নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মুকিতের ডেস্ক

শামস্ মুকিত

একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।

শামস্ মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়ানমারের পাতা ফাঁদেই কি পা দিলাম আমরা?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

গত ২৫ আগস্ট মায়ানমার সামরিক বাহিনীর শুদ্ধি অভিজান শুরু হওয়ার পর ৫০০০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। দিনে দিনে এ সংখা আরো বাড়ছে। এ মুহূর্তে সমস্যার একিউট ফেজ চলছে। বিভিন্য দেশ বিদেশ থেকে সাহায্য আসছে, দেশের মানুষ, সামাজিক সংগঠন সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে, বিভিন্য দেশ থেকে ত্রান আসছে। রাস্তায় ত্রানের ট্রাকের বহর। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান ত্রান নয়, সমাধান আন্তর্জাতিক কূটনীতি।
অভিযানের ধরণ থেকে বোঝা যায় মায়ানমার তাদের কে এমন ভাবে নির্যাতন করেছে , তাদের ঘড়বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে যাতে তারা সহজে ফিরে যেতে না পারে। গত কয়েক দিন পত্রিকা পড়ে যা বুঝলাম, অপরদিকে আন্তর্জাতিক কূটনীতির অগ্রগতি খুবই সীমিত।নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যরা একটা জরুরী বৈঠকের আয়োজন করে কিন্তু এখানে আলোচনা সমালোচনা ছাড়া কিছুই হয়নি। চীন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে তারা সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।এদিকে আমাদের চিরবন্ধু ভারত আমাদের সাথে নেই। তারা বলে দিয়েছে ত্রান দেয়া ছাড়া তাদের কিছুই করার নাই। আর আমেরিকার অবস্থান নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আল জাজিরা কে দেয়া একটা সাক্ষাতকার ইতোমধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। আমেরিকার উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকেরা এ সমস্যা কে আপাতত পাত্তা দিচ্ছেন না। অপরদিকে জাপান এ সমস্যার পক্ষে বিপক্ষে এখনও পর্যন্ত একটা বিবৃতি পর্যন্ত দেই নি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমস্যা সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, যার প্রথম দফা মায়ানমারের মধ্যে নিরাপদ অঞ্চল গঠন। শুনতে স্বস্তির শোনালেও এই প্রথম দফা নিয়ে রয়েছে পক্ষে বিপক্ষে মতামত।
আমরা সমস্যা টাকে নিয়ে বেশি চিন্তা করছি কারণ আমরা ভুক্তভোগী। কিন্তু মায়ানমারের জনগণ রোহিংগাদের নিজেদের দেশের নাগরিক মনে করে না। সেখানকার রাজনীতিকরা এবং কলামিস্টরা রোহিংগাদের বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে বিষবাস্প ছড়াচ্ছেন। তারা সাধারণ মানুষ কে বোঝাতে চেষ্টা করছেন।আমার ভয় হই তারা আবার দেশে দিরে যেতে চাইলে বর্মিরা তাদের নিবে কিনা?আচ্ছা, বিভিন্য দেশ যারা ত্রান দিয়ে সহায়তা করেছে তারা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে তো? ৫০০০০০ রোহিংগা নিয়ে বাংলাদেশ মায়ানমারের পাতা ফাঁদে পা দিল না তো?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মায়ানমারের ফাঁদটা কি, যাতে বাংলাদেশ পা দিলো?

বাংলাদেশ তো কিছুই করেনি; বার্মা তার কিছু বাগরিককে ৩৮ বছর হত্যা ও নির্যাতন করে দেশ ছাড়া করছে; ওরা পালিয়ে নিরাপদ যায়গা হিসেবে বাংলাদেশে উঠেছে; এখানে ফাঁদের কি দেখলেন আপনি?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

শামস্ মুকিত বলেছেন: কিছুদিন আগে প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটা সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে জানতে পারলাম, মায়ানমার চীনের সহযোগিতায় আরাকানে একটা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করতে চাই। সেনাবাহিনী মাইকিং করছে বাংলাদেশে না গেলে তাদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। তারা রোহিংগাদের বাড়ি ঘড়, ক্ষেতক্ষামার পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের বাধ্য করেছে মোবিলাইজেশন এ।তারা ভাল করেই বুঝতে পেরেছে আন্তর্জাতিক ভাবে একঘরে বাংলাদেশ খুব বেশি কিছু করতে পারবে না। তারা ৩৮ বছর ধরে ন্ররযাতন করতে পারে। কিন্তু আশংকা করি এবার তাদের পরিকল্পনা ভিন্ন।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: নোবেলের লোভে পড়ে আজ এই অবস্থা। তা নাহলে আমাদের মত দরিদ্র দেশ আরো দশ লাখ দরিদ্রের বোঝা কাধে নেয়?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

শামস্ মুকিত বলেছেন: আপাতত সাহায্য আসছে, ত্রান আসছে কিন্তু সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হবে। আমাদের পাশের দেশ ভারত বলে দিয়েছে তাদের এখানে কিছুই করার নাই। চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধু মায়ানমার, তাদের ও খুব বেশি নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে না। ভয় হচ্ছে সমস্যা সামনের দিনে বাড়বেই শুধু।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য এটা শান্তিপূর্ণ যুদ্ধ।
৯,০০,০০০(নয় লক্ষ) স্বরনার্থী রোহিঙ্গা দের তাদের আবাস স্থল "আরাকান" ফেরত পাঠাতে পারলেই কেবল মাত্র বাংলাদেশ এই শান্তিপূর্ণ যুদ্ধে জয়ী হবে।
দেখা যাক কত বছর লাগে এই যুদ্ধে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জয় পেতে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের এই সংকটে ত্রান প্রদান ব্যতিরেকে কেউ সাহায্য করতে আসেনি, এখন পর্যন্ত।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

শামস্ মুকিত বলেছেন: যতদুর পড়াশোনা করে জানলাম ১৯৯৪-৯৫ সালে আসা রোহিংগাদের কূটনীতিক উপায়ে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তাও পুরোটা পারেনি।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২০

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: মিয়ানমার বহুকাল ধরেই রোহিঙাদের ওপড় এইরুপ নির্যাতন করছে । এটা নতুন কোন ঘটনা না। কিন্তু এইভাবে একসাথে লাখ লাখ লোককে ঢোকার জন্য বাংলাদেশের বর্ডার কখনই খুলে দেয়া হয়নি। প্রশ্ন হল এইবার কেন খুলে দিল? কারন হচ্ছে মিয়ান্মার বাংলাদেশ আক্রমনের হুমকি গিচ্ছে। প্রধান্মন্ত্রী সরাসরি সে কথা স্বীকার করে বলেছে যে , মিয়ানমারের উস্কানি বাংলাদেশ উপেক্ষা করে চলছে। কথা হচ্ছে হঠাৎ কেন নিয়ান্মারের মনে হচ্ছে যে তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্রকে চাইলেই আক্রমন করতে পারে? কই আগেতো তাদের এই দুঃসাহস দেখাতে দেখিনি। এখন কেন দেখাচ্ছে? ভেবে দেখুন যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও মিয়ানমার বাংলাদেশ আক্রমনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।

একটি অবৈধ সরকার শুধু গুম, খুন করে দেশের মানুষের শান্তি হরন করেনি দেশের সার্বভৌমতাকে পর্যন্ত হুমকির মুখে ঠেকে দিয়েছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪২

শামস্ মুকিত বলেছেন: সেটি একটি কারন হতে পারে। তবে এখানে মূল কারণ টা আন্তর্জাতিক বলেই আমার মনে হয়। সমগ্র মুসলিম বিশ্ব তাদের সমালোচনা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এরপরও তারা তাদের নীতিতে অটল। কারণ একে তো রোহিংগাদের মধ্যে স্বাতন্ত্রের কোন চিন্তা না, তাদের মধ্যে কোন রাজনীতি নেই, কোন নেতা নাই। দীর্ঘ সময় নির্যাতিত হলেও তারা স্বাধীনতার চিন্তা করেনি। অপরদিকে চীন এবং ভারত দুটি বড় পরাশক্তি রয়েছে তাদের পিছনে। এই ঘটনার পেছনে গভীর ভূরাজনীতি লুকিয়ে আছে।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গা সমস্যাটা একটা বিরাট ডিপ্লোম্যাটিক ফল্টের রেজাল্ট | দীর্ঘ মেয়াদে আমরা কতটুকু ভুগবো সেটা ডিপেন্ড করবে কত দ্রুত আমরা আমাদের আগের সেই ডিপ্লোম্যাটিক ফল্টগুলো শুধরাতে পারি |সেটা করা গেলে বেশি ভুগতে হবে না বলেই আমার বিশ্বাস |

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

শামস্ মুকিত বলেছেন: বাংলাদেশ অবশ্য সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হবে জেনেই কূটনীতিক ভাবে এগোচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা ধরেই বলতে হয় এই ১০ লাখ অতিরিক্ত মানুষ আমাদের জন্য বোঝা।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: এই দেশ আগে কখনই সমস্যামুক্ত ছিলনা এখনও নেই। দশ লাখ রোহিঙ্গা্ আসাতে কোন এমন কোন সমস্যা দেশের ভেতরে তৈরি হয়নি। সমস্যা তখনই হবে যদি এরা কোনভাবে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কোন মুভমেন্টের সাথে ইনভল্ভ হয়্। দেশের বর্ডার খুলে না দিলে এই মানুষগুলো স্রেফ হত্যাকান্ডের স্বীকার হতো। এটা মানুষ হিসেবে কখনই মেনে নিতে পারিনা। প্রধানমন্ত্রী নোবেলের জন্য বর্ডার খুলুক বা মানবিকতার জন্য বর্ডার খুলুক, এটা সঠিক হয়েছে।

তবে বর্তমান পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে সহজে রোহিঙ্গাদের কোন রিটার্ন বা কুল কিনারা করতে পারবে বলে মনে হয়না্। এখন তাও সাহায্য আসছে, ভবিষ্যত কে জানে?

এটা একদিনের না, আমাদের অনেক দিনের পাপের ফসল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

শামস্ মুকিত বলেছেন: সামনের দিনে বাংলাদেশ বড় ধরনের যে অভ্যন্তরীণ সমস্যার মুখোমুখি হবে সেটি হল এই রোহিঙ্গগারা যদি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্য জাইগা থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে উখিয়া ফেরত পাঠাচ্ছে। অনেক দালাল তাকার বিনিময়ে এসব কাজ করছে। আরেকটি ব্যাপার হল এই সব নির্যাতিত মানুষের মধ্যে থেকে যদি আঞ্চলিক জংগিগোষ্ঠীর উদ্ভভ ঘটে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় ধরণের ক্ষতির মুখে পড়বে।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৫

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: সত্য কথা হলো, রোহিঙ্গাদের প্রবেশে অনুমতি দেবার আগে জাতিসঙ্ঘের থেকে প্রত্যয়ন নিতে হতো যে এদের দায়ভার জাতিসঙ্ঘ নিবে। কিন্তু এটা না করাই প্রধান কুটনৈতিক ব্যর্থতা।

এরা ভবিষ্যতে পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়বে। আমাদের এলাকায় কিছু ইন্ডিয়ান মানুষ আছে যারা ৭১ এ জমি বদলের মাধ্যমে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এদের না আছে বাংলাদেশের প্রতি মমত্ববোধ না আছে ইন্ডিয়ার প্রতি। এবং এরা সবসময়ই স্থানীয়দের সাথে মারামারি গন্ডগোলে ব্যস্থ থাকে। যাদের আমার রিফিউজি বলে থাকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.