নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
আজ সকাল থেকে রন্তু খুব ব্যস্ত আছে, নতুন বইগুলোর মলাট বাঁধা নিয়ে। ছোট মামার কাছ থেকে সে কিছুদিন আগে মলাট বাঁধা শিখেছে। কয়েকবার ট্রায়াল দিয়ে পাশ মার্ক পাওয়ার পর আজ সে তার বইগুলো মলাট বাঁধাই করছে। যদিও আজ রন্তুর স্কুল খোলা ছিল, কিন্তু সে যেতে পারে নাই। যাবে কীভাবে? সকাল থেকে যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে... আর মজার ব্যাপার হল বাসার সবার কিন্তু ঘুম ভাঙ্গতে দেরী হয়েছে। এমনকি মা আর নানুও! একে দেরীতে ঘুম থেকে ওঠা আর বাইরে ঝুম বৃষ্টি, তাই নানু বলল থাক আজ আর স্কুল যেতে হবে না। রন্তুর কি যে মজা লাগল... যদিও সে ভয়ে ভয়ে ছিল, এই বুঝি মা আবার বলে বসে, ‘না না, নতুন ক্লাস, স্কুল কামাই দেয়া যাবে না...’। কিন্তু না, রন্তুকে অবাক করে দিয়ে মা কিছুই বলল না। রন্তু ইদানীং খেয়াল করছে মা তাকে তেমন কিছুই বলে না। একটু চুপচাপ গম্ভীর হয়ে থাকে। রন্তু পরশু রাতের বেলা মা’র কাছে গিয়ে গা ঘেঁষে বসে মাকে জিজ্ঞাস করেছিল, ‘মা, তোমার কি মন খারাপ’। ‘আহ রন্তু, কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করো না তো, ভাল লাগে না...’ বলে রন্তুকে ঠেলে সরিয়ে দিয়েছে।
ছোট মামা রন্তুকে বেশ কিছু ক্যালেন্ডার যোগাড় করে দিয়েছে মলাট বাঁধার জন্য, যার প্রতিটিতেই কি সুন্দর সুন্দর সব ছবি, কোনটায় পাহাড়-নদী, আবার কোনটায় কোন ফসলের মাঠ, ফুলের বাগান অথবা ঝর্ণার ছবি। রন্তু ভেবে পাচ্ছে না, এই ছবিগুলো কি উপরের দিকে দিয়ে মলাট করবে, নাকি ভেতরের দিকে। ছোট মামা অবশ্য বলেছে ছবিগুলো ভেতরের দিকে দিতে, উপরে সাদা অংশ রেখে মলাট করতে। তাতে নাকি বইগুলো সুন্দর দেখাবে আর তার সাথে সাদা অংশে বইয়ের নাম, রন্তুর নিজের নাম এসব আরও কত কি লেখা যাবে। কিন্তু এতো সুন্দর ছবিগুলো বইয়ের মলাটের ভেতরে চাপা পড়ে থাকবে ভাবতেই রন্তুর মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেকক্ষণ বই, ক্যালেন্ডার আর সুঁই-সুতো নিয়ে বসে থাকার পর রন্তু মনস্থির করল, সাদা অংশ উপরে রেখেই মলাট বাঁধবে। এতে লাভ হবে ছবিগুলো ময়লা হবে না, ভেতরের দিকে চাপা পড়ে থাকবে। যখন রন্তুর ইচ্ছা হবে বইয়ের মলাট খুলে দেখতে পারবে। রন্তু বই বাঁধাই শুরু করল।
(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস চারেক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দিকে। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। গত পর্বে রন্তু স্কুলের কালচারাল প্রোগ্রামে কবিতা আবৃত্তি করতে করতে কল্পনায় বাবাকে ভেবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল। পিতামাতা’র সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)
সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে, আকাশ কালো করে এমন অন্ধকার হয়ে আছে চারিপাশ দেখে মনে হয় এই বুঝি রাত হল বলে। শায়লা বিছানায় আধশোয়া হয়ে জানালা দিয়ে বাইরের পাণে চেয়ে আছে। আকাশ থেকে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ছে, মাটিতে জমে থাকা পানির উপর পড়ে কেমন একটা শব্দ তুলছে। এই শব্দটা কেমন যেন একটা ঘোর এনে দেয়, একটানা বিরামহীন বেজে যাওয়া। ছাঁদের চিলেকোঠার ঘরে শিবলি গান শুনছে। শায়লার এই ছোট ভাইটা একটু অন্যরকম, নিজের মত করে থাকে, নিজের জগতে ডুবে থাকা যাকে বলে। কিন্তু কোন এক অলৌকিক উপায়ে সে সারা সংসারের সবকিছুর খবর রাখছে। রন্তুটা হয়েছে ছোট মামার ন্যাওটা, ছোট মামা বলতে অস্থির। শিবলি এমনিতে আধুনিক ব্যান্ড সঙ্গীতের ভক্ত, যখনই গান বাজাবে কোন না কোন চটুল গান হবে সেটা। যদিও সে গান খুব কম শোনে। আজ কি মন করে যেন রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজাচ্ছে। রেজওয়ানার চৌধুরী বন্যার কণ্ঠে ‘আমারও পরাণও যাহা চায়’ গানটা এখন বাজছে। বর্ষণমুখর এই সকাল বেলায় গানটা শুনতে ভালো লাগছে। আমারও পরাণও যাহা চায়, তুমি তাই, তুমি তাই গো? আসলেই কি তাই? শায়লার পরাণ যাহা চেয়েছিল জাভেদকে তো তাই মনে হয়েছিল? কিন্তু বাস্তবে সেই হিসেবটা আর মিলল কোথায়? আর এই যে এখন ইরফানকে তার পরাণ এতো চাইছে, আসলেই কি চাইছে? শায়লা নিজেকেই জিজ্ঞাসা করে, উত্তরটা জোর করেও নেতিবাচক করতে পারছে না। সেই ইরফানও যদি সেই পরাণের চাওয়া মিছে করে দেয়। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যেন চোখের কোনে জলের দানা জমে উঠেছে শায়লা খেয়াল করে নাই। মাকে ঘরে ঢুকতে দেখে সম্বিৎ ফিরে পেল। শাড়ির আঁচলের কোনা দিয়ে সেই জলদানা মুছে নিল।
‘আজ দুপুরে কি খাবি?’ শায়লাকে উদ্দেশ্য করে বলল শায়লার মা।‘যা রাঁধবে তাই খাব’
‘আজ অফিস গেলি না যে, সমস্যা হবে না’
‘না সমস্যা হবে না, ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি’
‘খিচুড়ি রাঁধবো? ঘরে যদিও মাংস নেই, ডিম ভাজি আর ভর্তা-টর্তা করি?’
‘মা তোমার যা খুশী কর, আমায় কেন জিজ্ঞাসা করছ?’
‘জিজ্ঞাসা করাটা কি অপরাধ?’
‘আমি কি তা বলছি?’
‘তাহলে তুই এমন করে ঝনঝন করে উঠলি কেন?’
‘আমি কোন ঝনঝন করে উঠি নাই, শুধু বলেছি আমাকে জিজ্ঞাসা করছ কেন?’
‘কেন তোকে কিছু জিজ্ঞাসা করলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?’
‘উফ মা... তোমার যা খুশী তুমি জিজ্ঞাসা কর...’ বলে শায়লা জানালা দিয়ে বাইরের পাণে চেয়ে রইল।
‘কত কিছুই তো জিজ্ঞাসা করি না, করা উচিত, তবুও কিছু বলি না...’ বলে বিড়বিড় করতে করতে শায়লা মা, রন্তুর নানু রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন।
শায়লা হঠাৎ খেয়াল করল মায়ের শেষের কথাগুলো, অনেক কিছুই তো জিজ্ঞাসা করি না! কি জিজ্ঞাসা করে না মা? কি সে জানতে চায়? মা কি তবে কিছু টের পেয়েছে? নাহ এতো হতে পারে না। বাসায় কারো কিছু জানার কথা না। কিন্তু মা তো মাই... হয়ত কিছু বুঝতে পারছে। শায়লা কিছুই ভাবতে পারছে না। সে কীভাবে কি করবে? কীভাবে মা, ভাই, ছেলে এদের বুঝাবে, কীভাবে সমাজকে, কীভাবে সবাইকে? কিন্তু শায়লা কি করবে, ইরফান যে তার হৃদয়ের অনেক গভীরে বসত গড়ে নিয়েছে। সেখান থেকে তাকে উৎপাটন করা অসম্ভব। শায়লার খুব চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
বাইরে বৃষ্টি আরও বেড়েছে। রন্তু তিনটি বই মলাট বাঁধা শেষ করেছে, তার খুব ইচ্ছা হচ্ছে ছোট মামার সাথে গিয়ে চিলেকোঠার রুমে বসে বসে বই বাঁধতে। মামা গান শুনছে মজা করে, যদিও এই গানগুলো কেমন কঠিন কঠিন শব্দে লেখা। রন্তুর বেশীরভাগ কথাই বুঝতে পারছে না। আজ ছোট মামার মুড খুব ভালো নিশ্চয়ই, নইলে ছোট মামা এতো জোরে খুব কম সময়ই গান শোনে। কিন্তু রন্তু এখন এই বইপত্র নিয়ে ছাদে যেতে নিলে ভিজে যাবে সব, আর যদি নাও ভিজে ছোট মামা হয়ত রাগ করবে। কি আর করা, নীচের ঘরে বসেই মলাট বাঁধতে লাগল। এমন সময় দরজায় মাকে দেখতে পেল রন্তু। মা তার দিকে তাকিয়ে আছে, মা কি রেগে আছে না ভাল মুডে বোঝা যাচ্ছে না।
‘কি বই বাঁধাই শেষ হয়েছে?’
‘উঁহু’
‘কয়টা বাকী?’
‘আরও পাঁচটা’
‘এগুলো কি পরে করা যায় রন্তু সাহেব’ মায়ের কথা শুনে রন্তু ফিক করে হেসে দিল। মায়ের মুড এখন ভালো আছে, অনেক অনেক দিন পর মা রন্তুকে রন্তু সাহেব বলে ডাকল। মায়ের যখন মুড খুব ভালো থাকে তখন মা রন্তুকে রন্তু সাহেব বলে ডাকে।
‘হুম... যায়’
‘তাহলে চল আমরা ছাঁদে যাই’
‘এই বৃষ্টিতে ছাঁদে গেলে ভিজে যাব যে’
‘ভেজার জন্যই তো ছাঁদে যাব’
‘সত্যি?’
‘হ্যাঁ সত্যি’ মায়ের কথা শুনে রন্তুর খুব কান্না করতে ইচ্ছে করছে। খুশীতে যে মানুষের কান্না পায়, আজ রন্তু প্রথম জানল।
শায়লা আর রন্তু ছাঁদে উঠে আসতেই ঠাণ্ডা বাতাসের সাথে তীরের ফলার মত বৃষ্টির পানির ফোঁটা গায়ে বিঁধতে লাগলো। কেমন একটা শিরশিরে অনুভূতি। রন্তুর খুব মজা লাগছে মায়ের সাথে ভিজতে। যদিও উপরে আসার সময় নানু গজগজ করছিল, রন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে... এসব বলে। মায়ের আজ কি যেন হয়েছে, নইলে মা রন্তুকে বৃষ্টিতে কক্ষনো ভিজতে দিতে চায় না। সেখানে আজ নিজে সাথে করে ছাঁদে নিয়ে এসে বৃষ্টিতে ভিজছে। রন্তু ছোট মামার রুমের দিকে চেয়ে দেখল ছোট মামা একটা গল্প বই পড়ছে, আর গান এখনো বেজে চলেছে। রন্তু জোরে ‘ছোট মামা’ বলে ডাক দিয়ে ইশারা করল তাকেও বৃষ্টিতে রন্তুদের সাথে ভিজতে বাইরে আসার জন্য। ছোট মামা একটা ভেংচি দিয়ে আবার বইয়ের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল।
শায়লা বহুদিন পর বৃষ্টিতে ভিজছে। আজ তার মন বড়ই তরল হয়ে আছে, নইলে রন্তুকে নিয়ে ছাঁদে ওঠা কেন? সে জানে রন্তু বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর বাঁধায়, তারপরও কেন জানি মনে হল ছেলেটাকে নিয়ে ছাঁদে গিয়ে খুব করে বৃষ্টিতে ভিজতে। শায়লা রন্তুর হাত ধরে বৃষ্টিতে ছাঁদের এমাথা হতে ওমাথা হাঁটতে লাগলো। পেছনের জীবনের ফেলে আসা দিন আর সামনের অনাগত দিনগুলো নিয়ে ভাবনার দল বারবার উঁকি দিতে চাইলেও শায়লা এই মুহূর্তে সব পেছনে ফেলে রাখতে চাইছে। এখন সে এই মুহূর্তে সব কিছু ভুলে গিয়ে এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাইছে। কিন্তু শায়লা যদি জানতো, আজকের এই দিন বহুবছর পরেও তার হৃদয়ে স্মৃতি হয়ে গেঁথে রবে... কি মনে করে শায়লা রন্তুকে কোলে তুলে নিল, বহুদিন পর ছেলেকে কোল নিল। রন্তু এর মাঝে এতো বড় হয়ে গেছে, ছেলেকে কোলে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও শায়লা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে ছোট ছোট পায়ে হাঁটতে লাগলো। কয়েক কদম যেতেই বুঝতে পারল ছেলেকে নিয়ে হাঁটা সম্ভব না, তাই নামিয়ে দিয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কেঁদে দিল। বৃষ্টির জলে চোখের জল মিশে একাকার হয়ে গেলেও মায়ের বুকের কাঁপুনিতে ছোট্ট রন্তু নিজেও বুঝতে পারল মা কাঁদছে। আর সেই বোধ থেকে অজানা কোন কারণে রন্তুর বুক ফেটে কান্না চলে আসল। মা ছেলে দুজনে বৃষ্টিতে সিক্তে হয়ে মনের গহীনে লুকানো অজানা কোন দুঃখজলে স্নাত হল তা কেউ জানে না। রন্তুর ছোট মামা শিবলির ঘরে তখন বেজে চলেছে, ‘মোর হিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে, দেখতে তোমায় পাইনি আমি দেখতে...’
'রন্তু'র কালো আকাশ' এর আগের সব পোস্টগুলোঃ
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৪
রন্তু'র কালো আকাশ (পর্ব ১-১৪ ফিরে দেখা)
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৫
২৭ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বীথি আপু, এই বর্ষণমুখর দিনে আমারও মনটা খুব মেঘলা হয়ে আছে, কারণ নিজেও জানি না। তাই আজকের পর্বটায় বৃষ্টি খুব করে উঠে এল। বৃষ্টি কিন্তু ভবিষ্যতে রন্তুর জীবনের একটা প্রিয় বিষয় হয়ে থাকবে, পেছনের পর্বগুলোতেও যেমন দেখেছেন।
বৃষ্টি দেখে অনেক কেঁদেছি
করেছি কতই আর্তনাদ...
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২| ২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৫
কম্পমান বলেছেন: কেমন যেন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল।। ঠিক বুঝলাম না ?? ব্যাপার কি?? খুব কি ব্যস্ত নাকি, কেমন যেন গল্পে তড়িঘড়ি ছিল।
২৭ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কি যেন, কোন তাড়া ছিল না। অন্যান্য পর্বের ন্যায়ই ব্যাপ্তি ছিল এই পর্বেরও। আপনি বলার পর চেক করেও দেখেছি। প্রায় একই পরিমাণ লেখা। হতে পারে বেশী এক্সপেকটেশন ছিল আমার কাছ থেকে। সামনে চেষ্টা থাকবে আরেকটু বড় করার।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, অনেক অনেক ভালো থাকুন।
৩| ২৮ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৮
ডি মুন বলেছেন: বৃষ্টিতে ভিজতে আমারো ভীষণ ভালো লাগে।
যদিও শায়লার মত চোখের জল বৃষ্টির জলে ভেজাতে হয় না। বরং হাসিমুখ নিয়ে আনন্দেই ভিজি।
গতপর্বের শেষ এবং এ পর্বের অনেকাংশ জুড়েই শায়লার মানসিক টানাপোড়েন উঠে এসেছে। ইরফানের সাথে ওর মেলামেশা নিয়ে ওর নিজের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তা পাঠককেও ভাবিত করবে নিঃসন্দেহে।
ভালো লাগছে খুব
এগিয়ে যাক রন্তুর কালো আকাশ
সাথে রইলাম।
ভালো থাকা হোক প্রিয় বোকামানুষ ভাই
++
২৮ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার বৃষ্টিবিলাস নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, মনে আছে নিশ্চয়ই। আর তাই অবধারিতভাবে আমার লেখায় বৃষ্টি বিলাসিতা চলেই আসে। তার উপর এখন ভালই বৃষ্টি হচ্ছে, সব মিলিয়ে এই পর্বে তাই বৃষ্টিকে কেন্দ্র করে লেখাটা লিখেছি। হুমম, এখন এই গল্পের মুখ্য উপজীব্য বিষয় হবে ইরফান আর শায়লার সম্পর্ক এবং রন্তুর জীবনে এর প্রভাব।
আপনাদের ভাল লাগছে দেখে, আমারও ভাল লাগছে। আপনিও ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, শুভকামনা রইল।
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার হয়েছে । প্রতিটি পরতে পরতে ভাল লাগছে । এগিয়ে চলুক ।
২৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ককাশে... এগিয়ে চলুক রন্তু সিরিজ আপনাদের ভালবাসায়...
ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ৩:২৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মলাটকে আমি রন্তুর স্মৃতি হিসাবে ভাবছি।। যা সে ভেবেচিন্তে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে চাইবে।। যা কিন্তু আমরা প্রাপ্তবয়ষ্করাও করে থাকি।।
মাদের কাছ থেকে কিছু লুকানো সম্ভব না।। তারা মুখে কিছু না বললেও ঠিকই টের পায়,কোন সন্তানের মনে কি খেলা করছে।। এখানেও বোধহয় ব্যতিক্রম দেখবো না।। আর শায়লার অবস্থা ঘরপোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পায়,তেমন।।
শেষের লাইনটি কি ভিন্নতর কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে??
৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হ্যাপী ভাই। মলাট নিয়ে আপনার ভাবনাটা ভালো লেগেছে, আমি নিজেও কিন্তু এভাবে ভাবি নাই। তবে শেষের অংশ কোন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। যে রকম ইঙ্গিত আশা করা যায়, সম্পূর্ণ বিপরীত কিছু হয়ত হবে।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
জুন বলেছেন: ছোট ছোট বর্ননা খুটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে । রন্তুর মা এর সাথে আমারো মনটা আদ্র হয়ে উঠলো বোকামানুষ।
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
+
৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু, এই কদিন কোথায় ছিলেন? আমি আর রন্তু আপনার অপেক্ষায় ছিলাম। খুব বুঝি ঈদ শপিং হল?
রন্তু আর শায়লা'র জীবন আসলে এমনই হয়ত যেখানে নিত্য বসবাস করে আদ্র সব অনুভূতি। আর তাই তো রন্তুর কালো আকাশ জুড়ে নিত্য চলে মেঘেদের লুকোচুরি।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার, অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
কম্পমান বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষা-----------------------------বোকামানুষ।
০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এইতো ভাইটি আমার, লিখছি.... আজ রাতের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। রাতের দিকে একবার ঢুঁ মেরে যাবেন না হয়
অনেক অনেক ধন্যবাদ এভাবে সাথে থেকে তাগিদ দিয়ে যাবার জন্য। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইল, ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
রন্তুর মা -এর মনে কালো মেঘের ঘনঘটা!!
পাওয়া নাপাওয়ার হিসেব মেলাতে, বৃষ্টি হয়ে ঝরল সে মেঘ!!
ভাল লাগছে লেখাটি!!
আজ আমার খুব পছন্দের দু'টো রবীন্দ্রসংগীত পেলাম আপনার লেখায়!
এই ঝুম বৃষ্টিতে আরেকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত --------
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে
জানি নে,জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না।
ঝরো ঝরো মুখর বাদরদিনে - - - - - -