নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মুকিতের ডেস্ক

শামস্ মুকিত

একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।

শামস্ মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি স্থূলত্ত্বের সমস্যাই ভুগছেন??

১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

আপনি কি স্থূলত্ত্বের সমস্যাই ভুগছেন??
মেদ ভূড়ি নিয়ে কি আপনার কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে যাচ্ছে?
আর নয় চিন্তা।।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণা করে আপনার জন্য এক মহৌষধের সন্ধান পেয়েছেন।
এক সময় ধারণা করা হত শুধুমাত্র অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করা স্থুলত্ত্বের কারণ। এর অর্থ হচ্ছে আপনি যে মোটা তার পুরো দোষটা আপনারই।
কিন্তু পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা আরো গবেষণা করে জানতে পারলেন স্থূলত্ত্ব বা ওবেসিটি এর কারণ বহুবিধ অর্থাৎ মাল্টিফ্যাক্টোরিয়াল। ভাল খাওয়াদাওয়ার সাথে জীবনযাত্রা,পারিপার্শিক পরিবেশ,জিনগত প্রভাব, আবেগ, ঘুম, ঔষধের প্রভাব ইত্যাদি ওতপ্রতোভাবে জড়িত।
স্থুলত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পান ২০০৭ সালে।সে বছর বিজ্ঞানীরা মানুষের মোটা হওয়ার জন্য একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ জিন, FTO জিন আবিষ্কার করেন। ধারণা করা হয় FTO জিন থার্মোজেনেসিস বা ফ্যাট মেটাবলিজমের সাথে সম্পর্কিত অপর দুটি জিনকে নিয়ন্ত্রন করে।এই দুটি জিনের পারস্পরিক ক্রিয়ায় তৈরী হয় বাদামী(brown) ফ্যাট যা ভাল(good) ফ্যাট নামেও পরিচিত এবং হোয়াইট(white)ফ্যাট তৈরী হয়। বাদামী ফ্যাট আমাদের শরীরের জন্য উপকারি কারণ এটা প্রয়োজনে ভেঙ্গে গিয়ে শক্তি উতপন্য করে। অন্যদিকে হোয়াইট ফ্যাট ক্ষতিকর কারণ এরা সঞ্চিত থাকে এবং দরকারের সময় শক্তি উতপন্য করে না। এরাই স্থূলত্ত্বের জন্য দায়ী এবং হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ বড় ধরনের সমস্যা তৈরী করে। কিন্তু FTO জিন কিভাবে এদের নিয়ন্ত্রন করে তা বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্য ছিল।
অবশেষে এম আই টি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক দীর্ঘ গবেষণার পর জিনের এই সম্পর্ক বের করতে সক্ষম হন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা বলছেন FTO জিন সুইচ মেকানিজমের মাধ্যমে চেষ্টা করে বাদামী ফ্যাট উতপন্য করতে কিন্ত FTO জিনে যদি অনাকাক্ষিত মিউটেশন ঘটে তবে সেটা শুধু সাদা ফ্যাট উতপন্য করে যার পরিনতি স্থূলত্ত্ব।এই গবেষকদলের প্রধান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ ড. মেলিনা ক্লসনিতযার বলেন, “এই প্রথমবারের মত জেনেটিক্স স্থূলত্ত্বের কারণ ব্যখ্যা করতে সক্ষম হল যা আগে কেউ কোনদিন ধারণা করে নি। অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহন, এক্সারসাইজের অভাব এর পাশাপাশি আমরা আরেকটি ফ্যাক্টরকে জানলাম আর তা হল FTO জিন।
এই জিন ইতোমধ্যেই বিশ্বের বড় বড় ঔষধ কোম্পানীগুলোর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন এই জিন নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।। এই জিন শুধুমাত্র ৪৪ শতাংশ ইউরোপিয়ান এবং মাত্র ৫ শতাংশ কৃশ্নাংগদের মধ্যে পাওয়া গেছে। এ থেকে ধারনা করা হয় FTO জিনের পাশাপাশি আরো অনেকগুলো জিন এখানে দায়ী থাকতে পারে। এই জিনকে ব্যাবহার করে ইদুরের ক্ষেত্রে সাফল্য পেলেও এখন মানুষের উপর এই পরীক্ষা করা হয়নি।এজন্য বিজ্ঞানীদের ধারণা আরো দীর্ঘ এবং সূক্ষ গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
এই জিনকে ব্যাবহার করে স্থূলত্ত্বে অভিষাপ থেকে মানুষ মুক্তিপাক এবং তা সর্বতভাবে মানুষের কল্যানে ব্যাবহার হোক এই আমাদের প্রত্তাশা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.