নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) -এর খোজে (দ্বিতিয় পর্ব)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২২

প্রথম পর্বের লিঙ্কঃ
নবী মুহাম্মদ (সাঃ) -এর খোজে (প্রথম পর্ব)

বিনিস্ট/ধ্বংস নগরীঃ
কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে জায়গায় বাস করতেন , তার আশেপাশের অনেক শহর আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।

And certainly We destroyed what surrounds you of the towns, and We have diversified the Signs, that they may return. (46:27)

এই খানে আরবী “হাওলা” শব্দটার অনুবাদ করা হয়েছে surrounds। এই শব্দ কোরআনের অনেক জায়গায় ব্যাবহার হয়েছে। যাদের সন্দেহ আছে একটু কষ্ট করে কোরআন খুলে দেখে নিতে পারেন। মক্কার আশেপাশে এই রকম কোন ধ্বংস প্রাপ্ত শহর পাওয়া যায়না।

And Aad and Thamud, and verily, (has) become clear to you from their dwellings. And made fair-seeming to them the Shaitaan their deeds and averted them from the Way, though they were endowed with insight. (২৯:৩৮)

আদ এবং তাহমুদ কোথায়? মক্কার আশেপাশে কোন শহরের নাম আদ, তাহমুদ আছে কি? মক্কা থেকে দেখা যায়?

লুতের শহরঃ
When Our Decree issued, We turned (the cities) upside down, and rained down on them brimstones hard as baked clay, spread, layer on layer,- (১১:৮২)

এইখানে আল্লাহ্ বলছেন আল্লাহ্ লুতের শহর ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। লুতের শহর ধ্বংসের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা হচ্ছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যূৎপাত। এবং এই লুতের শহর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যেখানে বাস করতেন তা থেকে বেশী দূরে নয়। আল্লাহ্ নবী মুহাম্মদের আধিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেছেনঃ

Marked from your Lord. And not it (is) from the wrongdoers far. (১১:৮৩)

প্রশ্ন হচ্ছে মক্কার আশেপাশে লুতের শহর কোথায়? লুতের শহর নবী যেখানে বাস করতেন সেখান থেকে বেশী দূরে নয়। আল্লাহ্‌ নবী এবং তার এলাকার অধিবাসীদের উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ

And indeed, Lot was among the messengers. when We saved him and his family, all, Except his wife among those who remained। Then We destroyed the others. And indeed, you pass by them in the morning. And at night. Then will you not use reason? (৩৭:১৩৩-১৩৮)

you pass by them in the morning And at night. – অর্থাৎ, লুতের শহর নবী যেখানে বাস করতেন সেখান থেকে এমন দুরত্বে ছিল যে নবী এবং তার এলাকার লোক জন সকাল সন্ধ্যা লুতের শহরের ধ্বংসাবশেষে পার হতে পারত। এর অর্থ হচ্ছে, নবী মুহাম্মদ যেখানে বাস করতেন, সেখান থেকে লুতের শহর খুব কাছাকাছি।

যদিও অনেকে কমেন্টটর বলে থাকেন এইটা সিরিয়াতে ট্রেড জার্নির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এইরকম কোন ইঙ্গিত আমরা কোরআন থেকে পাইনা। এই ধরণের কথা বলার কারন হচ্ছে, জোর করে জিওগ্রাফি মিলানোর চেষ্টা।

And verily, they have come upon the town which was showered (with) a rain (of) evil. Then do not they [were] see it? Nay, they are not expecting Resurrection. And when they see you, not they take you except (in) mockery, "Is this the one whom Allah has sent (as) a Messenger? (২৫:৪০-৪১)

এই আয়াতে নবীর এলাকার লোকজনদের কথা বলা হয়েছে।

সুতরাং দেখা যাচ্ছে,

১। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে এলাকায় বাস করতেন তা মুলত এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড ছিল যেখানে বিভিন্ন ফল ফলত, বিভিন্ন ফসল হত। আল্লাহ্‌ বলেছেন, এই ফল এবং ফসলের মধ্যে বিভিন্ন নিদর্শন আছে এবং এই ফল এবং ফসল সংগ্রহের সময় এর পাওনা পরিশোধ করে দিতে।

২। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে এলাকায় বাস করতেন তার আশেপাশের অনেক শহর ছিল যা আল্লাহ্‌ ধ্বংস করে দিয়েছেন। সে বিনিস্ট শহর গুলির ধ্বংসাবশেষ গুলি অবিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শন ছিল। লুতের শহর এমন এলাকায় ছিল যার দূরত্ব নবী যেখানে বাস করতেন সেখান থেকে বেশ কাছে।

এই দুইটা পয়েন্ট যদি আমরা একসাথে করে দেখি, তবে বর্তমান মক্কার সাথে এর কোন মিল পাওয়া যায় না।

মক্কা সম্পর্কে যতটুকু জানিঃ
১। মক্কার আবহাওয়া কোরআনে বর্ণিত ফল এবং ফসল জন্মানোর জন্য উপযুক্ত না।

২। ৮ম শতাব্দীর আগে পর্যন্ত কোন ইতিহাসবিদদের বর্ণনায় মক্কা নামক কোন শহরের নাম পাওয়া যায় না। লেটেস্ট ৭৪০ সালে মক্কা শব্দটা এসেছে।

৩। রোমানরা এরাবিয়ার অনেক ম্যাপ তৈরী করে রেখে গিয়েছে, সেখানে মক্কা নামক কোন শহরের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

৪। মক্কার আশেপাশে কোরআনে বর্ণিত এই রকম কোন ধ্বংস প্রাপ্ত শহরের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।

৫। যত রকম প্রি- কোরানিক ইনস্ক্রিপশন আছে, তার কোনটাতেই মক্কা বা বক্কা বলে কোন শব্দ নেই।

৬। কোরআন অনুসারে হজ্জ্বের আহবান নবী ইব্রাহিমের সময় থেকে। কিন্তু নবী ইব্রাহিমের পরবর্তী থেকে নবী মুহাম্মদের আগের পর্যন্ত কোন নবী/রাসুল হজ্জ করার জন্য মক্কায় এসেছেন এই রকম কোন ডকুমেন্ট নাই।

৭। নবী ইব্রাহিম তার স্ত্রী এবং পুত্র কে মক্কায় রেখে আসেন নি। অর্থাৎ, নবী ইব্রাহিমের পরিবার দুইভাগে বিভক্ত, একভাগ জেরুজালেমে আর একভাগ মক্কায় – এইটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি। এর উৎস ওল্ড টেস্টামেন্ট। আমরা উহা কপি করে আমাদের ভার্সন বানিয়েছি। এই রকম কোন প্রমান বা ইঙ্গিত কোরআনে পাওয়া যায় না।

শেষ কথাঃ
নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম কত সালে বা উনি কোথায় জন্ম গ্রহণ করেছেন- এইটা মুল ধর্মীয় বিশ্বাসের কোন ভিত্তি না। এইটার সাথে পাপ-পুন্য, মুসলমানদের কর্তব্য, দ্বীনের পথে চলা, পরকাল –এইসবের সাথে সম্পর্কিত না। উনি যত সালেই জন্ম গ্রহণ করে থাকুক বা যেখানেই জন্ম গ্রহণ করে থাকুক, উনার আদর্শ কোরআন আমাদের মধ্য বিদ্যমান। এই লেখাটার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে নবী মুহাম্মদের জন্ম সময় এবং জন্মস্থান নিয়ে প্রচলিত মতবাদ কোরআন দ্বারা সমর্থিত নয়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

হানিফঢাকা বলেছেন: যারা মন্তব্য করবেন তাঁদের উদ্দেশ্য বলছি, উত্তর দিতে একটু দেরী হতে পারে। আশা করি এতে কেউ রাগ করবেন না।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নবী মুহাম্মদ (সঃ) র জন্ম কোন শহরে হতে পারে আপনার অনুমান!

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫২

আশাবাদী অধম বলেছেন: প্রথম পর্বে আমি কুরআন থেকেই কিছু প্রশ্ন করেছি সেগুলোর জবাব কই?

আসুন সূরা বানী ইসরাঈলের প্রথম আয়াতে (১৭ঃ১)
"سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ"

"পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি"

"Glorified (and Exalted) be He (Allah) Who took His slave for a journey by night from Al-Masjid-al-Haram (at Makkah) to the farthest mosque (in Jerusalem), the neighbourhood whereof We have blessed"
এ আয়াতে আল্লাহ জানিয়েছেন তিনি তার বান্দাহ মুহাম্মাদ (সা) কে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত সফর করিয়েছিলেন। মসজিদে হারাম কোথায়? কুরআনের অসংখ্য আয়াত দিয়ে প্রমাণ করা যাবে মক্কার কাবাই হছে বায়তুল হারাম এবং এ সংলগ্ন চত্ত্বরই হচ্ছে মসজিদে হারাম। আর এখনো পর্যন্ত তা এই নামেই পরিচিত।
উদাহরণ স্বরূপ দেখুন-
(৪৮ঃ২৪-২৫)
وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُم بِبَطْنِ مَكَّةَ مِن بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا
هُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا وَصَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَالْهَدْيَ مَعْكُوفًا أَن يَبْلُغَ مَحِلَّهُ

অনুবাদঃ "তিনিই মক্কা উপত্যকায় তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবৃত রেখেছেন তাদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর। তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা দেখেন।
এরাই তো তারা, যারা কুফরী করেছে এবং বাধা দিয়েছে তোমাদেরকে মসজিদে হারাম থেকে এবং অবস্থানরত কোরবানীর জন্তুদেরকে যথাস্থানে পৌছতে।"


এখন, এই আয়াতদ্বয়ের ভাষ্য থেকে এটা তো পরিষ্কার যে মসজিদে হারাম মক্কা ভূমিতে অবস্থিত! নাকি অন্য কিছু?

মসজিদে হারাম মক্কায় অবস্থিত, আমার জন্য আপাতত এতটুকুই যথেষ্ট। এবার আপনি উত্তর দিন নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) মক্কার অধিবাসী না হলে ইসরার সফর কিভাবে মসজিদে হারাম থেকে শুরু হয়েছিল?

এরকম আরো অনেক প্রশ্নের কোন উত্তর আপনি দিতে পারেন নি কিন্তু আরেক পর্ব খুলে বসেছেন!

পাঠক আগ্রহী হলে পর্ব ১ ঘুরে আসুন। লেখকের স্ববিরোধিতার নমুনা স্বচক্ষে দেখে আসুন।


৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৫

হাবিব বলেছেন: ভাই এত কেচাল ভাল লাগে না।খামাখা তর্ক বিতর্ক করা দরকার কি। আপনি আপনার মত ইসলাম পালন করেন,আমি আমার মত করি।পরের হিসাব পরে হবে। সবাই ই কম বেশ ভাল জানে ইসলাম সম্পর্ক এ।সবাই কি আর ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে,ইসলাম নিয়া খালি কেচাল করে।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯

আশাবাদী অধম বলেছেন:
কুরআন অনলি বেশধারী নাস্তিকদের স্ববিরোধিতা দেখলে অবাক হতে হয় বৈ কি!

এই মতবাদের বয়স দেড়শ থেকে দুইশ বছরের বেশি নয়।

এরা কুরআন পেলো কোথায়? মহান আল্লাহ তো এদের কারো ওপর কুরআন নাযিল করেন নি। কুরআন নাযিল করেছেন চৌদ্দশত বছরেরও বেশি পূর্বে মুহাম্মাদ (সা) এর ওপর।
তবে এরা যে কুরআন থেকে কনক্লুসিভ এভিডেন্স পেশ করে সে কুরআন কি তারা আরকিওলজিস্টদের মাধ্যমে মাটি খুড়ে উঠিয়ে এনেছে? নাকি আকাশ থেকে নামিয়ে এনেছে? না জাদুঘর থেকে খুঁজে বের করেছে? কোনটাই তো না।

সাধারণভাবে আমার-আপনার, পৃথিবীর কোটি মানুষের হাতে যেই কুরআন তাদের হাতেও সেই কুরআনই। ( বিদ্যমান কুরআনকে কাটছাঁট করে নতুন আঙ্গিকে নিজেদের সংস্করণ বের করলে সেটা ভিন্ন কথা, করেছে কি না আমার জানা নেই।)

কথা হচ্ছে সেই প্রচলিত কুরআনকেই তারা একমাত্র দলীল হিসেবে গ্রহণ করল, এর বিপরীতে অন্য সবকিছু বাতিল করল অথচ সারা পৃথিবী খুঁজে এমন এক কপি কুরাআনও পাওয়া যাবেনা যে কুরআনের সূরাগুলোর শুরুতে মক্কী বা মাদানী লেখা নাই।
অর্থাৎ মক্কী সূরাগুলো মক্কায় আর মাদানী সূরাগুলো মদীনায় নাযিল হয়েছে।

এইবার দেখুন তাদের কি বলিহারি আবিষ্কার!
"নবী মুহাম্মাদ (সা) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন নি, কখনও মক্কায় বসবাস করেন নি, কুরআন মক্কায় নাযিল হওয়ার তো প্রশ্নই আসেনা।"


দলীল? কেন এই আল কুরআনইতো তাদের একমাত্র দলীল। তবে মক্কী-মাদানী এগুলো ভূয়া। সব পার্সিয়ানরা লিখে দিয়েছে।

কুরআন অনলিরা আল্লাহর নিকট থেকে অতি গোপনসূত্রে খবর নিয়ে এসেছে যে পার্সিয়ানরা কুরআনে হাত লাগিয়েছে ঠিকই তবে বেশি কিছু করতে পারে নি? সূরার নাম লাগিয়েছে, মক্কী-মাদানী বসিয়েছে, আর কিছু মিথ্যা ঘটনা তৈরি করেছে যেমন- আবরাহার মক্কা আক্রমণ, আবাবীল পাখি ইত্যাদি। আল্লাহর সৌভাগ্য যে কুরআন অনলিরা ক্ষিপ্রতার সাথে এসে কুরআনকে জাপটে ধরেছে। না হলে পার্সিয়ানরা কিছুদিনের মধ্যেই কুরআনকে আস্ত গিলে ফেলত!

যাহোক এই কুরআন এখন তাদের হাতের খেলার পুতুল। হবেই না বা কেন? আল্লাহ স্বয়ং ইজারা দিয়ে দিয়েছেন। এখন কুরআনের যে কোন বিষয় কে তারা যেভাবে ব্যাখ্যা করবে সেটাই একমাত্র সঠিক। অন্য কেউ কিছু বললে সেটা বিভিন্ন যুক্তির মারপ্যাঁচে ফেলে বাতিল করে দেয়া হবে। যেমন বাক্কাই যে মক্কা এর পক্ষে কেউ যদি কুরআন থেকে একাধিক শক্ত দলীলও পেশ করে গৃহীত হবেনা। বলা হবে-

"কোরআন শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। কোরআনে কোন বানান ভুল নেই, বা গ্রামারেও ভুল নেই। -এইটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রথমে যে উদাহরণটা দিয়েছি মক্কা বনাম বক্কা -সেইটা সম্পর্কে বলার জন্য। কারন এই কথাটা মনে না করিয়ে দিলে পাবলিকে কোরআনের তফসীর থেকে আজগুবি সব জিনিষ নিয়ে এসে ক্যাচাল করবে"
তখন আর একমাত্র কুরআনই সত্য এই ঈমানী কচকচানিও এদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

কিন্তু সেই কুরআন অনলি নিজে যখন কুরআনে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ “মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এর অপব্যাখ্যা করে "আ'কাদাত আইমানুকুম” এর সাথে গুলিয়ে ফেলবে এবং উভয়টা একই জিনিষ দাবী করবে তখন কিন্তু তাকে এ উত্তর দেয়া যাবেনা যে, কোরআন কিন্তু শব্দ চয়নের ব্যাপারে খুবই সিলেক্টিভ। তাহলে আপনিই উল্টো মূর্খ সাব্যস্ত হবেন!
ইজারা তো তাদের নেয়াই আছে!
“মা- মালাকাত- আইমানুকুম” এর অপব্যাখ্যা দেখুন এই লিংকে-
Click This Link


এদের আসলে প্রমাণও নেই যুক্তিও নেই। এদের আছে গোঁয়ার্তুমি আর আছে ইহকাল ও পরকালের লাঞ্ছনা। আল্লাহ আমদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তাওফীক দিন। আমিন।

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: @আশাবাদী। অপেক্ষা করুন। এই গ্রুপকে আমার জানা আছে। এরা কেন যে এদের মেধাকে এভাবে নষ্ট করছে কে জানে?

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

আশাবাদী অধম বলেছেন:
কোন লেখক যখন ঐতিহাসিক কোন বিষয়কে critically analyze করবেন তখন তার লেখায় অবশ্যই দু'টি মৌলিক বিষয়ের ফোকাস থাকতে হবে-

১। প্রচলিত ইতিহাসের ভুল-ভ্রান্তি কোথায়- তা যৌক্তিকতার সাথে বিশ্লেষণ।

২। এস্থলে সঠিক ইতিহাস কী- তা সুনির্দিষ্ট ভাবে উপস্থাপন।

উদাহরণ স্বরূপ আলোচ্য লেখায় লেখক নবী মুহাম্মাদ (সা) এর আবির্ভাব এবং কুরআন নাযিলের বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু পাশাপাশি তার দাবী হচ্ছে-

১। নবী মুহাম্মাদ (সা) মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন নি।

২। নবীর জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে না। (এটা আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় না)

৩। তিনি কখনও মক্কায় বসবাস করেন নি।

৪। ফলশ্রুতিতে কুরআনও মক্কায় নাযিল হয়নি।


অতএব এ পর্যায়ে লেখকের দায়িত্ব হচ্ছে-

প্রথমতঃ তার এসব দাবীর স্বপক্ষে অকাট্য প্রমাণ পেশ করা।

এবং চূড়ান্তভাবেঃ এস্থলে পৃথিবীর ঠিক কোন জায়গাটাতে মুহাম্মাদ (সা) এর জন্ম এবং বসবাস এবং কুরআন কখন কোথায় নাযিল হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রমাণ সহকারে উল্লেখ করা।

এবার দেখুন প্রচলিত ইতিহাসকে মিথ্যা সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে লেখকের কিছু ভাষ্য-

"যেহেতু আব্রাহার মক্কা আক্রমণ সংক্রান্ত কোন ঘটনা ঘটেনি, সেহেতু মক্কায় “ইয়ার অফ এলিফ্যান্ট” বলে কিছু নেই। এইটা সম্পূর্ণ বানানো ঘটনা। সেই ক্ষেত্রে নবীর জন্ম সাল ৫৭০ এইটা সত্য নয়। কেউ যদি বলেন যে আব্রাহা মক্কা আক্রমণ করুক বা নাই করুক, নবীর জন্ম ৫৭০ সালেই, সেইখেত্রে তাকে এর স্বপক্ষে প্রমান দেখাতে হবে। এবং স্বীকার করতে হবে যে নবীর জন্ম সাল সংক্রান্ত যা লেখা হয়েছে তা মিথ্যা।"

"হিজরী সাল নিয়ে কোন কথা বললাম না। বলার কোন দরকারও নেই। আমার দরকার কনক্রিট প্রুফ। আমি এইটা নিয়েই থাকব।"

"এই ক্ষেত্রে কোরআন কে ক্রাইটেরিয়া ধরে সামনে এগোব। যেহেতু আমি বিশ্বাস করি কোরআন আল্লাহর বানী, কোরআনের বর্ণনা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এবং আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্য কেউ বলতে পারে না, সেইখেত্রে আশা করি কোরআনের রেফারেন্সে কারোও কোন আপত্তি থাকার কথা না।"

"দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই ধরণের কথার স্বপক্ষে এই পর্যন্ত কেউ কোন প্রমান দিতে পারেনি। কোন প্রাক-ইসলামিক কবিতা, আর্কিওলজিকাল রেকর্ড, ডকুমেন্ট- যে কোন কিছু। কোন প্রমান নেই, শুধু মুখের কথা ছাড়া।"


পাঠক দেখতেই পাচ্ছেন প্রমাণের কি হম্বিতম্বি! অবিতর্কিত-সর্বসম্মত ইতিহাসকে বিতর্কিত করে বেড়াবেন উনি আর কনক্রিট প্রুফ নিয়ে আসবে যারা অস্বীকার করবে তারা!
যাহোক ধরেই নিলাম উনি অকাট্য যুক্তি-প্রমাণের মাধ্যমে আমাদের প্রজন্ম পরম্পরায় জেনে আসা ইতিহাসকে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এর পরে?
দায়িত্ব তো শেষ হয়ে যায়নি! সত্য ও সঠিক ইতিহাসখানা নিজের বানানো "ক্রাইটারিয়া" এবং "কনক্রিট প্রুফের" মানদণ্ড রক্ষা করে আমাদেরকে জানিয়ে দিতে হবে না?

হ্যা, এই জায়গাতেই ফাটুশ এবং ফুটুশ! যে কেউ লেখকের সব লেখা পড়ে দেখতে পারেন যত হম্বিতম্বি সব প্রথম অংশে। লেখার শেষ অংশে উনি বিলাই। এইটা হইতে পারে, ঐটার সম্ভাবনা আছে তো আরেকটার পসিবিলিটি আছে এই জাতীয় গোঁজামিলই ওনার শেষ আশ্রয়।

তাহলে বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে এই যে, লেখকের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের বিশ্বাসের মধ্যে সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দেয়া। এর পরে সে কি বিশ্বাস করবে না করবে এটা লেখকের দেখার বিষয় না। মাথা যার ব্যথা তো তারই থাকবে না কি?

আর এই চরিত্রটা মূলত ইবলিস শয়তানের। লেখক কে বলছি, আমি নিচে আল কুরআন থেকে একটি আয়াত উল্লেখ করছি। আপনি উক্ত আয়াতের সাথে নিজের চরিত্রকে একটু মিলিয়ে দেখুন! আশাকরি পুরোপুরিই মিলে যাবে।

كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ (৫৯ঃ১৬)

অনুবাদঃ "তারা শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলে, তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করি।"

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

করুণাধারা বলেছেন: সহমত আশাবাদী অধম। আশাকরি প্রথম কিস্তিতে লেখক যে সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন সেগুলো সহ এবারকার প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
জানি তিনি দিতে পারবেন না।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

আশাবাদী অধম বলেছেন: @করুণাধারা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! আমি আসলে তেমন কিছুই জানিনা। তবু আল্লাহ সাহায্য করেছেন বলে কিছু লিখতে পেরেছি।

খাঁটি কথা কি জানেন? যুক্তির কাজ না। এসব ভণ্ডদের জন্য প্রয়োজন মুগুর থেরাপি।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: বিসমিল্লাহ।
আরো একবার আসলাম এই আকাঙ্ক্ষায় যে লেখক ন্যায়-নিষ্ঠ বিচার বিবেচনা প্রয়োগ করবেন এবং যেটা সত্য সেটাই গ্রহণ করবেন।
লেখকের ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি আমার সাথে আপনার কোন স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। আপনি হাদীস মানেন না তাই কুরআন থেকেই বার বার প্রমাণ পেশ করে যাচ্ছি। এবারও কুরআনের একটি আয়াত আপনার জ্ঞাতার্থে উল্লেখ করলাম। আল্লাহকে সাক্ষী রেখে নিরপেক্ষভাবে বিচার করে দেখবেন কি?

প্রথমে আপনার দুই পর্বের লেখা থেকে কিছু Quote করি।
আপনি লিখেছেন-

"কোথায় পাম গাছের বাগান? কোথায় আঙুর? কোথায় প্রচুর ফল ফলাদি? মক্কায় এই গুলি কখনোই জন্মায়নি। কোথায় শস্য? মক্কায় কি চাষবাস হয়?"

"অর্থাৎ, নবী যেখানে বাস করতেন সেইখানে এইসব ফল প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায়, সেইখানেই পরিপক্ক হয়।"

"কোরআনে এই রকম প্রচুর আয়াত আছে। এইসব আয়াত দ্বারা আল্লাহ্‌ বুঝিয়েছেন, এই সব ফল ফলাদি, শস্য নবী যে এলাকায় থাকতেন সেখানে জন্মায়, নবী সেগুলি আহার করতেন এবং এর মধ্যে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন আছে।"


"নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে এলাকায় বাস করতেন তা মুলত এগ্রিকালচারাল ল্যান্ড ছিল যেখানে বিভিন্ন ফল ফলত, বিভিন্ন ফসল হত।"

জি এবার কুরআনের আয়াতখানা পড়ুন-
(২৮ঃ৫৭)

وَقَالُوا إِن نَّتَّبِعِ الْهُدَى مَعَكَ نُتَخَطَّفْ مِنْ أَرْضِنَا أَوَلَمْ نُمَكِّن لَّهُمْ حَرَمًا آمِنًا يُجْبَى إِلَيْهِ ثَمَرَاتُ كُلِّ شَيْءٍ رِزْقًا مِن لَّدُنَّا وَلَكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

অনুবাদঃ তারা বলে, আমরা যদি আপনার সাথে সুপথের অনুসরণ করি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করিনি? যেখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।

And they say: "If we follow the guidance with you, we would be snatched away from our land." Have We not established for them a secure sanctuary, to which are brought fruits of all kinds, a provision from Ourselves, but most of them know not.
[এখানে "তারা" অবশ্যই নবীর এলাকার সব লোক অথবা কিছু লোক]

আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যে এলাকায় প্রচুর ফল ফলাদি প্রাকৃতিক ভাবেই জন্মায়, তারা সেগুলো আহার করে, কুরআন সে এলাকার লোকদের রিযিক হিসেবে বাইরে থেকে ফল আমদানীর কথা উল্লেখ করল কেন? আল্লাহ নেয়ামত স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। সুতরাং, আসবে তো তাদের ফল রপ্তানির কথা কি বলেন?

আল্লাহ আমাদের সত্যিকার বুঝ দান করুন!

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: হানিফঢাকা আর আশাবাদি অধমের -- এই দুইজনকে ব্যলেন্স করে কিছু বলতে চাই । জনাব হানিফ যে ডকুমেন্ট কোরানের থেকে দিয়েছেন সেটা মানলে বুঝতে হবে নবীজি জন্ম বা বেড়ে উঠার স্থানের সাথে মক্কার মিল নেই আবার আশাবাদি অধম সাফা মারওয়া পাহাড় ও অন্যান সুত্রদিয়ে দেখিয়েছেন ঐ স্থান মক্কা ।
আমি যদি দুইজনকে সঠিক ধরে নি তাহোলে কি ভুল হবে । এটাকি হতে পারে না নবীজির জন্ম এবং শৈশব কৈশরের কিছু কাল কেটে ছিল হানিফঢাকার বর্ণনা অনুরুপ স্থানে ( যদিও এই ধারনার পক্ষে কোন ক্লু নেই কোরানের আয়াত গুলো ছাড়া ) এবং পরে তিনি ধর্ম প্রচার শুরু করেন আশাবাদি অধমের বর্ণনা অনুযায়ি মক্কায় ।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৭

আশাবাদী অধম বলেছেন:
১। আপনি লিখেছেন-

"কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে জায়গায় বাস করতেন , তার আশেপাশের অনেক শহর আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
And certainly We destroyed what surrounds you of the towns, and We have diversified the Signs, that they may return. (46:27)
এই খানে আরবী “হাওলা” শব্দটার অনুবাদ করা হয়েছে surrounds। এই শব্দ কোরআনের অনেক জায়গায় ব্যাবহার হয়েছে। যাদের সন্দেহ আছে একটু কষ্ট করে কোরআন খুলে দেখে নিতে পারেন। মক্কার আশেপাশে এই রকম কোন ধ্বংস প্রাপ্ত শহর পাওয়া যায়না।"



জি কুরআন খুলে অনেক জায়গায় “হাওলা” শব্দ পেলাম। দু'টি উল্লেখ করছি-

وَهَـذَا كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ مُبَارَكٌ مُّصَدِّقُ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَلِتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا (৬ঃ৯২)

অনুবাদঃ "এবং এটা বরকতময় কিতাব, যা আমি অবতীর্ন করেছি, যা পূর্ববর্তী গ্রন্থের সত্যতা প্রমাণকারী এবং যাতে তুমি এর মাধ্যমে জনপদসমূহের কেন্দ্র (উম্মুল কোরা) ও তার পাশ্ববর্তীদেরকে ভয় প্রদর্শন কর"

وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا (৪২ঃ৭)
অনুবাদঃ "এমনিভাবে আমি তোমার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে তুমি কেন্দ্রীয় জনপদ (উম্মুল কোরা) ও তার আশপাশের লোকদের সতর্ক কর"

এখানে লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে, "উম্মুল কোরা" (আমার দাবী অনুযায়ী) মক্কাই হোক আর (আপনার দাবী অনুযায়ী) অন্য কোথাও হোক, নবী মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতি কুরআন নাযিল করা হয়েছে "উম্মুল কোরা" ও তার আশপাশের এলাকার লোকদেরকে সতর্ক করার জন্য।
প্রশ্ন হচ্ছে,এই "আশপাশ" বলতে ঠিক কতখানি জায়গা অন্তর্ভুক্ত, যে এলাকার জন্য নবী (সা)কে সতর্ককারী এবং কুরআনকে অবশ্য পালনীয় করা হয়েছে?
বাংলাদেশ কি এর আওতায় পড়ে?

কুরআনের আয়াত দিয়েই ব্যাখ্যা করি-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا
অনুবাদঃ "আমি তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি"

এসব আয়াত বিশ্লেষণ করে তো দেখা যাচ্ছে, নবী (সা) যে এলাকায় বাস করতেন তার "হাওলা" (surrounds) বলতে কুরআন সারা পৃথিবীকেই বোঝাচ্ছে!

২। আপনি লিখেছেন-
"আদ এবং তাহমুদ কোথায়? মক্কার আশেপাশে কোন শহরের নাম আদ, তাহমুদ আছে কি? মক্কা থেকে দেখা যায়?"

দুঃখিত! তবুও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই একটি বাক্য আপনার সম্পর্কে আমাকে দু'টি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে-

1. আপনি আসলে কুরআন জানেন না। নাহলে, আদ, তাহমুদ এগুলো শহরের নাম এটা ভাবলেন কি করে?
وَاذْكُرْ أَخَا عَادٍ إِذْ أَنذَرَ قَوْمَهُ بِالْأَحْقَافِ (৪৬ঃ২১)
"আ’দের ভাইয়ের কথা স্মরণ কর, যে তার সম্প্রদায়কে বালুকাময় উচ্চ উপত্যকায় এ মর্মে সতর্ক করেছিল....."

وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا إِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ (২৭ঃ৪৫)
"আমি সামুদের কাছে তাদের ভাই সালেহকে এই মর্মে প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর।"

কোন "শহর" বা "জনপদের" আবার ভাই থাকে নাকি? আগে ঐ সব সম্প্রদায়ের বাসস্থানের নাম খুঁজে বের করুন। তারপর প্রশ্ন করুন।
2. আপনি আরবি ভাষাও জানেন না। ثَمُودَ শব্দের বাংলা উচ্চারণ হবে "সামুদ" বা "ছামুদ" অথচ আপনি লিখেছেন "তাহমুদ"। কোন ব্যক্তি যদি আরবি শুধু রিডিং পড়তে জানে তারও এরকম ভুল হওয়ার কথা না। ফলে আমি এটাই ধারণা করতে বাধ্য হচ্ছি যে ইংরেজি অনুবাদকে বেস করেই আপনি এতদিন পর্যন্ত আপনার কুরআন-গবেষণা চালিয়ে আসছেন।
এছাড়া আপনি সবসময় কুরআনের রেফারেন্স পেশ করেন ইংরেজিতে। অথচ ইংরেজি না কুরআনের ভাষা আর না আপনার প্রবন্ধের ভাষা। এর কারণটা একটু খুলে বলবেন কি?

৩। আপনি লিখেছেন-
"যত রকম প্রি- কোরানিক ইনস্ক্রিপশন আছে, তার কোনটাতেই মক্কা বা বক্কা বলে কোন শব্দ নেই।"

এখানে আপনি ঠিক কী বোঝাতে চাচ্ছেন তা বুঝে উঠতে পারলাম না। আপনি কি "মক্কা" এবং "বাক্কা" উভয়ের অস্তিত্বই অস্বীকার করলেন? নাকি অন্য কিছু? "কুরআন অনলি" থেকে প্রমোশন নিয়ে এবার "আরকিওলজি অনলি" হতে চাচ্ছেন নাকি? খুব খিয়াল কৈরা কিন্তু!

৪। আপনি লিখেছেন-
"নবী ইব্রাহিম তার স্ত্রী এবং পুত্র কে মক্কায় রেখে আসেন নি.......এইটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি।"

আপনার দেয়া "কুরআনের শব্দ চয়নের সিলেক্টিভ থিউরি" কিন্তু উল্টাটাই বলে!
رَّبَّنَا إِنِّي أَسْكَنتُ مِن ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِندَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ (১৪ঃ৩৭)
অনুবাদঃ "হে আমাদের পালনকর্তা, আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি...."
যুক্তি-প্রমাণকে মাথা দিয়ে ঠেলতে থাকলে তো আর বুঝানো সম্ভব না।


৫।া আপনার উপসংহারটা কেমন যেন বেমানান হয়ে গেলনা?
আপনার দাবীগুলো সত্য হলে যেসব ফলাফল আসবে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সারা বিশ্বের মুসলিমরা বর্তমানে মিথ্যা জায়গায় হজ করছে। কিন্তু হজ তো ঠিকই কুরআনে উল্লেখিত আল্লাহর নির্দেশ! সেক্ষেত্রে যারা আপনার দাওয়াতে কুরআনের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করবে তারা কোথায় হজ করবে সেটা একটু জানিয়ে দিবেন কি?
সিরিয়া না সৌদি?
নাকি বাংলাদেশেই কোন খেজুর বাগান, আঙ্গুর বাগান বা তাল বাগান খুঁজে সেখানে ঢুকে হজ সেরে ফেললেই চলবে?

১৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৪

এ আর ১৫ বলেছেন: Mr or Miss or Mrs আশাবাদী অধম
We destroyed what surrounds you of the towns,..। that mean Hawol of that town . What is your opinion about this ....

you pass by them in the morning And at night. – অর্থাৎ, লুতের শহর নবী যেখানে বাস করতেন সেখান থেকে এমন দুরত্বে ছিল যে নবী এবং তার এলাকার লোক জন সকাল সন্ধ্যা লুতের শহরের ধ্বংসাবশেষে পার হতে পারত। এর অর্থ হচ্ছে, নবী মুহাম্মদ যেখানে বাস করতেন, সেখান থেকে লুতের শহর খুব কাছাকাছি।

১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

আশাবাদী অধম বলেছেন:
@ এ আর ১৫

মুহাম্মাদ (সা) এর আবির্ভাব তো আজ থেকে খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয় যে, সবার সম্মুখে সঠিক ইতিহাসটা পুকুর-চুরি হয়ে যাবে অথচ কেউই টের পাবে না। আর সেটা শেষ পর্যন্ত লেখকের মত "আল্ট্রা স্কলারের" হাতে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হবে!

উনি লিখেছেন,
"৮ম শতাব্দীর আগে পর্যন্ত কোন ইতিহাসবিদদের বর্ণনায় মক্কা নামক কোন শহরের নাম পাওয়া যায় না। লেটেস্ট ৭৪০ সালে মক্কা শব্দটা এসেছে।"

অথচ কুরআনেই "মক্কার" উল্লেখ আছে উনি নিজেও তা স্বীকার করেছেন!

তারপরেও উনার কথামত ধরে নিলাম ৭৪০ সালেই সর্বপ্রথম ইতিহাসবিদদের বর্ণনায় "মক্কা" শহরের নাম এসেছে। তবে এটাও নিশ্চিত যে ঐ সময়ের মুসলিমরা নবীর জন্মভূমি এবং বাসভূমি মক্কা বলেই বিশ্বাস করত। কারণ সমসাময়িক কালেই সীরাত গ্রন্থ রচনা শুরু হয়েছিল।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সময়ের যেসব ঐতিহাসিক মক্কার বর্ণনা দিয়েছেন তারা কেউ কি মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত এই মিথ্যার প্রতিবাদ করেছেন? মুহাম্মাদ (সা) এর জন্ম অন্য কোথাও এরকম কোন তথ্য প্রমাণ দিয়েছেন?

যদি দিয়েও থাকেন তারপরেও প্রশ্ন আসবে যে তাদের কে ঢালাওভাবে বিশ্বাস করার এবং এবং মুসলিম সীরাতবিদদেরকে ঢালাওভাবে অবিশ্বাস করার যৌক্তিকতা কী? ইসলাম ততদিনে এশিয়া-ইউরোপ-আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এত মুসলিমের মধ্যে এমন একজন সত্যবাদী আল্লাহর বান্দাহও কি ছিলেন না যিনি সত্য কথাটা অকপটে লিখে রেখে যাবেন?

এবার আসি আপনার প্রশ্নে।

১। প্রসঙ্গঃ Hawol-

"আমি তোমাদের আশপাশের জনপদসমূহকে ধ্বংস করেছি"
এই আশপাশের সীমা যে সারা পৃথিবী পর্যন্ত হতে পারে তার প্রমাণ তো কুরআনেই আছে। তবে সারা পৃথিবী খোঁজার দরকার নেই। যে অঞ্চল পর্যন্ত নবী (সা) এর জনপদের লোকদের পদচারণা ছিল তার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যাবে।
যারা সামষ্টিক ভাবে ইতিহাসকে অস্বীকার করে তাদের কথা বাদ দিন। হিজর, মাদইয়ান, আইকা, সাদুম এগুলোর কোনটাই হেজায ভূমি (মক্কা-মদীনা-জেদ্দা) থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

আপনাকে আরও একটি জিনিষ বুঝতে হবে। আরবরা প্রচুর ভ্রমণে অভ্যস্ত। সুরা কুরাইশে তো স্পেসিফিক্যালি কুরাইশদের ভ্রমণ আসক্তির উল্লেখই আছে। (এই সূরা থেকেও কি এটা স্পষ্ট নয় যে কুরাইশ নবীর বংশ এবং কাবার আশপাশেই তাদের বসবাস?)
আবার বেদুইন শ্রেনীর তো কোন স্থায়ী আবাসই ছিলনা। পুরা আরব উপদ্বীপ জুড়েই ছিল তাদের পুনঃ পুনঃ পদচারণা। এসব বিষয় মাথায় রেখে "হাওলা" এর অর্থ খুঁজে নিন।

২। প্রসংগঃ লুত (আ) এর শহর-

প্রথমে কুরআন থেকে আয়াত উল্লেখ করি-

وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِم مُّصْبِحِينَ (৩৭ঃ১৩৭)
"তোমরা তাদের ধ্বংস স্তুপের উপর দিয়ে গমন কর ভোর বেলায়"

وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ (৩৭ঃ১৩৮)
"এবং রাতের বেলায়, তার পরেও কি তোমরা বোঝ না?"

137. Verily, you pass by them in the morning.
138. And at night; will you not then reflect?

প্রথমত, লক্ষ্য করুন, লেখক "night" এর অনুবাদ করেছেন "সন্ধ্যা" দিয়ে। বাংলা ভাষায় "সকাল-সন্ধ্যা" একটি শব্দগুচ্ছ (phrase) যার মধ্যে "frequent" বা পৌনঃপুনিকতার ইঙ্গিত রয়েছে। কিন্তু সঠিকভাবে অনুবাদ করলে "সকাল-সন্ধ্যা" হয়ে যাচ্ছে "সকালে এবং রাতে"! অর্থের মধ্যেও আর পৌনঃপুনিকতা থাকছেনা!

দ্বিতীয়ত, দেখুন "সকালের" কথা বলা হয়ছে এক বাক্যে, আবার "রাতের" কথা বলা হচ্ছে পৃথক আরেক বাক্যে। এখন আপনি যদি সকাল-রাত একত্র করে ফেলেন তাহলে কুরআনের প্রকাশভঙ্গী আর অক্ষুণ্ণ থাকল কই?

এবার আসুন এর সাথে কুরআনের আরেকটি আয়াত মিলিয়ে নিই-
(১৫ঃ৭৫-৭৬) এ লুতের সম্প্রদায়ের শাস্তির বিবরণ দেয়ার পরে আল্লাহ জানাচ্ছেন-

إِنَّ فِي ذَلِكَ لآيَاتٍ لِّلْمُتَوَسِّمِينَ
"নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।"

وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُّقيمٍ
"আর জনপদটি সোজা পথে অবস্থিত রয়েছে।"

75. Surely! In this are signs, for those who see (or understand or learn the lessons from the Signs of Allah).
76. And verily! They (the cities) were right on the highroad (from Makkah to Syria i.e. the place where the Dead Sea is now)
(ব্রাকেটের কথাগুলো অনুবাদকের সেটা বাদ দিয়েই পড়ুন।)

সুতরাং, এখানে সব মিলিয়ে অর্থ দাঁড়াচ্ছে, লুত সম্প্রদায়ের ধ্বংসস্তুপ সোজা পথে অবস্থিত ("মুকিম" অর্থঃ স্থায়ী, সোজা, দীর্ঘ ইত্যাদি, ফলে এখানে মহাসড়ক শব্দও ব্যবহার করা যেতে পারে)। যে পথ দিয়ে তোমরা (কখনো) ভোর বেলায় অতিক্রম কর। আবার (কখনো) রাতের বেলায়, তবুও কি তোমরা বুঝতে পারনা?

লেখক বলেছেন,
"যদিও অনেক কমেন্টটর বলে থাকেন এইটা সিরিয়াতে ট্রেড জার্নির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এইরকম কোন ইঙ্গিত আমরা কোরআন থেকে পাইনা। এই ধরণের কথা বলার কারন হচ্ছে, জোর করে জিওগ্রাফি মিলানোর চেষ্টা।"

আসলে তো ট্রেড জার্নির কথাই বলা হয়ছে। মক্কার লোকদের সিরিয়া যাতায়াতের পথেই তো মৃত সাগর যা সাদুম জনপদের ধ্বংসস্তুপ। এক্ষেত্রে কুরআন থেকে লেখকের কী ধরণের ইঙ্গিত দরকার তা উনিই জানেন।

৩। আসুন কুরআনের আরেকটি আয়াত দেখি-

وَفِي الأَرْضِ قِطَعٌ مُّتَجَاوِرَاتٌ وَجَنَّاتٌ مِّنْ أَعْنَابٍ وَزَرْعٌ وَنَخِيلٌ صِنْوَانٌ وَغَيْرُ صِنْوَانٍ يُسْقَى بِمَاء وَاحِدٍ وَنُفَضِّلُ بَعْضَهَا عَلَى بَعْضٍ فِي الأُكُلِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَعْقِلُونَ
অনুবাদঃ আর পৃথিবীতে আছে বিভিন্ন ভূখণ্ড যা পাশাপাশি অবস্থিত, আর আছে আঙ্গুরের বাগান ও খেজুর গাছ যার মধ্যে কতক একাধিক কাণ্ডবিশিষ্ট এবং কতক এক কাণ্ডবিশিষ্ট। এগুলো কে একই পানি দ্বারা সেচ করা হয়। আর আমি স্বাদে একটিকে অপরটির চাইতে উৎকৃষ্টতর করে দেই। এগুলোর মধ্যে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা ভাবনা করে।

And in the earth are neighbouring tracts, and gardens of vines, and green crops (fields etc.), and date-palms, growing out two or three from a single stem root, or otherwise (one stem root for every palm ), watered with the same water, yet some of them We make more excellent than others to eat. Verily, in these things, there are Ayat (proofs, evidences, lessons, signs) for the people who understand.

কুরআনে এ জাতীয় আয়াত অসংখ্য যেখানে মূলত কোন বিশেষ এলাকাকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। লেখক এ জাতীয় আয়াত ব্যবহার করে প্রমাণ করতে চাচ্ছেন নবী মক্কায় বসবাস করেন নি। এক্ষেত্রে কুরআন থেকে উনি কি ইঙ্গিত পেয়েছেন তা আল্লাহই ভাল জানেন। অথচ কুরআনের যে কোন আয়াতকে বেস ধরে গবেষণা করলে ফলাফল মক্কাই আসবে।

উদাহরণ স্বরূপ আপনি কুরআনের آمِنًا (নিরাপদ) বা الْبَيْتِ (নির্দিষ্ট ঘর) শব্দকে বেস করে গবেষণা করুন। দেখবেন সব প্রশ্নের উত্তর মিলে যাবে। সময় সাপেক্ষ বলে আমি বিশদ আলোচনায় যাচ্ছিনা।

এতেও যদি কারও মন না ভরে, তিনি দয়া করে কুরআনের এই আয়াতখানা পাঠ করুন-

لَقَدْ نَصَرَكُمُ اللّهُ فِي مَوَاطِنَ كَثِيرَةٍ وَيَوْمَ حُنَيْنٍ (০৯ঃ২৫)
"আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন অনেক ক্ষেত্রে এবং হুনাইনের দিনে"
এর পর নেটে সার্চ দিয়ে দেখুন এই হুনাইন কোথায় অবস্থিত।

ওয়াল হামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন।

১৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

আশাবাদী অধম বলেছেন: লেখক বলেছেন,

সুতরাং আল্লাহ নবীর বাসস্থানের যে বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদির জন্ম, যা নবী আহার করতেন এবং যার মধ্যে নিদর্শন আছে

উত্তরঃ

وَقَالُوا مَالِ هَذَا الرَّسُولِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ لَوْلَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُ نَذِيرًا (২৫ঃ৭)
তারা (কাফেররা) বলে, এ কেমন রসূল, যে খাবার খায় এবং হাটে-বাজারেও চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না কেন, যে তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত?

أَوْ يُلْقَى إِلَيْهِ كَنزٌ أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا (২৫ঃ৮)
অথবা তাকে ধন-ভান্ডার দেওয়া হল না কেন, অথবা তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে সে আহার করতে পারত?

7. And they say: "Why does this Messenger eat food, and walk about in the markets (like ourselves). Why is not an angel sent down to him to be a warner with him?
8. "Or (why) has not a treasure been granted to him, or why has he not a garden whereof he may eat?"

আল্লাহর কুরআন সত্যিই মু'জেযা! আল্লাহর কুরআনের সাথে মিথ্যাচার করলে ধরা খেতেই হবে।


১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আশাবাদী অধমের ১৫ নং কমেন্ট পড়ে কনফিউজ হোলাম -- জনাব হানিফ বলেছেন নবী জীর জন্ম স্থানে খেজুর, আঙ্গুর, ডালিম ইত্যাদি ফল হোত ----- এইটার সাথে আপনার দেওয়া আয়াতের বর্ণনা অনুযায়ি কাফেরা বলছে কেন নবী জী কে ধন ভান্ডার দেওয়া হোল না কেন বাগান দেওয়া হোল না ইত্যাদি ( ২৫-৭ এবং ২৫-৮) .। এটার কি সম্পর্ক বুজতে পারলাম না । দয়া করে কি একটু বুঝিয়ে বোলবেন ?
আল্লাহ কেন বাগান দিলেন না আর নবী জীর জন্ম স্থানে খেজুর,আঙ্গুর, ডালিম ফোলতো এই দুইয়ের মাধ্যমে মিথ্যাচার কি করে ধরা খেল ? দয়া করে একটু ব্যাখা করুন । ধন্যবাদ ।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: @এ আর ১৫

আমি একটু ব্যস্ত আছি। আগামীকাল বিকেলে অবসর হতে পারব। তখন আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

আশাবাদী অধম বলেছেন: বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
@এ আর ১৫
দুঃখিত যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল!


১। আপনি সম্ভবত লেখকের মূল বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। লেখক বুঝাতে চাচ্ছেন, নবী (সা) মক্কায় জন্ম নেন নি, জীবনে কোনদিন মক্কায় বসবাস করেন নি, ফলাফলে কুরআনও মক্কায় নাযিল হয় নি। (এর আরো ফলাফল আছে, যেমন- মুসলিমদের বর্তমান কেবলা মিথ্যা, হজের স্থান সমূহ মিথ্যা ইত্যাদি)।

আপনি কিন্তু শুধু জন্মস্থান বিবেচনায় প্রশ্নটি করেছেন। তাই লেখকের নিম্নোক্ত কথাগুলো আরেকবার পড়ুন।

"ট্র্যাডিশন অনুযায়ী, উনার জীবনকালের ১০ বছর বাদ দিলে উনি মক্কাতেই বসবাস করতেন এবং উনি মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

এইখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কি মক্কায় বসবাস করতেন?
২। যদি মক্কায় বসবাস না করতেন, তবে উনার প্রকৃত জন্মস্থান এবং আবাসস্থল কোথায় ছিল?
এই লেখায়, আমি শুধুমাত্র প্রথম প্রশ্নটার সমাধান করার চেষ্টা করব।"
(এখানে মূল টার্গেট কিন্তু বসবাস!)

একটু পরেই উনি সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন এই বলে-

"সুতরাং নবীর আবাসস্থল কখনোই মক্কায় ছিল না।"


সুতরাং, আপনি প্রথমে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় সেট করুন।



২। আপনি এর আগেও একটি কমেন্টে এ বিষয়ে ব্যালেন্স করার কথা বলেছিলেন। তখন উত্তর করা হয়ে উঠেনি। এখানে সংক্ষেপে বলছি। রাসুল (সা) এর জন্ম এবং শৈশব অন্য কোথাও কেটেছে, আপনি এই সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন ব্লগার হানিফের উল্লেখিত কুরআনের আয়াত সমূহের ভিত্তিতে। কিন্তু একটু চিন্তা করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে এসব আয়াত কোনভাবেই তার প্রমাণ হতে পারেনা। কেননা-

ক। রাসূল (সা) এর জন্মকালে অথবা শৈশব-কৈশরে তাঁর প্রতি কুরআন নাযিল হতনা।
খ। উল্লেখিত আয়াত সমূহের অর্থের মধ্যে রাসূল (সা) এর বাল্যকালের কোন দূরবর্তী ইঙ্গিতও নেই।
গ। রাসূল (সা) যেখানে ইসলাম প্রচার শুরু করেছেন সেখানেই তাঁর প্রাথমিক জীবন কেটেছে। অল্পতে বললাম।
বিস্তারিত জানতে কুরআনের (১০ঃ১,১০ঃ১৬) আয়াত দেখুন।



৩। এবার আসি আপনার প্রশ্নে যে আমার উল্লেখিত আয়াতের মাধ্যমে কিভাবে মিথ্যাচার ধরা খেল।
আমি বিষয়টা একাধিক ভাবে প্রমাণ করব, ইনশা আল্লাহ। আপনি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

প্রমাণ ১ঃ

লেখক নবী (সা) এর আবাসস্থলের বর্ণনায় কুরআন থেকে প্রথম যে প্রমাণটি পেশ করেছেন তা এই-
(লেখকের বর্ণনা হুবহু তুলে দিচ্ছি। সাথে বোঝার জন্য বাংলা অনুবাদ।)

And We brought forth for you thereby gardens of palm trees and grapevines in which for you are abundant fruits and from which you eat. (২৩:১৯)
অনুবাদঃ অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক

এখানে সর্বনামগুলো বহুবচনে (তোমরা, তোমাদের) ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু লেখক তার আলোচনায় রাসূল (সা) কে সুনির্দিষ্টভাবে এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফলে for you এবং you eat তিনি বোল্ড কালিতে উপস্থাপন করেছেন এবং একাধিকবার উল্লেখ করেছেন যে এসব ফল-ফলাদি নবী আহার করতেন। এনিয়ে ব্লগার করুণাধারা প্রশ্নও তুলেছিলেন।

যাহোক আমার কথা হচ্ছে বাক্যে মোট সর্বনাম আছে তিনটি। প্রথম দু'টিতে আছে আরবি "লাকুম" (لكم) শব্দ অর্থাৎ "তোমাদের জন্য"। আরবিতে ل (লাম) ব্যবহৃত হয় "মালিকানা" এবং "অধিকার" বোঝাতে। অর্থাৎঃ এসব বাগানের মালিক তোমরা, এর ফলও তোমাদের যা থেকে তোমরা আহার কর।
অতএব লেখক যেহেতু রাসূল (সা) কে সুনির্দিষ্টভাবে এ আয়াতের মধ্যে ফেলেছেন। অনিবার্য ভবে তিনি মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন।
এক কথায় প্রকাশ করলে যার অর্থ দাঁড়ায়-
রাসূল (সা) এর নিজের খেজুর এবং আঙ্গুরের বাগান ছিল। যাতে প্রচুর ফল ধরত। রাসূল (সা) তা থেকে আহার করতেন।

এবার এই বাক্যের সামনে আমার উল্লেখিত আয়াতখানা রাখুন।

أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا (২৫ঃ৮)
অনুবাদঃ তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে সে আহার করতে পারত?

পাশে আরও একখানা আয়াত রাখুন। (১৭ঃ৯০-৯১)

وَقَالُواْ لَن نُّؤْمِنَ لَكَ حَتَّى تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الأَرْضِ يَنبُوعًا أَوْ تَكُونَ لَكَ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَعِنَبٍ
অনুবাদঃ আর তারা বলে, আমরা কখনও আপনাকে বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের জন্যে একটি ঝরণা প্রবাহিত করে দিবেন। অথবা আপনার জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে


এই দু'টি বাক্যেও মালিকানা বোঝাতে ل (লাম) যুক্ত সর্বনাম এসেছে যথা- لَهُ (লাহু) তার জন্য, لَكَ (লাকা) তোমার জন্য।

অতএব আপনিই বিচার করুন কুরআনের (২৩:১৯) আয়াতের উদ্দেশ্যের মধ্যে রাসূল (সা)কে অন্তর্ভুক্ত করা অথবা তাঁর বাসস্থান প্রমাণে এই আয়াত ব্যবহার করা মিথ্যাচার কি না।

প্রমাণ ২ঃ

(২৫ঃ৭-৮)
"তারা (কাফেররা) বলে, এ কেমন রসূল, যে খাবার খায় এবং হাটে-বাজারেও চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না কেন, যে তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত? অথবা তাকে ধন-ভান্ডার দেওয়া হল না কেন, অথবা তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে সে আহার করতে পারত?"

আপনি যদি কথাগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করেন দেখতে পাবেন, কাফেররা নিজেদের মতই একজন মানুষকে রসূল হিসেবে মানতে পারছেনা। তারা রাসূলের মধ্যে অলৌকিক এবং অতিমানবীয় বৈশিষ্ট্য দেখতে চাচ্ছে। এ কারণেই তারা উপরোক্ত দাবীগুলো পেশ করেছে।
এখন লেখকের কথা অনুযায়ী যদি ধরে নিই যে রাসূল (সা) এর জন্মস্থান এবং বাসস্থান প্রাকৃতিক ভাবেই উর্বর ছিল। সেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগান ছিল, যাতে প্রচুর ফল জন্মাত। তাহলে প্রশ্ন আসবে যে সে রকম একটি জায়গায় রাসুলের একটি বাগান থাকা এমন কি কঠিন বা অস্বাভাবিক ছিল যা না থাকার কারণে কাফেররা তাঁর প্রতি ঈমান আনতে পারছিলনা?

অর্থাৎ, ঐ স্থান খুবই শুষ্ক এবং অনুর্বর ছিল, যেখানে কারও একটি ফলের বাগান থাকাটা অলৌকিকতার পর্যায়ে পড়ত। এবং কাফেররা রাসূলের নিকট সেটাই দেখতে চাচ্ছিল। পরবর্তী অংশে এ বিষয়ে আরও আলোচনা আসছে।


প্রমাণ ৩ঃ

লেখক নবীর আবাস স্থলের কৃষির বর্ণনা দিতে গিয়ে সর্বপ্রথম যে আয়াতকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন তা নিম্নরূপ-
(লেখকের বর্ণনা হুবহু তুলে দিচ্ছি। সাথে বোঝার জন্য বাংলা অনুবাদ।)

Do you not see that Allah sends down rain from the sky and makes it flow as springs [and rivers] in the earth; then He produces thereby crops of varying colors; then they dry and you see them turned yellow; then He makes them [scattered] debris. Indeed in that is a reminder for those of understanding. (৩৯:২১)
অনুবাদঃ তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনে ঝর্ণা (এবং নদী)রূপে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা হলুদবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।

এখানে ঝর্ণা বা নদী বোঝাতে আরবি يَنَابِيعَ (ইয়ানা-বী'আ=ইয়ানবু' এর বহুবচন) শব্দ এসেছে। তো এ আয়াত থেকে লেখকের দাবী অনুসারে প্রতীয়মান হচ্ছে যে রাসূল (সা) এর জন্ম এবং বাসভূমিতে একাধিক ঝর্ণা বা নদী প্রবাহিত ছিল। যাদ্দ্বারা সে এলাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন হত।

এর সাথে মিলিয়ে পড়ুন (১৭ঃ৯০-৯৩)

"আর তারা বলেঃ আমরা কখনও আপনাকে বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের জন্যে একটি ঝরণা প্রবাহিত করে দিবেন। অথবা আপনার জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে অতঃপর আপনি তার মধ্যে নদী-নালা প্রবাহিত করে দেবেন। অথবা আপনি যেমন বলে থাকেন, তেমনিভাবে আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।"
এখানেও ঝর্ণা বা নদী বোঝাতে আরবি একই শব্দ (ইয়ানবু';) ব্যবহৃত হয়েছে।

এখানেও কাফেরদের অন্যান্য আকাশচুম্বী দাবীর সাথে তুলনা করলে বোঝা যায় যে নবীর জনপদে যদি লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী ঝর্ণা-নদী থাকত তবে কাফেররা নবীকে তাদের জন্য ঝর্ণা প্রবাহিত করে দিতে বলত না। যেখানে তারা সরাসরি আল্লাহকে নিয়ে আসার দাবী পর্যন্ত করেছে।
অর্থাৎ, ঐ স্থান খুবই শুষ্ক এবং অনুর্বর ছিল এবং পানির কোন প্রবাহ ছিল না। তাই তারা এ ধরণের দাবী করেছে।



৪। এরকম আরও হাজারটা প্রমাণ আল্লাহর কুরআনে বিদ্যমান। কিন্তু কেউ বুঝতে না চাইলে তো আর বোঝানো সম্ভব না। উদাহরণ স্বরূপ-

লেখকের প্রশ্ন- "আদ এবং তাহমুদ কোথায়? মক্কার আশেপাশে কোন শহরের নাম আদ, তাহমুদ আছে কি? মক্কা থেকে দেখা যায়?"

এর উত্তরে বলা যায়, মক্কা থেকেই দেখা যাবে যদি তবে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ কেন বললেন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ পূর্ববর্তীদের কি পরিণতি হয়েছিল।

(৪০ঃ২১)
"তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না, তাহলে দেখতে পেত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে? তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধরাশয়ী করেছিলেন এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।"
আদ-সামুদও যে এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত তা কুরআন থেকেই প্রমাণ করা যাবে।

অথবা লেখককেই পাল্টা প্রশ্ন করা যেতে পারে সেই শহরের নামটা আপনিই বলে দিন না, যেখান থেকে আদ তাহমুদ দেখা যায়?


وَآخِرُ دَعْوَانا أَنِ الْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
















১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
@এ আর ১৫
দুঃখিত যে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল!


১। আপনি সম্ভবত লেখকের মূল বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন। লেখক বুঝাতে চাচ্ছেন, নবী (সা) মক্কায় জন্ম নেন নি, জীবনে কোনদিন মক্কায় বসবাস করেন নি, ফলাফলে কুরআনও মক্কায় নাযিল হয় নি। (এর আরো ফলাফল আছে, যেমন- মুসলিমদের বর্তমান কেবলা মিথ্যা, হজের স্থান সমূহ মিথ্যা ইত্যাদি)।

আপনি কিন্তু শুধু জন্মস্থান বিবেচনায় প্রশ্নটি করেছেন। তাই লেখকের নিম্নোক্ত কথাগুলো আরেকবার পড়ুন।

"ট্র্যাডিশন অনুযায়ী, উনার জীবনকালের ১০ বছর বাদ দিলে উনি মক্কাতেই বসবাস করতেন এবং উনি মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

এইখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছেঃ
১। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কি মক্কায় বসবাস করতেন?
২। যদি মক্কায় বসবাস না করতেন, তবে উনার প্রকৃত জন্মস্থান এবং আবাসস্থল কোথায় ছিল?
এই লেখায়, আমি শুধুমাত্র প্রথম প্রশ্নটার সমাধান করার চেষ্টা করব।"
(এখানে মূল টার্গেট কিন্তু বসবাস!)

একটু পরেই উনি সমাধানও দিয়ে দিয়েছেন এই বলে-

"সুতরাং নবীর আবাসস্থল কখনোই মক্কায় ছিল না।"


সুতরাং, আপনি প্রথমে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি মাথায় সেট করুন।



২। আপনি এর আগেও একটি কমেন্টে এ বিষয়ে ব্যালেন্স করার কথা বলেছিলেন। তখন উত্তর করা হয়ে উঠেনি। এখানে সংক্ষেপে বলছি। রাসুল (সা) এর জন্ম এবং শৈশব অন্য কোথাও কেটেছে, আপনি এই সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন ব্লগার হানিফের উল্লেখিত কুরআনের আয়াত সমূহের ভিত্তিতে। কিন্তু একটু চিন্তা করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে এসব আয়াত কোনভাবেই তার প্রমাণ হতে পারেনা। কেননা-

ক। রাসূল (সা) এর জন্মকালে অথবা শৈশব-কৈশরে তাঁর প্রতি কুরআন নাযিল হতনা।
খ। উল্লেখিত আয়াত সমূহের অর্থের মধ্যে রাসূল (সা) এর বাল্যকালের কোন দূরবর্তী ইঙ্গিতও নেই।
গ। রাসূল (সা) যেখানে ইসলাম প্রচার শুরু করেছেন সেখানেই তাঁর প্রাথমিক জীবন কেটেছে। অল্পতে বললাম।
বিস্তারিত জানতে কুরআনের (১০ঃ১,১০ঃ১৬) আয়াত দেখুন।



৩। এবার আসি আপনার প্রশ্নে যে আমার উল্লেখিত আয়াতের মাধ্যমে কিভাবে মিথ্যাচার ধরা খেল।
আমি বিষয়টা একাধিক ভাবে প্রমাণ করব, ইনশা আল্লাহ। আপনি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

প্রমাণ ১ঃ

লেখক নবী (সা) এর আবাসস্থলের বর্ণনায় কুরআন থেকে প্রথম যে প্রমাণটি পেশ করেছেন তা এই-
(লেখকের বর্ণনা হুবহু তুলে দিচ্ছি। সাথে বোঝার জন্য বাংলা অনুবাদ।)

And We brought forth for you thereby gardens of palm trees and grapevines in which for you are abundant fruits and from which you eat. (২৩:১৯)
অনুবাদঃ অতঃপর আমি তা দ্বারা তোমাদের জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেছি। তোমাদের জন্যে এতে প্রচুর ফল আছে এবং তোমরা তা থেকে আহার করে থাক

এখানে সর্বনামগুলো বহুবচনে (তোমরা, তোমাদের) ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু লেখক তার আলোচনায় রাসূল (সা) কে সুনির্দিষ্টভাবে এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ফলে for you এবং you eat তিনি বোল্ড কালিতে উপস্থাপন করেছেন এবং একাধিকবার উল্লেখ করেছেন যে এসব ফল-ফলাদি নবী আহার করতেন। এনিয়ে ব্লগার করুণাধারা প্রশ্নও তুলেছিলেন।

যাহোক আমার কথা হচ্ছে বাক্যে মোট সর্বনাম আছে তিনটি। প্রথম দু'টিতে আছে আরবি "লাকুম" (لكم) শব্দ অর্থাৎ "তোমাদের জন্য"। আরবিতে ل (লাম) ব্যবহৃত হয় "মালিকানা" এবং "অধিকার" বোঝাতে। অর্থাৎঃ এসব বাগানের মালিক তোমরা, এর ফলও তোমাদের যা থেকে তোমরা আহার কর।
অতএব লেখক যেহেতু রাসূল (সা) কে সুনির্দিষ্টভাবে এ আয়াতের মধ্যে ফেলেছেন। অনিবার্য ভবে তিনি মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন।
এক কথায় প্রকাশ করলে যার অর্থ দাঁড়ায়-
রাসূল (সা) এর নিজের খেজুর এবং আঙ্গুরের বাগান ছিল। যাতে প্রচুর ফল ধরত। রাসূল (সা) তা থেকে আহার করতেন।

এবার এই বাক্যের সামনে আমার উল্লেখিত আয়াতখানা রাখুন।

أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا (২৫ঃ৮)
অনুবাদঃ তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে সে আহার করতে পারত?

পাশে আরও একখানা আয়াত রাখুন। (১৭ঃ৯০-৯১)

وَقَالُواْ لَن نُّؤْمِنَ لَكَ حَتَّى تَفْجُرَ لَنَا مِنَ الأَرْضِ يَنبُوعًا أَوْ تَكُونَ لَكَ جَنَّةٌ مِّن نَّخِيلٍ وَعِنَبٍ
অনুবাদঃ আর তারা বলে, আমরা কখনও আপনাকে বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের জন্যে একটি ঝরণা প্রবাহিত করে দিবেন। অথবা আপনার জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে


এই দু'টি বাক্যেও মালিকানা বোঝাতে ل (লাম) যুক্ত সর্বনাম এসেছে যথা- لَهُ (লাহু) তার জন্য, لَكَ (লাকা) তোমার জন্য।

অতএব আপনিই বিচার করুন কুরআনের (২৩:১৯) আয়াতের উদ্দেশ্যের মধ্যে রাসূল (সা)কে অন্তর্ভুক্ত করা অথবা তাঁর বাসস্থান প্রমাণে এই আয়াত ব্যবহার করা মিথ্যাচার কি না।

প্রমাণ ২ঃ

(২৫ঃ৭-৮)
"তারা (কাফেররা) বলে, এ কেমন রসূল, যে খাবার খায় এবং হাটে-বাজারেও চলাফেরা করে? তাঁর কাছে কোন ফেরেশতা নাযিল করা হল না কেন, যে তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকত? অথবা তাকে ধন-ভান্ডার দেওয়া হল না কেন, অথবা তার একটি বাগান হল না কেন, যা থেকে সে আহার করতে পারত?"

আপনি যদি কথাগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করেন দেখতে পাবেন, কাফেররা নিজেদের মতই একজন মানুষকে রসূল হিসেবে মানতে পারছেনা। তারা রাসূলের মধ্যে অলৌকিক এবং অতিমানবীয় বৈশিষ্ট্য দেখতে চাচ্ছে। এ কারণেই তারা উপরোক্ত দাবীগুলো পেশ করেছে।
এখন লেখকের কথা অনুযায়ী যদি ধরে নিই যে রাসূল (সা) এর জন্মস্থান এবং বাসস্থান প্রাকৃতিক ভাবেই উর্বর ছিল। সেখানে বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগান ছিল, যাতে প্রচুর ফল জন্মাত। তাহলে প্রশ্ন আসবে যে সে রকম একটি জায়গায় রাসুলের একটি বাগান থাকা এমন কি কঠিন বা অস্বাভাবিক ছিল যা না থাকার কারণে কাফেররা তাঁর প্রতি ঈমান আনতে পারছিলনা?

অর্থাৎ, ঐ স্থান খুবই শুষ্ক এবং অনুর্বর ছিল, যেখানে কারও একটি ফলের বাগান থাকাটা অলৌকিকতার পর্যায়ে পড়ত। এবং কাফেররা রাসূলের নিকট সেটাই দেখতে চাচ্ছিল। পরবর্তী অংশে এ বিষয়ে আরও আলোচনা আসছে।


প্রমাণ ৩ঃ

লেখক নবীর আবাস স্থলের কৃষির বর্ণনা দিতে গিয়ে সর্বপ্রথম যে আয়াতকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন তা নিম্নরূপ-
(লেখকের বর্ণনা হুবহু তুলে দিচ্ছি। সাথে বোঝার জন্য বাংলা অনুবাদ।)

Do you not see that Allah sends down rain from the sky and makes it flow as springs [and rivers] in the earth; then He produces thereby crops of varying colors; then they dry and you see them turned yellow; then He makes them [scattered] debris. Indeed in that is a reminder for those of understanding. (৩৯:২১)
অনুবাদঃ তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, অতঃপর সে পানি যমীনে ঝর্ণা (এবং নদী)রূপে প্রবাহিত করেছেন, এরপর তদ্দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফসল উৎপন্ন করেন, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তোমরা তা হলুদবর্ণ দেখতে পাও। এরপর আল্লাহ তাকে খড়-কুটায় পরিণত করে দেন। নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে উপদেশ রয়েছে।

এখানে ঝর্ণা বা নদী বোঝাতে আরবি يَنَابِيعَ (ইয়ানা-বী'আ=ইয়ানবু' এর বহুবচন) শব্দ এসেছে। তো এ আয়াত থেকে লেখকের দাবী অনুসারে প্রতীয়মান হচ্ছে যে রাসূল (সা) এর জন্ম এবং বাসভূমিতে একাধিক ঝর্ণা বা নদী প্রবাহিত ছিল। যাদ্দ্বারা সে এলাকায় বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন হত।

এর সাথে মিলিয়ে পড়ুন (১৭ঃ৯০-৯৩)

"আর তারা বলেঃ আমরা কখনও আপনাকে বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি ভূপৃষ্ঠ থেকে আমাদের জন্যে একটি ঝরণা প্রবাহিত করে দিবেন। অথবা আপনার জন্যে খেজুর ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে অতঃপর আপনি তার মধ্যে নদী-নালা প্রবাহিত করে দেবেন। অথবা আপনি যেমন বলে থাকেন, তেমনিভাবে আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন অথবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন।"
এখানেও ঝর্ণা বা নদী বোঝাতে আরবি একই শব্দ (ইয়ানবু';) ব্যবহৃত হয়েছে।

এখানেও কাফেরদের অন্যান্য আকাশচুম্বী দাবীর সাথে তুলনা করলে বোঝা যায় যে নবীর জনপদে যদি লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী ঝর্ণা-নদী থাকত তবে কাফেররা নবীকে তাদের জন্য ঝর্ণা প্রবাহিত করে দিতে বলত না। যেখানে তারা সরাসরি আল্লাহকে নিয়ে আসার দাবী পর্যন্ত করেছে।
অর্থাৎ, ঐ স্থান খুবই শুষ্ক এবং অনুর্বর ছিল এবং পানির কোন প্রবাহ ছিল না। তাই তারা এ ধরণের দাবী করেছে।



৪। এরকম আরও হাজারটা প্রমাণ আল্লাহর কুরআনে বিদ্যমান। কিন্তু কেউ বুঝতে না চাইলে তো আর বোঝানো সম্ভব না। উদাহরণ স্বরূপ-

লেখকের প্রশ্ন- "আদ এবং তাহমুদ কোথায়? মক্কার আশেপাশে কোন শহরের নাম আদ, তাহমুদ আছে কি? মক্কা থেকে দেখা যায়?"

এর উত্তরে বলা যায়, মক্কা থেকেই দেখা যাবে যদি তবে কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ কেন বললেন, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ পূর্ববর্তীদের কি পরিণতি হয়েছিল।

(৪০ঃ২১)
"তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না, তাহলে দেখতে পেত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে? তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধরাশয়ী করেছিলেন এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।"
আদ-সামুদও যে এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত তা কুরআন থেকেই প্রমাণ করা যাবে।

অথবা লেখককেই পাল্টা প্রশ্ন করা যেতে পারে সেই শহরের নামটা আপনিই বলে দিন না, যেখান থেকে আদ তাহমুদ দেখা যায়?


وَآخِرُ دَعْوَانا أَنِ الْحَمْدُ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ



২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

মধুমিতা বলেছেন: @ লেখক

ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর সম্পর্কে আপনার অগোছালো বক্তব্য হতাশ করল।

আদ ও সামুদ (তাহমুদ নয়) হচ্ছে দুটি জাতি। তাদের চিহ্ন এখনো বর্তমান। সৌদি আরবের আল-উলা শহরে সামুদ জাতির ধবংসাবশেষ আছে। আর সৌদি আরবের নাজরান, ইয়েমেনের কিছু অংশে আদ জাতির আবাস ছিল। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে জায়গাগুলো ঘুরে এসেছি। আমার ব্লগে পাবেন।

আর আপনি এমনভাবে বলছেন যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরগুলো মক্কার ২/৩ ফুটের মধ্যে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আশাবাদী অধম বিস্তারিত লিখেছেন।

আপনার লেখার ধরন নিয়ে দেখলাম - এগুলো আসলে আপনার কোন গবেষণা নয়। আপনি মূলত ইংরেজি বিভিন্ন লেখা থেকে অনুবাদ করছেন। এর আগের আপনার সবগুলো লেখা আমি অনলাইনে পেয়েছি যা মূলতঃ বাইবেল ও তাওরাতের আলোকে বিভিন্নজনের লিখেছে।

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

আশাবাদী অধম বলেছেন: @মধুমিতা

জাযাকাল্লাহ।
সম্ভবত "সাবা" জনপদ এবং "কওমে তুব্বা" এর ধ্বংসাবশেষও মক্কা থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। কিন্তু লেখকের বেশির ভাগ লেখার সারমর্ম তো একটাই। তাহল, "এই জিনিষ সেই জিনিষ না"।
সুতরাং যদি মুখফুটে বলেই ফেলেন, এই সামুদ সেই সামুদ না, এই আদ সেই আদ না। সেক্ষেত্রে আপনি তো আর হালের বলদ বিক্রি করে বোঝাতে পারবেন না।

আর লেখক যে পশ্চিমা গুরুদের মাইক হিসেবে তাদের লেখাই প্রচার করছেন এরকমটা আমারও ধারণা হচ্ছিল। কিন্তু ওই দিকের পড়াশোনা নেই বলে নিশ্চিত হতে পারিনি।

২২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাই, নতুন লিখা পাচ্ছিনাযে ...

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

নাজমুল (ডেফোডিল) বলেছেন: আরও কিছু তথ্য জানাতে ইচ্ছা হল তাই লিখলাম। ইবনে ইসহাক (704–767 A.D) একজন বিখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ তার সিরাত রসুলাল্লাহ (সাঃ) বইয়ের ৮৫-৮৬ প্রৃষ্ঠাতে উল্লেখ করেছেন 605 A.D তে কুরাইশরা যখন কাবা মেরামত করছিল তখন কাবার কোনে একটা শিলালিপি পাওয়া গিয়েছিল যেখানে syriac ভাষায় যা লেখা ছিল তার ইংরেজী অনুবাদ এই রকম "I am Allah, the Lord of Bakka, I created it on the day that I created heaven and earth and formed the sun and the moon, and I surrounded it by seven pious angels. It will stand while its two mountains stand, a blessing to its people with milk and water.” (Ibn Ishaq, sirat rasulullah, translated by A. Guillaume, Oxford, Clarendon Press, 2004, p. 85-86)."
অথচ লেখক এই আর্কিওলজিকাল রেফেরেন্সকে এক কথায় কোন প্রমান ছারাই মিথ্যা বলতেছেন প্রথম পর্বে বুঝলাম না।

@আশাবাদী - আল্লাহ আপনার জ্ঞ্যান কে আরো বাড়িয়ে দিক এই দোয়া রইল।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

দি এমপেরর বলেছেন: পোস্ট দিয়ে পোস্টদাতা উধাও। আগের পর্বেও ঢুঁ মেরে দেখলাম, সেখানেও সব প্রশ্নের উত্তর দেননি আর আশাবাদী অধমের যুক্তিগুলোও খণ্ডন করেননি। ব্যস, তড়িঘড়ি আরেকটি পোস্ট প্রসব করার বেদনাটুকু সহ্য করে নিলেন। এই জ্ঞান নিয়ে উনি এমন সব পোস্ট করার পেইন সহ্য করেছেন! এই যদি হয় হয় পোস্টদাতার জ্ঞানের বহর, তাহলে তার পোস্টে আমি ঈষদুষ্ণ লবণাক্ত পানি প্রবাহিত করতে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.