নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান ইকবাল-এর লেখালেখির অন্তর্জাল।

হাসান ইকবাল

.... ছেলেবেলার দুরন্ত শৈশব কেটেছে নেত্রকোনায়। আর সবচেয়ে মধুর সময় ছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দিনগুলি। আর এখন কাজ করছি সুবিধাবন্চিত শিশুদের জন্য একটি স্পানিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায়।

হাসান ইকবাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

না ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি সাঈদ আখন্দ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪২



সাঈদ আখন্দ (Sayeed Akhand) নব্বই দশকের কবি। দৈনিকের সাহিত্য পাতায় তার খুব একটা উপস্হিতি ছিলনা কিছুদিন ধরে, তবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকে একসময় তিনি সরব ছিলেন। তিনি ছিলেন নিভৃতচারী কবি ও সংগঠক।



আমি সাঈদ আখন্দের অনেক কবিতাই পড়েছি। তার কবিতায় দেশ-কাল, রাজনীতি, সমাজের বৈষম্য, মানবিক মূল্যবোধ, প্রেম ও দ্রোহ সমসাময়িকতায় স্হান পেয়েছে পরম্পরায়। সহজ, সরল, নিজস্ব এক কাব্যচেতনায় তিনি কবিতা লিখতে পছন্দ করতেন।



সাঈদ আখন্দের কবিতায় রয়েছে এমন এক চৌম্বক শক্তি যা পাঠককে আক্রান্ত করে আশ্চর্যরকম মোহাবিষ্টতায়। কবিতা যে শুধু শিল্পের জন্য শিল্প নয়- হ্বদয়ের ফল্গুধারায় স্বত:স্ফুর্ত স্ফুরণ, সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার সে স্বাক্ষর রেখে গেছেন তার কবিতায়। তার কবিতায় উদ্ভাসিত হয়েছে শক্তিশালী কাব্যভাবনা ও স্বকীয় কাব্যচেতনার নিরন্তর প্রয়াসে। ইদানিংকার আধুনিক কবিতা যেখানে সাধারণ পাঠকের কাছে একধরনের ভীতি ও আতন্ক, সেখানে সাঈদ আখন্দের কাব্যভাষা যে কোনো পাঠককেই কবিতার দিকে নিয়ে যায়।



তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্হের মধ্যে রয়েছে-

বৃষ্টিধারায় রক্তের স্রোত (১৯৯৩)

প্রেমিক ও বিপ্লবী (২০০১)

পুড়ে যাই প্রেমে ও আগুনে (২০০৩)

বেঁচে আছি সন্তাপে-সম্ভোগে (২০০৫)

স্বপ্ন ভাসে রক্তজলে (২০১০)

জলের আগুনে জ্বলে পড়শীর মুখ (২০১৩)



কবিতার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি 'জসীমউদ্‌দীন পুরস্কার ১৪০৩, দক্ষিণ বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি পদক-১৪০৬, কবি জীবনানন্দ দাশ পুরস্কার-২০০১, খুলনা রাইটার্স ক্লাব পদক-২০০২-এ ভূষিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের কাব্যান্দোলনে তিনি সক্রিয় জড়িত ছিলেন।



তার সর্বশেষ ও ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্হ 'জলের আগুনে জ্বলে পড়শীর মুখ' প্রকাশিত হবার পর একদিন ঢাকায় কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়ামের তার কার্যালয়ে আমাকে বইটি দিলেন। বইটি পড়তে পড়তে আমি অভিভূত হয়েছি। তার বইয়ের পোস্তানিতে আমাকে লিখে দিয়েছিলেন আমার প্রতি তার শুভ কামনাটুকু।



সাহিত্যের সহযাত্রী

হাসান ইকবাল

প্রিয়বরেষু

আমৃত্যু সুন্দরের সাথে থাকুন-

-সাঈদ আখন্দ

২০/০৯/২০১৩



আমি যতবারই তার কাছে যেতাম সদালাপী এই মানুষটি আমার লেখা কবিতার ব্যবচ্ছেদ করে দিতেন, ভুলগুলি ধরিয়ে দিতেন। হতো ঘন্টার পর ঘন্টা লেখালেখি নিয়ে আড্ডা।



সাঈদ আখন্দের জন্ম জামাল পুর জেলার সদর উপজোলার নান্দিয়ায়। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। তার দুই সন্তান রয়েছে অতন্দ্র ও অনন্ত। গত ১ জানুয়ারি ২০১৫ তিনি কমলাপুরে সাইকেলে চড়ে আসার সময় চলন্ত কাভার্ড ভ্যান জোড়ে ধাক্কা দিলে তিনি মৃত্যুবরন করেন।



তার মৃত্যুর খবরটা পেলাম আমি অনেক দেরীতে। তারপর কনকর্ড এম্পোরিয়ামে তার জন্য শোকবার্তা দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিলাম। অনেককেই ফোন করলাম, আমার মুঠোফোনে তার নাম্বারটির দিকে তাকালাম। আর কোনোদিন কথা হবেনা।



তার অকালে চলে যাওয়াতে তার পরিবারের সাথে আমরাও ব্যথিত। আমরা একজন সাহিত্যের সহযাত্রীকে হারালাম। অতন্দ্র ও অনন্ত হারালো তার প্রিয় বাবাকে।



হাসান ইকবাল

১০ জানুয়ারি ২০১৫,শনিবার।

শাহবাগ, ঢাকা।









মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

কানাই স্যার বলেছেন: ইন্না...

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

উনার অাত্মার শান্তি কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.