নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফানডামেনটাল

;

হানিফঢাকা

So peace is on me the day I was born, the day that I die, and the day that I shall be raised up to life (again) (১৯:৩৩)

হানিফঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ক্রিপচার রিভিউ- দ্য গ্রীক বাইবেল/ নিউ টেস্টামেন্ট

২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮



নিউ টেস্টামেন্ট হচ্ছে খৃস্টানদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ যা প্রথমে গ্রীক ভাষায় রচনা করা হয়েছিল এবং এর সাথে ইহুদীদের ওল্ড টেস্টামেন্ট কে এক সাথে করে খৃস্টানরা তাদের পবিত্র গ্রন্থ ক্রিশ্চিয়ান বাইবেল গঠন করে। এই গ্রীক বাইবেল মুলত ২৭ টি ভিন্ন পুস্তকের সমন্বয়ে গঠিত যার প্রথম চারটি কে বলে গস্পল (গস্পল অফ ম্যাথিও, গস্পল অফ মার্ক, গস্পল অফ লুক, গস্পল অফ জন) । এর পরে রয়েছে এক্টস অফ এপ্সটলস বা এক্টস অর্থাৎ বিভিন্ন ধর্ম প্রচারকদের বিভিন্ন কার্যকলাপ । এই চারটি গস্পল এবং এক্টস -সর্বমোট পাচটি পুস্তকের পরে আছে ২১ টি ইপিস্টলস- অর্থাৎ বিভিন্ন ধর্ম প্রচারকদের মধ্যে বিভিন্ন পারস্পরিক যোগাযোগ, লেখা চিঠি, বিভিন্ন ধর্মীয় উপদেশ ইত্যাদি। এই ২১টি ইপিস্টলের মধ্যে ১৩ টিকে ধারনা করা হয় পলের- যাকে খৃস্টান ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়। এর পরে আছে “ বুক অফ রিভুলেশন”- যেখানে বিভিন্ন মিথিকাল কাহিনী, ভবিষ্যতবাণী বর্ণনা করা হয়েছে। এই ২৭ টি পুস্তকের মুল লেখক অজানা। উদাহরণস্বরূপ, “গস্পল অফ মার্ক” এর লেখক যে এপ্সটল মার্ক এর কোন প্রমান নেই।

এই চারটা মুল গসপলের মধ্যে প্রথম তিনটা গসপলকে সাইনপ্টিক গসপল বলা হয়। জনের গসপল কে মুলত চতুর্থ গসপল বলা হয়। এই তিনটা সাইনপ্টিক গসপলের মধ্যে জিসাসের বিভিন্ন ঘঠনার একইরকম বর্ণনা আছে। জিসাসের বিভিন্ন ঘঠনার বর্ণনার মধ্যে মার্কের গসপলকে সবচেয়ে পুরাতন বলা হয় কারন মার্ক জিসাসের যেসব ঘঠনার বর্ণনা দিয়েছে, অন্য দুইজনের গসপলেও একই বর্ণনা এসেছে, কিন্তু এর বিপরীত দেখা যায় না। প্রসঙ্গক্রমে এইখানে বলে রাখি, ম্যথিও এবং জন হচ্ছে জিসাসের সহযোগী, মার্ক এবং লুক হচ্ছে পলের সহযোগী। পলের চিঠি থেকে বুঝা যায় যে এই দুই গ্রুপের মধ্য প্রাথমিক দিকে রেষারেষি ছিল পরে (টাকা পয়সার বিনিময়ে )সেটল হয়েছিল।

এই ক্রিশ্চিয়ান বাইবেল সময়ের সাথে সাথে পরিবর্ধন, পরিমার্জন হয়েছে। নিউ টেস্টামেন্টর বিভিন্ন গ্রন্থ লেখার সময়কাল ধারনা করা হয় প্রথম শতাব্দীর শেষের দিকে (খৃস্টাব্দ ৭০ থেকে ১০০ এই সময়ে) অর্থাৎ পলের জীবনকালের শেষের দিক থেকে তার মৃত্যুর পরবর্তী কালে। যদিও ঐ সময়ে প্যালেস্টাইন এবং জেরুজালেমে আরামিক ভাষা প্রচলিত ছিল , নিউ টেস্টামেন্ট মুলত লেখা হয়েছে গ্রীক ভাষায় কারন গ্রীক ভাষা তখন অভিজাত ভাষা হিসাবে গন্য ছিল, এবং ধর্মীয় টেক্সট সবসময় অভিজাত ভাষায় লেখা হত। স্কলাররা এখন নিশ্চিত যে চারটা মুল গসপলের কিছু কিছু অংশ আরামিক ভাষায় রচতি ভিন্ন ভিন্ন গ্রন্থ থেকে কপি করা হয়েছে।

চতুর্থ শতাব্দীর দিকে বিভিন্ন কাউন্সিলের মাধ্যমে এই নিউটেস্টামেন্টের বিভিন্ন গ্রন্থ গুলিকে যাচাই বাছাই করে নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যে রেখেছেন এবং অনেক গ্রন্থ কে সন্দেহপূর্বক (এপক্রিফা) বলে বাদ দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রধান উল্লেখযোগ্য তিনটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ৩২৫, ৩৬৪, ৩৯৭ সালে যথাক্রমে নাইকিয়া, লুডিশিয়া, এবং কার্থেজে। প্রতিবারই পূর্বের কাউন্সিলের সন্দেহ পুর্বক বলে বাতিল করা গ্রন্থ গুলিকে পরের কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্তি করা হয়। (এর ইতিহাস অনেক বড়, এবং ইন্টারেস্টিং)। এর অনেক পরের দিকের কাউন্সিল গুলিতে আগের সব গ্রন্থ যা সন্দেহ পূর্বক বলে বাতিল করা হয়েছিল তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর পর প্রোটেস্টেন্ট রিফ্রমেশনের আগে পর্যন্ত নিউ টেস্টামেন্টের মধ্যে আর কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্তি বা বাতিল হয়নি।

বর্তমান অনেক বাইবেল স্কলার এই ধারনা পোষন করেন যে গস্পল কে সম্পূর্ণভাবে ঐতিহাসিক কাহিনীর দৃস্টিকোন থেকে দেখা যাবেনা কারন এইটা কোন ঐতিহাসিক গ্রন্থ না। মুলত গস্পলে বর্ণিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনা এবং বর্ণিত জিওগ্রাফীর সাথে সাথে সমসাময়িক কালের বিভিন্ন ইতিহাসবিদের একই বর্ণনা এবং বর্তমান জিওগ্রাফীর বর্ণনার মধ্য অনেক বৈপরীত্য দেখা যায়। একটা সাধারণ উদাহরণ দেই, যেমন ঃ জুডিয়ার ( জুডিয়া আর জুডা এই দুইটা দুই টার্ম। জুডিয়া বলতে ল্যান্ড অফ জিউ বা ইহুদীদের ভুমি বুঝানো হয়, আর জুডা হচ্ছে ইস্রায়েলী কনফেডারেশনের একটা ট্রাইব বা গোত্র ) রাজা কিং হেরোড যখন শুনল মেসাইয়া জন্ম নিয়েছে এবং ম্যাগাইরা তার অনুসন্ধান করছে, তখন তিনি তার রাজ্যের সমস্ত শিশুপুত্র যাদের বয়স দুই বছর বা তার কম তাদেরকে হত্যা করার আদেশ দেন। রাজা হেরোডের সময়কাল হচ্ছে খ্রিস্ট পুর্ব ৩৭ থেকে খৃস্টাব্দ ৪ সাল পর্যন্ত। এবং তিনি একজন সুপরিচিত ঐতিহাসিক ব্যাক্তি। তার সমকালীন কোন ঐতিহাসিকের বর্ণনা থেকে এই ধরনের কোন রকম ঘঠনার কোন রকম সামান্যতম কোন ইঙ্গিত বা বর্ণনা নেই।

নিউ টেস্টামেন্ট মনোযোগ দিয়ে পড়লে দেখা যাবে যে নিউ টেস্টামেন্ট লেখার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে জিসাস কে বহুল প্রতীক্ষিত ইস্রায়ালী মেসাইয়া হিসাবে প্রমান করা। এর স্বপক্ষে প্রচুর উদাহরণ দেওয়া যায়। নিউ টেস্তমেন্টের বিভিন্ন যায়গায় জিসাসের কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে লেখকগন ওল্ড টেস্টামেন্টের জিসাস সংক্রান্ত বিভিন্ন ভবিষ্যৎবানীর (বেশির ভাগই আইজায়ার ভবিষ্যতবাণী) রেফারেন্স টেনে প্রমান করতে চেয়েছেন যে জিসাস হচ্ছে ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত প্রতীক্ষিত মেসাইয়া। সম্ভবতঃ জিসাস সংক্রান্ত এই সব কাহিনীগুলি ওল্ড টেস্টামেন্টের বিভিন্ন ভবিষ্যৎবানী পূর্ণ করার লক্ষ্যে বানানো হয়েছে। যেমন ম্যাথিও তে বর্ণনা আছে জিসাসের জন্মের পর কিং হেরোডের ভয়ে তার পিতা মাতা ইজিপ্টে পালিয়ে যায়। এই ঘটানা বলার পর পরই এটাকে ওল্ড টেস্টামেন্টের সাথে লিঙ্ক করে দেখানো হয়েছে ওল্ড টেস্টামেন্টের ভবিষ্যতবাণী পুরন হয়েছেঃ

He remained there until the death of Herod. This was to fulfill what had been spoken by the Lord through the prophet: "OUT OF EGYPT I CALLED MY SON." (Matthew 2:15)

এই ভার্সের সাথে লিঙ্ক করা হয়েছে ওল্ড টেস্টামেন্টের Exodus 4:22, Numbers 24:8, Hosea 11:1। প্রতিটা গস পলে এই রকম প্রচুর উদাহরণ আছে।

নিউ টেস্টামেন্টের মুল চরিত্র যদিও জিসাস, তবু তার জীবনের প্রাথমিক দিকের কোন তথ্য গসপলের মধ্যে পাওয়া যায় না। এর একটা সুন্দর ব্যাখা আছে। অনেক স্কলারা ধরানা করেন যে গসপলে জিসাসের জীবনের তিন মাসের মত সময়ের বর্ণনা আছে। গসপল এবং পলের বর্ণনা অনুসারে আমরা যদি জিসাস সংক্রান্ত বর্ণিত তথ্য একসাথে করি, তবে কিছু ইন্টারেস্টিং বিষয় দেখতে পাই। নিউ টেস্টামেন্ট যতই এডিট করা হোক না কেন, এখনও এর মধ্যে জিসাসের সত্যিকার পরিচয় বের করা যায়। একটা উদাহরণ দেইঃ পলের বর্ণনা অনুযায়ী জিসাস হচ্ছে জুডা ট্রাইবের সন্তান, কিং ডেভিডের বংশধর (পল হচ্ছে বেঞ্জামিন গোত্রের সন্তান) এবং ইস্রায়েলি সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। (এই জুডা এবং অন্যান্য ইস্রায়েলী ট্রাইবের মধ্যে একত্রিত হওয়ার পর থেকেই বিদ্বেষ ছিল সেই প্রথম থেকেই -এক্সডাসের পর থেকে তৎকালীন জেরুজালেমেও) সে জেরুজালেমে এসেছিল তার প্রাপ্য অধিকার বুঝে নিতে।

নিউ টেস্টামেন্টে বর্ণিত জিসাসের বিভন্ন কার্যকলাপ যদি একটু ভাল্ভাবে লক্ষ্য করা যায় তাহলে বুঝা যাবে সে ছিল একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। তার মুল উদ্দেশ্য ছিল তার পূর্ব পুরষের হারানো সিংহাসন উদ্বার করা, যা বংশানুক্রমে তার অধিকার (ডেভিডের বংশধর)। চারটি গসপলেই জিসাস কে বলা হয়েছে “নাযরানি” (the Nazarene)। খ্রিস্টাব্দ তৃতীয় শতকের আগে নাযরাত নামক কোন শহরের অস্তিত্বের কোন প্রমান নেই। মুসলমানদের ভাল করেই জানার কথা নাযরান কোথায়, এবং নাসারা কারা।

যদিও তিন জন গসপল লেখক জিসাসের মায়ের নাম বলেছেন “মেরি”, জন এই ব্যাপারে নিরব ছিল। জনের ভাষ্য অনুযায়ী “মেরী” হচ্ছে জিসাসের খালার নাম। যাই হোক নিউ টেস্টামেন্টের ঘটনাবলীতে তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থা এবং ইস্রায়েলীদের নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দলের বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। পলের লিখিত চিঠি এনালাইসিস করলে খৃস্টান ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে সাম্যক ধারনা পাওয়া যায়। এইখানে একটা কথা বলা যেতে পারেঃ

“ইহুদীরা সঠিক ছিল। জিসাস হিব্রু বাইবেলের বর্ণিত প্রতীক্ষিত মেসাইয়া না" কোরআনে বর্ণিত ঈসা এবং নিউ টেস্টামেন্টের জিসাস এক ব্যাক্তি না। দুই জন সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই ব্যাক্তি – ভিন্ন সময়ের।

যারা এতক্ষণ কস্ট করে এই লেখাটা পড়েছেন, তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কোরআনে বর্ণিত ইঞ্জিল এবং খৃস্টানদের নিউ টেস্টামেন্ট একই জিনিস না। কোরআন সম্পূর্ণ ভিন্ন ইঞ্জিলের কথা বলছে- যা নবী ঈসা কে দেওয়া হয়েছিল, গসপল লেখকদের গসপলের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু যে কেউই প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহলে গসপলের জিসাস সম্পর্কিত কিছু কাহিনীর সাথে কোরআনের কাহিনীর মিল কিভাবে আসল? এর উত্তর হচ্ছে, কোরআন অনেক ক্ষেত্রে ইঞ্জিলের কাহিনী বর্ণনা করেছে এবং গসপল লেখকরা কোন ভাবে সেই ইঞ্জিলের কিছু অংশের (সম্ভবত বিকৃত ভার্সন- আরামিক ভাষায় লিখিত) সন্ধান পেয়েছিলেন।

এর উত্তর লুকিয়ে আছে পলের আরাবিয়া ভ্রমণের মধ্যে। জিসাস যখন ভিসনের মাধ্যমে পলকে দেখা দিল, তখন পল কেন জেরুজালেমে না গিয়ে আরাবিয়াতে গিয়েছিল, সেখান থেকে সে কি নিয়ে ফিরে এসেছিল। পল কে ভালভাবে স্টাডি করলেই জিসাসের আসল পরিচয়, গসপল লেখকদের লেখার উৎস এবং খৃস্টান ধর্মের উৎপত্তি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। পলের একটা উক্তি যা আপনাদের মনে চিন্তার খোরাক যোগাতে পারেঃ

For it is written that Abraham had two sons: the one by a bondmaid, the other by a freewoman. But he who was of the bondwoman was born after the flesh; but he of the freewoman was by promise. Which things are an allegory: for these are the two covenants; the one from the mount Sinai, which gendereth to abondage, which is Agar. For this Agar is Mount Sinai in Arabia, and answereth to Jerusalem which now is, and is in bondage with her children. (Gal. 4 :22-25)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আগ্রহ জাগানিয়া সিরিজ :)

অনেক কষ্টসাধ্য পোষ্টে ++++

২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৮

হানিফঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

নতুন বলেছেন: হানিফ ভাই, আরো জটিল লেখা চাই। :) নতুন কোন অজানা বিষয়ে নিয়ে ।

যদি ধম` গ্রন্হের রচিয়তার খোজ না থাকে সেই অবস্থা থেকে কিভাবে খৃস্টিয় ধম` বিশ্বের ১ নং ধমে পরিনত হয়েছে???

আর কোরানে কি কখনোই কোন এডিটিং হয় নাই? কোরআন ও কি ১০০% রাসুল সা: এর কাছে নাজিল হওয়া কোরান?

হাদিসে কিন্তু অনেক এডিটিং হয়েছে এবং ইমামরা এবং বত`মানের ফোতোয়াবাজেরা পুরা ১৩-১৪টা বাজাইতেছে ধমের।

২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: যদি ধম` গ্রন্হের রচিয়তার খোজ না থাকে সেই অবস্থা থেকে কিভাবে খৃস্টিয় ধম` বিশ্বের ১ নং ধমে পরিনত হয়েছে??? - ধর্মের প্রসারে ধর্ম গ্রন্থের ভুমিকা অনেক কম। ধর্মের প্রসার বেশি ঘটেছে ধর্মগ্রন্থ কে ব্যাবহার করে, ধর্মগ্রন্থ দ্বারা নয়। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।

আর কোরানে কি কখনোই কোন এডিটিং হয় নাই? কোরআন ও কি ১০০% রাসুল সা: এর কাছে নাজিল হওয়া কোরান? এডিটিং বলতে আপনি কি বুঝেন তার উপরে উত্তর নির্ভরশীল। হাদিস অনুযায়ী কোরআন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে পরিবর্ধন, পরিমার্জন, বিভিন্ন আয়াত যোগ বিয়েোগ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এইসব সহিহ হাদিস আপনি কতটা বিশ্বাস করেন তার উপর। আপনি হাদিস মনে প্রানে বিশ্বাস করেন কিন্তু কোরআনে কো্ন পরিবর্তন হয়নি এই ধারণা পোষণ করেন- এইটাকে বলে হিপক্রেসি। এইটার উত্তর অনেক বড়, স্বল্প পরিসরে দেওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:০০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: <<<<<<<<<<<<<
ধর্মের প্রসারে ধর্ম গ্রন্থের ভুমিকা অনেক কম। ধর্মের প্রসার বেশি ঘটেছে ধর্মগ্রন্থ কে ব্যাবহার করে, ধর্মগ্রন্থ দ্বারা নয়। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।


তাহলে ধমের নিজের গুনের চেয়ে রাজনিতিক ভাবে এর বিস্তার বেশি হয়েছে.... :)

আর কোরানে কি কখনোই কোন এডিটিং হয় নাই? কোরআন ও কি ১০০% রাসুল সা: এর কাছে নাজিল হওয়া কোরান? এডিটিং বলতে আপনি কি বুঝেন তার উপরে উত্তর নির্ভরশীল। হাদিস অনুযায়ী কোরআন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে পরিবর্ধন, পরিমার্জন, বিভিন্ন আয়াত যোগ বিয়েোগ হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এইসব সহিহ হাদিস আপনি কতটা বিশ্বাস করেন তার উপর। আপনি হাদিস মনে প্রানে বিশ্বাস করেন কিন্তু কোরআনে কো্ন পরিবর্তন হয়নি এই ধারণা পোষণ করেন- এইটাকে বলে হিপক্রেসি। এইটার উত্তর অনেক বড়, স্বল্প পরিসরে দেওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।

এখন হাদিসে বিশ্বাস না... আমি ফ্যাক্টটা জানতে চাচ্ছি... :) আসলেই কি কোরানে কাটা ছেড়া হয়েছিলো? রাসুল নিজে যেহেতু এখনকার কোরান ( আয়াতের ক্রম,সংখ্যা, ইত্যাদি) দিয়ে জাননাই। তাই এই সংকলন যারা করেছিলো তারা কি ১০০% সহী রাসুল সা: এর কাছে যেই কোরান এসেছে তাই আছে?

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

হানিফঢাকা বলেছেন: তাহলে ধমের নিজের গুনের চেয়ে রাজনিতিক ভাবে এর বিস্তার বেশি হয়েছে.... :) - এইখানে ধর্মের গুনের কথা টেনে আনছেন কেন? সব ধর্মেই ভাল উপাদান আছে। সুতরাং ধর্মের গুন এইখানে মুখ্য না। আমি যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে ধর্মের প্রচার ঘটেছে মুলত ধর্ম প্রচারক এবং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা (এখানে রাজনৈতিক বলতে পলিটিক্যাল, ইকনোমিক, সোশ্যাল ফ্যাক্টর) কাজ করেছে। প্রাচীন কালে রাজার ধর্মই রাষ্ট্রের ধর্ম এই নীতি ছিল। এর প্রচুর উদাহরণ আছে।

যেমন ইহুদীদের ক্ষেত্রে, সেবাইনদের হটিয়ে হিমায়ের বংশ যখন ক্ষমতায় আসে, অথবা খাযারার রাজা যখন ইহদী ধর্ম গ্রহণ করে
খৃষ্টানদের ক্ষেত্রে রোম সম্রাট খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরে খৃস্টান ধর্মের প্রসার ঘটে
মুসলমানদের ক্ষেত্রে--- বলতে চাচ্ছিনা।

এইগুলি হচ্ছে প্রাচীন কালের উদাহরণ। এইরকম মধ্য যুগের উদাহরণ ও দেওয়া যায়। মধ্য যুগে ধর্ম প্রচারকদের ভুমিকা বেশি ছিল কিন্তু রাস্ট্রের হেভি সাপোর্ট ছিল। কোন যুগেই কিন্তু মানুষ ধর্ম গ্রন্থ পড়ে ধর্ম গ্রহণ বা পরিবর্তন করেনি (আমি মাস পিপলের কথা বলছি, ১০-১৫ জন ব্যতিক্রম মানুষের কথা বলছি না)

বর্তমানেও এর উদাহরণ দেওয়া যায়। বর্তমানে রাষ্ট্রের চেয়ে ধর্ম প্রচারকদের ভুমিকা অনেক বেশী। রাষ্ট্রের ভুমিকা প্রায় নগণ্য।

যেমন ইউটিউবে অনেক মসুলিম প্রিচারদের ভিডিও দেখতে পারেন। যেমন আপনি দেখবেন জাকির নায়েকের লেকচার শুনে অনেকে মুসলমান হচ্ছে। যে বা যারা মুসলমান হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কয়জন আগে ধর্মগ্রন্থ পড়ে মুসলমান হয়েছে? বরং তারা লেকচার শুনে মুগ্ধ হয়েই মুসলমান হচ্ছে। একই উদাহরণ খৃস্টান প্রিচারদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ধর্ম গ্রন্থের ভুমিকা কম থাকার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ধর্ম গ্রন্থের ভাষা। কারণ, ধর্ম গ্রন্থ সব সময় এলিট পিপলদের (উচ্চ শ্রেনী এবং যাজক/মোল্লা/রাবাই ইত্যাদি) ভাষায় লেখা হয়েছিল, সাধারন আমজনতার ভাষায় নয়। তাই আম জনতা কে যা বলা হত তাই বুঝত। কোরআন এই ব্যাপারে ব্যতিক্রম। ভাষা বৈষম্যই ছিল ধর্ম প্রচারকদের বড় হাতিয়ার। এই কথা এখনো অনেকাংশে সত্য।
ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০৫

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়ছি এই সিরিজ, ব্লগার "নতুন" এর কমেন্ট এর উত্তরে কি আসে তা দেখছি, আজ থেকে ৫ - ৭ বছর আগেও ব্লগে এ ধরনের পোস্টে দারুন প্রানবন্ত আলোচনা হতো, কিন্তু এখন হয়না, সবাই খোলসের ভিতর ঢুকে পড়েছে..........

তবে আপনি অতিশয় উচ্চমানের গবেষণাধর্মী লেখক, আপনার এই দারুন লেখনি থামাবেন না এটা আশা করতেই পারি...... এই ফ্ল্যাটফর্মে না হলেও অন্য কোন ফ্ল্যাটফর্মে...............

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১১

কাউয়ার জাত বলেছেন: আলিফ!
ভালো আছেন জনাব? চাকরি-বাকরি ভালো?
আহমাদ সুবহি মনসুর মার্কা পাণ্ডাদের লেখা অনুবাদ করে নিজের নামে চালিয়ে "কুরআন মানি হাদীস মানিনা" মতবাদ আবার কবে প্রচার শুরু করবেন?
অপেক্ষায় থাকলাম!!!

১১ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

হানিফঢাকা বলেছেন: জ্বী ভাল আছি।

আহমাদ সুবহি মনসুর- এই নামে কোন লেখককে এখনও পর্যন্ত চিনি না এবং উনার কোন বই এখন পর্যন্ত পড়িনি।

ধন্যবাদ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.