নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জন্ম। কাঁচ-পাকা চুল, দাঁড়িসমেত ইঁচড়ে পাকা যুবক।পেশাদার ট্র্যাভেল ব্লগার।ঘুরে বেড়াই ও লিখি।শখের বশে সাহিত্য চর্চা করি।সদালাপী,অলস ও স্বপ্নবাজ। জীবনের উদ্যেশ্য খুজে পাই নি।মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।যতক্ষণ শ্বাস চলে ততক্ষণ সুবাহানাল্লাহ

ফয়সাল হাওড়ী

স্বরূপ বিনির্মাণে মগ্ন ।

ফয়সাল হাওড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধলেশ্বরী আমাকে কবি হবার মিছে স্বপ্ন দেখিয়েছে।

০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২


ছবি: (সংগ্রহীত )


এখানে রজনীরা অগ্রগামী। সন্ধ্যে সাতটায় কপাট পরে কাছে দুরের অধিকাংশ গৃহদ্বারে।দুচারটে দোকানী অলস সময় কাটায় নিশিরাতের বান্ধা খরিদারের অপেক্ষায়। ছোট ছোট সে আলোগুলো সাক্ষী হয়ে ধলেশ্বরীর বুকে নিয়ে আসে গভীর রাত।মৃদু স্রোতে ভেসে বেড়ানো কচুরীপানা সাক্ষী হয় স্থবীর প্রকৃতির , হঠাৎ সেখানে মাছের ঝাঁপটা সাক্ষী হয় নীরবতার।মাঝে মাঝে ডেকে ওঠা তক্ষক আর ক্রিকেট সাক্ষী হয় ছন্দের।

প্রকৃতির সে ছন্দে হেলে দুলে চলে পাখনাওয়ালা ছোট ছোট জেলে নৌকা। নৌকার ডগায় থাকে বাশের মাথালে ঢাকা হেলোজিন, যেন মাথায় পাগড়ী বেধে তার আলোর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করছে। নৌকার গলুইতে মাঝি আর মাঝখানে শিকারী।সে হেলোজিনের আলোয়, নৌকার দুপাশে পাখির ডানার মতো করে বাধা “তাড়ানে” এর ছায়া আর বৈঠার শব্দ সব মিলে অদ্ভুত সুন্দর এক দৃশ্যের অবতরণ হয় নদীর জলে।মৎস্য রাজ্যের রূপকথাকে হার মানানো সে ভয়াল চিত্র ছোট মাছকে নৌকায় তাড়িয়ে তুলে আর বড় মাছ ভয়ে দিশেহারা হয়ে শিকার হয় শিকারির ট্যাডায়(একাধিক ফলা যুক্ত বর্শা)।

মাঝে মাঝে সকল নির্জনতাকে খুন করে পাড়াগ্রাম হাটের ইঞ্জিন বোট। তখন নদী তীরের সবাই মনের সকল বিরক্তি নিয়ে তাঁকে অভিসম্পাত করে। পাখিরা ডেকে ওঠে, ব্যঙ্গেরা গান থামিয়ে দেয়, তক্ষকেরা এক মিনিট নিরবতা পালন করে।

ধলেশ্বরীর বুকে শ্রেষ্ঠ রজনী নামে জোছনায়।নদীর উপর চাঁদ আর নদীর জলে চাঁদ,এ চাঁদের সাথে সে চাঁদের মিলন, জোছনার আলোয় বনের ছায়া আর পেঁচাদের চেতনভাঙ্গা আকুতি নদীর কুলকে করে তোলে গৌরবময়।আমি হলফ করে বলতে পারি এই জোছনাভরা নদীতীর প্রতিবার আমাকে কবি হবার মিছে স্বপ্ন দেখিয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফয়সাল হাওড়ী ,





এমন জোছনাভরা ধলেশ্বরী যেখানে চাঁদের মিলন মেলা বসে, তাও যদি আপনাকে কবি হবার মিছে স্বপ্ন দেখায় বলে আপনার মনে হয়, তবে কস্মিনকালেও আপনার কবি হওয়া হয়ে উঠবেনা ।

মোটামুটি হয়েছে ।


০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৮

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ভাই মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।কবি হয়ে ওঠা কি মুখের কথা ?

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নদীর উপর চাঁদ আর নদীর জলে চাঁদ,এ চাঁদের সাথে সে চাঁদের মিলন, জোছনার আলোয় বনের ছায়া ...

এরপরও আপনি কবি হন নি!
ধলেশ্বরী আপনাকে ছেড়ে দিল ;)
হা হাহা

এরপর নিশ্চয়ই কবি হবেন।

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: আজো ধলেশ্বরী আমাকে ছাড়ে নি ভাই। আমি তাঁর কাছে সদা বন্দী। হয়তো এই ধলেশ্বরী আমাকে একদিন কবি করে তোলবে।ধন্যবাদ

৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অফলাইনে লেখাটা পড়ে মন ছুয়েঁগেছে মন্তব্য করা হয়নি!
মুগ্ধতা ।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৫

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: অনেক খুশি হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.