নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জন্ম। কাঁচ-পাকা চুল, দাঁড়িসমেত ইঁচড়ে পাকা যুবক।পেশাদার ট্র্যাভেল ব্লগার।ঘুরে বেড়াই ও লিখি।শখের বশে সাহিত্য চর্চা করি।সদালাপী,অলস ও স্বপ্নবাজ। জীবনের উদ্যেশ্য খুজে পাই নি।মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।যতক্ষণ শ্বাস চলে ততক্ষণ সুবাহানাল্লাহ

ফয়সাল হাওড়ী

স্বরূপ বিনির্মাণে মগ্ন ।

ফয়সাল হাওড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যারিয়ার ভাবনা

০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭



ক্যারিয়ারে কাঙ্খিত সফলতা অর্জন মানে এলাম, দেখলাম, জয় করলাম এমন কিছু নয়। ক্যারিয়ার মানে একটি নির্দিষ্ট পথে কাঙ্খিত সফলতার লক্ষ্যে হেটে চলা। সেটা সেক্টর ও অন্যান্য অনেক আনুসাঙ্গিক বিষয় ভেদে কারো সময় বেশি লাগে, কারো কম লাগে।

এই দীর্ঘ ইনিংসের একটা একটা করে বল খেলেই তবে ম্যাচ হয়। প্রতিটা বলই সেখানে পরীক্ষা।আর নিজে যদি খারাপ ফর্মে থাকেন তবে তো অগ্নি পরীক্ষা।একটু অমনোযোগী হলেই সাইড বেঞ্চ।লাস্ট বল ডিসাইড করে জয় পরাজয় ও দুধ-ভাত।তাই চাকরী পেলেই ম্যা তো কুচ বান গ্যায়া , আমি জীবনে সফল হয়ে গেছি ভেবে আত্মহারা হওয়া যেমন ঠিক না, তেমনি পরীক্ষা দিতে দিতে শুঁকতলা ক্ষয় করছেন বা স্টার্ট আপের দুস্টুচক্রে গুঁতা খাচ্ছেন বলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলা ঠিক না।আপনি ক্যারিয়ারে সফল না হলেই মানুষ হিসেবে বিফল হয়ে গেলেন, তা না।ক্যরিয়ার আমাদের জীবনের অনেকগুলো পাঠ্য বিষয়ের একটি।

হতে পারে ক্যারিয়ারই আপনার জীবনের মূল বিষয়।আবার ঐচ্ছিক বিষয়ও হয়।এটা মানুষ ভেদে ভিন্ন হয় এবং সেটা ডিসাইড করার মালিক আপনি।আমি সফলতাকে ডিসাইড করি মূল বিষয় ও অন্যন্য বিষয়ের সমন্বয় সাধন করে দীর্ঘ সময় পথ চলাকে।এই সমন্বয় সাধনটা অনেক কঠিন কাজ। যারা পারেন তাঁরাই কাঙ্খিত সফল।

প্রকৃতির নিয়মেই আমরা যখন কোন একটি বিষয়ে বেশি মনোযোগী হই তখন অন্যগুলো অবহেলিত হয়। প্রকৃত পক্ষ্যে আমরা সবাই চাই অন্যান্য বিষয়গুলোতে আমরা যেন পাস মার্ক পাই।মাঝে মাঝে ফেল করেও বসি। এমন তো কতই দেখা যায়, ক্যারিয়ারে খুব সফল একজন মানুষ ব্যক্তি জীবনে অসুখী।আবার ব্যক্তি জীবনে সুখী একজন মানুষ, ক্যরিয়ারে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করেন নি।
এই এক দিকে পাওয়া ও অন্য দিকে হারানোটাকে আমরা নিয়তি ভেবে ভুল করি। আমার মনে হয় না মহান আল্লাহ্‌ কেড়ে নেওয়ার পক্ষপাতী।একটু ভাবুন-এই নাও, তোমাকে সম্পদ জ্ঞান সবই দিলাম কিন্তু সন্তান কেড়ে নিলাম।নাউযুবিল্লাহ।

আমার ধারনা এই কেড়ে নেওয়ার বিষয়টা আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করি।আমাদের মূল বিষয় ও ঐচ্ছিক বিষয় গুলোতে সঠিক সমন্বয় করে খেলতে পারাটা শুধু কঠিন না। মোটামোটি পুল সিরাত।সেখানে আমাদের এমনো হয় যে আমি আর কিছুই চাই না, আমি শুধু মূল বিষয়েই কাঙ্খিত সফলতা পেতে চাই। অথবা মূল বিষয়ের সিলেবাস শেষ করতে করতেই পরীক্ষার আগের রাত হাজির।ক্যারিয়ার গুছাতে গুছাতে বিয়ে করার কথা ভাবতেই পারছেন না এমন অনেক আছে চারপাশে।

এখানে আমাদের নিচু সামাজিক মন মানসিকতা খুব গুল বাধায়।প্রথমত, এই নিচু সামাজিক মন মানসিকতা শুধু মুকুটে পালক গুনতে চায়।আমুকের ছেলের মাথায় ভালো চাকুরীর পালক আর তোমার মাথায় খুসকি?

দ্বিতীয়ত , রাস্তাকেই বেশি দাম দেয় ,পথ চলাকে না। আমার ছেলে ডাক্তার হইছে,বিসিএস ক্যাডার হইছে।ডাক্তার বা বিসিএস ক্যাডার হয়ে তিরিশ বছর ক্রিজে থেকে ভালো পারফর্ম করছে এমন কারো উদাহরণ এই কুসমাজ দেয় না।সম্ভবত, তাঁদের প্রতি এই পরশ্রীকাতর সমাজ ব্যবস্থার এলারজি আছে।

শেষতক এই সমাজ ব্যবস্থা ছিদ্রান্বেষী , আপনি আপনার মূল বিষয়ে যতই এ প্লাস পান, একটা চারুকলা/শারীরিক শিক্ষায় কম নাম্বার পাইছেন তো ওইটাই আপনাকে খুব আঙ্গুল দিয়ে দেখাবে।

আমি এই সমাজ ব্যবস্থাকে বলি বেসবুর। জলজ্যান্ত প্রায় ছয় ফিট লম্বা সুঠাম দেহি মানুষটা সামনে দাঁড়িয়ে আছেন দেখবে না কিন্তু কানের পিছনে লুকিয়ে থাকা পাকা চুলটা দেখিয়ে আপনাকে বলবে- হায় আল্লায় তোমার চুল পেকে গেছে।

খতম করার আগে, নিজেকে নিয়ে অসন্তুষ্ট হওয়া ঠিক না এবং সব কিছুর দ্বায়ভার আল্লাহ্‌র দিকে ঠেলবেন না। আজ আপনি কষ্টে আছেন কেননা এই কষ্টে থাকর কারনটাকে আপনি আপনার ৪র্থ বিষয় ভেবে দূরে রেখে দিয়েছিলেন।একটু পড়ালেখা করলেই পাস করে যেতেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনটাই হয়।ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, যার জন্ম থেকেই চোখ নাই তাকে সবুজ শাক সবজী না খাওয়ার জন্য দোষারোপ করা ঠিক নয়।অসন্তুষ্টি নয়, বরং পরিতৃপ্ত ও স্থীর মনোবৃত্তি নিয়ে একগ্রতার সাথে পথচলাই আপনার সফলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলে।

২২/২/১৭

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২

ফ্রিটক বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: thank you :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.