নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান ইকবাল-এর লেখালেখির অন্তর্জাল।

হাসান ইকবাল

.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।

হাসান ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কন্যা শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবীতে বিশ্ব শিশু সপ্তাহ পালন

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩



বিশ্ব শিশু সপ্তাহ ২০১৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শিশু স্পন্সরশিপ সংস্থা গুলোর নেটওয়ার্ক গতকাল শনিবার (৫ই অক্টোবর ২০১৩) শিল্পকলা একাডেমী ঢাকার ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারীতে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকাল ৮:৩০টায় কয়েকশত সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং ৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রেসক্লাব হতে শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হবার কথা থাকলেও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হয়।

সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।এতে সভাপতিত্ব করেন শিশু ফোরামের সদস্য "শুভলতা"। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, বিচার না পেয়ে অনেক মেয়েশিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এখন থেকে যেখানে এ ধরনের অপরাধ হবে, সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।

মিজানুর রহমান বলেন, দেশের শিশু ও বৃদ্ধদের দেখাশোনার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ, সরকার শুধু আইন করে, তা বাস্তবায়ন করে না। তাই শিশুদের নিরাপত্তায় সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

শিশুরা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কি ধরণের নির্যাতন পায় অথবা মেয়ে শিশুদের নির্যাতিত হতে দেখে এবং এই ধরণের নির্যাতন কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা ও কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এই আলোচনা শিশু নির্যাতন বিশেষভাবে মেয়ে শিশুর উপর নির্যাতন বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃবৃন্দ, নীতি-নির্ধারক এবং সুশীল সমাজের সংগঠন সহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও অঙ্গীকারাবদ্ধ করবে। উন্মুক্ত আলোচনায় উঠে আসে কন্যা শিশুর প্রতি নির্যাতন, ইভ টিজিং, বাল্য বিবাহ ও সহিংসতার কথা। আন্তর্জাতিক শিশু স্পন্সরশিপ সংস্থা গুলোর নেটওয়ার্কভূক্ত বিভিন্ন সংস্হা থেকে আগত কন্যা শিশুরা তাদের নিজেদের কথা তুলে ধরে।

স্পন্সরশিশু ও নেটওয়ার্ক সংস্থার কর্মীসহ প্রায় ৪০০ জন এই কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ করে। নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কেও জোরদার, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শিশুদের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে তাদের উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করা এবং কর্ম এলাকার দ্বৈততা এড়ানোর লক্ষ্যে ২০১০ সালের ১০ই মার্চ এই নেটওয়ার্ক এর যাত্রা শুরু হয়। নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলো হলো একশনএইড, ফুড ফর দ্য হাংরি এসোশিয়েশন, ফুনডাসিয়ন ইন্টারভিডা, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.