নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নরকে স্বাগতম।

হাতুড়ে লেখক

ফেসবুকে আমি: www.facebook.com/ariyaanriyad

হাতুড়ে লেখক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবিকৃত

১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০১



-স্যার আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারছেন?
-অবশ্যই। রোগীকে না দেখে এইমুহূর্তে আমার পক্ষে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
-তার (রোগীর) অবস্থা খুবই শোচনীয়। আপনি দয়া করে আমার কথাগুলি অনুধাবন করার চেষ্টা করুন স্যার। আমি ইশ্বরের দিব্যি করে বলছি, সে ছিল একজন সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষ। এমনকি তার পূর্বপুরুষদের মাঝেও এমন আচরণের কোন প্রমাণ নেই।
-দেখুন, মিঃ মিহির। এইসব চিকিৎসার প্রয়োজনে অবশ্যই রোগীর সাক্ষাত একান্ত প্রয়োজন।
-আপনি ভাবুন, একজন লোক যে কিনা সবে মাত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এবং বৌ যথেষ্ট রূপবতী ও গুনবতী। বৌটি অন্তঃসত্ত্বাও হয়েছে কিছুকাল পূর্বে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই সে মা হতে চলেছে। এই মুহূর্তে লোকটি নিজেকে একটি গুইসাপ ভাবা শুরু করলো। এটার কি ব্যাখা হতে পারে?
শেষোক্ত বাক্যটি মিঃ মিহির নিজেকেই শুধোলেন যেন। একমিনিটের তিনভাগের একভাগেরও কম সময় বাদে তিনি আবার শুরু করলেন।
-সে যেদিন থেকে ভাবা শুরু করলো সে একটা গুইসাপ, তার আচরণও পাল্টে গেল। যেন সে সত্যিকারের একটি গুইসাপ।
-কি রকম?
ডঃ বদলেয়ার চৌধুরী এই পর্যায়ে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করলেন মিঃ মিহিরের বক্তব্যের বিপরীতে।
-সে একটু পর পর থুথু ছিটানো শুরু করলো। যেমনটা করে থাকে একটি গুইসাপ। ঠিক এইভাবে...
বলেই মিঃ মিহির একদলা ছিটিয়ে দিল ডঃ চৌধুরীর মুখে।
হতবিহ্বল চিত্তে ডঃ চৌধুরী কিছুক্ষণ মিহিরের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোন রকম উষ্মা প্রকাশ করলেন না তিনি। শান্ত স্বরে বললেন,
-আপনার বন্ধুর ঠিকানাটা রেখে যান। আমি অবশ্যই গিয়ে দেখা করে আসবো খুব শীঘ্রই।
মিঃ মিহির একটি সাদা কাগজে ঠিকানাটি লিখে ধীরপায়ে বেড়িয়ে গেল। বন্ধুর চিন্তা বেশ কাতর করে তুলেছে তাকে।

মিঃ মিহির চলে যাবার দুই সপ্তাহের মধ্যেও ডঃ চৌধুরী নিজেকে ব্যস্ততা থেকে মুক্ত করতে পারলেন না। তিন সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার একদিন পূর্বে তিনি মিঃ মিহিরের দেওয়া ঠিকানায় পৌছলেন। মফস্বল এলাকা। গাড়ি থেকে নেমে তাকে পায়ে হেঁটে আসতে হয়েছে আধঘন্টার মত। স্থুলকায় স্বাস্থ্যের বদৌলতে বেশ হাঁপিয়ে উঠেছিলেন তিনি।

এক গ্লাস ঠান্ডা পানি তার দিকে বাড়িয়ে ধরে সামনে দন্ডায়মান হলো যে নারী ডাঃ চৌধুরী বুঝতে পারলেন এ মিহিরের বন্ধুপত্নী ব্যতীত দ্বিতীয় কেউ নয়।
-আপনি ডাঃ বদলেয়ার চৌধুরী?
রমনীটি জিজ্ঞেস করলো। তার চোখে মুখে বিষন্নতার ছায়া ঘুরছিল যেন।
-একটু দেরি হয়ে গেল আসতে।
ডঃ চৌধুরী কিছুটা কৈফিয়তের স্বরে বলে উঠলেন। একটু থেমে জিজ্ঞেস করলেন,
-আপনার স্বামী কোথায়?
-অস্থির হবেননা। একটু বিশ্রাম নিন। কয়েক মিনিট বিরতির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমি।

রমনীটি ডঃ চৌধুরীকে বাড়ির পেছন দিকটায় নিয়ে চললেন। তার সারা অবয়বটি যেন আকাট মৌনতায় পরিপূর্ণ। বাড়ির পেছন দিকে বেশ বড় একটা পুকুর। শেওলায় ঘেরা। পুকুরের চারপাশে মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড় দাঁড়িয়ে রয়েছে কয়েকহাত দূরত্ব বজায় রেখে। রমনীটি হাতের আঙ্গুল তুলে ধরলেন ঐরকম একটি ঝোপের দিকে। প্রথমদিকে ডঃ চৌধুরী কিছুই দেখতে পেলেন না। পরে দেখলেন, তার দিকে ঝলঝলে চোখে তাঁকিয়ে রয়েছে একটি বেশ বড়সড় গুইসাপ। সাপটির মুখটা দেখতে মিঃ মিহিরের অবিকৃত।

ছবি: ইন্টারনেট

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: নিজেই নিজের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন নাকি???
ডাঃ কিটিসনের মুখে সরাসরি থু থু??? B:-)

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: কেন নিজের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া নিশ্চয়ই পাপ নয়? রোগ কে ঘৃণা করুন রোগীকে নয়। B-)

২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

বিজন রয় বলেছেন: ভয় পেলাম!!

বিকৃত-অবিকৃত মনের ভিতর ভয় ধরায়।

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমারো ভয় হচ্ছে এখন। :|

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২

প্রামানিক বলেছেন: ভয়ের ব্যপার

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: দাদু বুড়ো বয়সে ভয় পাইলে হবে?

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: ভয়াবহ!!

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভয়াবহ মন্তব্য :(

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

উম্মে সায়মা বলেছেন: এটা অনেক বেশি ভালো হয়েছে হাতুড়ে ভাই :)

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: থ্যাংকু B-)

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন:

হাঃ হাঃ হাঃ মন্দ না। গুইসাপ হওয়া ভালো কাজ! =p~

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হওয়া যায় নাকি? :|

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কেন? অসম্ভ হইবেক কেন? লেখার সময় তো আপনেও হইসিলেন! :-/

১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমি না। আপনি সম্ভবত ডঃ কিটিসন এর কথা বলতে চেয়েছেন। B-)

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো লিখেছেন। কাফকা'র 'মেটামরফোসিস' এর প্রভাব দেখতে পাচ্ছি।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এটা আমার অবগত ছিল না। :(

৯| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জেন রসি বলেছেন: রানেল নিজেই রূপান্তরিত গুইসাপ এটা বুঝতে পারছিলাম।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমিও বুঝতে পারছিলাম যে আপনিও বুঝতে পারছেন। ;)

১০| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাতুড়ে লেখক ,



ভালো হয়েছে ।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ জী এস ভাই। শুভ কামনা জানবেন।

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালো লাগলো,
কিন্তু লেখাটা কেমন যেন অসম্পূর্ন মনে হলো।

১৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো। শুভ কামনা নিরন্তর।

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

নাগরিক কবি বলেছেন: হাতুড়ে তুমি আসলে হাতুড়ে নও, তুমি একটা মুচি X((

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: অকা।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুবিধার হয় নাই বেশি।

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ হাসান ভাই।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালও লেগেছে। সুন্দর ও চমকপ্রদ ফেন্টাসী গল্প। লেখার স্টাইলটা বেশি দারুন ছিল। শুভেচ্ছা।

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: শুভেচ্ছা নেবেন শান্তির দেবদূত। কয়েকটন শান্তি কি ধার দেওয়া যায়? B-)

১৫| ১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: লেখার পরিসরটা আরও বড় হলে গল্পটা জমজমাট হতো।

২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হ্যাঁ। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও এটা থেকে বের হওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না কেন জানি। ধন্যবাদ প্রিয়।

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রশংসনীয় কল্পনাশক্তি এবং বর্ণনাশক্তি আপনার।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভালবাসা জানবেন।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেক ডাক্তার গুই সাপের মতন দেখতে। মানুষের সঙখা ভাড়া উচিত।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: তাই নাকি? ;)

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাড়া উচিত হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.