নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) -এর খোজে (প্রথম পর্ব)

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫০

এই পোস্টটা প্রচলিত অর্থে কোন ধর্মীয় পোস্ট না। এইটা একটা ছোট খাট গবেষণা মূলক পোস্ট। এই পোস্টে আমি কোন ধর্মীয় বিধান খুজছি না, বা কোন ধর্মের মহিমা প্রচার করা এই পোস্টের উদ্দেশ্য না। যারা ধর্মের ব্যাপারে প্রচলিত অর্থে গোঁড়া, কট্রর পন্থী তারা এই পোস্ট থেকে দূরে থাকবেন। সাধারন পাঠকদের বলছি, আপনার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমার এই পোস্ট না। এই পোস্টের অনেক কিছু আপনার প্রচলিত ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

ইহুদী, খৃষ্টান এবং ইসলাম- এই তিনটি ধর্মের উৎপত্তি বিকাশ নিয়ে আমি প্রচুর পড়াশুনা (আমার লেভেল অনুযায়ী) করেছি। ইহুদী এবং খৃস্টান ধর্মের উৎপত্তি এবং বিকাশ সম্পর্কিত প্রশ্নের সমাধান পেয়েছি, মুলত তাঁদের স্কলারদের লেখা বিভিন্ন বই থেকে। যেহেতু আমাদের দেশে সাধারণত কেউ ওল্ড এবং নিউ টেস্টামেন্ট পড়েনা, সেইখেত্রে ঐ দুইটা ধর্মের ব্যাপারে আমি এখানে কোন কথা বলব না, শুধু এইটুকু দৃরতার সাথে বলতে চাই যে প্রচলিত ইসলাম ধর্মে এই ওল্ড টেস্টামেন্টের অচিন্তনীয় প্রভাব রয়েছে। আমাদের তথাকথিত অনেক স্কলাররা অনেক ক্ষেত্রেই কোরআনে কি বলেছে সেইটা বাদ দিয়ে ওল্ড টেস্টামেন্ট কে অন্ধের মত অনুসরণ করেছেন। যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (যেমন মানব সৃষ্টি, মহাবিশ্ব সৃষ্টি, ধর্মীয় বিধান, নবীদের কার্যকলাপ ইত্যাদি) ইহুদীদের/ইস্রায়েলীদের ওল্ড টেস্টামেন্টের (ওল্ড টেস্টামেন্ট এবং তওরাত এক জিনিষ না) সাথে আমাদের ট্র্যাডিশনে বর্ণিত ঘটনার প্রচুর মিল রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তা হুবুহ এক। এর ফলে আমাদের স্কলাররা কোরআন অনুবাদ করেছেন ঐ সব ঘটনা কে মাথায় রেখে, যার দরুন কোরআনের অনুবাদেও অনেক ভুল ভ্রান্তি লক্ষ্য করা যায়।

যাই হোক আমার লেখার উদ্দেশ্য আমাদের ট্র্যাডিশনের উৎস কোথায় তা বের করা নয় বরং আমাদের ধর্মের উৎপত্তি এবং এর বিকাশ কোথায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা।

মুলত যেই জিনিষ গুলি নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হচ্ছেঃ

১। নবী মুহাম্মদের (সাঃ) জন্ম কত সালে?

২। নবী মুহাম্মদের জন্ম কোথায়, অথবা তিনি কোথায় বাস করতেন?

৩। কোরআন কোথায় এবং কখন অবতীর্ণ হয়েছে (১ এবং ২ নম্বর পয়েন্টের সাথে রিলেটেড)

আমার মনে হয় এমন কোন মুসলমান পাওয়া যাবে না যে এই প্রশ্ন গুলির উত্তর জানেনা।

আমাদের এই জানাটা কতটুকু কোরআন দ্বারা সমর্থিত সেটা বের করাই এই গবেষণার উদ্দেশ্য।

And do not pursue that of which you have no knowledge. Indeed, the hearing, the sight and the heart - about all those will be questioned. (১৭:৩৬)

একসময় ইতিহাস নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছি, এবং তার পর বুঝতে পারলাম ইতিহাস হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে ইতিহাসবিদদের ব্যাক্তিগত সাব্জেক্টিভ মতামত। এর পর আমি আমার আগ্রহ আর্কিওলজিতে পরিবর্তন করেছি।

নবী মুহাম্মদের (সাঃ) জন্ম কত সালে?
প্রচলিত বিশ্বাস হচ্ছে, ৫৭০ খৃস্টাব্দে ১২ ই রবিউল আউয়াল (সম্ভবতঃ ২০ ই এপ্রিল)। এই জন্মতারিখের ভিত্তি কি? ট্র্যাডিশন বলে, যে বছর আব্রাহা তার হাতি বাহিনী নিয়ে কাবা ধ্বংস করতে এসেছিল, এবং আল্লাহ্‌ আবাবিল পাখি দিয়ে আব্রাহার হাতি বাহিনী কে সম্পূর্ণ রুপে ধ্বংস করে দিয়েছিল, সেই বছরটাকে “হস্তি বছর” বা “ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট” বলা হয়ে থাকে যা ৫৭০ সালে সঙ্ঘটিত হয়েছিল।
এই আব্রাহা নিয়ে যতটুকু পড়ালেখা করেছি, তার ভিত্তিতে এইটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি

১। আব্রাহা কোনদিন মক্কা আক্রমণ করতে যায় নি।

২। আব্রাহা ইনস্ক্রিপশন এবং মা’রিব ইনস্ক্রিপশনে কোথাও মক্কা বলে কোন শহরের নাম নেই।

৩। ৫৫২-৫৫৩ সালে আব্রাহা অবসর নেন, এবং খুব সম্ভবত ৫৭০ সালের আগেই মারা যান।

এই নিয়ে বিস্তারিত একটা ব্লগ লিখেছি। আরও জানতে চাইলে, দয়া করে পড়ে আসুন।
"ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট" এবং "আব্রাহা ইনস্ক্রিপশন"
যেহেতু আব্রাহার মক্কা আক্রমণ সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটেনি, সেহেতু মক্কায় “ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট” বলে কিছু নেই। এইটা সম্পূর্ণ বানানো ঘটনা। সেই ক্ষেত্রে নবীর জন্ম সাল ৫৭০ এইটা সত্য নয়। কেউ যদি বলেন যে আব্রাহা মক্কা আক্রমণ করুক বা নাই করুক, নবীর জন্ম ৫৭০ সালেই, সেইখেত্রে তাকে এর স্বপক্ষে প্রমান দেখাতে হবে। এবং স্বীকার করতে হবে যে নবীর জন্ম সাল সংক্রান্ত যা লেখা হয়েছে তা মিথ্যা। এখন, যদি নবীর জন্ম সাল ৫৭০ সালে না হয়, তবে এর অর্থ দাঁড়ায় নিম্ন রুপঃ

১। ইবনে ইসহাক/ ইবনে হিসাম রচিত “সিরাত” সম্পূর্ণ মিথ্যা। (এইটা আরও বিভিন্ন ভাবে প্রমান করা যায়)

২। হাদিস কালেকশন করা হয়েছে মুলত চেইন অফ নেরেশন কে প্রাধান্য দিয়ে। যদি আব্রাহার মক্কা আক্রমণ প্রমানিত না হয়, সেইখেত্রে নবীর জন্ম ৫৭০ এ এইটা ধোপে টিকে না, কারন এই ৫৭০ সাল নেওয়া হয়েছে আব্রহার মক্কা আক্রমণ কে কেন্দ্র করে। এর ফলে হয় তাঁদের কে এই চেইন অফ নেরেশন নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে, অথবা তাঁদের হাদিস কর্পাস বাদ দিতে হবে। যারা হাদিসের সনদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ তারা ঠিকই বুঝবেন আমি ঠিক কি বলতে চেয়েছি। (দয়া করে আমাকে কেউ গালাগালি করবেন না)

আমার মনে হয় এইটুকু প্রমানই যথেষ্ট। হিজরী সাল নিয়ে কোন কথা বললাম না। বলার কোন দরকারও নেই। আমার দরকার কনক্রিট প্রুফ। আমি এইটা নিয়েই থাকব।

সুতরাং যেহেতু আব্রাহা হাতি নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেননি, সেহুতু নবীর জন্ম ৫৭০ সালে সেটা আমরা বলতে পারছি না। কেউ যদি নবীর জন্ম ৫৭০ সাল এইটা বলতে চান তবে তাকে এর স্বপক্ষে প্রমান নিয়ে আসতে হবে।

নবী মুহাম্মদের জন্ম কোথায়, অথবা তিনি কোথায় বাস করতেন?
ট্র্যাডিশনের বর্ণনা অনুযায়ী নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নামক শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ৪০ বছর পরে নবুয়াত লাভ করেন। এর পর ক্রমাগত ১৩ বছর তিনি মক্কায় ধর্ম প্রচার করেন। কিন্ত মক্কায় তিনি সফল হতে পারেন নি এবং বিভিন্ন রকম প্রতিবন্ধকতার মুখে অবশেষে মদীনায় গমন (হিজরত) করেন। মদীনায় তিনি একটি ইসলামিক স্টেট গড়ে তুলতে সমর্থ হন। উনার জীবনের শেষের দিকে বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় করেন, এবং অতঃপর মদীনাতে ফিরে যান। সেখানেই ৬৩২ খৃস্টাব্দে তিনি ইন্তিকাল করেন।

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি, ট্র্যাডিশন অনুযায়ী, উনার জীবনকালের ১০ বছর বাদ দিলে উনি মক্কাতেই বসবাস করতেন এবং উনি মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

এইখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কি মক্কায় বসবাস করতেন?

২। যদি মক্কায় বসবাস না করতেন, তবে উনার প্রকৃত জন্মস্থান এবং আবাসস্থল কোথায় ছিল?

এই লেখায়, আমি শুধুমাত্র প্রথম প্রশ্নটার সমাধান করার চেষ্টা করব এবং এই ক্ষেত্রে কোরআন কে ক্রাইটেরিয়া ধরে সামনে এগোব। যেহেতু আমি বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য কেউ বলতে পারে না, সেইখেত্রে আশা করি কোরআনের রেফারেন্সে কারোও কোন আপত্তি থাকার কথা না।

মক্কা বনাম বক্কাঃ
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ
The first House appointed for men was that at Bakka: Full of blessing and of guidance for all kinds of beings: (৩ঃ৯৬)

এই খানে খুবই ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় আছে। অনেক অনুবাদক এই আয়াতের অনুবাদ করতে গিয়ে “বক্কা” শব্দের অনুবাদ করেছেন “মক্কা”। এইটা নিঃসন্দেহে পিউর ম্যানিপুলেশন। ট্র্যাডিশন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই অনুবাদ করার ফলে অনুবাদকগন এই ইচ্ছকৃত ভুল অনুবাদ করেছেন। যারা কোরআন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা জেনে থাকবেন কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। কোরআনে ৪৮:২৪ আয়াতে মক্কা শব্দটা এসেছে। সুতরাং আল্লাহ্‌ কেন একই স্থানের জন্য পৃথক দুইটি নাম ব্যাবহার করবেন? কোরআনে এই রকম কোন উদাহরণ নেই। আল্লাহ্‌ মক্কা শব্দ দিয়ে মক্কাই বুঝিয়েছেন এবং বক্কা শব্দ দিয়ে বক্কাকেই বুঝিয়েছেন।

এই জিনিষ কে গোঁজামিল দিতে যেটা সাধারণত বলা হয় (আমি তিনটা থিওরি পেয়েছি)

ক। মক্কার পূর্ব নাম বক্কা, অথবা

খ। বক্কা হচ্ছে মক্কার বিশেষ জনাকীর্ণ একটা জায়গা।

গ। আরবীতে “ম” এবং “ব” পরস্পর পরিবর্তনশীল

দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ধরণের কথার স্বপক্ষে এই পর্যন্ত কেউ কোন প্রমান দিতে পারেনি। কোন প্রাক-ইসলামিক কবিতা, আর্কিওলজিকাল রেকর্ড, ডকুমেন্ট- যে কোন কিছু। কোন প্রমান নেই, শুধু মুখের কথা ছাড়া। কেউ কেউ আবার বলেন আরবীতে “ম” এবং “ব” পরস্পর পরিবর্তনশীল। মনে রাখতে হবে আমরা আল্লাহর কোরআন নিয়ে কথা বলছি। কোরআনের ভাষা ট্র্যাডিশনাল ক্লাসিক্যাল আরবী ভাষা থেকেও উন্নত। (কোরআন এবং ট্র্যাডিশনের মধ্যে বিভিন্ন শব্দের প্রয়োগ দেখলেই বুঝতে পারবেন)।

মোট কথা হচ্ছে, প্রথম ঘর নিয়োগ করা হয়েছিল বক্কা তে, মক্কা তে নয়। যদিও আমার লেখার মুল উদ্দেশ্যের সাথে এটা সম্পূর্ণ ভাবে প্রাসঙ্গিক নয়, তারপরেও কোরআনের আয়াত কিভাবে ম্যানিপুলেশন করা হয় তা দেখানোর জন্য এই রকম একটা উদাহরণ টেনেছি। পাঠক চাইলে “সহিহ ইন্টারন্যশনাল” এবং বাংলা অনুবাদ দেখতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকেঃ
মক্কা/বক্কা

যেহেতু আমি বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানী, এবং আল্লাহ্‌র চেয়ে আধিক সত্য কেউ বলতে পারেনা, সেহেতু আমরা দেখার চেষ্টা করব নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কায় বাস করত এই কথাটা কোরআন দ্বারা সমর্থিত কি না?

বিভিন্ন ফলঃ
কোরআনে যে ফল গুলির কথা এসেছে তা হচ্ছেঃ
১। খেজুর (Dates)

২। জলপাই (Olive)

৩। ডুমুর (Fig)

৪। ডালিম (Pomegranate)

৫। আঙুর (Grapes)

প্রথমটি অর্থাৎ, খেজুর ছাড়া বাকী চারটি ফল মক্কাতে জন্মায় না। এইটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার।

And We brought forth for you thereby gardens of palm trees and grapevines in which for you are abundant fruits and from which you eat. (২৩:১৯)

He causes to grow for you thereby the crops, olives, palm trees, grapevines, and from all the fruits. Indeed in that is a sign for a people who give thought. (১৬:১১)

কোথায় পাম গাছের বাগান? কোথায় আঙুর? কোথায় প্রচুর ফল ফলাদি? মক্কায় এই গুলি কখনোই জন্মায়নি। কোথায় শস্য? মক্কায় কি চাষবাস হয়?

And it is He who sends down rain from the sky, and We produce thereby the growth of all things. We produce from it greenery from which We produce grains arranged in layers. And from the palm trees - of its emerging fruit are clusters hanging low. And [We produce] gardens of grapevines and olives and pomegranates, similar yet varied. Look at (UNZURO) its fruit when it yields and its ripening. Indeed in that are signs for a people who believe (৬:৯৯)

অর্থাৎ, নবী যেখানে বাস করতেন সেইখানে এইসব ফল প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায়, সেইখানেই পরিপক্ক হয়। আল্লাহ্‌ নবীকে এইখানে বলেছেন “উনযুর” অর্থাৎ লক্ষ্য কর ফল ধরা থেকে পাকা পর্যন্ত। মক্কায় এইটা কোনভাবেই সম্ভব না।

সুতরাং আল্লাহ্‌ নবীর বাসস্থানের যে বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদির জন্ম, যা নবী আহার করতেন এবং যার মধ্যে নিদর্শন আছে, সেটা মক্কার সাথে কোনভাবেই মিলে না। সুতরাং নবীর আবাসস্থল কখনোই মক্কায় ছিল না।

কোরআনে এই রকম প্রচুর আয়াত আছে। এইসব আয়াত দ্বারা আল্লাহ্‌ বুঝিয়েছেন, এই সব ফল ফলাদি, শস্য নবী যে এলাকায় থাকতেন সেখানে জন্মায়, নবী সেগুলি আহার করতেন এবং এর মধ্যে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন আছে। আপনি যতই গোড়া হন না কেন আপনি কখনোই এই বর্ণনা মক্কার সাথে মিলাতে পারবেন না। এই রকম আরও আয়াতদেখার জন্য দেখুনঃ ১৭:৯০-৯১, ৩৬:৩৩-৩৪, ৬:৯৯, ৩৯:২১,

শস্য এবং কৃষিঃ

এইটাও একই রকম ইন্টারেস্টিং। মুলত আল্লাহ্‌ নবীর আবাস স্থলের কৃষির বর্ণনা দিয়েছেন এবং ফসল সংগ্রহের সাথে সাথেই এর পাওনা পরিশোধ করে দিতে বলেছেন।

Do you not see that Allah sends down rain from the sky and makes it flow as springs [and rivers] in the earth; then He produces thereby crops of varying colors; then they dry and you see them turned yellow; then He makes them [scattered] debris. Indeed in that is a reminder for those of understanding. (৩৯:২১)
এখানে আল্লাহ্‌ নবীকে শস্য আবর্তনের কথা বলেছেন এবং বার বার বলছেন শস্যের বেড়ে উঠা থেকে পরিবর্তিত হয়ে হলুদ রং হওয়া পরিবর্তন লক্ষ্য করতে। প্রশ্ন হচ্ছে মক্কায় কি কোন শস্য জন্মে? যদি না জন্মে তবে কিভাবে নবী লক্ষ্য করবে শস্যের রং কিভাবে পরিবর্তন হয়।

And He it is who causes gardens to grow, [both] trellised and untrellised, and palm trees and crops of different [kinds of] food and olives and pomegranates, similar and dissimilar. Eat of its fruit when it yields and give its due on the day of its harvest. And be not excessive. Indeed, He does not like those who commit excess. (৬:১৪১)

এই আয়াতে বর্ণিত কোন ফল বা শস্যই মক্কায় জন্মে না। থালে শস্য পাকার পর কিভাবে খাওয়ার প্রশ্ন আসে আর যেহেতু ফসলই জন্মে না সেহেতু তা সংগ্রহের কোন প্রশ্ন আসে না এবং এর ফলে ফসল সংগ্রহের সময় এর পাওনা পরিশোধ করার কথা এইখানে মক্কার সাথে সমঞ্জস্য পূর্ণ নয়। ব্যাপারটা এরকম দাড়ায় যে, কাবুলে শস্য জন্মালে তার পাওনা আল্লাহ্‌ ঢাকার মানুষকে পরিশোধ করতে বলেছেন। ব্যাপারটা খুবই অযৌক্তিক।

সুতরাং, কোরআনে যে বিভিন্ন ফলের বা শস্যের কথা বলা হয়েছে, যা নবী যেখানে বাস করতেন সেখানে জন্মে, যা সম্পর্কে নবী অবগত ছিলেন, এবং আল্লাহ্‌ ঐসব ফলের উদাহরণ দিয়ে নবীকে চিন্তা করতে বলেছেন, সেইসব ফল বা শস্য মক্কায় জন্মে না। এর ফলে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কায় বাস করতেন এর কোন প্রমান কোরআন থেকে পাওয়া যায় না, বরং এর বিপরীত কথায় আমরা কোরআনে দেখি।

(To be continued…..)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২০

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: চলুক দেখি......

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুধু কোরআনকে রেফারেন্স মানলে আপনি তো আরেক ধারার কট্টর হয়ে গেলেন। আপনি কি ব্লগার ম জ বাশার? যাই হোক, সব বিষয় বা ঘটনা কোরআন দিয়ে প্রমাণ করার বিষয় নয়। আমরা জানি বিদায় হ্জ্জ্ব-এর ভাষণে উনি বলে গিয়েছেন যে দুইটা জিনিস তিনি রেখে যাচ্ছেন সেটা হলো কুরআন আর রাসুলের(সাঃ) সুন্নাহ। এখন বিদায় হ্জ্জ্ব-এর কথাও কোরআনে লেখা নেই। আপনার কথা অনুযায়ী এটাও তাহলে মিথ্যা(নাউজুবিল্লাহ)। এভাবে আরো অনেক বিষয় আছে কোরআনে বিস্তারিত বলা নেই।
ম জ বাশার গংরা কিন্তু হাদীসকে পুরো অস্বীকার করে। আপনি ধর্মীয় কট্টরদের দূরে থাকতে বলে নিজেই আরেক কট্টরের মতই আলোচনার সূত্রপাত করলেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৩

হানিফঢাকা বলেছেন: শুধু কোরআনকে রেফারেন্স মানলে আপনি তো আরেক ধারার কট্টর হয়ে গেলেন। - সংগত কারনেই শুধু কোরআনের রেফারেন্স ব্যাবহার করা হয়েছে। এর ফলে এইটা সহি আর ঐটা সহি না - এই ধরণের ক্যাচাল এড়ানো সম্ভব হয়। কোরআনের রেফারেন্স এ কোন আপত্তি আছে?

আপনি কি ব্লগার ম জ বাশার? - এই নামে আমি কাউকে চিনিনা। এই ব্লগে প্রথম একাউন্ট করা থেকে শুরু করে এই মন্তব্য লেখা পর্যন্ত সময়ে এই ব্লগে আমার একটাই আইডি।

আমরা জানি বিদায় হ্জ্জ্ব-এর ভাষণে উনি বলে গিয়েছেন যে দুইটা জিনিস তিনি রেখে যাচ্ছেন সেটা হলো কুরআন আর রাসুলের(সাঃ) সুন্নাহ। - সমস্যাটা হচ্ছে অনেকের মত আপনিও শুধু ঐটুকু জানেন যা আপনার পক্ষে যায়। হাদিস নিয়ে কেন কথা বলি না- এইটা একটা কারন। উদাহরণ স্বরুপ, আপনার এই মন্তব্যের মত মন্তব্য আমি বিভিন্ন সময়ে পেয়েছি। তাদেরকেও একই উত্তর দিয়েছি। আপনাকেও দিচ্ছিঃ
আপনি শুধু একটা হাদীসের কথা বলেছেন যেইটা আপনার পক্ষে যায়। এই সম্পর্কে তিন ধরনের হাদীস পাওয়া যায়ঃ
বিদায় হজ্জের ভাষনে নবী বলেছেনঃ আমি তো্মাদের জন্য দুইটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, তা হলঃ

ক। কোরআন এবং সুন্নাহ ( মুয়াত্তা ৪৬/৩)

খ। কোরআন এবং আহলে বায়াত (মুসলিম ৪৪/৪, হাদিস ২৪০৮, ইবেন হাম্বল ৪/৩৬৬)

গ। শুধুমাত্র কোরআন (মুসলিম ১৫/১৯, হাদীস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬)

এখন আপনি কোনটা বিশ্বাস করবেন? কোরআন এবং সুন্নাহ (ক), তাহলে আপনি বাকি হাদীসগুলিকে কি বাতিল করছেন না?

আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: প্রশ্ন জন্মেছে প্রচুর। তবে - সিরিজের পরের পর্বগুলো পড়ে দেখি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। মনে প্রশ্ন জন্মানো স্বাভাবিক। ইচ্ছা ছিল এইটা নিয়ে ৭-৮ টা পর্ব লিখব। যেহেতু ঈদের ছুটি শেষ, সেহেতু সময় অল্প। নেক্সট পর্বে মুল পয়েন্ট গুলি বলে ইনশাল্লাহ শেষ করে ফেলব।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: Please correct the spelling, the word in the title খুজে । thanks

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক করে দিয়েছি।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৪

nilkabba বলেছেন: আপনার অতীব জ্ঞানের পরিশ্রম সমৃদ্ধ লেখাটি পড়লাম। মনে অনেক প্রশ্নের উদয় হলো এবং লেখাটি নিয়ে আপনার জ্ঞান সম্পর্কে অনেক সংশয় জন্ম নিলো এই ভেবে যে আপনি কি অাদৌ পড়ালেখা করে বা ইতিহাস চর্চা করে লেখাটি লিখেছেন নাকি নিজের উদ্ভট মস্তিষ্কেরেরর কল্পনা প্রসূত বিন্যাস করেছেন।
প্রথমত আপনাকে বলে রাখি পবিত্র কোরঅানে এমন অনেক কিছুই উল্লেখ নেই যা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।যেমন পবিত্র কোরঅানে কোথায় উল্লেখ করা নেই যে আমাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজের কোন নামাজে কত রাকাত ফরজ,কত রাকাত সুন্নত,কত রাকাত ওয়াজিব,কত রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে।এগুলো আমরা জেনেছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে। এমনি অসংখ্য উদাহারন রয়েছে।আমি মাত্র একটি পেশ করলাম।কোরঅান হলো সংক্ষিপ্ত আকারে আমাদের জীবনবিধানের সম্পূর্ণ রুপরেখা।আর হাদিস হলো সেই সংক্ষিপ্ত ভার্সন কে ব্যাপক আকারে আমাদের মাঝে বিন্যাস করে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরঅানে বলেছেন যে রাসূলকে মান্য করলো সে আমাকে মান্য করল আর যে রাসূলকে অমান্য করল সে আমাকে অমান্য করল।
আবার ধরুন দাড়ি রাখা প্রসঙ্গে,,কোরঅানে কোথায় দাড়ি রাখার কথা বলা হয়নি,,,শুধুমাত্র একটি আয়াতে হযরত হারুন আঃ এর দাড়ির কথা সংক্ষিপ্ত আকারে বলা হয়েছে।সেখানে কোথায় কিন্তু বলা হয়নি তোমরা দাড়ি লম্বা রাখ এবং গোফ ছেটে ফেল।বরং এই কথাটি বলেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
এভাবে কোরআন ও হাদিস দ্বারা আমরা মুসলিমরা আমাদের জীবনের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে থাকি।
পরিশেষে বলব বিকার গ্রস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা বাদ দিয়ে সহজ সমাধানের চেষ্টা করুন।কেননা কোরআন আমাদেরকে সেই পথ প্রদর্শনের সঠিক উপায় বাতলে দিয়েছে।
ভালো থাকবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৩

হানিফঢাকা বলেছেন: আমার জ্ঞান সম্পর্কে সংশয় জন্ম নেওয়া আপনার কাছে অস্বাভাবিক কিছু না। পোস্ট রিলেটেড কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। আলোচনা অন্যদিকে ডাইভার্ট করার কোন ইচ্ছা আমার নাই।

পরিশেষে বলব বিকার গ্রস্থ মস্তিষ্কের চিন্তা বাদ দিয়ে সহজ সমাধানের চেষ্টা করুন।কেননা কোরআন আমাদেরকে সেই পথ প্রদর্শনের সঠিক উপায় বাতলে দিয়েছে। - আপনার ফ্রি উপদেশের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



যদি কোন ধর্মীয় লোক লিখতে ও পড়তে পারেন, সে কোন ধর্মীয় লোকের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে একমত হবেন না ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি প্রচলিত অর্থে কোন ধর্মীয় লোক না। দ্বীন এবং ধর্ম দুইটা আলাদা জিনিষ।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: আবরাহার ডেথ সাটিফিকেট টা দেখালেন না !? নাকি ইহুদী ভাই দের কাছে ভূলে রেখে এসেছেন !?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৮

হানিফঢাকা বলেছেন: আব্রাহার ডেথ সার্টিফিকেট মক্কার আবাবিল পাখি নিয়ে গেছে। হাপি?

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

বিবেক ও সত্য বলেছেন: কুরআনের সৃষ্টিকর্তার বিধান হওয়ার পক্ষে কুরআনের প্রমান ও তা খন্ডন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি কোন কনক্রিট যুক্তি দিতে পারেন নি। আপনার ধর্মীয় জ্ঞান আমার সন্দেহ আছে। কোনটা কোরআনে আছে আর কোনটা ট্র্যাডিশন থেকে এসেছে সেটা আগে পার্থক্য করতে শিখুন। আরবী ভাষা জানার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। যদিও আমার আরবী ভাষা জ্ঞান কম, এর পরেও আপনার লেখা পড়ে আপনার ভাষা জ্ঞান বুঝতে পেরেছি। আরবী ভাষা জানেন বলতে কি তোতা পাখির মত পড়ে যাওয়া বুঝিয়েছেন? পার্সিয়ান লেন্স দিয়ে যতদিন কোরআন পড়বেন, ততদিন আপানর অবস্থার কোন উন্নতি হবে না।

ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২০

করুণাধারা বলেছেন: সহমত ওসেল মাহমুদের সাথে। সম্ভবত আপনার খায়েস হয়েছে সর্বাধিক মন্তব্য পাবার তাই পবিত্র কোরআনের আয়াতের অর্থ ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ বলেছেন -তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত কোরনা এবং জেনে বুঝে সত্য গোপন কোরনা। অথচ আপনি ঠিক এই কাজটিই করলেন, কোরআন শরিফে আল্লাহ সমগ্র মানব জাতির প্রতি তার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করাচ্ছেন এভাবে- আমি আকাশ হতে বারিবর্ষণ করি, তা থেকে "তোমাদের" জন্য দাড়িম্ব, আংগুর,খেজুর ও কুলের বাগান তইরি করি----( বা শষ্যক্ষেত)। মূল আয়াত (১৬:১১) এবং (২৩:১৯) আরবি তে "লাকুম" ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ বাংলায় তোমাদের জন্য অথচ আপনি মিথ্যাচারের সুবিধার জন্য বাংলা লেখাতে সুচতুর ভাবে নিয়ে এলেন ইংলিশ অনুবাদ, যেখানে লাকুম অর্থ you, যা দিয়ে আপনি বললেন আল্লাহ রাসুল(স) কে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলছেন।

কোরআন শরিফ নিয়ে এভাবে মিথ্যাচারের ফল ভাল হবে না আপনার জন্য। আরেকটা কথা, রাসুল (স) বিশ্বজগতের জন্য রহমত, রাহমাতুল্লিল আলামিন, তার জন্মস্থান এবং কালের যদি কিছু হেরফের হয়েই থাকে তাতে কি আসে যায়?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: রাসুল (স) বিশ্বজগতের জন্য রহমত, রাহমাতুল্লিল আলামিন, তার জন্মস্থান এবং কালের যদি কিছু হেরফের হয়েই থাকে তাতে কি আসে যায়? - আমার কিছুই যায় আসেনা। কিন্তু এইটার ইম্প্যাক্ট কি হতে পারে সেটা আমি আমার লেখাতেই বলেছি। যাদের আসে যায় তারা ঠিকই বুঝতেছেন।

লাকুম অর্থ you/তুমি/ তুমরা- কোরআন নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর নাজিল হয়েছে। কোরআনের প্রাইমারী অডিয়েন্স ছিল নবীর আশে পাশের লোকজন। যেমনঃ
And indeed, you pass by them in the morning (৩৭:১৩৭)- এইখানে তুমি/তোমরা দ্বারা নবী এবং তার এলাকার লোকাদেরকেই উদ্দেশ্য করে বলেছেন।

তোমরা- দ্বারা সবাইকে বুঝালেও এই ধরণের আয়াতে যা কোন স্পেসিফিক বিষয়কে লক্ষ্য করতে বলা হয় এর প্রাইমারী অডিয়েন্স নবী মুহাম্মদ এবং তার আশেপাশের লোক জন।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম আপনার উত্তরের -না পেয়ে ব্লগ ছেড়ে গেলাম। একটা মিথ্যা দিয়ে আরেকটা মিথ্যা ঢাক্তে কিছু সময়ের দরকার হয় সেটা বুঝি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪১

হানিফঢাকা বলেছেন: সবাইকে দয়া করে নিজের মত ভাববেন না। সবাই সারাদিন ব্লগে পড়ে থাকতে পারেনা। কাজকর্ম করে খাই, তাই কারো নির্ধারিত চাহিদামাফিক সময়ে উত্তর দেওয়া সবসময় সম্ভব হয়না। আপনার মন্তব্যে আপনার মানসিকতার পরিচয় পেলাম।

অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছেন বলে দুঃখিত।

ধন্যবাদ।

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

আশাবাদী অধম বলেছেন: বিসমিল্লাহ। আমি নগণ্য, আল্লাহর সাহায্য চেয়ে এ বিষয়ে কলম ধরলাম।

আপনার অবস্থা সেই স্বশিক্ষিত পণ্ডিতের মত যে ইংরেজি "know" শব্দকে উচ্চারণ করে "কোনো" আবার যুক্তি দেখায় k তো একটা আছেই, তাহলে উচ্চারণ ভুল হবে কেন?

মিয়া সাহেব, বাক্কা যে মক্কা না তা কুরআনের যে আয়াত দিয়ে প্রমাণ করতে চাইলেন তার পরের আয়াত কি কখনো পড়ে দেখেছেন?

إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ فِيهِ آيَاتٌ بَيِّـنَاتٌ مَّقَامُ إِبْرَاهِيمَ وَمَن دَخَلَهُ كَانَ آمِنًا وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ

96. Verily, the first House (of worship) appointed for mankind was that at Bakkah, full of blessing, and a guidance for Al-'Alamin (the mankind and jinns).
97. In it are manifest signs (for example), the Maqam (place) of Ibrahim (Abraham); whosoever enters it, he attains security. And Hajj (pilgrimage to Makkah) to the House (Ka'bah) is a duty that mankind owes to Allah, those who can afford the expenses (for one's conveyance, provision and residence); and whoever disbelieves.

"এতে [বাক্কাতে] রয়েছে মকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন।"

প্রথমত "মাকামে ইবরাহীম" নিয়েই কথা বলি। এটা কোথায়?
সূরা বাকারার ১২৫ নং (২ঃ১২৫) আয়াতে বলা হয়েছে-
" وَاتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى " "আর তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে নামাযের জায়গা বানাও"
এই দেখুন বাক্কার সেই মাকামে ইবরাহীম- যেটাকে নামাযের জায়গা বানানো হয়েছে--


আল্লাহর কুরআন দিয়েই প্রমাণ দিলাম, দেখি এবার কি উত্তর দেন। আসলে তো আপনারা কুরআন মানেন না, কুরআনের সাথে মশকরা করেন।

দ্বিতীয়ত, একই আয়াতে (৩ঃ৯৭) বলা হয়েছে "وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً" "আর এ ঘরের হজ্ব করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার।"
স্পষ্টতই এখানে বাক্কার সেই আদি ঘরে হজ্ব করার কথা বলা হয়ছে।

এবার আসুন সূরা বাকারার ১৫৮ নং আয়তে (২ঃ১৫৮)
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَآئِرِ اللّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ

Verily! As-Safa and Al-Marwah (two mountains in Makkah) are of the Symbols of Allah. So it is not a sin on him who perform Hajj or 'Umrah (pilgrimage) of the House to perform the going (Tawaf) between them (As-Safa and Al-Marwah). And whoever does good voluntarily, then verily, Allah is All-Recogniser, All-Knower.

"নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন গুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা (অনুবাদে 'কাবা' লেখা আছে ডিলেট করে দিলাম) ঘরে হজ্ব বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দুটিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকীর কাজ করে, তবে আল্লাহ তা’আলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মুল্য দেবেন।"

স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে হজ্বের নির্দিষ্ট সেই ঘরের (যা বাক্কায় অবস্থিত প্রথম ঘর) পাশেই সাফা-মারওয়া অবস্থিত, যে কারণে ঐ ঘরে হজ্বকারীদের সাফা-মারওয়া প্রদক্ষিণে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
তো মিয়া সাহেব, "সাফা-মারওয়া" কোথায় বলতে পারেন কি? আপনার আর্কিওলজি কি বলে? নিচের ছবিটা চিনতে পারেন কি?



যেহেতু আপনি বিশ্বাস করেন কোরআন আল্লাহর বানী, এবং আল্লাহ্‌র চেয়ে আধিক সত্য কেউ বলতে পারেনা সেহেতু এখন বিশ্বাস করবেন কি যে বাক্কাই মক্কা?

এবার আসি আপনার নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) কোথায় জন্ম নিয়েছেন এবং বসবাস করেছেন এই প্রসঙ্গে।
আমার জানামতে, আপনি নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করেন যে কুরআন যাবতীয় বিকৃতি থেকে মুক্ত। আল্লাহ স্বয়ং এর সংরক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছেন।

১। তো কুরআনের ৮৬ টি সূরার শুরুতে যে মক্কী উল্লিখিত আছে তা কি প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয় যে কুরআন মক্কায় নাযিল হয়েছে এবং নবী মুহাম্মাদ সাঃ মক্কায় বাস করেছেন? নাকি ওসব মানুষ লিখে দিয়েছে? তাহলে কুরআন আর অবিকৃত থাকল কই?

২। এবার আসুন সূরা বানী ইসরাঈলের প্রথম আয়াতে (১৭ঃ১)
"سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ"

"পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি"

"Glorified (and Exalted) be He (Allah) Who took His slave for a journey by night from Al-Masjid-al-Haram (at Makkah) to the farthest mosque (in Jerusalem), the neighbourhood whereof We have blessed"
এ আয়াতে আল্লাহ জানিয়েছেন তিনি তার বান্দাহ মুহাম্মাদ (সা) কে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফর করিয়েছিলেন। মসজিদে হারাম কোথায়? কুরআনের অসংখ্য আয়াত দিয়ে প্রমাণ করা যাবে মক্কার কাবাই হছে বায়তুল হারাম এবং এ সংলগ্ন চত্ত্বরই হচ্ছে মসজিদে হারাম। আর এখনো পর্যন্ত তা এই নামেই পরিচিত।
দেখুন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُحِلُّواْ شَعَآئِرَ اللّهِ وَلاَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَلاَ الْهَدْيَ وَلاَ الْقَلآئِدَ وَلا آمِّينَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ (৫ঃ২)
جَعَلَ اللّهُ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ قِيَامًا لِّلنَّاسِ وَالشَّهْرَ الْحَرَامَ وَالْهَدْيَ وَالْقَلاَئِدَ (৫ঃ৯৭)
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاء الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ (২২ঃ২৫)

Verily! Those who disbelieve and hinder (men) from the Path of Allah, and from Al-Masjid-al-Haram (at Makkah) which We have made (open) to (all) men, the dweller in it and the visitor from the country are equal there [as regards its sanctity and pilgrimage (Hajj and 'Umrah)].
আরো দেখুন- (৯ঃ২৮), (২ঃ১৯৬), (২ঃ১৪৪, ১৪৯, ১৫০)
যাহোক কথা বাড়িয়ে লাভ নেই, বিষয় হচ্ছে মুহাম্মাদ (সঃ) যদি মক্কার বাসিন্দা নাই হবেন তো মসজিদে হারাম থেকে তার ইসরার সফর শুরু হল কিভাবে?

৩। দেখুন সূরা আনআ'ম আয়াত ৯২, এবং সূরা শূরা আয়াত ৭ (৬ঃ৯২)এবং (৪২ঃ৭)
প্রথমটি উল্লেখ করছি,
وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا

"এ কোরআন এমন গ্রন্থ, যা আমি অবতীর্ন করেছি; বরকতময়, পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে আপনি প্রাচীন জনপদ ও তার পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন করেন"

"And this (the Qur'an) is a blessed Book which We have sent down, confirming (the revelations) which came before it, so that you may warn the Mother of Towns and all those around it"

أُمَّ الْقُرَى বলতে বোঝায় প্রাচীন জনপদ বা সকল জনপদের মূল। এটি কোথায়? আসুন সেই বাক্কায় ফিরে যাই যেখানে রয়েছে সর্বপ্রথম নির্মিত ঘর। إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ । আর এটা যে মক্কা তাতো নিঃসন্দেহে কুরআন থেকেই প্রমাণিত। নবী মুহাম্মাদকে (সা) তো তাদের নিকটেই সতর্ককারী রূপে পাঠানো হয়েছে।

আর আপনার দেয়া আয়াতের প্রমাণগুলি পড়লে যে কোন পাঠকই বুঝতে পারবে যে এর উদ্দেশ্য কোন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা জনপদ নয় বরং সাধারণভাবে সকল মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলা।
আপনার উল্লিখিত প্রথম আয়াত ২৩ঃ১৯ এর পূর্বের দুই আয়াত দেখুন-

17. And indeed We have created above you seven heavens (one over the other), and We are never unaware of the creation.
18. And We sent down from the sky water (rain) in (due) measure, and We gave it lodging in the earth, and verily, We are Able to take it away.
এর পরের আয়াত থেকে আপনি উল্লেখ করেছেন। তো আসমান সৃষ্টি, বৃষ্টি বর্ষণ এগুলো কি বিশেষ কোন ব্যক্তি বা এলাকার মানুষের জন্য নির্দিষ্ট? আল্লাহ সেই বৃষ্টির মাধ্যমে ফলের বাগান উৎপন্ন করেন- এটা তো সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য একটি দৃষ্টান্ত!
দ্বিতীয়তঃ ধরে নিলাম নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তিনি যে এলাকায় বসবাস করেছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে উল্লিখিত কথাগুলো বলা হয়েছে। তাহলেই কি প্রমাণিত হয়ে গেল যে ওটা মক্কা নয়?
এখানে দৃষ্টান্ত হিসেবে আঙ্গুরের কথাই ধরুন। ধরে নিলাম মক্কায় আঙ্গুর জন্মায়না। তাই বলে মক্কাবাসী কারো আঙ্গুর বাগান ছিলোনা বা তারা কখনো আঙ্গুর বাগান দেখেনি বিষয়টা কি এমন? এখানে বাধ্য হয়েই একটি হাদীস নিজের ভাষায় উল্লেখ করছি-

নবুওয়াতের দশম বছরে কুরাইশদের নির্যাতন নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে এবং তাদের ব্যাপারে অনেকটা হতাশ হয়েই আল্লাহর রাসূল (সা.) মক্কা থেকে ৫০ মাইল দূরে তায়েফে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। উদ্দেশ্য ছিল তায়েফের নেতৃবৃন্দকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া। সংক্ষিপ্ত কথা হচ্ছে তায়েফের নেতৃবৃন্দ মুহাম্মাদ (সা) এর দাওয়াত গ্রহণ না করে কিছু পাষণ্ড প্রকৃতির লোককে লেলিয়ে দিয়েছিল। আঘাতে ক্ষতবিক্ষত নবী মুহাম্মদ (সা.) যে স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেটি ছিল একটি আঙ্গুরের বাগান। এর মালিক ছিল মক্কার কুরাইশের বিখ্যাত দুই ভাই ওতবা এবং শায়বা বিন রাবিয়া।

হাদিস যেহেতু মানেন না, রেফারেন্স দিলাম না। এত কথা বলারও আবশ্যকীয়তা ছিলনা। সত্যানুসন্ধানি যে কারো জন্য প্রাথমিক কথাগুলোই যথেষ্ট হতে পারে।
আমি আমার সাধ্যানুযায়ী লিখলাম। আল্লাহরই নিকট হেদায়েতপ্রার্থী এবং ক্ষমাপ্রার্থী।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৭

হানিফঢাকা বলেছেন: sb]In it are manifest sign - এই মাকামে ইব্রাহিম কি হাউজের In it নাকি বাইরে? চোখে দেখেন না? বাইরে কেন আছে সেইটা আপনার তফসীরকারক গন ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছেন। অইগুলি পড়ে এসে আমাকে বলেন কেন বাইরে।

মসজিদে হারাম কোথায়? কুরআনের অসংখ্য আয়াত দিয়ে প্রমাণ করা যাবে মক্কার কাবাই হছে বায়তুল হারাম - আপনি বলতে চাচ্ছেন মসজিদুল হারাম আর বাইতুল হারাম একই জিনিষ?

আপনি কোট করেছেনঃ (বোল্ড অংশটুকু আমি করেছি)
Verily! Those who disbelieve and hinder (men) from the Path of Allah, and from Al-Masjid-al-Haram (at Makkah) which We have made (open) to (all) men, the dweller in it and the visitor from the country are equal there [as regards its sanctity and pilgrimage (Hajj and 'Umrah)].
এই মসজিদুল হারামে the dweller in it কারা?

মক্কা এবং বক্কা একই জায়গা? - আল্লাহ্‌ একবার বলেন বক্কা আরেকবার বলেন মক্কা? হুম


أُمَّ الْقُرَى বলতে বোঝায় প্রাচীন জনপদ বা সকল জনপদের মূল। এটি কোথায়? - "উম্মুল কোরা"- এইটার অর্থ হচ্ছে "মাদার অফ টাউন"। আপনি বলেছেন প্রাচীন জনপদ এবং এইটা বক্কা তথা মক্কায়। আমি মূর্খের সাথে তর্ক করিনা। যেহেতু মক্কাকে আপনি প্রাচীন জনপদ বলেছেন সেহেতু এইটা দিয়েই শেষ করবঃ

১। প্রমান করেন ৪০০ সালের আগে মক্কা নামক কোন শহর ছিল। প্রমানটা হবেঃ যে কোন ইতিহাসবিদের লেখা বইয়ে মক্কার কথা বলা আছে, অথবা মক্কা নামটা এসেছে। যে কোন আর্কিওলজিকাল প্রমান, ঐ সময়ের যেকোন চিঠি পত্রে, যেকন ডকুমেন্টে, যে কোন মানচিত্রে যেমন গ্রীক, রোমান দের মানচিত্র, বা তাঁদের আরাবিয়ান পেনিনসুলাতে যত শহরের লিস্ট করেছেন, যে কোন প্রমান। নবী ইব্রাহিমের আনুমানিক সময়কাল ১৬০০-২০০০ খৃস্টপুর্ব। আর আমি আপনাকে ৪০০ খৃস্টাব্দের প্রমান দেখাতে বলছি। ঐ সময়ের ইতিহাসবিদদের অভাব নাই। অনলাইনে প্রচুর পুরাতন ম্যাপ পাবেন। খুজেন।

২। যান, আরও সহজ করে দিলাম। প্রমান দেখান ৮ম শতাব্দী (৭৪০ খৃষ্টাব্দ) এর আগে মক্কা নামক কোন শহরের কথা কোন ইতিহাসবিদ লিখে গেছেন। যেকোন ইতিহাসসের বইয়ে। নবীর মৃত্যুকাল ধরা হয় ৬৩২ খৃষ্টাব্দ। আমার দেখা সবচেয়ে পুরাতন লেখা যেখানে মক্কা শব্দটা এসেছে টা হচ্ছে বাইজান্টিয়াম কন্টিউনিউটু ((৭৪০ খৃষ্টাব্দ))

খালি তোতা পাখির বুলি।

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

আশাবাদী অধম বলেছেন: ১১ নং কমেন্টটি দীর্ঘ হয়ে গেল তবুও পাঠকদের প্রতি মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল। প্রয়োজনে আরবি অংশ বাদ দিয়ে পড়ুন।
আসলে কুরআন অনলিদের সম্পর্কে একটি কথা খুবই সত্য- এরা জাতে নাস্তিক তালে আহলে কুরআন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২০

হানিফঢাকা বলেছেন: আমি কোন দল বা মতের অন্তর্ভুক্ত নই। তবে যারা বিভিন্ন দল বা মতের সমর্থক তাদের অনেকেরই কেন জানি কোরআনের আয়াত শুনলেই গা জ্বালা করে। এই গুলি দেখে আল্লাহর আয়াতের প্রতি বিশ্বাস আমার দৃর হয়।

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

কল্যানপুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
''২। যদি মক্কায় বসবাস না করতেন, তবে উনার প্রকৃত জন্মস্থান এবং আবাসস্থল কোথায় ছিল?''
আশা করি এই প্রশ্নেরও সমাধান বের করার চেষ্টা করবেন ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: যে পরিকল্পনা নিয়ে লেখার চিন্তা করেছিলাম তা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সময় স্বল্পতা এবং বিশেষ করে মন্তব্য গুলি দেখে।

চেষ্টা করব পরের পর্বে মুল পয়েন্ট গুলি সংক্ষেপে দিয়ে দিতে। আশা করি প্রশ্নের উত্তর না পেলেও চিন্তার খোরাক পাবেন, যদি চিন্তা করার মত সামর্থ্য থাকে। ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪

সত্যের ছায়া (সংস্করণ) বলেছেন: ও (লেখক) যদি এত কিছু আবিস্কার করে ফেলে তাহলে সাদা চামড়া (ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ) বাকি রইল কি?
অথবা,
হাতি ঘোড়া গেল তল পিঁপড়ে বলে কতটুকু জল
অথবা,
ফেন (ভাঁতের মাড়) খাইতে পাইনে দুধ রোজ করে।

কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকির (খাট) তলা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৪

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনি দেখছি এখনো সাদা চামড়ার গোলামি করেন। আপনার চামড়ার রং কি?

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "এই আয়াতে বর্ণিত কোন ফল বা শস্যই মক্কায় জন্মে না" - এই ফলগুলি যে মক্কায় জন্মায় না এটা আপনি কোথায় পেলেন? দেড় হাজার বছর আগে মক্কার অবস্থা কেমন ছিল, সেখানে কী কী ফসল জন্মাত বা জন্মাত না তা আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন কিভাবে? কোরআন থেকে কি প্রমান দেখাতে পারবেন যে মক্কায় এইসব ফল/ফসল জন্মাত না?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: কোরআনে ত মক্কার বর্ণনা দেই নাই যে সেখান থেকে প্রমান করব। কোরআন বর্ণনা করেছে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর লকেশ্নের।সেইখানের বর্ণনাত কিছু দিয়েছি- এবং বলেছি বর্ণনা অনুযায়ী উহা মক্কা না।

দেড় হাজার বছর আগে মক্কা নামক কোন শহর ছিল না।

ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১২

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হানিফঢাকা , আপনার পোস্ট পড়লে বোঝা যায় , আপনি প্রচুর পড়াশোনা করেন ,যুক্তি দিয়ে কথা বলতে ভালোবাসেন। তো আপনার পোস্ট পড়ে আমার কিছু কমেন্ট এবং প্রশ্ন :
১)
আপনি লিখেছেন :এই পোস্টটা প্রচলিত অর্থে কোন ধর্মীয় পোস্ট না। এইটা একটা ছোট খাট গবেষণা মূলক পোস্ট।
আমার কমেন্ট : আপনার উপরোক্ত লাইনটা বাকি পোস্ট টা পড়তে অনুপ্রাণিত করেছে।
২)
আপনি লিখেছেন :শুধু এইটুকু দৃরতার সাথে বলতে চাই যে প্রচলিত ইসলাম ধর্মে এই ওল্ড টেস্টামেন্টের অচিন্তনীয় প্রভাব রয়েছে।
আমার কমেন্ট : নবী মোহাম্মদ এর ওল্ড টেস্টামেন্ট সম্পর্কে যথেষ্ট ভালো জ্ঞান ছিল ,প্রভাবিত হয়েছিলেন ,এটার বেটার এডিশন কোরান লিখেছিলেন /লিখিয়ে ছিলেন । আপনি বলবেন নবী মোহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন ,তাই তাঁর পক্ষে বেটার এডিশন রচনা করা সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথ নিরক্ষর না হলেও তথাকথিত "অল্পশিক্ষিত " ছিলেন --কোন স্কুল কলেজে পড়েন নি , এই একই যুক্তিতে কোন রকম ডিভাইন ইন্টারভেনশন ছাড়া এত অসাধারণ সৃস্টি সম্ভব না। আমার নিজের ঠাকুর্দা (বাবার বাবা) নিরক্ষর ছিলেন ,কিন্তু তাঁর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে ,ইতিহাস এবং সমসাময়িক বিষয়ে অসাধারণ জ্ঞান ছিল। তিনি নিজে চিঠি লিখতে পারতেন না ,কিন্তু যখন আত্মীয় স্বজন দের বা সরকারী অফিসে কোন প্রয়োজনে চিঠি লেখার দরকার হতো ,আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিতেন ,তিনি ডিকটেশন দিতেন আমি লিখতাম , আমার নিজের ড্রাফট তাঁর পছন্দ হত না। কলেজে পড়া আমার থেকে আমার নিরক্ষর ঠাকুর্দার শব্দ চয়ন ,বাক্য গঠন অনেক অনেক উন্নত ছিল।
৩)
আপনি লিখেছেন: কেউ যদি বলেন যে আব্রাহা মক্কা আক্রমণ করুক বা নাই করুক, নবীর জন্ম ৫৭০ সালেই, সেইখেত্রে তাকে এর স্বপক্ষে প্রমান দেখাতে হবে।
আপনি লিখেছেন: আমার দরকার কনক্রিট প্রুফ। আমি এইটা নিয়েই থাকব।
আপনি লিখেছেন :সুতরাং যেহেতু আব্রাহা হাতি নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেননি, সেহুতু নবীর জন্ম ৫৭০ সালে সেটা আমরা বলতে পারছি না। কেউ যদি নবীর জন্ম ৫৭০ সাল এইটা বলতে চান তবে তাকে এর স্বপক্ষে প্রমান নিয়ে আসতে হবে।
আমার কমেন্ট /প্রশ্ন : ভাবছিলাম প্রমান /কনক্রিট প্রুফ এগুলো আপনার কাছে শুধু মাত্র কথার কথা নয়।
৪)
আপনি লিখেছেন: যেহেতু আমি বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য কেউ বলতে পারে না।
আপনি লিখেছেন: সেইখেত্রে আশা করি কোরআনের রেফারেন্সে কারোও কোন আপত্তি থাকার কথা না।
আমার কমেন্ট /প্রশ্ন : প্রমান ছেড়ে সোজা বিশ্বাসে চলে এলেন ! কোরান আল্লার বাণী এটা আপনার বিশ্বাস , এখন প্রমান গেল তেল আনতে ! বিশ্বাসই করবেন যখন পাথরবাটি টা সোনা দিয়ে তৈরি ,তখন সোনার পাথরবাটি গল্পে প্রমান খোঁজার দরকার কি ?
৫)
আপনি লিখেছেন :যারা কোরআন সম্পর্কে কিছু জ্ঞান রাখেন তারা জেনে থাকবেন কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই।
আমার কমেন্ট /প্রশ্ন : অল্পশিক্ষিত রবীন্দ্রনাথও শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ ছিলেন, বানান এবং গ্রামারেও তাঁর ভুল হত না। তাঁর মত মহান সাহিত্য স্রষ্টা আর জন্ম গ্রহণ করেন নি।
৬)
আপনি লিখেছেন :যেহেতু আমি বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানী, এবং আল্লাহ্‌র চেয়ে আধিক সত্য কেউ বলতে পারেনা।...
আমার কমেন্ট /প্রশ্ন : এটাই লাখ কথার এককথা। ঈশ্বর /আল্লাহ নবি ইত্যাদিতে বিশ্বাস করুন ক্ষতি নেই ,পৃথিবীর ৯৫% মানুষই তাই করে কিন্তু বিশ্বাসের ভিত্তিপ্রস্তর বানিয়ে তার ওপর যুক্তির ইমারত তৈরি করলে সেটা ভঙ্গুরই হয়।

ধন্যবাদ ,ভালো থাকবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২ নম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ -
আপনি যে জিনিষটা ওভারলুক করে গেছেন সেটা হচ্ছে আমি বলেছি "শুধু এইটুকু দৃরতার সাথে বলতে চাই যে প্রচলিত ইসলাম ধর্মে এই ওল্ড টেস্টামেন্টের অচিন্তনীয় প্রভাব রয়েছে।" - এইখানে প্রচলিত শব্দটা হয়ত আপনার নজর এড়িয়ে গেছে। আমি যেটা বলতে চেয়েছি, আমাদের ধর্মীয় ট্রাডিশন যা মুলত হাদিস , তফসীর, বিভিন্ন কাহিনী নির্ভর- তার বেশিরভেগের উৎস হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্ট। লাইফের একটা সময়ে আমি ট্র্যাডিশন নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করেছি। অতঃপর বাদ দিয়ে দিয়েছি, কারন আমি তোতা পাখির মত পড়িনা। ওল্ড টেস্টামেন্ট, প্রচুর পড়েছি, নিউ টেস্টামেন্ট অপেক্ষাকৃত কম। আমি বেশ কিছু টপিক নিয়ে অনেক সময় নিয়ে কাজ করেছি। তার একটা হচ্ছে " দ্য সোর্স অফ ট্র্যাডিশন" । পয়েন্ট ধরে ধরে হাদিস, কোরআন এবং বাইবেলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। যাই হোক এইটা বলার পিছনে কারন হচ্ছে, কোরআন অন্য বই গুলি থেকে সম্পূর্ণ ডিফারেন্ট।
প্রাথমিক ভাবে পড়লে মনে হবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বর্ণনা একই। একটু লক্ষ্য করলেই বুঝা যায় অনেক পার্থক্য। আপনি যদি এই দুইটা নিয়ে কখনো গবেষণা করেন তাহলে ধরতে পারবেন। কোরআনের ইন্টারন্যাল কন্সিস্ট্যান্সি প্রমান করে নবী মুহাম্মদ ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে বেটার এডিশন কোরআন লেখাননি। শব্দ চয়নের ব্যাপারে যা বলেছি, এই কথাটা আসলে কেউ বুঝতে পারেনি, পারার কথাও না। লেখার ফ্লো তে চলে এসছে। অনেক বড় বিষয়, ঐ দিকে না যাই। নবী মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিল, এই ধরণের কোন কথা আমি কোরআনে পাইনি। এটা মুলত হাদিসে আছে। আবার হাদিসে উনার নিজের হাতে লেখার কথাও আছে। এইটা এইখানে প্রসঙ্গ না, সুতরাং এইটা এইখানেই শেষ করছি।

৩ নম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ
আপনি বলেছেনঃ ভাবছিলাম প্রমান /কনক্রিট প্রুফ এগুলো আপনার কাছে শুধু মাত্র কথার কথা নয়।
- কথাটা বুঝতে পারিনি। আমার লেখায় আব্রাহা সংক্রান্ত আমার আরেকটা ব্লগের লিঙ্ক দেওয়া আছে। সেখানে আমি বিস্তারিত বলেছি। ঐ লেখাতেই কনক্রিট প্রুফ আছে। ঐ লিঙ্কে গিয়ে পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে কোন প্রশ্ন থাকলে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

৪নম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ
প্রমান ছেড়ে সোজা বিশ্বাসে চলে এলেন ! কোরান আল্লার বাণী এটা আপনার বিশ্বাস , এখন প্রমান গেল তেল আনতে ! বিশ্বাসই করবেন যখন পাথরবাটি টা সোনা দিয়ে তৈরি ,তখন সোনার পাথরবাটি গল্পে প্রমান খোঁজার দরকার কি ?
- আমার লেখার মুল টপিক হচ্ছে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে। কোরআন আল্লাহর বানী- এইটা প্রমান করা এই লেখার উদ্দেশ্য না। সোনার পাথর বাটির প্রমান খোজার দরকার এই জন্য যে কোরআন এই সোনার পাথর বাটির কথা বলেনি।

৫নম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ
এর উত্তর প্রথমেই দিয়েছি। কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। -এইটা বলার আরেকটা উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথমে যে উদাহরণটা দিয়েছি মক্কা বনাম বক্কা -সেইটা সম্পর্কে বলার জন্য। কারন এই কথাটা মনে না করিয়ে দিলে পাবলিকে কোরআনের তফসীর থেকে আজগুবি সব জিনিষ নিয়ে এসে ক্যাচাল করত (যে তিনটা থিওরির কথা বলেছি)। এই গুলি আমি ভাল করেই জানি।

৬নম্বর পয়েন্টের উত্তরঃ
কিন্তু বিশ্বাসের ভিত্তিপ্রস্তর বানিয়ে তার ওপর যুক্তির ইমারত তৈরি করলে সেটা ভঙ্গুরই হয়। -উহা আপনার বর্ণিত ৯৫% মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমার বিশ্বাসের ভিত্তি যুক্তির উপরে, উল্টা টা না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নবী মুহাম্মদের (সাঃ) জীবনী নিয়ে খুব কম বই চোখে পরেছে।
আপনার লেখা চলুক।
আব্রাহা হাতি নিয়ে মক্কা আক্রমণ নিয়ে সন্দেহ আগেই ছিল। কারন আরবে হাতি নেই। আছে উট। মরুভুমিতে হাতি বাচে না। আফ্রিকান হাতিকে পোষ মানানো যায় না। এখনও কেউ পারেনি। ভারতীয় বা এশিয়ান হাতি আনা সম্ভব ছিল না। হাতি নিয়ে দুর্গম হিন্দুকোষ পর্বতমালা অতিক্রম করা অসম্ভব।

১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৭

জেন রসি বলেছেন: কোরআনের মূল কনসেপ্ট অর্থাৎ তা আল্লাহর বানী এই ব্যাপারটাই বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত। এবং অন্ধ বিশ্বাস। কারন তা যুক্তি দিয়ে প্রমান করা যাবেনা। যাইহোক আপনার পোস্ট সে বিষয় নিয়ে নয়। যদিও আপনি বলেছেন কোরআনের রেফারেন্সকেই একমাত্র সত্য মনে করেন। যেহেতু আপনি রেফারেন্স হিসাবে শুধু কোরআনকেই সত্য মনে করেন তাই জানতে চাচ্ছি এটা মনে করার কারনগুলো কি? শুধু বিশ্বাস নাকি যৌক্তিক কোন কারন আছে?

আপনি আগের পোস্টে বলেছেন হাদিস সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই। সেটা কোন যুক্তির আলোকে বলেছেন সেটা ব্যাখ্যা করলে আনন্দিত হব।

আলোচনা চলুক। উপভোগ করছি।






১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

আশাবাদী অধম বলেছেন: "যারা বিভিন্ন দল বা মতের সমর্থক তাদের অনেকেরই কেন জানি কোরআনের আয়াত শুনলেই গা জ্বালা করে।"


আল্লাহর নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জন্ম এবং বসবাস মক্কায় ছিল এটা প্রজন্ম পরম্পরায় জেনে আসা অকাট্য সত্য। এটা রামের জন্মভূমির মত বিতর্কিত কোন বিষয় না যে আপনার মত হাতুড়ে আরকিওলজিস্টকে নতুন করে হাতড়ে বেড়াতে হবে!
তারপরে আবার অলঙ্ঘনীয় ক্রাইটারিয়া একমাত্র কুরআন ব্যতীত অন্য কিছু মানবেন না। এই ক্রাইটারিয়া ভুল। কিন্তু আল্লাহর কুরআন থেকেও তো সেই একই জিনিষ প্রমাণিত হয়! সে জন্য আল্লাহর কুরআন থেকেই প্রমাণ করতে গিয়েছি।
কিন্তু এটা আমার ভুল!
আসলে আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল যে আপনার মত জেগে ঘুমানো লেখকের লেখার উপযুক্ত জবাব কুরআনের আয়াত দিয়ে নয় বরং মুগুর দিয়ে দিতে হয়। কুরআনের আয়াত নিয়ে তামাশা করেন, প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারেন না, কিন্তু গোঁয়ার্তুমির বেলায় একশতে একশ!
আল্লাহর লা'নত পড়ুক ঐসব লোকদের ওপর যারা আল্লাহর কুরআন কে নিজেদের খেলার বস্তু বানিয়ে নিয়েছে ।

১। "এই মাকামে ইব্রাহিম কি হাউজের In it নাকি বাইরে?"
(ক) আপনার এই প্রশ্নের উত্তর তো কুরআনই দিয়ে দিয়েছে (২ঃ১২৫)
" وَاتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى " "আর তোমরা মাকামে ইব্রাহীমকে সালাতের জায়গা বানাও" ব্যাস, সরিয়ে এনে সালাতের স্থান বানানো হয়েছে।
এখন-
(খ) এই আয়াত থেকে এটাতো প্রমাণিত যে মুহাম্মাদ (স) এর যুগে মাকামে ইবরাহীম বিদ্যমান ছিল!
(গ) এখনো পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে সর্বসম্মতিক্রমে এটাই একমাত্র মাকামে ইবরাহীম নামে পরিচিত!
(ঘ) প্রশ্ন করেই এড়িয়ে যেতে চাচ্ছেন কেন? কুরআন থেকে প্রমাণ করুন আপনার দাবীতে কোথায় সেই মাকামে ইবরাহীম যেখানে (বহুবচনে) মুসলিমদের কে সালাতের জায়গা বানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে?

২। "মাকামে ইবরাহীম ভেতরে থাকার কথা বাইরে কেন?"
এই প্রশ্ন তো করলেন। কিন্তু সাফা-মারওয়া সংক্রান্ত আমার প্রশ্নের জবাব কই? নাকি পাহাড় দুই টাও পরবর্তী যুগের লোকেরা বাক্কা থেকে তুলে এনে মক্কায় স্থাপন করেছে?
"বস্তুতঃ চক্ষু তো অন্ধ হয় না, কিন্তু বক্ষ স্থিত অন্তরই অন্ধ হয়।" (২২ঃ৪৬)

৩। "আপনি বলতে চাচ্ছেন মসজিদুল হারাম আর বাইতুল হারাম একই জিনিষ?"

আমি যা বলতে চাইছি তা আবার বলছি- "মক্কার কাবাই হছে বায়তুল হারাম এবং এ সংলগ্ন চত্ত্বরই হচ্ছে মসজিদে হারাম। আর এখনো পর্যন্ত তা এই নামেই পরিচিত।"
প্রমাণঃ
(ক) প্রথমে আপনার লেখা থেকেই একটু quote করি
"কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। কোরআনে ৪৮:২৪ আয়াতে মক্কা শব্দটা এসেছে।"
জি মহান আল্লাহর ইচ্ছা, আপনার প্রত্যেকটি অপব্যখ্যাকৃত আয়াতের জবাব তার ঠিক পরের আয়াতেই পেয়ে যাই। এবারও তাই। দয়া করে (৪৮ঃ২৪-২৫) আয়াত দু'খানা একত্রে পাঠ করুন-
وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُم بِبَطْنِ مَكَّةَ مِن بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا
هُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْيَ مَعْكُوفًا أَن يَبْلُغَ مَحِلَّهُ
অনুবাদঃ "তিনিই মক্কা উপত্যকায় তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবৃত রেখেছেন তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর। তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা দেখেন।
এরাই তো তারা, যারা কুফরী করেছে এবং বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে এবং অবস্থানরত কোরবানীর জন্তুদেরকে যথাস্থানে পৌছতে।"
এখন, এই আয়াতদ্বয়ের ভাষ্য থেকে এটা তো পরিষ্কার যে মসজিদে হারাম মক্কা ভূমিতে অবস্থিত! নাকি অন্য কিছু?

(খ) মসজিদে হারাম মক্কায় অবস্থিত, আমার জন্য আপাতত এতটুকুই যথেষ্ট। এবার আপনি উত্তর দিন নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) মক্কার অধিবাসী না হলে ইসরার সফর কিভাবে মসজিদে হারাম থেকে শুরু হয়েছিল?

(গ) এবার আসেন আয়াতে উল্লেখিত هدي শব্দে। এর অর্থ কুরবানীর পশু যা হজ যাত্রীরা সাথে করে নিয়ে আসে।

এর সাথে নিম্নোক্ত আয়াতগুলি মিলিয়ে পড়ুন- বোঝার সুবিধার্থে সব জায়গায় هدي এর বাংলা অনুবাদ "হাদী" করলাম-

هُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْيَ مَعْكُوفًا أَن يَبْلُغَ مَحِلَّهُ (৪৮ঃ২৫)
অনুবাদঃ "এরাই তো তারা, যারা কুফরী করেছে এবং বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে এবং অবস্থানরত "হাদীকে" যথাস্থানে পৌছতে।"

هَدْيًا بَالِغَ الْكَعْبَةِ (৫ঃ৯৫)
অনুবাদঃ "কাবার উদ্দেশ্যে পৌঁছানো "হাদী""

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تُحِلُّواْ شَعَآئِرَ اللّهِ وَلاَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَلاَ الْهَدْيَ وَلاَ الْقَلآئِدَ وَلا آمِّينَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ (৫ঃ২)
অনুবাদঃ "হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং "হাদীকে" এবং (তাদের) গলার মালাসমূহকে এবং ঐসব লোককে যারা বাইতুল হারাম (সম্মানিত গৃহ) অভিমুখে যাচ্ছে"

جَعَلَ اللّهُ الْكَعْبَةَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ قِيَامًا لِّلنَّاسِ وَالشَّهْرَ الْحَرَامَ وَالْهَدْيَ وَالْقَلاَئِدَ (৫ঃ৯৭)
অনুবাদঃ "আল্লাহ কাবাকে, যা বাইতুল হারাম(সম্মানিত ঘর) মানুষের স্থিতিশীলতার কারণ করেছেন এবং (স্থিতিশীলতার কারণ করেছেন) সম্মানিত মাসসমূকে, "হাদীকে" ও (তাদের) গলার মালাসমূহকে।"

ভালোভাবে চিন্তা করে দেখুন কাবা, বাইতুল হারাম আর মসজিদে হারামের মধ্যকার সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন কি না?

৪। "মক্কা এবং বক্কা একই জায়গা? - আল্লাহ্‌ একবার বলেন বক্কা আরেকবার বলেন মক্কা? হুম"
বুঝা যাচ্ছে আপনার যুক্তির দৌড় এ পর্যন্তই। সাফা-মারওয়া, মাকাম ইবরাহীম যাই মিলে যাক না কেন দুই জায়গায় দুই শব্দ ব্যবহৃত হল কেন? হুম, এটা কস্মিনকালেও মেনে নেয়া যায়না। নাকি?
মনে হচ্ছে আল্লাহ আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুরআনে শব্দ চয়ন করবেন? আপনি লিখেছেন-

"কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। -এইটা বলার আরেকটা উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথমে যে উদাহরণটা দিয়েছি মক্কা বনাম বক্কা -সেইটা সম্পর্কে বলার জন্য। কারন এই কথাটা মনে না করিয়ে দিলে পাবলিকে কোরআনের তফসীর থেকে আজগুবি সব জিনিষ নিয়ে এসে ক্যাচাল করত"
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-
(ক) আপনার দেয়া এর আগের পোস্টটাতে পুনরায় একটু নজর বুলাবেন কি? যুদ্ধ বন্দী- গণিমতের মাল আর যৌন দাসী

“মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এর কত সুন্দর ব্যখ্যা দিয়ে দিলেন যে এর অর্থ দাস-দাসী নয় বরং শপথের মাধ্যমে আশ্রিত অসহায় মুমিন নারী ও পুরুষ!
একটু সামনে এগিয়ে এদের কে আশ্রয়দাতা মুমিনের সম্পত্তির উত্তরাধিকারও বানিয়ে দিলেন! রেডিমেড প্রমাণও দিলেন (৪:৩৩) বাহ! বাহ! বাহ!
এখানে (৪:৩৩) উল্লেখিত আয়াতে কিন্তু “মা- মালাকাত- আইমানুকুম” শব্দ নেই! আছে "আ'কাদাত আইমানুকুম”

(খ) এবার আপনার প্রচারিত সিলেক্টিভ থিউরি মাথায় রেখে উত্তর দিন- “মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এবং "আ'কাদাত আইমানুকুম” একই জিনিষ? অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়া আর মালিক হওয়া একই জিনিষ? হুম!

৫। "উম্মুল কোরা"- এইটার অর্থ হচ্ছে "মাদার অফ টাউন"। আপনি বলেছেন প্রাচীন জনপদ এবং এইটা বক্কা তথা মক্কায়। আমি মূর্খের সাথে তর্ক করিনা। যেহেতু মক্কাকে আপনি প্রাচীন জনপদ বলেছেন সেহেতু এইটা দিয়েই শেষ করব।

আহা! কুরআনকে কনক্লুসিভ প্রুফ মান্যকারী ব্যক্তির মুখে একি সুর!
(ক) প্রাচীন জনপদ তো সেটাই হবে যেটায় সর্বপ্রথম মানুষ বসতি স্থাপন করেছে, সেখানেই তো প্রথম ঘর নির্মিত হবে নাকি? তো সেটা যে বাক্কা তাতো কুরআন থেকেই প্রমাণিত। আগে বলুন বাক্কাকে "উম্মুল কোরা" বিশ্বাস করেন কিনা?
আর বাক্কা মক্কা কিনা সে প্রশ্নের সমাধানের জন্য আল্লাহ মাকামে ইবরাহীম, সাফা-মরওয়া পাহাড়, আরাফাত আর মাশ‘ আরে-হারামে রেখে দিয়েছেন-
فَإِذَا أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُواْ اللّهَ عِندَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ
"অনুবাদঃ অতঃপর যখন ফিরে আসবে আরাফাত থেকে, তখন মাশ‘ আরে-হারামের নিকটে আল্লাহকে স্মরণ কর।"
এটা কিন্তু হজের নির্দেশনা। আর হজ তো বাক্কার আদি গৃহেই ফরজ কি বলেন?

(খ) আপনি হাদীস মানেন না, সুতরাং ইতিহাসের বই থেকে প্রমাণ চাওয়া আপনার জন্য শোভা পায় না।

(গ) কুরআন থেকে করা আমার প্রশ্নগুলোর জবাব না দিয়েই এক দৌড়ে উল্টো ইতিহাসের আশ্রয় নিলেন! কুরআনের প্রতি আপনার ঈমানের দৃঢ়তা সত্যই অতুলনীয়!

(ঘ) মাকামে ইবরাহীমকে নিয়ে রচিত আবু তালিবের কবিতা খানা দেখালে তখন আবার ইতিহাস থেকেও পালায়ন করবেন না তো?

(ঙ) আরকিওলজি মনে হয় আপনার ঈমানের প্রধান ভিত্তি। এটার কনক্লুসিভ প্রুফ হওয়ার বিষয়ে কুরআনে কিছু পেয়েছেন নাকি? পেয়ে থাকলে জানাবেন।


৫। আপনার সীমাহীন গোঁয়ার্তুমি এত সহজে ছেড়ে দেবেন এমনটা আশা করতে পারছিনা।
আপনি সম্ভবত আল্লাহর নিকট থেকে কুরআন ব্যাখ্যার ইজারা নিয়েছেন, যে জন্য নবী-সাহাবী-তাবেয়ি তাঁরা যাই বলে যান না কেন সবই ভুল। একমাত্র আপনারটাই সঠিক। আপনার ব্যাখ্যা-গবেষণা সব কিছুর টার্গেটও তাই চিরন্তন ভাবে বিশ্বাস সম্পর্কিত বিষয়গুলি। হত্যা-চুরি-দুর্নীতি-ধর্ষণ-সমকামিতা এসব চলে চলুক তাই বলে মানুষ একথা কেন বিশ্বাস করবে যে নবী মুহাম্মাদ মক্কায় জন্মগ্রহণ করেছেন? না না, এটাতো মেনে নেয়া যায়না? সুতরাং আল্লাহর কালামের সাথে ইয়ার্কি-ফাজলামি চালিয়ে যানত। আর যারা সত্যিকারের কুরআন বিশ্বাসী তাদেরকে কুরআন বিদ্বেষী ট্যাগ দিতে থাকুন।

তবে দুইটা জিনিষ মাথায় রাখলে ভালো করবেন-

১।আল্লাহর বাণী-
"যে কেউ রসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং সব মুমিনের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকেই ফেরাব যে দিক সে অবলম্বন করেছে এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। আর তা নিকৃষ্টতর গন্তব্যস্থান।"

২। আপনার এই মত ও পথের লোকগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়।

সুতরাং সাধু সাবধান!

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: আপনার পোস্টে আপনি লিখেছেন :
"মুলত যেই জিনিষ গুলি নিয়ে আমি আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হচ্ছেঃ

১। নবী মুহাম্মদের (সাঃ) জন্ম কত সালে?

২। নবী মুহাম্মদের জন্ম কোথায়, অথবা তিনি কোথায় বাস করতেন?

৩। কোরআন কোথায় এবং কখন অবতীর্ণ হয়েছে (১ এবং ২ নম্বর পয়েন্টের সাথে রিলেটেড)"

আমার মন্তব্য : আমি আবার বলছি এই আলোচনা আপনি করছেন বা আগেও করবেন একটা basic premise এর উপর base করে /বিশ্বাসের ফাউন্ডেশনএর ওপর : " কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য কেউ বলতে পারে না। " এই বেসিক বিশ্বাসের ফাউন্ডেশনএর ওপর আপনি "প্রমান ", "কনক্রিট প্রুফ" ইত্যাদির ইমারত বানাবেন ওই আল্লাহর বাণী কোরানের আয়াত দিয়ে।
আপনি লিখেছেন : "উহা আপনার বর্ণিত ৯৫% মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমার বিশ্বাসের ভিত্তি যুক্তির উপরে, উল্টা টা না। "

আমার মন্তব্য : আমি তো অবাক হচ্ছি ,আপনি এতো কনট্রাডিক্টরি কথা লিখছেন , একবার লিখছেন "আমার বিশ্বাসের ভিত্তি যুক্তির উপরে" আবার লিখছেন "কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য কেউ বলতে পারে না।" তো "কোরআন আল্লাহর বানী,........" এটা বিশ্বাস না যুক্তি ???? ৯৫% এটা বিশ্বাস করে ,আপনিও করেন ।
আসলে ব্যাপারটা কি জানেন এই ৯৫% বিশ্বাস করে পাথরবাটিটা সোনা দিয়ে তৈরি ,আপনিও সেটা করেন এবং এর সাথে সাথে যুক্তি খাড়া করে বোঝাতে চান সোনাটা ১৮ /২২ না ২৪ ক্যারোটের। আপনার মতো বিশ্বাসীরা যুক্তি দিয়ে তর্ক করে পাথরবাটির সোনা কতটা খাঁটি তাই নিয়ে , কেউ শুধু কোরান ,কেউ কোরান +হাদীথ ,কেউ আরো অন্য কিছু।এই যুক্তির হাতিয়ার সেই বিশ্বাস : "কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ......." । সোনা দিয়ে যে পাথরবাটি বানানো যায় না --তর্ক এটা নিয়ে করেন না।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

মধুমিতা বলেছেন: আশাবাদী অধম চমৎকার ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। আশা করি তা বুঝতে পারবেনঃ

অনলাইনে নীচের লেখাটি পেলাম। এটা দিয়ে যুক্তি দাঁড় করাচ্ছি না। কোরআনের মাধ্যমেই তা প্রমাণিত হয়েছে। লেখাটি ভালো লেগেছে বলে এখানে পেস্ট করছি।

'Bakka' is the original name in Ibrani(Aramaya) of the Sacred City. In the earlier revelations of the Taurat, Zabur and Injil, it was called BAKKA by Allah(SWT). Ibrani is NOT Hebrew for one as many sources of old documented.

Hebrew is a language and script that is DERIVED from the Classical Arabic word 'Hibri'. The root word was HIBR ["Doctor"]. The Orthodox Ashkenazim Jewish claim that it derived from 'Ivrai' or "One From Across The River (i.e. Jordan)" is their own invention.

Hebrew originated during 11th Century C.E. Moorish Spain from Arabian influence AND NOT before. There was no ANCIENT HEBREW.

That language was in fact the lingua franca ARAMAIC (Aramaya); derived from the Christianized Greek name for Syria---ARAM.

Aramaya or Aramaic WAS Ibrani...The Taurat, Zabur and Injil were revealed in Ibrani or Aramaic...Although Aramaic is incorrectly listed by Occidental scholars as being in use from 300 B.C.E to 650 C.E. ...Aramaic/Ibrani was a much OLDER language than that which has been listed by Judeo-Christian scholars.

'Bakka' is Ibrani/Aramaic while 'Makka' is Arabic for one and the same Sacred City. Ibrani is an Adnan (North Arabian) language while Arabiyya is originally a Southern Arabian (i.e. Yemeni-Omani) language. Arabic and Arabs take their name from the Ancient Yemenite ancester Ya'rub.

What is most amazing about this subject is that this is yet another PROOF that the Holy Qur'an ("Recitation";) is from none other than Allah(SWT) !

This detailed information and knowledge was not known to any Arab during the Age of Ignorance ("Jahliyyah";) when the Holy Qur'an was revealed to Ashraf ul-Anbiya Muhammad ar-Rasullah(SAWA).

In Pre-Christian Roman times, Makka was called Macorabus...During Christian Roman times when the Middle Eastern monotheist scriptures were written in GREEK, Makka was called Macoraba...

And in conclusion the mutation or change from Bakka to Makka was due to linguistic colloquialism...A present day example is the city of Bombay, India...In the regional language of Marathi, its colloquial name is "Mumbai"...

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

চিন্তার খোরাক বলেছেন: Click This Link

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: পর্যবেক্ষণে আছে

২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: Click This Link

২৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

আশাবাদী অধম বলেছেন: কি জনাব, কোথায় লুকালেন?
ব্লগার মধুমিতার অভিযোগই তো সত্য প্রমাণিত হলো! আপনার লেখাতো Dan Gibson থেকে কপি মারা লিখা।
Timeline

উপরের ভিডিওতো তাই বলে।
তা আমার জবাবগুলো কবে দিয়ে যাবেন?

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১৫

নাজমুল (ডেফোডিল) বলেছেন: @ হানিফ - আপনি জানাবেন কি কিভাবে ইসহাক এর সিরাত বইটি ভুল প্রমান করা যায় ? জানতে ইচ্ছা হচ্ছে । ইসহাকের বইতে একটি শিলালিপি পাওয়া যাওয়ার কথা বলা আছে যাতে বাক্কা লিখা ছিল ।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪২

নাজমুল (ডেফোডিল) বলেছেন: আর্কিওলজিকাল এই পোস্টটি quranaloneislam ওয়েবসাইট থেকে কপি করা হল --- Ibn Ishaq (701-770 C.E.), the famous Muslim historian, reported that an inscription in Syriac was found in one of the corners of the foundation of the Ka’bah in 605 C.E. during its renovation by the Quraysh. Nobody could understand it, so they had to ask a Jew to translate for them which he translated as follows: “I am Allah, the Lord of Bakka, I created it on the day that I created heaven and earth and formed the sun and the moon, and I surrounded it by seven pious angels. It will stand while its two mountains stand, a blessing to its people with milk and water.” (Ibn Ishaq, sirat rasul Allah, translated by A. Guillaume, Oxford, Clarendon Press, 2004, p. 85-86).

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.