নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিশর এবং ফেরাউনের সন্ধানে – পর্ব ২

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪



আগের পর্বের লিঙ্কঃ
মিশর এবং ফেরাউনের সন্ধানে - পর্ব ১

গত পর্বে আমি যা বলেছি তা হল কোরআনে বর্ণিত মিশর এবং বর্তমান ইজিপ্ট একি দেশ/অঞ্চল না। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় এইটা কিভাবে এসেছে। এইটা মুলত সেপ্টুজায়ান্ট বাইবেলের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ।

সেপ্টুজায়ান্ট বাইবেলঃ
খৃস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের বিভিন্ন এলাকা জয়ের মধ্য দিয়ে গ্রিকদের আধিপত্য শুরু হয়। এই সময় গ্রীক ভাষার আধিপত্যও লক্ষ্য করা যায়। এইটা সেই সময় যখন ইজিপ্টের শাসক টলেমী (টলেমী ২) গ্রীক ম্যান্ডেটে আলেকজান্দ্রিয়াতে ৭০ জন অনুবাদককে বাইবেল কে আরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় রুপান্তিরত করার কাজে নিয়োজিত করেন, যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। ধারনা করা হয়, তাদের সংখ্যা ৭০ জন ছিল বলে তাদের দ্বারা অনুবাদকৃত বাইবেলকে সেপ্টুজায়ান্ট বাইবেল বলা হয়। ওল্ড টেস্টামেন্ট প্রথমে আরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করা হয় এবং তার পর গ্রীক ভাষা থেকে অন্য বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। আজকে আমরা যে ওল্ড টেস্টামেন্ট ইংরেজী, ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি বিভিন্ন ভাষায় দেখতে পাই, তা মুলত গ্রীক ভাষা থেকে অনুবাদকৃত। এইখানে আরামিক ভাষা সম্পর্কে একটু বলে রাখা ভাল। আরামিক, আরাবিক, তথাকথিত “হিব্রু” এই সব ভাষায় লিখিত রুপ গুলি ভাওয়াল (স্বরবর্ণ) ছাড়া লিখিত হয়। এই জন্য এইসব ভাষায় লিখিত রুপকে সাইলেন্ট ল্যাংগুয়েজ বলে। অর্থাৎ, লিখিত রুপ হচ্ছে “আনভোকাল”- বা অনুচ্চারিত। ভাওয়ালকে ঐ ভাষার লোকজন স্বর্গীয় উচ্চারন/শব্দ মনে করত বিধায় তারা লেখার সময় ভাওয়াল ছাড়া লিখত। এই চর্চা এখনও বিদ্যমান। এই অরামিক থেকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদের সময় তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক শব্দের অর্থ পরিবর্তন করে, জায়গার নাম, গোত্রের নাম পরিবর্তন করে। ধারনা করা হয় এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বিদ্যমান ছিল। তৎকালীন গ্রীক এবং ব্যাবিলনীয় স্ম্রাজ্যের সাথে তাদের নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে এই কুটচাল চালা হয়। অবশেষে ওমরের ইজিপ্ট দখল করার প্রায় ১০০০ বছর আগে গ্রীক ভাষায় অনুবাদকৃত ওল্ড টেস্টামেন্টের জন্ম হয়- যা সমস্ত ইতিহাসকে ম্যানিপুলেট করেছে এবং এর পরে এই ম্যনিপুলেশনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ইতিহাস লেখা হয়েছে যা থেকে মুসলমানরাও মুক্ত নয়। একটা উদাহরণ দেই।

জেনেসিস ২১:২১

মুল আরামিক ভাষাঃ
וישׁב במדבר פארן ותקח־לו אמו אשׁה מארץ מצרים

গ্রীক ভাষায় রূপান্তরঃ
καὶ ἔλαβεν ،καὶ κατῴκησεν ἐν τῇ ἐρήμῳ τῇ Φαραν αὐτῷ ἡ μήτηρ γυναῖκα ἐκ γῆς Αἰγύπτου.

ইংরেজীতে অনুবাদঃ
And he dwelt in the wilderness of Paran (Pharan), and his mother took for him a wife from the land of Egypt

আরামিক ভাষায় যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে מצרים বা M – tz – r – i – m (Mtzrim)। গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে Αἰγύπτου বা A-i-g-i(y)-p-t-o (Aigypto).

এখন এটা অনুবাদ করা হয়েছে מצרים= Αἰγύπτου= Egypt । আরবীতে “কিবত” ।

কোরআন যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে Msrm যাকে ভোকালাইজ করলে হয় মিশর। এই Msrm বা Mtzrim অর্থ কাছাকাছি। যার অর্থ কনেটক্সট অনুযায়ী দাঁড়ায় একটা সুরক্ষিত জনাকীর্ণ শহর (ট্রেড হাব) অথবা ট্রেড সিটাডেল।


সুতরাং কোরআনে বর্ণিত মিশর শব্দের একটা অর্থ পাওয়া গেল। এখন এই মিশর কোথায় অবস্থিত তা কোরআনের সুরা ইউসুফ (সুরা ১২), ওল্ড টেস্টামেন্টে এবং কোরআনে বর্ণিত নবী ইব্রাহিমের ভ্রমণ, মুসার ভ্রমণের সাথে জিওগ্রাফি একসাথে করে এনালাইসিস করলে একটা ধারনা পাওয়া যায় যা আমরা পরে কোন সময় সুযোগ পেলে দেখব। এখন আমরা ফিরাউন কে খুজি।

ফিরাউন কে ছিলেনঃ
ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না? (কোরআন ৪৩:৫১)

সুতরাং ফিরাউন মিশরের অধিপতি ছিলেন এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু আমরা আগেই দেখেছি কোরআনে বর্ণিত মিশর আর বর্তমান ইজিপ্ট একি জায়গা না। যদি তাই না হয়ে থাকে তবে এই ফিরাউন কে বা কি ছিলেন সেই প্রশ্ন স্বভাবিক ভাবেই আসে। আগের মত আমি এইখানে দুইটা পদ্ধতি অনুসরণ করব। প্রথমে দেখব ইজিপ্টের ইতিহাস কি বলে, অর্থাৎ আরকিওলজিস্টরা ইজিপ্ট থেকে যে সব জিনিশ আবিস্কার করেছেন সেই সব নিদর্শন কি বলে এবং শেষে দেখব কোরআন কি বলে। তাহলে চলুন আগে দেখি ইজিপ্টের আরকিওলজি এই ব্যাপারে কি বলে। তার আগে একটা কথা বলে নেই, এইটা সবার কমন বিশ্বাস যে ফারাও ইজিপ্টের শাসকের উপাধি। আমি আমার আগের পোস্টে “ইজিপ্ট নিয়ে একটি জরিপ” প্রশ্ন করেছিলাম ইজিপ্টের শাসকদের কি বলা হত। সবার উত্তর প্রায় একি ছিল আর তা হচ্ছে ফারাও/ফিরাউন। আসেন দেখি এর সত্যতা কতটুকু।

ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh কোনভাবেই ইজিপ্টের শাসকদের উপাধি ছিল না। “Egypt knew no Pharaohs nor Israelites”- by Ashraf Ezzat (Click This Link ) এই বইয়ে বিস্তারিত প্রমান সহকারে লেখা আছে। আমি এই বই সহ বিভিন্ন বই থেকে এর স্বপক্ষে কিছু প্রমান উপস্থাপন করব।

প্রমান ১ঃ
এই পর্যন্ত ইজিপ্টে যত হায়ারগ্লাফিক্স আবিস্কৃত হয়েছে, তার কোথাও ইজিপ্টের শাসকদেরকে ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh নামে সম্বোধন করা হয়েছে এই ধরনের কোন রকম প্রমান নেই।এই শব্দটা সম্পূর্ণ অনুস্থিত।

প্রমান ২ঃ
ইজিপ্টের সকল শাসকরা ৫ টি ভিন্ন নামের/উপাধির অধিকারী থাকেন। তার একটা নাম বা উপাধিও ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh না। উদাহরণ স্বরুপঃ


Thutmose III
The full titulary of Eighteenth Dynasty pharaoh Thutmose III, providing a guide to pronunciation and its equivalent meaning, is as follows

Horus name: Kanakht Khaemwaset, "Horus Mighty Bull, Arising in Thebes"

Nebty name: Wahnesytmireempet, "He of the Two Ladies, Enduring in kingship like Re in heaven"

Golden Horus: Sekhempahtydjeserkhaw, "Horus of Gold Powerful of strength, Sacred of appearance"

Praenomen: Menkheperre, "He of the Sedge and the Bee, Enduring of form is Re"

Nomen: Thutmose Neferkheperu, "Son of Ra, Thutmose, beautiful of forms"

(Click This Link)

প্রমান ৩ঃ
ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনা অনুযায়ী এক্সোডাস সংঘটিত হয় খৃস্টপূর্ব ১২৫০ এ। এই সময়ে রামেসিস ২ এর শাসনকাল ছিল। রামেসিস ২ ১৯তম রাজবংশের শাসক ছিল। তার টাইটেল ছিল User-maat-ra Setep-en-ra।
ইজিপ্টে যতগুলি রাজবংশ ছিল এবং যতজন শাসক ছিলেন তাদের নাম এবং সময়কাল উইকিপিডিয়াতে দেওয়া আছে। লিংক দিলাম, যে কেউ চেক করে দেখতে পারেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_pharaohs
https://en.wikipedia.org/wiki/Saqqara_Tablet

প্রমান ৪ঃ
ইজিপ্টে যত জন শাসকের মমি পাওয়া গেছে তাদের তাদের শবাধারের ফলকে (রয়্যাল কার্তুজ) যে নাম পাওয়া যায় সেইখানেও এই ধরনের কোন নামের অস্তিত্ব নাই।

প্রমান ৫ঃ
এই পর্যন্ত প্যাপিরাসের যত স্ক্রল আবিষ্কৃত হয়েছে, ইজিপ্টের শাসকগন যত চিঠিপত্র চালাচালি করেছেন বা তাদের লেখক গন যত কিছু তাদের শাসকদের সম্পর্কে লিখেছেন কোথাও এই ধরনের ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh নাম নাই। পিরামিড, সমাধি ক্ষেত্র, তাদের মন্দির কোথাও এই ধরনের নাম নেই।

দ্য বুক অফ ডেডঃ
ইজিপশিয়ান কোন ডকুমেন্টে, হায়ারগ্লাফিক্সে, কোন প্রত্নত্ত্ব নিদর্শনে, পিরামিড, মন্দির, শবাধার কোন কিছুতেই ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh এই ধরনের কোন নামের অস্তিত্ব না পেয়ে ইহুদী স্কলাররা ব্যাপক চিন্তিত হয়ে পরেন। এই ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh নামের অস্তিত্ব যখন তারা ইজিপ্টের কোন কিছুতে খুজে বের করতে ব্যর্থ হয়ে তারা একটা নতুন থিওরী দাড় করালেন। অনেক খুজে তারা একটা নাম বের করল। জেমস হেনরি নামক একজন স্কলার অনেক গবেষণা করে কোন কিছু না পেয়ে একটা থিওরী দাড় করাল এই বলে যে আগে ইজিপশিয়ানরা তাদের গভর্নমেন্ট কে ‘The Great House’. বলে সম্বোধন করত। কালক্রমে, এই সম্বোধন স্বয়ং তাদের শাসকের উপাধিতে পরিণত হয়। আর ইজিপশিয়ান ভাষায় এবং উচ্চারনে এই ‘The Great House’ কে বলা হয় pr-aa। অদ্ভুত সুন্দর একটা সমাধান। মানুষ হয়ত ঘাস খায় বলেই এইগুলি বিশ্বাস করে।

কোরআন বলেছেঃ
ফেরাউনের নিকট যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে। (কোরআন ২০:২৪) । সুতরাং ফিরাউন কে যদি আমরা ‘The Great House’ ধরে অনুবাদ করি, তবে কোরআনের এই আয়াতের অনুবাদ হবে “The Great House’ এর কাছে যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে”। এইটা একধরনের ভন্ডামি এবং মানুষের ইন্টিলিজেন্টের প্রতি উপহাস ছাড়া কিছু নয়।

তার পরেও উপরে যতগুলি সোর্সের কথা উল্লেখ করেছি (প্যাপিরাসের স্ক্রল, হায়ারগ্লাফিক্স, ৫ ধরনের নাম, শবাধারে লেখা নাম, পিরামিডের গায়ে লেখা নাম, মন্দিরে লেখা নাম) কোথাও এই pr-aa শব্দটা নাই। তাহলে কোথায় আছে? আছে “দ্যা বুক অফ ডেড” এ। সেইখানে কি বলা আছে?

“Homage to thee …
o thou Lord of brightness
thou who art at the head
of the great house …

prince of night and of thick darkness …
he comes to thee being a pure soul …
..o, grant thou unto him
His mouth that he may speak therewith,
At the season when there are clouds
And darkness …”

সুতরাং এই The Great House’ শব্দটা কোনভাবেই ইজিপ্টের শাসকের সাথে সম্পর্কিত নয়, এটা তাদের দেবতা “হোরাস-রা” এর সাথে সম্পর্কিত। এইখানে “হোরাস-রা” কে বলা হয়েছে গ্রেট হাউজের অধিপতি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সুতরাং ইজিপ্টের শাসকদেরকে ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh এই টাইটেলে ডাকা হত বা তাদের এই ধরনের টাইটেল ছিল তা কোনভাবেই প্রমানিত নয় বরং তাদের টাইটেল ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh এই সব ছিলনা তা সুস্পষ্ট ভাবে প্রমানিত।

তাহলে ফারাও/ফিরাউন/Pharaoh কে বা কি ছিলেন? ইজিপ্ট নিয়ে আরকিওলজিকাল গবেষণা শেষ। এইবার আসেন আমরা কোরআনের দিকে ফিরে যাই।

ফেরাউনঃ একবচন নাকি বহুবচনঃ
কোরআনের ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে কোরআনে কোথাও “ফারাউনা” শব্দটা আসেনি। অর্থাৎ কোরআন বহুসংখ্যক ফিরাউনের কথা বলেনি। বলেছে একজন ফিরাউনের কথা। ইউসুফ নবীর সময় মিশরের শাসককে বলা হয়েছে “আলা-মালিক”। কিন্তু মুসা নবীর সময় শুধু আমরা এই ফিরাউনের অস্তিত্ব দেখতে পাই। মুসা নবীর আগে বা পরে আর কোন ফিরাউনের নাম বা ঘঠনা আমরা দেখতে পাইনা। সুতরাং এটা সম্পূর্ণ সত্য যে শুধুমাত্র একজন ফিরাউন ছিল যে কিন মুসা নবীর ঘঠনার সাথে সম্পৃক্ত।


ফেরাউনঃ টাইটেল বনাম নামঃ
প্রথম প্রশ্নটা হচ্ছে “ফেরাউন” শব্দটা কি কোন টাইটেল নাকি কারো নাম? এই সহজ বিষয়টা কেন আমাদের উলামাদের নজরে আসেনি তা বোধগম্য নয়। কোরআনে কোথাও ফেরাউনকে “আল-ফেরাউন” বলা হয়নি। অর্থাৎ কোন টাইটেল হিসাবে ফিরাউন শব্দটা ব্যাবহার করা হয়নি। কোরআনের ভাষা অনুসারে ফিরাউন একজন ব্যাক্তির নাম, কোন টাইটেল বা উপাধি না। আসুন এর স্বপক্ষে কিছু প্রমান দেখিঃ

প্রমান ১ঃ
আর মূসা বললেন, হে ফেরাউন, আমি বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত রসূল। (৭:১০৭)
যদি ফিরাউন একটি উপাধি/টাইটেল হত তবে মুসা নবী তাকে আল-ফিরাউন বলে ডাকত, কারন সুরা ইউসুফে আমারা দেখেছি শাসককে ডাকা হয়েছে “আল-মালিক” এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কে বালা হয়েছে “আল-আজিয”। অর্থাৎ টাইটেল বুঝাতে “আল” শব্দটা ব্যবহার হয়েছে।

প্রমান ২ঃ
ফেরাউনের স্ত্রী বলল, এ শিশু আমার ও তোমার নয়নমণি, তাকে হত্যা করো না। এ আমাদের উপকারে আসতে পারে অথবা আমরা তাকে পুত্র করে নিতে পারি। প্রকৃতপক্ষে পরিণাম সম্পর্কে তাদের কোন খবর ছিল না।

ভাষাগত ব্যাবহারে এইখানে ফেরাউনের স্ত্রীর সাথে লুত, নুহ এর স্ত্রীর সাথে কোন পার্থক্য নাই। একি এক্সপ্রেশন ব্যবহার করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা কাফেরদের জন্যে নূহ-পত্নীলূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। (৬৬:১০)

আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। (৬৬:১১)

সবাই জানে নুহ, লুত হচ্ছে মানুষের নাম। এইখানে নুহ-পত্নী বলতে নুহের স্ত্রী কে বোঝান হয়েছে। তাহলে ফিরাউন-পত্নী বলতে কোন ফিরাউনের স্ত্রীকেই বোঝানো হয়েছে, এবং এই ফিরাউন কোন উপাধি না, এইটা একজন মানুষের নাম।

আরও প্রমান চান?

আমি আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছি। ফেরাউন, হামান ও কারুণের কাছে, অতঃপর তারা বলল, সে তো জাদুকর, মিথ্যাবাদী। (৪০:২৩-২৪)

এইখানে হামান, কারুণ প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র নাম। তাহলে ফিরাউন কেন উপাধি হবে? কোরআনের যত জায়গায় ফিরাউন শব্দটি এসেছে, খুজে দেখতে পারেন কোথাও ফিরাউন কে টাইটেল হিসাবে উল্লেখ করা হয় নাই। নিজেই চেক করে দেখুন।

সুতরাং এইখান থেকে আমারা যে উপসংহারে পৌছাতে পারি তা হচ্ছে ফিরাউন কোন টাইটেল না বরং একজনের নাম যে কিনা মিশর নামক কোন স্থানের শাসক ছিল।

উপসংহারঃ
পর্ব ১ এবং পর্ব ২ থেকে যে উপসংহার পাওয়া যায় তা হচ্ছেঃ

১। বর্তমানে নীল নদীর তীরে ইজিপ্ট নামক যে দেশটি আছে তা কোরআনে বর্ণিত মিশর নয়।

২। ইহুদীরা কোনদিন মিশরে বন্দী ছিলনা।

৩। বর্তমানে প্যালেস্টাইন নামক যে জায়গাটি আছে তা কোনভাবেই প্রমিজড ল্যান্ড বা ব্লেসড ল্যান্ড না

৪। ইজিপ্টের শাসকদের উপাধি বা টাইটেল কোনভাবেই ফিরাউন/ফারাও না।

৫। ইহুদীদের ইতিহাসের সাথে কোনভাবেই ইজিপ্ট বা প্যালেস্টাইন জড়িত না।

৬। ফিরাউন কোন টাইটেল না, এটা একজন মানুষের নাম।

৭। বহুসংখ্যক ফিরাউনের কোন অস্তিত্ব বা প্রমান কোন কিছুই পাওয়া যায় না। শুধু মাত্র একজন ফিরাউন ছিল যিনি মুসা নবীর সময়ে মিশর নামক কোন জায়গার শাসক ছিলেন।

৮। সুতরাং ফিরাউন কোনভাবেই কখনো ইজিপ্ট নামক দেশটির শাসক ছিলেন না।

আমদের সম্পূর্ণ ইতিহাস মিথ্যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।

(সমস্ত ছবি গুগল এবং উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া)

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫২

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: ইন্টারেস্টিং। ইজিপ্ট আসলে কোন ইজিপ্ট কিংবা কোথায় তার অবস্থান তা সম্পররে আপনার ধারনা কিংবা যুতিগুলো জানার আগ্রহ ব্যাপকতর হইলো। চীন জাপানের দিকে নিয়ে যাবেন নাকি কে জানে, ওইখানে কেবল বৃষ্টিতে জন্মানো নদী আছে, পাহাড় আগ্নেরগিরিও বর্তমান, নাকি আবার অলিম্পাস নগরে নিয়ে ফেলবেন, আশেপাশেই আগ্নেয়গিরি ছিল কিনা...

++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাল বলেছেন। এইটা ত বুঝতে পারছেন যে মিশর আর ইজিপ্ট এক জায়গা না এবং ইজিপ্টের শাসকদের কে কখনও ফারাও বলা হতনা।

কোরআনে এই ব্যাপারে কিছু ইঙ্গিত দেওয়া আছে। যুগ যুগ ধরে আমরা ভুল শিখে আসছি। এই ঘঠনার সাথে আমাদের নিজেদের ধর্মের ইতিহাসের অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে। এই জন্য এইটা একটু সেন্সেটিভ।

সময় পেলে আরও কিছু লিখব।

পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৬

পথে-ঘাটে বলেছেন: প্রথমত, আপনি পর্ব ১-এ কোরআন থেকে তিনটি মুলনীতি নিয়েছিলেন-

মুলনীতিঃ
এই বিষয়ে আমি কোরআনের তিনটি বিষয়কে মুলনীতি হিসাবে ধরে লেখার প্রয়াস করেছিঃ

1. বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে। (১০:৩৬)

2. এরা কি লক্ষ্য করে না কোরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে হত, তবে এতো অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখতে পেত। (৪:৮২)

3. প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে আমি একজন সাক্ষী আলাদা করব; অতঃপর বলব, তোমাদের প্রমাণ আন। তখন তারা জানতে পারবে যে, সত্য আল্লাহর এবং তারা যা গড়ত, তা তাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে যাবে।(২৮:৭৫)

আর্থৎ আপনার গবেযনার মূূলনীতি কোরআন। এর মানে হল অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিতে পারেন না আপনার কথা মতে। কেননা কোরআন পূর্ববর্তী ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ বাতিল ঘোযনা করেছে।

দ্বিতীয়ত, কোরআন বলে ইহুদি অবিশ্বাসী এবং অভিশপ্ত জাতি। আপনি অধিকাংশ রেফারেন্স ইহুদি রাইটারের বই থেকে দিয়েছেন যা গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে।

তৃতীয়ত, আপনার পর্ব ১-এ আমার মন্তব্য যা বর্তমান মিসরকে কোরআনে বর্ণিত মিশরকে প্রমান করে। এখানে আবার উল্লেখ করলাম-
"পথে-ঘাটে বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন হল, মুসা নবী নীল নদ পার হয়েছিল কি না। উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে নীল নদ কোথায়? নিশ্চয়ই মিশরের আশে-পাশে। বর্তমান মিশর কোথায়? উত্তর নীল নদের পাশে।

আরেকটু ক্লিয়ার করি:
নীল নদ পার হলেই ফেরাউন থেকে ইয়াহুদীরা মুক্তি পাবে তাইতো। এর মানে হল নীল নদের এক পাশ ছিল ফেরাউনের দেশ আর্থৎ মিশর।
আশা করি মিশরের সন্ধানে অনেকটুকু এগিয়ে গেছেন"।

চতুর্থত, আপনি প্রমান হিসেবে হায়ারোগ্লিফিক্স আর পেপারিসের কথা বলেছেন। আমরা জানি যে, প্রাগৈতিহাসিকের ইতিহাস গুলো সব অনুমান নির্ভর। সত্যও হতে পারে মিথ্যাও হতে পারে। যে বিযয়টা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত কিভাবে আমি সেটা আন্দজ-অনুমানের উপর নির্ভর করে মিথ্যা বলে দিতে পারি? আর সেটা যদি হয় ইহুদিদের গবেযনা!


পঞ্চমত, এখন আসি কোরআনের ব্যপারে। কোরআনের তাফসিরকারীদের মাঝে ইসলামের মৌলিক বিযয় ছাড়া অনেক বিযয়েই ব্যখ্যার মতভেদ আছে। তাছাড়া একই শব্দের অনেক অর্থ থাকে। আপনি হয়ত একটা অর্থ ধরে ব্যখ্যা করলেন আরেক জন অন্য অর্থ ধরে ব্যখ্যা করল। তখন সমাধান হল, যে মতের উপর সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তিরা একমত হন সেটাকে গ্রহন করা। আর এটাই হল বিজ্ঞান সম্মত যৌক্তক পদ্ধতি। বর্তমান মিশরই কোরআনে বর্ণিত মিশর সেটা পৃথিবীর সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তিরা একমত।

আশা করি আপনার ভুল ধারনা ভাঙবে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: বাংলা পড়তে জানেন?
আপনি বলেছেন "আর্থৎ আপনার গবেযনার মূূলনীতি কোরআন। এর মানে হল অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিতে পারেন না আপনার কথা মতে। কেননা কোরআন পূর্ববর্তী ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ বাতিল ঘোযনা করেছে।"

১। আমি বলেছি "এই বিষয়ে আমি কোরআনের তিনটি বিষয়কে মুলনীতি হিসাবে ধরে লেখার প্রয়াস করেছিঃ"

২। অন্য ধর্মগ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দিয়ে আমি কোন কিছু প্রমান করি নাই। একটা উদাহরণ দেখান। এইখানে আমি অন্য ধর্ম
গ্রন্থ কিভাবে ম্যানুপুলেট করেছে সেটা দেখিয়েছি।

৩। "কোরআন পূর্ববর্তী ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ বাতিল ঘোযনা করেছে।"- কে করেছে? আপনি?

আপনার করা প্রশ্নের উত্তর প্রথম পোস্টেই দেওয়া হয়েছে। এইখানে রিপিট করার কোন দরকার ছিলনা।

"চতুর্থত, আপনি প্রমান হিসেবে হায়ারোগ্লিফিক্স আর পেপারিসের কথা বলেছেন। আমরা জানি যে, প্রাগৈতিহাসিকের ইতিহাস গুলো সব অনুমান নির্ভর। সত্যও হতে পারে মিথ্যাও হতে পারে। যে বিযয়টা ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত কিভাবে আমি সেটা আন্দজ-অনুমানের উপর নির্ভর করে মিথ্যা বলে দিতে পারি? আর সেটা যদি হয় ইহুদিদের গবেযনা!

অনুমান নির্ভর ইতিহাস হচ্ছে সেইগুলি যেগুলির পক্ষে কোন অকাট্য প্রমান পাওয়া যায় না। কোনটা অনুমান নির্ভর আর কোনটা ফ্যাক্ট- আপনিত সেইটাই বুঝতেছেন না। আমি সেই হায়ারগ্লাফিকের এবং প্যাপিরাসের স্ক্রলের কথা বলছি যা আবিস্কৃত হয়েছে, যা মানুষ পড়ে দেখেছে। এইগুলি সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট। কোন অনুমান নির্ভর ধারনার উপর ভিত্তি করে এইখানে আমি কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হই নাই। চাক্ষুষ জলজ্যান্ত প্রমান নিয়েছি, যা আপনি নিজেই চেক করে দেখতে পারেন। এইখানে আপনাকে কোন মিথলজিকাল গল্প শোনান হয় নাই।

"পঞ্চমত, এখন আসি কোরআনের ব্যপারে। কোরআনের তাফসিরকারীদের মাঝে ইসলামের মৌলিক বিযয় ছাড়া অনেক বিযয়েই ব্যখ্যার মতভেদ আছে। তাছাড়া একই শব্দের অনেক অর্থ থাকে। আপনি হয়ত একটা অর্থ ধরে ব্যখ্যা করলেন আরেক জন অন্য অর্থ ধরে ব্যখ্যা করল। তখন সমাধান হল, যে মতের উপর সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তিরা একমত হন সেটাকে গ্রহন করা। আর এটাই হল বিজ্ঞান সম্মত যৌক্তক পদ্ধতি। বর্তমান মিশরই কোরআনে বর্ণিত মিশর সেটা পৃথিবীর সর্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তিরা একমত।"- এইধরনের কোন সিস্টেম নাই। (মুলনীতি ১ দেখেন)।

এইটা বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি? তাই? আপনি কি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতির সংজ্ঞা বানিয়েছেন নাকি? কবে বানাইলেন?

আল হামাদানির “Description of Arabia” - পড়ে দেখেন। তিনি একি কথা বলেছেন। এই লেখাতেও একটা বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছি।

আর আপনার মহামান্য পুজনীয় তফসির কারক, জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার, দুনিয়ার সব জ্ঞান যাদের মাথায় তারা কেমন জ্ঞানী কথা বলেন জানেন? একটু শুনেন,

পৃথিবী একটা বড় ষাঁড়ের দুই শিঙের মাঝে অবস্থিত। ভুমিকম্প কেন হয় জানেন? কল্পনা করে নেন। আবার আরেকজন একি রকম জ্ঞানী বলেছেন পৃথিবী বিশাল একটা তিমি মাছের পিঠে করে ঘুরছে। আপনি নিশ্চয় বিশ্বাস করেন। করেন না?

তার পরেও, প্রথম পোস্টে আমি কোরআন থেকে যতগুলি প্রমান দিয়েছি তার ব্যাখ্যা দেন। এর দুইটা ব্যাখ্যা হতে পারে, হয় কোরআন ভুল নতুবা আপনার ইতিহাস ভুল। দুইটা কোনভাবেই একসাথে সঠিক হতে পারেনা। আপনি প্রথমটা প্রমানের চেষ্টা করছেন, আমি দ্বিতীয়টা।




০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

হানিফঢাকা বলেছেন: উত্তরের ভাষাটা একটু রুঢ় হয়ে গেছে। মাথা গরম ছিল। সরি ফর দ্যাট। আশা করি কিছু মনে করবেন না।
ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন:
"আর আপনার মহামান্য পুজনীয় তফসির কারক, জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার, দুনিয়ার সব জ্ঞান যাদের মাথায় তারা কেমন জ্ঞানী কথা বলেন জানেন? একটু শুনেন,

পৃথিবী একটা বড় ষাঁড়ের দুই শিঙের মাঝে অবস্থিত। ভুমিকম্প কেন হয় জানেন? কল্পনা করে নেন। আবার আরেকজন একি রকম জ্ঞানী বলেছেন পৃথিবী বিশাল একটা তিমি মাছের পিঠে করে ঘুরছে। আপনি নিশ্চয় বিশ্বাস করেন। করেন না?"


আনন্দ পাইলাম হানিফ ভাই। সাথে আছি, আগ্রহ নিয়ে পোস্ট নজরে রাখছি...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

ধমনী বলেছেন: আপনার আবিস্কারের নেশার সাথে আমি প্রচণ্ডভাবে সহমত। যতটুকু জানি, ফেরাউনের মমি লোহিত সাগরে পাওয়া গিয়েছে। আপনার গবেষণা থেকে ভালো কিছু আসবে। তবে আপনার রেফারেন্স গুলোর উপর আমার আস্থা কম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ফেরাউনের মমি সম্পর্কে আমিও শুনেছি। কিন্তু আমি খুজছি প্রমান। এই খানে যে ইজিপ্টের শাসকদের লিস্ট দিয়েছি সেখানে তাদের মমি কোথায় কিভাবে আবিস্কৃত হয়েছে এবং কিভাবে মারা গেছে তাও বর্ণনা করা আছে। এইখানে লোকানোর কিছু নাই। তারপরেও, যদি এমন কোন মমি পাওয়া যায়ও তাতে কিছু প্রমান হয় না। কারন মনে রাখতে হবে এক্সডাস হয়েছিল ১২০০-১২৫০ খৃস্টপূর্বে। ঐ সময়ে ইজিপ্টের শাসক ছিল রামেসিস ২, এর পরে মারনেপ্তাহ। তাঁদের মমি লোহিত সাগরে পাওয়া যায় নি।
দ্বিতীয় রামেসিস কিভাবে মারা গিয়েছিল তা এইখানে থেকে দেখতে পারেনঃ
http://www.ancient-egypt-online.com/ramses-II.html

A variety of health problems (such as arthritis and arterial issues) may have contributed to the end of the life of Ramses II, but he had accomplished much in his time.

মারনেপ্তাহ সম্পর্কে দেখুনঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Merneptah

(Merneptah suffered from arthritis and atherosclerosis and died an old man after a reign which lasted for nearly a decade. Merneptah was originally buried within tomb KV8 in the Valley of the Kings, but his mummy was not found there. In 1898 it was located along with eighteen other mummies in the mummy cache found in the tomb of Amenhotep II (KV35) by Victor Loret. Merneptah's mummy was taken to Cairo and eventually unwrapped by Dr. G. Elliott Smith on July 8, 1907.

আপনি রেফারেন্স নিয়ে বলেছেন। দয়া করে ভাল করে আগে পড়ে দেখুন। এইখানে মুলত রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করা হয়েছে কোরআন এবং আরকিওলজিক্যাল ফ্যাক্ট যা নিঃসন্দেহে প্রমানিত। তাহলে কোন রেফারেন্সের প্রতি আপনার আস্থা কম?

ওল্ড টেস্টাম্যান্ট দিয়ে এইখানে কিছু প্রমান করা হয় নাই। এইখানে ওল্ড টেস্টামেন্টে কিভাবে ম্যানিপুলেশন হয়েছে তা দেখানো হয়েছে।

যদি অনুবাদের ম্যানিপুলেশন ধরতে পারেন তবে দেখবেন, ওল্ড টেস্টামেন্টের অনেক ঘটনা নির্ভুল ভাবে বর্ণনা করা আছে। ঐতিহাসিক ঘঠনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গোত্রের নাম, মানুষের নাম, জায়গার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।

মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

মধুমিতা বলেছেন: ভালো লেখা। কিছু বিষয়ে একমত এবং কিছু বিষয়ে দ্বিমত আছে। সম্পূর্ণ লেখা শেষে কোথায় নিয়ে যান দেখি। তারপর কমেন্ট করবো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: এই টপিকসের উপর (মিশর এবং ফিরাউন) আর কোন লেখা আপাতত লিখবনা। এই দুইটা পর্বে আমি যা প্রমান করতে চেয়েছি তা করেছি। বাকী রয়েছে কোরআনে বর্ণিত মিশর কোথায় এবং ফিরাউন এবং মুসা নবী কোথায় ছিল? এই অংশটুকূ এখন লেখার ইচ্ছা নাই, পড়ে কোন সময় হয়ত লিখব। সুতরাং, যদি এই দুটা পর্বের কোন কিছু নিয়ে আপনার দ্বিমত থাকে, কোন আপত্তি থাকে, কোন সন্দেহ থাকে, দয়া করে বললে সেটা নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হত।

কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: ফেরাউনের মমি বলে যেটাকে দাবী করা হয় আর যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তাকে ভুল বলে প্রমান কিন্তু দুঃসাধ্য বলেই মনে হয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাইজান, আমি জানি আপনি কি বলতে চাচ্ছেন। Conjecture can not avail the truth (প্রথম মূলনীতি)।

আপনি বলেছেন, "ফেরাউনের মমি বলে যেটাকে দাবী করা হয় আর যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তাকে ভুল বলে প্রমান কিন্তু দুঃসাধ্য বলেই মনে হয়। "- বরং এর উলটাটাই সত্য। আমার এই দুই পর্বের লেখায় আমি যথেষ্ট প্রমান দিয়েছি এই ব্যাপারে। যে অকাট্য প্রমান গুলি দিয়েছি তা হচ্ছেঃ
১। কোরআনে বর্ণিত মিশর বর্তমান ইজিপ্ট নয়। (প্রথম পর্বে কোরআন থেকে প্রমান দেখেন)

২। ইজিপ্টে ইসরায়েলীরা কোন দিন বন্দী ছিল না। এই পর্যন্ত কোন আরকিওলজিকাল প্রমান পাওয়া যায় নাই। কেউ কোনদিন দেখাতে পারবে না। ইসরায়েলীদের ইজিপ্টে ৪৩০ বছর (আমার লেখায় ৪৬০ আছ, ঐটা ভুল) বন্দী থাকার পরেও ইজিপ্টে তথাকথিত কোন হিব্রু ইন্সক্রিপশন বা তাঁদের অস্তিত্বের কোন আরকিওলজিকাল প্রমান নেই এইটা অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার আবার তদের ধর্মে গ্রন্থে কোন ইজিপশিয়ান শব্দ নেই।

৩। ফেরাউন/ফারাও কখনো কোন কালে কোন অবস্থাতেই ইজিপ্টের শাসকদের উপাধি ছিল না। এর সাপেক্ষে প্রচুর প্রমান এইখানে দেওয়া আছে। তারপরেও গুগল সার্চ করে তাঁদের শবাধারের ছবি দেখতে পারেন এবং ঐ খানে কি লেখা আছে তা ভালভাবে পড়ে দেখতে পারেন।

৪। এক্সডাস হয়েছে খৃস্টপূর্ব ১২০০-১২৫০ (ইহুদী স্কলারদের হিসাব অনুযায়ী ১২৫০, এইটা মুটামটি সঠিক)। ঐ সময়কে বেশ ধরে এর আগে এবং পড়ে মোট ৩০০ বছরেরে মধ্যে যত জন ইজিপ্টের শাসক ছিলেন (১৮ এবং ১৯ তম ডায়নেস্টি) তাঁদের সবার নাম, জীবনকাল, কিভাবে মারা গেছেন, মমি কোথায় পাওয়া গেছে তা দেখতে পারেন। উইকিপিডিয়ার উপর ভরসা না থাকলে ইজিপ্টের সরকারী ওয়েবসাইট গুলি অথবা রিসার্চ ওয়েবসাইট গুলি দেখতে পারেন। কোথাও পাবেন না ইজিপ্টের কোন শাসকের মমি লোহিত সাগড়ে পাওয়া গেছে।

৫। তারপরেও, কোন মমি যদি লোহিত সাগরে পাওয়াও যায় তাতেও কোন কিছু প্রমান হয় না কারন হচ্ছে উপরে বর্ণিত ইজিপ্ট এবং ফিরাউন নিয়ে বর্ণিত কারন গুলি।

৬। এইখানে যা লেখেছি, এর স্বপক্ষে এর চেয়েও বড় প্রমান আছে তা হচ্ছে জিওগ্রাফি। ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত বিভিন্ন কাহিনীগুলি আমাদের বেশিরভাগ স্কলাররা কপি করেছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ঐ কাহিনী গুলিতে বর্ণিত জিওগ্রাফিত আপনি কোনভাবেই ঐ এলাকার ম্যাপের সাথে মিলাতে পারবেন না। যে বিষয়টা একটু বড় বলে আমি স্কিপ করে গেছি। শুধু প্রথম পর্বে করনা থেকে কিছু প্রমান দিয়েছি কেন ট্র্যাডিশনাল জিওগ্রাফি কোরআনের সাথে সাঙ্ঘ্রসিক।

৭। ইস্রায়েলীদের ব্যাবিলনে বন্দী, এস্যিরিয়ান আক্রমণ, বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ এই গুলির বর্ণিত জিওগ্রাফি যদি আপনি নিজে একটা ম্যাপ সামনে নিয়ে এনালাইসিস করেন তবে কোনমতেই মিলাতে পারবেন না। আবার ব্যবিলিয়ন এবং এস্যিরিয়ান আরকিওলজিকাল ফ্যাক্ট নিয়ে গবেষণা করলেই বুঝবেন কোথায় ইস্রায়েলীরা ম্যনিপুলেট করেছে।

৮। তাও যদি করতে চান, তবে কোরআনে বর্ণিত আদ, তাহমুদ, নুহ, জাতি সম্পর্কে যে সব কথা বলা হয়েছে, সাথে নবী ইব্রাহিমের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে একটু জিওগ্রাফিকাল এনালাইসিস করেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন যে ইজিপ্ট এবং তার শাসকের সাথে মিশর এবং ফেরাউনের কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু এইটা খুবই বিপদজনক একটা পথ, এই পথ ধরে এনালাইসিস করলে হয়ত আপনি এমন কিছু পাবেন যা আপানর অনেক গভীর বিশ্বাসের ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিতে পারে। সুতরাং সেই দিকে না যাওয়াই ভাল। সত্য সব সময় সুখকর না।
ধন্যবাদ আপনাকে এই লেখার ব্যাপারে মন্তব্য করে উৎসাহ দেবার জন্য।

৭।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০

হানিফঢাকা বলেছেন: কারেকশনঃ
৬ নম্বর পয়েন্টেঃ "পর্বে করনা থেকে কিছু প্রমান দিয়েছি"। এইটা হবে "পর্বে কোরআন থেকে কিছু প্রমান দিয়েছি

৮ নম্বর পয়েন্টেঃ "তাও যদি করতে চান"। এইটা হবে "তাও যদি না করতে চান।

টাইপিং মিস্টেক। :)

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জটিল বিষয়ে গবেষনা করছেন।

চলুক.. শেষ দেখি:)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এই বিষয় (মিশর এবং ফেরাউন) নিয়ে আপাতত আর কিছু লেখার ইচ্ছা নেই। কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে আসার অবস্থা হয়েছে। তাই আপাতত এইখানেই ইতি। তবে অন্য প্রসঙ্গে এই সাপের লেজ নিয়ে একটু লিখব।

৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫

ইনফেকটেড মাশরুম বলেছেন: এ ব্যাপারে আরো কথা বলব ভাই। তবে বিশ্বাস যদি ভুল হয় তবে ভেঙ্গে ফেলাই ভালো, তাতে যাই হোক না কেন। আপনার যুক্তি গ্রহনযোগ্য। নিজেরও অনেক পড়তে হবে আরো। নাহলে আপনার ধারে কাছে জ্ঞান না নিয়ে কথা বলতে আসা আজাইরা প্যাচাল হবে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আমারে জ্ঞানী মনে করার কোন কারন নাই। আমার জ্ঞান আপনাদের চেয়ে অনেক কম। একবার অনলাইনে আই কিঊ টেস্ট কইরা লজ্জা পাইছিলাম। ভাল থাকবেন।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: নিঃসন্দেহে আপনার গবেষণা প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা ফেরাউন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
আপনার কাছে আমার একান্ত একটা অনুরোধ কষ্ট করে আপনি যদি জ্বীন নিয়ে একটা গবেষণা মুলক পোষ্ট করতেন তাহলে বাধিত হতাম। আমি জ্বীন দেখতে চাই, জ্বীন ধরতে চাই, জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। আমি জ্বীনের স্পষ্ট নিদর্শন চাই। এবং যে এটা করতে পারবে তার কাছে চির কৃতজ্ঞ এবং চির ঋনী থাকব।
আপনার প্রতিউত্তের অপেক্ষায় রইলাম।
ধণ্যবাদ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য।
জ্বীন নিয়ে আমি কোন পড়ালেখা করিনাই এবং এই বিষয়ে আমার জ্ঞান এই শব্দের আভিধানিক অর্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সত্যি বলতে এই ব্যপারে আমার তেমন কোন উৎসাহ নেই। আমার উৎসাহের মুল বিষয়টা একটু ডিফারেন্ট।

আপনার বিষয়টা মাথায় রাখলাম। এই বিষয়ে আমার নিজের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা ছিল যা আমি নিজে বিশ্বাস করতে চাইনা। নিজেই যেহেতু নিজের অভিজ্ঞতা বিশ্বাস করতে চাইনা, তাহলে কিভাবে আপনার সাথে শেয়ার করব?

যদি কিছু মনে না করেন, আপনার সম্পর্কে একটু জানতে চাই যেমন বয়স, পেশা ইত্যাদি। যদি আপনার কোন সমস্যা না থাকে তবে জানালে খুশি হব।
ধন্যবাদ।

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০২

তার আর পর নেই… বলেছেন: আপনি ফেরআউন নাম নিয়ে যে একবচন, বহুবচনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটাই আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে।
কিন্তু কমেন্টে যেটা বললেন কেঁচো খুঁড়তে অজগর সেটা কি বোঝালেন? এমন কিছু যেটা কুরআনকে ভুল প্রমাণ করবে?
কুরআনে ফিরআউনের মরদেহ সংরক্ষণ সম্পর্কেও বলা হয়েছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কোরআনকে ভুল প্রমান করবে এমন কিছু এখনো পাই নাই। আমি যেটা বুঝাতে চাচ্ছি আরকিওলজিকাল ফ্যাক্ট এবং কোরআনের জিওগ্রাফিকাল বর্ণনা একই। কোরআন যা বলেছে তা এখন আরকিওলজিক্যাল ফ্যাক্ট দ্বারা প্রমানিত। কিন্তু এই প্রমানিত সত্য ট্র্যাডিশনের সাথে অথবা ওল্ড টেস্টামেন্টের সাথে মিলে না। ওল্ড টেস্টামেন্টের অনুবাদ্গত ম্যানিপুলেশন কারেকশন করতে পারলে দেখা যায় ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনাও নির্ভুল। ( বিশ্বাস করেন ওদের অনেক ইতিহাসিক বর্ণনা খুবই চমৎকার, ডিটেইলস এবং নির্ভুল- এরা ঐতিহাসিক ঘঠনার ক্ষেত্রে জিওগ্রাফিকাল, এবং বিভিন্ন নাম নিয়ে ম্যানিপুলেশন করেছে )তার মানে দ্বারায় ওল্ড টেস্টামেন্ট কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ম্যাইপুলেশন করা হয়েছিল। এবং এই ম্যনিপুলেশনের ফলে মুসলিম ট্র্যাডিশন দারুনভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। যার ফলে কোরআনের অর্থের বিকৃত এবং ভুল ব্যাখা দেয়া হয়েছে এতদিন ধরে।

আমার এই পর্বের লেখার মধ্যে এই বিষয়টা হাইলাইট করার একটা উদ্দেশ্যে ছিল। এইরকম প্রচুর উদাহরণ আমি একই ভাবে দেখাতে পারব। ওল্ড টেস্টামেন্ট বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কোরআন দিয়েও দেখানো যায় যে কোরআনে বর্ণিত ঘঠনা আমাদের অনেক টারডিশনাল বিশ্বাসের সাথে মিলে না মুল কথাটা হচ্ছে এইসব করে মুলত জিওগ্রাফিকাল ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে।

একটা ছোট উদাহরণ দেই। সবাই জানেন আরবরা হচ্ছে নবী ইব্রাহিমের পুত্র ইসমাইলের বংশধর। অর্থাৎ আমদের নবী মুহাম্মদ(সাঃ)ও নবী ইসমাইল (আঃ) এর বংশধর। এইটা খুবই শক্ত একটা বিশ্বাস এবং এই নিয়ে প্রচুর ট্র্যাডিশন ও আছে। কিন্তু কোরআন এই ধারনার সম্পূর্ণ বিপরীত। কোরআন অনুসারে নবী মুহাম্মদ এবং নবী ইসমাইলের মধ্যে কোন লাইনেজ দাড় করানো যায় না। এই রকম প্রচুর সাপ আছে। এইগুলি নিয়ে লিখলে বিপদ আছে। আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

তার আর পর নেই… বলেছেন: প্রথমেই বলে রাখি, আমি জানিনা। তবে মাঝে মাঝে খুব জানতে চাই। তাই প্রশ্নে ভুল বুঝবেন না।
কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।
১।বাইবেলের ক্ষেত্রে শুনেছি, প্রাচীনতম বাইবেল আর এখনকার বাইবেলের অনেকটা ডিফারেন্স।
একটা বিদেশী ভাষা কবিতা যদি তিনজনকে দেওয়া হয় তাহলে তিনজনের অনুবাদের অনেকটুকুই পার্থক্য থাকবে, কুরআনের ক্ষেত্রে কি এরকম হতে পারে?
২।কোন একটা গল্প বা কবিতার ক্ষেত্রে যেমন শুধু একটা লাইন যেমন পরিপূর্ণ অর্থ বোঝাতে পারেনা তেমন কি কুরআনের ক্ষেত্রে হতে পারে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা যে কোন কিছু বোঝাাতে একটা আয়াত ব্যবহার করে বোঝাই।
৩।তাহলে কুরআনে বর্ণিত মিশর কোথায়? (আপনি এই নিয়ে শেষ না করে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেছেন)

যদি ভাবি যে এই পথের শেষে কুরআন ঠিক কিন্তু আমাদের ভুল ধারণা আছে তাহলে জানতে চাই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ১।বাইবেলের ক্ষেত্রে শুনেছি, প্রাচীনতম বাইবেল আর এখনকার বাইবেলের অনেকটা ডিফারেন্স।

উত্তরঃ বাইবেল বলতে ওল্ড টেস্টামেন্ট যেটা ইহুদীদের গ্রন্থ এবং নিউ টেস্টামেন্ট যেটা খৃস্টানদের গ্রন্থ –এই দুইটা কে একসাথে বুঝায়। ইহুদীরা নিউ টেস্টামেন্ট কে স্বীকার করে না, খৃস্টানরা দুইটাকেই বিশ্বাস করে।

ওল্ড টেস্টামেন্ট= ইহুদীদের ধর্ম গ্রন্থ

ওল্ড টেস্টামেন্ট+ নিউ টেস্টামেন্ট= খৃষ্টানদের ধর্ম গ্রন্থ।

ওল্ড টেস্টামেন্টে প্রচুর বিকৃতি হয়েছে। বার বার ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে, নতুন টেক্সট ঢুকানো হয়েছে। প্রতিবার বিকৃতি হয়ে এইটা আজকের এই অবস্থায় এসেছে।

প্রাচীনতম ওল্ড টেস্টামেন্ট বলতে ইহুদীরা তথাকথিত হিব্রু ভাষায় লিখিত বাইবেল কে বুঝে থাকে। আপনার জ্ঞাথার্তে জানাচ্ছি হিব্রু ভাষা বলে কিছু নেই। এই তথা কথিত হিব্রু ভাষা ১৯ শতকে আবিস্কার করা হয় ইহুদিদেরকে জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা অংশ হিসাবে। এই ওল্ড টেস্টামেন্ট বিকৃতির ধরন সম্পর্কে আমি আমার এই লেখার প্রথমেই একটা ছোটখাট ধারনা দিয়েছি। অভারলুক করে গেলে আবার পড়েন তাহলে কিছু আইডিয়া পাবেন।

একটা বিদেশী ভাষা কবিতা যদি তিনজনকে দেওয়া হয় তাহলে তিনজনের অনুবাদের অনেকটুকুই পার্থক্য থাকবে, কুরআনের ক্ষেত্রে কি এরকম হতে পারে?


উত্তরঃ জ্বী, হতে পারে এবং হয়ে আছে। মুল আরাবিক কোরআন হচ্ছে একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা আজও আবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রচুর ব্যাতিক্রম দেখবেন। এর কারন অনেক। এরমধ্যে কতগুলি মুল কারন হচ্ছেঃ

১। ভাষা সংক্রান্ত জ্ঞানের অভাব

২। অনুবাদকের নিজস্ব মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হওয়া** (শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানী, অহাবী, হানাফি ইত্যাদি ইত্যাদি)

৩। ট্র্যাডিশন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া।**

৪। পূর্ববর্তী জেনারেশন ভুল করতে পারেনা -এই ধারনা পোষণ করা।

আমার একটা লেখায় এই ব্যাপারে কিছু বলা আছে খুব ছোট করে, ইমাম তাবারী, ইসলামের ইতিহাস লিখন এবং কোরআনের তাফসীর পদ্ধতিসেটা দেখতে পারেন। এর ফলে কোরআনের বিভিন্ন অনুবাদে প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়।

২।কোন একটা গল্প বা কবিতার ক্ষেত্রে যেমন শুধু একটা লাইন যেমন পরিপূর্ণ অর্থ বোঝাতে পারেনা তেমন কি কুরআনের ক্ষেত্রে হতে পারে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা যে কোন কিছু বোঝাাতে একটা আয়াত ব্যবহার করে বোঝাই।
উত্তরঃ এই ব্যাপারে উত্তর হচ্ছে হ্যা এবং না দুইটাই। অর্থাৎ এটা নির্ভর করে। কোরআনে কিছু আয়াত আছে যা সরাসরি কমান্ড। যেটা বুঝার জন্য অন্য কোন আয়াতের সাহায্য লাগে না। অর্থাৎ ঐ একটা লাইনই যথেষ্ট। আবার কিছু জিনিশ আছে যা বুঝতে কন্টেক্সট বুঝতে হয় (কন্টেক্সট বলতে এইখানে শানে নুযুল বা হাদিসের কাহিনী বুঝাচ্ছিনা, কোরআনের নিজস্ব কন্টেক্সটের কথা বলছি) সেই ক্ষেত্রে ঐ সম্পর্কিত সব গুলি আয়াত একসাথে পড়লেই মুল বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে আসে।

কোরআন স্টাডি করার পদ্ধতি নিয়ে অনেক আগে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম ইংরেজীতে (ঐ সময় বাংলা টাইপ করতে পারতাম না)কিন্তু পোস্ট করা হয় নাই। দেখি সময় পেলে এই সম্পর্কে বাংলায় কিছু লেখা যায় কি না। একটা কথা মনে রাখতে হবে কোরআন বুঝতে হলে কোরআনের কন্টেক্সটেই বুঝতে হবে।

৩।তাহলে কুরআনে বর্ণিত মিশর কোথায়? (আপনি এই নিয়ে শেষ না করে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেছেন)
কোরআনে বর্ণিত মিশর কোথায় সেটা অন্য একসময় পরে লিখব। ইজিপ্ট কেন কোরআনের বর্ণিত মিশর নয় এটা প্রমান করা জলবৎ তরলং। আমি তাই করে দেখিয়েছি। এর পরে মিশর কোথায় বা কোথায় হতে পারে তা প্রমান করা একটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, কারন এটা কনক্রিট ভাবে প্রমান করতে হলে প্রচুর ঐতিহাসিক ঘঠনাকে (ব্যাবিলিয়ন আক্রমণ, এস্যিরিয়ান আক্রমণ, আদ, হুদ, নুহ, মুসা, লুত, ইব্রাহিম- সবার কাহিনী)এনালাইসিস করতে হবে, কারন এই গুলি একি সুত্রে গাথা। আর এইগুলি গুছিয়ে লিখতে প্রচুর সময় দরকার। সেই জন্য প্রথম পর্বে আমার লেখার প্রথম দিকেই এই বিষয়ে বলে দিয়েছিলাম যে আমি শুধু প্রথম অংশটা প্রমান করব। ভবিষ্যতে সময় পেলে হয়ত এটা নিয়ে লিখব। আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমার স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে একটা নিদৃস্ট বিষয়ে আমার বেশিদিন আগ্রহ থাকে না। তবে আমার ঐ দুই পর্বে আমি যথেস্ট তথ্য দিয়েছি।

“যদি ভাবি যে এই পথের শেষে কুরআন ঠিক কিন্তু আমাদের ভুল ধারণা আছে তাহলে জানতে চাই।“
কোরআনে কোন ভুল নেই। ভুল হচ্ছে আপনার ব্যাখ্যা যা আপনার মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনো ইমাম মেহেদি, দ্বাজ্জাল, মাজার, এই সব হাবিজাবি গল্প বিশ্বাস করে। প্রচলিত বিশ্বাসের বাইরে গেলেই অনলাইনে বিভিন্ন ট্যাগ দেয়। আমাকে সুন্নীরা শিয়া বলে, শিয়ারা আমাকে অহাবী বলে, আবার অনেকেই আমাকে কাদিয়ানী বলে, পরোক্ষ ভাবে নাস্তিকও বলে। এইগুলি হচ্ছে আমার অভিজ্ঞতা। সুতরাং সত্য জানতে চাইলে সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে নিজে কোরআন পড়ে দেখুন। কোরআনের চেয়ে সত্য আর কিছু নাই।

ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য।

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেষণ মূলক পোষ্টের জন্য।

আমার প্রশ্ন হলো আপনি বুক অফ ডেড আর যেসব ইজিপ্ট রাজপ্রধানদের কথা উল্ল্যেখ করেছেন তারা কেউ ইজিপ্ট কিংবা মিশরের রাজপ্রধান নন। তারা হলো তাদের তৎকালীন ধর্মীয় বিশ্বাসের দেব দেবী এবং ধর্ম গ্রন্থের নাম। মিশরের তৎকালীন যারা রাজ প্রধান ছিলেন তাদের সাথে এইসব দেব দেবীর কোন মিল নেই। রাজ প্রধানদের উপাধী ফারাওই ছিলো।

আপনি বলতে চাইছেন কোরআনে উল্ল্যেখিত মিশর সেই ইজিপ্ট বা মিশর নয়। আপনি যেহেতু কোরআন মানেন এবং ভাল মত কোরআন সম্পর্কে অবহিত আছেন, আমি জানতে চাই তাহলে তুর পাহাড়ের অবস্থান কোথায় ? নীল নদ তাহলে কোথায় ? যে নীল নদ মূসা নবী অতিক্রম করেছিলেন ?

আমার মনে হয় ইসলামিক স্কলার হিসেবে আরও ভাবনার দরকার আছে।

ধন্যবাদ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: "আমার প্রশ্ন হলো আপনি বুক অফ ডেড আর যেসব ইজিপ্ট রাজপ্রধানদের কথা উল্ল্যেখ করেছেন তারা কেউ ইজিপ্ট কিংবা মিশরের রাজপ্রধান নন। তারা হলো তাদের তৎকালীন ধর্মীয় বিশ্বাসের দেব দেবী এবং ধর্ম গ্রন্থের নাম। মিশরের তৎকালীন যারা রাজ প্রধান ছিলেন তাদের সাথে এইসব দেব দেবীর কোন মিল নেই"।- আপনার কথা ঠিক আছে, আমিও এই প্রসঙ্গে একি কথা বলেছি। কিন্তু আপনি আমার লেখাটা বুঝতে ভুল করেছেন।

প্রথমত আমি বুক অফ ডেড এ কোন ইজিপ্ট রাজপ্রধানদের নাম উল্লেখ করিনি। বুক অফ ডেড- এ অবশ্যই তাদের দেব দেবতাদের নাম লেখা আছে, ইজিপ্টের কোন শাসকের নাম নয়। আমি কিন্তু কোথাও বুক অফ ডেড থেকে কোন কিছু প্রমান করেনি। আমি শুধু এইখানে দেখাতে চেয়েছি যে pr-aa শব্দটা বুক অফ ডেড থেকে নেওয়া হয়েছে যা কোনভাবেই ইজিপ্টের শাসকদের পদবী না। এই অংশটা আবার একটু পড়ে দেখার অনুরুধ রইল।

আমি স্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছিঃ
"সুতরাং এই The Great House’ শব্দটা কোনভাবেই ইজিপ্টের শাসকের সাথে সম্পর্কিত নয়, এটা তাদের দেবতা “হোরাস-রা” এর সাথে সম্পর্কিত। এইখানে “হোরাস-রা” কে বলা হয়েছে গ্রেট হাউজের অধিপতি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।"

রাজ প্রধানদের উপাধী ফারাওই ছিলো। - একটা জিনিশ আমি খুব পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই যে আপনি যদি অন্ধভাবে বিশ্বাস করেন যে ইজিপ্টের শাসকদের উপাধি ফারাও ছিল, এর বিপক্ষে কোন প্রমান মানবেনা তাহলে আমার কিছু বলার নেই। এইটা আপনার অন্ধ বিশ্বাস, যার উপরে কোন জোর চলে না। আমি এইখানে যতগুলি সোর্স থেকে প্রমান করা সম্ভব তা করে দেখিয়েছি। আপনার যদি নিজস্ব বিশ্বাসের পক্ষে কোন প্রমান থাকে তাহলে দিতে পারেন। আমি সেটা ভ্যারিফাই করে দেখব।

তুর পাহার কোথায় হতে পারে সেটা নিয়ে পরে আলোচনার দাবী রাখে। সেটা নিয়ে অবশ্যাই আলোচনা হতে পারে। তবে এটা এই দুই পর্বের সাথে রিলেটেড না।

নীল নদ অবশ্যই ইজিপ্টে। মুসা নবী নীল নদ অতিক্রম করেছিল এই ধরনের কোন কথা কোরআনে লেখা নেই। ট্র্যাডিশনে এই নিয়ে তিনটা ভার্সন আছে
১। নীল নদ
২। লোহিত সাগর
৩। সুয়েজ ক্যানেল।
আশা করি বুজতে পেরেছেন।


"আমার মনে হয় ইসলামিক স্কলার হিসেবে আরও ভাবনার দরকার আছে"।
- এইটা কি আমাকে বললেন। যদি আমাকে বলে থাকেন তবে বলছি, আমি খুব সাধারণ মানুষ। কোনভাবেই স্কলার না। খুব সাধারণ মানুষ হিসাবেই এই প্রশ্ন গুলি মনে আসে এবং এই গুলির উত্তর খোজার চেষ্টা করছি। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি কোন প্রমান দিয়ে হেল্প করতে পারেন তাহলে উপকৃত হতাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনি বলছেন তুর পাহাড় আপনার এই সিরিজের সাথে রিলেটেড না। কিন্তু যেহেতু আপনি প্রমান করতে চাইছেন যে মিশর নিয়ে এবং সে জন্য আপনি নীল নদ এবং ফারাও নিয়ে আলোচনা করেছেন অতএব তুর পাহাড় অবশ্যই আলোচনার দাবি রাখে। আর তুর পাহাড়কে সাক্ষী রেখে কোরআনে সূরাও আছে। তাই তুর পাহাড় ভাইটাল একটি বিষয় আপনার মিশর প্রমানের জন্য।

আর মিশরের রাজপ্রধান যেহেতু দেব দেবীরা নয় বরং রামেসিস এর মতো রাজপ্রধানরা ছিলো এবং মিশরের ইতিহাসই প্রমান করে যে রামেসিসদের ফারাও উপাধী দেয়া হতো। এটা নতুন করে প্রমানের কোন বিষয় নয়।

ভাই আমার জ্ঞানের পরিধি খুব সীমিত। আমি এইসব প্রমান করতে হিমশিম খাবো। আমিও আপনার মতই নিজস্ব ভাবনা শেয়ার করলাম মাত্র। তবে ইসলাম নিয়ে যেহেতু চর্চা করছেন তাই এবং আমিও কিছু যুক্তি দেখালাম তাই বলছি আমাদের আরও জানতে হবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে স্পষ্ট ভাবে বলার পরেও একি প্রশ্ন করছেন।

আপনি বলেছেন" রামেসিস এর মতো রাজপ্রধানরা ছিলো এবং মিশরের ইতিহাসই প্রমান করে যে রামেসিসদের ফারাও উপাধী দেয়া হতো।" - আমি জনাতে চাই কোন ইতিহাস ইজিপ্টের শাসকদের কে ফারাও বলত। আমি এইখানে বলেছি

১। যত হায়ারগ্লাপফিক্স আবিস্কৃত হয়েছে
২। যত প্রাচীন ডকুমেন্ট আবিস্কৃত হয়েছে
৩। ইজিপ্টের শাসকদের সমাধি ফলকে
৪। পিরামিডে
৫। মন্দিরের গায়ে

কোথাও "ফারাও" শব্দটা নাই। ইজিপ্টের শাসকদের কি উপাধি ছিল এবং কি নাম ছিল তা এইখানে একটা উদাহরণ সহ দেখিয়েছি। আপনি কোথায় পাইছেন ইজিপ্টের শাসকদের উপাধি ফারাও ছিল? কোন ইতিহাস আপনার পক্ষে এই কথা প্রমান করে? একটা প্রমান দেখান।আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটাই যে সত্য হবে তার কোন গ্যারন্টি আছে?

"আমিও কিছু যুক্তি দেখালাম তাই বলছি আমাদের আরও জানতে হবে। "- আপনি কোন যুক্তি দেখান নি। আপনি যা বিশ্বাস করে এসেছেন তাই বার বার রিপিট করছেন। যুক্তি দেখান, সেটা নিয়ে কথা বলব।

তুর কোন পাহারের নাম না। এর অর্থ পর্বত। জাবাল অর্থও পর্বত, তবে তুরের সাথে এর পার্থক্য আছে। কোরআনে যেটা বলেছে সেটা হচ্ছে "তুরে সিনাই" অর্থাৎ সিনাই পর্বত।

"এখন কোরআনে বর্ণিত মিশর বর্তমান ইজিপ্ট না এবং ইজিপ্টের শাসকদের কে ফারাও বলা হতনা"- এই দুইটা বিষয়ের সাথে সিনাই পর্বতের কি সম্পর্ক সেইটা আমারে আগে বুঝাইয়া বলেন। বুঝতে পারলে উত্তর দিতে সুবিধা হত।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ভাই চালায় যান...জানার কোন শেষ নাই! +++++

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: জানার কোন শেষ নাই, জানার চেস্টা বৃথা তাই
বিদ্যা লাভে লোকসান, নাই অর্থ নাই মান
ধন্য শ্রমিকের দান, হীরকের রাজা ভগবান
(হীরক রাজার দেশে)
:D

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আপনি আপনার পোষ্টে নীল নদের কথা বলেছেন, বৃষ্টির এবং নীল নদের পলি দ্বারা শস্যের আবাদের কথা বলেছেন। এর সাথে তবে আপনার মতানুসারে "কোরআনে বর্ণিত মিশর বর্তমান ইজিপ্ট না এবং ইজিপ্টের শাসকদের কে ফারাও বলা হতনা" এর সম্পর্ক কোথায় ? আপনার নীল নদের বিষয়টি অবতারনা করার জন্যই আমি কোরআনে বলা তুরের কথা জানতে চাইছি। এখানে তুর যে পাহাড় সেটা আমি জানি ভাই। কিন্তু কথা সেটা না তুরে সিনাই নিয়ে হলো কথা। আভিধানিক অর্থ নিয়ে কথা আসছেনা। কোরআনের আলোকে মিশর আর মূসা নবীর সম্পর্ক প্রমান করতে হলে তুরের কথা অবশ্যই তাহলে আসতে হবে। কারণ যদি সিনাই মিশরে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রমানিত হবে কোন মিশরে মূসা নবী ছিলেন।

আর দ্বিতীয় কথা হলো ফারাও প্রমান নিয়ে। আমি কোন নিজস্ব বিশ্বাস থেকে বলছিনা। আপাতত উইকির একটা লিংক দিচ্ছি।
List of pharaohs

আমি আমার মন্তব্যে কোথাও বিশ্বাসের কথা বলিনি। যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করছি যে তুর পাহাড়ের সমাধান করলেই প্রমান করা সহজ হয় পুরো বিষয়টা। যেহেতু আপনি কোরআন মানেন এবং জানেন। মূসা নবীর ইতিহাসে যেহেতু বুক অফ ডেড নেই আছে তুর পাহাড় তাই এই দিক নিয়ে এগুলেই সমাধান খোঁজা সহজ হবে।

ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: হাসব নাকি কাদব কিছু বুঝতেছিনা। কিছু মনে কইরেন না ভাই। আপনি যে লিঙ্ক দিছেন সেই লিঙ্ক আমিও দিয়েছি। এই দ্বারা বুঝলাম আপনি মুল লেখা না পড়ে অযথাই কমেন্ট করছেন। আমি এই লেখাতে দুইটা লিঙ্ক দিয়েছে, একটা আপনি রিপিট করেছেন। ঐ লিঙ্ক গুলিতে যে নাম এবং টাইটেল দেওয়া আছে তা একটু পড়ে দেখেন। কোথাও "ফারাও" শব্দটা আছে কিনা। থাকলে আমাকে জানাইয়েন।

"তুরে সিনাই"- আভিধানিক শব্দটা গুরত্বপুর্ন। কেন সেটা যখন এই বিষয়ে লিখব তখন বুঝতে পারবেন। বর্তমানে সিনাই পর্বত একটা না বেশ কয়েকটা আছে। কোরআনে যে তুরে সিনাইয়ের কথা বলা হয়েছে তা কোনভাবেই ইজিপ্টে অবস্থিত না। এইটা নিয়ে লিখব। ধৈর্য ধরেন।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



কাঁদেন আর হাসেন যাই করেন না কেন ভাই, আপনার পোষ্ট নিয়ে মন্তব্য করছি, আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, আপনি পোষ্টে যা বলেছেন তার রেফারেন্সে কথা বলছি, এর মানে কি এই হলো আমি আপনার পোষ্ট না পড়ে, না বুঝে কমেন্ট করছি ? বরং আপনি মূল পয়েন্ট থেকে সরে আসতে চাইছেন।

আমি ইচ্ছে করেই লিংকটা দিয়েছি। ফারাও তাদের নাম নয়। ফারাও বলা হয় রাজপ্রধানদের। লিস্টে সেই ফারাও কিংবা রাজ প্রধানদের নাম দেয়া আছে। যা প্রমানের জন্য যথেষ্ট নয় যে মিশর কিংবা মূসা নবীর সাথে ইজিপ্টের কোন সম্পর্ক নেই।

যাই হোক আপনার সাথে আলোচনা আর চালিয়ে যেতে পারছিনা বলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কারণ আপনি আলোচনা না করে বলছেন আমি আপনার পোষ্টে অযথাই নাকি কমেন্ট করছি। কোরআনে আসলে কোন সিনাই পর্বতের কথা বলা আছে, আর বর্তমানে আমরা যে সিনাই চিনি সেটা অবশ্য সচিত্র প্রামানিক দলিল সহ প্রমানিত হলে প্রমান করাটা সহজ হবে যে এই মিশর সেই মিশর না। আমি এই সহজ কথাটাই আপনাকে বলতে চেয়েছিলাম।

নবী আসলে কোন মিশরে ছিলেন সেটাও জানার দরকার। শুধু এইটা প্রমানিত হলেইত হবেনা যে এই মিশর সেই মিশর না। এটাও জানার দরকার আসলে সেই মিশর কোন মিশর ?

ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকুন।
আল্লাহফেয।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই লিংকটা দিয়েছি। ফারাও তাদের নাম নয়। ফারাও বলা হয় রাজপ্রধানদের। লিস্টে সেই ফারাও কিংবা রাজ প্রধানদের নাম দেয়া আছে। যা প্রমানের জন্য যথেষ্ট নয় যে মিশর কিংবা মূসা নবীর সাথে ইজিপ্টের কোন সম্পর্ক নেই।- দুইটা লিস্ট ভাল করে চেক করে দেখেন। সেইখানে নাম এবং টাইটেল দুইটাই দেওয়া আছে। আমার পোস্টে সেটা আমি একটা উদাহরণ দেখিয়েছি। ফারাও ইজিপ্টের শাসকদের কোন নাম বা টাইটেল ও না। তাহলে কি? আপনি বলেন?

আপনি বার বার বলে যাচ্ছেন "ফারাও বলা হয় রাজপ্রধানদের।" - কোথায় আছে একটা প্রমান দেখান। এইটাই আপনার যুক্তি "ফারাও বলা হয় রাজপ্রধানদের। "?। আরে ভাই একটা দেখান না।

কোরআনে সিনাই পর্বতের কথা বলা আছে। এই সিনাই পর্বত ইজিপ্টে আছে এইটা বলছে? প্রথমেই আমি আপনাকে বলেছিলাম তুর এবং জাবালের মধ্যে পার্থক্য আছে। কেন বলেছিলাম জানেন? কারন তুর হচ্ছে গ্রীন মাউন্টেইন বা সবুজ পর্বত। কোরআনে তুর সম্পর্কে যতগুলি আয়াত আছে সেইগুলি নিয়ে দেখেন, বর্তমানে আপনি যেইটা তুরে সিনাই মনে করতেছেন সেইটার সাথে আপনারটা মিলে কিনা।



১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১

ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: আপনি ত্যানা না প্যাচিয়ে কান্ডারী অথর্বের প্রশ্নগুলোর সরাসরি জবাব দিন ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৬

হানিফঢাকা বলেছেন: ত্যানা পেঁচানো বলতে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? উনার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।

১৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৩

হ্যাঁ এবং না বলেছেন: আমি একটু কনফিউসড। আমি কোন পক্ষেই না। এখানে তো বলা হচ্ছে

Pharaoh (/ˈfeɪ.roʊ/, /fɛr.oʊ/[1][2] or /fær.oʊ/[2]) is the common title of the Kings of Ancient Egypt until the Macedonian conquest.[3]

ফারাওহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.