নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....
তখনো আবছা অন্ধকার। সূর্যটাও আজ মুনিয়ার মত ঘুমের ঘোর কাটাতে ব্যস্ত। তবুও চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসল সে। প্রতিদিনের মত বারান্দায় এসে দাঁড়াল। ভোর দেখতে খুব ভাল লাগে মুনিয়ার। নতুন ভোরের আগমন প্রকৃতিতে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা তৈরি করে। কী অসম্ভব সুন্দর দেখতে সেই ভোরের প্রকৃতি।
মাঝে মাঝে সুমিতকে এমন ভোর দেখাতে খুব ইচ্ছে হয় মুনিয়ার। কিন্তু এত উপলব্ধি করার সময় কোথায় তার? তার আগেই যে সমস্ত উপলব্ধি তার মুনিয়ার চাকরিকে ঘিরে। হাজারো সন্দেহের ভিড়ে হয়তো ভুলেই গেছে মুনিয়াও তার প্রিয় কেউ ছিল। আজকাল অফিসের কাজে খুব একটা মনোযোগ থাকছে না। প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রনা তাড়া করে ফিরছে।
একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে সুমিত বেশ ভাল বেতনের চাকরি করে। মুনিয়ার সাথে তার সম্পর্ক সেই ইউনিভার্সিটি থাকতে। আজকাল সম্পর্কটা কেমন তিক্ত হয়ে উঠেছে। চাইলেও মুনিয়ার চাকরি করার ব্যাপারটা মন থেকে মেনে নিতে পারছে না।
ছেলে বেলা থেকে সুমিত দেখেছে বাবা যখন খেতে বসতেন মা ভয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন পাশে। তরকারিতে লবণ কম বেশি হওয়ার মত তুচ্ছ বিষয় নিয়েও বাবা চটাশ করে চড় বসিয়ে দিতেন মায়ের গালে। মা বিষয়টা মেনেই নিয়েছিলেন। তবে সুমিত আর ওর বোনের সামনে যখন এমন ঘটত, তখন মা অপমানে একেবারে কুঁকড়ে যেতেন।
মুনিয়া সুমিতকে প্রায়ই কিছু সুন্দর সুন্দর কথা শোনায়। বেশ রোমান্টিক বটে। অনেকটা গল্প উপন্যাসের মত। কিন্তু সুমিতের ওসব একদম ভাল লাগে না। কই মা তো কখনও এমন করে ভোর দেখেন নি। ভোরে উঠেই চলে যেতেন রান্না ঘরে। সকালের চা না পেলে বাবা খুব রাগ করতেন কিনা তাই।
সুমিত কিছুতেই বুঝতে পারে না কেন মুনিয়া মায়ের মত হতে পারছে না...
এভাবেই চলছে দায়িত্ব-কর্তব্যের শেকলে বেঁধে ভালবাসার অন্যরকম বহি:প্রকাশ। এমন করেই অতিবাহিত হচ্ছে পরিবারের প্রিয় নারীদের জীবন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলছে নিরব নারী নির্যাতনের চর্চা। নারী উচ্চ মর্যাদার আসনে বসলে আজও অনেকের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়ায়। আজও নারীদের ত্যাগের কথা স্বীকার করতে আমাদের কত দ্বিধা।
নারী অধিকার নয়, পৃথিবীর সকল নারীরা পাক মানবাধিকার। নারীর জীবন হোক তারই মত সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: হোক।