নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী ইব্রাহিমের মিথলজিকাল ভ্রমণঃ পর্ব ২

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬



প্রথম পর্বের লিংকঃ নবী ইব্রাহিমের মিথলজিকাল ভ্রমণঃ পর্ব ১

O you who have believed, if there comes to you a disobedient one with information, investigate, lest you harm a people out of ignorance and become, over what you have done, regretful. (৪৯ঃ৬)

ওল্ড টেস্টামেন্টে নবী ইব্রাহিমের যে কাহিনী বর্ণনা করা আছে, আমাদের মুসলিম ট্র্যাডিশনেও প্রায় একি কাহিনী আছে, কিছুটা কাটছাট করে। যদিও কোরআন এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত বেশিরভাগ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিরব, তাই এইখেত্রে আমরা দেখব মুসলিম ট্র্যাডিশন এবং ওল্ড টেস্টামেন্টে কি বলা আছে এবং এর সত্যতা কতটুকু।

নবী ইব্রাহিমের দেশ ত্যাগের ঘঠনা কে আমরা প্রধানত দুইটি ভাগে ভাগ করতে পারি,

১। প্রথম অংশ হচ্ছে তথাকথিত মেসপ্টামিয়া থেকে হারান হয়ে জেরুজালেম হয়ে ইজিপ্টে গমন এর পর আবার জেরুজালেম প্রত্যাবর্তন

২। জেরুজালেম থেকে দক্ষিণ হিজায তথা আরবে রেগুলার গমন

আমরা দ্বিতীয় অংশ থেকে শুরু করব।

জেরুজালেম থেকে আরবে যাতায়াতঃ

আমরা হঠাত করেই আরবের মধ্যে নবী ইব্রাহিমের উপস্থিতি দেখতে পাই। উনি উনার ১০০ বছরের বেশি বয়সে তার স্ত্রী এবং পুত্রকে তথাকথিত জেরুজালেম থেকে ১২০০ কিলোমিটারের বেশি দুরত্বে জনবিহীন নির্জন আরব উপত্যকায় নির্বাসন দিতে আরবে আসেন। তাদেরে কে নির্বাসন দিয়ে তিনি আবার ১২০০ কিলোমিটার দুরত্ব ভ্রমণ করে জেরুজালেমে ফিরে তার পরিবারের সাথে সুখে শান্তিতে বাস করতে থাকেন। মুসলিম ট্র্যাডিশন আমাদের বলে যে নবী ইব্রাহিম এর পর প্রায়ই আরবে তার ফেলে যাওয়া স্ত্রী এবং পুত্রকে দেখতে জেরুজালেম থেকে আরবে রেগুলার যাতায়াত করেন। ট্র্যাডিশন থেকে আমরা দেখতে পাই উনি কমপক্ষে ৬ বার এই দীর্ঘ ভ্রমণ করেছেন। আসেন ম্যাপ দেখিঃ

মক্কা থেকে জেরুজালেমের যদি একটা সরলরেখা টেনে এর ভৌগলিক দুরত্ব মাপি (উপরের ম্যাপ অনুযায়ী) তা হলে এর দুরত্ব হবে প্রায় ১২৩৫ কিমি। এখানে গুগল ম্যাপের সাহায্যে দুরত্ব মেপে দেখানো হয়েছে। কারও সন্দেহ হলে একটু কষ্ট করে মেপে দেখতে পারেন। যাতায়াত পথের দুরত্ব আরও বেশি হবার কথা। যদি উনি কমপক্ষে ৬ বার জেরুজালেম থেকে আরবে আসা যাওয়া করে থাকেন, তাহলে তিনি প্রায় ১৫০০০ কিমি পাড়ি দিয়েছিলেন।এই দুরত্ব শুধুমাত্রে জেরুজালেম থেকে আরব পর্যন্ত, যার মধ্যে উনার ওরিজিনাল ভ্রমণ (উর-হারান-জেরুজালেম-ইজিপ্ট-আরাবিয়া-জেরুজালেম) অন্তর্ভুক্ত না। বিখ্যাত তফসিরকারক “ইবনে কাছির” বলেছেনঃ

“… and Ibraheem (P) would travel repeatedly to visit his son and the mother of
his son in the Pharan country (another name they claimed belonged to the Ḥijāz mountains around present day Makkah) to check up on them.”

যারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবি করে, যদি তাদের মাথার মস্তিস্ক এখনো অনু পরিমাণ সচল থাকে তবে কিভাবে এই গল্প বিশ্বাস করে যে, একজন ১০০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মরুভূমিতে পায়ে হেটে বা গাধার পিঠে চড়ে কমপক্ষে ১২ বার (৬*২=১২) প্রতিবারে ১২০০ কিলোমিটারের অধিক (মোট প্রায় ১৫০০০ কিমি) দুরত্ব অতিক্রম করে এবং কি উদ্দেশ্যে? এর কোন ব্যাখ্যা আছে? মাথা কাজ করছেনা? মুসলমানদের বোধশক্তি ত অনেক আগেই বিসর্জন দেওয়া হয়ে গেছে। এর কোন যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যা দেবার সামর্থ্য আসবে কোথা থেকে? এই জন্য “ইবনে কাছির” মুসলমানদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে একটা অসাধারন সমাধান দিয়েছেন। তিনি আরও উচ্চ সোর্স থেকে বর্ণনা করেছেনঃ

“And it was reported that he (Ibraheem) would ride the Pegasus (winged horse)
to there, and Allah knows best”

(পেগাসাস= বোরাক= পঙ্খীরাজ- এই ধারনার উৎপত্তি কোথায় জানেন? এইটাও একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়, তবে এখানে অ-প্রাসঙ্গিক)

সত্যি, আল্লাহই ভাল জানেন। প্রবলেম সল্ভড। হাত তালি দেন।

এই রকম পিকিউলিয়ার ধারনা খুব ভালভাবে মুসলমানদের মাথার ভিতরে সেট করে দোয়া আছে। মুসলমানরা এই নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন তুলে না কারন বর্ণনার উৎসকে তারা মনে করে ডিভাইন বা ঐশ্বরিক (আল্লাহ বলেছেন)। প্রায় ৯৯.৯৯% মুসলমান এই ধারনা পোষণ করে।

সুতরাং কোনখান থেকে শুরু করব? আমার মনে হয় কিছু ক্ষুদ্র বিষয় ছাড়া নবী ইব্রাহিম সম্পর্কে মুসলমানদের এবং ইহুদীদের বিশ্বাস প্রায় একি রকম। তার জন্ম, দেশত্যাগ, তার দুই স্ত্রী, দুই পুত্র, জেরুজালেমে গমন, ইজিপ্টে গমন, ইজিপ্টে অবস্থান কালে তার স্ত্রী সম্পর্কিত কাহিনী প্রায় সবি একি রকম। এই বিষয়গুলিতে, কিছু ক্ষুদ্র বিষয় ছাড়া ইহুদীদের বিশ্বাসের সাথে মুসলমানদের বিশ্বাসের কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু একটা বিষয়ে ইহুদীদের সাথে মুসলমানদের একটা বিরাট পার্থক্য আছে যা মুসলমানরা বিশ্বাস করে কিন্তু ইহুদীরা করে না আর তা হচ্ছে আরব (আরব বা আরাবিয়া বলতে শুধুমাত্র বর্তমান সৌদি আরবকে বুঝাচ্ছিনা) আরও স্পেসিফিক ভাবে দক্ষিণ হিজায যেখানে মক্কা নগরী অবস্থিত- ঐ এলাকার সাথে নবী ইব্রাহিমের জীবনের একটা গুরত্বপুর্ন অংশ জড়িত।

তথাকথিত মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী নবী ইব্রাহিম মেসপ্টমিয়াতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন, যাত্রা পথে তিনি তার স্ত্রী এবং পুত্র সন্তান কে জনশূন্য আরব উপত্যকায় এক ফেলে রেখে ১২০০ কিমি ভ্রমণ করে জেরুজালেমে ফিরে গিয়েছিলেন। এর পরে উনি সেখানে বেশ কিছু বার ভ্রমণ করেন, শেষে যখন তার পুত্র আরেকটু বড় হল তখন সেখানে গিয়ে তার ছেলের সাথে মিলে কাবা ঘর নির্মাণ করেন। তার পর সেখান থেকে তার ছেলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার জেরুজালেমে তার আগের পরিবারের কাছে ফিরে আসেন। তারপর তার পুত্র (ইসমাইল) থেকে আরব জাতির জন্ম হয়, এর মধ্যে নবী মুহাম্মদও অন্তর্ভুক্ত। (অর্থাৎ নবী মুহাম্মদের পূর্বপুরুষ ছিলেন নবী ইব্রাহিমের ফেলে যাওয়া পুত্র ইসমাইল।) আর নবী ইব্রাহিম জেরুজালেম তার আসল পরিবারের সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলেন। সেখানেই তিনি মারা যান এবং তাকে বর্তমান প্যালেস্টাইনের হেবরনে সমাহিত করা হয়।

এই গল্প মুসলমানদের প্রশ্নাতীত ভাবে গ্রহণ করতে হয় কারন আমাদের যারা এই ঘঠনা বর্ণনা করেছেন তাদের কথাকে আমরা আল্লাহর কথা বলেই বিশ্বাস করি (আল্লহা বলেছেন)। কিন্তু এর প্রায় সবই ইহুদীদের বানানো গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে এবং মুসলমানরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী কাস্টমাইজড করেছে। আরও পরিষ্কার ভাবে বললে বলতে হয় এই গল্প মুসলমানদের মাথার ভিতরে ইচ্ছাকৃতভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারন একটাই, যা কিছু ঘঠেছে, নবী মুহাম্মদের আগে যত নবী রাসুল এসেছে সব জেরুজালেমে বা প্যালেস্টাইনে এসছে, সুতরাং নবী রাসুল সংক্রান্ত সব ঘঠনার মঞ্চ জেরুজালেমে এবং প্যলেস্টাইনে সঙ্ঘঠিত হয়েছে- এই ধারনাটা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি ছিল। এটা ছিল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কিন্তু এটা আরকিওলজি দ্বারা প্রমানিত সত্য যে বর্তমান জেরুজালেম বা প্যালেস্টাইন কোন রকম ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না। যাইহোক আমরা মুল আলচনায় ফিরে যাই।

কিন্তু যে মুসলমান স্কলাররা এই গল্প ওল্ড টেস্টামেন্ট বা ইহুদী ট্র্যাডিশন থেকে কপি করেছেন তারা ওল্ড টেস্টামেন্টের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিষ ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে এড়িয়ে গেছেন, আর সেটা হচ্ছে নবী ইব্রাহিমকে সমাহিত করার ঘঠনার বর্ণনা।

তাঁর দুই পুত্র ইসহাক আর ইশ্মাযেল মিলে তাঁর মৃতদেহ মক্পেলার গুহাতে কবর দিল। সোহরের পুত্র ইফ্রোণের জমিতে ঐ গুহা। জায়গাটা ছিল মম্রির পূর্ব দিকে। (জেনেসিস ২৫:৯)

জেরুজালেম থেকে ১২০০ কিমি দূরে হিজাযে বসবাস করে ইসমাইল কিভাবে নবী ইব্রাহিমের মৃতদেহ দাফনের জন্য জেরুজালেমে উপস্থিত থাকতে পারে? নাকি ইসমাইলও বোরাকে চড়ে জেরুজালেমে যেত। অথবা এমনকি হতে পারে যে নবী ইব্রাহিমের দুই পরিবার দুই জায়গায় থাকার ঘঠনা সম্পূর্ণ বানানো, বরং নবী ইব্রাহিম স্ব পরিবারে সবসময় একসাথেই ছিল? যদি তাই হয়, তবে প্রশ্ন থাকে তার বাসস্থান কোথায় ছিল। মনে রাখতে হবে কোরআনের কোথাও আল্লাহ নবী ইব্রাহিমের কোন স্ত্রী বা সন্তান কে নির্বাসনের কথা বলেন নাই, এইটা এসেছে মুসলিম ট্র্যাডিশন থেকে এবং এই মুসলিম ট্র্যাডিশনের উৎস ওল্ড টেস্টামেন্ট।
(চলবে)

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বলেছেন: বেশির ভাগ মানুষই চিন্তা করেনা। শুধু বিশ্বাস করেনেয়... আর কোন সমস্যা হলে অলৌকিকতার আশ্রয় নেয় মেনে নিতে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: <<< আর সেই অলৌকিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে ব্লগে এই রকম কথা শুনতে হয়। অনেকে আবার কিসের গন্ধ পাওয়া শুরু করেছে।
ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

নতুন বলেছেন: যদি উনি কমপক্ষে ৬ বার জেরুজালেম থেকে আরবে আসা যাওয়া করে থাকেন, তাহলে তিনি প্রায় ১৫০০০ কিমি পাড়ি দিয়েছিলেন।

উনি ৬ বার ভ্রমন করেছিলেন তা কি কোরানে আছে? না থাকলে তার উপরে বিশ্বাস করি কিভাবে?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৬

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনে নাই। বিভিন্ন মুসলিম ট্র্যাডিশনে আছে। ৬ বার নিদৃস্ট করে বলা হয় নাই। সংখ্যাটা ৬-৮ বার। আমি একবার গুনে দেখেছিলাম কত বার হয়।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: আপনি বার বার ভুল করছেন । বাইবেল ও মুসার কিতাব পড়েন । দেখবেন আরও মজা পাবেন । আমাদের কাছে সত্য হল আল কুরান । কুরান কি বলেছে । মানুষ কত গল্প কত ভাবে লিখে । পাড়লে পিরামিডের রহস্য বেধ করেন ।।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২

হানিফঢাকা বলেছেন: সত্য হল কোরআন এতে কোন সন্দেহ নাই। তবে সমস্যা হচ্ছে কিছু কিছু মানুষ নিজের কথা কে কোরআনের আয়াত বলে চালিয়ে দিতে ওস্তাদ। প্রমান চাইলে মুসলমান কি না এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

সেলিনা জাহান প্রিয়া বলেছেন: একটা লোক ১৪ বার ভারত আসা যাওয়া করে । এবং আমার এক মামা প্রতিদিন ভুটান যায় আসে । প্রস্ন হলে কিভাবে ।
উত্তর হল । যে প্রতিদিন যায় আসে সে সিমান্তে থাকে । আর যে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ভুটানে যায় আসে । সে ভুরিমারি সীমন্ত দিয়ে যায় আসে । ভাল কিছু করুন । মহাভারত শত শত ভুল । সেই গুলো মানুষ পড়ে মজা পায় । পাড়লে এই জিবনে মানুষের জন্য কিছু করুন । যেমন আরজ আলি মাতাবর হন ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

হানিফঢাকা বলেছেন: দয়া করে আমাকে ফ্রি উপদেশ দেওয়া ছাড়ুন।

আপনি বলতে চাইছেন জেরুজালেম এবং হিযায বর্ডার সংলগ্ন এলাকা? নাকি নবী ইব্রাহিম বরাকে চড়ে জেরুজালেম এবং হিযাজের মধ্যে আসা যাওয়া করত? কোনটা?

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: আপনি ততাকথিত মুসলমান মানে কি বুঝতে চাচ্ছেন ? আপনি ইতিহাস প্রেক্ষাপট আলোচনা করতে গিয়ে ইহুদি ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন যেটা আপনি "ততাকথিত মুসলমান" ও " ওল্ড টেস্টামেন্ট " বার বার ব্যবহারের মাধ্যমে বুঝা যাই , তা ভাই একটা কথা বলি , যদি ইউরোপ যাওয়ার কোনো ধান্দা থাকে তবে ইসলাম সম্পর্কে উল্টা পাল্টা লেখা চালিয়ে যান তবে দেখবেন একদিন সকালে হয়ত সেন্গজিং ভিসা মাইল গেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: নিজের দেশ ছেড়ে ইউরোপে কেন যাব? এই দেশে আমার কি সমস্যা?

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: সেলিনা জাহান আপা,::ভাল কিছু করুন । মহাভারত শত শত ভুল । সেই গুলো মানুষ পড়ে মজা পায় । পাড়লে এই জিবনে মানুষের জন্য কিছু করুন । যেমন আরজ আলি মাতাবর হন ।

উনি অন্য ধর্মের হাজারটা কাল্পনিক কথা এগুলা নিয়া লেখবে না কারণ দুটি , এক এতে ইউরোপের ভিসা মিলার কোনই সম্ভবনা নাই। দুই বরং দাদাগো , আঙ্কেল দের প্যাদানি খাওয়ার ১০০০% রিস্ক।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: আমরা যখন ব্লগে আলোচনা করি অনেকই জানিনা যে কম্পিউটারের ঐ পাশে কে আছেন। এই জন্য কথা বলার সময় যথেষ্ট হিসাব করে সম্মান দেখিয়েই কথা বলি। সবাইকে নিজের মত পজিশনে ভাবা ঠিক না। আমি বাংলাদেশে ওয়েল স্টাবলিসড। আপনার জ্ঞাথার্তে জানাচ্ছি যে আমেরিকা বা ইউরোপে ভ্রমণের জন্য আমার জন্য টাকা বা ভিসা কোন সমস্যা না।
ধন্যবাদ।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জাহিদ মজুমদার বলেছেন: ছোটবেলায় জুমার নামাজে হুজুর প্রাত্যহিক জুমার বয়ান করতেছিলেন, হঠাৎ আধোঘুমে থেকে জেগে একজন হুজুরকে জিজ্ঞােসিলেন, আজরাইল একসাথে এতলোকের জান কিভাবে কবজ করিবেন। বোধহয় কিয়ামত নিয়া আলোচনা চলিতেছিল, হুজুর ছিলেন আমাদের সম্পর্কিত এক কাকা। তিনি এতটুকু বিচলিত না হইয়া জবাব দিলেন, মানুষের আবিষ্কার বিদু্ৎ যদি একটা সুইচ দিয়া সারাদেশের সব বাতি নিভাইয়া দিতে পারে, তাহলে আল্লাহর সেই পাওয়ার নাই? উত্তর শুনিয়া আমরাও একটু চমকাইছিলাম। এখন আপনে গবেষণা করতে পারেন, আল্লাহর সেই পাওয়ার আছে কিনা?
আপনে গবেষণা করেন, কিন্তু খোঁচাখুচির দরকার কি?
এক জায়গায় লিখলেন, তিনি তাঁর স্ত্রী সন্তানকে নির্বাসনে দিয়েছেন, আমরাতো শুনছি, নমরুদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আল্লাহর আদেশে তাদের মক্কায় রেখে আসেন। আচ্ছা আরেকটা গবেষণা করেন, ওই সময়ের যেহেতু এত কিছু বাইর করলেন, তাহলে এইটাও বাইর করেন, জমজম কুপটা কখন সৃষ্টি হইছিল? ইব্রাহিম (আ.) ১০০ বছর বয়সে কমপক্ষে ৬ বার ইজিপ্টে যাতায়ত... আপনি এই তথ্য কই পাইলেন? এক দেড়শ বছর আগে আমাগো দেশ থেকেও হেঁটে হেঁটে লোকজন হজ্ব করতে গেছিলেন, কেউ কেউ অনেকবার। বাংলা থেকে মক্কার দূরত্ব কয় কিমি.
করলেন

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: "এক জায়গায় লিখলেন, তিনি তাঁর স্ত্রী সন্তানকে নির্বাসনে দিয়েছেন, আমরাতো শুনছি, নমরুদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আল্লাহর আদেশে তাদের মক্কায় রেখে আসেন।" - এই ঘঠনা আমি আজকে শুনলাম। কই পাইছেন যদি একটু বলতেন তবে উপকৃত হইতাম।

ইব্রাহিম (আ.) ১০০ বছর বয়সে কমপক্ষে ৬ বার ইজিপ্টে যাতায়ত... আপনি এই তথ্য কই পাইলেন?- আমারও ত একই প্রশ্ন ? আপনি এইটা কই পাইলেন?

১০০ বছর বয়সে বাংলা থেকে মক্কায় কে কত বার হজ্জ করতে গিয়েছেন?

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুটোই মন দিয়ে পড়লাম।

আসলে আপনি কি প্রমাণ করতে চাইছেন? নবী ইব্রাহিম আ: এর ধর্ম ভুল? না মুহাম্মদ সা: এর ধর্ম ভুল?

মিথলজি আর আর্কিওলজির মারপ‌্যাচে ইলটিমেট টার্গেট টা কি তা বেশ ধোয়াশা হলেও যেন কোন একদিকে হলে পড়ছে! অজান্তেই!

আসুন আমার সামান্য জানা আর অনুভবে কিছূ শেযার করি-

মূল পয়েন্ট অব ফোকাসে আপনি ৩-৪ টি ঘটনা দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন- এ এরকম অযোগ্য অগ্রহযোগ্য অনীতিবান লোককে কি ভাবে অনুসরন করে! মুসলমানদের বুদ্ধি খুব নিম্ন ইত্যাদি.... যার বেশ কিছু আপনার মনগড়া দুর্বল ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

আচ্ছা ইব্রাহিম আ: এর মূল আদর্শ একত্ববাদের প্রসঙ্গটা কি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেলেন? মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে উনার যৌক্তিক, অনুসন্ধানী এবং সত্য জ্ঞান লাভের মৌলিক বিষয়টা একবারও এলোনা আলোচনায়।
অথচ ঐ সমসায়িক সময়ের প্রচলিত বিশ্বাসের মূলেই উনি কুঠারাঘাত করে মানুষকে মুক্ত জ্ঞানের পথে আনয়ন করেছিলেন।
যার বর্ণনা কোরআনে বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন আয়াতে আছে-
সূরা বাকারা আয়াত ১৩৫
وَقَالُواْ كُونُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُواْ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (135
তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
এখানে দেখূন স্পষ্ট বিষয় উল্লেখ হয়েছে মুশরিক ইস্যু..

আবার জেরুজালেমকে আপনি কি কারণে একেবারেই মূল্যহীন করতে চাইছেন তার মোটিভও পরিস্কার নয়। াথচ এটা সত্য যে আগে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরেই প্রার্থনা হতো। পরে নবীজির মনের আকুতিতে আল্লাহ তা ইব্রাহিম আ: এর নির্মিত কাবা'র দিকে ঘূরিয়ে দেন। কোন মিথ না - কোরআনের আয়াত
সুরা বাকারাহ: আয়াত ১৪২

قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاء فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوِهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ (144
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।

তাহালে জেরুজালেম নীয়ে আপনার মনগড়া দাবীও অযৌক্তিক। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। আর এর সাথে মিরাজের ইতিহাসও জড়িত! সে প্রসঙ্গ ভিন্ন।

আপনার ২ পোষ্টের কন্টেন্টের বেসিক গুলোর সামান্য অসংগতি খো*জার চেষ্টা করছি- মন্তব্যটা বড় হয়ে যাচ্ছে!

আপনি যে ৩-৪টি ঘনটা বিচ।ছিন্নভাবে উপস্তাপন করেছেন তাতে আপনার জ্ঞানের স্বল্পতা বা ইচ্ছাকৃত কোন মিশনের গন্ধ পাওয়া যায়!
আসুন যৌক্তিক ভাবেই দেখি-
আপনি উনার মৌলিক বিশ্বাসের জায়গাটাকেই বাদ দিলেন।
মানবিক দুর্বলতা অনেক নবীর মাঝেই ছিল যা পরে ষংশোধিত হয়েছে। আপনি আংশিক উপস্থাপন করলেন।
আল্রাহর তরফ থেকে পরীক্ষার জণ্য অনেক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাকে আপনি আলাদা করে দেখলে তথাকথিত অনেক অসংগতি পাবেন- যা আপনার লেখায় দৃশমান।
আবার এইরকম করে আপনার মতো করে তখনকার অবিশ্বাসীরাও নবীকে প্রশ্ন করত- আপনি যদি সত্য নবী হন তাহলে ঐ ঘটনার বর্ণনা করুন। তারা ভাবত নবীজির পক্ষে ২০০-৫০০০ হাজার বছর আগের কথা বলা কখনোই সম্ভব হবে না। আর তারা তাকে নবী না মানার দাবী মজবুত করতে পারবে। কিন্তু নবী যখন ওহীর মাধ্যমে সব জানিয়ে দিতেন, তারাও রাব্বীর কাছ থেকে জেনে দেখত তা সত্য! তখন তারাই অভিযোগ করত এতো পুরাকালের কথা মাত্র! যা কারও না কারো কাছ তেকে নবি জেনে বলছেন!!!!
মোট কথা তারা সত্যকে না মানার সকল আয়োজন সম্পন্ন করত। নানা কথার ছলে যুক্তির দোহাই দিয়ে বা উপহাস করে।

ইব্রাহিম আ: এর বিশ্বাস এবং প্রার্থনা গুলো লক্ষ্য করুন= যার প্রতি অবিচল থাকতে আল্লাহ আদেশ করেছেন..
সূরা ইব্রাহিম

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَـذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَن نَّعْبُدَ الأَصْنَامَ (35
যখন ইব্রাহীম বললেনঃ হে পালনকর্তা, এ শহরকে শান্তিময় করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তান সন্ততিকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।

رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ فَمَن تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ (36
হে পালনকর্তা, এরা অনেক মানুষকে বিপথগামী করেছে। অতএব যে আমার অনুসরণ করে, সে আমার এবং কেউ আমার অবাধ্যতা করলে নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُواْ الصَّلاَةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِّنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُم مِّنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ (37
হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি; হে আমাদের পালনকর্তা, যাতে তারা নামায কায়েম রাখে। অতঃপর আপনি কিছু লোকের অন্তরকে তাদের প্রতি আকৃষ্ট করুন এবং তাদেরকে ফলাদি দ্বারা রুযী দান করুন, সম্ভবতঃ তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে

رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللّهِ مِن شَيْءٍ فَي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاء (38
হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি তো জানেন আমরা যা কিছু গোপনে করি এবং যা কিছু প্রকাশ্য করি। আল্লাহর কাছে পৃথিবীতে ও আকাশে কোন কিছুই গোপন নয়।

الْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاء (39
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি আমাকে এই বার্ধক্যে ইসমাঈল ও ইসহাক দান করেছেন নিশ্চয় আমার পালনকর্তা দোয়া শ্রবণ করেন।

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء (40
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা, এবং কবুল করুন আমাদের দোয়া।

رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ (41
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।

এগুলোই কি বিশ্বাসের মূল বিষয় নয়? তবে আপনি এগুলোকে পাশ কাটিয়ে কিছূ মিথ যার উল্লেখ কোরআনে নাই তার বানানো মতামতে কি করে বলেন-
" এই হচ্ছে ট্র্যাডিশন বর্ণিত উত্তম আদর্শের কিছু নমুনা। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় মুসলমানরা তাঁদের সাধারন জ্ঞান, বোধ ১২০০ বছর আগেই বিসর্জন দিয়েছে।" ???????

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: দুটোই মন দিয়ে পড়লাম।

আসলে আপনি কি প্রমাণ করতে চাইছেন? নবী ইব্রাহিম আ: এর ধর্ম ভুল? না মুহাম্মদ সা: এর ধর্ম ভুল?


উত্তরঃ আমার মনে হয়না আপনি দুইটা লেখাই মন দিয়ে পড়েছেন। আপনার মন্তব্য পড়ে যা বুঝলাম, আপনি পুরা লেখাটাকেই ভুল বুঝেছেন। আমার লেখায় কোথাও কোন ইঙ্গিত আছে কি যে আমি বলতে চেয়ছি নবী ইব্রাহিম (আঃ) বা নবী মুহাম্মদ (সাঃ)এর ধর্ম ভুল? এইটা আপনার বেশী বুঝার ফল। এইখানের মুল বিষয় ছিল ট্র্যাডিশনে বর্ণিত কাহিনীর সত্যতা নিয়ে, কোন নবীর ধর্মীয় বিশ্বাস কে প্রশ্নবিদ্ধ করা না। যেখানে স্বয়ং কোরআন এই ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়, আমার তার বিপরীত চিন্তা কারার কোন কারন নেই। আমার মুল প্রশ্নটা ছিল ট্র্যাডিশন কে ঘিরে। আমার এইটা মনে করার কোন কারন নেই যে ট্র্যাডিশনে নবীদের সম্পর্কে যেসব কথা লেখা আছে তার সবই সঠিক। এইটাই লেখার মুল বিষয় ছিল। সেইটা না বুঝে আপনি চলে গেছেন অন্য দিকে। যদি আপনি মনে করেন ট্র্যাডিশনে নবীদের সম্পর্কে বর্ণিত সব কাহিনী সঠিক তবে ওপেন বিতর্কের চ্যালেঞ্জ রইল।


মূল পয়েন্ট অব ফোকাসে আপনি ৩-৪ টি ঘটনা দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন- এ এরকম অযোগ্য অগ্রহযোগ্য অনীতিবান লোককে কি ভাবে অনুসরন করে! মুসলমানদের বুদ্ধি খুব নিম্ন ইত্যাদি.... যার বেশ কিছু আপনার মনগড়া দুর্বল ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।

উত্তরঃ সেই একই ভুল। আমি নবীদের নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি, আমি প্রশ্ন তুলেছি যারা এই সব ঘঠনা লিখেছে তাঁদের নিয়ে। আবার দয়া করে বলবেন না এই ঘঠনা গুলি আপনার লেখকরা সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে পেয়েছেন।


আচ্ছা ইব্রাহিম আ: এর মূল আদর্শ একত্ববাদের প্রসঙ্গটা কি ইচ্ছা করেই এড়িয়ে গেলেন? মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে উনার যৌক্তিক, অনুসন্ধানী এবং সত্য জ্ঞান লাভের মৌলিক বিষয়টা একবারও এলোনা আলোচনায়।
অথচ ঐ সমসায়িক সময়ের প্রচলিত বিশ্বাসের মূলেই উনি কুঠারাঘাত করে মানুষকে মুক্ত জ্ঞানের পথে আনয়ন করেছিলেন।
যার বর্ণনা কোরআনে বিক্ষিপ্ত বিভিন্ন আয়াতে আছে-
সূরা বাকারা আয়াত ১৩৫
وَقَالُواْ كُونُواْ هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُواْ قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (135
তারা বলে, তোমরা ইহুদী অথবা খ্রীষ্টান হয়ে যাও, তবেই সুপথ পাবে। আপনি বলুন, কখনই নয়; বরং আমরা ইব্রাহীমের ধর্মে আছি যাতে বক্রতা নেই। সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
এখানে দেখূন স্পষ্ট বিষয় উল্লেখ হয়েছে মুশরিক ইস্যু..


উত্তরঃ আমি এইখানে ধর্মীয় বয়ান লিখতে বসিনি। লেখার শুরুতেই একটা ভুমিকা দেওয়া আছে। সেটা হয়ত আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। আমার লেখার সাথে একত্ব বাদের প্রসঙ্গ সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আমি এইখানে কোন নবীর মহিমা প্রচার করতেও লিখিনি যার লাইনে লাইনে থাকবে সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ এইসব। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।


আবার জেরুজালেমকে আপনি কি কারণে একেবারেই মূল্যহীন করতে চাইছেন তার মোটিভও পরিস্কার নয়। াথচ এটা সত্য যে আগে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরেই প্রার্থনা হতো। পরে নবীজির মনের আকুতিতে আল্লাহ তা ইব্রাহিম আ: এর নির্মিত কাবা'র দিকে ঘূরিয়ে দেন। কোন মিথ না - কোরআনের আয়াত
সুরা বাকারাহ: আয়াত ১৪২

قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاء فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّواْ وُجُوِهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوْتُواْ الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ وَمَا اللّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ (144
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে।

তাহালে জেরুজালেম নীয়ে আপনার মনগড়া দাবীও অযৌক্তিক। এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। আর এর সাথে মিরাজের ইতিহাসও জড়িত! সে প্রসঙ্গ ভিন্ন।


উত্তরঃ জেরুজালেম সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের ঘাঠতি আছে। আরও পড়াশোনা করুন। এইখানে বিস্তারিত বর্ণনা করছিনা কারন এর জন্য প্রচুর লেখতে হবে।


আপনার ২ পোষ্টের কন্টেন্টের বেসিক গুলোর সামান্য অসংগতি খো*জার চেষ্টা করছি- মন্তব্যটা বড় হয়ে যাচ্ছে!

আপনি যে ৩-৪টি ঘনটা বিচ।ছিন্নভাবে উপস্তাপন করেছেন তাতে আপনার জ্ঞানের স্বল্পতা বা ইচ্ছাকৃত কোন মিশনের গন্ধ পাওয়া যায়!

[/sb
উত্তরঃ গন্ধ পাইয়া ফালাইছেন। আপনার ঘ্রান শক্তিত সেই রকমের।



আসুন যৌক্তিক ভাবেই দেখি-
আপনি উনার মৌলিক বিশ্বাসের জায়গাটাকেই বাদ দিলেন।
মানবিক দুর্বলতা অনেক নবীর মাঝেই ছিল যা পরে ষংশোধিত হয়েছে। আপনি আংশিক উপস্থাপন করলেন।
আল্রাহর তরফ থেকে পরীক্ষার জণ্য অনেক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাকে আপনি আলাদা করে দেখলে তথাকথিত অনেক অসংগতি পাবেন- যা আপনার লেখায় দৃশমান।
আবার এইরকম করে আপনার মতো করে তখনকার অবিশ্বাসীরাও নবীকে প্রশ্ন করত- আপনি যদি সত্য নবী হন তাহলে ঐ ঘটনার বর্ণনা করুন। তারা ভাবত নবীজির পক্ষে ২০০-৫০০০ হাজার বছর আগের কথা বলা কখনোই সম্ভব হবে না। আর তারা তাকে নবী না মানার দাবী মজবুত করতে পারবে। কিন্তু নবী যখন ওহীর মাধ্যমে সব জানিয়ে দিতেন, তারাও রাব্বীর কাছ থেকে জেনে দেখত তা সত্য! তখন তারাই অভিযোগ করত এতো পুরাকালের কথা মাত্র! যা কারও না কারো কাছ তেকে নবি জেনে বলছেন!!!!
মোট কথা তারা সত্যকে না মানার সকল আয়োজন সম্পন্ন করত। নানা কথার ছলে যুক্তির দোহাই দিয়ে বা উপহাস করে।


উত্তরঃ আপনি একই ভুল বার বার করছেন। আমি আবারো বলছি কোন নবীর বিশ্বাস, চরিত্র এই সব নিয়ে আমি কোন প্রশ্ন তুলছিনা। তাঁদের চরিত্র সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ্ স্বয়ং কোরআনে বলেছেন। কিন্তু আপনি যে ট্র্যাডিশনকে আকড়ে ধরে এই কথা গুলি আমাকে বলছেন সেইগুলি কি আপনি বিশ্বাস করেন? আপনার হাদিসে আছে নবী ইব্রাহিম তিনবার মিথ্যা কথা বলেছিল। আপনি কি বিশ্বাস করেন ? প্রথম পর্বে যে প্রশ্ন গুলি করেছিলাম ট্র্যাডিশনের রেফারেন্স দিয়ে সেইগুলি বিশ্বাস করেন?

অযথা অপ্রাসঙ্গিক কোরআনের আয়াত দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? আপনার কি মনে হয় এইগুলি আমি জানি না?



" এই হচ্ছে ট্র্যাডিশন বর্ণিত উত্তম আদর্শের কিছু নমুনা। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় মুসলমানরা তাঁদের সাধারন জ্ঞান, বোধ ১২০০ বছর আগেই বিসর্জন দিয়েছে।" ???????

এইখানে আপনি কোরআন এবং ট্র্যাডিশনের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনি উদাহরণ দিচ্ছেন কোরআন থেকে আর ডিফেন্ড করছেন ট্র্যাডিশন কে। ভাইজান কোরআনে যে সকল উদাহরণ দেওয়া আছে সেই সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। আপনার সাথে এই বিষয়ে আমি একমত। আমি ট্র্যাডিশনে বর্ণিত উদাহরণের কথা বলছি। আপনি কি চোখে দেখতে পান না ট্র্যাডিশনে কি লিখেছে? আমি ঠিকই বলেছি “মুসলমানরা তাঁদের সাধারন জ্ঞান, বোধ ১২০০ বছর আগেই বিসর্জন দিয়েছে।“ –এর আরেকটা প্রমান এইমাত্র পেলাম।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১০

পথে-ঘাটে বলেছেন: আপনার লেখা থেকে বুঝা যাচ্ছে কুরআনের প্রতি আপনার অগাধ বিশ্বাস। আপনি কুরআনের সঠিক মর্মার্থ প্রমান করতে চাচ্ছেন। কারন অন্যান্য ব্যখ্যা গুলো আপনার মতে ভুল। খুব ভাল কথা। আচ্ছা আপনার মনে কি এই প্রশ্ন জাগে না কুরআন কোথা থেকে এসেছে? নিশ্চয়ই বলবেন আসমান থেকে নাজিল হয়েছে। প্রমান করতে পারবেন? যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তখন নিশ্চয়ই বলবেন এটা আল্লহর মুযেজা বা অলৌকিক বিষয়। আল্লাহ সব কিছুই করতে পারেন। কেনানা আল্লাহ হও বললেই হয়ে যায়। আপনার বিশ্বাস আনুযায়ী যদি আল্লাহ সব কিছু করার ক্ষমতা রাখেন তবে নবী ইব্রাহিমের (আ) সফর সম্পর্কে কেন দূরত্বের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? নাকি আপনার ধারনা আল্লাহ সব কিছু করতে পারেন শুধু এ বিষয়টা ছাড়া।
আমি জানি না আপনি কি উদ্দেশ্যে এসব মিমাংসিত ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে এটা ঠিক যে, অল্প জ্ঞান নিয়ে কেউ এসব পড়লে বিভ্রান্ত হবে। হয়ত এখানেই আপনার সফলতা।
আরেকটা বিষয় হল আপনি জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিমুখি নীতি অবল্বন করছেন। আগের পোস্টগুলোর জবাবে এক জায়গায় বলেছেন ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ সঠিক। অন্য জা্যগায় বলেছেন, ইহুদিরা ইতিহাস বিকৃত করেছে।

ভয়ে ভয়ে মন্তব্য গুলো করলাম কেননা আপনিতো আবার আমি বাংলা পড়তে পারি কি না সন্দেহ আছে। তবে ভরসা এই যে আপনার বিশ্বাস অনুযায়ীই কিছু যুক্তি তুলে ধরলাম। আশা করি রাগ করবেন না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: "আরেকটা বিষয় হল আপনি জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিমুখি নীতি অবল্বন করছেন। আগের পোস্টগুলোর জবাবে এক জায়গায় বলেছেন ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ সঠিক। অন্য জা্যগায় বলেছেন, ইহুদিরা ইতিহাস বিকৃত করেছে।"- আসলেই আপনি বাংলা পড়তে জানেন না। আমি আমার লেখায় বলেছি ইহুদিরা ইতিহাস বিকৃত করেছে। কিন্তু যদি তাঁদের এই ম্যনিপুলেশন টা আপনি ধরতে পারেন যে ঠিক কোন জায়গায় এই ম্যনিপুলেশন করেছে তাহলে দেখবেন তাঁদের অনেক বর্ণনা সঠিক। অর্থাৎ ম্যানিপুলেশন বের করতে পারলেই সঠিক জিনিশটা বুঝতে পারবেন।

কোরআন আসমানি গ্রন্থ এটা প্রমান করতে এত কষ্ট করা লাগে না।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩১

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: মনে হয় কিছুটা হলেও মনোযোগ দিয়া দুটি পর্বই পড়তে পেরেছি ।।

ধর্মান্ধদের প্রথমেই দূরে থাকতে বলছেন ।আমি কোরআন এবং শহীহ হাদিস এর সকল কথা অন্ধভাবেই বিশ্বাস করি ।এটা যদি ধর্মান্ধত্ব হয় তবে আমি ধর্মান্ধ ।তবুও মন্তব্য করতে হচ্ছেঃ

আপনার মূল ফোকাস ট্রাডিশনে বর্ণিত কাহিণীগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণই(তাই কি??) ভুল বর্ণণা দেওয়া ।এটা প্রমাণ করা ।।আপনি প্রমাণ করুণ ।এতে আমার কোন প্রশ্ন নেই । কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ,আপনি ট্রাডিশনের রেফারেন্স দিয়া নবী বা নবীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন ।এটা নিশ্চিতভাবে একটা বিমূত্রভাবের সৃষ্টি করছে ।এখানে একটা ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে সিরিজের ইতোমধ্যেই আপনি পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ।কিন্তু একজন ধর্মান্ধ হিসেবে যখন দেখি ,কোরআনে স্পষ্টভাবে ইব্রাহিম (আঃ) এবং মুহম্মদ (সঃ) এর চরিত্রের প্রশংসা করা হয়েছে সর্বোচ্চভাবে ।সেখানে একটা ট্রাডিশনের রেফারেন্স দিয়ে আপনি "সামগ্রীক ইব্রাহীমের" চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না ।এখানে সামগ্রীক কথাটা উল্লেখ করলাম এই জন্য যে- যদি একান্তভাবেই আপনার লোজিকে নবী ইব্রাহীমের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হয় তাহলে ইব্রাহিমের নামের পূর্বে "ট্রাডিশনের" কথাটি যোগ করবেন ।।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমার মনে হয় আমি পরিষ্কার ভাবে যেইখানে যেইখানে দরকার, সেইখানে ট্র্যাডিশন শব্দটা উল্লেখ করেছি। ইনফ্যাক্ট ট্র্যাডিশন নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছি সেইটার ও একটা হেডিং ছিল। আপনার হ্যর চোখ এড়িয়ে গেছে।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫০

পথে-ঘাটে বলেছেন: মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া দ্বিমুখী নীতি বা মুনাফিকের লক্ষণ নয় কি? আপনি আমার উত্থাপন করা মূল বিষয় এড়িয়ে গেছেন। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ন হল বিদ্রোহী ভৃগু উত্থাপিত জেরুজালেম প্রসংগটা আপনি ভুল বলছেন। যেহেতু আপনি এই পোস্টে বিষয়টা উত্থপন করেছেন সেহেতু কারো প্রশ্ন থাকলে এখানেই সমাধানের দাবি রাখে। যা হোক জবাব এড়িয়ে গেছেন। অথচ তিনি কুরআন থেকে প্রমান দিয়েছে। নাকি কুরআনেও সন্দেহ আছে।

কবিতা : ওহে হানিফ ভাই, আপনার কাছ থেকে বাংলা শিখতে চাই।
ভাল থাকবেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

হানিফঢাকা বলেছেন: “আরেকটা বিষয় হল আপনি জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিমুখি নীতি অবল্বন করছেন। আগের পোস্টগুলোর জবাবে এক জায়গায় বলেছেন ইহুদীদের ধর্মগ্রন্থ সঠিক। অন্য জা্যগায় বলেছেন, ইহুদিরা ইতিহাস বিকৃত করেছে”

“মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া দ্বিমুখী নীতি বা মুনাফিকের লক্ষণ নয় কি? আপনি আমার উত্থাপন করা মূল বিষয় এড়িয়ে গেছেন”


মুল বিষয়টা আমি কোনভাবেই এড়িয়ে যাইনি। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি।

এর জবাব আমি আপনাকে আগেও দিয়েছি। আমি বুঝতে পারছিনা এইটা বুঝতে কেন এত সমস্যা হচ্ছে। একটা উদাহরণ দেইঃ

ধরেন আপনি ঢাকা থেকে সিলেট যাবার ভ্রমণের বর্ণনা দিলেন। আপনি লিখলেন ঢাকা থেকে সিলেট যাবার পথে কুমিল্লায় যাত্রা বিরতি করলেন। আপনি কুমিল্লার আশেপাশের বর্ণনা দিলেন। তারপর কুমিল্লা থেকে সিলেট পৌঁছালেন এবং সিলেটের বর্ণনা দিলেন।

এখন কেউ যদি আপনার এই লেখা ম্যানিপুলেট করে কুমিল্লার জায়গায় বরিশাল শব্দটা বাসিয়ে দেয় আর সিলেটের জায়গায় চিটাগং শব্দটা বসিয়ে দেয়, তবে যে এই ম্যনিপুলেট লেখা পড়বে তার ধারনা হবে আপনি ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে চিটাগং গিয়েছেন।

এখন যদি কেউ এই ম্যানিপুলেটেড লেখা নিয়ে এনালাইসিস করতে যায় তবে সে আপনার আসল লেখায় বর্ণিত কুমিল্লা এবং সিলেটের বর্ণনার সাথে ম্যানিপুলেটেড বরিশাল এবং চিটাগং এর কোন মিল পাবে না।

এইটাকে বলে ম্যানিপুলেশন

যদি কেউ এনালাইসিস করে বের করতে পারে আসলে কুমিল্লা শব্দটাকে ম্যানিপুলেট করে বরিশাল বানানো হয়েছে এবং সিলেট শব্দটাকে ম্যানিপুলেট করে চিটাগং বানানো হয়েছে তাহলে সে বুঝতে পারবে আপনার আসল লেখার বর্ণনা সঠিক ছিল। অর্থাৎ কোথায় ম্যানিপুলেশন হয়েছে ধরতে পারলে আপনার পক্ষে সঠিক তথ্যটা জানা সম্ভব।

এটাকে বলে সঠিক বর্ণনা।

এর পরেও যদি না বুঝেন এইটা আমার ব্যার্থতা। আমি আমার ব্যার্থতা মেনে নিচ্ছি।

জেরুজালেম প্রসঙ্গঃ
যিনি আমাকে জেরুজালেম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, আমি তার উত্তর দিয়েছি। বর্তমানে অবস্থিত জেরুজালেম প্রসঙ্গটা অনেক বড় বলে এইখানে স্কিপ করে গিয়েছি। দরকার হলে জেরুজালেম নিয়ে আমি আলাদা পোস্ট দিব। জেরুজালেম নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা আছে যার কোন বাস্তব ভিত্তিক প্রমান পাওয়া যায় না। আল্লাহ কোরআনে যে জায়গাটাকে “ব্লেসড ল্যান্ড” বলেছেন আমি সেইটার লোকেশন খুজছি। ঐ ল্যান্ডের লোকেশন সম্পর্কে কোরআনে অনেক ইঙ্গিত দেওয়া আছে। ঐ ল্যান্ডে নবী ইব্রাহিম বসবাস করতেন। ঐ এলাকার পাশে নবী লুতের শহর ছিল। এইগুলি নিয়ে লিখতে গেলে প্রচুর সময়ের দরকার। সময় পেলে লেখব। এই সংক্রান্ত আমার ছোট একটা লেখা আছে। আপাতত সেইটা পড়তে পারেন।প্রমিজড ল্যান্ডের সন্ধানে

পুনশ্চঃ
আমি বাংলার শিক্ষক নই। আমি ফাইনান্সের ছাত্র। বাংলাদেশ থেকে প্রথম ব্লুমবার্গে যার রিসার্চ পাবলিশ হয়েছিল তা এই অধমের। আমি টানা তিন বছর ব্লুমবার্গ, এস.এন্ড.পি ৫০০, রয়টার্স, ক্যাপিটাল আই কিউ –তে বিভিন্ন কোম্পানি এবং ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ পাবলিশ করেছি। এই গুলি আমার ছোটবেলার কথা। ফিনান্স শিখতে চাইলে আইসেন।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: দেখে গেলাম।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২১

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: আরো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন :)

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার লেখার কন্টেন্ট আমি ধরতে পেরেছি, আপনি বিষয়টা শেষ করেন তারপর সবাই বুঝতে পারবে, আপনার ধারাবাহীক বিষয় গুলো শেষ করা অব্দি আপনি মন্তব্যের জবাবে বিতর্কে না গেলেই ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। আজ অব্দি আপনার কোন লেখাই কোরাআন শরীফের বিরুদ্ধে যায়নি।আমাদের কোরাআনকে প্রাধান্য দিয়ে হাদিস এবং ইসলামিক ইতিহাসকে বিচার করা উচিৎ এবং আপনি বরাবরি তাই করে থাকেন।

ধর্ম অন্ধত্বের বিষয়না, বিধাতাকে বিশ্বাস নয় আমি বলবো চোখের দেখার মত কোটি কোটি নিদর্শণ দিয়ে রেখেছেন তিনি,তবুও মানুষ কেনযে ধর্মের বেলায় অন্ধত্বতা প্রকাশ করে আমি বুঝতে পারিনা।

পরের পর্ব গুলো অপেক্ষা্য থাকলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন:
"আমাদের কোরাআনকে প্রাধান্য দিয়ে হাদিস এবং ইসলামিক ইতিহাসকে বিচার করা উচিৎ"- এইটা এখন খুব কঠিন একটা কাজ হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১২

হানিফঢাকা বলেছেন:
দৃস্টি আকর্ষণ
আমি “নবী ইব্রাহিমের মিথলজিকাল ভ্রমন”- এই শিরোনামে একটা লেখার দুইটা পর্ব শেষ করেছি। এর প্রেক্ষিতে যে মন্তব্য পেয়েছি তার প্রেক্ষিতে কিছু কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি।

প্রথম পর্বঃ
১। এইখানে প্রথম প্যারাটা তে একটা ভুমিকা দেওয়া আছে এবং লেখার ধরন এবং গতি প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়েছে। প্রথম প্যারাটা পড়লেই লেখার প্রকৃতি সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়ার কথা।

২। দ্বিতীয় প্যারায় আমি নবী ইব্রাহিম (আঃ) সম্পর্কে কোরআনে যে উচ্চ সম্মানের সাথে বলা হয়েছে তা তুলে ধরেছি। নবী ইব্রাহিমের সম্পর্কে উত্তম আদর্শ সম্পর্কিত আয়াতের কথা বলেছি। সুতরাং যারা বার বার আমাকে অভিযুক্ত করছেন যে আমি নবী ইব্রাহিম (আঃ) এর চরিত্র বা ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছি তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

৩। এর পরে আমি দেখিয়েছি ট্র্যাডিশন কি বলছে। আমি প্রশ্ন তুলছি যে যেখানে কোরআন এত সম্মানের সাথে নবী ইব্রাহিম (আঃ) বলছে, ট্র্যাডিশনের বর্ণিত তাকে নিয়ে এই সব ঘঠনা কিভাবে সত্য হওয়া সম্ভব। এটা কি সরাসরি কোরআনের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে না?

৪। যারা ঐ ট্র্যাডিশন বানিয়েছে বা ট্র্যাডিশনে বিশ্বাস করে, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন করেছি কোরআন থেকে “তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর। (২ঃ১১১, ২৭ঃ৬৪)”

এইখানে কোথায় আমি নবীর চরিত্র হনন করেছি?


দ্বিতীয় পর্বঃ
১। প্রথমেই আমি কোরআন থেকে একটা উদ্দৃতি দিয়েছি যার অর্থ করলে দ্বারায় যদি কেউ আপনার কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তা প্রচার করার আগে ঐ সংবাদ চেক করে দেখার জন্য যে ঠিক আছে কিনা। এর কারন ঐ সংবাদ ভুলও হতে পারে। এই দিয়ে আমি শুরু করলাম। সুতরাং কোরআনের এই আয়াত অনুযায়ী তফসির কারক গন যে প্রমান নিয়ে এসছেন আমি তা চেক করে দেখতেই পারি।

২। বিভিন্ন তফসির কারক এবং স্কলার রা এই ঘঠনা সংক্রান্ত যে তথ্য দিয়েছে তা এনালাইসিস করার চেস্টা করেছি যুক্তি দিয়ে।

৩। জেরুজালেম এবং হিজাযের মধ্যে যে জিওগাফিকাল দুরত্ব আছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। যারা এই ঘঠনা বর্ণনা করেছেন তারা কিভাবে এই জিওগ্রাফিক্যাল ডিস্ক্রপেন্সি কে মিটিগেট করার চেস্টা করেছেন তা বলেছি এবং এই নিয়ে আমার প্রশ্ন তুলেছি।

৪। আমি স্পষ্ট করে এই সম্পর্কিত ট্র্যাডিশনের উৎস কোথায় তা বলেছি। কই এই বিষয়ে ত কেউ চ্যালেঞ্জ করল না।
৫। আমি জানতে চাই ট্র্যাডিশন নিয়ে কি প্রশ্ন করা যাবে না? এইসব ট্র্যাডিশন কি আল্লাহ থেকে বর্ণিত? যারা ট্র্যাডিশন লিখেছেন তারা কি আল্লাহর মত ইনফালিবল?

৬। শুধু এতটুকু লেখার জন্য এইখানে আমার সম্পর্কে বিভিন্ন ভাবে কথা বলা হচ্ছে। কেউ বলছেন আমি ইউরোপে যাইতে চাই, কেউ আবার বলেছেন পিরামিড নিয়ে গবেষণা করতে, কেউ বলতে চাচ্ছেন জেরুজালেম এবং হিজায বর্ডার সংলগ্ন, কেউ বলতে চাচ্ছেন আমি দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছি, কেউ আমাকে আরজ আলী মাতব্ব্রর হতে বলছেন আবার কেউ এই নিয়ে বিশেষ গন্ধ ও পাচ্ছেন।

৭। আমি যেটা বুঝতে পারছিনা এইখানে আমার দোষটা কোথায়। এইগুলি কে লেখা নেই? আমি কি বানিয়ে বলছি?এই বিশেষ ট্র্যাডিশনটি কি আপনার বিশ্বাসের একটা অংশ নয়? আপনার ট্র্যাডিশন নবী সম্পর্কিত আপমান সুচক কথা লিখে রাখে আর এই নিয়ে প্রশ্ন করলে বা গবেষণা করতে গেলে আমি এই ধরনের কথা শুনি।কেন?

৭। শুধু এই একটা প্রশ্ন তুলেই এই অবস্থা। এর গভীরে গেলে কি হবে? চাপাতি নিয়া দৌড়াইয়া আসবেন?

৮। আমি আমার লেখার মন্তব্য গুলি পড়ে ডিমরালাইজড হয়ে গেছি। একটা জিনিশ আমি বুঝতে পারছি এইখানে যারা মন্তব্য করছেন, তাদের বেশিরভাগই এই ধরনের লেখা পড়ার জন্য মানসিক ভাবে ম্যাচিউরড না।

সুতরাং এইখানেই ইতি। ভাল থাকবেন সবাই।

১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করতে চাই, কে কি বলছে না বলছে তা নিয়ে আপনি অনুগ্রহ করে বিচলিত হবে না। আসলে ধর্ম মানুষের একটি ভীষন স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের জাতিগতভাবে ধর্ম নিয়ে জ্ঞান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। আমরা যা জানি, তা পুরোটাই অন্যের কল্যানে, অন্যের মুখ থেকে শোনা। খুব কম মানুষ আছেন যারা অনুসন্ধান করে পড়েন। প্রতিটি মানুষ তাদের নিজস্ব চিন্তাধারাকে পাল্টাতে চান না। এই দেশে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার কোন সুযোগ নাই। কারন কারো বেসিকই তো ভালো না। কয়েকটা সুরা মুখস্ত করে ইসলাম ধর্ম পালন করতে গেলে তো বিপদ হবেই।

যাইহোক, আমি মনে এই ধরনের তথ্যবহুল পোস্ট বন্ধ করা উচিত নয়। এতে সামগ্রিক আলোচনার পথ বন্ধ হয়। আমি চাই আপনি পর্বগুলো চালিয়ে যান। আপনার লেখায় যদি কোন ইতিবাচক দিক থাকে আর যদি তা আমাদের কোন ভুল ধারনা দুর করতে সাহায্য করে, সেটার সংখ্যা যদি একজনও হয়, তাহলে সেটাই অনেক বড় সফলতা।

আপনি লিখুন। ব্লগ মত প্রকাশেরই জায়গা। সবাই আপনার সাথে সহমত হবে, এমন কোন কথা নেই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সবাই আমার সাথে সহমত হবে তা আমিও মনে করি না। কারো দ্বিমত থাকতেই পারে এবং থাকাটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে যে কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারে, বিপরীত যুক্তি দিতে পারে, আলোচনা বিতর্ক হতে পারে। এতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু তাই বলে প্রসঙ্গ পাশ কাটিয়ে ব্যাক্তি আক্রমণ করা দুখ জনক। আমার ভুল হতেই পারে, এইটা আমি লেখার প্রথমেই বলেছি। যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে বলুক কোথায় এবং কেন ভুল বলেছি। সেই ক্ষেত্রে ভুল সংশোধনের একটা উপায় থাকে। আশা করি আমি আমার অবস্থান বুঝাতে পেরেছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫১

নতুন বলেছেন: ৮। আমি আমার লেখার মন্তব্য গুলি পড়ে ডিমরালাইজড হয়ে গেছি। একটা জিনিশ আমি বুঝতে পারছি এইখানে যারা মন্তব্য করছেন, তাদের বেশিরভাগই এই ধরনের লেখা পড়ার জন্য মানসিক ভাবে ম্যাচিউরড না।

সুতরাং এইখানেই ইতি। ভাল থাকবেন সবাই।


আপনার ভাবনা ঠিক যে এখানে অনেকেই আছেন যে মানসিক ভাবে এখনো প্রস্তুত না...

কিন্তু যদি এই সব লেখা তাদের ভাবনাকে একটু নাড়াও দেয় তবেই কিন্তু লেখার উদ্দেশ্য সফল...

যারা বিষয়ের সমালোচনা না করে ব্যক্তিগত আক্রমন করে তারা এই সব ব্যাপারে বোঝার ক্ষমতা নেই তাই ভয় পায় আলোচনায় যেতে।

কা_ভা ভাই খুবই চমতকার ভাবে বলেছেন ..ব্লগ মত প্রকাশেরই জায়গা। সবাই আপনার সাথে সহমত হবে, এমন কোন কথা নেই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: বুঝতে পারছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

বাঘ মামা বলেছেন: যে কথা বলার জন্য আসছিলাম সে কথা কাভা ভাই খুব সুন্দর ভাবেই বলে দিয়েছেন।

মন্তব্য না করা হলেও আপনার পোস্ট গুলো আমার কোনটাই বাদ যায়নি পড়া থেকে, এবং শুনে খুশি হবেন কিনা জানিনা আপনার প্রতিটা পোস্টের প্রিন্ট নিয়েছি আমি, এবং সেসব নিয়ে ইউরোপের অনেক গুলো দেশ সহ আমি কানাডা মন্ট্রিয়ালে কিছু ইমাম এবং মাওলানাদের সাথে আমার কথা হয়েছে, ওনাদের আমি এই বিষয় গুলো অবহিত করেছি ওনাদের মতামত জানতে চাইলে অনেকেই আপনার বক্তব্য বিশ্লেষণের সাথে এক মত প্রকাশ করেছেন,যারা করেননি তাদেরকে বলেছি এর বিপরিতে তাদের যুক্তিক প্রমান ব্যখ্যা দিতে, তারা পারেনি বা অনেকেই সময় নিয়েছেন।আরো একজন লেখক আছেন মন্জুর ভাই তার লেখা গুলোও আমার কাছে আছে।

ইসলাম নিয়ে আমাদের যুগ যুগ ধরে ভ্রান্ত ধারণা গুলো দুর হচ্ছে আপনার লেখা থেকে। কারো হচ্ছে কিনা আমি জানিনা তবে আমার মনের অনেক প্রশ্নের জবাব আমি আপনার পোস্ট থেকে পেয়েছি সঙ্গত কারণে আমি আপনার কাছে ঋনী।

আমি ইহুদি ধর্ম গ্রন্থ্য তোরাহ পড়েছি,বাইবেল পড়েছি,আপনার মত চুল ছেড়া বিশ্লেষনের সময় যোগ্যতা আমার নেই যদিও ।তবুও আপনার উল্ল্যেখিত বিষয়টা আমার বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি যা আপনি বোঝাতে চেয়েছেন, কোরাণে বর্ণীত নবীদের সংক্ষেপ জীবন কাহীনি গুলোর সাথে মিল রেখে পুরো কাহীনি ঘটনা নেয়া হয়েছে এসব ধর্ম গ্রন্থ্য থেকে। যারা তোরাহ পড়েছেন তা জেনে থাকবেন হয়তো।
যাইহোক উল্ল্যেখিত বিষয়ে মন্তব্য বা আপনার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই তবে কিছু প্রশ্ন আছে সেসব জানার জন্য প্রশ্ন করবো যদি আপনি পুরো বিষয়টা শেষ করেন। সবচেয়ে বড় কথা যে বিষয় হাদিস সংগ্রাহকরা নির্ভুল করে যেতে পারেনি সেখানে আপনার ভুল হবেনা বা হতে পারেনা এমন কথা আমি যেমন বলিনা আপনিও তেমন গোড়ামিতে নেই সে আমরা জানি।তবে আপনার ভুলের(যদিও আমি সিওরনা) চেয়ে শুদ্ধর সংখ্যাই অনেক বেশি বলে আমার কাছে আপনার প্রয়োজনীয়তা অনেক, তাই বলবো আপনি লিখুন, আমি আপনার একান্ত পাঠক হয়েই অপেক্ষায় আছি....

শুভ কামনা সব সময় আপনার জন্য

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কথা শুনে সত্যি ভাল লাগছে। আমার মধ্যে কোন ধর্মীয় গোঁড়ামি নেই। ভুল হতে পারে, সেই ক্ষেত্রে ভুল শুধরিয়ে নেবার মন মানসিকতা আমার আছে।

১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

জেন রসি বলেছেন: আসলে মানুষ যখন কোন কিছুকে পরম সত্য ভেবে নেয়, তখন বিশ্লেষণ করতে ভয় পায়। কারন বিশ্লেষণ করলেই এমন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যা বিশ্বাস করা সত্যকে বাতিল করে দেয়। ধর্মগ্রন্থ গুলোতে যেসব ঘটনা বর্ণিত আছে তা অনেকটা মিথের মতই। কিন্তু এখানেই ব্যাপার আছে। সব মিথ সবাই বিশ্বাস করেনা। যেমন ধরেন যিনি ইব্রাহীম সম্পর্কিত অলৌকিক মিথে বিশ্বাস করবেন, দেখা যাবে তিনিই আবার গ্রিক কিংবা রোমান মিথলজীর অলৌকিক ঘটনাগুলোকে বাতিল করে দিবেন। কারনতা হচ্ছে বিশ্বাসের যায়গা থেকে মতবাদকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না চাওয়ার মানসিকতা।

চমৎকার পোস্ট। আমিও কাভার ভাইয়ের সাথে একমত। আপনি আপনার অনুসন্ধান চালিয়ে যান।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: "কারন বিশ্লেষণ করলেই এমন এক সত্যের মুখোমুখি হতে হয় যা বিশ্বাস করা সত্যকে বাতিল করে দেয়।"- এইটাই মুল কথা।
আপনাকে ধন্যবাদ।

২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

পথে-ঘাটে বলেছেন: আপনি অনেক বড় মাপের মানুষ। আপনার তুলনায় আমাকে শিশুও ভাবতে পারেন। কারন আমি মাত্র অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র। বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে আসছি। আমার চিন্তাগুলো শেয়ার করা এবং অন্যরা কি চিন্তা করছে সেগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্লগে আসা। মাস খানেকও হয় নি। চিন্তার পার্থক্য থাকাটা মনে হয় স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনার লেখার সমালোচনা করলেই ধর্মান্ধ হয়ে যাবে এটাও কোন কথা না। সুতরাং সমালোচনায় কিছু মনে মনে করবেন না প্লিজ। বাংলা বিষয়ক কথাটা আপনিই প্রথম তুলেছিলেন। যা হোক এ নিয়ে খুচা দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত। আপনার মত জ্ঞানী মানুষের সাথে পরিচিত হতে পাড়লে অনেক ভাল লাগত। অনেক কিছু শিখতে পারতাম।
অনেক ব্লগর ব্লগর করে ফেললাম ভালো থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার মঙ্গল কামনা করছি।

২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: এ ধরনের একটি পোষ্ট করতে কতটা ধৈর্য, সময় এবং পরিশ্রম প্রয়োজন তা কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারি। এত কষ্ট করে লেখা পোষ্টে যদি ছোট খাট বিষয় নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমনের শিকার হতে হয় তা দুঃখ জনক এবং খুবই দুঃখ জনক।
কাল্পনিক_ভালোবাসা, বাঘ মামার সাথে সহমত পোষণ করছি।
সেই সাথে আমিও আপনাকে লেখা চালিয়ে যাবার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আর আমার মনে হয় মন্তব্য নিয়ে বেশি না ভেবে নতুন পোষ্টের বিষয়বস্তু সমন্ধে নজড় দিলে ভাল হবে। বিপক্ষ মতামত, ব্যক্তিগত আক্রমণ, গালিগালাজ যদি খুব বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে মন্তব্য বন্ধ করে রাখা যেতে পারে কিন্তু পোষ্ট বন্ধ করাটা সমাচীন হবে না বলে আমি মনে করি।
আমরা নতুন নতুন বিষয় জানতে চাই, আমাদের কথা ভেবে আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন সেই আশাই রাখছি।
ভাল থাকুন সবসময়।

২২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আগ্রহোদ্দীপক একটি বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আসলে অতোটা ঐ বিষয়ে জানি না। তবে আলোচনা অব্যাহত থাকুক। কিছু ঘাটাঘাটি করে নিই আর আপনি নেক্সট পর্বটা দিয়ে দেন। :)

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

আরব বেদুঈন বলেছেন: এখন বুঝে আসছে ইসলাম ধর্ম একটাই কিন্তু দল এত বেশী কেন?আপনার মত বিজ্ঞ কিছু লোকের জন্য যারা নিজের যুক্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বাধা গুলো আআগেই সরিয়ে দিয়েছে!বাধা হল পৃথীবির সকল সহিহ হাদিস যেগুলো এই মহা জ্ঞানীর যুক্তি কে ভুল প্রমানিত করতে পারে তাই সেগুলো বাদ।উনি বুখারি কে মিথ্যুক মনে মরেন মানলাম আবু দাউদ ইবনে মাজাহ এরাও মিথ্যুক!কারণ মিথ্যুক যদি নাই হবেন তাহলে কেন তারা কুরবানী নিয়ে রাসূলের এত হাদিস বর্ণনা করেছেন?ঈসা যে পিতা ছাড়াই জন্ম নিয়েছে ,দাজ্জাল আসবে,ঈসা আর ঈমাম মাহাদী আবার আসবে এসব হাডীশ কেণ লীখেছেণ? যদিও এই কমেন্ট প্রায় আপ্রাসংগিক তবুও বিরক্ত হয়েই এই কমেন্ট করতে হল।আর আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই লোক পশ্চাত্যের চর যারা আমাদের বিভ্রান্ত করতে।যত্তসব আজ যদি দেশে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত থাকত তাহলে আপনার ঐ হাত কেটে নিতাম যে হাত দ্বরা এই ফিতনা রচনা করছেন ঐ চোখ তুলে নিতাম যা দ্বারা দেখছেন ঐ জীব টেনে ছিড়ে ফেলতাম যা দ্বরা বকবক করছেন যদি এই বিচার ইসলাম সম্মত হত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.