নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুযোগ পেয়ে একটু-আধটু লিখার চেষ্টা করছি এই আর কি...

হাসানুর

আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং জানি আমার বাক স্বাধীনতা কতটুকু ।

হাসানুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইটানিক ডুবে যাক, হাজার হাজার যাত্রী মরে যাক ৷ জ্যাক ও রোজ বেঁচে থাক ৷

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭



টাইটানিক জাহাজে যাত্রী সংখ্যা ছিলো ২২৩০ জন ৷ জীবিত উদ্ধার হয়েছিল ৭০৬ জন ৷ ডুবে প্রাণ হারায় মোট ১৫২৪ জন যাত্রী ৷
টাইটানিক মুভিতে দেখা যায়, অধিকাংশ যাত্রী পানিতে ডুবে মারা যায় ৷ কিন্তু মুভির হিরো "জ্যাক" বরফ শীতল পানিতে শূন্য ডিগ্রি তাপমাত্রার কারণে মারা যায় ৷
একজন দর্শক যখন মুভিটি দেখে তখন তিনি জ্যাকের মৃত্যুতে যতটা শোকাহত হন, জাহাজের অন্যান্য যাত্রীদের জন্য তার ততটা শোক হয় না ৷ তখন দর্শকের অবস্থা হয় এমন যে, সব মরে যাক তবুও নায়ক জ্যাক বেঁচে থাক ৷
কখনো কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, কেনো এমন হলো? মানুষ হিসেবে সকল যাত্রীর মৃত্যুতে সমান দুঃখ পাবার কথা ছিলো ৷ অথচ নায়ক জ্যাকের প্রতি দর্শকের এতো দরদ হয় কেনো?
জ্যাক একজন জুয়াড়ী, মদ্যপ, ধুমপায়ী, অশ্লীল ছবি অঙ্কনকারী, সর্বপরি জ্যাক এজন ব্যভিচারী ৷ এতকিছুর পরও দর্শকের কাছে জ্যাকের জীবন অন্যদের চেয়ে বেশি মূল্য রাখে কেনো?
উত্তর খুবই সহজ,
প্রযোজক ক্যামেরাটি শুধু "জ্যাক ও রোজ"এর দিকে ফিরিয়ে রাখে ৷ ফলে দর্শকের মনেহয়, জাহাজে যাত্রী শুধু ওরা দুজনই ৷ কিন্তু একই সময় ক্যামেরার অপর প্রান্তে হাজার হাজার নারী ও শিশুর চিৎকার ও আর্তনাদ দর্শকের কানে পৌঁছে না ৷ ফলে দর্শক তা অনুধাবনের চেষ্টাও করে না ৷
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনও এমন ৷ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্সে সামান্য ককটেল ফুটলেই মিডিয়া তা কয়েক সপ্তাহ হাইলাইট করতে থাকে ৷ কিন্তু একই সময় এই মিডিয়ার অপর প্রান্তে আফগানিস্তান, ওয়াজিরিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনে প্রতি দিন শত শত বোমা ফেলা হচ্ছে ৷ হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে ৷ তাদের মর্মভেদী আর্তনাদ আকাশ বিদীর্ণ করে আরশে পৌঁছে যায় ৷ শুধু পৌঁছে না আমাদের কর্ণ কুহরে ৷পৃথিবীর সকল পাপের উৎস এই পশ্চিমারা ৷ ইরাকে দশ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে ৷ ইরাক, আফগানিস্তানে ও সিরিয়া ওদের হত্যাকার্য এখনো চলছে ৷
এতকিছুর পরও পশ্চিমারা আমাদের চোখে হিরো ৷ টাইটানিক ডুবে যাক, হাজার হাজার যাত্রী মরে যাক ৷ জ্যাক ও রোজ বেঁচে থাক ৷
Collected:
Md Sumon Parvez

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এরা নিজেদের প্রয়োজনে মানুষ অকাতরে মারে। আবার মারার পর লাশের উপর নতজানু হয়ে “ঠুনকো সালাম” দেয়।

আমরা তা মহত্ত্ব মহত্ত্ব, মানবতা মানবতা বলে জয়োধ্বনি দেই।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

ফ্রিটক বলেছেন: যুক্তিগত মিল আছে।ভাল লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.