নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশর এবং ফেরাউনের সন্ধানে - পর্ব ১

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

ইজিপ্ট এবং ফেরাউন নিয়ে শিশুতোষ কয়েকটা প্রশ্ন নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। (Click This Link)পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল এই ব্যাপারে মানুষের ধরনা কি তা জানা। ঐ খানে সত্য মিথ্যা কোন ব্যাপার ছিলনা। মনে হয় প্রশ্নের ধরন দেখে অল্প কয়েকজন ছাড়া উত্তর দিতে উৎসাহ বোধ করেনি। এটা স্বভাবিক। ঐখানে দুইটা ছবি দিয়ে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। এর পিছনে একটা উদ্দেশ্য ছিল। উদ্দেশ্য যাই হোক সেটা অকালেই মাঠে মারা গেল।

উপরোল্লিখিত শিরোনাম নিয়ে যদি বিস্তারিত আলোচনা করি তাহলে প্রচুর সময় লাগবে সম্ভবত এত সময় আমার বা পাঠকের কারো হাতেই নেই। সুতরাং খুব সংক্ষেপে এই ব্যাপারে আলোচনা করব এবং এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ বাদ পরবে। এই বিষয়ে আলোচনা করতে হলে আলোচনাটাকে দুইভাগে ভাগ করতে হয়। প্রথমটা হচ্ছে প্রচলিত ধারনা কেন সঠিক নয়, এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে সঠিক ধারনা কোনটি। এই বিষয়ে আমি শুধু প্রথম বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করব।

মুলনীতিঃ
এই বিষয়ে আমি কোরআনের তিনটি বিষয়কে মুলনীতি হিসাবে ধরে লেখার প্রয়াস করেছিঃ

1. বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। (১০:৩৬)

2. এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত। (৪:৮২)

3. প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে আমি একজন সাক্ষী আলাদা করব; অতঃপর বলব, তোমাদের প্রমাণ আন। তখন তারা জানতে পারবে যে, সত্য আল্লাহর এবং তারা যা গড়ত, তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে।(২৮:৭৫)

নীল নদীর তীরে দেশটির (বর্তমান ইজিপ্ট বলে জানি) প্রাচীন নাম কি ছিল?
এই প্রশ্নটা বিভিন্ন ভাবে করা যায় যেমন ইজিপ্ট কবে থেকে ইজিপ্ট হল? মিশর থেকে ইজিপ্ট বা ইজিপ্ট থেকে মিশর কিভাবে হল এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কবে হল?


মুসলিম ট্র্যাডিশনঃ
প্রথমেই দেখি ৭ম শতাব্দীর দিকে আরবের লোকরা নীল নদীর দেশটিকে কি নামে চিনত। আমাদের ট্র্যাডিশন বলে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আরবের আশেপাশে বিভিন্ন দেশের শাসকদের উদ্দেশ্যে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখেছিলে। এই ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ঘেঁটে আমি যা পেয়েছি তা হল একটি চিঠি, যা বলা হয়ে থাকে নবী মুহাম্মদ (সা) মিশরের শাসকের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। আসেন দেখি সেই চিঠিতে কি লেখা ছিল?

In the name of God the Rahman, the Merciful. From the Apostle of Allah to the Mukaukis, chief of the (Qibt) Copts. Peace be upon him who follows the guidance. Next, I summon thee with the appeal of establish peace (or submitting your will to God ): establish peace (submit your will to God) and you will have peace. God shall give you your reward twofold. But if you decline then on you is the guilt of the Copts (Qibt). (Click This Link)

এই চিঠি সম্পর্কে আলোচনা করার আগে একটা জিনিষ বলে নেওয়া ভাল। আমি কোনভাবেই বলছিনা এইটা একটা ওরিজিনাল চিঠি বা এর সত্যতাও অস্বীকার করছিনা। এইটা একটা জাল চিঠি হতে পারে এবং এটার সম্ভাবনাই বেশী। কিন্তু এইটা সত্য হোক বা মিথ্যা হোক, আমার বিষয় সেইটা না। আমার বিষয় কনটেন্ট।

এইখানে বলা নীল নদের সেই শাসক কে সম্বোধন করা হয়েছে Al-Mukaukis বলে। ঐ দেশটিকে বলা হয়েছে Qibt. অর্থাৎ আরবরা ঐ দেশটিকে Qibt নামে চিনত। কী যদি ঐ সময়ে চিঠি জাল করে তবে ঐ সময়ে ঐ দেশের নাম যা ছিল তাই লিখবে এটাই স্বভাবিক। সুতরাং আমরা ঐ নীল নদের দেশটার একটা নাম পেলাম যা আরবরা Qibt নামে চিনত।

মুসলিম ট্র্যাডিশন বলে, নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর একজন স্ত্রীর নাম ছিল মারিয়া আল কিবতিয়া (Maria al-Qibtiyya)(উইকিপিডিয়া দেখুন) অর্থ মারিয়া দ্যা ইজিপশিয়ান (ইজিপশিয়ান শব্দটা নিয়ে পরে কথা বলছি)। অর্থাৎ নবীর স্ত্রী হবার পরও উনার এই নাম কোন পরিবর্তন হয়নি। এইখানে al-Qibtiyya দ্বারা উনার জাতীয়তা বুঝানো হচ্ছে। সুতরাং একটা ব্যাপার জানা গেল যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময়কালে আরবরা নীল নদের দেশটিকে Qibt নামে চিনত এবং তাদের অধিবাসীদের কে al-Qibtiyya বলা হত।

সুতরাং ঐ দেশটির নাম মিশর –এটা কোথা থেকে আসল?
আসেন এইবার দেখি ঐ নীল নদের দেশটির মানুষেরা তাদের নিজেদের দেশকে কি নামে ডাকত। এই ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরকিওলজির সাহায্য নিতে হবে।

আরকিওলজিকাল ফ্যাক্টঃ
এই ক্ষেত্রে ইজিপ্টলিজস্টরা অর্থাৎ যারা ইজিপ্ট নিয়ে গবেষণা করেছেন তাদের মতে ইজিপ্টের ইতিহাস কে দুইভাগে ভাগ করা যায় যথা প্রাচীন যুগ বা হিস্ট্রিক এজ এবং রাজবংশ যুগ বা রাজাদের যুগ। প্রথম দিকে ইজিপ্ট বিভিন্ন প্রভিন্সে বিভক্ত ছিল এবং ধীরে ধীরে ঐ সব প্রভিন্স একসাথে হওয়া শুরু করে এবং উচ্চ ইজিপ্ট (Upper Egypt) -যা ভিতরের অংশ নিয়ে গঠিত এবং নিম্ন ইজিপ্ট (Lower Egypt) যা নদী তীরবর্তী অংশ নিয়ে গঠিত। এই দুই অংশের পৃথক পৃথক শাসক ছিল।এই অবস্থা চলে খৃস্ট পূর্ব ৩০২০ পর্যন্ত। রাজা নিমর প্রথম এই দুই অংশকে একত্রিত করেন এবং এই সময় থেকেই রাজবংশ যুগের শুরু হয়। এর পর থেকে ৩০ টি রাজবংশের পরিচয় পাওয়া যায়, যার প্রথম ছিল রাজা নিমরের রাজবংশ এবং শেষ হয় পূর্ব ৩৩২এ টলেমিক যুগে (Ptolemaic Era) যখন অ্যালেক্সান্ডার মিশর জয় করেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঐ সময় ইজিপ্টের নাম কি ছিল? যেহেতু প্রাচীন যুগ বা হিস্ট্রিক এজ এ ঐ দেশটি বিভিন্ন প্রভিন্সে বিভক্ত ছিল,একক কোন দেশ ছিলনা, আরকিওলজিস্টরা এই দেশের কোন গ্রহণযোগ্য নাম বের করতে পারেনি। রাজবংশের যুগে যে তথ্য বা প্রামানাদি পাওয়া যায় (হায়ারগ্লাফিক্স), তা থেকে দেখা যায় ঐ এলাকার প্রাচীন নাম ছিল Kemet (কেমেট) অথবা Keme (কেম) অনেক সময় বলা হয় (Kheme), খেম। এর অর্থ দ্বারায় কাল দেশ বা জমি (The Black Land) যা তাদের দেশের মাটির উর্বরতা বুঝায়। তারা নিজেদেরকে বলত Remetch en Kemet অর্থাৎ কাল দেশের/জমির অধিবাসী (People of the Black Land)

আরকিওলজিস্টরা পরে ঐ দেশের পরবর্তী কালে কি নাম ছিল তা নিয়ে দুই রকম মত দিয়েছেন। কেউ বলেছেন পরবর্তী কালে এর নাম ছিল Het-Ka-Ptaḥ আরেক দল বলেছেন এই নাম শুধুমাত্র একটা নিদ্দৃস্ট শহর বা অঞ্চলের নাম ছিল যা সম্ভবত মেম্ফিস শহরের আশেপাশে ছিল। কিন্তু এই পর্যন্ত যে নামই পাওয়া গেছে টার সাথে মিশর বলে কোন কিছু পাওয়া যায়নি।

পার্সিয়ান স্ম্রাজ্যের সময়কালঃ
পারসিয়ানরা এই দেশটিকে দুইবার শাসন করে (খৃস্টপূর্ব ৫৫২-৪০৪ এবং খৃস্টপূর্ব ৩৪১-৩৩২) কিন্তু তারা এই দেশটির নাম পরিবর্তন করে মিশর রেখেছে বা অন্য কোন নামে পরিবর্তন করেছে এই ধরনের কোন প্রমান ইতিহাস বা প্রত্নতত্ব নিদর্শন হিসাবে পাওয়া যায় নি।

সুতরাং প্রাচীন যুগ থেকে শুরুকরে পার্সিয়ান স্ম্রাজ্যের স্ম্যকাল পর্যন্ত ঐ দেশটির নাম “মিশর” ছিল এই ধরনের কোন রকম সুত্র পাওয়া যায়নি।

গ্রীক এবং রোমান স্ম্রাজ্যের সময়েঃ
গ্রীক এবং রোমানরা তাদের উচ্চারনের সুবিধার জন্য কিছু এলাকার নাম পরিবর্তন করেন যেমন Mem-Nopher কে তারা নাম দেন মেম্ফিস। কিন্তু সম্পূর্ণ দেশটিকে তারা কি নামে ডেকেছিলেন? প্রাচীন গ্রীক ম্যাপে এর নাম এসেছে Aegyptus এবং রোমান ম্যাপে এই নাম এসেছে Egyptus. (গুগল সার্চ করে প্রাচীন গ্রিক এবং রোমান ম্যাপ চেক করে দেখতে পারেন) সুতরাং গ্রীকরা Het-Ka-Ptaḥ কে উচ্চারনের অসুবিধার কারনে নাম দিয়েছেন Aegyptus। সুতরাং Aegyptus হচ্ছে Het-Ka-Ptaḥ এর গ্রীক ডিরাইভেটিভস। সুতরাং আরাবিক কিবত (Qibt) একি ভাবে এসছে। Aegyptus-- Ae-gypt-us--- > Qibt।
E-GYPT = QIBT.

সত্যিকার অর্থে এই নাম যত পুরানো মনে করা হয়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশী পুরানো। এই নাম “লিজেন্ড অফ ওসিরিস” এ এসছে যা আমরা গ্রীক ইতিহাসবিদের মাধ্যমে জানতে পারি।

As soon as the report reached Isis, she immediately cut off one of the locks of her hair, and put on mourning apparel in that very place where she happened to be; for this reason the place has ever since been called "Koptos," or the "city of mourning," (XIV) (Click This Link)

সুতরাং Koptos – Coptos – Qobt – Qibt – Egypt হচ্ছে সেই নাম যা ৫০০০ বছর ধরে চলে আসছে। এই হচ্ছে ঐ দেশের নামের ইতিহাস। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় এর মধ্যে “মিশর” আসল কোনখান থেকে। সপ্তম শতাব্দীর আগ পর্যন্ত নীল নদের ঐ দেশটি কোন কালে মিশর নামে পরিচিত ছিল এই রকম কোন তথ্য প্রমান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নাই।

এখনও ইজিপ্টের খৃস্টানদের বলা হয় “কপ্টিক খৃস্টান”- তারা এই নামেই নিজেদের পরিচয় দেয়। খৃস্টানদের মধ্যে যত দল আছে কপ্টিক বলে কোন দল নেই। এই কপ্টিক হচ্ছে তাদের জাতীয় পরিচয় যা তারা আজও বহন করছে।


মিশর নামের সন্ধানেঃ
অনেক মুসলিম স্কলারের মতে আরবরা “আমর-বিন-আল-আস” এর নেতৃত্বে নবীর মৃত্যুর ১৫-২০ বছর পরে প্রথমবারের মত মিশর আক্রমণ করে। ঠিক কবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল তার সঠিক তারিখ পাওয়া যায় না, কিন্তু যেটা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে ঐ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল রোমানদের হাত থেকে প্যালিস্টাইন দখল করার অল্প কিছু দিন পরেই। বিখ্যাত মুসলিম স্কলার “ইয়াকুত আল- হামাওয়ি” তার Kitāb mu'jam al-buldān (معجم البلدان "Dictionary of Countries") বইয়ে এই ঘটনার কিছু বর্ণনা দিয়েছেন এবং “আমর-বিন-আল-আস” এর সাথে তৎকালীন মুসলিম খলিফা ওমর (রাঃ)এর সাথে কিছু চিঠি আদান প্রদানের বর্ণনা দিয়েছেন। তার বর্ণনা অনুসারে আমরের প্রথম বিরতি ছিল “আল-আরিশ”- নামক স্থানে যা আজকের প্যালেস্টাইনের সীমানার কাছে। সেখান থেকে তিনি প্রথম অভিযান পরিচালনা করেন “আল-ফারমা”- নামক স্থানে যেখানে দুই মাস ব্যাপী ভয়ংকর যুদ্ধ হয় যাতে শেষ পর্যন্ত মুসলমানরা জয় লাভ করে। এর পরে ইয়াকুতের বর্ণনা অনুযায়ী আমর সেইখান থেকে অগ্রসর হয়ে একটা “ফরটিফাইড কিপ” (fortified keep)এর নিকটবর্তী হন, সেই জায়গাটাকে তিনি বলেছেন Babloun or Bab-lioun. তারপর একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমর সেই “ফরটিফাইড কিপ” দখল করেন যার পাশে তিনি তার তাবু স্থাপন করেন, সেই যায়গার নাম “আল- ফুসতাত”। এই “আল- ফুসতাত” সম্পর্কে ইয়াকুত তার বইয়ে যা লিখেছেন তা হচ্ছেঃ

"It (the keep) fell in ‘Amr’s hands and, in its place, he built al-Fusṭāṭ, which is the city of Miṣr today.”
এইখান থেকে আমরা বুঝতে পারিঃ

১। ঐ “ফরটিফাইড কিপ” যেখানে ছিল সেটার পূর্ব নাম ছিল Babloun or Bab-lioun.

২। ইয়াকুতের ৬০০ বছর আগে আমরের নেতৃত্বে “ফরটিফাইড কিপ” এর পতন হয়েছিল এবং যেখানে আমর যেখানে তাবু স্থাপন করেছিল সেই জায়গাটাকে মিশর বলা হয়।

২। ইয়াকুতের এই বর্ণনার সমর্থন পাওয়া যায় তাবারী এবং ইবনে কাসিরের বইয়ে যেখানে তারাও স্বীকার করেছেন আজকে যে যে জায়গাটাকে মিশর নামে ডাকা হয় টার পূর্ব নাম ছিল Bablioun.

সমস্ত তথ্য প্রমান দিয়ে আমরা জানতে পারলাম যে আমাদের নবীর সময় পর্যন্ত নীল নদীর তীরে ঐ দেশটিকে কেউ মিশর বলতনা। ঐ সময়ের কোন গ্রীক, রোমান ইতিহাসের বই, কোন প্রাচীন মানচিত্র, বা এই পর্যন্ত ঐ দেশে যত প্যাপিরাসের স্ক্রল, হায়ারগ্লাফিক্স আবিস্কৃত হয়েছে কোথাও মিশর নামটা নেই। গ্রীক নাম ইজিপ্ট থেকে কিভাবে আমরের পরে মিশর হল সেটা আরেকটু বড় ইতিহাস। শুধু এইটুকু বলছি ইহুদীরা তাদের সেপ্টুজেন্ট বাইবেল আরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় ট্রান্সলেশন করার সময় ইচ্ছাকৃত/অনিচ্ছাকৃত ভাবে এই ট্রান্সলেশন ভুল করেছে। এবং এর ব্যাখার জন্য ভাষাবিদদের সাহায্য নিতে হবে। এই বিষয়টা একটু বড় বলে এখানে উল্লেখ করছি না। আরামিক মুল শব্দ Medjr/ Medjre দ্বারা ইজিপ্ট নামক কোন দেশকে বুঝায় না।

Medjr = walled district

Medjre = tower, fortress

কোরআনে বর্ণিত মিশর বা এর রুট msrm বলতেও বর্তমান ইজিপ্ট কে বুঝায় না। এর কারন নিম্নরূপঃ

বর্তমান ইজিপ্ট কেন কোরআনে বর্ণিত মিশর নয়ঃ

যুক্তি ১ঃ
এতক্ষণ উপরে যা বলেছি সেই জন্য। ঐ নামে কোরআন অবতীর্ণ হবার সময় থেকে এর আগ পর্যন্ত মিশর বলে কোন দেশের অস্তিত্ব মানুষ জানত না। সুতরাং আল্লাহ মিশর বলতে এমন কোন দেশকে বুঝাবেন না যে নামে এমন কোন দেশ আছে তা মানুষ জানে না। অর্থাৎ কোরআন অবতীর্ণ হবার পরে ইজিপ্ট কে মিশর ডাকার প্রচলন শুরু হয়েছে। তাহলে আল্লাহ কিভাবে মিশর বলতে ইজিপ্ট কে বুঝাবেন যখন আরবরা মিশর বলতে কোন দেশ চিনত না?

যুক্তি ২ঃ জিওগ্রাফীঃ
কোরআনে “সুরা ইউসুফে” ইউসুফের কাহিনী বর্ণনা করা আছে যা মুসলমানরা জানে। এই সূরার প্রথম থেকে কাহিনী নিয়ে আলোচনা করলে ভাল হত, কিন্তু আমাকে সংক্ষেপ করতে হবে।ইনফ্যাক্ট এই সুরা আমাদের কে অনেক সুত্র দেয় যে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, ইউসুফ, (আঃ)সত্যিকার অর্থে কোথায় ছিলেন। এই কাহিনীতে বলা হয়েছে মিশরের শাসক “আল-মালিক” (এটা নাম নয়, টাইটেল) স্বপ্ন দেখেছিলেন যে সাতটা দুর্বল গাভী সাতটা সতেজ গাভী কে খেয়ে ফেলেছেঃ

বাদশাহ বললঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম, সাতটি মোটাতাজা গাভী-এদেরকে সাতটি শীর্ণ গাভী খেয়ে যাচ্ছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অন্যগুলো শুষ্ক। হে পরিষদবর্গ! তোমরা আমাকে আমার স্বপ্নের ব্যাখ্যা বল, যদি তোমরা স্বপ্নের ব্যাখ্যায় পারদর্শী হয়ে থাক। (১২:৪৩)।

যখন ইউসুফের কাছে এর উত্তর চাওয়া হয় তখন কোরআনে আল্লাহ ইউসুফের ভাষায় স্বপ্নের ব্যাখা বলছেনঃ
এর পরেই আসবে একবছর-এতে মানুষের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং এতে তারা রস নিঙড়াবে। (১২:৪৯)

(Then will come after that a year in which the people will be given rain (yughāthu) and in which they will press)

এটা আদিকাল থেকেই মানুষ জেনে আসছে যে ইজিপ্টের কৃষি বৃষ্টির উপর কোনভাবেই নির্ভর নয়। তাদের কৃষি সম্পূর্ণ ভাবে নীল নদের বন্যার উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ নীল নদে যখন বন্যা হয় তখন তাদের কৃষি কাজ ফুলে ফেপে উঠে, বন্যা না হলে খরা দেখা দেয়। এই নীল নদের পানির উৎস ভূগর্ভের পানি এবং মধ্য আফ্রিকার লেক গুলি। এই নীল নদের বন্যা কোনভাবেই বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল না। ইনফ্যাক্ট মিশরে বৃস্টিপাত বছরে ৩০-৪০ মিলিলিটারের বেশী নয়। কিন্তু কোরআন মিশর বলতে এমন একটা দেশের/জায়গার কথা বলছে যেখানের কৃষি কাজ সম্পূর্ণ বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।

Theodor Noldke- এক জন ক্রিশ্চিয়ান জায়নিস্ট এই বিষয়টাকে নিয়ে কোরআন সম্পর্কে উপহাস করে বলেছিলেনঃ
“....The problem with this passage is that the Egyptian civilization has never depended on rain for the success of its crops. Egyptian agriculture has always depended on the flooding of the Nile for water. Clearly, Muḥammad was ignorant of Egypt's geography and climatology and he demonstrates this by associating good harvests with rainfall.”

মুসলমানদের মধ্যে “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর”- এই ধরনার কারনে তখন এই উপহাসের কোন উত্তর দেওয়া সম্ভব হয়নি।

যুক্তি ৩ঃ পিরামিড Vs স্টেক:
“Before them (were many who) rejected messengers,- the people of Noah, and 'Ad, and Pharaoh, the Lord of Stakes(Arabic: Awtad)” (38:12)

“And with Pharaoh, lord of stakes (Arabic: Awtad)” (89:10)

(এইখানে আরবী শব্দ “ফিরাউনের” অনুবাদ করা হয়েছে Pharaoh। এইটা যে একটা ভুল অনুবাদ, সেটা পরে সময় পেলে প্রমান করব)
ভাল করে লক্ষ্য করুন, এইখানে ফিরাউন কে বলা হয়েছে “স্টেকের মালিক”। বলে নাই “পিরামিডের মালিক”। অনুবাদক গন আয়াত অনুবাদ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। Stake শব্দটার অর্থ খুটি, ওয়াচ টাওয়ার ইত্যাদি অর্থে ব্যাবহার করা হয়, কোনভাবেই এই অর্থ পিরামিড নয়। আল্লাহ ফিরাউন সম্পর্কে যে আয়াত এইখানে দিয়েছেন তা কি ইজিপ্টের শাসকের সাথে মিলে। আল্লাহ ভাল করেই জানেন পিরামিড আর খুটির পার্থক্য কি।

যুক্তি ৪ঃ আল্লাহ ফিরাউনের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিলঃ
“আর যাদেরকে দুর্বল মনে করা হত তাদেরকেও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভুখন্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি এবং পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ বনী-ইসরাঈলদের জন্য তাদের ধৈর্য্যধারণের দরুন। আর ধ্বংস করে দিয়েছে সে সবকিছু যা তৈরী করেছিল ফেরাউন ও তার সম্প্রদায় এবং ধ্বংস করেছি যা কিছু তারা সুউচ্চ নির্মাণ করেছিল।”। (৭:১৩৭)

আল্লাহ এখানে বলছেন যে তিনি ফিরাউন যা কিছু তৈরি করেছিল তার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

ইজিপ্টে পিরামিড এখনও মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে। এই ব্যাপারে আপনাদের মন্তব্য কি? “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর” হলে এটা কি ভাবে সম্ভব পিরামিড এখনও টিকে আছে? কে ভুল আপনার ইতিহাস নাকি কোরআন?

যুক্তি ৫ঃ ফেরাউনের সম্পত্তি ইহুদীদের কবলে আসাঃ
“তারা বলল, আমাদের কষ্ট ছিল তোমার আসার পূর্বে এবং তোমার আসার পরে। তিনি বললেন, তোমাদের পরওয়ারদেগার শীঘ্রই তোমাদের শক্রদের ধ্বংস করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দেশে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন। তারপর দেখবেন, তোমরা কেমন কাজ কর”। (৭:১২৯)

"অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম। এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে। এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক"। (২৬:৫৭-৫৯)

উপরে বর্ণিত কোরআনের আয়াত অনুযায়ী ইস্রায়েলীরা ফিরাউনের সম্পদের মালিক হয়েছিল। মিশররের শাসক হয়েছিল। এই পর্যন্ত কোন প্রমান পাওয়া যায় না তা যে কোন প্রমানই হোক (যে কোন ইতিহাস, আরকিওলজিক্যাল ফ্যাক্ট- যে কোন কিছ) যে ইস্রায়েলিরা ইজিপ্টে সেখানকার শাসকের সম্পত্তি পেয়েছিল বা ইজিপ্ট নামক দেশটি কোন কালে কোন সময়ে এক সেকেন্ডের জন্য হলেও শাসন করে ছিল। তাহলে “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর” কিভাবে হয়? এটা বর্তমান ইজিপ্টের ঘটনা না এইটা পরিষ্কার।

যুক্তি ৬ঃ মিশরের দরজা/ প্রবেশ দ্বারঃ
“ইয়াকুব বললেনঃ হে আমার বৎসগণ! সবাই একই প্রবেশদ্বার দিয়ে যেয়ো না, বরং পৃথক পৃথক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আল্লাহর কোন বিধান থেকে আমি তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারি না। নির্দেশ আল্লাহরই চলে। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি এবং তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত ভরসাকারীদের”। (১২:৬৭)

ইয়াকুব (আঃ) তার পুত্রদেরকে বলছেন যে একি প্রবেশ দ্বার দিয়ে প্রবেশ না করে ভিন্ন ভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করার জন্য যাতে তারা লোকদের নজরে না পড়ে। এইখানে মিশর নামক স্থান টির একটা বর্ণনা পাওয়া যায় যা হচ্ছে এমন একটা জায়গা যেখানে প্রবেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা আছে। এটি একটি সুরক্ষিত এলাকা হতে পারে যার চার পাশে দেয়াল দেওয়া আছে এবং প্রবেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন গেট আছে। যদি “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর” হয়, তবে ইজিপ্টকে দেয়াল দ্বারা ঘেরা থাকতে হবে চীনের প্রাচীরের মত। কোন আরকিওলজিস্ট, কোন ইতিহাসবিদ এই পর্যন্ত মিশরের এই রকম কোন দেয়ালের সন্ধান বা এইরকম ৫% দেশকে ঘিরে থাকা দেয়ালের বা এই রকম কোন গল্পের হদিস দিতে পারেনি। সুতরাং এই মিশর কোরআনে বর্ণিত ইজিপ্ট নয়, হতে পারে না।

যুক্তি ৭ঃ মিশরে প্রবেশ করঃ
“তারা বললঃ পিতা আমাদের অপরাধ ক্ষমা করান। নিশ্চয় আমরা অপরাধী ছিলাম।বললেন, সত্বরই আমি পালনকর্তার কাছে তোমাদের জন্য ক্ষমা চাইব। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালূ।অতঃপর যখন তারা ইউসুফের কাছে পৌঁছল, তখন ইউসুফ পিতা-মাতাকে নিজের কাছে জায়গা দিলেন এবং বললেনঃ আল্লাহ চাহেন তো শান্তি চিত্তে মিসরে প্রবেশ করুন।”। (১২:৯৭-৯৯)

সমস্ত তফসির কারক গন এই আয়াত নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। কারন তারাত অলরেডি মিশরে আছেন। তাহলে আবার কেন মিশরে প্রবেশ করতে বলছেন। ইবনে কাসীর বলেছেন এটা রিভার্স অর্ডারে হয়ার কথা ছিল। অবশেষে কোন কুল না পেয়ে তিনি মন্তব্য করেছেন যে এইটা দ্বারা আল্লাহ রিভার্স অর্ডার বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ তাদেরকে আগে ইজিপ্টে প্রবেশ করতে বলেছেন এবং পরে নিজের কাছে জায়গা দিয়েছেন। এইটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা । এই ঘটনার কন্টেক্সটে ইউসুফ , তার পিতা এবং ভাইগন অলরেডি ইজিপ্টে আছেন। তাহলে আবার ইজিপ্টে প্রবেশ করার কথা কেন বলা হচ্ছে? কোন তফসির কারকগন তাদের পূর্ববর্তী ধারনার কারনে এর উত্তর দিতে পারেন নাই। এর কারন একটাই, তা হচ্ছে “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর না।

যুক্তি ৮ঃ Old Testament and Children of Israel
ইহুদীরা দাবী করে তারা ইজিপ্টে ৪৬০ বছর বন্দী ছিল। তারা পিরামিডের শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। এই রকম গল্প প্রচুর পাওয়া যায়। সুতরাং আমরা এখন ইহুদী ট্র্যাডিশন এবং ওল্ড টেস্টামেন্ট দেখব।

১। পিরামিডের শ্রমিক কোন রকম বন্দী বা দাস ছিল না। তারা দেশের সম্মানিত নাগরিক এবং অবশ্যই মুক্ত মানুষ ছিল।http://harvardmagazine.com/2003/07/who-built-the-pyramids-html
http://www.theguardian.com/world/2010/jan/11/great-pyramid-tombs-slaves-egypt

২। এই পর্যন্ত ইজিপ্টে যত আরকিওলজিক্যাল, হায়ারগ্লাফিক্স, যত রকম নিদর্শন আবিস্কার হয়েছে কোথাও ইহুদিদের ইজিপ্টে অবস্থান করার কোন রকম কথা বা ইঙ্গিত নাই। কেউ ইহুদিদের ইজিপ্টে বন্দী থাকার কথার কোন রকম প্রমান বের করতে পারেনি।

৩। ইহুদীদের দাবী অনুযায়ী তাদের ভাষা হচ্ছে হিব্রু (এইটা একটা সম্পূর্ণ ভুয়া দাবী, এই ভাষা এরা আবিস্কার করেছে বড়জোর ১৮শ শতকের দিকে, পরে সময় পেলে চেষ্টা করব তারা ভাষা নিয়ে কি রকম জালিয়াতি করেছে)। মিশরে অবস্থান থাকার কালে কোন আরকিওলজিস্ট এই তথাকথিত হিব্রু ভাষার অস্তিত্ব খুজে পান নি।

৪। ৪৬০ বছর ইজিপটে অবস্থান করার পরও তারা কোন ভাষায় কথা বলত সেটার কোন গ্রহণযোগ্য সমাধান এই পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। কারন ইজিপ্টে যত প্রাচীন লেখনী আবিস্কার হয়েছে, কোথাও হিব্রু ভাষার নিদর্শন পাওয়া যায় নাই, আবার ৪৬০ বছর ইজিপ্টে বন্দী থাকার পরও তাদের ওল্ড টেস্টাম্যন্টে কোন ইজিপশিয়ান শব্দ নাই।

৫। এমনকি তারা যে পিরামিড নিয়ে গর্ব করে যে এটা তাদের পরিশ্রমের/দাসত্বের ফসল (এইটা বর্তমানে অনেক ইহুদিদের বলতে শোনা যায়), ওল্ড টেস্টাম্যান্টের কোথাও পিরামিড সম্পর্কিত কোন রকম রেফারেন্স দূরে থাক, কোন শব্দই নেই। কারন পিরামিড নির্মিত হয়েছে ইহুদিদের ইজিপ্টে যে সময়কালে থাকার কথা বলা হয় তার আগে।

৬। এমনকি নীল নদের কথাও তাদের “অরামিক” ভাষায় লিখিত বাইবেলে নাই। ইংরেজী ভাষায় অনুবাদকৃত বাইবেলে তারা একটা অরামিক শব্দের ম্যানিপুলেশন করে নীল নদ শব্দটা ঢুকিয়েছে।
সুতরাং “ইজিপ্ট= কোরআনে বর্ণিত মিশর নয়।

উপসংহারঃ
ইজিপ্ট যে কোরআনে বর্ণিত মিশর নয় তা আমি বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে প্রমান করার চেষ্টা করেছি। ইনফ্যাক্ট কোরআনে এই বিষয়ে আরও অনেক আয়াত আছে যা দ্বারা এই বিষয়ে আরও প্রমান দেওয়া যায়। কিন্তু সেই আয়াত গুলি আরও অনেক কিছুর সাথে অর্থাৎ ফেরাউন এবং মুসা (আঃ) এর সাথে জড়িত। আমি এইখানে শুধুমাত্র মিশর নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই সেগুলি বাদ দিয়ে গেছি।

সুতরাং কোরআনে বর্ণিত মিশর যদি বর্তমান ইজিপ্ট না হয়, তবে প্রশ্ন থাকে যে

১। ফেরাউন কে ছিলেন?

২। মুসা নবী কোথায় ছিলেন?

৩। ইয়াকুব নবীর আবাস কোথায় ছিল?

৪। নবী ইউসুফ কোথায় ছিলেন?

৫। ইস্রায়েলীদের আবাস ভুমি কোথায় ছিল?

৬। প্রমিজড ল্যান্ড কোথায় ছিল?

৭। নবী দাউদ এবং সলোমনের বাসভুমি কোথায় ছিল?

৮।নবী ইব্রাহিম দেশ ত্যাগ করে কোথায় এসেছিলেন?

৯। নবী ইব্রাহিম কি মিশরে গিয়েছিলেন?

১০। এই ক্ষেত্রে নবী মোহাম্মদের পূর্ব পুরুষ কে?

(সময়সাপেক্ষে চলবে)

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: গুরুত্বপুর্ণ পোষ্ট ভাল করে পড়া দরকার.. কিন্তু এখনতো ঘুমে ধরছে.. নিলাম প্রিয়তে... তাতেই বা কি কত পোষ্টই তো প্রিয়তে নেই কিন্তু পরে আর পড়া হয় না নুতন পোষ্টের ভিড়ে পুরাতন পোষ্টের কথা ভুইল্যা যাই। :-P

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ঠিক আছে।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন: ১।
ফেরাউন কে ছিলেন?
উ - মিশরের রাজা
২।
মুসা নবী কোথায় ছিলেন?
উ- ইজিপ্টে
৩।
ইয়াকুব নবীর আবাস কোথায় ছিল?
উ- মিশরে
৪।
নবী ইউসুফ কোথায় ছিলেন?
উ- ইজিপ্টে
৫।
ইস্রায়েলীদের আবাস ভুমি কোথায় ছিল?
উ- মিশরে
৬।
প্রমিজড ল্যান্ড কোথায় ছিল?
উ- ইজিপ্টে
৭।
নবী দাউদ এবং সলোমনের বাসভুমি কোথায় ছিল?
উ- মিশরে
৮।
নবী ইব্রাহিম দেশ ত্যাগ করে কোথায় এসেছিলেন?
উ- ইজিপ্টে
৯।
নবী ইব্রাহিম কি মিশরে গিয়েছিলেন?
উ- হ্যাঁ
১০।
এই ক্ষেত্রে নবী মোহাম্মদের পূর্ব পুরুষ কে?
উ- নবি ইব্রাহীম

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: :)

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

বিপরীত বাক বলেছেন: ক্লিয়ার হলো না।
আরও লেখেন।
ভাব দেখে আপনিই সব আবিস্কার করে ফেলবেন।
যাক, দেখি কি হয়।
তবে মুসলিম দের আর্কিওলজি নিয়ে আরও কাজ করা উচিৎ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: কোন জায়গায় ক্লিয়ার হয় নাই সেটা বললে ভাল হত। এইখানের লেখাটার যে কোন অংশ যে কেউ নিজেই চেক করে নিতে পারেন।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: তাহলে আসল ঘটনা কি ?? আমার মথা দেখি চুলকায় B:-)
আমি ইতিহাসবিদ নই তাই এ ব্যাপারে কোন তথ্য দিয়ে আপনাকে সহায্য সহযোগীতা কিছুই করতে পারছি না বলে দুঃখিত।
তবে আমার মাথায় যখন প্রশ্নের ভুত ভর করবে তখন উল্টা পাল্টা হাজারটা প্রশ্ন করে আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারি। :`>

এমন কষ্টকর গবেষণামুলক একটি পোষ্টে মন্তব্য নেই যা সত্যিই হতাশ জনক।
তবে চালিয়ে যান আমি আছি।
ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার উৎসাহের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার মতই আমার মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘরে, আমি সব প্রশ্নের উত্তর জানিনা।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

বিপরীত বাক বলেছেন: তাহলে ফেরাউন (২য় রেমেসিস) র মৃতদেহ নীলনদে পাওয়া গেল কেন?

রেমেসিসের ২০ জন সন্তানের শব পিরামিড অঞ্চলেই বা পাওয়া গেল কেন?

তাহলে কি সেই ফেরাউন রেমেসিস নন?
গোলমেলে ব্যাপার স্যাপার।

তবে আমার জানা মতে misr নামটা গ্রীকরাই প্রথম ব্যবহার করেছিল। জানা টা ভুলও হতে পারে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: লেখার প্রথমেই আমি তিনটা মূলনীতির কথা বলেছি তার প্রথমটা হচ্ছে ঃ

"বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে"। (১০:৩৬)

এইখানে আমরা প্রমান খুজছি- যা আমাদের জানার সাথে মিলতেও পারে আবার নাও মিলতে পারে।

দ্বিতীয় রামেসিস কিভাবে মারা গিয়েছিল তা এইখানে থেকে দেখতে পারেনঃ
http://www.ancient-egypt-online.com/ramses-II.html

A variety of health problems (such as arthritis and arterial issues) may have contributed to the end of the life of Ramses II, but he had accomplished much in his time.

মারনেপ্তাহ সম্পর্কে দেখুনঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Merneptah

(Merneptah suffered from arthritis and atherosclerosis and died an old man after a reign which lasted for nearly a decade. Merneptah was originally buried within tomb KV8 in the Valley of the Kings, but his mummy was not found there. In 1898 it was located along with eighteen other mummies in the mummy cache found in the tomb of Amenhotep II (KV35) by Victor Loret. Merneptah's mummy was taken to Cairo and eventually unwrapped by Dr. G. Elliott Smith on July 8, 1907. Dr Smith notes that:)

"তবে আমার জানা মতে misr নামটা গ্রীকরাই প্রথম ব্যবহার করেছিল"। - কোন প্রাচীন গ্রীক মানচিত্রে "মিশর" বলে কিছু নাই। এইটা আরাবিক শব্দ। গ্রীকদের ব্যাবহার করার কোন প্রশ্নই আসে না।
ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার এই গবেষনা বা চেষ্টায় আমি সত্যি অভিভুত। আপনি চালিয়ে যান, সবগুলো পর্ব আগে পড়ি। অনেক কিছু জানার আছে। বাংলা ভাষায় এই ধরনের পোস্ট খুবই কম। এখন যারা ব্লগ পড়েন, তারা অনেকেই আগে বায়াসাড হয়ে যান। ব্যক্তিগত আক্রমন শুরু হয়।

এখনকার মানুষের মনোভাব দেখে আমার বুঝতে কষ্ট হয় না আমাদের প্রিয় নবীকে কত কষ্ট করে নতুন একটা কনসেপ্ট প্রচার করতে হয়েছিল। তখন তো মানুষ আর আধুনিক ছিল না। আরো বেশি র‍্যাডিক্যাল ছিলো।

তবে কোরানে ভুল লেখা থাকতে পারে না, আমরাই ভুল ব্যাখ্যা করি। তাই আমাকে বলুন কোরানে বর্ণিত মিসর তাহলে কোথায়?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রেরনামুলক মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে আমিও বলছি, কোরআনে কোন ভুল নেই। ভুল হচ্ছে আমাদের মধ্যে। আমরা কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে আসছি কারন এইভাবেই আমরা শিখেছি বা আমাদের শেখানো হয়েছে।
কোরআনে বর্ণিত মিশর কোথায় তা ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে কেউ বলতে পারবে না, যতক্ষণ না আরকিওলজিকাল প্রমান বের করা যায়। কিন্তু যে যায়গা গুলিকে লজিক্যালি ধারনা করা যায়, সেই যায়গাগুলিতে সরকার বিভিন্ন অযুহাতে খনন কাজ করতে দিচ্ছেনা। আমি আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম "প্রমিজড ল্যান্ডের সন্ধানে"- সেখানে কথাটা বলেছি।

কোরআনে মিশর বলতে একটা সমগ্র দেশ বুঝানো হয় নাই। এইটার জন্য প্রচুর ব্যাখা লাগবে। শুধু এতটুকু বলতে পারি আরবী বহুবচন শব্দ “আমসারা” থেকে একবচন শব্দ “মিশর” এসেছে যা দ্বারা একটা সিটাডেল, বা সুরক্ষিত নগর, এবং জনাকীর্ণ “বিজনেস হাব” বুঝায়। এখন এই রকম একটা জায়গা কোথায় আছে তার একটা লজিক্যাল উত্তর বের করতে হলে প্রচুর লেখা লিখতে হবে যার শুরুটা হওয়া উচিত নবী ইব্রাহিমের ভ্রমণ এবং স্থায়ী নিবাস গড়া এবং নবী ইউসুফের মিশর গমন। নবী ইব্রাহিমের ভ্রমণ নিয়ে আপাতত কিছু লিখতে চাচ্ছিনা, কারন ভরসা পাচ্ছিনা (কারন পূর্ব অভিজ্ঞতা) । পরে কোন সময় আমি নবী ইউসুফের মিশর গমন নিয়ে ছোট করে একটা লেখা দিয়ে জাস্ট মিশরের অর্থটা পরিষ্কার করব।

মিশরের জিওগ্রাফী সম্পর্কে কোরআনে কিছু হিন্টস দেওয়া আছে যেমনঃ সেখানে নদী আছে, নদীর পানি বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল, তারা কুয়া খনন করত বৃষ্টির পানি ধারনের জন্য, ঐখানে আগ্নেয়গিরি আছে, ট্রেড রুটের সাথে ভালভাবে কানেক্টেড ইত্যাদি ইত্যাদি।
ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৩

নতুন বলেছেন: কোরানে বর্ণিত মিসর তাহলে কোথায়?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার লেখার দ্বিতীয় প্যারার শেষের লাইনে লিখেছিলাম ঃপ্রথমটা হচ্ছে প্রচলিত ধারনা কেন সঠিক নয়, এবং দ্বিতীয়টা হচ্ছে সঠিক ধারনা কোনটি। এই বিষয়ে আমি শুধু প্রথম বিষয় টি নিয়ে আলোচনা করব।

তারপরেও আগের কমেন্টে যা বলেছি তা কপি পেস্ট করে দিচ্ছিঃ

কোরআনে মিশর বলতে একটা সমগ্র দেশ বুঝানো হয় নাই। এইটার জন্য প্রচুর ব্যাখা লাগবে। শুধু এতটুকু বলতে পারি আরবী বহুবচন শব্দ “আমসারা” থেকে একবচন শব্দ “মিশর” এসেছে যা দ্বারা একটা সিটাডেল, বা সুরক্ষিত নগর, এবং জনাকীর্ণ “বিজনেস হাব” বুঝায়। এখন এই রকম একটা জায়গা কোথায় আছে তার একটা লজিক্যাল উত্তর বের করতে হলে প্রচুর লেখা লিখতে হবে যার শুরুটা হওয়া উচিত নবী ইব্রাহিমের ভ্রমণ এবং স্থায়ী নিবাস গড়া এবং নবী ইউসুফের মিশর গমন। নবী ইব্রাহিমের ভ্রমণ নিয়ে আপাতত কিছু লিখতে চাচ্ছিনা, কারন ভরসা পাচ্ছিনা (কারন পূর্ব অভিজ্ঞতা) । পরে কোন সময় আমি নবী ইউসুফের মিশর গমন নিয়ে ছোট করে একটা লেখা দিয়ে জাস্ট মিশরের অর্থটা পরিষ্কার করব।

মিশরের জিওগ্রাফী সম্পর্কে কোরআনে কিছু হিন্টস দেওয়া আছে যেমনঃ সেখানে নদী আছে, নদীর পানি বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল, তারা কুয়া খনন করত বৃষ্টির পানি ধারনের জন্য, ঐখানে আগ্নেয়গিরি আছে, ট্রেড রুটের সাথে ভালভাবে কানেক্টেড ইত্যাদি ইত্যাদি।

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৬

নতুন বলেছেন: সৌদি আরবেই তো ২৪টা আগ্নেয়গিরি আছে( উচু টা ১১০০ মিটারের মতন) ... সিরিয়ার দিকেও . আছে...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ঠিকই আছে। টোটাল এরিয়াটা চিন্তা করলে সেটা দখীন-পশ্চিম আরব, এবং ইয়েমেনের একটা বড় অংশ পরে। এইখানেই কোথাও মিশর নামক কোন এলাকা ছিল, এইখানেই প্রমিজড ল্যান্ডের অবস্থান। এটা হাইপথিসিস। এটার সত্যতা নিরূপণের জন্য ঐ এলাকার বিশেষ বিশেষ জায়গা খনন করতে হবে যা করা সম্ভব হচ্ছে না।

আগ্নেয়গিরি- একটা ক্রাইটেরিয়া, তার সাথে কৃষি কাজ, নদী সংযুক্ত থাকতে হবে।

ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২১

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: পরবর্তী লেখা না পড়লে সবকিছু পরিষ্কার হবেনা ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি এই পর্বে যা লিখেছি তা পরবর্তী পর্বের উপর কোনভাবেই নির্ভরশীল না। কিন্তু পরবর্তী পর্ব (যদি লিখতে পারি আরকি) এই পর্বের অনেক কিছুর উপরই নির্ভরশীল। সুতরাং এইখানে আপনার যদি কোন ব্যাপারে অস্পস্টতা থাকে, তবে বলতে পারেন, আমি সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

পথে-ঘাটে বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন হল, মুসা নবী নীল নদ পার হয়েছিল কি না। উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে নীল নদ কোথায়? নিশ্চয়ই মিশরের আশে-পাশে। বর্তমান মিশর কোথায়? উত্তর নীল নদের পাশে।

আরেকটু ক্লিয়ার করি:
নীল নদ পার হলেই ফেরাউন থেকে ইয়াহুদীরা মুক্তি পাবে তাইতো। এর মানে হল নীল নদের এক পাশ ছিল ফেরাউনের দেশ আর্থৎ মিশর।
আশা করি মিশরের সন্ধানে অনেকটুকু এগিয়ে গেছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: বুঝলাম না এইখানে মুসা নদীর নীল নদ পার হওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন। যদি বলতেন লোহিত সাগর পার হয়েছিল কিনা তাহলে হয়ত একটু যুক্তিযুক্ত হত। কারন নীল নদ ইজিপ্টের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সুতরাং নীল নদ পাড়ি দিলেও আপনি ইজিপ্টেই থাকবেন।

প্রশ্ন নীল নদ হোক আর লোহিত সাগরই হোক, উত্তর একটাই। স্ক্রিপচার অনুযায়ী মুসা নবী জীবনেও কোনদিন নীল নদ বা লোহিত সাগর পাড়ি দেয়নি। এইগুলি গাঁজাখুরি গল্প।

কোরআনে বা বাইবেলেও নীল নদ বলে কিছু বলা হয় নাই। আরামিক এবং গ্রীক বাইবেলে নীল নদ নাই, ইংরেজীতে অনুবাদকৃত বাইবেলে নীল নদ শব্দটা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে কোন লাভ নেই।

মুল লেখায় বলেছি এইখানেও বলছি, ইহুদীরা কোনদিন বর্তমান ইজিপ্টে বন্দী ছিল না। কোন অবস্থাতেই না। সুতরাং মুসা নবীর অইখানে যাবার প্রশ্নই আসে না।

ধন্যবাদ।

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: পরের পর্বে যাই।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: যান।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

পথে-ঘাটে বলেছেন: মুসা নবী নদী পার হয়ে ছিল কি না? কোন নদী?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: মুসা নবী যেটা পার হয়েছিলেন আরবিতে ঐ শব্দটা হচ্ছে "বাহর"। বাহার অর্থ "A large body of Water"। এইটা একটা নদী, খাল, সমুদ্র, মহা সমুদ্র যে কোন কিছু হতে পারে। কি হতে পারে সেটা এইখানে আলোচ্য বিষয় না। মুসা নবী নীল নদ পার হয়েছিলেন এইটার কোন প্রমান নাই, কোরআন এই কথা বলে নাই।

ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

তার আর পর নেই… বলেছেন: ভাবতেই পারছিনা এরকম।
এরকম কোন ঘটনা পড়েছিলাম, ফেরআউন যখন মুসা নবীকে ধাওয়া করেন তখন তিনি নীল নদের পানিতে লাঠি দিয়ে আঘাত করায় দু ভাগ হয়ে যায় …
এই পোস্ট অনেক আগেই প্রিয়তে রাখছিলাম, কিন্তু পড়ছিনা দেখে কমেন্ট করতে পারছিনা।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: এই গল্পের অনেকগুলি ভার্সন আছে। নীল নদ, সুয়েজ খাল, লোহিত সাগর এই সব। এর কোনটাই সঠিক নয়। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমি আধা কনফিউজড অবস্থায় আছি, আল্লাহর কুরআনে কোন ভুল থাকতে পারে নাহ, আমাদের জানায় বা জা জানানো হয় তাতেই ভুল করা হয়েছে ইচ্ছাইয় বা অনিচ্ছায়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: এইখানে কোথাও বলা হয় নাই কোরআনে ভুল আছে। এইটা আমাদের ইতিহাসবিদদের/ তফসিরকারকদের ভুল ব্যাখার কারন।

১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: মিশরের জিওগ্রাফী সম্পর্কে কোরআনে কিছু হিন্টস দেওয়া আছে যেমনঃ সেখানে নদী আছে, নদীর পানি বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভরশীল, তারা কুয়া খনন করত বৃষ্টির পানি ধারনের জন্য, ঐখানে আগ্নেয়গিরি আছে, ট্রেড রুটের সাথে ভালভাবে কানেক্টেড ইত্যাদি ইত্যাদি।

আগ্নেয়গিরির ব্যাপারটা বাদ দিলে জায়গাটা ভারতবর্ষ হতে পারে।

মূসা (আ:) আর কৃষ্ন এর গল্পে অনেক মিল আছে। পানিতে ভাসানো, কংস আর ফেরাউন, হারুণ (আ:) আর বলরাম....।

1. বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। (১০:৩৬)..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.