নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ বলে কিছু নেই এখানেশুন্যের মাঝে চেতনারা সব জেগে থাকেঘুরে ফিরে সেইসব সুখ দুঃখফিরে ফিরে আসে চক্র পুর্ণ করhttps://www.facebook.com/herahemel
প্রথম আলো কোন এক কবিকে জীবনানন্দ দাস সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করেছে, এই পুরস্কারের মাধ্যমে রাতারাতি পরিচিত হয়ে উঠেছেন কবি সাইয়েদ জামিল।
গত কয়েকদিন ধরেই ব্লগ ফেসবুকে আলোচিত সমালোচিত তিনি, কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে।
তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তিনি অশ্লীল শব্দের মাধ্যমে কবিতা লিখেছেন। তারপরের অভিযোগ হল তিনি স্বাধীনতা বিরোধী। কারো কারো অভিযোগ তিনি নাস্তিক। এরকম বিভিন্ন অভিযোগে কবি অভিযুক্ত।
যখন তার কবিতার সমালোচনা করা হবে তখন তার ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে কথা বলা অর্থহীন। তিনি কবিতার মাধ্যমে কি বলতে চেয়েছেন, কবিতা হিসেবে কতটুকু স্বার্থক হল এসবই মূল আলোচনা হওয়া উচিত। আমি কবি কিংবা কবিতা বোদ্ধা নই, তবু কবিতা সম্পর্কে ব্যক্তিগত মতামত দিতেই পারি, আমার সাথে সবাই একমত হবে এমনটাও আশা করি না।
প্রথম কথা হচ্ছে সাইয়েদ জামিলের অশ্লীল শব্দ নির্বাচন। কবি তার কবিতায় শব্দের খেলা খেলবেন এটাই স্বাভাবিক। সাহিত্যে শব্দ নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোন মানদন্ড নেই, কবিতাকে কোন কাঠামোর মধ্যেও সীমাবদ্ধ করা যায় না। শিল্পী স্বাধীনভাবে শিল্প সৃষ্টি করবেন, শিল্পের মাঝে শ্লীলতা-অশ্লীলতা খোজার চেষ্টা অর্থহীন।
বাংলা কবিতায় যেসব শব্দকে আমরা অশ্লীল বলে থাকি, তার প্রয়োগ নতুন নয়।
যেমন হেলাল হাফিজের, ' আমিও গ্রামের পোলা, চুতমারানী গালি দিতে জানি ' হুমায়ুন আজাদের, ' অপার সৌন্দর্য্যের দেবী সারারাত চুষবে নষ্টের লিঙ্গ' কিংবা কবি মলয়ের ' প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুঁতার ' অশ্লীল শব্দে ভরপুর অসাধারণ সুন্দর একটা কবিতা।
এই কবিতা গুলিতে অশ্লীল শব্দের ব্যবহার থাকলেও কোন অশ্লীলতা প্রকাশিত হয় নি। অশ্লীল শব্দের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে শ্লীল সৌন্দর্য্য, ফুটে উঠেছে জীবনবোধ, প্রকাশ করে অর্থ। অর্থাৎ সেগুলি হয়ে উঠেছে এক একটি কবিতা যা পাঠকের মন জয় করতে সক্ষম।
কিন্তু সাইয়েদ জামিলের কবিতা গুলি কি আসলেই কবিতা হয়ে উঠেছে? কিছু নমুনা দেখা যাক।
'' পৃথিবীতে আমরা গান গাই
পক্ষী শিকার করি,
চোদাচুদি করি, এবং নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করি ''
আমরা এসবই করি, ভুল কিছু নেই। কিন্তু প্রকাশভঙ্গি খুবই স্থুল এবং কবিতা বলা গেলেও পুরস্কার পাবার মত আহামরি কিছু নয়।
আর একটা কবিতায় তিনি লিখেছেন,
'' স্বেচ্ছায়
শাড়ি খুলে শ্রীমতি কাদম্বরী আমার
মুখের ভেতর পুরে দিলো
তার অহংকারী দুধের বোঁটা। দুপা ফাঁক
করে ঊরুসন্ধি দেখিয়ে বললো,
' ও নব্য ঠাকুরপো, এ শরীর তোমারও'
আমি মুসলমানের পোলা, আমার ঘেন্না হল।
তবু আমি কাদম্বরীর সাথে
রতিক্রিয়া সম্পন্ন করলাম ''
কবি এখানে কাদম্বরীর সাথে রতিক্রিয়ার এক অন্যায় ভাবনা প্রকাশ করেছেন। কাদম্বরী কোন প্রেম কামের দেবী নয়, নয় কবির প্রেমিকা। তাই এরকম ভাবনা আসলে বিকৃত বাসনা। দ্বিতীয়ত এখানে ' আমি মুসলমানের পোলা ' কথাটি চরমমাত্রার সাম্প্রদায়িকতা, যা নিন্দনীয়।
দ্যা স্পিরিট অব ইসলাম নামক কবিতায় লিখেছেন,
'' আমি গুরু চোদা জামিল।
সুতরাং রবীন্দ্রনাথকে পাল্টা থাপড়াইতে দ্বিধা করিলাম না।
এবং মাদারচোত বলিয়া গালিও দিলাম।
তারপর পোস্টারের সেই রবীন্দ্রনাথরে ছিঁড়ে ছিন্নভিন্ন
করে কমোডে ফেলে তার উপর মুত্র
বিসর্জন করিলাম এবং ফ্ল্যাশ আউট
করিয়া গৃহ হইতে ঠাকুর তাড়ায়া দিলাম ''
রবীন্দ্রনাথকে হেয় করতেই পারে, তাকে মাদারচোত গালি দেওয়াও পাপ নয়,তার ছবিতে মুত্র বিসর্জনের খায়েশ যে কারো থাকতে পারে। কিন্তু এই খায়েশ গুলোকে খিস্তি খেউরের মাধ্যমে প্রকাশ করা এবং এসব খিস্তি খেউরকে কবিতা বলে পুরস্কৃত করার ভাবনা কোন পার্ভার্টের মাথা থেকে বেড়িয়েছে সেটাই হল মূল কথা।
কবিতা হিসেবে এসব আহামরি কিছু নয়, তার পুরস্কার প্রাপ্তি মূলত তার রাজনৈতিক দর্শনের জন্য। একাত্তরে রবী ঠাকুর এই দেশে নিষিদ্ধ ছিল, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বরাবরই রবী ঠাকুরকে হেয় করে থাকে সাম্প্রদায়িক চিন্তার কারণে। প্রথম আলো যে সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির শুশীল পৃষ্ঠপোষক, তা বুঝতে কারো বাকী নেই। এসব কবিতা বড় কথা নয়, কবির রাজনৈতিক দর্শনই মূলত তার পুরস্কারপ্রাপ্তির কারণ।
আরও কিছু কবিতা পড়লাম সাইয়েদ জামিলের, একজায়গাতে তিনি কোন এক অ্যান্টির সাথে যৌনতার স্বপ্নে বিভোর। তার কবিতার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অবদমিত যৌনতার বিকৃত প্রকাশ।
এসব দেখে সাইয়েদ জামিলকে কবি বলছি, কিন্তু মারাত্মক যৌন অবদমনে ভোগা কবি।
এসবকে যদি কবিতা হিসেবে ধরা হয়, তাহলে চটিকে সাহিত্যর কাতার থেকে দূরে রাখার যৌক্তিকতা খুজে পাই না, সেখানেও মূলত থাকে অবদমিত যৌনতার কদর্য প্রকাশ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৩
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: //যা আজ কবিতা নয়, তা কখনোই কবিতা নয়//
চমৎকার বলেছেন। তাই আমিও অশ্লীলতার চেয়ে অশ্লীল শব্দ সহযোগে এটি শেষ পর্যন্ত কবিতা হয়ে উঠেছে কি'না এই বিষয়টাতে গুরুত্ত্বারোপ করেছি। বিতর্কের খাতিরে সাইয়েদ জামিলের লাইনগুলোকে কবিতা বলা গেলেও, পুরস্কার পাওয়ার মত কবিতা নয় বলেই আমি মনে করি।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৬
গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: রসময় গুপ্তের জন্য এই পুরস্কার প্রতিবছর বাঁধা। কেউ তারে টপকাইতে পারবে না।
প্রথমালো গুপ্ত দা' কে বাদ দিয়ে কবি জামিল'কে এই পুরস্কার দেওয়া তীব্র প্রতিবাদ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫
ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড বলেছেন: রসময় গুপ্ত তো দেখি ভাল জনপ্রিয়।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৯
জুপিটার মুহাইমিন বলেছেন: ভদ্র সমাজ বলতে যা বোঝায়, সেই কাতারে জামিলদের মত লোকদের জায়গা থাকার কথা নয়। কোন এক লোকের উচু স্বরে কবিতা বলার অভ্যাস। হাতে পেয়েছে সাইয়েদ জামিলের কবিতা। সামনে বউ বাচ্চা কাচ্চা, সে উচ্চস্বরে আবৃত্তি করছে-
'' স্বেচ্ছায়
শাড়ি খুলে শ্রীমতি কাদম্বরী আমার
মুখের ভেতর পুরে দিলো
তার অহংকারী দুধের বোঁটা। দুপা ফাঁক
করে ঊরুসন্ধি দেখিয়ে বললো,
' ও নব্য ঠাকুরপো, এ শরীর তোমারও'
এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারলাম না। অশ্লীল আর শ্লীল এই দুই জিনিসের মধ্যে পার্থক্য রাখলাম কই?
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৫
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: উনার আরও কয়েকটি কবিতা পড়েছি। লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেছে। সবকিছুর তো লিমিট আছে, উনি সব অতিক্রম করে চলে গেছেন।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কী সাইয়েদ জামিলের কোন কবিতা আগে পড়া হয় নাই। তাকে জীবনানন্দ পুরস্কার দেয়ায় অনেকেই প্রতিবাদ স্বরূপ ব্লগে পোস্ট দিয়েছে। সেখানে তার কিছু কবিতাও তুলে ধরেছে। যা আমি প্রথম পড়েছি। সবার ইঙ্গিতটা মোটামুটি অশ্লীলতার দিকেই ছিল। কিন্তু আপনার ইঙ্গিত ভিন্ন দিকে। যেটা আমার কাছে যথার্থ মনে হয়েছে। কারণ তার অশ্লীলতার অন্তরালেই লুকিয়ে আছে উগ্র মৌলবাদ আর সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বাধীনতা বিরোধীতা। প্রথম আলোর মুখোশটাও তাই সবার কাছে উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। যারা সাইয়েদ জামিলের মতো কবিকে স্বীকৃতি দেয়, তারাও যে একই পাল্লায় পড়ে। খুব ভালো লাগলো আপনার পর্যালোচনা। অনেক ধন্যবাদ ব্ল্যাক_ডাইমণ্ড।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫৭
পামাআেল বলেছেন: প্রথম আলো’র এ কদর্য চেহারা সচেতন কারও কাছেই আর লুকনো নেই। তাই এ ছদ্মবেশী ডাইনিকে রোধ করা অত্যন্ত জরুরী। সবার কাছে অনুরোধ এ বিষাক্ত মিডিয়া সর্পকে নিজে বর্জন করুণ এবং অন্য সবাইকেও বর্জন করতে অনুপ্রানিত করুণ। নইলে তারা আমাদের জাতিকে তার ছোবলে ছোবলে নিঃশেষ করে ছাড়বে।
লেখকের কাছ থেকে এ বিষয়ে দিকনির্দেশণা দিয়ে একটি পূর্ণঙ্গ পোস্ট দেখতে চাই।
- পামাআলে
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
নিখিল নওশাদ বলেছেন: সহাবস্থান
চ.
হস্তমৈথুন করতে করতে
কবিতা লিখছে অধুনা কবি ।
শীতের শ্রাদ্ধ শেষে ইতিহাস খুলে দিল
তাঁর বুকের জিপার ।
ওখানে জমানো সব কুঠার , ধারালো !
(ইতিহাসের এই কুঠার জমা আছে তো!)
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
আবু শাকিল বলেছেন: লেখক সাইয়েদ জামিলকে নিয়ে কি বোঝাতে চাইলেন বোঝলাম না ??
হয়ত আপনি যা বোঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝিনি।।
১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
মহান অতন্দ্র বলেছেন: ভাল লিখেছেন। তবে "এটাও ঠিক আজ যা অশ্লীল কাল তা শিল্প| কিন্তু যা আজ কবিতা নয় তা কখনোই কবিতা নয়" এর সাথে আমি একমত। আরণ্যক রাখাল ঠিকই বলেছেন।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৫
মিশু মিলন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। কষ্ট লাগে ক্লিনটন বি সিলি'র টাকা এবং প্রচেষ্টা বৃথা গেল! নিশ্চয় তার কানে এসব যাবে। বিদেশীদের কাছে আমরা কেবল ছোটই হয়ে যাচ্ছি!
১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪১
চলন বিল বলেছেন: নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন আল্লাহ অশ্লীল ভাষী ব্যক্তির মুখের দিকে তাকাবেন না।
এমন কুৎসিত ব্যক্তিদের থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।
১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
নিরীহ বালক বলেছেন: কিছুই বলতে পারছি না ।
পুরষ্কার দেয়ার মাধ্যমে প্রথম আলো কি এই ধরনের কবিতা লেখায় সবাইকে উৎসাহিত করছে !!?
কি দেখে প্রথম আলো পুরষ্কারটি দিলো ??
১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪২
শাহ্ ফখরুল ইসলাম আলোক বলেছেন: ইনি কি আসলেই কবি না চটি লেখক?
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সহমত| জামিলকে নিয়ে আমার একটা লেখা আছে দেখে নিতে পারেন|এটাও ঠিক আজ যা অশ্লীল কাল তা শিল্প| কিন্তু যা আজ কবিতা নয় তা কখনোই কবিতা নয়