নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমান কাকে বলে? আপনি কি মুসলিম?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৯

লেখার উদ্দেশ্যঃ
ব্লগে কিছু লিখলে, অনেক সময় অনেকে কন্টেন্টের বাইরে গিয়ে প্রশ্ন করে “আপনার এই লেখার উদ্দেশ্য কি?” তাই কিছু লেখার আগে উদ্দেশ্য লিখতে বসছি। ব্লগে প্রায়ই প্রচুর ধর্মীয় পোস্ট আসে, অনেকেই কমেন্ট করে, বিতর্ক হয়। একটা কথা প্রায়ই দেখি যে এইটা বিশ্বাস না করলে আপনি বা কেউ মুসলমান হতে পারেনা/ অমুকে মুসলমান না যেহেতু সে অমুক কথা বলেছে/ মুসলমান হতে হলে আপনাকে অমুক জিনিষ বিশ্বাস করতে হবে, তা না হলে আপনি মুসলমান থাকতে পারবেন না ইত্যাদি। আমি মাঝে মধ্যে বেশ কয়েকজন কে ব্লগে প্রশ্ন করেছিলাম যে “মুসলমানের সংজ্ঞা কি?” এর উত্তর যেমনটি আশা করেছিলাম তাই- কেউ এর সংজ্ঞা দেয়নি বা দিতে পারেনি। কেউ কিছু বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সেটা অনেকটা ভাসা ভাসা। এটা সত্য যে যারা অন্যদেরকে নির্দ্বিধায় অমুসলিম বলে দিচ্ছেন, তারা কিসের ভিত্তিতে বলছেন তা তারা নিজেরাও হয়ত জানেনা। এই জন্য আসলে “মুসলমান কাকে বলে” – আমার এই লেখায় সেটা বের করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস বলতে পারেন।

ভূমিকাঃ
যদিও এই লেখাটার সাথে খুব একটা সম্পর্কিত না, তারপরেও ব্লগের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, আমার এই লেখাতে অনেকেই কষ্ট পেতে পারেন, রাগ করতে পারেন, আমাকে বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষিত করতে পারেন। কিন্তু আমি সরাসরি বলছি কাউকে আঘাত দেওয়া, বা কোন বিশেষ মত কে লক্ষ্য করে আঘাত করা আমার লক্ষ্য না। লেখার বিষয় বস্তুর উপরে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে, বা আলোচনা করতে চাইলে করতে পারেন। শুধু মাত্র তর্কের খাতিরে তর্ক না করাই ভাল। আমি এইখানে আমার এই লেখাটা আপনাকে বিশ্বাস করতে বলছিনা, বরং আমি যেটা চাচ্ছি সেটা হচ্ছে আমার লেখায় আমি যে রেফারেন্স গুলি দিব সেটা আপনারা নিজেরা যাচাই করে নিজেরাই সিদ্বান্ত নিবেন। আমি কারো বিশ্বাস পালটানোর জন্য এই লেখা লিখছিনা, বরং চাচ্ছি আপনি নিজের বিশ্বাসের ভিত্তিকে যাচাই করে নিজেই সিদ্বান্ত নিন। দিন শেষে সিদ্বান্ত আপনার।

কে মুসলমান আর কে মুসলমান না – এই বিষয়ে কার সিদ্বান্ত চুড়ান্তঃ
এক কথায় আল্লাহ্‌। আপনি মানুষের চোখে যাই হন না কেন, আপনি আল্লাহর কাছে কি সেটাই একমাত্র বিবেচ্য বিষয়। সুতরাং আল্লাহ্‌ মুসলমানের যে ক্রাইটেরিয়া দিয়েছে সেটা বের করাই আমার উদ্দেশ্য।

মুসলমানের সংজ্ঞা কিঃ
কোরআনে স্পষ্ট ভাবে “মুসলিম” এবং “মুমিন” – এই দুটা টার্ম আলাদা করা আছে। যদিও আমরা এই দুটা শব্দকে অনেক সময় পরস্পরের প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যাবহার করি, কোরআন অনুসারে এই দুইটা শব্দ দিয়ে দুই ধরনের মানুষকে বুঝানো হয়েছে।

Say, "O People of the Scripture, come to a word that is equitable between us and you - that we will not worship except Allah and not associate anything with Him and not take one another as lords instead of Allah." But if they turn away, then say, "Bear witness that we are Muslims (৩:৬৪)

Say, "It is only revealed to me that your god is but one God; so will you be Muslims (২১:১০৮)

সুতরাং কোরআন অনুসারে মুসলমানের সংজ্ঞা হচ্ছে (মিনিমাম ক্রাইটেরিয়া) ঃ

“মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যে নিজেকে এক সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহ/ঈস্বর/ ভগবান /এল/ইয়হয়) - যে নামেই ডাকেন না কেন) ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করে।“

খুব ছোট একটা সংজ্ঞা, কিন্তু খুবই অর্থবোধক এবং শক্তিশালী। মুল কনসেপ্ট হচ্ছে একেশ্বরের কাছে সমর্পণ করা।
কোরআনে বিভিন্ন জায়গায়, মুসলিম বলতে এই মুল কনসেপ্টই বুঝানো হয়েছে।

সুতরাং কোরআনের মুসলিম কনসেপ্ট অনুযায়ী একজন নিজেকে এক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ ভাবে আত্ন সমর্পণ বুঝায়। এই ক্ষেত্রে তাকে কোন নবী বা রাসুল সে আদম (আঃ) ই হোক আর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ই হোক- তাকে বিশ্বাস করতে হবে অথবা কোন আসমানী গ্রন্থ সে তওরাত ই হোক বা কোরআনই হোক বিশ্বাস করতে হবে- এই ধরনের কোন কথা কোরআনে বলা হয় নাই। এই ধরনের কথা মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য, মুসলমানের ক্ষেত্রে নয়।

মনে রাখতে হবে নবী মুহাম্মদের পূর্ববর্তী সকল নবী এবং রাসুলগন মসুলিম ছিল। তারা কেউ নবী মুহাম্মদকে চিনত না বা কোরআন কি জানত না। এমনকি, ফেরাউনের যাদুকরেরা মুসলমান হয়েছিল (৭:১২৬), নবী ঈসার সাথীরা মুসলমান ছিল (৩:৫২)। এরকম প্রচুর উদাহরণ কোরআনে আছে।

শেবার রানীকে নবী সোলাইমান আল্লাহর কাছে আত্ন সমর্পণের জন্য চিঠি দিয়েছিল (২৭ঃ৩১) এবং শেবার রানী পরবর্তীতে মুসলমান হয়েছিল (২৭:৪৪)। তাঁদের কেউ নবী মুহাম্মদকে চিনত না বা কোরআন কি জানত না।

এই মুসলমান নাম করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্‌, এবং এই মুসলিম শব্দের কনসেপ্ট কোরআনে স্পষ্ট ভাবে দেওয়া আছে। সুতরাং এটা কোন দল, মত, গোসটির নিজস্ব ব্যাবসায়িক সম্পত্তি না। শুধুমাত্র নিজের বিশ্বাসের সাথে না মিললে আরেকজন কে অমুসলিম বলে ফতোয়া দিলে সে আপনার/ আপনার দলের/মতের চোখে অমুসলিম হতে পারে কিন্তু আল্লাহর চোখে সে অমুসলিম কি না সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত। একটা কথা এখানে প্রাস্নগিক ভাবে বলে রাখা ভাল যে মুসলমানের বিপরীত শব্দ “কাফির”- এটা সবসময় প্রযোজ্য নয়।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, কোরআনের এই কনসেপ্ট অনুযায়ী অন্য ধর্ম পালন করে কিন্তু এক আল্লাহ্র/ঈস্বরের/ভগবানের কাছে নিজেকে সমর্পণ করেছে সে মুসলমান। সেই জন্য কোরআন অনুসারে অনেক ইহুদী, খৃস্টান মুসলমান। মজার বিষয় হচ্ছে কোরআনে ইহুদী এবং খৃস্টানদেরকে তাঁদেরকে দেওয়া আইন/বিধান ত্যাগ করতে বলা হয়নি, বরং তাদেরকে তাদেরকে দেওয়া বিধান অনুযায়ী বিচার করা হবে। তাঁদের কে কোরআন এবং নবী মুহাম্মদের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই তাকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।


একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে ধর্মীয় বিধান এবং নবী রাসুলের উপর বিশ্বাস মুসলিম হবার জন্য পূর্ব শর্ত না হলেও, মুমিন হবার জন্য পূর্ব শর্ত। মুসলমান এবং মুমিনের মধ্যে প্রথম পার্থক্য হচ্ছে এইটা। কোরআনে এই পার্থক্য স্পষ্ট ভাবে বলা আছেঃ

মুমিনঃ

The desert Arabs say, "We believe." Say, "Ye have no faith; but ye (only) say, 'We have submitted our wills to Allah,' For not yet has Faith entered your hearts. But if ye obey Allah and His Messenger, He will not belittle aught of your deeds: for Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful. (৪৯:১৪)

সুতরাং ৪৯:১৪ অনুসারে প্রথমে সাবমিশন/ সমর্পণ তার পরে বিশ্বাস। প্রথমে ইসলাম তার পরে ইমান। কিন্তু প্রচলিত সমাজ ব্যাবস্থায় এর বিপরীত দেখা যায়।

এই আয়াতে মুসলিম এবং মুমিনদের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট করা হয়েছে। ধর্মীয় বিধান এবং নবী রাসুলের উপর বিশ্বাস অন্তরে প্রবেশ না করলেও যদি এক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সমর্পণ করে সে মুসলিম। আর যারা ধর্মীয় বিধান এবং নবী রাসুলের উপর বিশ্বাস করে এবং আত্ন সমর্পণ করে তারা মুমিন। সুতরাং মুমিন হচ্ছে মুসলিম থেকে স্ট্যাটাসে একধাপ উপরে।

The believers are only the ones who have believed in Allah and His Messenger and then doubt not but strive with their properties and their lives in the cause of Allah . It is those who are the truthful. (৪৯ঃ১৫)

The believers are only those who, when Allah is mentioned, their hearts become fearful, and when His verses are recited to them, it increases them in faith; and upon their Lord they rely The ones who establish prayer, and from what We have provided them, they spend Those are the believers, truly. For them are degrees [of high position] with their Lord and forgiveness and noble provision. (৮ঃ২-৪)

অর্থাৎ,
মুসলিম= এক ইশ্বরের কাছে সমর্পণ করা;

মুমিন= মুসলিম+ আরও কিছু এক্সট্রা, অর্থাৎ নবী রাসুল এবং ধর্মীয় বিধান বিশ্বাস করা এবং তদানুযায়ী জীবন যাপন করা।

উপরের মুমিন সংক্রান্ত (৪৯:১৪, ৮:২-৪) আয়াতেই মুমিনের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, যা মুসলিম থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, সকল মুমিনই মুসলমান, কিন্তু সকল মুসলমান মুমিন নাও হতে পারে।

আরেকটা উদাহরণ দেই। কোরআনের ২৮:৫৩ তে বলা আছেঃ

And when it is recited to them, they say, "We have believed in it; indeed, it is the truth from our Lord. Indeed we were, before it, Muslims." (২৮:৫৩)

যারা এতক্ষন কষ্ট করে এই লেখাটা পড়েছেন, আশা করি তাদেরকে ২৮:৫৩ এর কোন ব্যাখ্যা দেওয়া লাগবেনা। এই একটা আয়াতই বলে দেয় মুসলিম কাকে বলে। এর পরের আয়াতেই আল্লাহ্‌ মুমিনদেরকে দ্বিগুন পুরস্কার দেবার কথা বলেছেন, কারন মুমিনদের এক্সট্রা কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (৪৯ঃ১৫, ৮:২৪)

একটা ইন্টারেস্টিং অবজাররভেশনঃ
কোরআনে যত স্পেসিফিক নির্দেশ এসেছে সবখানে বলা হয়েছে “ ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু”- অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগন/ O you who have believed”- অর্থাৎ মুমিনদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন। কোরআনে কোথাও এইভাবে মুসলিমদের উদ্দেশ্য স্পেসিফিক কমান্ড দেওয়া হয় নাই, বলা হয় নাই “ইয়া আইয়ুহাল্লাজিনা আসলামু”। এর কারন এখন পরিষ্কার। এর কারন হচ্ছে মুমিনরা তাঁদের দেওয়া গ্রন্থ কে বিশ্বাস করবে এবং তদানুযায়ী কাজ করবে। সেই জন্য স্পেসিফিক কমান্ড মুমিনদের উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মুসলমান এক আল্লাহর কাছে আত্ন সমর্পণ করলেও, সে কোরআন বা তার ধর্মীয় গ্রন্থ কে বিশ্বাস নাও করতে পারে বা কোন নবীর অনুসারী নাও হতে পারে।

সুতরাং, কোরআন অনুযায়ী মুসলমানের সংজ্ঞা হচ্ছেঃ

মুসলিম= এক ইশ্বরের কাছে সমর্পণ করা;

মুমিন= মুসলিম+ আরও কিছু এক্সট্রা, অর্থাৎ নবী রাসুল এবং ধর্মীয় বিধান বিশ্বাস করা এবং তদানুযায়ী জীবন যাপন করা।




বি:দ্রঃ
ব্লগার আকদেনিজ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে এনেছেন সেটা হল এই লেখাটা পরে এটা মনে হতে পারে যে মুসলিম বলতে আল্লাহ বা এক ঈস্বরকে অস্বীকারকারীও বুঝায়। আমার লেখাটা আবার পড়লাম এবং যেটা বুঝতে পারলাম যে যদিও প্রথম অংশে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করা হয়েছে নিম্নোক্ত প্যারা তেঃ

“সুতরাং কোরআনের মুসলিম কনসেপ্ট অনুযায়ী একজন নিজেকে এক আল্লাহর ইচ্ছার কাছে সম্পূর্ণ ভাবে আত্ন সমর্পণ বুঝায়। এই ক্ষেত্রে তাকে কোন নবী বা রাসুল সে আদম (আঃ) ই হোক আর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) ই হোক- তাকে বিশ্বাস করতে হবে অথবা কোন আসমানী গ্রন্থ সে তওরাত ই হোক বা কোরআনই হোক বিশ্বাস করতে হবে- এই ধরনের কোন কথা কোরআনে বলা হয় নাই। এই ধরনের কথা মুমিনদের জন্য প্রযোজ্য, মুসলমানের ক্ষেত্রে নয়।“

লেখার দ্বিতীয় অংশে শুধু মাত্র “বিশ্বাস” শব্দটা লেখার জন্য এই ধরনের কনফিউশনের উদ্ভব হয়েছে।সেই জন্য লেখার দ্বিতীয় অংশে “বিশ্বাস” শব্দটার আগে “ধর্মীয় বিধান এবং নবী রাসুলের উপর” শব্দটা যোগ করছি যাতে কোন কনফিউশনের উদ্ভব না হয়।
এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত

আমি ব্লগার আকদেনিজ কে আন্তরিক ভাব ধন্যবাদ দিচ্ছি এই বিষয়টা নজরে আনার জন্য।












মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:৩২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: মুমিন হয়ত হতে পারিনি, তবে আমি মুসলিম এটা নিশ্চিত। এর বেশি কিছু বলার জ্ঞান আমার নেই ভাই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৭

রাসেল সরকার বলেছেন: আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমী বলেন, হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিসায় রুগী মরে যাবার যেমন ভয় আছে, তেমনি হাতুড়ে মোল্লার অনুসারী হলে ঈমান চলে যাবার ভয়ও থাকতে পারে ।
কাউকে ঈমান হারা করার জন্য এই পোষ্টটি যথেষ্ট ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: কাউকে ঈমান হারা করার জন্য এই পোষ্টটি যথেষ্ট । - এই পোস্ট পড়লে ইমান চলে যাবে? কিভাবে? আপনার ইমান কিসের উপর নির্ভরশীল। রূপকথা? তাহলে ঠিকই আছে, এই পোস্ট পড়লে রূপকথার মত ভ্রান্ত জিনিষ দূর হবে।

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪১

রাসেল সরকার বলেছেন: ইসলামে মানুষের সত্ত্বা ও স্বাধীনতাকে নিশ্চিত এবং কোন প্রকার চাপ ব্যতীত কেবল জ্ঞানের আলোকে সত্য এবং জীবনের মর্ম ও সঠিক পথ ঊপলব্ধির সুযোগ করে দিয়ে বলা হয়েছে, " তোমাদের জন্য তোমাদের জীবনব্যবস্থা আর আমাদের জন্য আমাদের জীবনব্যবস্থা। " (সুরা কাফেরুন) অর্থাৎ নিজের দ্বীন সম্পর্কে আপোষ বা নিরপেক্ষ না হয়ে অটল থেকেও অন্যের দ্বীন বা মতাদর্শের ও অধিকার স্বীকার করে নেয়া, কারো মতপথের বিপরীত কোন কিছু বাধ্যতামূলক চাপিয়ে না দেয়া, আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কেবল জ্ঞানের মাধ্যমে আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করা।

উপাস্য, আরাধ্য , জাতীয়তা, জীবনদর্শন নির্বিশেষে তথা মুসলিম অমুসলিম, মুমিন-কাফের প্রত্যেকে নিজ নিজ বিশ্বাস ও জীবন চেতনার উৎস, মূল,পথ পদ্ধতি নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে একে অন্যের হস্তক্ষেপ ছাড়াই এবং কারো নিকট জওয়াবদিহী না করেই এ দুনিয়ায় চলতে পারার অধিকার আল্লাহতায়ালার হাবীব ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম দিয়েছেন এবং চুড়ান্ত বিচার ও জওয়াব কেবল আল্লাহতায়ালাই নিতে পারেন। কিন্তু ইসলামের ছদ্দনামধারী অথচ প্রকৃত ইসলামের শত্রু এসব মৌলবাদ আভিহিত বাতেল ফেরকা সেখানে অন্যের পথ মত ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতা অধিকার এমনকি মৌলিক মানবাধিকার পর্যন্ত জবরদস্তি পদদলিত করে দ্বীনের পবিত্র নাম কলংকিত করে। যে যুগে যখন যেখানে খারেজী শিয়া ওহাবী ইত্যাদি বাতেল ফেরকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সমাজে বা রাষ্ট্রে সেখানেই ঈমান হরণ ও দ্বীন বিকৃতির সাথে সাথে ব্যক্তিস্বাধীনতা মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়ে আইয়ামে জাহালিয়াতের বিভীষিকা নেমে এসেছে।

কোরআন পাকে যেখানে বলা হয়েছে দ্বীনে কোন জবরদস্তি নেই, (সুরা বাকারা, আয়াত-২৫৬) এরা সেখানে দ্বীনের শিক্ষা ও মর্ম লংঘন করে দ্বীনের নামে আল্লাহর আইনের নামে প্রতারনা করে মানুষের আল্লাহ প্রদত্ত মৌলিক অধিকার ব্যক্তি স্বাধীনতা এমন কি ভোটাধিকার পর্যন্ত হরণ করে নিপীড়ন মূলক ভাবে নিজেদের মনগড়া বিকৃত আইন আমল ফতোয়ার নামে সমাজে রাষ্ট্রে নিজেদের দলীয় বা গোত্রীয় ত্রাস সৃস্টি করে।

বস্তুত যে কোন ধর্মের বা মতবাদের বিকৃত মৌলবাদ সত্য ও মানবতার বিরদ্ধে খুবই ভয়াবহ বিষয় যারা অন্ধভাবে জোরপূর্বক শক্তি প্রয়োগে নিজেদের সব কিছু অন্যের ঊপর চাপিয়ে দিতে চায় এবং অন্যের স্বাধীনতা অস্বীকার করে। প্রকৃত ইসলামে এটা সম্পূর্ণ হারাম।

- ইমাম হায়াত।

বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন (World sunni movement) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সার্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর প্রবর্তক - ইমাম হায়াত।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

হানিফঢাকা বলেছেন: বিশাল এক লেকচার মারলেন। বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন (World sunni movement) সম্পর্কে জানেন, কিন্তু নিজের ধর্ম গ্রন্থ কি বলেছে সেটা জানেন না। আমি এই খানে কোরআনের রেফারন্স সহকারে মুসলিম এবং মুমিন কাকে বলে সেটা বের করার চেষ্টা করছি, আর আপনি এসেছেন কোন এক ইমাম হায়াত কে নিয়া। যদি আলোচনা করতে চান রেফারেন্স সহকারে আলোচনা করতে আসেন, আপনার রেফারেন্স অনুযায়ী মুসলিম এবং মুমিন এর সংজ্ঞা কি বলেন। তাহলে আলোচনা হতে পারে। আমি কোথায় ভুল করেছি সেটা বলেন। কন্টেন্ট স্পেসিফিক কথা বলেন। অযথা ঐ সব ফালতু জিনিষ টেনে আনবেন না। জানলে বলেন, আর না জানলে শিখে আসেন।

ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: মুসলিম= এক ইশ্বরের কাছে সমর্পণ করা;

তাহলে অন্যান্য ধর্মলবম্বী যারা স্রৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী তারাও কি মুসলিম?
আপনার এই ব্যাখ্যাগুলোর সাথে কোন ইসলামি স্কলার বা বিশেষজ্ঞ কোন আলেম কি একমত হবেন?
ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

হানিফঢাকা বলেছেন: "তাহলে অন্যান্য ধর্মলবম্বী যারা স্রৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী তারাও কি মুসলিম?" - আমি বলেছি "এক সৃষ্টি কর্তা",

কোরআন অনুসারে এক সৃষ্টি কর্তার কাছে আত্ন সমর্পণ কারীকেই মুসলিম বলে। সেই হিসাবে যারা এক সৃষ্টি কর্তার কাছে আত্নসমর্পণ কারী সেই আল্লাহর কাছে মুসলিম বলে গণ্য হবে। এটা যে কোন ধর্মের হতে পারে।

আপনার এই ব্যাখ্যাগুলোর সাথে কোন ইসলামি স্কলার বা বিশেষজ্ঞ কোন আলেম কি একমত হবেন? - এটাত আমি বলতে পারব না। তবে আপনাকে একটা পথ বাতলে দিতে পারি। সেটা হচ্ছে আপনি যে কোন আলেম কে দুইটা প্রশ্ন করবেন, তা হচ্ছেঃ

১। মুসলমান এবং মুমিনের সংজ্ঞা কি?
২। এর স্ব পক্ষে রেফারেন্স দেন।

আমার লেখায়, আমার যুক্তির পক্ষে রেফারেন্স দিয়েছি হাইয়েস্ট অথরিটি "কোরআন থেকে"। এখন তাঁদের দেওয়া রেফারেন্স এবং আমার দেওয়া রেফারেন্স মিলিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন। মনে রাখবেন, অন্য কোন রেফারেন্স যেমন হাদিস, ইজমা, কিয়াস - এইসব কোরআন কে সুপারসিড করে না।

ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

সৌরভ০৮ বলেছেন: ভাই ভালো লিখেছেন। আমাদের সমস্যা হলো, কিছু হলেই অামরা লাফ দিয়ে উঠি যে কোন আলেম সাহেব বা কোন মাওলানা সাহেব এই কথা সমর্থন করেন কিনা? মাওলানা সাহেবরা যা বলেন তাই ইসলাম হলে আমাদের কি অবস্থা যে হতো তা কল্পনাও করতে পারিনা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ইসলামে যতগুলি দল আছে যেমন ঃ সুন্নী, শিয়া, কাদিয়ানী, অহাবী ইত্যাদি- সব দলের স্পেসিফিক বিশাল বিশাল আলেম নামধারী মানুষ আছেন। তারা সবাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের বানানো বা তাঁদের পূর্ব পুরুষদের আলেমদের তৈরি করা মতবাদ প্রচার করে। এই জন্য কেউ কারো সাথে একমত হতে পারেনা। প্রতিটি সেক্টই শিরকের দোষে দুষিত, কারন তাঁদের হাইয়েস্ট অথরিটি তাদের কোন না কোন ইমাম।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

জেন রসি বলেছেন: ইউনিক দৃষ্টিভঙ্গি। এমন ব্যাখ্যা এই প্রথম পড়লাম। তবে আমার কাছে মনে হয় ধর্মীয় মতবাদগুলো তৎকালীন সময়ের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়ার ফল এবং এসবের সাথে রাজতন্ত্র এবং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের গভীর সম্পর্ক আছে।তাই ইতিহাসের আলোকেই বিভিন্ন ভাবে ব্যাখা করার চর্চা মানুষ করে আসছে। অর্থাৎ একই মতবাদকে কেন্দ্র করে ভিন্ন ভিন্ন কনসেপ্ট মানুষ ধারন করছে।


০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৪

হানিফঢাকা বলেছেন: তবে আমার কাছে মনে হয় ধর্মীয় মতবাদগুলো তৎকালীন সময়ের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়ার ফল এবং এসবের সাথে রাজতন্ত্র এবং গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের গভীর সম্পর্ক আছে - এটা মনে হওয়ার কিছু নাই। এটাই সত্য। ওমাইয়াদ এবং আব্বাসীয় দের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে আব্বাসীয়দের নিজদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বিশেষ করে পার্সিয়ানদের উচ্চ প্রভাব এর কারন।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কোরআন কেন্দ্রিক এই টাইপ পোস্ট অ্যাপ্রেসিয়েট করার মতোই কিছু! (+)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: অনেকেই আছেন যারা ধর্ম বা ধর্ম গ্রন্থগুলো মানুষের তৈরী বলে মনে করেন, কিন্তু স্রষ্টার ব্যাপারে সন্দিহান- এদের ব্যাপারে কোরানে কি বলা আছে?

আর নাস্তিকদের ব্যাপারে কোরানে কি বলা আছে? স্রষ্টাতে অবিশ্বাস করলে কি কি শ্বাস্তি দেওয়া হইবে?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: স্রষ্টাতে অবিশ্বাস করলে কি কি শ্বাস্তি দেওয়া হইবে? - যে স্রস্টা তে অবিশ্বাস করে তার শাস্তির কথা চিন্তা করে কি লাভ?

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৪

রাসেল সরকার বলেছেন: রাসুল সর্ব জগতের সর্ব সৃষ্টির জন্য আমার রহমত (সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৭) । মুমিনদের জন্য আল্লাহর পরম অনুগ্রহ রাসুলকে পাওয়া (সুরা ইমরান, আয়াতঃ ১৬৪) । আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উৎসব কর এবং এর মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ (সুরা ইউনুছ, আয়াতঃ ৫৮) । রাসুলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া (সুরা নিসা, আয়াতঃ ৮০) । নবী মুমিনদের প্রাণের চেয়েও নিকটতম ও প্রিয়তম । (সুরা আহযাব,, আয়াতঃ৬) । তোমরা পরষ্পর নিজেদের যেভাবে অভিহিত করে (অর্থাৎ সর্ব সাধারণের জন্য যে ভাষা ও শব্দ যেমন জন্ম মৃত্যু ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়) আল্লাহর মহান রাসুলের শানে সেভাবে করবে না । (সুরা নুর, আয়াতঃ ৬৩) । "প্রকৃতই তোমাদের নিকট এসেছেন আল্লাহর নিকট থেকে নুর (রাসুল) ও কিতাব (কোরআন)" (সুরা মায়েদা, আয়াতঃ ১৫) ।

প্রিয়নবীই সৃষ্টির জন্য্ আল্লাহতায়ালার একমাত্র প্রত্যক্ষ মূল আলো, আত্মার আলো, জীবনের আলো, জ্ঞানের আলো, হিদায়াত ও নাজাতের আলো, আল্লাহতায়ালার হাকিকত ও মারেফাতের আলো, অন্যসব আলোর উৎস । আল্লাহতায়ালা ছাড়া কোন পরম অস্ত্বিত্ত্ব, মূল সত্য ও প্রকৃত শক্তি নেই, সে পরম সত্য শক্তি ও মহাসত্ত্বার রেছালাত, সর্বময় মূল প্র্রতিনিধিত্ব, সম্পর্ক, নুর ও রহমতের ধারক বাহক সংযোগ মহান রাসুল । আল্লাহতায়ালার মহান পবিত্র সত্ত্বা তাঁর প্রত্যক্ষদর্শী রাসুল ব্যতীত সবার জ্ঞান, চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে, আল্লাহতায়ালার নুর বলতে প্রিয়নবীকেই বুঝায় । সর্ব সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহতায়ালা নুররুপে প্রিয়নবীকে তৈরি করেছেন, নিজ নূরে নূরানী করেছেন, সে নূর থেকেই সব অস্ত্বিত্ত্ব ও জীবন দিয়েছেন, সে নূর থেকে সবাইকে আলোকিত করেছেন । এ জন্য এবং আরো অনেক কারনে প্রিয়নবীই জীবনের উৎস ও মূল । প্রিয়নবী আল্লাহর নূর (তফসিরে রুহুল মায়ানী ১ম খন্ড ২১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে রুহুল বায়ান ২য় খন্ড ২৬৯ পৃষ্ঠা, ৩য় খন্ড ৫৪৩ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেক ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে খাজেন ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা, ২য় খন্ড ২৮, ৩য় খন্ড ৩৩২ পৃষ্ঠা, তফসিরে বায়জাবী ১ম খন্ড ৬৪ পৃষ্ঠা, তফসিরে ইবনে কবির ৩য় খন্ড ৩৮৬, ৩৯৫, তফসিরে জালালাইন ৯৭ পৃষ্ঠা, তফসিরে কুরতূবী ১১৮ পৃষ্ঠা, তফসিরে মাদারেজ ১ম খন্ড ৪১৭ পৃষ্ঠা এবং আরো অনেক তফসির শরীফ ও হাদিস শরীফ) ।

মনেপ্রাণে পবিত্র কলেমা তাইয়েবা গ্রহণ করে বাতেল থেকে মুক্ত ও হকের সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমেই কেউ ঈমানদার হতে পারে । কলেমা তাইয়েবার মাধ্যমে বস্তুগত উপাসনা তথা বস্তু কেন্দ্রিক জীবনচেতনার শপথ নেয়া হয় । তাই মুমিনের জীবন ভাষা-গোত্র-রাষ্ট্র-পেশা-লিঙ্গ-বর্ণ ইত্যাদি বস্তু ভিত্তিক নয়, খেলাফত ইমামত বেলায়েতের অনুসরণে কেবলমাত্র রেছালাতকেন্দ্রিক তাওহীদভিত্তিক । নাস্তিক্যউদ্ভুত বস্তুভিত্তিক জীবন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা কলেমার জীবনচেতনার বিপরীত তথা তাওহীদ রেসালাতের বিপরীতে বিধায় এসবের সমর্থক অনুসারী প্রকৃতপক্ষে ঈমানদার বা মুসলিম থাকেনা । বস্তু ভিত্তিক জীবন চেতনা নাস্তিক্য উদ্ভূত ও রেসালাত কেন্দ্রিকতার বিপরীত বিধায় মানুষকে তাওহীদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে মিথ্যায় নিমজ্জিত করে মানুষের মধ্যে কৃত্রিম ভেদাবেধ বৈষম্য হিংসা সাম্প্রদায়িকতা অনাচার অরাজকতা সৃষ্টি করে মানুষকে দোজাহানে ধ্বংস করে । পবিত্র কলেমা তথা ঈমান মানুষকে বস্তুগত উপাসনা ও বস্তুর দাসত্ব থেকে মুক্ত করে অবিনশ্বর চিরন্তন সত্যের আলোকে অালোকিত করে জীবনের প্রকৃত লক্ষ্যে নিয়ে যায়, সত্য সুবিচার মানবতা অধিকার কায়েম রাখে এবং মিথ্যা অবিচার জুলুম শোষণের কবল থেকে রক্ষা করে ।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

হানিফঢাকা বলেছেন: রাসুল সর্ব জগতের সর্ব সৃষ্টির জন্য আমার রহমত (সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১০৭) । মুমিনদের জন্য আল্লাহর পরম অনুগ্রহ রাসুলকে পাওয়া (সুরা ইমরান, আয়াতঃ ১৬৪) । আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে আনন্দ উৎসব কর এবং এর মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ (সুরা ইউনুছ, আয়াতঃ ৫৮) । রাসুলের হওয়াই আল্লাহর হওয়া (সুরা নিসা, আয়াতঃ ৮০) । নবী মুমিনদের প্রাণের চেয়েও নিকটতম ও প্রিয়তম । (সুরা আহযাব,, আয়াতঃ৬) । তোমরা পরষ্পর নিজেদের যেভাবে অভিহিত করে (অর্থাৎ সর্ব সাধারণের জন্য যে ভাষা ও শব্দ যেমন জন্ম মৃত্যু ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়) আল্লাহর মহান রাসুলের শানে সেভাবে করবে না । (সুরা নুর, আয়াতঃ ৬৩) । "প্রকৃতই তোমাদের নিকট এসেছেন আল্লাহর নিকট থেকে নুর (রাসুল) ও কিতাব (কোরআন)" (সুরা মায়েদা, আয়াতঃ ১৫) । - এই সব বিকৃত আউট অফ কন্টেক্সট অনুবাদ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?

রাসুল নূর? নূর বলতে কি বুঝেন? ফিজিক্যাল লাইট? ফিলিপস বাত্তি? কত ওয়াটের?

কন্টেক্সট স্পেসিফিক কিছু বলার থাকলে বলেন, তা না হলে অযথা এইসব এইখানে পেস্ট করবেন না।

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

লেখা পাগলা বলেছেন: ৬ নং মন্তব্যের প্রতি উত্তরে লেখক বলেছেনঃ এটা মনে হওয়ার কিছু নাই। এটাই সত্য। ওমাইয়াদ এবং আব্বাসীয় দের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং পরবর্তীতে আব্বাসীয়দের নিজদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বিশেষ করে পার্সিয়ানদের উচ্চ প্রভাব এর কারন।
সহমত
কিছু কিছু ইতাহাসে এরকমই পাওয়া যায়

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:০০

মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: শোনো মুমিন মুসলমানও, করি আমি নিবেদনো, এই দুনিয়া ফানা হবে কিছুই রবে না।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: সো?

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

কল্যানপুর বলেছেন: পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সাত আকাশ এবং সাত জমিন সম্পর্কে আলেমদের ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের সাথে মিলছে না। এজন্য আমি খুবই কনফিউজড। এব্যপারে আপনার কাছে একটি লেখা আশা করছি।
“নির্মান করেছি তোমাদের মাথার উপর মজবুত সপ্ত-আকাশ।” (৭৮:১২)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাই বিজ্ঞান সম্পর্কে আমার জ্ঞান কম। আমি বৈজ্ঞানিক এর ব্যাখ্যা পড়েছি , কিন্তু আমার মনে হয় না আমি এইটা বিজ্ঞানের দৃস্টি কোন থেকে বুঝাতে পারব। এইটা পারবে সে যে কোরআন এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখে। আমি আপনাকে যেটা বলতে পারি, সেটা হচ্ছে ঃ

কোরআনে যে শব্দটা এসেছে তা হচ্ছে "সাবা"। এর অর্থ ৭ এর মধ্যে লিমিটেড না। এইটা একটা এক্সপ্রেশন যেখানে মাল্টিচিউড বা বহু সংখ্যা বুঝায়। একি জিনিশ আরবীতে ৪০,৭০ এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ধন্যবাদ।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

জে.এস. সাব্বির বলেছেন: "তাহলে আপনার পর্যালোচনা অনুসারে ,সমগ্র মানবজাতিকে কুরআন (আল্লাহ) দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন ।
এক. মুসলিম দুই. মুশরিক ।
মুসলিমদের ক্যাটাগরি আবার দুইটা ।এক. মুমিন দুই. মুমিন নয় ।"

একটা কথা এখানে প্রাস্নগিক ভাবে বলে রাখা ভাল যে মুসলমানের বিপরীত শব্দ “কাফির”- এটা সবসময় প্রযোজ্য নয়। তাহলে কাফির এর সংঞ্জা কি?? আমার জানামতে মুশরিকরা কাফির নয় ।যিনি আল্লাহকে বা তার বিধানকে অস্বীকার করেন তিনি কাফির ।। ধরুণ একজন এক আল্লাহকে স্বীকার করল কিন্তু তার কোন একটা বিধানকে করল অস্বীকার ।তাহলে তার কাফির হওয়ার কথা ।।। কিন্তু আপনার দেওয়া ক্যাটাগরি অনুসারে সে একজন মুসলিম ।

রেফারেন্স সহ বুঝিয়ে বলবেন কি ?যে , একজন মুসলিম কীভাবে কাফের হয় ??

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

হানিফঢাকা বলেছেন: "তাহলে আপনার পর্যালোচনা অনুসারে ,সমগ্র মানবজাতিকে কুরআন (আল্লাহ) দুই ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন"। - না দুইটি ভাগে না আরও অনেক ভাগ আছে। আমি কোথাও বলিনি দুইটি ভাগ করেছে, আমি শুধু দুই টাইপের কথা লিখেছি।

কাফির নিয়ে লিখতে গেলে ডিটেইলস লেখতে হবে যা এই মুহূর্তে বা এই খানে সম্ভব না। মুল কথাটা ছোট করা বলার চেষ্টা করছিঃ
কুফর শব্দটার অর্থ হচ্ছেঃ to veil, to hide or to conceal the truth। কাফির অর্থ হচ্ছে এমন ব্যাক্তি যার কাছে আল্লাহর কোন নিদর্শন কোন বিধান এমন ভাবে উপস্থাপন হয় যে সেটা অস্বীকার করার কোন কারন থাকেনা, তারপরেও সে এইটাকে অস্বীকার করে সত্যকে গোপন করার জন্য।
৯:৬ দিয়ে শুরু করেন, এর পর যেখানে যেখানে এই টার্ম টা এসছে তা পড়ুন। উত্তর পেয়ে যাবেন। নাহলে দয়া করে অপেক্ষা করুন, এই সম্পর্কিত যখন লেখব তখন ডিটেইলস বলব।
ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার অনেক বক্তব্যের সাথে একমত না হলেও, এই পোস্টের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত । তথাকথিত মুসলমানদের ৯৯.৯৯% মানুষ বিষয়টা জানেনা । আর জানলেও প্রায় কেউই এটা মানবে না ।

আশ্চর্যের বিষয় এই, ছাত্রবাস্থায় আমি যে কোরআন শরীফের ইংরেজী অনুবাদটা পড়তাম তার শুরুর দিকেই কোন এক আয়াতের ব্যাখ্যায় অনেক রেফারেন্স সহকারে টিকা আকারে বিষয়টা অর্থ্যাৎ বিধর্মীরাও কোরআনের সংজ্ঞা অনুযায়ী মুসলিম, স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে । যদি ভুল না করি, কোরআন শরীফের সেই টিকা অনুযায়ী এমনকি মূর্তি পূজারীর একটা অংশও মুসলিম ।

আরও আশ্চর্যের বিষয় যে কোরআন শরীফের এই অনুবাদটা কোন দূর্লভ অনুবাদ নয়, অতি চালু একটা অনুবাদ যেটা সৌদি আরব থেকে বাদশা ফাহদের সময় প্রকাশিত হয়েছিল এবং বহু কপি সরকারী লাইব্রেরী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিস্ট্রিবিউট হয়েছিল ।

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমার লেখায় ভুল থাকতেই পারে। কেউ সবসময় ১০০% সঠিক হবে এমন কোন কথা নেই। সেই জন্য আমি সবসময় বলি নিজে চেক করে নিতে। কাউকে অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করার কোন দরকার নেই। আমিও করিনা, কাউকে করতেও বলি না।


যদি ভুল না করি, কোরআন শরীফের সেই টিকা অনুযায়ী এমনকি মূর্তি পূজারীর একটা অংশও মুসলিম । - কথাটা আসলে আমি এভাবে বলতে চাইঃ ধরুন একটা ধর্মের মধ্যে মুর্তি পুজার প্রচলন আছে। কিন্তু সেই ধর্মের কিছু মানুষ আছে যারা জানে যে আসলে ইশ্বর এক, এবং তারা সেইভাবেই চলে এবং মুর্তি পুজা করেনা। যদিও তাদেরকে সেই ধর্মের অনুসারী বলে ডাকা হয়, তারা আসলে মুসলিম। হয়ত বুঝাতে পেরেছি বা পারিনি।
ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো পোস্ট! প্রিয়তে রাখলাম ।

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

নিউ সিস্টেম বলেছেন: ভালো লাগল ।

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৩২

আকদেনিজ বলেছেন: আপনার লেখার জবাব কয়েক লাইনেই দিতে পারতাম, তারপরও আলোচনা দীর্ঘ করলাম নিজে জানার জন্য এবং অপরকে জানানোর জন্য। আর মানুষ হিসেবে আমিও ভুলের উর্ধ্বে নয়। আক্রমণ না করে ভুল ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইল। যাহোক শুরু করা যাক,
আপনার আলোচনার সারমর্ম এই ভাবে করা যেতে পারে যে, একজন মানুষ এক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিয়ে তাঁর ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করেছে অথচ তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেনি। অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন না করেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাধীনে নিজেকে সপে দিয়েছে বা তাঁর দেওয়া বিধানের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য করেছে।
যেহেতু আপনি মুসলিম এবং মুমিনের উপসংহার টানতে গিয়ে বলেন, সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, সকল মুমিনই মুসলমান, কিন্তু সকল মুসলমান মুমিন নাও হতে পারে।

প্রথমত, যেহেতু কোরআন থেকে রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়েছেন 'মুসলমান এবং মুমিনের' পার্থক্য সেহেতু ধরে নিতে পারি আপনি আপনি কোরআনের কোন অংশ নয় বরং পুরো কুরআনের উপর বিশ্বাসী এবং আপনি কুরআন বিকৃতকারী বা গোপনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নন। কেননা আল্লাহ বলেন,
"So do not fear the people but fear Me, and do not exchange My verses for a small price. And whoever does not judge by what Allah has revealed - then it is those who are the disbelievers.
"অতএব, ( হে ধর্ম বিশেষজ্ঞরা!) তোমরা মানুষকে ভয় করো না ( খোদায়ি বিধানে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করো না বা বিকৃতি সাধন কোরো না), বরং আমাকে (তথা আমার বিরোধিতাকে) ভয় কর এবং আমার আয়াতগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করো না, (জেনে রাখ) যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, সে অনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।" (৫:৪৪)

আরো বলেন, And We have certainly revealed to you verses [which are] clear proofs, and no one would deny them except the defiantly disobedient.(২:৯৯)

অন্যত্র বলেন, Indeed, those who conceal what We sent down of clear proofs and guidance after We made it clear for the people in the Scripture - those are cursed by Allah and cursed by those who curse,(২:১৫৯)

মূল কথায় আসি। আমার জানা মতে বিশ্বের প্রধান ধর্মীয় গ্রুপগুলো হল, হিন্দু, মুসলমান, ইয়াহুদি, খ্রিস্টান এবং বুদ্ধ ধর্ম। আপনার কথা অনুযায়ী যেহেতু এখানে আলোচনার জন্য রেফারেন্স নিতে হবে কুরআন থেকে সেহেতু হিন্দু এবং বুদ্ধ ধর্ম বাদ যাচ্ছে। (আমার জানা মতে ইহুদি, খৃস্টান এবং মুসলমানরাই আসমানি কিতাব প্রাপ্ত। দ্বিমত থাকলে দলিল দিয়ে জানাতে পারেন।)
আল্লাহ ইব্রাহীম আঃ কে পরিচয় করিয়ে দেন এভাবে, Abraham was neither a Jew nor a Christian, but he was one inclining toward truth, a Muslim [submitting to Allah ]. And he was not of the polytheists.(৩ঃ৬৭)

উপরের আয়াতে কারিমা থেকে বুঝতে পারলাম যে, যারা নিজেকে ইহুদি বা খৃস্টান দাবি করে তারা মুসলমান নয়।

এই আয়াত এবং আপনার উল্লেখিত আয়াত (৩:৬৪) থেকে মুসলমানের সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়, “মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যে নিজেকে এক সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করে এবং ঘোষণা করে যে, আমি ইহুদি, খৃস্টান বা অন্য কিছু নয় আমি মুসলিম।

এর পরের আয়াতে কারিমাতেই আল্লাহ বলেন, Indeed, the most worthy of Abraham among the people are those who followed him [in submission to Allah ] and this prophet, and those who believe [in his message]. And Allah is the ally of the believers
এই আয়াত থেকে বোঝা যাচ্ছে, এতক্ষণ ধরে যাদের কে মুসলিম বলা হয়েছিল তারাই মুমিন বা বিশ্বাসী।

আবারও উল্লেখ করছি,
আপনি বলেছেন, সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, সকল মুমিনই মুসলমান, কিন্তু সকল মুসলমান মুমিন নাও হতে পারে
আপনি কি বোঝতে পারছেন, আপনি কেমন যুক্তিহীন হাস্যকর একটা বিষয় প্রমাণ করতে চাইছেন?

তাহলে বলি, মুমিন- এক আল্লাহর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস আনয়নকারীকে মুমিন বলে।
মুসলিম- মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যে নিজেকে এক সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করে এবং ঘোষণা করে যে, আমি ইহুদি, খৃস্টান বা অন্য কিছু নয় আমি মুসলিম।
একজন মানুষ এক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিয়ে তাঁর ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করেছে অথচ তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেনি। এর থেকে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে ভাই আমার অন্তত জানা নাই।

# আমি একজন অনার্সে পড়ুয়া ছাত্র। তবে আমি জানি না আপনি কে। সিনিয়র হলে বেয়াদবি মাফ করবেন। তারপরও সম্মানের সহিত বলছি, আমি মনে করি আমাদের আরও বেশি বেশি পড়াশোনা করা উচিত।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার লেখার জবাব কয়েক লাইনেই দিতে পারতাম, তারপরও আলোচনা দীর্ঘ করলাম নিজে জানার জন্য এবং অপরকে জানানোর জন্য।– আপনাকে ধন্যবাদ এই জন্য যে আপনি আপনার বক্তব্য ডিটেইলস করেছেন। এর ফলে আপনার লজিক/ আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তা আমি বুঝতে পারছি। দুই এক লাইনে লিখে দিলে আপনার বক্তব্য আমার কাছে ক্লিয়ার হতনা, এবং ভুল বোঝার অবকাশ থাকত।

“ধরে নিতে পারি আপনি আপনি কোরআনের কোন অংশ নয় বরং পুরো কুরআনের উপর বিশ্বাসী এবং আপনি কুরআন বিকৃতকারী বা গোপনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নন”।– সেই একি জিনিশ কি আমিও আপনার ব্যাপারে ধরে নিতে পারি? যদি তাই হয় তবে কোরআনের একটা বেসিক প্রিন্সিপাল “ কোরআনে কোন কন্ট্রাডিকশন নেই (৪:৮২)”- এইটা ধরে আমি শুরু করব।

প্রথমতঃ
যেহেতু আমি ধরে নিচ্ছি আপনি সম্পূর্ণ কোরআন বিশ্বাস করেন, সেহেতু আমি আপনাকে অনুরোধ করব, আমি আমার লেখায় কোরআনের যে আয়াত গুলি দিয়েছি সেগুলি আপনার দেওয়া আয়াতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাখা দিবেন। বিশেষ করে ৪৯:১৪, ২৮ঃ৫৩, ৩:৬৪। কোরআনের ৪৯:১৪ তে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া আছে কোনটা আগে কোনটা পরে। এর অন্য কোন ব্যাখ্যা যদি আপনার কাছে থাকে যা আপনার দেওয়া আয়াতকে সমর্থন করে তবে দয়া করে জানাবেন।

দ্বীতিয়তঃ

একি নিয়ম আমার বেলায় ও প্রযোজ্য। সুতরাং এখন আমার কাজ হবে আপনি যে আয়াত গুলি দিয়েছেন তার সমঞ্জস্য ব্যাখ্যা বের করা। আসুন দেখি আপনার দেওয়া আয়াতে কি বলা আছে:

আপনি ৩:৬৭ আয়াত ব্যাবহার করেছেন। এই আয়াতের কন্টেক্সট দেওয়া আছে ৩:৬৫ তে। যদি একটু কষ্ট করে ৩:৬৫ দেখতেন তাহলে ব্যাপারটা আপনার কাছে পরিষ্কার হয়ে যেত। সেখানে বলা আছেঃ

O People of the Scripture, why do you argue about Abraham while the Torah and the Gospel were not revealed until after him? Then will you not reason? (৩:৬৫)

এখানে কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে? আহলে কিতাব অর্থাৎ কিতাব প্রাপ্তদেরকে। কিতাব প্রাপ্ত কারা?।কেন তারা ইহুদী এবং খৃস্টান হওয়া সত্বেও আহলে কিতাব বলেছে? কি বলেছে? তওরাত এবং গসপল ইব্রাহিমের অনেক পরে এসেছে। তাহলে সে কিভাবে ইহুদী অথবা খৃস্টান হয়? সে একজন মুসলিম। (সেই একি লজিকে কোরআনে এবং মুহাম্মদ ইব্রাহিমের অনেক পরে এসেছে, তারপরেও ইব্রাহিম মুসলিম, অর্থাৎ কোরআন, তওরাত, ইঞ্জিল বা এইসব গ্রন্থ যাদের কাছে অবতীর্ন হয়েছে সেই সকল রাসুল কে না জনলেও মুসলিম)। ইব্রাহিমের প্রসঙ্গে পরে আবার আসছি।

উপরের আয়াতে কারিমা থেকে বুঝতে পারলাম যে, যারা নিজেকে ইহুদি বা খৃস্টান দাবি করে তারা মুসলমান নয়।
আপনার কথা হচ্ছে ইহুদী এবং খৃস্টান হলে সে মুসলমান হতে পারবেনা এই ত? কোরআনে এই ধরনের কোন কথা আমার জানা মতে নাই।আমার মনে হয় ইহুদী এবং খ্রিস্টান সম্পর্কে আপনার ভুল ধারনা আছে। আমি বলিনি সব ইহুদী এবং খৃস্টান মুসলমান, বরং তাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মুসলমান- সে যে নামেই ডাকা হোক।কারন ইহুদী এবং খৃস্টানদের কোরআনে বিভিন্ন ভাবে অভিহিত করা হয়েছে। মুলত ইন জেনারেল দুইটা দল কে তিরস্কার করা হয়েছে শিরক এবং সীমা লঙ্ঘনের জন্য। কিন্তু সাথে এটাও বলা হয়েছে যে তারা সবাই এক না।

Not all of them are alike: Of the People of the Book are a portion that stand (For the right): They rehearse the Signs of Allah all night long, and they prostrate themselves in adoration They believe in Allah and the Last Day; they enjoin what is right, and forbid what is wrong; and they hasten (in emulation) in (all) good works: They are in the ranks of the righteous. (৩:১১৩-১১৪)

এইরকম প্রচুর আয়াত আছে। আরেকটা উদাহরণঃ

Strongest among men in enmity to the believers wilt thou find the Jews and Pagans; and nearest among them in love to the believers wilt thou find those who say, "We are Christians": because amongst these are men devoted to learning and men who have renounced the world, and they are not arrogant. And when they listen to the revelation received by the Messenger, thou wilt see their eyes overflowing with tears, for they recognize the truth: they pray: "Our Lord! we believe; write us down among the witnesses. (৫:৮২-৮৩)

এই রকম প্রচুর আয়াত কোরআনে পাবেন। আপানার দেওয়া আয়াতঃ

Abraham was neither a Jew nor a Christian, but he was one inclining toward truth, a Muslim [submitting to Allah ]. And he was not of the polytheists.(৩ঃ৬৭)

শেষের আন্ডারলাইন করা অংশ টুকূ আবার পড়ুন। এই আয়াতে ইহুদী এবং খৃস্টানদের শিরক করা গ্রুপটা কে বলা হচ্ছে। তারা মুসলমান নয়।

কোরআনের ৪৯:১৪, ২৮:৫৩ সম্পর্কে কি বলবেন?

এইবার আবার নবী ইব্রাহিমের প্রসঙ্গে আসি।

প্রথমতঃ
নবী ইব্রাহিম সত্যিকারের প্রথমে সৃষ্টিকর্তার অনুসন্ধান করেছেনঃ

অনন্তর যখন রজনীর অন্ধকার তার উপর সমাচ্ছন্ন হল, তখন সে একটি তারকা দেখতে পেল, বললঃ ইহা আমার প্রতিপালক। অতঃপর যখন তা অস্তমিত হল তখন বললঃ আমি অস্তগামীদেরকে ভালবাসি না। অতঃপর যখন চন্দ্রকে ঝলমল করতে দেখল, বললঃ এটি আমার প্রতিপালক। অনন্তর যখন তা অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন বলল যদি আমার প্রতিপালক আমাকে পথ-প্রদর্শন না করেন, তবে অবশ্যই আমি বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব”। (৬:৭৬-৭৭)

দ্বিতীয়তঃ
নবী ইব্রাহিম এক ঈশ্বরের কাছে আত্ন সমর্পণ করেছেন।- মুসলিম

When his Lord said to him, "Submit", he said "I have submitted [in Islam] to the Lord of the worlds." (২:১৩১)

তৃতীয়তঃ
নবী ইব্রাহিম সম্পূর্ণ ভাব সন্তুষ্ট হয়েছেন বিশ্বাস অর্জনের মধ্যে।– মুমিন।

When Abraham said: "Show me, Lord, how You will raise the dead, " He replied: "Have you no faith?" He said "Yes, but just to reassure my heart." Allah said, "Take four birds, draw them to you, and cut their bodies to pieces. Scatter them over the mountain-tops, then call them back. They will come swiftly to you. Know that Allah is Mighty, Wise." (২:২৬০)

আপনি আরও বলেছেনঃ
মুসলিম- মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যাক্তি যে নিজেকে এক সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করে এবং ঘোষণা করে যে, আমি ইহুদি, খৃস্টান বা অন্য কিছু নয় আমি মুসলিম।

একজন মানুষ এক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিয়ে তাঁর ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করেছে অথচ তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেনি। এর থেকে হাস্যকর কথা আর কি হতে পারে ভাই আমার অন্তত জানা নাই।


কোরআনের ৪৯:১৪ আপনার কাছে হাস্যকর মনে হচ্ছে?












১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

আকদেনিজ বলেছেন: আমি ধরে নেব আপনি অনিচ্ছাকৃত বা অন্য কোন ভাবে আমার বলা কিছু লাইন আপনার চোখের আড়ালে পড়ে গেছে। যার কারণে আমাকে ভুল বুঝেছেন। কোরআনের ৪৯:১৪ আয়াত কে কেন, কোন আয়াতকেই হাস্যকর মনে করার চিন্তাও মনে আনতে পারি না।
আমি হাস্যকর বলেছি কুরআনের আয়াত কে নয় বরং আপনার মনগড়া সিদ্ধান্ত কে,
আপনি মুসলিম এবং মুমিনের উপসংহার টানতে গিয়ে বলেছেন, সেই ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি, সকল মুমিনই মুসলমান, কিন্তু সকল মুসলমান মুমিন নাও হতে পারে।

আপনার আলোচনার সারমর্ম এই ভাবে করা যেতে পারে যে, একজন মানুষ এক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিয়ে তাঁর ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করেছে অথচ তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেনি। অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন না করেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাধীনে নিজেকে সপে দিয়েছে বা তাঁর দেওয়া বিধানের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য করেছে।

এখানে আমার কিছু বলার নেই। আমি যা বুঝাতে চেয়েছি সেটা যে কেউ বুঝতে পারবে। যদি কেউ বুঝতে না চায় সে ক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপানার ব্যাপারটা আমি বুঝতে পেরেছি। আপনি ঠিকই বলেছেন। কনফিউশন টা তৈরী হয়েছে আমার লেখার দ্বিতীয় অংশ "মুমিন" হেডিং থেকে। এখানে বিশ্বাস বলতে যে কোন ধর্মীয় বিধান এবং নবী রাসুলের উপর বিশ্বাস কে বুঝানো হয়েছে। যদিও প্রথম অংশে আমি এইটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, কিন্তু দ্বিতীয় অংশে এসে শুধু "বিশ্বাস" শব্দটা লেখার জন্য এই ধরনের কনফিউশন সৃস্টি হয়েছে। আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ এই পয়েন্টটা নজরে আনার জন্য। এডিট করে দিয়েছি।

১৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

Jahirul Sarker বলেছেন: আকদেনিজ বলেছেন,
" আপনার আলোচনার সারমর্ম এই ভাবে করা যেতে পারে যে, একজন মানুষ এক সৃষ্টিকর্তাকে মেনে নিয়ে তাঁর ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণ ভাবে সমর্পণ করেছে অথচ তাঁর প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন করেনি। অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন না করেই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাধীনে নিজেকে সপে দিয়েছে বা তাঁর দেওয়া বিধানের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্য করেছে"।
-------
আমি আকদেনিজ এর সাথে একমত।
যদি কেউ স্রষ্ঠার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে তবে কিভাবে সে তার দেওয়া বিধানের আনুগত্য করে?
যাকে বিশ্বাসই করে না কিভাবে সেটা মেনে নেয় বা নিজেকে তার ইচ্ছাধীনে নিজেকে সপে দেয়?

০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: সৃস্টি কর্তার উপর অবিশ্বাস কথাটা আমি বলিনি, যদিও আমার লেখাতে এটা মনে হতে পারে। এটা এডিট করে দিয়েছি যাতে কোন রকম কনফিউশনের সৃস্টি না হয়।
ধন্যবাদ।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৬

মহা সমন্বয় বলেছেন: আচ্ছা হানিফ ভাই আরেকটা প্রশ্ন করব যদি বিরক্তবোধ না করেন। :)
বিশ্বাসের অনেক মূল্য তা আমি জানি। আজকের বিজ্ঞানও স্বীকার করে বিশ্বাসের মূল্য অপরিসীম।
আমার প্রশ্ন হল? আমি এক সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাস করলাম,পরকালে বিশ্বাস করলাম, বিচার দিবসে বিশ্বাস করলাম।
আর সারাজীবন অন্যায় অপকর্ম করে বেড়ালাম তাহলেও কি মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে বেহেশতো দান করিবেন?
ধন্যবাদ।

আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে, যদি আপনি অনুমুতি দান করেন তাহলে আমি কিছু কিছু করে প্রশ্ন করতে পারি। :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথমতঃ আল্লাহ কাকে বেহেস্ত এবং কাকে দোজখ দান করবেন সেইটা আল্লাহই ভাল বলতে পারেন। মনে রাখতে হবে তিনি সর্বশ্রেস্ট বিচারক। তিনি কারো প্রতি আবিচার করবেন না।

আর সারাজীবন অন্যায় অপকর্ম করে বেড়ালাম তাহলেও কি মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে বেহেশতো দান করিবেন? - কর্মফল আপনাকে ভোগ করতেই হবে। অপরাধের শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে। এর পরে শাস্তি ভোগের পরে আপনি বেহেস্তে যাবেন কিনা সেটা একমাত্র আল্লাহই বলতে পারবেন। এইটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।

আমি মুসলমানের যে সংজ্ঞাটার কথা বলেছি, সেটা হচ্ছে মিনিমাম ক্রাইটেরিয়া। একজন মুসলিম তার ভাল কাজের জন্য ভাল মুসলিম এবং খারাপ কাজের জন্য খারাপ মুসলিম হিসবে গণ্য হবে এবং সেই অনুযায়ী পুরস্কার এবং শাস্তি ভোগ করবে। আমি শুধু এতটুকুই বলতে পারি।

আমার আরও কিছু প্রশ্ন আছে, যদি আপনি অনুমুতি দান করেন তাহলে আমি কিছু কিছু করে প্রশ্ন করতে পারি। :)
- আপনাকে মনে রাখতে হবে আমি কোন আলেম নই, আমি প্রচলিত লাইনে পড়ালেখা করেছি। ধর্মের রিচুয়াল নিয়ে আমার আগ্রহ কম, আমার আগ্রহ থিওলজী, ইতিহাস এইসব। সেই অর্থে আমার মনে হয় আমি আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারব না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৩

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার লেখার জবাব কয়েক লাইনেই দিতে পারতাম, তারপরও আলোচনা দীর্ঘ করলাম নিজে জানার জন্য এবং অপরকে জানানোর জন্য।
--- আপনারা আমাদের জনন কত কিচু করবেন । আপনারা এক এক জন এক রকম বলবেন, আর আমাদের মাতা ঘুরবে । আমরা তো
মাররমাদুকে পিকতলের আনুবাদ পড়ে সব জানতে পারি । আমরা আপনাদের লেখা পড়ি আর হাসি ।আপনাদের কতা বিসসাস করি না । বিসসাস করি মাররমাদুকে পিকতলের কতা । পারলে সেটা বদলান । সেটা পারেন না বলেই আই এস হয় ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার লেখার জবাব কয়েক লাইনেই দিতে পারতাম, তারপরও আলোচনা দীর্ঘ করলাম নিজে জানার জন্য এবং অপরকে জানানোর জন্য। - খেয়াল করলে দেখবেন, এই লাইনটা একজন ব্লগার তার মন্তব্যের শুরুতে লিখেছেন (১৭ নম্বর মন্তব্য)। আমি উনার মন্তব্য কোট করেছি উনাকে উত্তর দেওয়ার জন্য।

আমরা তো মাররমাদুকে পিকতলের আনুবাদ পড়ে সব জানতে পারি - এইটা ভাল বলেছেন। নিজে পড়ে জানাই সবচেয়ে উত্তম। আপনি সঠিক কাজটি করছেন। আপনার প্রতি আমার পরামর্শ, শুধু পিকথল না, আপনি মিনিমাম ১০ টা বিভিন্ন অনুবাদ পড়েন, এতে ভুল হয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, কারন যেহেতু কেউই ভুলের উর্ধে নয়, সেহুত অনুবাদ করতে গেলে অনুবাদকের কিছু ভুল ভ্রান্তি হতে পারে ( এটা পিকথল কে ছোট করার জন্য নয়, বরং সব অনুবাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য)। সুতরাং একের অধিক অনুবাদ পড়লে ভুল্ভ্রান্তি হবার সম্ভাবনা কম থাকে।

আমরা আপনাদের লেখা পড়ি আর হাসি - -হাসার কারণটা জানতে পারি কি? আপনি যদি পিকথলের অনুবাদ সত্যি পরে থাকেন, আপনার ত হাসার কথা নয়।

২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

দিয়া আলম বলেছেন: আমার একজন প্রিয় ব্লগারের পিছু নিতে গিয়ে তোমার ব্লগ পেয়ে যাই, সেই থেকে তোমার পোস্ট গুলো অফলাইনে পড়ি, তোমার মত এমন করে আলোচনা করতে পারিনা ভাইয়া,তবে তোমার সব কথাই বুঝতে পারি, তোমার মত করে যদি সবাই ভাবতো আর ধর্মকে বুঝতো তাহলে পৃথিবীতে অনেক হানাহানি কমে যেতো,

তোমাকে স্যলুট ভাইয়া,

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

তানভীরুল ওয়াহাব বলেছেন: কুরান এ তো আদম(আ:) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ(সা:) সকল নবী রসূলগণের কথা লেখা আছে। কেহ যদি মোসলমান হয়ে থাকে তথা এক ঈশ্বরের বিশ্বাসী হয়ে থাকে, সে যেই হউক(খৃষ্টান বা ইহুদী ) তবে তাকে মুহাম্মদ(সা:) সহ সকল নবী রসূলকে বিশ্বাস করতে হবে। কুরানে বিশ্বাস করতে বলা না হয়ে থাকলেও নবী রসুল গনের-ঘটনা বলা হয়েছে তাই সকল নবী মুহাম্মদ(সা:)সহ সবাই বিশ্বাসের আওতায় পরেন। যিনি কুরান বিশ্বাস করবেন না, মুহাম্মদ(সা:) শেষ নবী তা বিশ্বাস করবেন না অথচ কুরানের রেফারেন্স দিয়ে বলবেন কুরানকে বিশ্বাসের বা অন্য কোন আসমানি কিতাব বিশ্বাসের দরকার পরে না যদি সে মুসলমান হয়ে থাকে কিন্তু মোমিনের পরে তার অর্থ দাড়ায় মোমিনগণ সকল আসমানি কিতাব বিশ্বাস করবেন আর মোসলমানের দরকার নেই এইতো?? ভবিষৎতে পরবর্তীতে বলবেন যারা মোমিন তারা তালেবান তারা আই এস আই এস তারা মৌলবাদী ইত্যাদি ইত্যাদি।আমি এখানে লেখককে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করি নাই সামগ্রিক ভাবে বলার চেষ্টা করছি। লেখকের উদ্দেশ্য হয়ত অনেক মহৎ হতে পারে।

২৪| ২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অনর্থক কথাবার্তা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.