নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওহ গড/ইশ্বর/আল্লাহ- তোমার নাম কি? (কনসেপ্ট অফ গড)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

একটা জনপ্রিয় ট্র্যাডিশনাল মুসলিম বিশ্বাস হচ্ছে “আল্লাহ্” হচ্ছে গড/ ইশ্বরের একমাত্র সঠিক ডেজিগনেশন। এবং এই আল্লাহ্‌ শব্দটা শুধুমাত্র মুসলমানদেরই (প্রচলিত অর্থে) গডের নাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ মুসলমানের এই নামটা তাঁদের ধর্মে মনোপলি করে নিয়েছে। এইটাকে আমি বলি গড নিয়ে ব্যাবসায়িক রাজনীতি। কোন সন্দেহ নেই আল্লাহ্‌ বলতে গড কেই বুঝায়, কিন্তু একটা জিনিষ বুঝতে আমাদের কষ্ট হয় যে গড এই আল্লাহ্‌ শব্দের মধ্যেই সীমা বদ্ধ নয়। ইনফ্যাক্ট কোন নামই গড/ইশ্বর/আল্লাহ এর মত কোন সুপ্রীম এন্টিটি কে সম্পূর্ণ ভাবে প্রকাশ করতে পারেনা।

গড সংক্রান্ত কোরআনের মুল কনসেপ্ট হচ্ছে অচিন্তনীয় সুপ্রিম এন্টিটি- তা যে নামেই ডাকা হোক না কেন।

যেহেতু কোরআন আরবীতে নাযিল হয়েছে, এবং এর প্রাথমিক শ্রোতা ছিল আরব দেশের লোকজন, সেহেতু গড "আল্লাহ্‌" শব্দটা ব্যাবহার করেছেন। আরবের মুশরিকরাও এই আল্লাহ্‌ শব্দটা জানত, এবং আল্লাহকে গড হিসাবে মানত। কিন্তু পার্থক্যটা হচ্ছে তারা আল্লাহর সাথে আরও দেবতা জুড়ে দিয়ে শিরক করত। এই রকম কথা ইহুদী এবং খৃস্টান দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আসেন দেখি কোরআন থেকে এই সম্পর্কে আমরা কি জানতে পারি।

প্যাগান/মুশরিকদের গডঃ
প্যাগান আরবরা আল্লাহ কে গড মানত , কিন্তু এর সাথে সাথে উযযা, লাত, মান্নাত, হাবল কেও দেবতা মানত। তারা মনে করত আল্লাহর সন্তান আছে- কন্যা সন্তান।

যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, আসমান ও যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে-আল্লাহ। বলুন, তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ আমার অনিষ্ট করার ইচ্ছা করেন, তবে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে ডাক, তারা কি সে অনিষ্ট দূর করতে পারবে? অথবা তিনি আমার প্রতি রহমত করার ইচ্ছা করলে তারা কি সে রহমত রোধ করতে পারবে? বলুন, আমার পক্ষে আল্লাহই যথেষ্ট। নির্ভরকারীরা তাঁরই উপর নির্ভর করে।." (39:38)

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, প্যাগানরা যদিও বিশ্বাস করত আল্লাহ্‌ হচ্ছেন গড, কিন্তু আল্লাহ্‌র সাথে অন্য দেবতাদের সম্পর্কযুক্ত করার কারনে তাঁদের কে মুশরিক বলা হয়েছে। সুতরাং এখানে দেখা যাচ্ছে শুধু আল্লাহ্‌ বললেই হবে না, আল্লাহ্‌ কনসেপ্ট – একেশ্বরবাদ ফলো করতে হবে।

ইহুদিদের এবং খৃস্টানদের গডঃ
এখনো অনেক আরব ইহুদীরা গডকে আল্লাহ্‌ বা আর-রহমান বলে সম্বোধন করে। খৃস্টানরা ও তাই। অতীতেও তাই ছিল। কারেন আর্মস্ট্রং তার বই “A Brief History of God” – এ ইহুদী গডদের নাম এবং নেচার এনাল্যাসিস করতে গিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন যে ইব্রাহিমের গড এবং মুসার গড একই গড কিনা। সুতরাং দেখা যাক নাম ভিন্ন হলেও সেই একই গড কি না?

ইহুদীদের গডঃ
তওরাত এবং ইঞ্জিল আরবী ভাষায় নাযিল হয়নি, যাদেরকে এই দুই কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের কারো ভাষা আরবী ছিল না। সুতরাং সেখানে আল্লাহ্ শব্দ পাওয়া যাবে না- এটাই স্বাভাবিক। মজার ব্যাপার হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্টে সেই একই গড যখন মুসা নবীকে প্রথম তার পরিচয় দেন তখন নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেনঃ

And God said to Moses, "I am Yahweh--'the LORD.' I appeared to Abraham, to Isaac, and to Jacob as El-Shaddai--'God Almighty'--but I did not reveal my name, Yahweh, to them. (Exodus: 6:2-3)

অর্থাৎ, গড মুসাকে তার নাম বলেছেন Yahweh। তিনি এইখানে বলছেন যে তিনি ইব্রাহিম , ইসহাক, ইয়াকুব নবীর কাছে “এল” নামে পরিচিত ছিলেন, এবং এই Yahweh নাম নবী ইব্রাহিম, ইব্রাহিম , ইসহাক, ইয়াকুব জানত না।

Yahweh= I am who I am

সুতরাং এইখানে দেখা যাচ্ছে, গড তার কনসেপ্ট বুঝাচ্ছেন “I am who I am” – অর্থাৎ তাকে Yahweh বা El যে নামেই ডাকেন না কেন সেই একই অবিনশ্বর স্বত্বা।

আরও মজার বিষয় হচ্ছে, আরব ইহুদীরা তাঁদের গড কে “আর-রহমান” বা Most Merciful নামে ডাকত। এখনো অনেক আরব ইহুদী গডকে এই নামেই ডাকে। প্রমান? ইহুদীদের প্রি –ইসলামিক ইনস্ক্রিপশনঃ



5. rbhwd / brḥmnn.
5. By the Merciful, Lord of the Jews



4. ... lmr’hm
5. w / rḥmnn /b‘l / smyn / lhmrhw / w’ḥškt
6. hw / wwldhw / rḥmnn / ḥyy / ḥyw/ sdqm / w
7. mwt / mwt / sdqm / wlhmrhw / rḥmnn / wld
8. m / slḥm / sb’m / lsmrḥmnn
4. ... For their Lord
5. the Merciful, Master of Heaven, so that he grant to him and his spouses
6. and to his children, the Merciful, to live a life of justice, and to
7. die a death of justice. And that the Merciful grant to him children
8. who are healthy who will fight for the name of the Merciful...
(সোর্সঃ Click This Link)

তাহলে কোরআনে কেন ইহুদীদের তিরস্কার করা হয়েছে। সেই একই কারন, তারা এই নামের সাথে অন্য নাম যোগ করেছে, এই নামের সাথে কল্পিত একই রকম ক্ষমতা সম্পন্ন নাম যোগ করেছে, যাকে বলে শিরক। তারা গডের মুল কনসেপ্ট নষ্ট করেছে। যদিও তারা গডের দেওয়া নাম মুখে নিত, কিন্ত সেই নাম থেকে একেশ্বরবাদের কনসেপ্ট তারা নষ্ট করেছে। কোরআনে এই সম্পর্কে বলা আছেঃ

But the Jews and the Christians say, "We are the children of Allah and His beloved." Say, "Then why does He punish you for your sins?" Rather, you are human beings from among those He has created. He forgives whom He wills, and He punishes whom He wills. And to Allah belongs the dominion of the heavens and the earth and whatever is between them, and to Him is the [final] destination. (5:18)

The Jews say, "Ezra is the son of Allah "; and the Christians say, "The Messiah is the son of Allah." That is their statement from their mouths; they imitate the saying of those who disbelieved [before them]. May Allah destroy them; how are they deluded? (৯:৩০)

এই রকম অনেক আয়াত কোরআনে আছে। দেখুন ২:১১৬, ৬:১০১, ১০:৬৮, ১৯:৩৫, ১৯:৮৮

খৃষ্টানদের গডঃ
অনেক আরব খৃস্টানরা গডকে একইভাবে এখনো আল্লাহ্ বলে থাকে। তাদেরও গড সংক্রান্ত একই সমস্যা, নাম নিয়ে নয় বরং কনসেপ্ট নিয়ে। দক্ষিণ আরবে বর্তমান ইয়েমেন খৃস্টানদের লিখিত প্রি- ইসলামিক ইনস্ক্রিপশনে পাওয়া যায় খৃস্টানরা তাঁদের গড কে আর-রহমান বলে ডাকত। আমি যে ইনস্ক্রিপশনটার কথা বলছি, সেটা “ আবরাহা ইনস্ক্রিপশন” নামে বেশী পরিচিত। এই সেই আবরাহা যে কিনা মুসলিম ট্র্যাডিশন অনুযায়ী কাবা ভাঙ্গতে হাতি বাহিনি নিয়ে মক্কায় এসেছিল, নবীর জন্ম বছর- "ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট" এ।


এই ইনস্ক্রিপশনে ১০টা বাক্য আছে। দুই একটা বাক্যের অনুবাদ দেখুন
1. bḫyl / rḥmnn / wmshhw / mlkn / 'brh / ...
8. ... wqflw / bn / ḥl
9. [b]n / [b]ḫyl / rḥmnn
1. By the power of the Merciful One and His Messiah, the king Abraha...
8-9 ... So Abraha returned from Haliban by the power of the Merciful One

কোরআন কি বলেঃ
বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(১৭:১১০)

আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে। (৭:১৮০)

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, গড কে আপনি যে কোন নামেই ডাকেন না কেন আল্লাহ/ইশ্বর/ভগবান/এল/রহমান- যতক্ষণ পর্যন্ত মুল কনসেপ্ট একশ্বরবাদ আছে ততক্ষন কোন সমস্যা নাই। এই মুল কনসেপ্টে বিশ্বাস রেখে গড কে যে কোন নামে ডাকা যায়, এতে আমার কোন সন্দেহ নাই, আর মুল কনসেপ্ট না মেনে গড কে কোরআনে উল্লেখিত নামে ডাকলেও কোন লাভ নাই , কারন গড নামে নয়, কনসেপ্টে। এবং এটাই আমি বার বার বলতে চেয়েছি।


বিদ্রঃ এই “আবরাহা ইনস্ক্রিপশন” খুবই পাওয়ারফুল ডকুমেন্ট যা ট্র্যাডিশনাল মুসলিম বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করে নবী মুহাম্মদের আবাস কোথায় ছিল এবং তার সময়কাল কখন ছিল। এই লেখার সাথে বিষয়টা প্রাসঙ্গিক নয় বলে সেই লাইনে গেলাম না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

বিবেক ও সত্য বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে বা বিপক্ষে কারো কোন প্রমান নেই, সুতরাং এ বিষয়ে কথা না বলাই ভাল।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বক্তব্যের জন্য। আমার লেখাটা স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু না। এইখানে স্রষ্টাকে বিভিন্ন নামে ডাকা যায় সেই কথায় বলেছি।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: স্রষ্টার অস্তিত্ব:একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষন (আস্তিক-নাস্তিক উভয়ের প্রশ্নের সঠিক সমাধান)

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আবরাহা ইনস্ক্রিপশন নিয়ে আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত লেখা চাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। উত্তরটা একটু অন্যভাবে দেই। গত ৬-৭ বছর আমি কোরআনের বর্ণিত জিওগ্রাফি নিয়ে পড়া লেখা করেছি। এর একটা উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন নবীর আসল অবস্থান বের করা, আবরাহা ইনস্ক্রিপশন এর একটা ছোট অংশ। নবীদের ইতিহাস এবং তাঁদের লোকেশন নিয়ে ব্লগে লিখতে গিয়ে আমার যেটা মনে হয়েছে আমরা আসলে ট্র্যাডিশনাল ইতিহাসের বাইরে কোন কথা শুনতে প্রস্তুত না। তবে সময় পেলে চেষ্টা করব। এইটা লেখতে খুব বেশী সময় লাগবেনা, কিন্তু এইটা লেখার পর যে প্রশ্ন গুলি আসবে সেইগুলির উত্তর দিতে সময় লাগবে। মোটামুটি একটু বেশী অবসর সময় পেলে লিখে ফেলব।

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

আলগা কপাল বলেছেন: বিতর্কে গেলাম না। তবে গডের স্ত্রীবাচক গডেস আছে বলে আল্লাহ বলাই ভাল। কারণ কোন ভাষাতেই আল্লাহ শব্দের কোন পরিভাষা নেই। এর কোন স্ত্রীবাচক ও নেই।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি আপনার পয়েন্ট টা বুঝতে পেরেছি। কিন্তু মনে হয় আপনি আমার লেখার মুল থিমটা বুঝতে পারেন নি। আমি এইখানে গড লিখেছি এই কারনে যে একজন সুপ্রীম এনটিটি- সম্পর্কে কিছু লিখতে হলে ঐ জায়গায় শব্দ বসাতে হবে। আল্লাহ্‌ শব্দটা বসাই নাই এই কারনে যে গডকে বিভিন্ন নামে ডাকা যায় যেমন আল্লাহ্‌, ....ইত্যাদি। এইখানে যদি লেখতাম, আল্লাহ্‌ কে বিভিন্ন নামে ডাকা যায় যেমন আল্লাহ্‌।.. তাহলে আসলে হয়ত সেন্টেন্স টা একটা পিকিউলিয়ার হত। সেইজন্য আমি গড শব্দটা ব্যাবহার করেছি। আমি আল্লাহ্‌, রহমান, গড বিভিন্ন নামেই ডাকি, এতে কোন সমস্যা দেখছিনা যতক্ষন পর্যন্ত গডের কনসেপ্ট ঠিক থাকে।

যদিও গডের স্ত্রী বাচক শব্দ গডেস আছে, আমার মনে হয়না যখন কেউ গড বলে তখন সেই গডের স্ত্রীবাচক রুপটা কারো মনে ফুটে উঠে। শুধুমাত্র প্যাগাদের বেলায় এই জিনিষ হতে পারে। আপনি কোরআনের বিভিন্ন ইংরেজী অনুবাদে দেখবেন তারা আল্লাহ্‌ শব্দের অনুবাদ করেছেন গড, লর্ড ইত্যাদি। তারা নিশ্চয় ব্যাপারটা জানে। তারা আল্লাহ্‌ শব্দটাকে ট্রান্সলেশন করেছেন কারন তারা মনে করেছেন যখন কেউ গড বলে তখন সেই গডের স্ত্রীবাচক রুপটা কারো মনে ফুটে উঠেনা।

সেই জন্য যদি আপনি গড বললে সাথে আপনার মনে গডেস ও ফুটে উঠে, তবে আপনি গড বলবেন না, আপনি তাকে সেই নামে ডাকবেন যাতে আপনার মুলকনসেপ্ট ঠিক থাকে, সেটা আল্লাহ্‌, রহমান, সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, এল যে কোন কিছু হতে পারে। আশা করি বুঝাতে পেরেছি।

এই লেখায় আমি কোনভাবেই বলছিনা যারা আল্লাহ্‌ বলে, তারা আল্লাহ্‌ কে অন্য নামে ডাকুক। এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনি যাকে আল্লাহ্‌ বলেন অনেকে তাকে ইশ্বর, সৃষ্টিকর্তা, এল, ইয়হয় - এই সব নামে ডাকেন। সুতরাং তাদেরকে যাতে কেউ এইজন্য উপহাস না করেন। সুতরাং আল্লাহকে ভগবান বলে ডাকা যাবে না এই কথার কোন ভিত্তি নেই- যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার আল্লাহ্‌ আর আরকে জনের ভগবানের কনসেপ্ট একই হয়।
ধন্যবাদ।

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে তাই আপনাকেও বর্জন করা উচিত।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী, আপনার যদি মনে হয় আমি আল্লাহর নামের ব্যাপারে বাকা পথে চলি তবে আমাকে অবশ্যই আপনার বর্জন করা উচিত।

মুল্যবান বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

<<বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই।(১৭:১১০)

এটাকেও অন্তর্গত অর্থ কতজন উপলদ্ধি করতে পারে? আচ্ছা একটা পাজল বলি- যদি বলি হানিফ নামটার ব্যাপারে কি ভাবছেন?

<<আর আল্লাহর জন্য রয়েছে সব উত্তম নাম। কাজেই সে নাম ধরেই তাঁকে ডাক। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তাঁর নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে। (৭:১৮০)

একটা নাম একটা অবস্থান একটা সুপ্রিম শক্তি - সে স্তরে যারা পৌঁছতে পারে - তারা সেই পবিত্রতার অধিকারী হয়ে যায়। তাদের স্মরণেও কোন দোষ নেই। বরং কল্যান আছে। আপনি কি একমত?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আচ্ছা একটা পাজল বলি- যদি বলি হানিফ নামটার ব্যাপারে কি ভাবছেন? - হানিফ নাম নিয়ে আমি কখনো তেমন কিছু ভাবিনি। আমার নিজের নামও এইটা। এতটুকু জানি এর অর্থ হচ্ছে a true monotheist,।

কোরআনে এই শব্দটা এসেছে:
Indeed, I [I] have turned my face to the One Who created the heavens and the earth (as) a true monotheist, and not I (am) of the polytheists. (৬:৭৯)।

একটা নাম একটা অবস্থান একটা সুপ্রিম শক্তি - সে স্তরে যারা পৌঁছতে পারে - তারা সেই পবিত্রতার অধিকারী হয়ে যায়। তাদের স্মরণেও কোন দোষ নেই। বরং কল্যান আছে। আপনি কি একমত? - আন্ডার লাইন করা অংশ টুকু পুরাপুরি বুঝিনি।

মানুষের কল্যাণ তার কর্মে নিহিত।

মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন।কিন্তু কিছুটা বিতর্কিত। :/।
যাইই হোক,তথ্যবহুল আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

হানিফঢাকা বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৫৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। খুব কাজে দেবে …

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৫১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসসালামুআলাইকুম হানিফ ভাই, কেমন আছেন?
আচ্ছা এই মহা বিশ্বের যদি দুই তিন জন গড থাকত তাহলে কি হত? একটা গাড়ীও তো কেউ একা বানাতে পারে না। তাহলে এই মহা বিশ্ব আল্লাহ পাক একা বানইল কিভাবে?
একজনই গড থাকতে হবে কেন? দুই দিন জন বা বহু সংখ্যক গড থাকলে সমস্যা কি?
ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০০

অশ্রুকারিগর বলেছেন: পোস্ট পড়তে এসে 'আজ রবিবার' নাটকের একটা ডায়লগ মনে পড়ে গেল। এই নাটকে কেউ অবাক হয়ে 'ও মাই গড' বললেই মেঝ চাচা বলতেনঃ- এই 'ও মাই গড' বল কেন ? আল্লাহ কি তোমার একার। বল ও আওয়ার গড।'

আপনি অনেক সুন্দর এবং তথ্যবহুল পোস্ট দিছেন। আপনার শিরোনাম এবং পোস্টের বিষয়বস্তুর সাথে অনেকটাই সহমত পোষণ করছি। কারন খোদ আল্লাহ যেখানে বলেছেন 'সব সুন্দর নাম তাঁরই'। আল্লাহর যে গুণবাচক ৯৯টা নাম আছে সেটা তো মুসলমান মাত্রই জানেন এবং মানেন।

আমার কথা হচ্ছে 'আমি আল্লাহ' নামে ডাকব। ঈশ্বর, ভগবান, গড নামে নয় যদিও জানি এগুলোর মানে হচ্ছে একই সৃষ্টিকর্তা। এর পক্ষে আমার প্রথম যুক্তি হচ্ছে (এবং আপনার প্রথম যুক্তির খন্ডন) যেহেতু কোরআন আরবীতে নাযিল হয়েছে, এবং এর প্রাথমিক শ্রোতা ছিল আরব দেশের লোকজন, সেহেতু গড "আল্লাহ্‌" শব্দটা ব্যাবহার করেছেন। আল্লাহ কোরআন সারাবিশ্বের জন্যই পাঠিয়েছেন এবং সকল ভাষা বা মানুষ তারই সৃষ্টি। এটা জানার পরেও আল্লাহ যেহেতু 'আল্লাহ' ব্যবহার করেছেন আমিও তাই 'আল্লাহ' ডাকব।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বিধর্মীদের অনুসরন করতে নিষেধ করা হয়েছে। 'যে যার সাথে মিল রাখে তার হাশর তার সাথে হবে। (তিরমিযী শরীফ)' সম্ভবত কোন এক দিনে রোযা রাখতে নিষেধ আছে কারণ এটা খ্রিস্টানরা পালন করে বলে (আমি স্মৃতি থেকে বলছি)। এইজন্যেই আমি আল্লাহ ডাকব। ইশ্বর কিংবা গড না কারন এই নামে যারা আল্লাহকে ডাকে তারা এই নামের অপব্যবহার করে (শিরক করে)।

আমি আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি যে ইশ্বর, আল্লাহ, ভগবান সবই এক হলেও মুসলমানের কেন 'আল্লাহ' ডাকা উচিত ?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

প্রথমতঃ আমি বলছি আপনি আল্লহ ই ডাকুন। কোন সমস্যা নেই। আমি কোথাও বলিনি আল্লাহ বাদ দিয়ে অন্য নামে ডাকতে হবে বা একটা নাম আরেকটা নামের চেয়ে ভাল। দয়া করে এই জিনিশটা আগে ক্লিয়ার হন।

দ্বিতীয়তঃ আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য ছিল অনেকেই ধারনা পোষণ করেন (এই ব্লগেও আমি এইরকম একটা আলোচনা দেখছিলাম মনে হয়) যে আল্লাহ কে অন্য নামে ডাকা যাবে না। এর প্রেক্ষিতে আমি বলতে চেয়েছি, আল্লাহকে অন্য নামে ডাকলেও যদি অন্য নামে আল্লাহ সংক্রান্ত কনসেপ্ট ঠিক থাকে তাহলে ডাকতে কোন বাধা নেই।

তৃতীয়তঃ নবী ইব্রাহিমের "এল", নবী মুসার "ইয়হয়" এবং আপনার আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কিনা সেটা আপনি বলেন? অন্য নবীরা যদি তাদেরকে এই নামে ডাকতে পারেন আপনি এই নামে ডাকলে কি সমস্যা? নবী মুসা, নবী ইব্রাহিমের ধর্ম কি ছিল? তারা কি মুসলমান ছিলনা?

আপনার কাছে যদি মনে হয় ঐ নাম গুলি এখন বিকৃত, সেইখেত্রে আপনি সেই নামে ডাকবেন না, যেই নামে ডাকলে আপনার গড কনসেপ্ট ঠিক থাকে সেই নামেই ডাকুন।

আমি যদি আল্লাহকে আল্লাহ, রহমান, রাহিম, ভগবান, ইশ্বর ডাকি এবং এই দ্বারা আমি যদি একজনই "একক সুপ্রীম পাওয়ার" কে ডাকছি মনে করি সেইখেত্রেও আমি কোন সমস্যা দেখছি না।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: প্রথমতঃ আপনার পোস্ট আমার খুব ভালো লেগেছে এই কারনে যে এখানে সুন্দর করে আলোচনা করা হচ্ছে। অহেতুক যুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। আমি এটা ক্লিয়ার যে আল্লাহকে যেকোন নামে ডাকা যাবে কোরআনে উল্লেখিত নামগুলো ছাড়াও। আপনিও এইটাই বলতে চাইছেন যুক্তি দিয়ে যে আল্লাহ, ঈশ্বর যতক্ষনপর্যন্ত একেশ্বরবাদ বুঝাচ্ছে সেটাতে যে নামেই ডাকুক না কেন কিছু আসে যায় না। একেশ্বরবাদ কন্সেপ্টটাই আসল। সৃষ্টিকর্তা তো একজনই। যদি ভুল বুঝে থাকি তাহলে আবার ক্লিয়ার করে দেবেন।

দ্বিতীয়তঃ আপনার এই কথার সাথে আমার কোন মতের অমিল নেই। আমি সম্পূর্ণরুপে একমত যে আল্লাহকে অন্য নামে ডাকলেও যদি অন্য নামে আল্লাহ সংক্রান্ত কনসেপ্ট ঠিক থাকে তাহলে ডাকতে কোন বাধা নেই।
তৃতীয়তঃ
তাদের জাতির জন্য যেই নবী এবং ধর্মগ্রন্থ ছিলো সেই অনুসারে কোন সমস্যা নেই। আল্লাহ যুগে যুগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপদের জন্য বিভিন্নরকম বার্তা রেখেছেন। তারা মুসলমান ছিলো না, তারা মুমিন ছিলো অর্থাৎ বিশ্বাসী ছিলো। মুমিন এবং মুসলমান দুইটা আলাদা শব্দ। আমরা একাধারে মুসলমান এবং মুমিন কারন আমাদের ধর্ম ইসলাম আর আমরা বিশ্বাসী এই অর্থে মুমিন। হযরত মোহাম্মদ (স) সর্বশেষ নবী এবং তার মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম যেটা আমাদের ধর্ম সেটা সম্পূর্ণ হয়েছে। মোহাম্মদ (স) পরবর্তী মানবসমাজে কিয়ামত পর্যন্ত একটাই কিতাব সেটা কোরআন এবং সবাই মোহাম্মদ (স) এর উম্মত। পূর্বের নবীদের উম্মাতের জন্য যা ছিল তা সবসময় আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। যেমন অন্য নবীদের উপর কয় ওয়াক্ত নামাজ ফরজ ছিলো আমার জানা নেই কিন্তু আমাদের উপর প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। আবার আপনার প্রথম কথায় ফিরে যাই আমি সম্পূর্ণরুপে একমত যে আল্লাহকে অন্য নামে ডাকলেও যদি অন্য নামে আল্লাহ সংক্রান্ত কনসেপ্ট ঠিক থাকে তাহলে ডাকতে কোন বাধা নেই। নবী ইব্রাহিমের "এল", নবী মুসার "ইয়হয়" এবং আমার আল্লাহর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই তবে আমি সন্দিহান যে ডাকগুলো এখনো অপরিবর্তিত আছে কিনা যেমন মুসা, ইব্রাহিম, ঈসা নবীদের নামসহ কিতাবগুলোকে মোটামুটি মানবদ্বারা বিকৃত বলা যায়।

আসলে আমি আপনাকে বুঝাতে পারিনি আমার মূল বক্তব্য " একেশ্বরবাদ এর সমর্থনে যেকোন ডাকই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য তবে মুসলমান হিসেবে আমি প্রেফার করি 'আল্লাহ' এবং তার ৯৯টি গুণবাচক নাম ধরে ডাকা। কারণ তার প্রদত্ত বাণী তথা আল-কোরআনে তিনি এগুলোই উল্লেখ করেছেন। এবং আমাদে জন্য আল-কোরআন মান্য, তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল না। এখানে দুইটা বিষয় আছে। একঃ ডাকা যাবে কিনা উত্তর যাবে। দুইঃ কোনটা বেটার অপশন? আল্লাহ এবং তাঁর গুণবাচক নাম।"

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রথমতঃ আপনার পোস্ট আমার খুব ভালো লেগেছে এই কারনে যে এখানে সুন্দর করে আলোচনা করা হচ্ছে। অহেতুক যুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। আমি এটা ক্লিয়ার যে আল্লাহকে যেকোন নামে ডাকা যাবে কোরআনে উল্লেখিত নামগুলো ছাড়াও। আপনিও এইটাই বলতে চাইছেন যুক্তি দিয়ে যে আল্লাহ, ঈশ্বর যতক্ষনপর্যন্ত একেশ্বরবাদ বুঝাচ্ছে সেটাতে যে নামেই ডাকুক না কেন কিছু আসে যায় না। একেশ্বরবাদ কন্সেপ্টটাই আসল। সৃষ্টিকর্তা তো একজনই। যদি ভুল বুঝে থাকি তাহলে আবার ক্লিয়ার করে দেবেন। -জ্বী, এইটাই মুল বক্তব্য। আমি এইটাই বলতে চেয়েছি।

কোনটা বেটার অপশন? আল্লাহ এবং তাঁর গুণবাচক নাম।" - জ্বী, আমার কাছেও এইটাই বেটার অপশন। এইখানেও আমি আপনি একি কথা বলছি।

এই লেখাটার পিছনে মুল কারন ছিল কিছু এক্সট্রিম বিশ্বাসের মানুষ আছে যারা বলে অন্য নাম ডাকা যাবেই না।। আমি সেই কথার অসাড়তা প্রমান করতে চেয়েছি। অনেক ইহুদী এবং কিছু খৃস্টান (সব খৃস্টান ট্রিনিটি বিশ্বাস করে না, একেবারে অল্প হলেও কিছু আছে যারা এক ঈস্বর বিশ্বাস করে) পাবেন যারা একেশ্বর মনে করেই তারা তাদের গ্রন্থে উল্লেখিত ঈশ্বরের নাম ধরে ডাকে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ন পোস্ট।

আবরাহা এনক্রিপশন সম্পর্কে লেখা চাই্। প্লিজ সময় পেলে দিবেন

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার আগের পোস্টের মতই ভাল পোস্ট এবং মূল বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি ।

ক্ষূদ্র চিন্তায় যেটা বুঝি সেটা হল, যিনি এই বিপুল বিরাট বিশ্বব্রক্ষাণ্ডের স্রষ্টা, যিনি লক্ষ-কোটি জীবনের স্রষ্টা, অজস্র ভাষা, সংস্কৃতি আর বৈচিত্রের স্রষ্টা তাকে আল্লাহ বলাও যা, ঈশ্বর, গড, ইয়হয় বলাও তা । আসলে তো তিনি ভাষার অতীত, কল্পনারও অতীত । তার সৃষ্টি একটা নক্ষত্রপুন্জ্ঞকেই আমি কল্পনায় ধারণ করতে পারি না, আমি কি করে এমন লক্ষ-কোটি নক্ষত্রপুন্জ্ঞকে কল্পনা করবো ? আর তার যে স্রষ্টা তাকে আমি কোন ভাষাতেই বা প্রকাশ করবো? যিনি সমস্ত ভাষার আধার, গুনের আধার যে কোন একটা শব্দ বা বিশেষণ কি তার সীমাহীন গুনাবলীকে খন্ডিত করে না ?

কেউ যখন বলে "আল্লাহ নিজেকে আল্লাহ নামে ডেকেছেন তাই তাকে 'আল্লাহ' ডাকব" তখন ব্যাপারটা কি কানার হাতি দেখার মত হয়ে যায় না ? তাকে খন্ডিত করে, সাম্প্রদায়িক করে, শুধু বিশেষ এক ভাষাভাষী গোষ্ঠির নিজস্ব সম্পত্তি না করে, আজগুবী বিশ্বাস এবং বিশ্বাস বলে স্বর্গে যাবার উপায় না মনে করে তাকে সর্বজনীন এবং পরম গন্তব্য মনে করাই যৌক্তিক । তাহলে কে ট্রিনিটি বিশ্বাস করে, আর কে করেনা, কে বিশ্বাস বলে কাফের আর কে মোমিন - এই অপ্রয়োজনীয় কর্ম-নৈতিকতাবিহীন আজগুবী মানদণ্ড গুলো আর আসেনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.