নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।
আজ ১০ অক্টোবর। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। আমার ধারনা মানসিক কথাটা শুনেই নাক শিটকাবেন অনেকে।
অনেকে স্ক্রল করে চলেও যেতে পারেন পরবর্তী পোস্টে। স্বাভাবিক!! আমি নিজেও বলব মানসিক নিয়ে এই কড়চানো আর না পড়লেও চলবে আপনার। এর চেয়ে আপনার মেলা জরুরী কাজ আছে। কাজের ফাকে যেহেতু একটু পড়ার আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তাই একটু প্যাচাল শুরু করি।
কাজ করতে করতে আমরা নিজের অজান্তেই যন্ত্র হয়ে গেছি। মানসিক শব্দ টা শুনলেই তাই আমাদের মানসপটে একটা চুল্কানির উদ্রেক হয়। তাই কোথাও মানসিক দেখলে দ্রুত এর হাত থেকে পরিত্রান পাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনি কি জানেন বাংলাদেশে ৩১% মানুষ কোন না কোন মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। প্রায় প্রতি ৩ জনে একজন। অর্থাৎ আমার, আপনার আর আপনার পাশের জনের মধ্যে একজন মানসিক ভাবে অসুস্থ।
একটি শিশুর জন্মের কয়েকদিন পরেই তার কাধে ঝুলিয়ে দেন স্কুল ব্যাগ। ব্যাগের ভারে বাচ্চাটি তীর ধনুকের মত বেঁকে যায়। জীবনে আপনার ইচ্ছা ছিল প্রত্যেক পরীক্ষায় ফার্স্ট হবেন, পারেননি। তাই আপনার লালায়িত স্বপ্ন, আপনার সন্তানকে ফার্স্ট হতে হবে। এর মধ্যে তার মানসটা তখন থেকেই যন্ত্রে পরিণত হয়। এই যন্ত্রে মুখস্থ পড়া উৎপাদনে কোন ব্যাঘাত ঘটলেই কানটা মলে দেন।
লাল হয়ে যাওয়া মলা কান চেপে, চোখের পানি মুছে সে আবার মন দেয় পড়া উৎপাদনে। এভাবে দিন গড়ায়। এতদিনে সে বুঝে যায়, স্কুলে পড়া গেলা,পরীক্ষার খাতায় মুখ দিয়ে পড়া হাগু করা, আর অবসর সময়ে ডোরেমন গেলা ছাড়া তার আর খুব বিশেষ কিছু করার নেই।
একপর্যায়ে তার উপর পবিত্র দায়িত্ব অর্পিত হয় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে আত্মীয় স্বজনকে ফ্রি ডাক্তার দেখানো অথবা ফ্রি কম্পিউটার ঠিক করে দেয়ার। এর মধ্যে যদি কোন সমস্যা হয় তবে "ওর ভিমরতি হয়েছে" বলে চোখ লাল করেন।
এভাবে সমস্যা বাড়তে বাড়তে যখন আগ্নেয়গিরীর মহা অগ্নুৎপাত হয় তখন হেসে বলেন "পাগল, ও পাগল তো, তাই।"
কই শরীরে সামান্য আচর পড়লে ঠিকই তো যান ডাক্তারের কাছে। তাহলে মনের অসুখ হলে ডাক্তার দেখাতে লজ্জা কেন ভাই?
যাই হোক বেলায় বেলায় অনেক বেলা হল। আগেই বলছে এই পোস্ট না পড়লেও চলত আপনার। পড়েই যখন ফেলেছেন তখন প্রতিজ্ঞা করি আমি আপনি একজন মানুষকে সাহায্য করব। সঠিক পথ দেখাব। তাহলেই তাদের মুখে ফুটবে হাসি।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১
শামস্ মুকিত বলেছেন: আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক মানুষ আছে তাদের দেখে আমরা হাসাহাসি করি। যেটা একেবারেই ঠিক না।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন যে বাচ্চাকে ফ্রি টাইম দেওয়ার মত টাইম থাকেনা।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
শামস্ মুকিত বলেছেন: তাদের মানসিক বিকাশের জন্য দরকার খেলাধুলা, অন্য বাচ্চাদের সাথে পর্যাপ্ত ইন্টেরাকশন, তাহলে ব্রেইন এর ডেভেলপমেন্ট ভাল হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
অবনি মণি বলেছেন: খুব ভালো।প্রতিজ্ঞা যেন পালন করতে পারি!!