নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডাঃ মুকিতের ডেস্ক

শামস্ মুকিত

একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।

শামস্ মুকিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প: স্বপ্নের মৃত্যু

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

মর্গের টেবিলে শুয়ে থাকা মানুষ টাকে দেখলে মনে হয় যেন ঘুমিয়ে আছে। অনেক ক্লান্ত সে.... সারাজীবনের কর্মব্যস্ততার ভারে।

অথচ একঘন্টা আগেও সুস্থ সবল এক তাগড়া জোয়ান ছিল সে। মাত্র ২৮ বছর বয়স।

মর্গের এক পাশে দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছিল মা। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর কত কষ্ট করেই না ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছে। কয়েকদিন হল তার বড় ছেলে একটা ভাল চাকরি পেয়েছে। অনেক দিন কষ্ট করেছে ছেলেটা এই চাকরিটার জন্য।যাক, এবার ধুম ধাম করে বিয়ে দেওয়া যাবে ছেলেটার। কিন্তু হায়, মায়ের স্বপ্ন গুলোও হয়ত চোখের পানির সাথে ঝরে পড়ছিল অঝোরে।

ছোটবোন দাঁড়িয়ে ছিল মর্গের এক কোনে। চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে একদিকে, কান্না যেন ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে প্রতিমুহুর্তে। ভাইয়ের এমন মৃত্যুর খবর সে বিশ্বাস করতে পারছে না এখনও। এই তো সেদিন তারা একসাথে বসে গল্প করছিল খাবার টেবিলে। নতুন বেতন পাওয়ার পর তারা কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবে এই নিয়ে প্লান হচ্ছিল। ভাইয়া তাকে বলেছিল কুয়াকাটা ঘুরতে যাবে তাকে।নিয়ে। আজকে, এখন, কুয়াকাটা শব্দ টা প্রচন্ড ঘৃণা জাগাচ্ছিল তার মনে।

তার প্রিয়তমা, যার সাথে সে স্বপ্ন দেখেছিল ঘর বাধার সে নিজের বিছানায় বসে কাদছে। একটা বালিশ টা খুব শক্ত করে চেপে ধরে আছে মুখের উপর। যেন বালিশটা শক্ত করে চেপে ধরলেই ফিরে পাবে তার প্রিয় মানুষ টাকে। একবার প্রায় বিয়ে হয়েই গেছিল তার অন্যজায়গায়। ইঞ্জিনিয়ার ছেলে, আমেরিকা থাকে, অনেক টাকা বেতন। অনেক চেষ্টা করে বিয়েটা আটকেছে সে, তার প্রিয় মানুষটার সাথে ঘর বাধবে বলে। একটা ভাল চাকরি পেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। বাবা আর অমত করতে পারবে না। এখন এই মুহূর্তে সব কিছুই শুন্য লাগছে তার কাছে।

বন্ধুরা হতবাক। খুব আমুদে লোক ছিল সে। চাকরি, পকেটে টাকা না থাকলে কি হবে? বন্ধুদের নিয়ে প্রায়ই এখানে ওখানে ঘুরতে যেত সে। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে খাওয়াত।সকলের আপদে বিপদে পাশে দাড়াত। তাই বন্ধু মহলে সে খুবই জনপ্রিয়।কিন্তু হায় সকল বন্ধুতা ছিন্ন করে স্বার্থপরের মত অন্য একদেশে চলে গেল সে।

সকালের ঘুম টা তার ভাংগে অন্য সব দিনের মতই। এলার্মের শব্দে। দৌড় দিয়ে উঠে রেডি হয়। অফিসে যেতে হবে। আজকে বস আজকে একটু তাড়াতাড়ি যেতে বলেছে তাকে। নতুন চাকরিতে জয়েন করার পর থেকে কয়েক দিন খুব খেটেছে সে। আজকে মনে হয় বস প্রশংসা করবে। তাড়াতাড়ি যেতে হবে। বাসার সামনের রাস্তা পার হয়ে কিছুদুর হেটে বাসে উঠতে হয়। আজকে রাস্তা টা খালি পেল সে। দ্রুত হেটে গিয়ে বাসে উঠতে হবে। এমন সময় পিছন থেকে একটা বাস এসে ডলে দিয়ে চলে গেল তাকে। চারিদিকে শোরগোল। সে দেখল চারিদিক থেকে দৌড়ে মানুষ আসছে তার দিকে। খুব কষ্ট করে চোখ খোলা রাখতে চাইল সে। কিন্তু পারল না চোখের সামনে মৃত্যু নামক একটা কাল পর্দা নেমে এল সহসায়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

সুমন কর বলেছেন: পুরনো প্লট।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১১

শামস্ মুকিত বলেছেন: এটা ঠিক। তবে নিজের মাথা থেকে কিছু বের করার চেষ্টা করায় মর্গে দাড়ীয়ে এটা বের হল।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রায় এক্সিডেন্টের গল্পটাই এমন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.