নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন ডাক্তার, এন্ট্রাপ্রেনিয়র, রিসার্চার। ক্যান্সার এবং কগনিটিভ সায়েন্স নিয়ে কাজ করতে ভালবাসি।
হঠাত রাস্তার মাঝখানে জটলা দেখে এগিয়ে গেলাম। দেখা মিলল এই বস্তুর। অভিনব আইডিয়া বটে। জটলার মাঝখানে চালক গদগদ হয়ে সবাইকে কি যেন বোঝাচ্ছে। বুঝলাম লোকটা খুব সৌখিন । নাহলে সি এন জি এর ছাদে ফুলের বাগান এই দেখে কেউ চিন্তা করেছে আগে?
.
একজন বলল ভাই, " ডেঞ্জারাস ব্যাপার। জোরে চালাতে গিয়ে যদি এই বাগান কারো মাথায় পড়ে তাইলে তো নগদে শেষ।" আরেকজন পরিবেশ বিদের মন্তব্য, "হুম, এই রকম আরো গাড়ি বাগান দরকার। রাস্তা থেকে ডাইরেক্ট কার্বন শুষে নিয়ে অক্সিজেন ছেড়ে দিবে।"
.
যেভাবে চারিদিকে কার্বন বাড়ছে শ্বাস নেয়ার জন্য আর অক্সিজেন ই থাকবে না কয়দিন পর।আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া তিনি আমাদের কাছ থেকে অক্সিজেনের ট্যাক্স নেন না কিংবা অক্সিজেন মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে কালোবাজারি করেন না ।
.
আলহামদুলিল্লাহ।
.
কিন্তু আমাদের দেশে ভালো কাজের কোন স্বীকৃতি নেই। অন্যের ভালো কাজ দেখলে আমাদের অবস্থা যেন বালিতে মুখ গোজা উঠ।
।
সদ্য নরওয়ে ঘুরে আসা এক ভাই বলল, ঐ দেশে বাসে পাশের খালি সিটে বসার আগে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, "এইখানে কি বসতে পারি?। যদি হ্যা বলেন তবেই বসবে। সাথে একটা ধন্যবাদ।
.
আমি চোখ বড় করে শুনি, এরকম আবার হয় নাকি? ঢাকা শহরে তো সিট খালি হওয়ার সাথে তো শকুনের মত ঝাপ দিয়ে যেয়ে বসি। সাথে পাশের যাত্রীকে মুফতে কনুইয়ের গুতো।
.
আবার ওখানে লিফটে ওঠার সময় নাকি অন্যকে উঠতে সুযোগ দিতে বলে 'After You' এখানে লিফটে উঠেই মানুষ বলে, ভাই ছয়ে দেন, আট এ দেন। মাঝে মাঝে রসিক লোক বলে ওঠে "এই লিফটে এত ধুলা কেন, সার্ভিসিং করাও না?"
.
তাই সিঙ্গাপুর এ একটা কথা আছে "Learn to appriciate" অর্থাৎ ভালো কাজের প্রশ্নগসা আর খারাপ কাজের নিন্দা। আর এখানে আমরা সবাই শুধু ছুটছি। কার পিছনে ছুটে কোথায় যাচ্ছি তাও বুঝতেছি না। এই ছোটাছুটিতে পাশে তাকানোর অবকাশ কোথায়?
.
আসুন না আমরাও দিনে এক মিনিট সময় নিয়ে ভালো যে কোন কাজকে এপ্রিসিয়েট করি।
বেশি না, একমিনিট।
পারবো না?
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২০
শামস্ মুকিত বলেছেন: সেটাই ভাই।।। আমাদের দৃষ্টিভংগি তে বড় ধরণের পরিবর্তন করতে হবে৷৷
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লার্ন করতে পারলে তো সমাজের চেহারা পাল্টে যেত...