নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গীবাদ- আদর্শের উৎস এবং প্রতিকার

০৯ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

(এই ধরনের লেখা সাধারণত আমি লেখিনা, লেখার মত এক্সপার্ট ও আমি না। এই লেখা সম্পূর্ণ আমার নিজের ধারনা, কেউ বা সবাই এর সাথে দ্বিমত পোষণ করতে পারেন। আমি যা চিন্তা করেছি তাই লিখেছি, আমার চিন্তা ভাবনা ভুল হতেও পারে, এটাই স্বভাবিক। দয়া করে আপনার মতের বিপক্ষে গেলে গালাগালি করবেন না)

ইদানীং জঙ্গীবাদ ইস্যুতে সবাই সরব। সবাই এটাকে যে যার মত বিশ্লেষণ করেছেন। যতটুকু বুজলাম সবাই বলতে চেয়েছেন এটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। জঙ্গীদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, ইসলাম জঙ্গীবাদ সমর্থন করেনা- মানলাম। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা কোন ইসলামের কথা বলছেন? আল্লাহ্‌ প্রবর্তিত ইসলাম নাকি মানুষের বানানো ইসলাম? এই ব্লগে আগে ধর্ম নিয়ে অল্প কিছু লেখা লেখি করেছিলাম এবং সে সুবাদে বিভিন্ন মানুষের কমেন্ট পড়ে যা বুঝতে পেরেছি সে সুবাদে এই ইস্যুতে কিছু কথা না বললেই নয়। সেই জন্যই আমার লেখার সূত্রপাত।

মুসলমানরা কোরআন পড়ে না (তোতা পাখির মত আবৃতি করার কথা বলছি না, বুঝে পড়ার কথা বলছি)। কোরআনে কোথাও জংগীবাদকে সমর্থন করা হয়নি, কোথাও নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলার কথা বলা হয়নি-সে যে ধর্মের বা যে পেশারই হোক না কেন। তারপরেও আমরা ইসলামের নামে বিভিন্ন জঙ্গী সংঘঠন যেমন আল-কায়েদা, আইসিস- এই সব দেখছি যাদের কাজ হচ্ছে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা । লাখ লাখ মানুষ এই সব জঙ্গী সংঘঠনে যোগ দিচ্ছে এবং জিহাদ নামক এক ভুল ধারনার স্বীকার হয়ে নিজের, দেশের এবং ইসলামের নামে কলঙ্ক বয়ে আনছে। প্রশ্ন হচ্ছে এই সব মানুষগুলি কোন ধারনায় বিশ্বাস স্থাপন করে বা তাদেরকে কি দিয়ে ব্রেইন অয়াশ করে এই পথে আনা হচ্ছে?

উত্তরটা খুব সোজা, কিন্তু কেউ স্বীকার করতে চাইবেন না। আর এটাই হচ্ছে মুসলমানদের হিপক্রেসি। উত্তরটা হচ্ছে হাদিস – যা মুসলমানেরা মনে প্রানে মানে এবং বিশ্বাস করে। জ্বী ভাই, এই হাদিস সাহিত্যে আপনি জঙ্গীবাদের প্রচুর উপাদান পাবেন। বুখারী থেকে দাউদ- কোথায় নেই জঙ্গীবাদ? যদিও এই হাদিস সাহিত্য নিয়ে আমি অনেকবার বিভিন্ন ভাবে লিখেছি এবং বলার চেষ্টা করেছি -কোরআন এই সব হাদিস কে কোন রকম অনুমোদন দেয় না, এই হাদিস গুলির বেশিরভাগই কোরআনের সাথে সরাসরি কন্ট্রাডিক্ট করে এবং নিজেদের সাথেও করে। সহিহ বুখারি আর সহিহ মুহাম্মদ একই জিনিষ না এইটা কেউ বুঝতে চায় না। সহিহ মুহাম্মদ কোরআনে পাবেন, বুখারিতে না। আপনি আমার কথা বিশ্বাস করলেন না? স্বাভাবিক। আপনি হাদিসের বই গুলি নিয়ে বসেন, এবং নিজে পড়ে দেখেন ঐ বই গুলিতে জিহাদের নামে, ধর্ম প্রচারের নামে কি লেখা আছে। আমি রেফারেন্স দিবনা, ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না এই কথা তোতা পাখির মত বলার আগে নিজের হাদিস বই গুলি পড়ে দেখেন। তারপর নিজে সিদ্বান্ত নিন।


আমি বলেছিলাম এটা মুসলমানদের হিপক্রেসি। কিভাবে? যখন মানুষ এই বই গুলি পড়ে এবং এইগুলিকে ১০০% সঠিক মনে করে এবং এর মধ্যে অনেক ভুল, জাল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হাদিস আছে যার সত্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন এই কথা বললে ধর্ম কে বা নবী কে অপমান করা হয়েছে বা ইসলাম কে গালি দেওয়া হয়েছে বলে চিল্লাইয়া গলা ফাটাইয়া নিজেকে ১০০% মুসলমান দাবী করার চেষ্টা করেন, তখন কেউ যদি সেই একই জিনিষ পড়ে বা শুনে এইগুলি বাস্তবায়িত করতে চায়, সে মুস্ললিম না বা ইহা সহিহ ইসলাম না বলে ফতুয়া দেন তখন তাকে হিপক্রেট বলা ছাড়া অন্য কি বলা যায়? এই রকম উদাহরণ অনেক আছে, এই ব্লগেই আছে। একই রকম অন্য প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেই, যেমনঃ নবীর সাথে আয়েশার ৬ বছর বয়সে বিবাহ (এটা নিয়ে ব্লগে বিতর্ক হয়েছে)। এইটা প্রমানিত যে এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা ঘটনা, কিন্তু যেহেতু এইটা বুখারিতে আছে কেউ এইটাকে জাল বলতে পারছে না, বা বুখারী থেকে বাদ দিতেও পারছে না। একই ভাবে অনেক হাদিস যা তথাকথিত সহিহ বলে প্রমানিত কিন্তু কোরআনের সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলে যা নিরীহ মানু্ষ বা অন্য ধর্মের মানুষকে হত্যার জন্য উৎসাহিত করে তা এই মুসলমানেরা মনে প্রানে বিশ্বাস করে কিন্তু কেউ করে দেখাতে গেলেই তাকে ইসলামের বাইরে বলে ঘোষণা করে। কেন এই ধরনের হিপক্রেসি? কেন এই সব টেক্সট কে আপনারা জাল বলে মানতে নারাজ? যদি জাল মানেনই, তাহলে এই সব জিনিষ গুলিকে কেন হাদিস বই গুলি থেকে বাদ দেওয়া হয় না? হয় স্বীকার করেন আপনার হাদিস গ্রন্থে এই উপাদান গুলি আছে, অথবা যদি এই সব উপাদান গুলি অস্বীকার করেন তবে দয়া করে এইগুলি হাদিস বই থেকে বাদ দেন, কারন অন্য কেউ একজন এইগুলি পড়ে বিপথে যেতে পারে।

মানুষ কিভাবে এই গুলি দিয়ে ব্রেইন ওয়াশ হয়? খুব সোজা। প্রথমে তারা আপনাকে এই সব কথা বলবে। আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না। তখন তারা আপনাকে এই সব হাদিস থেকে রেফারেন্স দেখাবে। যেহেতু আপনি হাদিসের প্রতিটা কথা অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করেন সেহেতু আপনি তখন এই জিনিশগুলিকে মেনে নিতে বাধ্য হবেন এবং জিহাদ নামক প্রচলিত ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে ইসলাম রক্ষার নামে ঝাপিয়ে পরবেন।

হাদিসে অনেক ভাল ভাল কথাও আছে-এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সেই একই হাদিস বইয়ে এই ভাল কথার পাশাপাশি এইসব খারাপ উপাদান ও প্রচুর পরিমাণে আছে। অন্ধ বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে, ভাল কে ভাল বলে গ্রহণ করা এবং খারাপ কে খারাপ বলে ত্যাগ না করতে পারলে এই ধরনের জঙ্গি বাদ থেকে মুক্তি পাবার কোন আশা নেই। কারন যারা এই সব জঙ্গীবাদের সাথে যুক্ত তারা একটা আদর্শ ধারন করে এই পথে আসে, আর সে আদর্শের উৎস হচ্ছে হাদিস গ্রন্থ গুলি। পুলিশ দিয়ে জঙ্গীবাদ নির্মূল কারা যাবেনা, হয়ত সাময়িক দমিয়ে রাখা যাবে। জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হলে তারা যে আদর্শ ধরান করে আছে সেই আদর্শকে ভুল প্রমানিত করতে হবে এবং নির্মূল করতে হবে। তবেই জঙ্গীবাদ নির্মূল হবে। কিন্তু আমরা হিপক্রেট রা কি এটা করতে পারব?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

ching বলেছেন: clear হল

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৬

নিনজা টার্টল বলেছেন: কুরআন বুঝে এখনও পড়তে পারছি না,দোয়া কইরেন যাতে অর্থ সহ বুঝে পড়তে পারি।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: বাংলায় এটা কথা আছে - কার ঘরে আগুন লাগলে আলু পোড়া খাওয়ার লোকের অভাব হয় না।
অর্থাৎ একটা বিপদ থেকে যে যারমত করে সুবিধা নেয়ার চেস্টা করে।
সরকার জঙ্গীবাদকে উসিলা করে বিরোধীদের দমনে ব্যাস্ত
বিরোধী দলও চাইছে এই ইসুকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলতে।
আপনি আবার এর মাধ্যমে আপনার অপছন্দের হাদীস গ্রন্থগুলির উপর এক হাত নিয়ে নিলেন!!

যাই হোক, আমাদের স্বরণ রাখা উচিত জঙ্গীবাদ নিয়ে আমরা যা কিছু শুনছি তার সবই এক পক্ষের কথা। এবং এরা এমন পক্ষ যারা নিজেদের স্বার্থে মিথ্যা বলতে মোটেই কুন্ঠিত নয়। এমনকি তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় কল্পকাহিনী তৈরী ও প্রচারেও সিদ্ধহস্ত (যেমন ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ইত্যাদী)। সুতরাং কে কোন উদ্দেশ্যে এইসব ঘটাচ্ছে এবং মিডিয়া কিভাবে তা প্রচার করছে তার কিছুই না জেনে শুধু নিজ স্বার্থের পক্ষে বিষয়টা ব্যাবহার করা নিতান্তই বিপজ্জনক।

সরাসরি জানতে চাইছি : আপনার সাথে কি এমন কার পরিচয়/যোগাযোগ হয়েছে যে মানুষকে জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করে? আপনি কি নিজে জেনেছেন তারা কী কথা বলে বা কোন হাদীস দেখিয়ে মানুষকে জঙ্গীবাদী বানায়?

আমার মনে হয় না। তাহলে কিসের ভিত্তিতে আপনি সব দোষ হাদীস গ্রন্থের উপর চাপিয়ে দিলেন?

কোরআনের বহু আয়াত এমন আছে যদি প্রক্ষাপট বিবেচনা না করে বা খন্ডিত আকারে সেগুলি উপস্থাপন করা হয় তাহলে সহজেই প্রমান করা যায় যে তাতে কাফের তথা অমুসলিমদের হত্যার নির্দেশ আছে। বিপথগামীদের যদি ঐভাবে বুঝান হয়ে থাকে তাহলে কী আপনি কোরআনকেও ত্যাগ করবেন??

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাইজান, আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। কোরআনে মানুষ হত্যার বিধান আছে দুই ক্ষেত্রেঃ

১। সম্মুখ যুদ্ধ ক্ষেত্রে শ্ত্রুকে
২। ইচ্ছাকৃত হত্যার বদলে হত্যা।

হাদিস গ্রন্থ গুলি পড়ে দেখুন ঐ খানে হত্যার ব্যাপারে কি বলা আছে? শুধু মানুষের কাছ থেকে যা শুনে আসছেন, যা মনে করেন ( যা কোনদিন নিজে পড়ে যাচাই করে দেখেননি) তা নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই।

আপনার কথার টোনে কিছুটা রাগের বহিঃপ্রকাশ আছে। মাথা ঠান্ডা করুন এবং ভাল করে হাদিস গ্রন্থ গুলি পড়ুন।
ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

বুঝা যাচ্ছে হাদীসের উপর আপনার প্রচুর পড়াশুনা আছে। কিন্তু আমার আসল জানার বিষয় যেটা ছিল তার জবাব পেলাম না। তাই প্রশ্নটা আবার করছি : আপনার সাথে কি এমন কার পরিচয়/যোগাযোগ হয়েছে যে মানুষকে জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করে? আপনি কি নিজে জেনেছেন তারা কী কথা বলে বা কোন হাদীস দেখিয়ে মানুষকে জঙ্গীবাদী বানায়?

যদি তেমন কার সাথে আপনার পরিচয়/যোগাযোগ না থাকে এবং আপনি যদি না জানেন যে তারা কী বলে মানুষকে জঙ্গী বানাচ্ছে তাহলে হাদীস গ্রন্থের ব্যাপারে আপনার এই ঢালাও অভিযোগ একান্তই মিথ্যাচার হবে। কারণ এই হাদীস গ্রন্থগুলি হাজার বছর ধরেই প্রচলিত আছে আর তথাকথিত জঙ্গীবাদের প্রচারণা মাত্র সেদিনকার।

কোরআনে মানুষ হত্যার কথা আসলে কীভাবে আছে সেটা আমিও কিছুটা জানি (পুরো কোরআন জানা দাবি করছি না), কিন্তু সেগুলিকে প্রক্ষাপট ছাড়া খন্ডিত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যে সম্ভব সেটা কি আপনি অস্বীকার করতে পারেন? বিষেশ করে আপনি যখন বহু সতর্কতায় সংরক্ষিত হাদীস মানতে রাজি নন, তখন সাধারণ ইতিহাস অস্বীকার/বদলে দেয়াতো কোন ব্যাপারই না। কাজেই যে কেউ কোরআনের ঐসব আয়াতের প্রক্ষাপট বদলে দিয়ে এবং আয়াতগুলি খন্ডিত ভাবে উপস্থাপন করে অপব্যাখ্যা/অপব্যাবহার করতেই পারে। কোরআনের উপর যার পুর্ণ দখল নাই এমন তরুনদের যদি এইভাবে বিভ্রান্ত করা হয় তাহলে কি সেই দ্বায় আপনি কোরআনের উপর দেবেন??

আমরা আসলে যতক্ষন না জানছি যে জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করার জন্য কোরআন হাদীস বা ইসলামের ইতিহাসের কোন কথাগুলি কিভাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে ততখন কার উপরই দোষ চাপান উচিত নয়। বিষেশ করে আমরা যখন আমাদের অপছন্দের দল/মত/গ্রন্থের উপর দোষ চাপানোর চেস্টা করি তখন সেটা সুবিধাবাদ বা ঐ আলুপোড়া খাওয়ার কথাই স্বরণ করিয়ে দেয়।

১৯ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার প্রশ্নঃ " আপনার সাথে কি এমন কার পরিচয়/যোগাযোগ হয়েছে যে মানুষকে জঙ্গীবাদে উৎসাহিত করে? আপনি কি নিজে জেনেছেন তারা কী কথা বলে বা কোন হাদীস দেখিয়ে মানুষকে জঙ্গীবাদী বানায়?"- আপনি এই প্রশ্নটা করে নিবুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। ধরেন কোন এক কালে এইরকম টাইপের কোন লোক কে আপনি চিনতেন। এখন যদি কেউ ব্লগের ওপেন প্লাটফর্মে আপনাকে এই একি প্রশ্ন করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনার উত্তর কি হবে?

আপনি বলেছেন" যদি তেমন কার সাথে আপনার পরিচয়/যোগাযোগ না থাকে এবং আপনি যদি না জানেন যে তারা কী বলে মানুষকে জঙ্গী বানাচ্ছে তাহলে হাদীস গ্রন্থের ব্যাপারে আপনার এই ঢালাও অভিযোগ একান্তই মিথ্যাচার হবে। কারণ এই হাদীস গ্রন্থগুলি হাজার বছর ধরেই প্রচলিত আছে আর তথাকথিত জঙ্গীবাদের প্রচারণা মাত্র সেদিনকার।"- আপনার কথা মানতে পারলাম না। আমাকে বলেন হাদিসে কি এই উপাদান গুলি নেই? অস্বীকার করতে চান। ভাল কথা আগে পড়ে অস্বীকার করেন।

আপনি হাদিসকে কন্টেক্সট দিয়েই পড়েন, মানা ত করি নাই। কোরআনে কন্টেক্সট অনুযায়ী যেমন বর্ণিত ২ টি কারন ছাড়া মানুষ হত্যা নিষিদ্ধ, সেই একি জিনিষ একি ভাবে আপনি হাদিস দিয়ে প্রমান করতে পারবেন? পারলে আমি আপনার কথা মেনে নিব।

আপনি আরও বলেছেন "বিষেশ করে আপনি যখন বহু সতর্কতায় সংরক্ষিত হাদীস মানতে রাজি নন...."- সেই পুরানো ক্যাচাল। হাদিস পড়ার আগে হাদিস সংগ্রহের ইতিহাস পড়েন। আমিও পড়েছি আপনাকেও পড়তে বলছি। আমি নিজেও এই সকল হাদিসের অথেন্টিসিটি নিয়ে লিখতে পারতাম - কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে ব্লগ এই ধরনের লেখার উপযুক্ত যায়গা না।

তবে কিছু ছিটাফোটা যে লেখি নাই তা না। চাইলে দেখতে পারেনঃ
ইমাম বুখারি এবং হাদিসের অঙ্ক

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আপনি এই প্রশ্নটা করে নিবুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন।"

ঠিক ধরেছেন - বর্তমান সময়ে উম্মুক্ত প্লাটফর্মে এই প্রশ্নের জবাব দেয়া যে কারণে বিপজ্জনক সেই একই কারনে একই প্লাটফর্মে কোন দল/মত/গ্রন্থকে দায়ী করে পোস্ট দেয়াও সমান বিপজ্জনক। কারণ এই পোস্ট পড়ে যে কেউ ভাবতেই পারে যে পোস্ট দাতার সাথে তাদের পরিচয়/যোগাযোগ আছে - তা না হলে সে জানল কিভাবে যে এই গ্রন্থগুলি থেকেই মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সুতরাং যদি বিপজ্জনক কথাবার্তা থেকে নিরাপদ থাকতে চান তাহলে এই ধরনের পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস যতটুকু জানি যেকোন ঐতিহাসিক ঘটনা সংরক্ষনের চেয়ে তা অনেক ব্যাপক সতর্কতার সাথে করা হয়েছিল। আমরা ইতিহাসের বই এ খ্রিস্টপুর্ব বিভিন্ন সভ্যতার বর্ননাও খুব সহজে মেনে নেই যা ঐরকম সতর্কতার সাথে সংরক্ষিত হয় নাই বরং কোন একজন লেখক তার কোন এক বই এ লিখে গেছেন। আমরা কোরআন নাজিলের প্রেক্ষাপটও মেনে নেই (যেমন কোন আয়াত/সুরা কোন সময়ে কোন ঘটনার প্রক্ষিত নাজিল হয়েছে ইত্যাদি) অথচ সেই সময়/তারিখ বা ঘটনার কথা কোরআনে নাই। অথচ সমস্যা কেবল হাদীস সংগ্রহ নিয়ে। যদি কেউ কোরআন নাজিলের সময় ও প্রক্ষাপট বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আয়াত গুলির শাব্দিক অর্থ নেয় আর বলে যে 'কোরআন যেহেতু চিরস্থায়ী কিতাব তাই এই আয়াতগুলি সর্বাবস্থায় কার্যকর' তখন আপনি অস্বীকার করবেন কিভাবে? আপনি বলবেন আয়াতগুলি যুদ্ধকালিন সময়ে বা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে - তাই তো? কিন্তু তার নিশ্চয়তা কি? হাদীস গ্রন্থগুলির ব্যাপারে যে সন্দেহ, কোরআন নাজিলের ইতিহাসের ব্যাপারে সেই সন্দেহ যদি কেউ করে তাহলে তাকে দোষ দেবেন কিভাবে?

২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪২

হানিফঢাকা বলেছেন: বলেছেন: সাবধান করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

হাদিসের ব্যাপারে আপনি যে কথা গুলি বলেছেন আজকে থেকে ১০-১৫ বছর আগে আমিও তাই জানতাম কারন তখন আমি নিজে পড়ে দেখিনি, কোরআন অর্থ সহকারে পড়িনি, কোরআনের সাথে হাদিস কে তুলনা করে দেখিনি। এই ধরনের সিন্ড্রম আমার কাছে নতুন কিছু না।

আপনি বলেছেন "হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস যতটুকু জানি যেকোন ঐতিহাসিক ঘটনা সংরক্ষনের চেয়ে তা অনেক ব্যাপক সতর্কতার সাথে করা হয়েছিল।"- সেইজন্যই ত পড়তে বলছিরে ভাই। আপনারত আমার কথা বিশ্বাস করার কোন দরকার নেই। কিন্তু আপনার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলেও ত আপনার নিজের এই লাইনে কিছু পড়াশোনা করা উচিত, তাই না? সবাই আপনার মতই বলে। ছোট করে বলছি, হাদিসের দুইটা পার্ট থাকে- একটা "সনদ" বা চেইন অফ নেরেটরস এবং "মাতন"- বা কনটেন্ট। হাদিস সংগ্রাহকরা যতটা সতর্কতা অবলম্বন করেছেন সনদের ব্যাপারে, কিন্তু তারা ততটাই অসতর্ক ছিল কনটেন্টের ব্যপারে । হাদিস সত্য বা মিথ্যা কিনা সেটার জন্য কেউ কখনো কোরআন কে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে ধরে নাই। এইজন্য কোরআনের বিপরীত প্রচুর হাদিস আমরা দেখতে পাই। এমনকি একি হাদিস বইয়েই বিপরীত ধর্মী হাদিস দেখতে পাই।

এই চেইন অফ নেরেটরস এ আছে বিশাল ঘাপলা। একজন যাকে বিশ্বস্ত বলেন আরেকজন তাকে দুর্বল বলেন। এই রকম হাজার সমস্যা আছে। তার সাথে হাদিস সংগ্রাহকদের ইতিহাস পড়লেও দেখবেন তাদের প্রায় সবাই ছিল পার্সিয়ান, এদের বেশিরভাগের উৎপত্তি আব্বাসিয় খিলাফতের সময়- এইবার আব্বাসীয় খিলাফত নিয়ে পড়েন তাহলেও কিছু বুঝতে পারবেন।

এইটা একটা বিশাল ব্যাপার এই জন্য প্রচুর পড়াশোনার দরকার। আপনি এই বিষয়ে যে কোন গবেষণা মূলক বই পড়ে দেখতে পারেন।

কোরআনের শানে নুযুলের কথা বলেছেন। অইখানেও একি সমস্যা। বেশিরভাগই বানানো, কল্পনাপ্রসূত- হাদিসের মতই। এর অনেক উদাহরণ আছে। তাবারী ইনফ্লুয়েন্স থেকে এখনো মানুষ বের হতে পারেনি।

কোরআনের কন্টেক্সট কোরানেই দেওয়া আছে। কোরআনের কন্টেক্সট খোজার জন্য কোন হাদিসের দরকার নেই। কোরআনের কন্টেক্সট বা ব্যাখ্যা হাদিসের উপর নির্ভরশীল না।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "হাদিস সত্য বা মিথ্যা কিনা সেটার জন্য কেউ কখনো কোরআন কে ক্রাইটেরিয়া হিসাবে ধরে নাই। "

যতদুর জানি হাদিস বাছাই এর প্রথম শর্তই ছিল তা কোরআনের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। এবং কোরআনের চর্চা ইসলামের প্রথম যুগেই সবচেয়ে বেশি ছিল। তার পর ক্রমান্ময়ে তা কমতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতা বিচার করলে হাদীস সংগ্রহের যুগেও কোরআন চর্চা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি থাকার কথা। আর যারা হাদিস সংগ্রহ করেছেন তারা সবাই একান্ত ব্যাক্তিগত উদ্যোগে বিনা পারিশ্রমিকে একান্ত আল্লাহর সন্তুস্টির জন্যই করেছিলেন। সেখানে ইচ্ছাকৃত ত্রুটির কোন মটিভ তাদের থাকার কথা নয়। ব্যাপারটা এ'রকম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি যে তখন তাদের বিচারে যে বিষয়গুলি ঠিক এবং কোরআনের শিক্ষার অনুরূপ মনে হয়েছিল আজকের পরিবর্তিত সমাজ ও চিন্তার মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে তাই সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছে।

আর একটা ব্যাপার হচ্ছে - আজকের সমাজে আমরা হাদীসকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি বা হাদীসের মাধ্যমে ইবাদত সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেস্টা করছি তাদের সময় বিষয়টা এমন ছিল না। তারা কোরআন জানতেন, কোরআনের ভিত্তিতেই ৯৯% সিদ্ধান্ত নিতেন আর হাদীসের গুরুত্ব ছিল ১% বা তারও কম। আমাদের কোরআন চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে সন্দেহ নাই কিন্তু তার জন্য হাদীস সংগ্রাহকদের নিন্দা বা হাদীস গ্রন্থগুলির ত্রুটি খুজে বেড়ানোর প্রয়োজন নাই।

যদি আপনি কোরআন চর্চার মাধ্যমে আরো ভাল মুসলমান, আরো ভাল মানুষ হতে পারেন এতটাই উচ্চে উঠতে পারেন যাতে ইতিহাসে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয় তাহলে সেটাই আসল সাফল্য। আর যদি কোরআন চর্চার মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করার ইতিবাচক চেস্টার পরিবর্তে অন্যদের ভুল ভ্রান্তি নিয়ে নেতিবাচক গবেষণাতেই সময় শ্রম মেধা বেশী ব্যায় হয় তাহলে তার পরিনতি খুব একটা ভাল হওয়ার কথা না।

যাই হোক - এই লিংকে এক জনের তাফসীর আছে যিনি কোরআন থেকেই কোরআনের ব্যাখ্যা করছেন। উনিও আপনারমত হাদীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিরোধী। সময় করে দেখতে পারেন, খুজলে ওনার আরো কিছু তাফসীর ইউটিউবে পাবেন।

https://www.youtube.com/watch?v=gvt2n-0zM1

ধন্যবাদ

২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি বলেছেন "যতদুর জানি হাদিস বাছাই এর প্রথম শর্তই ছিল তা কোরআনের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। - এই বিষয়ে জাস্ট একটা প্রমান দেখান। পাবেন না। সেইজন্য হাদিসে প্রচুর কোরআনের বিপরীত কথা বার্তা দেখা যায়।

"আর একটা ব্যাপার হচ্ছে - আজকের সমাজে আমরা হাদীসকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি বা হাদীসের মাধ্যমে ইবাদত সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার চেস্টা করছি তাদের সময় বিষয়টা এমন ছিল না। তারা কোরআন জানতেন, কোরআনের ভিত্তিতেই ৯৯% সিদ্ধান্ত নিতেন আর হাদীসের গুরুত্ব ছিল ১% বা তারও কম। আমাদের কোরআন চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে সন্দেহ নাই কিন্তু তার জন্য হাদীস সংগ্রাহকদের নিন্দা বা হাদীস গ্রন্থগুলির ত্রুটি খুজে বেড়ানোর প্রয়োজন নাই।"- পুরাপুরি একমত না।- কারন এই হাদিস গ্রন্থে নবী সম্পর্কে প্রচুর অপমান সুচক কথা আছে, নারী সম্পর্কে প্রচুর খারাপ কথা আছে- যে গুলি মানুষ অন্ধভাবে বিশ্বাস করে এবং ধর্মীয় বিধান বলে মনে করে। আমি মানুষের বিশ্বাস কে পরিবর্তন করতে পারবনা, সেই চিন্তাও আমার নাই, কিন্তু নিজেকত পারব।

ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমি মানুষের বিশ্বাস কে পরিবর্তন করতে পারবনা, সেই চিন্তাও আমার নাই, কিন্তু নিজেকত পারব।"

হ্যা, আমিও সেটাই বলছি। কিন্তু প্রশ্ন হল নিজেকে বদলানোর উপায় কি? উপায় হল ইতিবাচক ভাবে 'কী করনীয়' সেটা নিয়ে গবেষণা করা। কে কোথায় কী ভুল করেছে তা নিয়ে গবেষণাটা নেতিবাচক পথ। এই পথে গিয়ে নিজের বা সমাজের তেমন কোন উন্নতি করা যায় না।

একটা বিষয় লক্ষ করুন। ইমামগন হাদীস বাছাই ও গ্রন্থ সংকলনের প্রয়োজন কেন অনুভব করেছিলেন? কারণ তারা দেখেছিলেন যে সমাজে প্রচুর জাল হাদীসের প্রচলন আছে। ওনারা কিন্তু ঐসব জাল হাদীস কেন জাল/ভুল তা নিয়ে কোন গ্রন্থ লেখেন নাই - বরং ওনাদের বিচারে যেগুলি সঠিক পেয়েছেন সেগুলি নিজ নিজ গ্রন্থে সংকলিত করেছেন। এটাই ইতিবাচক পথ। এর ফলে লক্ষ লক্ষ জাল হাদীস হারিয়ে গেছে, চর্চায় আছে কেবল ঐ গ্রন্থে সংকলিত হাদীসগুলি।

এখন আপনি যদি মনে করেন ঐ গ্রন্থগুলিতেও ভুল/জাল হাদীস আছে তাহলে আপনার জন্যও এটা সঠিক পথ নয় যে আপনি সেই হাদীসগুলি কেন ভুল/জাল তা নিয়ে গবেষণা করা ও লিখে প্রচার করা। বরং ইতিবাচক কাজ হচ্ছে যেগুলি আপনার বিবেচনায় সঠিক সেগুলি সংকলিত করে নতুন হদীস গ্রন্থ প্রনয়ন ও প্রচারের ব্যাব্স্থা করা। যদি সেই গ্রন্থকে আপনি সমাজের মাঝে ঐভাবে জনপ্রিয় করতে পারেন তাহলে সেগুলিই টিকে থাকবে, চর্চা হবে আর অন্যগুলি চর্চার অভাবে হারিয়ে যাবে। কে জানে হয়ত হাজার বছর পর আপনার গ্রন্থেও অন্য কোন গবেষক এসে ভুল হাদীস খুজে পাবে - তখন তার কাজ হবে আপনার গ্রন্থের সঠিক হাদীসগুলি নিয়ে আর একটা সংকলন তৈরী করা। এ'ভাবে সকল যুগে শুধুমাত্র সঠিক নির্ভুল বিষয়ের চর্চা অব্যাহত থাকলে সেগুলিই টিকে থাকবে, ভুল অকল্যানকর বিষয় হারিয়ে যাবে।

আশা করি বুঝাতে পেরেছি। আমি হাদীস চর্চা খুব বেশি করি নাই। কারণ আমার বিবেচনায় কোরআন প্রথম, তার পরে আসবে হাদীস। কোরআন বুঝেইতো শেষ করতে পারলাম না, হাদীস পড়ব কখন! তবে বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ সংগ্রহ করেছিলাম। তার ভুমিকায় হাদীস সংকলনের ইতিহাস ও পদ্ধতি নিয়ে যে আলোচনা আছে সম্ভবত সেখানেই পড়েছিলাম হাদীস বাছাই এর প্রথম এবং প্রধান শর্ত তা কোরআনের শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। বইটা আপনার সংগ্রহে থাকলে দেখে নিতে পারেন।

ধন্যবাদ।

২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ১। যখনই কোরআন নিয়ে লিখি, তখনি এর বিপরীতে মানুষ হাদিস নিয়ে আসে। তখন বলতে হয় কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা
২। যখন এই হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ইসলামকে উপহাস করে তখন বলতে হয় কোনটা সত্য এবং কোনটা মিথ্যা
৩। যখন এই হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে মানুষ বলে ইসলামে নারীদেরকে কুকুর এবং গাধার সাথে তুলনা করা হয়েছে- তখন বলতে হয় কোনটা সত্য এবং কোনটা মিথ্যা।

এরকম প্রচুর উদাহরণ আছে। যেই জিনিসগুলি মিথ্যা সেইগুলি যুগ যুগ ধরে বইয়ে রাখার, চর্চা করার দরকার কি? হাদিস বই কোন ঐশ্বরিক বই না যার পরিবর্তন/ পরিমার্জন করা যাবে না। কেউ করেনা কারন, যদিও মুখে স্বীকার করেনা, কিন্তু তারা অইতাকে ঐশ্বরিক মনে করে। নবীর সাথে আয়েশার ৬ বছর বিবাহ সংক্রান্ত হাদিস এর উতকৃস্ট উদাহরণ।

আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখন মানুষ হাদিস ফলো করে, কিন্তু ঐটা করতে গিয়ে যখন বিপদ আসে তখন ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথাই বলে।
এই নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এখানেই শেষ করতে চাচ্ছি।
ভাল থাকুন।

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৩১

মহা সমন্বয় বলেছেন: কোরান, হাদিস সহ যাবতীয় ইসলামী বই পুস্তক থেকে, কাফেরদের হত্যা, কাফেরদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা, বিধর্মীদের প্রতি বিরুপ মনোভাব এসব বাণী সম্বলীত আয়াত হাদিস বাদ দিতে হবে। জীহাদের ফজিলত সম্পর্কিত যত বই,অডিও,ভিডিও আছে সব বয়েজাপ্ত করতে হবে। সেই সাথে বেহেশতের আরাম আয়েশের বর্ণনা সম্বলিত যে যেসকল বাণী আছে সেগুলোও মুছে ফেলতে হবে।
সোজা কথা পুরো ইসলামটাকে আবার নতুন করে আপডেট করতে হবে এছাড়া আর দ্বিতীয় কোন পথ দেখছি না।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই কাজ যে বা যারা করতে যাবে তাদের হত্যা করা হবে, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে গিয়ে জঙ্গিবাদ আরও বাড়বে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সমস্যা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত এই ধরনের কোন আয়াত নেই। যারা কোরআন থেকে এই ধরনের আয়াত খুজে পাওয়ার চেষ্টা করেন, তারা আউট অফ কন্টেক্সটে বিচ্ছিন্ন ভাবে বলে থাকেন। কোরআন শুধুমাত্র আত্নরক্ষা মূলক লড়াইয়ের অনুমতি দিয়েছে । মাঝে মধ্যে এই নিয়ে কিছু লেখা আশে। এই রকম একটা লেখার উত্তর দিয়েছিলাম, দেখতে পারেন Click This Link

কিন্তু হাদিসের বই গুলিতে এই উপাদান যথেষ্ট পরিমাণ আছে। এইগুলি তখন তারা নিজেদের প্রয়োজনে বানিয়েছিল। এর অনেক প্রমান আছে। এইগুলি রিমুভ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.