নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাসির

মোঃ নাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রাম্য স্কুল আর শিক্ষকদের মধ্যে চলতে থাকা গ্রুপিং। আমার জীবনের অনন্য এক অধ্যায়।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০১

আমার এখনো মনে আছে, SSC পরীক্ষার আগ মুহূর্তে একটা বিশেষ সংকটে পড়েছিলাম। ২০১১ সালের শুরুর দিকের কথা। শিক্ষা জীবনের চিরাচরিত নিয়ম অনুসারে কোন একটা ব্যাচ বিদ্যালয় থেকে বিদায় কালে তাদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। আমাদের বেলায়ও তার বিপরীত হল না। বিদায় অনুষ্ঠানের একটা এজেন্ডা থাকে বিদায়ী ভাষণ। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতি এই ভাষণ পাঠ করে থাকে ১০ম শ্রেনীর সবচেয়ে ভালো দুইজন শিক্ষার্থী। আর নবীনদের প্রতি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুই জন পাঠ করে থাকে। নিয়ম অনুসারে আমাদের পক্ষ থেকে একটা মেয়ে ও আমি সিলেক্টড হয়েছিলাম। মেয়ে শিক্ষার্থী খুব ভালোভাবেই হৃদয় নিংড়ানো বিরহের সব উক্তি ব্যবহার করে সকলকে অশ্রুসিক্ত করেছিল। তারপর আমার পাঠ করার সময়

ভরা মজলিশে বিদায়ী বিরহের চাইতে স্কুলের অসংগতি গুলো যুক্তি দিয়ে তুলে ধরাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হল। স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে চলতে থাকা গ্রুপিং, একপ্রকার স্নায়ু যুদ্ধও বলা যায়। আর সেখানে যদি স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কেউ জড়িত থাকে তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। আমাদের স্কুলে গ্রুপিং ব্যাপারটা তখন আলোচনার তুঙ্গে। কেউ কাউকে একবিন্দু ছাড় দিতে চাইছিলনা অনেকটা দুই সতীনের সংসারের মত।

আমি যখন ব্যাপারগুলো তুলে ধরলাম, তাৎক্ষণিক অনেক বাহবা পেলাম। কিন্তু পরে শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়তে হল। স্কুলের কিছু পুরনো শিক্ষার্থীদেরকে (যারা কিনা এলাকার একটা স্থানীয় কলেজে লেখাপড়া করতো) আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হল। উঠতে বসতে ঝামেলা। ব্যাপারগুলো কেউ না বুঝলেও সালাম ভাই নামের একজন বুঝেছিল। তিনি আমাকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করেছিল।

স্কুলের অসঙ্গতিগুলো আমি না প্রকাশ করে যদি কোন ভালো স্টুডেন্ট অথবা প্রভাবশালী কেউ বলতো তাহলে তাকে এত ঝামেলাতে পড়তে হতোনা, যতটা ঝামেলাতে আমি পড়েছিলাম। আমার পাশের ছেলেটাও আমাকে ধিক্কার দিয়েছিল যে কিনা আমাকে ছাড়া তার পরীক্ষায় পাশের কথা চিন্তাও করতে পারতোনা। আজ প্রায় ৪বছর পর সেও স্বীকার করছে আসলে ২০১১ সালে আমিই ঠিক ছিলাম। ২০১১এর গ্রুপিং আজ অনেকটা গ্রুপিং গ্যাংএ পরিণত হয়েছে যার কারণে এখন বার বার রেজাল্ট খারাপ করছে। স্কুলে এখন তেমন কোন শিক্ষকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক নেই (জাফর স্যার ছাড়া)। তাই তেমন কোন খোজখবর পাইনা

শিক্ষণীয়ঃ যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে যোগ্য কাজ করানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। শিক্ষকদের মধ্যে চলতে থাকা গ্রুপিংএর ব্যাপারটা প্রভাবশালী কাউকে দিয়ে ফুটিয়ে তুললে কার্যকরী হতো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১২

সুমন কর বলেছেন: যোগ্য ব্যক্তিকে দিয়ে যোগ্য কাজ করানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৪

চিত্রনাট্য বলেছেন: আমার ম‌নে হয় আপ‌নি ঠিক ছি‌লেন না ৷ কারণ শিক্ষক , ক‌মি‌টির ম‌ধ্যে থাকা সংঘাত আপনার বলার কথা নয় ৷ আপ‌নি বড় জোর স্কু‌লের কোন ভৌত সমস্যার কথা বল‌তে পা‌রেন ৷ আর বিদায় অনুষ্ঠান গু‌লো‌তে যা বলতে হয় তা আগে থে‌কেই ধারণা দেওয়া হয় ৷ আমার ম‌নে হয় আপ‌নি কা‌রো দ্বারা প্র‌রো‌চিত হ‌য়ে এ কাজ ক‌রে‌ছেন ৷ স্কু‌লের ভাল না করার অনেক কারণ থা‌কে সাধারণত ৷ বে‌শির ভাগ ক‌মি‌টি গু‌লোই নামমাত্র হ‌য়ে থা‌কে , যেখা‌নে নামমাত্র হয় না সেখা‌নেই সমস্যাগু‌লো হয় , ক‌মি‌টির বে‌শির ভাগই হয় অযোগ্য রাজ‌নৈ‌তিক লোক ৷

ক‌মেন্ট বেশ দীর্ঘ করার জন্য দুঃ‌খিত ৷

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:২৬

মোঃ নাসির বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারেন নি। গ্রুপিংটা শিক্ষক আর কমিটির মধ্যে নয়। শিক্ষকদের মধ্যে ছিলো। কিন্তু কমিটির কিছু মেম্বার উভয়পক্ষকেই উস্কানি দিচ্ছিলো। তাই কথাগুলো সবার সামনেই বললাম। কেননা সবাই না জানলে গ্রুপিংটা আরো বেড়ে যেত এবং কিছু সংখ্যক শিক্ষক বিপদে পড়ে স্কুল ত্যাগ করা লাগতো। তখন পরিস্থিতি এমন হয়েছিলো যে কথাগুলো তাৎক্ষণিক না বললে ব্যাপারগুলো চাপা পড়ে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.