নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....
আন্তর্জাতিক ম্যাচে হরহামেশায় দেখা যায় না এমন চিত্র। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ডিঙিয়ে এমন সাহস দেখানো সত্যিই বিরল। মাশরাফির নেতৃত্বেগুনে মুগ্ধ হয়ে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ মাঠে ঢুকে গেলেন দর্শক। জুড়িয়ে ধরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
সঙ্গে সঙ্গে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী দৌড়ে এলেন তার বাহিনী নিয়ে। মাশরাফি বুঝলেন, কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করছে ওই ভক্তের কপালে। মাশরাফি নিজেই জড়িয়ে রক্ষা করলেন ওই ভক্তকে।
বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের ২৯ ওভারের দ্বিতীয় বলটি মাত্রই শেষ করেছেন তাসকিন। ফিরছিলেন বোলিং মার্কে। হঠাৎ গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের গ্যালারি থেকে দৌড়ে এসে মাঠে ঢুকে যান ওই দর্শক। মুহূর্তেই খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
মাশরাফির ওই ভক্তটির নাম মেহেদি হাসান। তাকে মিরপুর থানায় নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিয়ম ভেঙে মাশরাফিকে কেন এমন পরম মমতায় জড়িয়ে নিলেন সেটি বুঝতে অবশ্য বাকি রইলো না। কারণ এই ম্যাচই মাশরাফির উপর দিয়ে বড় এক বিপদই আসতে যাচ্ছিলো। বোলিং করতে গিয়ে পা পিছলে বেকায়দায় পড়ে গিয়েও পরে উঠে দাঁড়িয়ে বল হাতে নিয়ে মাশরাফি প্রমাণ করেছেন তিনি কত বড় মাপের ক্রিকেটার, কত বড় ক্রিকেট পাগল।
মিরপুরে আজ একটু বেশি ছুটেই বোলিংটা শুরু করছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ২৮০ রানের মধ্যে আটকাতে হলে প্রথম থেকেই চেপে ধরতে হবে আফগান ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ওভারটা মেডেন তুলে নেন ছন্দময় বোলিংয়ে। আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা মাশরাফির আঘাত নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই। অফস্টাম্পের বাইরে পিচ করা স্লোয়ারটি মোহাম্মদ শাহজাদের ব্যাটে স্পর্শ হয়ে ভাঙলো স্ট্যাম্প। উল্লাসে মাতলো টাইগার ক্রিকেটাররা। বোলিংয়ের গতিটা একটু বাড়াতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
তবে একটু পরই মাঠে নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। সব উচ্ছ্বাস নিমেষেই গায়েব শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম থেকে। রানআপ না মেলাতে পেরে পপিং ক্রিজের মাঝখান অব্দি এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়া মাশরাফিকে নিয়ে উৎকন্ঠায় সবাই-আবারও কি তবে বড় ধরণের ইনজুরি? দৌড়ে আসলেন সতীর্থরা। মাঠটা যেন স্তব্ধ হয়ে উঠল। ফিজিও দৌড়ে আসলেন। ক্ষণিকের সেবা চলছিল। তখন সতীর্থরা মাশরাফিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে। তামিম এসে খুলে দিলেন পায়ের কেডস।
দুশ্চিন্তার সময়টা কেটে গেল। মিনিট পাঁচেকের পরই উঠে দাঁড়ালেন মাশরাফি। গোটা স্টেডিয়াম যেন প্রাণ ফিরে পেল। কিছুটা কম গতিতে দৌড়েই ওভারের বাকি বোলিং? ৬ ওভারে ১৫ রান দেয়া মাশরাফি ড্রেসিংরুমে। বদলি ফিল্ডার হয়ে মাঠে নামলেন নাসির হোসেন। পরে মাশরাফি আবার মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিতেই ঘটে যায় ওই ভক্তের কান্ডটি।
এ ম্যাচে পায়ে আঘাত নিয়ে উঠে দাঁড়ানোই হয়তো শক্তি যুগিয়েছে বাংলাদেশকে। নইলে প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখানো আফগানদের সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে এভাবে জয় উপহার দেয় টাইগার বোলাররা! আফগানিস্তানকে ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ এ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে শততম ওয়ানডে জয়টিও এসেছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গৌরবের দিনে জড়িয়ে গেল মাশরাফিভক্তের নামও। তবে সেটি অনাকাঙ্খিতভাবেই
ভিডিও:
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: ম্যাশ তো ম্যাশই। স্বর্ণও তার কাছে তুচ্ছ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাশরাফির নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা হোক ইতিহাসের পাতায় পাতায়
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৩
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: আপনার ইচ্ছা পুরোন হোক
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৩১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ফ্যানের ব্যাপারটা মাশরাফি চমৎকার ভাবে হ্যান্ডেল করেছে। এমনিই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, তার উপর খেলা চলাকালীন এমনভাবে মাঠে ঢুকে পড়া খুবই অদ্ভুত। সেটাও আবার ইংল্যান্ড যেদিন দেশে আসলো সেদিনই। মাঠের নিরাপত্তাকর্মীরা তৎপর ছিল না বুঝাই যায়। মাশরাফিও প্রথমে চমকে গিয়েছিল। পরে সব বুঝে শুনেই জড়িয়ে ধরে। নিরাপত্তাকর্মীদেরও এমন ভাবে হ্যান্ডেল করে যেন, এটা তেমন কিছুই না। যাতে এতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আর কেউ কিছু বলতে না পারে - সেই কাজও সেরে দিল। তবে, এই ফ্যানের দৌড়ে দলের সবাই ই চমকে গেছে।
মাশরাফি জড়িয়ে ধরায় এবং নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে ফ্যানকে হুট করে ছেড়ে না দেওয়ায় - সবাই ব্যাপারটাকে মাশরাফির মহত্ব হিসেবেই ভাবছে। এটাই দরকার। মাশরাফি যেমন বুঝে শুনে ব্যাপারটা মাঠে হ্যান্ডেল করেছে, ফ্যানদের ঐ ভাবেই ব্যাপারটাকে আপাতত দূরে রাখা উচিৎ। মিডিয়াও এটাকে খুব একটা বড় করছে না। আপাতত ইংল্যান্ড দলের সাথে সিরিজটা শেষ হোক।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
মস্টার মাইন্ড বলেছেন: মাঠের মাঝে এমন ভাবে ছুটে যাউয়া আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন হলেও বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে কিন্তু নতুন নয়
একে নিরাপত্তা ঘাটতি বলা যায় কিনা জানি না।
তবে যেহেতু এটা নিয়ম বিরুদ্ধ, এর থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় বলে মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:২৪
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মাশরাফির স্বর্নাক্ষরে লেখা হোক ইতিহাসের পাতায় পাতায়