নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কিন্তু একটাই

জীবন কিন্তু একটাই

হাতপা

কিছু বলার নাই

হাতপা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝে মাঝে এমনও হয়

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

এবছর গরমটা একটু বেশিই পড়েছে।সূর্য বছরকে বছর মনে হয় আরো কাছে চলে আসছে।গ্লোবাল ওয়ার্মিং নাকি হচ্ছে,আরো কয়েকশ বছর পর পৃথিবীতে থাকাই কষ্ট হয়ে যাবে।সে যাক,তানিশা যতদিন বেঁচে থাকবে ভালমত চলতে পারলেই হল,ফুটপাত দিয়ে

হাঁটতে হাঁটতে বড় রাস্তার মোড়ে এসে দাঁড়ায় তানিশা।অনেক লোক তার আগে লাইনে দাঁড়িয়ে।প্রথম বাসটায় মনে হয় ওঠা যাবে না।বাসটা ১৫-২০মিনিট পর পর আসে।মোটামুটি মিনিট পনেরো লাইনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তানিশাকে।এই সকালের স্কুল,কলেজ

পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী,অফিসগামী মানুষ সবাই তো বের হয়। প্রথম প্রথম খুব বিরক্ত লাগত।প্রথম দুইদিন সিএনজি নিয়েই কলেজে চলে গিয়েছিল ।এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।প্রতিদিনের মত আজও তানিশা দাঁড়িয়ে কানে হেডফোন দিয়ে রেডিও শুনছে।হঠাত মোড়ের একপাশে চোখ পড়ল,একটা বাইকের সামনে দাঁড়িয়ে ছেলেটা।মনে হচ্ছে লাইনের দিকেই তাকিয়ে আছে। মনে হল তাকে লক্ষ্য করে আছে।ধূর,তাকালেই পাত্তা দিতে হবে নাকি?অন্যমনস্ক হয়ে তানিশা লাইন ধরে সামনে এগিয়ে যায়।ভাগ্য ভালই প্রথম বাস টাতে উঠতে পেরেছে।ক্লাস শুরুর অনেক আগেই পৌঁছে যেতে পারবে হয়ত



----------



ছাতা টা ভাগ্যিস সাথেই ছিল,অনেক বৃষ্টি।সকালে হাল্কা মেঘ ছিল,কিন্তু এভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হবে অনেকেই ভাবতে পারেনি।তবু টানা গরমের অস্বস্তি থেকে রক্ষা পেয়ে সবাই খুশি।

বাহ,ছেলেটার আর কোন কাজ নেই।ঠিক একই জায়গায় একই পোজে দাঁড়িয়ে।রোমিও,তোমাকে পাত্তা দেয়ার টাইম নেই আমার।তাকিয়েও না তাকানোর ভান করে তানিশা।বাস

এসে গেছে।তুমি বসে বসে ডিম পাড়ো মি.রোমিও।



----------



আজকে ম্যাথের এক্মাম হবে একটা।সারারাত পড়েও মাথায় কিছুই রাখতে পারেনি তানিশা। লাইনে দাঁড়িয়েই শীট তাতে চোখ বুলিয়ে নেয়।রোমিওর কথা মনে থাকেনা।বাসে উঠে জানালার পাশে বসে আনমনে জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখে তানিশা।বেচারা,একই ছেলে,একই ভঙ্গিতে আর কতদিন আমার পিছনে ঘুরবে বেচারা?



--------



সত্যি কথা বলতে কি ব্যাপারটা ধীরে ধীরে উপভোগ করতে থাকে তানিশা,একটা ছেলে সবকিছু ফেলে তাকে দেখবার জন্য এভাবে দাঁড়িয়ে থাকে,এটা ভেবে তানিশা মনে মনে আত্নপ্রসাদে ভোগে।নিজের অজান্তেই অনেকটা।আগের চেয়ে আরো বেশি সময় নিয়ে রেডী হয়।লিপ্সটিক টা আরেকটু গাঢ় করেই দেয়।মুখে প্রসাধণীও একটু গাঢ় করেই ব্যবহার করে ইদানীং...



-------



আজকে অন্যদিন এর চেয়ে একটু জমকালো সেজে বের হয়েছে তানিশা।ক্লাস পার্টি উপলক্ষে। এতদিন তো সাধারণ সাজেই দেখেছে,আজকে এরূপে তানিশাকে দেখে রোমিও বেচারা হয়ত

নির্ঘাত সামনে এসে পড়বে?ভাবতেই হাসি পাচ্ছে।বেচারা রোমিও...ঐতো ,সেই বাইক,ঠেস দিয়ে দাঁড়ানো রোমিও।চোখের দৃষ্টি আজকে খানিকটা চঞ্চল,প্রতিদিনতোঁ তানিশার দিকেই

একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে।আজকে যেন একটু অন্যমনস্ক...ধূর,আমি কেন ওকে খেয়াল করছি। খেয়াল করবে তো ঐ বেচারা আমাকে।তানিশা মুখ ফিরিয়ে নেয়।বাসে উঠে বসে তানিশা।জানালাটা সরিয়ে দেয় বাতাস চলাচলের জন্য।আরে!ছেলেটা কি হাত নাড়ছে?বাহ,সাহস তো কম হয়নি রোমিওর। ভালো করে তাকিয়ে দেখে,হ্যা,হাতই তো নাড়ছে,কিন্তু কার দিকে,কিছুক্ষণ সময় লাগে।দুই সীট সামনে একটি মেয়ে বসে।তানিশার মতই বয়স হবে মেয়েটার। হাত নাড়িয়ে উত্তর দিচ্ছে ,তানিশার রোমিওকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই লাগলো ।

শুভেচ্ছা নিবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.