নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জন্ম। কাঁচ-পাকা চুল, দাঁড়িসমেত ইঁচড়ে পাকা যুবক।পেশাদার ট্র্যাভেল ব্লগার।ঘুরে বেড়াই ও লিখি।শখের বশে সাহিত্য চর্চা করি।সদালাপী,অলস ও স্বপ্নবাজ। জীবনের উদ্যেশ্য খুজে পাই নি।মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।যতক্ষণ শ্বাস চলে ততক্ষণ সুবাহানাল্লাহ

ফয়সাল হাওড়ী

স্বরূপ বিনির্মাণে মগ্ন ।

ফয়সাল হাওড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাটিরও পিনজিরার ভিতর বন্দী হইয়া রে

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৯



অবিবাহিত যুবক ও যুবতীদের মনের মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করতে দেখা যায়। তাদের মাথায় এরকম একটা কুসংস্কার কাজ করে "বিয়ে করে ফেললাম মানে বন্দী হয়ে গেলাম।জীবনে কিছু করতে হলে বিয়ের আগেই করতে হবে। বিয়ে করা মানেই হাড়ি-পাতিল ও বাজারের ব্যাগের মধ্যে জীবন সীমাবদ্ধ হয়ে গেলো।

আমি আমার চারপাশে অনেককে দেখেছি এই কুসংস্কারে আতঙ্কিত হয়ে নিজেকে বিয়ে বা সংসার থেকে দূরে রাখার প্রনান্ত চেষ্টায় রত হতে। অন্তত যতদিন গা বাচিয়ে চলা যায় । আবার কিছু রসিক মানুষ এই বিবাহ-আতঙ্কে আতঙ্কিতকে ভ্যবাচ্যাকা খাইয়ে দিয়েছে বিবাহ সম্পর্কিত বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্যটি শুনিয়ে -
"দিল্লী কা লাড্ডু
যো খায়, বো পাস্তায়েগা
যো না খায়, ও ভি পাস্তায়েগা ।।"

আমার ধারনা ছিল শুধু অবিবাহিত বা বিবাহ উপযুক্তরাই এই আতঙ্কে ভোগে। এখন দেখছি বিবাহিতরাও এই কুসংস্কারকে জিইয়ে রাখে। নবদম্পতির হাতের মেহেদী মুছে যেতেই হতাশার সাগরে হাবুডুবু খায় এবং রহস্যময় সেই প্রবাদ বাক্যের সত্যতার প্রমাণ দেয়।
বিয়ের আমেজ শেষ হতে না হতেই নব দম্পতির জীবনে একটা চাপ আসে সত্য। বিশেষ করে অর্থনৈতিক চাপে অনেকে বেসামাল হয়ে যায়। সদ্য বিবাহিত পুরুষটি টাকা বা ক্যারিয়ারের নেশায় পাগলপাড়া আর বিরহিনী নারী তাঁর একাকী জীবনের সেলফি তুলে তুলে স্বামীর ঘরে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনে। (এর ব্যতিক্রমও যে নেই তা নয়।) সেই সেলফি সামাজিক পোফাইলে না দিলেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিয়ের ছবিতে নতুন ক্যাপশন জুড়ে দেয় "অনেক বদলে গেছো তুমি।"

কিন্তু তারা বেমালুম ভুলে যায় যে

সংসার সাগরে দুঃখ তরঙ্গ খেলা
আশা তাঁর একমাত্র ভেলা "

তারা ভুলে যায় জোয়ারের পর ভাটা এবং ভাটার পর আবার জোয়ার আসে।ভালোবাসাহীন সেই হৃদয়গুলো ভাটায় পড়ে হঠাৎ ডাঙ্গায় চলে আসা মাছের মতো কাতরাতে থাকে। পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বোধ থেকে সড়ে এসে অযাচিত কলহে লেগে থাকে। কণ্ঠে গান তুলে

মাটিরও পিনজিরার ভিতর বন্দী হইয়া রে ......

তখনি ভালোবাসার বলৎকার হয়। ধৈর্য, পারস্পরিক বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা বোধ যে মানুষের সাংসারিক জীবনে প্রাণের সঞ্চার করে এবং সংসারকে মহিমান্বিত করে তুলে এবং সেই জন্যে চেষ্টা করতে হয় তা ভুলে যায়।তাঁরা ভুলে যায় চন্দ্র সূর্য সাক্ষী রেখে প্রথম জীবনের সেই আবেগময় বানী।

সাক্ষী থাইকো চন্দ্র সুরুজ
সাক্ষী থাইকো তাঁরা
মরণ যাত্রায়ও না যাই যেন
প্রানবন্ধুরে ছাড়া ।

সংসারে যত্নশীল না হয়ে, ধৈর্য হীন সে প্রেমিক প্রেমিকারা আবারো প্রমাণ করে বিয়েই মানব জীবনে চরম সীমাবদ্ধতা। তখন মরণ যাত্রার হিসাব চুকে যায়, শুরু হয় একলা চলার মনোঃ বৃত্তি, বৈরাগ্যে তখন সুখ খুজে পায়।হেরে গলায় বন্ধুরে-

নিষ্ঠুর বন্ধুরে
বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলো না সে সময়
সাক্ষী শুধু চন্দ্র তাঁরা
একদিন তুমি পড়বে ধরা
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয় ।

২২/২/১৭

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

সুমন কর বলেছেন: পর পর ২টি পোস্ট একই ব্লগারের না হওয়াটাই ভালো। বাকিটা আপনার ইচ্ছে !!

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ভাই ঠিকই ধরছেন। আমি আজকে অনেক পোস্ট দিলাম। আমি আসলে এতোদিন আমার লেখাগুলো ভালো কোথাও সংগ্রহ করে রাখতে পারি নাই।প্রথমে পিসিতে ফাইল করে রাখতাম।পিসি চুরি হইছে। হার্ড ড্রাইভে রাখছিলাম সেটাও চুরি হয়ে গেছে। পরে ব্লগ করা শুরু করছিলাম।মাঝখানে আবার নিজের লেখা প্রকাশ করার জন্য নিজেই সাইট তৈরি করছিলাম। সেটাও রিনিউ না করায় হারায়ে গেছে। আমি আমার লেখা নিয়ে এমনই বেখেয়ালি যে এইখানে ৩ বছরে ৫ টা লেখা দিয়ে পাসওয়ার্ড ভুলে গেছিলাম।রিকভার করতে পারি নাই অনেক দিন।এভাবে অনেক লেখা হারিয়ে গেছে।

এই দীর্ঘ অবহেলার শেষ হবে এই আশায় আজকে জিদ উঠে গেছে। যেখানে আমার যা লেখা আছে সব এখানে সংরক্ষণ করার চিন্তা করছি।আপনাদের বিরক্ত করে দিচ্ছি। তবে আর বেশিক্ষণ না। এই শেষ। এর পর নতুন লেখা পাবেন। নিয়মিত এবং পরিমিত।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
কুসংস্কার হলো মূর্খদের কাজকারবার।

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফয়সাল হাওড়ী ,




যা লিখেছেন তার মোদ্দা কথা হলো , নুন আনতে পান্তা ফুরানোর । যাদের এরকমটা হয়, তাদের কাছে পূর্ণিমার চাঁদ ও ঝলসানো রুটি বলেই মনে হয় ।" ভালোবাসা" তখন একখানি " ভালো বাসা " র পেছনে দৌঁড়ুতে দৌঁড়ুতে হাপিয়ে যায় ।

৪| ০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: মানুষকে বিয়ে-শাদী করানোর জন্য এত উঠেপড়ে লেগেছেন কেন???
যতই করেন,বিয়ের দাওয়াত দিবো না,তবে আপনার কথা শুনে বিয়ে করে এরপর ধরা খেলে আর ছাড়ছি নাহ ;) ;) ;)
সুমন কর এবং আহমেদ জী এস দুজনের কথার সঙেই একমত। :)

০৩ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: হা হা হা । বিয়ে করেন আর না করেন দাওয়াত খাওয়াইয়েন। তাইলেই আমি খুশি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.