে ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক দুই ভাবেই সমান গুরুত্বপূর্ণ, কারন এই কাহিনীর বেশীরভাগ অংশই তাদের মুল ধর্মগ্রন্থ এবং ট্র্যাডিশনে বর্ণনা করা আছে। কাহিনীর স্বার্থে এইখানে মুসলিম এবং ইহুদী ধর্মীয় গ্রন্থ এবং ইহুদীদের ট্র্যাডিশন থেকে প্রচুর রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে। এই কাহিনীর সাথে শেবার রানীর কাহিনিও জড়িত, যা ঐতিহাসিক ভাবে ইহুদী, খৃস্টান এবং মুসলমানদের জন্য থিওলজিক্যাল পারস্পেক্টিভে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও শেবার রানীর কাহিনী ছাড়া এই কাহিনী কিছুটা অসম্পূর্ণ, তবুও শেবার রানীর কাহিনী একটু বড় বলে এইখানে এটা বর্ণনা করছিনা। আমার মুল গল্প শুধুমাত্র আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট কে নিয়েই। কাহিনীর স্বার্থে এইখানে বিভিন্ন নবীর নাম লিখতে হবে, সুতরাং যারা পড়বেন নিজ দায়িত্বে কোন নবীর নামের শেষে (আঃ) পড়ে নিবেন।)

দ্যা আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্টঃ
And [recall] when We made an appointment with Moses for forty nights. Then you took [for worship] the calf after him, while you were wrongdoers. ( কোরআন ২:৫১)

যখন মুসা মিশর থেকে (মিশর বলতে বর্তমান ইজিপ্ট কে বুঝায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে) ইহুদীদের কে বের করে নিয়ে আসেন এবং তখন ৪০ দিনের জন্য আল্লাহর সাথে কথা বলার জন্য সিনাই পর্বতে যান। বাইবেল অনুসারে, সেইখান আল্লাহ তাকে দুইটি পাথরের ট্যাবলেট দেন যেখানে ইহুদীদের জন্য বিধান লেখা ছিল। মুসা এই দুইটি ট্যাবলেট নিয়ে তার লোকদের কাছে ফিরে আসলে দেখেন তারা বাছুর পুজা করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি ট্যাবলেট দুইটা ভেঙ্গে ফেলেন। অতঃপর পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি আবার সিনাই পর্বতে যান এবং সেইখানে আবার তাকে সেই দুইটা ট্যাবলেট রিপ্লেসমেন্ট করে দেওয়া হয়।তারপর ইশ্বর মুসাকে এই ট্যাবলেট দুইটা রাখার জন্য একটা সিন্ধুক বানাতে বলেন। এই সিন্ধুকটির ভিতরে এই ইশ্বর প্রদত্ত দুইটি পাথরের ট্যাবলেট রাখা হয়। এই জন্য ঐ সিন্ধুকটিকে আর্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট বলা হয়। এই সিন্ধুকটির বর্ণনা ওল্ড টেস্টাম্যান্টের চ্যাপ্টার ৩৭ এ সম্পূর্ণভাবে দেওয়া আছে যার প্রথম কিছু অংশ নিম্নরূপঃ

“বত্সলেল বাবলা কাঠ দিয়ে পবিত্র সিন্দুক তৈরী করল। সিন্দুকটি ২.৫ হাত লম্বা, ১.৫ হাত চওড়া আর ১.৫ হাত উঁচু। তারপর সে খাঁটি সোনা দিয়ে সিন্দুকের ভেতর ও বাইরের দিকে মুড়ে দিল। সে সিন্দুকের চারিদিকে সোনার জরি দিয়ে ঘিরেও দিল। এরপর সে চারটি সোনার আংটা চারকোণায় রাখল সিন্দুকটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর একদিকে দুটি আংটা লাগানো ছিল এবং দুটি আংটা লাগানো ছিল এর অন্য দিকে। সিন্দুকটি বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাবলা কাঠের খুঁটি তৈরী করে সে সেগুলি খাঁটি সোনায মুড়ে দিল। তারপর সে পবিত্র সিন্দুকের প্রতিটি ধারে আংটাগুলির ভেতর দিয়ে খুঁটিগুলি ঢুকিয়ে দিল। তারপর সে খাঁটি সোনা দিয়ে আচ্ছাদনটি তৈরী করল। এটা ছিল ২.৫ হাত লম্বা ও ১.৫ হাত চওড়া। তারপর সে পেটানো সোনা দিয়ে দুটি করূব দূত তৈরী করল এবং সেগুলো আচ্ছাদনের দুধারে রেখে দিল। তারপর সে করূব দূতের মূর্ত্তি দুটি পাপমোচন স্থানের আচ্ছাদনের সঙ্গে জুড়ে একত্র করল। দূতরা ডানা আকাশে ছড়িয়ে পবিত্র সিন্দুকটিকে ঢেকে দিল। দূতরা পরস্পর মুখোমুখি হয়ে পাপমোচন স্থানের দিকে তাকিযে রইল”। (এক্সোডাস ৩৭:১-৯)

এই সিন্ধুকটিকে তারা একটা বড় দুই কক্ষ বিশিষ্ট বহনযোগ্য তাবুতে আরও অন্যান্য জিনিষের সাথে স্থাপন করে এবং যেখানেই তারা যেত সাথে করে ঐ তাবু বহন করে নিয়ে যেত। এর প্রথম কক্ষটিকে বলা হত “পবিত্র” এবং দ্বিতীয় কক্ষটিকে বলা হত সবচেয়ে পবিত্র। দ্বিতীয় কক্ষে সিন্ধুকটি রাখা থাকত এবং সেখানে একজন ছাড়া কারো প্রবেশাধিকার ছিলনা যে কিনা পূর্বে সবার মাধ্যমে নির্বাচিত হত। সেই ব্যাক্তি (প্রথম দিকে মুসা)সাধারণত বছরে একবার ঐ দ্বিতীয় কক্ষে প্রবেশ করত বলির পবিত্র রক্ত উৎসর্গ করার জন্য।বলা হয়ে থাকে যদি ঐ নিদ্দৃস্ট ব্যাক্তি ছাড়া কেউ ঐ ঘরে প্রবেশ করত তবে ইশ্বর সাথে সাথে তাকে মেরে ফেলত।

বিশেষত্বঃ
এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” কে গডের পক্ষ থেকে ইহুদীদের একটা নিশ্চয়তা হিসাবে ধরা হয়।অর্থাৎ ধারনা করা হয় এর মধ্যমে যতদিন ইহুদীরা ইশ্বর প্রদত্ত কভেন্যান্ট মেনে চলবে (যা দুইটি পাথর খন্ডের উপর লিখে দেওয়া হয়েছিল), ইশ্বর ততদিন ইহুদীদের সাথে আছেন এই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাডিশন বলে ইশ্বর নিজেই ঐ “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” এ বাস করত। যদিও তারা সাধারণ ভাবে বিশ্বাস করত যে “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”-এর নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতার উৎস ইশ্বর, কিন্তু তবু এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” তাদের কে প্রচুর আত্নবিশ্বাস যোগাত।বলার অপেক্ষা রাখেনা, এটা ছিল ইহুদীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র জিনিশ। কোরআনে এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”-এর উল্লেখ করা আছে।

যুদ্ধক্ষেত্রে “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” ঃ
মিশর থেকে প্রস্থান করে মরুভূমিতে ইহুদীরা অনেকদিন যাযাবরের মত ঘুরে বেড়িয়েছে।এই মরুভূমিতেই ইহুদীদের মধ্যে নতুন প্রজন্মের জন্ম হয়েছে। এরি মধ্যে মুসা নবী এবং তার ভাই দুইজনেই মারা গিয়েছে। সময়ের আবর্তে, যারা মিশর থেকে মুসা নবীর সাথে এসেছিল তাদের মধ্যে দুইজন ছাড়া সবাই ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে। পুরাতনদের মধ্যে যেই দুইজন বেচে ছিলেন তারা হচ্ছেন জশুয়া এবং সেলিব। ইহুদীরা জশুয়া কে তাদের নেতা নির্বাচন করলেন এবং তারা তাদের ইশ্বর কর্তৃক প্রমিজড ল্যান্ডে যাবার জন্য প্রস্তুত হল। জর্ডান নদী পার হয়ে প্রথম যে শহরটা দখল করতে হবে তার নাম হচ্ছে “জেরিকো”। কিন্তু সমস্যা বাধল তারা কিভাবে জর্ডান নদী পার হবে? ইশ্বর তাদের একটা সমাধান দিল। চারজন “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” কে সবার আগে আগে বয়ে নিয়ে যাবে। যখন “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” এর সামনের দুইজন বহনকারী জর্ডান নদীতে পা রাখলেন, তখন নদীর পানি দুইভাগ হয়ে সরে গিয়ে পথ করে দিল যেমনটা হয়েছিল মুসা নবী যখন ইহুদীদের নিয়ে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছিলেন। সেইখানের অধিবাসীরা পূর্বেই তাদের লোহিত সাগর পাড়ি দেবার ঘটনা শুনেছিল বিধায় ভয়ে প্রতিরোধ করার সাহস হারিয়ে ফেলে। গডের কমান্ড ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে যেন এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” উপস্থিত থাকে। এর ফলে ইহুদীরা ঐ অঞ্চলের ৩১ জন রাজা কে পরাজিত করে প্রাথমিক ভাবে জেরিকো এবং তার আশেপাশের এলাকা দখল করে নেয়।

চুক্তি ভঙ্গ এবং “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” হাত ছাড়া হয়ে যাওয়াঃ
এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” এর কারনে ইহুদীরা অতিরিক্ত আত্নপ্রসাদে ভুগতে লাগল। কথিত আছে এর ফলে তারা গডের সাথে তাদের করা চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন পাপকাজে লিপ্ত হয়। এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” যখন শিলখের টেম্পলে ছিল তখন তাদের পাপ কাজের সীমা ছাড়িয়ে যায়। তখন ইশ্বর তাদের মধ্যে স্যামুয়েল নামক এক বালককে সিলেক্ট করেন নতুন করে দিক নির্দেশনা দেবার জন্য। কিন্তু ইহুদীরা গডের এই সতর্কবার্তা তখন কানে নেয়নি। যার ফলশ্রুতিতে ইশ্বর সাময়িকভাবে তাদেরকে ত্যাগ করেন। ইহুদীরা এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” এর ব্যাপারে এতই আস্থাশীল ছিল যে তারা মনে করত ঐ আর্ক যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত থাকলেই তারা সহজে যুদ্ধ জয় করতে পারবে। কিন্তু তারা এটা ভুলে গিয়েছিল যে ঐ আর্কের নিজস্ব কোন ক্ষমতা ছিলনা, সবই ছিল ইশ্বর প্রদত্ত।যখন তারা প্যলেস্টাইনের একটা অংশ আক্রমণ করে, সেখানে তারা শিলখের টেম্পল থেকে আর্ক টিকে বের করে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যায়।এতে তারা ধারনা করেছিল যে এই আর্ক টিকে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে গেলে তারা ইশ্বর কে তাদের পক্ষে থাকতে বাধ্য করাতে পারবে। এই জন্য জয়ের ব্যপারে তারা এতটাই নিশ্চিত ছিল যে যুদ্ধ শুরু হবার আগেই তারা জয়োল্লাস করতে থাকে। ইশ্বর হয়ত নীরবে হেসেছিলেন। ইহুদীরা যুদ্ধে পরাজিত হয় তাদের ৪ হাজার সৈন্য নিহত হয় এবং তাদের আর্ক প্যালেস্টাইনের অধিবাসীরা দখল করে নেয়।

“আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- এর আতঙ্ক এবং ধ্বংসলীলাঃ
প্যালেস্টাইনের অধিবাসীরা এই আর্কটিকে “আসুদ” (Ashod) নামক স্থানে তাদের নিজস্ব টেম্পলে নিয়ে যায়। ঐখানের অধিবাসীরা সূর্য দেবতার উপাসনা করত। তদের সূর্য দেবতার নাম ছিল ডাগন (Dagon )সেখানে তারা এই আর্কটিকে তাদের সূর্য দেবতা ডাগনের পাশে স্থাপিত করে। এর ফলাফল হল ভয়াবাহ। এর ফলাফল ওল্ড টেস্তাম্যন্টের ভাষায় শুনুনঃ

“পলেষ্টীয়রা এবন্-এষর থেকে অস্দোদে ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক নিয়ে গেল। পলেষ্টীয়রা ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুকটি দাগোনের মন্দিরে এনে সেটা দাগোনের মূর্ত্তির পাশে রাখল। পরদিন সকালে অস্দোদের লোকরা দেখল দাগোনের মূর্ত্তিটা প্রভুর সিন্দুকের সামনেই মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে আছে।অস্দোদের লোকরা মূর্ত্তিটাকে তুলে তার জায়গায় ঠিক করে রাখল। কিন্তু তার পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তারা আবার দেখল, দাগোন আবার মাটিতে পড়ে আছে। প্রভুর পবিত্র সিন্দুকের সামনে দাগোন উপুড় হয়ে পড়ে রযেছে। এবার দাগোনের মাথা এবং দুটো হাত ভাঙ্গা ছিল এবং চৌকাঠের ওপর পড়ে ছিল। শুধু দেহটাই আস্ত রযেছে। এই কারণে এমনকি আজও দাগোনের মন্দিরের চৌকাঠে কি যাজক কি অন্যান্য লোকরা কেউই পা মাড়াতে চায না।
প্রভু এবার অস্দোদের লোকদের এবং তাদের প্রতিবেশীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুললেন। প্রভু তাদের য়থেষ্ট বিপদে ফেললেন। তাদের গায়ে জায়গায় জায়গায় টিউমার বা অর্বুদ দেখা দিল। সবই তাঁর আঘাত। তারপর তিনি ওদের দিকে অসংখ্য় ইঁদুর ছেড়ে (এইখানে প্লেগের কথা বলা হচ্ছে)দিলেন। তারা জাহাজে এবং মাটিতে ছোটাছুটি করতে লাগল। শহরের লোকরা বেশ ভয় পেয়ে গেল। এইসব দেখে অস্দোদের লোকরা বলাবলি করল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক এখানে যেন না থাকে, ইস্রায়েলের ঈশ্বর আমাদের আর দেবতা দাগোনকে শাস্তি দিচ্ছেন।”
অস্দোদের লোকরা পাঁচজন পলেষ্টীয় শাসককে ডাকল। তাদের ওরা জিজ্ঞেস করল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের এই পবিত্র সিন্দুক নিয়ে আমাদের কি করা উচিত্?”শাসকরা বলল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক গাতে নিয়ে যাও।” সেই মতো পলেষ্টীয়রা পবিত্র সিন্দুক সেখান থেকে সরিয়ে দিল। কিন্তু তারা ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক গাতে নিয়ে যাবার পর প্রভু সেখানকার শহরের লোকদের শাস্তি দিলেন। তারা বেশ ভয় পেয়ে গেল। তারা বিপদে পড়ল। বালক বৃদ্ধ সকলের গায়েই টিউমার বা অর্বুদ দেখা গেল। তাই পলেষ্টীয়রা ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক ইক্রোণে পাঠিয়ে দিল।কিন্তু সেটা ইক্রোণে এলে সেখানকার লোকরা ক্রন্দন কর, “কেন তোমরা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের পবিত্র সিন্দুক আমাদের ইক্রোণে আনলে? তোমরা কি আমাদের ও আমাদের লোকদের মেরে ফেলতে চাও?”

ইক্রোণের লোকরা পলেষ্টীয় শাসকদের ডেকে বলল, “ইস্রায়েলের ঈশ্বরের সিন্দুক যেখানে ছিল সেখানেই পাঠিয়ে দাও। এই সিন্দুক আমাদের এবং আমাদের লোকদের মেরে ফেলার আগেই কাজটা করে ফেল।”সারা শহরের যেখানেই ঈশ্বরের হাতের আঘাত পড়েছিল সেখানে ভয়ঙ্কর শাস্তি হয়েছিল। বহু লোক মারা গেল। আর যারা বেঁচে রইল তাদের গায়ে আব দেখা দিল। স্বর্গের দিকে তাকিযে তারা খুব কাঁদতে শুরু করল”। (১ স্যমুয়েলস ৫:১-১২)

“আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- পুনরুদ্ধারঃ
এই আর্ক তখন প্যালস্টাইনের অধিবাসীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে দেখা দিল। তারা তাদের যাজকের সাথে পরামর্শ করে তা ইহুদীদের ফিরিয়ে দিতে মনস্থ করল (এর বিস্তারিত ১ স্যামুয়েলস ৬ এ দেওয়া আছে)। এইখানে একি সাথে দুইটি ঘটনা একসাথে ঘঠেছে। ইহুদীরা স্যমুয়েলের কাছে অনুরোধ করল তাদের একজন রাজা ঠিক করে দিতে কারন এর আগ পর্যন্ত তাদের সমাজব্যবস্থা ছিল যাজক বা বিচারক নির্ভর। যার নেতৃত্বে তারা একতাবদ্ধ হতে পারে এবং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে। স্যমুয়েল ইহুদীদের জন্য “সল” (কোরআনে বর্ণনা অনুযায়ী এই সল হচ্ছে তালুত) কে রাজা নিযুক্ত করেন। এতে অনেক ইহুদীরা তার বংশ পরিচয় এবং আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করে আপত্তি করেন। এই ব্যপারে কোরআনে বলা হয়েছেঃ

মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, “তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তাআলা জালেমদের ভাল করেই জানেন। আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত”। (কোরআন ২:২৪৬-২৪৭)

এই সময়েই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- ইহুদীদের কাছে এসে পৌছায়। কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী এই আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট ছিল তালুতের রাজা হবার বিষয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন।

“বনী-ইসরাঈলদেরকে তাদের নবী আরো বললেন, তালূতের নেতৃত্বের চিহ্ন হলো এই যে, তোমাদের কাছে একটা সিন্দুক আসবে তোমাদের পালকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের মনের সন্তুষ্টির নিমিত্তে। আর তাতে থাকবে মূসা, হারুন এবং তাঁদের সন্তানবর্গের পরিত্যক্ত কিছু সামগ্রী। সিন্দুকটিকে বয়ে আনবে ফেরেশতারা। তোমরা যদি ঈমানদার হয়ে থাক, তাহলে এতে তোমাদের জন্য নিশ্চিতই পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে”। (কোরআন ২:২৪৮)

এটাই হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সেই আর্ক অফ দ্যা কভেনান্ট এর অস্তিত্বের প্রমান যা কোরআনে বলা হয়েছে। এই আর্কের প্রকৃতি ইহুদী এবং মুসলমানদের কাছে ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু এইরকম একটা জিনিশ যে ছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই।

এই সময়েই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- ইহুদীদের কাছে এসে পৌছায়। বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী
“বৈত্-শেমশের লোকরা উপত্যকার ক্ষেত্র থেকে গম তুলছিল। তারা পবিত্র সিন্দুকটা দেখে খুব খুশী হয়ে সিন্দুকটা পাবার জন্য ছুটে গেল। মাঠটা ছিল বৈত্-শেমশের বাসিন্দা য়িহোশূযের। সেই মাঠের ওপর একটা বড় পাথরের কাছে এসে গাড়ীটা থামল। বৈত্-শেমশের লোকরা গরুর গাড়ী থেকে গাড়ীটা আলাদা করে গাভী দুটোকে মেরে ফেলল এবং সেগুলো তারা প্রভুর কাছে নিবেদন করল।লেবীয়রা প্রভুর পবিত্র সিন্দুক আর সোনার ছাঁচের থলেটা নামিযে আনল। তারা প্রভুর সিন্দুক আর থলেটা পাথরের ওপর রাখল। সেদিন বৈত্-শেমশের লোকরা প্রভুকে হোমবলি নিবেদন করল”। (১ স্যমুয়েলস ৬:১৩-১৪)


“আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”- সলোমনের প্রথম টেম্পলঃ
এর পর অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে। ডেভিড (দাউদ (আঃ)) ইহুদীদের রাজা হয়েছেন। তাদের নবী নাথানের মাধ্যমে ইশ্বর ডেভিড কে তার বসবাসের জন্য জন্য একটি টেম্পল বানিয়ে দিতে বললেন।

“Go and tell my servant David, ‘This is what the LORD says: Are you the one to build me a house to dwell in? 6 I have not dwelt in a house from the day I brought the Israelites up out of Egypt to this day. I have been moving from place to place with a tent as my dwelling. 7 Wherever I have moved with all the Israelites, did I ever say to any of their rulers whom I commanded to shepherd my people Israel, “Why have you not built me a house of cedar?”’ (2 Samuel 7:5-7)

পরবর্তীতে ডেভিডের পুত্র সলোমন (সুলায়মান (আঃ)) যিনি কিনা ইহুদীদের ১২ গোত্রের শাসক হয়েছেন, ইশ্বরের এই নির্দেশ পূরন করতে একটা টেম্পল তৈরী করে আর্কটিকে ঐ টেম্পলে স্থাপন করেন। যদিও টেম্পল বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ডেভিড কে, ডেভিড ঐ টেম্পল তৈরী করেন নি কারন কথিত আছে বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহের কারনে ডেভিডের হাত ছিল মানুষের রক্তে রঞ্জিত। সেই হাতে ইশ্বরের টেম্পল তৈরী করার জন্য ডেভিড ছিল অনুপযক্ত। সেই জন্য তার পুত্র সলোমন ঐ টেম্পল তৈরী করেন। ঐ টেম্পলটিকেই বলা হয় সলোমনের প্রথম টেম্পল যার অস্তিত্বের খুজে এখনও তারা জেরুজালেমের মাটি খুড়ে যাচ্ছেন (Click This Link) এইখান থেকেই এই আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট চিরতরে হারিয়ে যায়।

“আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”-এর সন্ধানেঃ
এটা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে কার কাছে বা কোন কোন এলাকায় গেছে এটা নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। ব্রিটিশরা দাবী করে এটা তাদের কাছে এসছে। তাদের দাবী অনুযায়ী নাইট টেম্পলাররা এটা তাদের কাছে নিয়ে এসেছিল। এইরকম দাবি ফ্রান্স, জার্মানি সহ অনেক দেশই করেছে। কিন্তু এর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আনুমানিক খৃস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের দিকের লিখিত বই “সেকেন্ড বুক অফ মেক্কাবেস” (যা এপক্রিফা বলে বাদ দেওয়া হয়েছে) এ বলা হয়েছে ব্যাবলিয়নরা যখন খৃস্টপূর্ব ৫৮৭-৮৬ এর দিকে জেরুজালেম আক্রমণ করে তখন এটা নিবু পর্বতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আরব ট্র্যাডিশন বলে এই আর্ক ১৯২০ সালে যুদ্ধের সময়ও যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত ছিল এবং আরবরা এটা ইহুদীদের কাছে থেকে দখল করে এবং গোবরের স্তূপের মধ্যে নিক্ষেপ করে। তবে বেশিরভাগ ট্র্যাডিশনই অতিরঞ্জিত এবং গুজব ছাড়া কিছুই নয়।

কেব্রা নাগেস্ট Kebra Nagast (Glory of the Kings) এবং শেবা ম্যনিলাক চক্রঃ
এই আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট”-কোথায় হারিয়ে গিয়েছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া আছে Kebra Nagast (Glory of the Kings)- যা একটি ইথিওপিয়ার মহাকাব্য (ঐ এলাকার ট্র্যাডিশন) যা “গীয” ভাষায় রচিত। এই মহাকাব্য ১৩১৪ সালে আকসুমে রচনা করা হয় যেখানে একটা অংশ শেবার রানীর সলোমনের সাথে দেখা করতে যাবার বর্ণনা সহ পরবর্তী অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে- যা শেবা ম্যনিলাক চক্র নামে পরিচিত। ট্র্যাডিশন অনুসারে সলোমন শেবার রানীকে চক্রান্ত করে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে (যা কেব্রা নাগেস্টে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে। মজার বিষয় হচ্ছে কিছুদিন আগে ব্লগে একটা পোস্ট দেখেছিলাম যেখানে লেখক একটা হদিসের বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন কোন এক শাসক ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর কে কিছু কঠিন/অদ্ভুত প্রশ্ন সম্বলিত একটা চিঠি পাঠিয়েছিলেন উত্তরের জন্য। ওমর সেই উত্তর দিয়েছিলেন। শেবার রানী সলোমন কে যে প্রশ্ন গুলি করেছিলেন সে প্রস্নগুলির সাথে ওমরকে যে প্রশ্ন গুলি পাঠানো হয়েছিল তার কিছু মিল আছে। এটা ক-ইন্সিডেন্স হতে পারে) এর পর রানী দেশে ফিরে গিয়ে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সেই সন্তানের নাম হচ্ছে ম্যনিলাক। এই ম্যনিলাক যখন বয়ঃপ্রাপ্ত হন তখন তিনি মায়ের কাছে নিজের পিতৃ পরিচয় জানতে চান এবং মায়ের অনুমতি নিয়ে তার পিতা সলোমনের সাথে দেখা করতে যান। সলোমন তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান। বেশ কিছুদিন থাকার পর যখন সলোমন ম্যনিলাককে স্থায়ী ভাবে জেরুজালেমে থেকে যেতে বলেন ম্যানিলাক অ-স্বীকার করে। তখন সলোমন তার জন্য ইথিওপিয়াতে ইসরায়েলের একটা ক্লায়েন্ট স্টেট তৈরী করার ব্যাবস্থা নেন যা প্রথা অনুযায়ী যাজকতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ছেলে দ্বারা পরিচালিত হবে।

জেরুজালেমের প্রধান পুরোহিত “যাডক” এর বড় ছেলে “আযিরাহ” সলোমনের এই সিদ্বান্তে খুশি হতে পারলেন না এবং তিনি নতুন দেশে টিকে থাকার জন্য এই “আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট” চুরি করার সিদ্বান্ত নিলেন। আযিরাহ বিদায় অনুষ্ঠানের রাতে সবার খবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিলেন এবং সবাই যখন ঘুমিয়ে গেলেন একটা গোপন দরজা দিয়ে টেম্পলে প্রবেশ করে সেখানে থেকে সিন্ধুকটিকে চুরি করেন এবং এর পরিবর্তে একটা কাঠের বস্তু রেখে দিয়ে আসেন যাতে কেউ বুঝতে না পারে।

ম্যানিলাক এই ব্যাপারে কিছু জানত না। যখন তারা জেরুজালেম ছেড়ে অনেক দূর চলে আসেন, তখন এই চুরির ব্যাপারটা ম্যানিলাকের কাছে ধরা পরে। ম্যানিলাক প্রথমে স্থম্ভিত হয়ে গেলেন এবং পরে এই চুরির ব্যাপারটা মেনে নেন এবং তারা দ্রুত নিজ দেশের দিকে যেতে থাকেন।

সলোমন প্রধান পুরোহিত যাডকের কাছে কথা প্রসঙ্গে তার রাতে দেখা স্বপ্নের কথা বর্ণনা করেন। সলোমন স্বপ্নে দেখেছিলেন যে সূর্য তার রাজ্য জুডা থেকে ইথিওপিয়াতে সরে গিয়েছে। এই স্বপ্নের কথা শুনে যাডক সাবধান হয়ে গেলেন এবং দ্রুত টেম্পলে প্রবেশ করে আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট এর কাছে ছুটে গেলেন এবং দেখলেন সিন্ধুক উধাও হয়ে গেছে। তিনি যা বুঝার বুঝে ফেললেন। সলোমন সাথে সাথে তাদের ধরার জন্য বাহিনী পাঠালেন কিন্তু সলোমনের বাহিনী তাদের কাছে পৌছার আগেই ম্যানিলাক সিনাই পর্বতের বিপরীত দিকে ইথিওপিয়া তে পৌঁছে গেছেন।

এর পর ইথিওপিয়াতে এই আর্ক অফ দ্যা কোভেনান্ট এর ভাগ্য কি হয়েছিল প্রথমে শেবার রানী এবং ম্যানিলাকের দ্বৈত শাসন, নতুন স্ম্রাজ্য, বিধান তৈরি, পরে রানীর সিংহাসন ত্যাগ, ম্যানিলাকের শাসন, তার মৃত্যু, অই সময়ে এই সিন্দুকটির বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর- এই সব বিশাল গল্প যা আরকিওলজিস্টদের গবেষণার বিষয়। আমার গল্প এখানেই শেষ।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম। পর্যবেক্ষনে রইল। ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: পড়ুন। পড়ে জানাইয়েন

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৯

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: দারুন পোস্ট! পড়তে ভালো লাগছিলো। আর আগে পড়েছিলাম এ ব্যাপারে। কিছু কিছু জায়গায় আমার জানার সাথে মেলেনি পুরোপুরি। যাইহোক, অনেক সুলিখিত পোস্ট।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: এটা অনেক বড় বিষয়, সংক্ষেপে লেখার চেস্টা করেছি, ফলে অনেক কিছু বাদ পরে গেছে।
পড়ার জন্য এবং কমেন্ট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয়।জানা ছিল না।
পড়ে মুগ্ধ হলাম।ধন্যবাদ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো। আর্ক অফ দি কভনেনট সত্যিকারে আছে নাকি সেটা নিয়ে কনফিউশনে ছিলাম। আপনার লেখায় সেটা অনেকটা দূর হল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: আর্ক অফ দ্যা কোভেন্যান্ট ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে এটা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে তা নিয়ে অনেক গল্প আছে ইয়েমেন থেকে ইথিওপিয়া পর্যন্ত। সময়ের আবর্তে এটা কি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে বিলীন হয়ে গেছে নাকি এটার অবশিস্ট এখনও কোথাও মাটির নিচে খুজে পাওয়ার অপেক্ষায় পরে আছে তা জানিনা।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

তুষার আহাসান বলেছেন: " পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম। ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে। "
ধন্যবাদ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: পড়ে জানাইয়েন

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

পথে-ঘাটে বলেছেন: চমৎকার একটা কাহিনী। জানা ছিল না। পড়ে ভাল লাগল।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পড়ে গেলাম!

যেন নিজের হারানো ধনের ইতো:বৃত্তই বহুদিন পর পাঠ করা;)

দারুন সুন্দর করে সাবলীল বর্ণনায় সূখপাট্য করেছেন বলে এবং পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
অনেকেই ধারনা করেন আর্ক অফ কভনেনট ইথিউপিয়াতেই কোন একটা চার্চে আছে, তবে কোন চার্চ কেউ নির্দিষ্ট ভাবে জানেন না, যদিও ঐ নামের চার্চো আছে। বছরে একটি দিন ঐ সিন্দুকটি নিয়ে সব চার্চ মার্চ পাস্ট করে। সব চার্চ এর ই আলাদা আলাদা সিন্দুক থাকে যেন কোনটা আসল কেউ বুঝতে না পারে। ঐ সিন্দুক এর কিছু শক্তি নাকি এখনও আছে উহাকে সরাসরি কেউ দেখলে নাকি চোখ অন্ধ হয়ে যায়। ...............।। কাহিনি লম্বা.........।। তবে আমার বিশ্বাস হয় না যে ওটা ইথিউপিয়ায় আছে , আল্লাহই ভালো জানেন!! তবে অবাক লাগে এই যে ইথিউপিয়ার ধার্মিক ইহুদী, খ্রিষ্টান কিংবা মুসলমানদের দেখেই কেউ পার্থক্য করতে পারবেন না, উনারা দেখতে সবাই এক। আর ঐযে চার্চটা ওটার ত্রি-সিমানায় কোন সাধারন মানুষ যেতে পারেনা!!!!

সব কিছুর রহস্য আল্লাহই ভালো জানেন।

আল্লাহু ইয়ালামু ও্য়া আনতুম লা তায়লামুন......।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: এইটা নিয়ে অনেক লিজেন্ড পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চালু আছে। এই আর্ক কি এখনো টিকে আছে নাকি পুরাপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে তা কেউ জানে না। এটা যদি সত্যিকার অর্থেই কোন চার্চের কাছে থাকত তবে এটা এতদিনে অবশ্যই ইসরায়েলের হস্তগত হত তা যে কোনভাবেই হোক না কেন।



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

মাসূদ রানা বলেছেন: যাযাকাল্লাহ খয়েরান ভাই । পোস্ট প্রিয়তে রাখলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। বিশেষ কিছু বলতে চাই না। তবে এটি আমার মনে হয় ইথিওপিয়ায়-ই আছে। অন্তত শেষেরদিকের কথাগুলো তা-ই প্রমাণ করছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.