নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কিন্তু একটাই

জীবন কিন্তু একটাই

হাতপা

কিছু বলার নাই

হাতপা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিবের বউ (পর্ব-১)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬


**এই গল্পটাকে অনেক চেষ্টা করেও ছোট করতে পারলাম না।দুই পর্ব করে লিখব।আপাতত,এখানে প্রথম পর্ব শেয়ার করছি।
হাসিবের বউ(পর্ব-১)
==============
হাসিবের বিয়ে হয়েছে মাস ছয়েক হল।সাধারণ আর দশটা ছেলের মতই সে চেয়েছে একটা সুন্দরী মেয়ের সাথে তার বিয়ে হবে।প্রেমট্রেম করবার মত সাহস বা ইচ্ছা তার কোনকালেই ছিলনা। প্রেম করে কে কবে বড় হয়েছে?হাসিব যখন সেকেন্ড সেমিস্টারে পড়ে একটা মেয়েকে তার ভালো লেগেছিল।ঐ পর্যন্তই।পাশ করে চাকরি-বাকরি ধরার পর তাকে বিয়ের জন্য বলতে থাকে বাবা-মা।বাবা-মা তার পছন্দ জানতে চায়।হাসিবের পছন্দ একটাই মেয়ে দেখতে সুন্দর হতে হবে।পড়ালেখাও যেন মোটামুটি ভাল হয়।পাত্রী দেখা দেখি চলল,এইটা হয় তো ঐটা হয় না।এমনি করে বছর ঘুরে যাবার পালা।পাত্রী মিলল অবশেষে।একেবারে হাসিবের মনের মত।এইবার বিয়ে করে বন্ধুদের কে একচোট দেখিয়ে দেয়া যাবে।

মেয়ের নাম ফৌজিয়া।সুন্দর বললেও কম বলা হয়।শখানেক মেয়ের ভীড়ে আলাদা করে চোখে পড়ার মত।যেদিন কথাবার্তা সব ফাইনাল হল,সেদিন-ই হাসিব ঠিক করল তার সব বন্ধুদের দাওয়াত দেয়া চাই।দেখিয়ে দিতে হবে।জানুয়ারীর এক শীতের রাতে মোটামুটি জাঁকজমক ভাবে বিয়ে হয়ে গেল হাসিবের আর তার সুন্দরী স্ত্রী মানে ফৌজিয়ার।বন্ধু-বান্ধব হাসিবের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছে। বউয়ের পাশে বসে খটাখট সেলফি তুলে আবার অতি চালু বন্ধু কেউ খুনসুটির ছলে ফৌজিয়ার হাত টা ধরে ছবি তুলছে।হাসিব খেয়াল করলেও খুব একটা পাত্তা দিল না।আজকে তো ওরই দিন।দেখিয়ে দেবার দিন।

নতুন বিয়ে।ছবি টা তো ফেসবুকে দেয়া চাই।"ও ভাবি,কি দারুণ","ঝাক্কাস বউ পাইছিস"-কমেন্ট গুলো পড়ে বেশ গর্ব অনুভব করে হাসিব।তারপর ,ফৌজিয়ার ফর্সা নরম হাত নিজের গালে চেপে চোখ বন্ধ করে সুখের রাজ্যে হারিয়ে ফেলে নিজেকে।

বিয়ের পর ছয়মাস কেটে গেল।বাপের বাড়ীতে এভাবে বউ নিয়ে থাকাটা আর পোষাচ্ছে না।ভাড়া বাড়ী।তার মাঝে ছোট বোন,আর ছোট ভাই।বেশ গাদাগাদি অবস্থা।নতুন বাসা ঠিক করার জন্য বের হয় হাসিব বৌকে নিয়ে।মোহাম্মদপুরের দিকে কিছু বাসা দেখে এসেছিল।আজকে ছুটির দিনে ফৌজিয়াকে নিয়ে বের হয়েছে।সামনের মাসের মধ্যেই একটা বাসা দরকার। রিকশা করে ওরা বাসাটার সামনে এসে নামে,দুই তলা বিল্ডিং,দোতলায় দুই ফ্লাট।নিচে একতলা ভাড়া দেয়া হবে।দুই বেডরুম আর একটা ড্রইং কাম ডাইনিং।বাড়িওলার সাথে গত সপ্তাহে কথা হয়ে গেছে।ভাড়া বারো হাজার সব মিলিয়ে।আজকে ফৌজিয়াকে দেখাবে বলে নিয়ে এসেছে।
বেল টেপার কিছুক্ষণ পর কাজের ছেলে এসে দরজা খুলে দিল।
"কে?আপনে"
"আমি ,আমি এই নিচের ভাড়ার ব্যাপারে এসেছি।আঙ্কেল কে ডেকে দাও"
"দাঁড়ান"
ফৌজিয়া আর হাসিব দাঁড়িয়ে।মিনিট দুয়েক পর ভদ্রলোক এলেন।মানে বাড়িওলা।হাসিব কে যেন দেখতে পান নি।ব্যাপারটা হাসিবের নজর এড়াল না।ওদের দুজনের মধ্যে সবাই আগে ফৌজিয়াকেই দেখে।সে পুরুষ হোক,বা মহিলাই।
তো বাড়িওলা হাসিবকে চিনতে পেরে ভিতরে আসতে বললেন।ড্রইংরুমে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দিলেন।
"দিনের বেলাতেও খুব অন্ধকার বুঝলেন?বসেন আপনারা।এই বিল্লাল,বিল্লাল।একটু চা দিয়ে যা"
তারপর ভদ্রলোক সোফায় হেলান দিয়ে বসলেন।
"আঙ্কেল,আমার ওয়াইফ কে নিয়ে আসলাম ফ্লাট টা দেখে যাবার জন্য"
"হ্যাঁ,হ্যাঁ,দেখে শুনেই ঠিক করেন।আপনারা নির্ঝঞ্জাট ফ্যামিলি।দুজন মাত্র মানুষ।এমন টাই চাইছিলাম"
লোকটা কোনা চোখে ফৌজিয়াকে দেখছে।
চা টা দ্রুত শেষ করে হাসিব ফ্লাট দেখতে চাইল।

"কেমন লাগল?" ফৌজিয়া কেই সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন ভদ্রলোক।
ফৌজিয়া হেসে একবার হাসিবের দিকে তাকালো-" আমার ভালই লেগেছে...কিন্তু,বারো হাজার একটু বেশি হয়ে যাবে"
"আপনারা সব মিলিয়ে এগারো হাজার দিবেন,এরকম নির্ঝঞ্জাট ফ্যামিলি আমি ছাড়তে চাই না"
"থ্যাঙ্কস"
হাসিব খুব অবাকই হল। টাকার পরিমাণ কমতে তার খুশিই হবার কথা।কিন্তু,কিসের জন্য টাকাটা কমল এটা তো না বোঝার কিছু নেই।সেদিন একটা ভোঁতা মাথাব্যাথা নিয়ে সারাটা রাত পার করল হাসিব।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

চিরতার রস বলেছেন: চলুক। ভাল্লাগছে ;)

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

সোহেল মারজুক বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায়.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.