নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মুকিতের ডেস্ক

শামস্ মুকিত

একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।

শামস্ মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবান্তর তুলনা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

যারা ১৯৭১ সালের হত্যাযজ্ঞের সাথে ২০১৭ সালের রোহিংগা গণহত্যার তুলনা করেন তাদের বলব, ‘৭১ আর ‘১৭ এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। ’৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের আগে বাংগালীর আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যার বীজ সেই ১৯৪৭ সালেরও আগে প্রথিত। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ‘৫৪এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ‘৬৬ সালে ছয়দফা, ‘৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিরংকুশ সংখাগরিষ্ঠতা, এই সব কিছুই বলে দিচ্ছিল এক আলাদা জাতি সত্ত্বা গঠনের পথে চলেছে এই বাঙ্গালীরা। এছাড়া ছিল এক আলাদা সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল এবং যোগ্য নেতৃত্ত্ব। সংকটকালীন সময়ে যারা জাতীর হাল ধরে জাতীকে স্বাধীনতার তীরে পৌছে দিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ছিল আলাদা স্বীকৃতি। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডনে বাংলদেশের পক্ষে স্টিয়ারিং কমিটি খোলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বব্যাপি প্রচারনা চালান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, ভারত এই সুসংগঠিত শক্তির হাতে তুলে দেয় অস্ত্র।
অপরদিকে বহুজাতিসত্ত্বার দেশ মায়ানমারে ক্ষুদ্র একটি জাতিগোষ্ঠি রোহিংগা। এই অশিক্ষিত পশ্চাতপৎ জাতিগোষ্ঠির নিজেদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তাদের মধ্যেও স্বাধীন হওয়ার প্রবনতা পরিষ্কার নয়।
গনহত্যার মুখে পালিয়া এসে তারা শুধু বিশ্ববাসীকে মানবতার সুরসুরি দিতে পেরেছে। নিজেদের আলাদা সত্ত্বার কোন চেতনা তারা দিতে পারে নি। তাদের মধ্যে নেই কোন বলিষ্ঠ নেতৃত্ত্ব। সবচেয়ে বড় কথা অভিযান শেষে তারা যে নিজেদের দেছে ফিরে যাবে এ ধরনের কোণ সম্ভাবনাও নেই।
একটি সুসংগঠিত শক্তি বলিষ্ঠ নেতৃত্ত্বের অধীনে বিশ্বমাঝে একটি আলাদা পরিচয় ছিনিয়ে এনেছে। ২০১৭ তে যার সবগুলোরই অভাব। তাই বলব ৭১ ও ১৭ এর মধ্যে বিস্তর ফালাক।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আমরা রোহিংগা সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান আশা করছি

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

শামস্ মুকিত বলেছেন: এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান একমাত্র কূটনীতিক উপায়ে সম্ভব।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১

শিখণ্ডী বলেছেন: রোহিঙ্গারা এতটা পশ্চাদপদ কেন, ঠিক বুঝে আসে না। কাল কাগজে পড়লাম দোকান দিতে বাধা দেয়ায় পুলিশকে পিটিয়েছে রোহিঙ্গা নারী। যে দেশের আশ্রয়ে সেদেশের পুলিশের গায়ে হাত?! নিজের ভালটাও যেন এরা বোঝে না। যথার্থই বলেছেন নিজেদের আলাদা সত্ত্বার কোন চেতনা তারা দিতে পারে নি। তাদের মধ্যে নেই কোন বলিষ্ঠ নেতৃত্ত্ব। এরা আদিম সমাজের মানসিকতা সম্পন্ন।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রোহিঙ্গাদের বেকুব বলেই মনে হয়। এত বছর এক সাথে থাকার পরও তারা মায়ানমারবাসীর মন নিতে পারেনি...

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪০

কানিজ রিনা বলেছেন: আসলে রহিঙ্গা জাতী গোষ্ঠী অসভ্য বর্বর
মায়ানমার সরকার দ্বারা নিপীরিত নির্যাতিত।
প্রাচীন ইতিহাস ঘাটলে পাওয়া যায় মায়ানমার
বৌদ্ধরা জলদস্যু অসভ্য একজাতী।
রহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নাই অথচ ওরা রাখাইনে
হাজার বছর বসবাস রত। এখন বলুন যে
জাতীকে নাগরিকত্বই দোওয়া হয় নাই তারা
নেতা নেত্রী হয় কি করে? রহিঙ্গারা সরকারী
কলেজ ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নাই।
এমন কি মায়ানমার কোনও শহরে ঢুকতে
দেওয়া হয়না। সরকারী পরিবার পরিকল্পনার
কোনও শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত নাই, তাদের কে
আমরা আর কি বলতে পারি ওরা অশিক্ষিত
এক রহিঙ্গা জাতী।
ওদের উপর যে বর্বর আচরন করা হয়েছে
প্রকম্পিত গোটা বিশ্বের মানবতা জাতীসংঘর কোনও
মানবধিকার সংবাদ কর্মী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছেনা
কতটা বর্বর অসভ্য মায়ানমার সামরিক সরকার।
একজন পুলিশ দোকান করতে না দেওয়ায়
পুলিশ মার খেয়েছে তবু একটি রহিঙ্গা নারীর
হাতে কেমন যেন শরষেই ভূত মনে হচ্ছে।

কি বলব ডাঃ এম এ আলির রহিঙ্গাদের নিয়ে
ঐতিহাসিক বিশ্লেসন পড়ার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.