নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুলতান সাহেব ছেলের জন্য ট্রেনের টিকেট কাটতে এসেছেন।বেজায় লম্বা লাইন।তার সামনেই ৫০-৬০ জন।পাবেন কিনা ঠিক নেই তবু দাঁড়িয়ে থাকবেন।কালোবাজারির জন্য আজকাল সব টিকেট শুরুতেই শেষ।মিললেও মিলতে পারে।
সময় কাটানোর জন্য সামনে-পিছনের দুই-তিনজনের সাথে টুকটাক কথাবার্তা বলে সময়টা পার করছেন। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক হাল-হকিকত,সরকার এর থাকা উচিত না অনুচিত এসব নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে।হঠাত সুলতান সাহেবের মোবাইলে ফোন এল,
বাসা থেকে ফোন দিয়েছে।ফোনটা নতুন কিনেছেন,তাই একটু ঝামেলা হয়।ফোনটা রাখবেন পকেটে ঠিক তখনি তার পেছনে দুইজনের পরে দাঁড়ানো একটা চ্যাংড়া মত ছেলে "আঙ্কেল"
"কি?"
"মানে,বলছিলাম যে,আমার মোবাইলে চার্জ একদম শেষ,একটু আপনার মোবাইলটা..."
কথা শেষ করার আগেই সুলতান সাহেব হাত টা নাড়ালেন,"না,না,দেয়া যাবে না"
এরকম কাহিনী শুনেছেন।কথা বলার জন্য মোবাইল চেয়ে পরে দৌড়।ছেলেটাও কেমন।উস্কুখুস্কো দাড়ি।মতলব মোটেই ভালো না। নূতন মোবাইল দেখে চোখে চোখে রেখেছে।
"চোর-ছেচড়ে ভরে যাচ্ছে দেশ" বিড়বিড় করে বললেন সুলতান সাহেব।
কয়েকজন সমর্থন দিল। ছেলেটিও হয়ত শুনেছে।কিন্তু ব্যতিব্যস্ত ছেলেটি আরেকটু সামনে গিয়ে একজন কে কি কি যেন বলতে লাগল।ছেলেটা যেন একটু নিশিন্ত হল।একজনের কাছ থেকে মোবাইল পেয়েছে। কথা সেরে ফিরে আসছে তার আগের জায়গায়।
সুলতান সাহেবের সামনে এসে"আঙ্কেল।একটু বিপদে পড়েছিলাম।আপনার সন্দেহ হয়েছে দেন নাই,ঠিক আছে।কিন্তু,যা বললেন তা কি না বললে চলত না?"
উত্তরের অপেক্ষা না করেই ছেলেটি তার জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়।
কয়েকজন মজা পেয়ে গেল খুব।রাজনীতির আলাপ আর কাহাতক ভালো লাগে।মানুষ মানুষকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করেনা।বিশ্বাস,আস্থা ব্যাপারটাই উঠে গেছে,ইত্যাদি আলোচনায় যুক্ত হয়ে গেল সবাই।
সুলতান সাহেব পড়ে গেলেন লজ্জায়।তারো মনে হল,মানুষকে এত অবিশ্বাস করলে চলে না।
পরে কোন একদিন,সুলতান সাহেব।বাস থেকে নামলেন।অফিসে যাবার জন্য বাসেই আসা যাওয়া করেন।নেমে একটু মিনিট পাঁচেক হাটা। হঠাতই ঘামে ভেজা,বিশ-একুশ বছরের ছেলে দৌড়াতে দৌড়াতে তার সামনে এসে,"আঙ্কেল,আঙ্কেল।আমার মোবাইল টা মার হয়ে গেছে।"
তারপর ওনার হাতে থাকা মোবাইলের দিকে ইঙ্গিত করে"জরুরী ফোন ছিল আমার,আপনার মোবাইলটা",কথা শেষ করার আগেই দিয়ে দিলেন।বেচারা,কি না কি জরুরী,বলুক।ওমা,সেকেন্ডের-ও কম সময়ে ছেলেটি হাওয়া।সকালের রাস্তা,মানুষের ভীড়।দেখার সাধ্য নেই।একটু চিৎকার দেবেন ভেবেছিলেন।
দিলেন না। মানুষের কি আর অত সময় আছে?দোষ তো তারই।আগে বিশ্বাস না করে ঠকেছিলেন,আজকে বিশ্বাস করে। (The End)
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অসভ্য দুর্ণীতিবাজ অশিক্ষিত অলস পরশ্রীকাতর চরিত্রহীন জাতি হলাম আম...।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
সুফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল। গল্প না সত্যি বুঝতে পারছি না। গল্প হলে আরও একটু বড় হতে পারত।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সুমন কর বলেছেন: অাসলেই বর্তমান সময়ে বিশ্বাস এক মহামূল্যবান বস্তু হয়ে গেছে !!!
বড় বিপদ হয়নি এটাই ভাগ্য।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৮
জিরো ডাইমেনশন বলেছেন: তবুও বিশ্বাস করাই ভালো। তবে বিশাস অপাত্রে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়...
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৫
হামিদ আহসান বলেছেন: গল্প ভাল লাগল .......................++++++++
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হুম প্রায় সময় এইরকমই হয় ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
তাশমিন নূর বলেছেন: হা হা হা। হাসলেও এটাই সত্য এবং বাস্তব। সরল ভাষায় সুন্দর বর্ণনা করেছেন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।