নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মুকিতের ডেস্ক

শামস্ মুকিত

একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।

শামস্ মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি জানি কিন্তু পারি না

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ধরুন, আপনি মনে করলেন আপনার অফিসের এসি টা অনেক ঠান্ডা। তাহলে আপনি অফিসে যাবার আগে একটা সোয়েটার ব্যাগে ঠেসে দিবেন। এটা একেবারেই সাধারণ একটা ব্যাপার।আপনার চিন্তা “অফিসটা বেশি ঠান্ডা” এবং কাজ “সোয়েটার নেয়ার” মধ্যে মিল রয়েছে।কিন্তু আমরা আজকে যেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি, OCD (Obsessive compulsive disorder) সেখানে এই চিন্তা আর কাজের মধ্যে মিল থাকে না।
ব্যাখ্যা করা যাক।
বাসা থেকে দরজায় তালা মেরে বেরোলেন। কিন্তু নিচে নামার পর হঠাৎ মনে হল “দরজায় তালা মেরেছি তো?” আপনি নিশ্চিত আপনি তালা মেরেছেন। কিন্তু মনে খুত খুত করে উঠল। সিড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠে তালাটা নেড়ে চেড়ে দেখলেন। না মেরেছেন। এখানে আমাদের চিন্তা আর কাজের মধ্যে মিল নেই। আর এই সমস্যায় হল অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার। আমাদের মস্তিস্ক কে বিধাতা এমন ভাবে তৈরী করেছেন যেন তা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে আমাদের সতর্ক করে দেই। কিন্তু যখন এটি ত্রূটিপূর্ণ কাজ করে, তখন এই ধরনের সমস্যার জন্ম হয়।
এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত একই কাজ বার বার করার একটা তাড়না থাকে যেমন বারবার হাত ধোয়া, কোন কিছু গোনা। অথবা কোন একটি চিন্তা বা ধারনা তাদের মাথায় সবসময় ঘুরতে থাকে। ইচ্ছা করলেও সরিয়ে দিতে পারে না। এই ধরনের কোন একটি সমস্যা যদি আপনার মনে হয় তাহলে দেরি না করে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। সাধারণ অবস্থায় ওসিডি এর চিকিৎসা অত্যন্ত সহজ। এটাকে বলা হয় exposure and response prevention (ERP). এখানে রোগীর যেই বস্তু বা বিষয়ের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরী করতে বলা হয়। এবং যে সব কাজ করলে তার দুশ্চিন্তা বাড়ে সেসব কাজ করতে নিষেধ করা হয়। এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে ঔষধের মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
এই ধরনের সমস্যায় শতকরা ২ জন মানুষ আক্রান্ত। সুতরাং ভয়ের কোন কারণ নেই। দ্রুত সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সঠিক জীবনাচরনের মাধ্যমেই হতে পারে এই সমস্যার অবসান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জানা হলো।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

শামস্ মুকিত বলেছেন: হুম সবার সচেতন হওয়া উচিৎ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



সচেতনতামূলক এই লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এটা যে একটা রোগ সেটাই অনেকে জানে না; আবার চিকিৎসার মাধ্যমে যে এটাকে সরিয়ে তোলা যায়, তা আমি জানতাম না।
একবার তাড়াহুড়া করতে যেয়ে, ভুলে জিমের লকার রুমে লকার তালা না মেরেই চলে গেলাম।
পরের দিন এসে দেখি লকারে তালা নেই। খুব ভয় পেয়ে গেলাম। লকার রুমে অনেক লোক আসা যাওয়া করে, লকারে অনেক মূল্যবান জিনিস থাকে।
পরে দেখি, আসলে আমি লকারে তালাই লাগায় নি।
কিন্তু ভয় তো মনের মধ্যে ঢুকে গেছে।
ঐ দিন ঠিকমত তালা লাগানোর পরও মনে হচ্ছিলো, ঠিক মতো তালা লাগিয়েছি তো?
ফিরে এসে আবার চেক করলাম। হ্যাঁ, ঠিক মতোই লাগিয়েছি।
দ্বিতীয় দিনও যখন মন খুঁত খুঁত করতে থাকলো, তখন আমার মনে হলো, ভয় থেকে একটা অসুখ আমার মনে বাস বাঁধছে।
আর প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
যখনই মন খুঁত খুঁত করতে শুরু করে, আমি জোর করে নিজেই নিজেকে বলি, "চিন্তার কোন কারণ নাই, তালা ঠিকমতোই লাগিয়েছি।"
দুই তিনবার বলার পরই খুঁত খুঁত ভাবটা চলে যায়।
আর কোন সমস্যা হয় নি।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

শামস্ মুকিত বলেছেন: শুনে খুব খুশি হলাম যে আপনি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। এক্ষেত্রে সদিচ্ছা খুব জরুরী,.।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.