নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরাইখানা

পথে থাকি, পথেই ঘুমাই, পথেই কাটে সারাবেলা পথভোলারা পথ পুছিলে নেই না কোন অবহেলা

নিরীহ জন

নিরীহ জন › বিস্তারিত পোস্টঃ

'শান্তি' একতরফা নয়...........

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৯

শান্তিকে আপনার 'একতরফা' ভাবাটাই ভুল হবে। শান্তি শুধু আপনার জন্য নয়; অন্যের জন্যও। আবার যদি মনে করেন অশান্তি সৃষ্টি আপনার অধিকার সেটা হবে আরও ভুল। অশান্তি সৃষ্টির অধিকার লাভে শান্তির জন্য আত্মচিকার পিশাচের আত্মচিত্কারের মতই শোনায়। কেউ যদি শান্তির এই সহজ সংজ্ঞা না বুঝে তাহলে তিনি যতই ‘শান্তি’ ‘শান্তি’ বলে চেচাবেন, অশান্তি ততই বাড়বে। দূষিত হবে পৃথিবীর আকাশ বাতাস।

আপনি চিনেন না মানুষের মর্যাদা, বুঝেন না মানুষের অধিকার। মানুষের শ্রদ্ধা আর সম্মানের জায়গাগুলো আপনার নিকট অশান্তির কারণ। যত নোংরামি আর কদর্যতা আছে সবই আপনি এক করেন এক অসুরিক অধিকারবলে। মানুষের বিশ্বাস ও মর্যাদাবোধের জায়গায় অনবরত আঘাতেই এক পৈশাচিক প্রশান্তি বোধ করেন। ভাবেন, আপনিই শান্তির দেবদূত হয়ে পৃথিবীতে জায়গা পাওয়ার যোগ্য। ভাবতেই পারেন। কিন্তু এভাবে আর যাই হোক শান্তি আসে না। কারণ ঐ একই। শান্তি একতরফা নয়। মানুষকে আঘাত করা আপনাকে ছাড়তে হবে। ছাড়তে হবে নোংরামি। বিরোধিতা করলেও যৌক্তিক বিরোধিতায় আসতে হবে। যুক্তির বলে পরাস্ত হলে ‘পাগল’ হওয়ার পরিবর্তে মেনে নিতে হবে।

প্যারিসের কথিত পত্রিকাওয়ালারা যা করেছে এবং এখনও যা করার ঘোঘণা দিচ্ছে এগুলো স্পষ্ট সন্ত্রাস। মত স্বাধীনতার নামে ‘সন্ত্রাস’। এ সন্ত্রাস যারা করেছে, তাদের আর যাই হোক, পরবর্তীতে ক্ষোভ-পরিস্থিতি অনুধাবন করে কিছুটা হলেও সংযত হওয়া উচিত ছিল। উচিত ছিল এটুকু বোঝার বিষয়টা স্পর্শকাতর। মুসলমানরা ‘তাঁর’ সম্মান ও মর্যদা রক্ষায় সদা-সর্বদা বদ্ধপরিকর। অন্তত এটুকু আপনি বুঝতে পারতেন- আপনি যা করছেন ক্ষোভের পরিবর্তে এর কল্যাণকর দিক খুব একটা নেই। কিন্তু না, আপনার বিদ্বেষ, একধরণের পরিশ্রীকাতা কিংবা অজানা প্রতিশোধপরায়নতা আপনাকে নিরস্ত হতে দিল কই। অবশেষে আপনি জানালেন এ আপনার অধিকার। আহ! অধিকার শব্দটা এখানে কত মাযলুম। ‌'অধিকার' শব্দটা তো মানুষের জন্য ছিল, কোন পশুর জন্য নয়........

বিশ্ব নেতারা শান্তির স্বপক্ষে র‌্যালি করলেন। সেখানে অংশগ্রহণ করলেন পৃথিবীর নব্য কসাই খ্যাত বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কত শিশু আর নিরপরাধ মানুষের খুনের স্বপ্নে তার ঘুম ভাঙে সে ইতিহাস একদিন মানুষ লিখবে। এই র‌্যলিতে ‘শান্তি’ শব্দটা যতটা মহিমান্বিত হওয়ার কথা ছিল তার অংশগ্রহণে ততটাই কলঙ্কিত হল। এ কলঙ্ককে পূর্ণতা দেবার জন্যই প্যারিসের সেই পত্রিকাওয়ালারা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব, সর্বশেষ নবী, যিনি তাঁর উম্মতদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন অন্য সকল নবীদেরকে তাঁর মতই শ্রদ্ধা করতে, তার ব্যঙ্গচিত্র আবারো তারা আঁকবে। আরো ব্যাপকভাবে, উদ্ধত অবয়বে। আঁকতে পারবে। তবে শান্তির এই এক তরফা সংজ্ঞা ততদিনই মুসলমানরা মানবে যতদিন মুসলমানরা দুর্বল। যদি একজন মাত্র মুসলমানও নিজেকে সবল ভাবে সে শান্তির এই সংজ্ঞা ভেঙে দিতে উদ্যোগী হবে...........

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.