নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জন্ম। কাঁচ-পাকা চুল, দাঁড়িসমেত ইঁচড়ে পাকা যুবক।পেশাদার ট্র্যাভেল ব্লগার।ঘুরে বেড়াই ও লিখি।শখের বশে সাহিত্য চর্চা করি।সদালাপী,অলস ও স্বপ্নবাজ। জীবনের উদ্যেশ্য খুজে পাই নি।মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত।যতক্ষণ শ্বাস চলে ততক্ষণ সুবাহানাল্লাহ

ফয়সাল হাওড়ী

স্বরূপ বিনির্মাণে মগ্ন ।

ফয়সাল হাওড়ী › বিস্তারিত পোস্টঃ

থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে /দেখবো এবার জাগ ৎ টাকে ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১০



আমার এক বন্ধুর #Slovakia এর এইসব ছবি দেখলে নাকি মনের পাখা গজায় আর উড়ে চলে যায়।এবং সে কল্পনাতেই ওই ঘাসের মধ্যে শুয়ে ঘুম দেওয়ার ফিলিংস নেয়।


এইরকম ফিলিংস যে আমার সেই বন্ধুটির শুধু একা হয় তা না। আমি জানি এই ইট পাথরের বন্দীশালার প্রতিটা অলিন্দে এমন হাজারো , লাখো যাযারর আফসোসের ঢোঁক গিলে খায়।


আমরা যাযারররা এখানে একটা হিপোক্রেসি করি।আমরা দিন শেষে আমাদের অর্থনৈতিক দুরবস্থার দুহাই দিয়ে এইসব পরামানন্দ থেকে নিজেদের দূরে রাখি।


আমরা কখনো ভাবী না প্রকৃতির এই ওপার সৌন্দর্য উপভোগের জন্যই আমরা একটু বেশি কাজ করি, বেশি অর্থ আয় করি। কেন আমি এই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি না আমি নায়াগ্রা দেখবো বলেই দৈনিক ৮ ঘন্টা অফিসের সাথে ৩ ঘন্টা ওভার টাইম করছি।


"মানুষ ভ্রমণের জন্য এমন পাগমি করে নাকি” এই সিনারীটা বোতাম আটা জামার নিচে শান্তিতে শয়ান বাঙ্গালীর ঘিলুতে আটে না। একটা প্রশ্ন আমাকে প্রায়ই ভাবায় ইবন বতুতা, ভাস্কো দা গামা, মার্ক পলো না হোক বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে দুই একজন নামকরা ভয়েজার/পর্যটক/ সাহসী পরিব্রাজক নাই কেন?


আমাদের এই ভ্রমণ বিমুখ স্বভাবটা ঐতিহাসিক। উনিশ শতকের ব্রজেন দাস থেকে আজকে মুসা/মুহিত/নিশাত কাউকেই ছোট করে দেখার আমার অভিপ্রায় না।বরং আমি উনাদের নিয়ে গর্বিত। যে জাতির সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের ভ্রমণ ইতিহাস টিম টিম করে জ্বলে সেই জাতির পায়নিয়ার স্টার উনারাই।তবু আমাদের এক্সপ্লোর করার ইতিহাস অতি নাতিদীর্ঘ। আপনি ইতিহাস ঘেটেও এমন কোন ঘটনা পাবেন না, যে বাঙ্গালী অন্য এক রাজ্য দখল করে ৩০০ বা ৩০ বছর শাসন করেছে।


আমাদের সমাজে ভ্রমণের / যাযাবর বৃত্তির অভ্যাস আছে শুধু বেদে ও বাউল সম্প্রদায়ের কাছে। বিষয়টা অনেকটা প্রাচীণ কীর্তি মিউজিয়ামে তুলে রাখার মতো। আমরা সমাজ থেকে ভ্রমণের অভ্যাসকে সংরক্ষিত করে দিলাম।


এখানে একটু হট্টগুল বাধাচ্ছে যুব সমাজ। এই সমাজটা বরাবরই তেরা। দেশ, সমাজ,রাষ্ট্রযন্ত্র যখন চলছে "বাবা খাইটে খুইটে খা/কিনে কিনে ফতুর হ " এই নীতিতে, যখন মুঠোফোন আর ফেসবুক মানুষের দাম ও দাম্বিকতা প্রকাশের ট্রেডমার্ক তখন এই ঘারতেড়ারা বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখে, বাবা খাবি দাবি সেলফি তুলবি না ফেসবুকে আন্দোলন ছড়ায়ে দেয় , হুদাই কতোগুলা সাইকেল নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় আর নাম দেয় "অমুক সাইকেলিস্ট"। আর কি করে জানেন, কোথায় কোথায় থেকে বিশ জন জড়ো হয়ে বলে অমুক পাহাড়ে যাবে !


এই ঘরকুনো স্বভাবের পিছনে যুক্তির অভাব নাই। সেদিন দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া প্রসঙ্গে একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি আমায় রেফারেন্স দিচ্ছেন “ মহান কবি অমুক বলেছেন ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা বসুন্ধরায় আমার দেশ সকল দেশের সেরা । তুমি শোন নাই বাবা বাংলার রূপ দেখার পর অমুক কবি আর বিশ্বকে দেখতে চান না।এই ভ্রদ্রলোকের ভাষ্য শোনার পর বাঙ্গালির ভ্রমণ অনিহার যথার্থ কারণ খুঁজে পাইলাম।


"কালা পানি (সুমুদ্র) পাড়ি দেওয়া মহাপাপ " এই ভূত শাওয়ার হওয়া হাজার বছরের বাঙ্গালী মজ্জায় "থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে /দেখবো এবার জাগ ৎ টাকে " এমন কথা বড্ড বেমানান।যাক তবু একজন স্বপ্ন দেখালেন।আবার কবি গুরু বাঙ্গালীকে নাকি ঘরকুনো করে দিলেন।রবীন্দ্রনাথ গলধ করা বাঙ্গালী ভ্রমণের অফারে রবীন্দ্র বাবুকে শুধু বাড়ির পাশের ধানের উপরে শিশির বিন্দু দেখায়।

আমার সাফ কথা। এই ভ্রমণ পিপাসু তরুণদের ঘরের কোনায় বেঁধে রাখার যতই চেষ্টা করবে ততই ফেঁসে যাবেন দাদা। এখনো সময় আছে, এই বিশ্বকে জয় করর,সৃষ্টির ওপার সৌন্দর্য দেখার অধিকার হইতে এই যুবককে বঞ্চিত করিয়েন না।নতুবা দেখবেন কোন এক সকালে এই তরুনেরা আপনাকে রবীন্দ্র সংগীত শোনিয়ে দেবে

ওরে নবীন , ওরে আমার কাঁচা ,
ওরে সবুজ , ওরে অবুঝ ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমি আর দশ বছর কর্ম করবো। তারপর অবসর নিবো। অবসর নেওয়ার পর যতদিন বাঁচবো ততদিন ঘুরে বেড়াব।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৯

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হোক। আমারো অভিপ্রায় তেমনি তবে কর্ম থেকে অবসর নেওয়ার পক্ষপাতি আমি না।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:

"চল না ঘরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে।"

ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাই এরকম আরও সুন্দর ছবি দিতেন মনটা ভরে যেত।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: পরবর্তী লেখায় আরো অনেক সুন্দর ছবি দিবো।

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: শ্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি এই পৃথিবীকে সবারই ঘুরে দেখা উচিত, যতটুকু পারা যায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: আসুন আমরা ভ্রমণকে উৎসাহিত করি।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

শামচুল হক বলেছেন: সুন্দর

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: দারুন

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আর্থিক সামর্থ্য থাকলে সুন্দর এ পৃথিবীটা ঘুরে দেখা উচিৎ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: ঘুরে দেখার স্বপ্ন থাকলে আর্থিক সামরথ অর্জনের চেষ্টা করা যায়।

৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভ্রমন !!
আনন্দের অন্যনাম ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৬

ফয়সাল হাওড়ী বলেছেন: আপনি কমেন্ট করলে উৎসাহিত হই।

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আপনের কতা আমার কুব বালা লাগছে- আপনি হাওড়-বাওরে গুরাগুরির ফটু দিলে বাক্কা হইতো। ধন্যবাদ ভাই - আপনার সুন্দর লেখার জন্য। বর্তমানে সিলেট আছি তাই ভাবলাম -একটু আধটু সিলেটি ভাষা শেখা যায় কিনা - কিছু মনে করবেন না।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সংসারের ঘানি টানতে টানতে ভ্রমন আর হয়ে ওঠেনা। তবে মনটা সবসময়ই ঘুড়ে বেড়ায় দেশ দেশান্তরে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.