নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯

আসুন খুব সাধারণ ভাবে একটু খৃস্টানদের চার্চের ইতিহাসের দিকে তাকাই। সাধারণভাবে বললে বলতে হয় খৃষ্টানরা চার্চ সৃস্টি করার মাধ্যমে ধর্মকে যাজকরা তাদের নিজেদের মধ্যে করায়ত্ত করে। চার্চ এবং সিংহাসন এর কার্যবিধিকে আলাদা করা হয়। চার্চের দায়িত্ব হচ্ছে ধর্ম কেন্দ্রিক যার প্রতিনিধিত্ব করে পুরহিতেরা এবং সিংহসনেরা দায়িত্বে থাকে রাজা যার দায়িত্ব দেশ পরিচালনা করা। এই রাজা আবার চার্চের সমর্থন ছাড়া নির্বাচিত হতে পারেন না আবার দেশ চালনাও করতে পারেন না, কারন একটা বিষয় সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রথম থেকেই সূক্ষ্ম ভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে চার্চের বিপক্ষে যাওয়া মানে হচ্ছে ধর্মের বিপক্ষে যাওয়া আর ধর্মের বিপক্ষে যাওয়া মানে হচ্ছে ঈশ্বরের বিপক্ষে যাওয়া। সুতরাং কোন রাজা চার্চ, ধর্ম বা ঈশ্বরের বিপক্ষে গিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন না। আবার এই রাজার দেওয়া অনুদানেই চার্চ চলে- অর্থাৎ পুরোহিতদের আয়ের মুল উৎসই ছিল রাষ্ট্রীয় অনুদান। এর ফলে চার্চ বিশাল ক্ষমতার উৎস বিন্দুতে পরিণত হয়। একদিকে যেমন ধর্মের ক্ষেত্রে চার্চ হচ্ছে ফাইনাল অথরিটি অন্য দিকে রাজা নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশ পরিচালনাতেও ছিল চার্চের পরোক্ষ বিশাল প্রভাব। রাজাকে তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য এই চার্চের তথা চার্চের পুরোহিতদের মন যুগিয়ে চলতে হয়। আর এই প্রভাবের কারনেই চার্চ তথা পুরোহিত তন্ত্র একটি লাভজনক এবং ক্ষমতাশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে উঠে। আমাদের উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের দিকে তাকালেও আমরা একি জিনিশ দেখতে পাব


তাহলে মুসলমানদের ক্ষেত্রে কি হয়েছে? চার খলিফার শাসনামলের পরে খিলাফত রাজতন্ত্রে পরিণত হয়। খিলাফত ছিল আল্লাহর বিধান আর রাজতন্ত্র হচ্ছে মানুষের বিধান। রাজতন্ত্র কোনভাবেই আল্লাহর বিধান দ্বারা জায়েজ করা যায় না। সুতরাং রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে মোল্লাদের সমর্থন লাগবে। এর সমর্থনে বিধান লাগবে। সুতরাং সেই একই মডেল ইসলামের মধ্যে আমদানী করা হয়েছে। মোল্লারা সমর্থন দিয়েছে, আব্বাসীয় খলিফাদের জন্য নতুন নতুন বিধান তৈরী করেছে- কেউ স্বচ্ছায় কেউ অনিচ্ছায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে কোরআনের অর্থ বিকৃত করেছে, নতুন বিধান বানিয়েছে, নবীর নামে মিথ্যা হাদিস সৃস্টি করেছে শুধুমাত্র তৎকালীন শাষক গোস্টিকে খুশি রাখার জন্য। এখন যেমন ওলামা লীগ, ওলামা দল আছে, আগেও এইরকম ছিল। ইনফ্যাক্ট এখনও অনেক মুসলিম দেশ তার সমর্থনে এই রকম মোল্লাদের দল পালেন। এর প্রচুর প্রমান সবখানেই বিদ্যমান।যার ফলে ইসলাম দ্বীন থেকে ধর্মে রূপান্তরিত হল এবং এই মোল্লারা হল সেই ধর্মের সোল এজেন্ট। যারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিধান রচনা করে শাসকদের খুশি করার জন্য তাদের সমর্থনে নবীর নামে চালিয়ে দেয়। যার ফলে কেউ এর বিরুদ্ধে কথ বললে বলা হয় নবীর বিরুদ্ধে কথা বলা হয়েছে এবং শেষপর্যন্ত তাকে ধর্মের গণ্ডী থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং এর জন্য একটা টার্ম আবিস্কার করেছে যার নাম “মুরতাদ” এবং এর শাস্তির বিধান বানিয়েছে হত্যা। সুতরাং প্রতিবাদ করার পথ এইভাবেই (শুধু একটা বলেছি, আরও অনেক আছে) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এভাবেই ইসলামের মধ্যেও শাসনতন্ত্র এবং ধর্ম দুইটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নেয়, এবং এই ধর্মকে কেন্দ্র করে মোল্লা তন্ত্র (আমি এটাকে এই নামেই ডাকছি, আপনি যে কোন নাম দিতে পারেন) একটা প্রভাবশালী পেশা হিসাবে গড়ে উঠে যারা কিনা আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে বলে দাবি করে এবং স্বর্গ এবং নরকের টিকেটের সোল এজেন্ট হিসাবে পৃথিবীতে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।যত ছোট করে বলছি, কাহিনী তার চেয় অনেক অনেক বড়। এটা একদিনে হয়নি, ধীরে ধীরে হয়েছে এবং হয়েছে এটাই সত্য।


কেউ এই ব্যাপারে প্রশ্ন করে না কারন সাধারণ মানুষকে ইচ্ছাকৃত ভাবে সত্য থেকে দূরে রাখা হয়েছে।মানুষকে বুঝানো হয়েছে সাধারণ মানুষ কোরআন পড়ে এর অর্থ বুঝতে পারবে না। এর ফলে সাধারণ মানুষ কোন কিছু জানতে বা ধর্মীয় বিধান পালন করতে মোল্লাদের কাছে যায় এবং মোল্লারা তার সময়ের বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ পেয়ে থাকে যা দ্বারা সে তার জীবিকা নির্বাহ করে। এটা প্রচলিত অর্থে একটা ফেয়ার ডিল। সাধারণ মানুষ চিন্তা করে একজন মানুষকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে অনেক বছর প্রচুর সাধনা করতে হয় ঐ ব্যাপারে এক্সপার্ট হতে। এর পরে তারা তাদের সেবার বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। সুতরাং যেহেতু মোল্লারাও অনেক বছর হাদিস কোরআন পড়ে, এবং সাধারণ মানুষ নিজে কোরআন পড়ে কিছু বুঝতে পারবে না সেহেতু ধর্মীয় বিধানের ক্ষেত্রে তারাই একমাত্র এক্সপার্ট। সুতরাং আর অন্য দশটা পেশার মতই তাদের সেবার বিনিময়ে টাকা নেওয়া বৈধ। যার ফলে এই মোল্লারা নামাযের ইমামতি করতে টাকা নেয়, আযান দিতে টাকা নেয়, জানাজা পড়াতে টাকা নেয়, ওয়াজ করতে টাকা নেয়, কোরআন পড়াতে টাকা নেয়, কিসে টাকা নেয় না?


কিন্তু এটা হচ্ছে একটা এভিল প্র্যাকটিস যা প্রায় ১২০০ বছর ধরে আমাদের মধ্যে চলে আসছে। এই ১২০০ বছরে মোল্লাতন্ত্র শক্তভাবে ভিত্তি গেড়েছে। এখন আমরা কোরআনের বিধানের দিকে ফিরে যাব। আমরা এখানে দেখব এই মোল্লাতন্ত্র কে কোরআন সমর্থন করে কি না।

প্রশ্ন করা যায় যেহেতু তারা আল্লাহর দ্বীন কে রক্ষা করে এবং মুসলিম উম্মাহ কে এই দ্বীনের সেবা দিয়ে থাকে, সেহেতু তারা তাদের সময় কাদের কাছে বিক্রি করছে? তারা কি তাদের সময় আল্লাহর কাছে বিক্রি করছে? সত্যিকার অর্থে তারা দ্বীনের নামে মানুষকে কোরআন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে তাদের নিজস্ব দলের (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী, ওহাবী ইত্যাদি) মতবাদ প্রচার এবং প্রসার করছে যাতে তাদের এই পেশা আরও মজবুত হয়। এই সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেনঃ

“And believe in what I have revealed, verifying that which is with you, and be not the first to deny it, neither take a mean price in exchange for My communications (verses); and Me, Me alone should you fear” [02:41]

“They have taken a small price for the communications of Allah, so they turn away from His way; surely evil is it that they do” [09:09]

“Surely those who conceal any part of the Book that Allah has revealed and take for it a small price, they eat nothing but fire into their bellies, and Allah will not speak to them on the day of resurrection, nor will He purify them, and they shall have a painful chastisement.” [02:174]

মোল্লাতন্ত্র কি একটি বৈধ পেশা?
মুল বক্তব্য হচ্ছে ধর্মীয় বিধানের সাথে ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পূর্ণ বিপরীত। এই ব্যাপারে যাওয়ার আগে চলুন গুগল সার্চ দিয়ে দেখি পেশা বা প্রফেশনের সংজ্ঞা কি।

A paid occupation, especially one that involves prolonged training and a formal qualification.

অর্থাৎ পেশা বা প্রফেশন হচ্ছে আয়ের মাধ্যম যা দ্বারা মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। যদি কোন ব্যাক্তির কোন কাজ তার আয়ের মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত না হয় তবে সেটা তার পেশা না।

অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (৩৬:২১)

কোরআনে “ইমাম” শব্দটা যেখানে এসেছে সেটা কোন দল, গোত্র, জাতি-এর নেতা হিসাবে ব্যবহার হয়েছে। কোথাও আজকে আমরা যে ইমাম দেখি বা মসজিদে যে ইমাম নিয়গ দেওয়া হয় সেই অর্থে ব্যবহার হয়নি। ইমাম শব্দটা নেতা অথবা লিডার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটা কোন ভাবেই পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অথবা বেতনভুক্ত কোন পেশার মানুষকে বোঝায়নি, এবং সেই ধরনের পেশার বিরুদ্ধেই কোরআনের অবস্থান যা ৩৬:২১ এ বর্ণনা করা হয়েছে।

এটা পরিষ্কার যে ধর্মীয় রীতি বা শিক্ষার জন্য কোন বিনিময় নেওয়া যাবে না। যদি তাই হয় তবে এই সম্পর্কিত কোন পেশা থাকার কথা নয়, যেহেতু পেশা টাকা উপার্জনের মাধ্যম। কিন্তু আমরা এখন ধর্মীয় রীতি নীতি পালন এবং বিধানের জন্য এই রকম পেশার বিভিন্ন মানুষ দেখি। ইনফ্যাক্ট শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী, ওহাবী সব দলই এই বিনিময় প্রথা সমর্থন করে, যা কোরআনের শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত।



মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:

" সাধারণভাবে বললে বলতে হয় খৃষ্টানরা চার্চ সৃস্টি করার মাধ্যমে ধর্মকে যাজকরা তাদের নিজেদের মধ্যে করায়ত্ত করে। চার্চ এবং সিংহাসন এর কার্যবিধিকে আলাদা করা হয়। চার্চের দায়িত্ব হচ্ছে ধর্ম কেন্দ্রিক যার প্রতিনিধিত্ব করে পুরহিতেরা এবং সিংহসনেরা দায়িত্বে থাকে রাজা যার দায়িত্ব দেশ পরিচালনা করা। "

খৃস্টান ধর্ম প্রচারিত হওয়ার আগে 'রাজতন্ত্র' ছিল না? আপনি আজগুবি সব কথা বলেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী ছিল। আমি বলি নাই চার্চ আর রাজতন্ত্র এক সাথে তৈরি হয়েছে। আমি বলেছি চার্চ গঠনের মাধ্যমে পরবর্তীতে দুইটা ধারা তৈরি হয়েছে। একটা ধর্ম আরকেটা রাজ্য শাসন।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

কল্লোল পথিক বলেছেন: চিন্তার বিষয় ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

হানিফঢাকা বলেছেন: অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (৩৬:২১) এইটা ত পরিষ্কার নির্দেশ। নয় কি?

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

ভাবুক তরুণ মিথুন বলেছেন: সুন্দর চিন্তামূলক লিখা। পড়ে ভালো লাগলো। তবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই যে, কাদিয়ানী নামে কোন ইসলামী মতবাদ প্রচারক দল নেই। আসলে নামটি হবে "আহমদীয়া মুসলিম জামাত"। এছাড়াও আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আহমদী মাওলানারা নামায পড়ানোর জন্য, মসজিদে কুরআন শিখানোর জন্য কোন টাকা নেয় না। তাছাড়া আহমদী মাওলানারা খুবই সাধাসিধা ও দারিদ্র্যতার সাথে জীবন যাপন করে থাকে। ধন্যবাদ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। "আহমদীয়া মুসলিম জামাত" নাম হলেও সারা বিশ্বে এরা কাদিয়ানী নামেই অধিক পরিচিত। সেই জন্য আমি কাদিয়ানী শব্দটা ব্যবহার করেছি।

আপনি বলেছেন " এছাড়াও আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আহমদী মাওলানারা নামায পড়ানোর জন্য, মসজিদে কুরআন শিখানোর জন্য কোন টাকা নেয় না।" - টাকা যদি না নেয় তবে ভাল। এইখানে আপনার কাছে আরেকটু বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাচ্ছি।
আমি যতটুকু জানি যা এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, কোথাও কোন মসজিদ থাকলে সেইখানে একজন ইমাম থাকবেই যিনি ঐ মসজিদে নিয়োগ প্রাপ্ত, এবং যিনি বিভিন্ন ধর্মীয় সেবা প্রদানের বিনিময়ে মাসিক ভিত্তিতে বিনিময় নিয়ে থাকেন। আমাকে একটু বিস্তারিত বলবেন কি "আহমদীয়া মুসলিম জামাত" এর মসজিদের কার্যবিধি কিভাবে পরিচালিত হয়?

আপনি বলেছেন "তাছাড়া আহমদী মাওলানারা খুবই সাধাসিধা ও দারিদ্র্যতার সাথে জীবন যাপন করে থাকে।"। এইটা আমার প্রসঙ্গের সাথে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। কারন এই ধরনের একজন ব্যক্তি ফকির থেকে কোটিপতি যে কোন কিছুই হতে পারেন। এতে কোথাও কোন সমস্যা নাই। তিনি ব্যবসা করতে পারেন বা ভিক্ষে করতে পারেন, তাতেও কোন সমস্যা নাই। সুতরাং কারো আর্থিক অবস্থা বা জীবন যাপন পদ্ধতি এইখানে কোন বিষয় না। মুল বিষয়টা হচ্ছে সে ধর্মীয় আচার পালনে কোন রকম বিনিময় নিচ্ছেন কি না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫২

মহা সমন্বয় বলেছেন: একে বিনিময় বলে না একে বলে হদিয়া :P

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: তাই?

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

ভাবুক তরুণ মিথুন বলেছেন: আপনার প্রতি উত্তরের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জানার আগ্রহ দেখে খুশি হলাম। যাই হোক আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই "আহমদীয়া মুসলিম জামাত" এর মাওলানা রা শুধুমাত্র নামায ও কুরআন পড়ান না। তাদেরকে বিভিন্ন দাপ্তরিক দায়িত্ব ও পালন করতে হয়। শুধুমাত্র দাপ্তরিক দায়িত্বাবলী পালন করার জন্য তাদেরকে মাসিক ভাতা দেয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া তারা ব্যক্তিগত টিউশনি পড়িয়ে ও অন্যান্য কাজ করে উপার্জন করে থাকে। ধন্যবাদ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: তাঁদের মসজিদের কার্যপ্রনালী আরেকটু বিস্তারিত বললে ভাল হত। অথবা আপনি যদি আমাকে কোন রেফারেন্স দিতে পারেন যার মাধ্যমে আমি নিজেই এই সম্পর্কে জানতে পারব (যেকোন রেফারেন্স হতে পারে যেমন কোন ওয়েবসাইট, বই, বা কারো লেখা, বা আপনি নিজেই লিখলেন), তাহলে আরেকটু উপকৃত হতাম।

আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২৭

গুপ্ত স্বার্থপর বলেছেন: বাবা মাকে ভরন পোষনের জন্য যে অর্থ দেন সেটা তাদের কোন পেশার জন্য? সব কিছুর সমতুল্য বিনিময় সম্ভব নয়। তারপরেও আমাদের দিতে হয় সেটা যে নামেই ডাকেন হাদিয়া, সম্মানী বা বেতন। কারন, তাদেরও সমাজে বেচে থাকতে হবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি সম্পূর্ণ ব্যাপারটা বুঝতে ভুল করেছেন। আপনার প্রতি পরামর্শ আগে সম্পূর্ণ লেখাটা পড়ুন ,তার পর আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকে তা করুন।
ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন বলেছেন।

এভাবেই আমাদের সত্যের কাছে ফিরতে হবে। সকল রাজতন্ত্রী, ইয়াজিদী ফেতনার পাহাড়কে ডিঙিয়ে!

এই ইমাম এবং নেতা আর হাদিয়ে প্রসঙ্গে একবার একজন খুব দরদ দিয়ে ইমামের পক্ষ নিলেন। আমাকে একহাত দেখে দেয় আর কি!
তাকে টু্স্ট দিয়ে সংক্ষেপে নিয়ে আসলাম বর্তমানে- আচ্ছা আপনার এলাকার নেতা কে? এমপি সাহেব। তো যানতো এমপি সাহেবকে কিছূ হাদিয়া দিতে??? পারবেন ১০-২০-৫০ টাকা হাদিয়া দিতে!
নাকি উল্টো তার কাছে অনুদান চাইতে যাবেন। এমপি সাব আপ্নের দিয়া খূশি হইব! আপনিও পাইয়া খূশী হইবেন।


বায়তুল মাল সে শিক্ষাই দিয়েছে। নবীজির জীবনাচার খেয়াল করেন- উত্তর পাবেন। যদি পাইতে চান!
ইসলামের ইমাম দাতা! গ্রহীতা না। তার জীবন যাপনের জন্য তার জ্ঞান এবং সামথ্য অনুযায়ী আয়সূচক কাজ করবে জীবিকা নির্বাহের জন্য। আর নেতৃত্ত্বের ক্ষেত্রে তিনি বিনিময় হীন হবেন। তাঁর বিনিময় কেবলই আল্লাহর কাছে।



++++++++++++++

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অন্য প্রসঙ্গে, আমাকে একটু বলেন এই "ইয়াজিদী ফেতনা" কি জিনিশ? আপনাকে প্রায় বিভিন্ন কমেন্টে এই কথাটা বলতে দেখি। একটু বুঝিয়ে বলবেন কি? এই ব্যাপারে আমার জানার ব্যাপক আগ্রহ আছে।

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খানিকটানা বেশ বিস্মিত হলাম আপনার প্রশ্নে!
আপনিতো ইসলামী বিষয় নিয়ে বেশ গুরুগম্ভীর লেখেন।
যাই হোক।
কারবালার ঘটনা কি আপনি অবগত নন? সেখানে কি হয়েছিল? সত্য আর মিথ্যা নির্ণিত হয়েছিল। সত্য কোন্ট? আর মিথ্যা কোনটা? বলুন - তবে বাকী আলাপ এগিয়ে নেয়া যাবে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার তড়িৎ মন্তব্যের জন্য। যাকেই এই কথা বলি সেই এই ব্যাপারে বিস্মিত হয়। যাই হোক এই ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে “কারবালার ঘঠনাকে অবিশ্বাস করছিনা আবার বিশ্বাসও করছিনা”। এই ব্যপারে আমি প্রমান খুজছি।

ধর্মীয় ইতিহাস, থিওলজি, আরকিওলজি এই সব নিয়ে আমার প্রচুর আগ্রহ আছে। সেই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর পড়ালেখা করেছি। কারবালার ঘঠনাও আমার কাছে সেই রকম একটা আগ্রহ মূলক বিষয়। এই কারবালার ঘঠনা ওমাইয়াদ এবং আব্বাসীয়দের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ফসল হিসাবে বানানো কোন ঘঠনা কিনা সেটা অবশ্যই বিতর্কের বিষয়। আজ পর্যন্ত যত মানুষকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি, কেউ সঠিক ভাবে এর মুল উৎসের কথা বলতে পারেনি। সবাই বিভিন্ন বই পড়ে বা শুনে এটা জেনেছে। এই বিষয়ে মুল উৎস খুজতে গিয়ে যা জেনেছি তা খুব একটা সুখকর না। এই পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা নিম্নরূপঃ

১। মুল উৎস হচ্ছে “আবু মিকনাফ”- যাকে প্রায় সব সুন্নী স্কলাররা খুবই দুর্বল এবং সন্দেহজনক চরিত্র বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই গল্প একজন থেকে এসেছে, বিভিন্ন মানুষ থেকে একসাথে আসেনি।

২। এই আবু মিকনাফের বর্ণনা কে স্কলাররা দুর্বল উৎস হিসাবে অভিহিত করেছেন কারন সে সাধারণত তার নিজের গোত্রের কথাই প্রচার করত। স্কলার যেমন শাহ আব্দুল আজিজ,আল্লামা তামান্না ইমাদি, মওলানা হাবিবুর রহমান খান্দাল্ভি প্রমুখ গবেষণা করে বের করেছেন যে এই আবু মিকনাফ নামক ব্যক্তি আসলে একজন সন্দেহজনক চরিত্র। এই ধরনের লোকের অস্তিত্ব না থাকারই কথা। যদি এই ধরনের কোন রক্ত মাংসের ব্যক্তি বেচে থাকেও সে তাবারীর অনেক আগেই মারা গেছে।

টাইমলাইনঃ
ক। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যু ৬৩২ খৃষ্টাব্দ

খ। কারবালার যুদ্ধ ৬৮০ খৃষ্টাব্দ

গ। ইবনে ইসহাকের মৃত্যু ৭৬৭ খৃষ্টাব্দ

ঘ। আবু মিকনাফের মৃত্যু ৭৭৪ খৃষ্টাব্দ

ঙ। ইমাম তাবারীর মৃত্যু ৯২৩ খৃষ্টাব্দ

৩। কারবালার ঘঠনা কোন চাক্ষুষ সাক্ষ্যী থেকে বর্ণনা হয়নি।যদি ঐ ঘঠনা ঘঠেও থাকে তবে ঐ ঘঠনার একমাত্র চাক্ষুষ সাক্ষ্যী ইমাম জয়নুল আবেদীনের বইয়ে এই রকম কোন ঘঠনার কোন রকম ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যা সত্যি বিস্ময়কর। (উনার দুইটা বইয়ের মধ্যে একটা আমি নিজে পড়েছি)

৪। বাকি যে সব তথ্য পেয়েছি তা অন্য বইয়ের রেফারেন্স, যে বইগুলি খুব সম্ভবত আমি কখনোই পড়ার সুযোগ পাবনা।

৫। আব্দুল জব্বার কেরামতি ২৮০ হিজরি তে একটা বই লিখেন যার পান্ডুলিপি ইস্তাম্বুল যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। এই বইয়ের নাম “কিতাব ই দলীল ই নবুয়াত সাইইয়েদিনা মুহাম্মদ “। এই বইয়ে বলা আছে নবীর মৃত্যুর ২৫০ বছর পড়েও ইসলামিক বিশ্ব একতাবদ্ধ ছিল। তাবারী কর্তৃক বর্ণিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যেমন মদীনায় বিদ্রোহ, হযরত উসমান (রাঃ) এর বাড়ি অবরোধ করা এই জিনিসগুলি এই বইয়ে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। প্রফেসর হামিদ উদ্দিন (পি এইচ ডি হার্ভার্ড থেকে) লিখিত “ইসলামের ইতিহাস” (মদিনা পাবলিকেশন) বইয়ে আব্দুল জব্বার কেরামতির বইয়ের রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে তাবারী কর্তৃক বর্ণিত তখনকার মুসলিম বিশ্বের অবস্থা অনেকটাই অগ্রহণযোগ্য।

৭। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে ইমাম হুসেইন (রাঃ) ইরাকের গভর্নর ছিলেন এটা অনেকেই জানেন না।

৬। ইমাম তাবারী সম্পর্কে আমার একটা লেখা আছে। ইমাম তাবারী, ইসলামের ইতিহাস লিখন এবং কোরআনের তাফসীর পদ্ধতিদেখতে পারেন।

মুল গল্পে প্রচুর ফাক আছে, যে কেউ পড়লেই বুঝতে পারবেন। আমি আবারও বলছি এই ঘঠনা কে আমি সম্পূর্ণ বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করছিনা। আমি এই বিষয়ে প্রমান খুজছি-যেটা এই ঘঠনার পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনদিকেই যেতে পারে। সুতরাং আমি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারিনি।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.