নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাসির

মোঃ নাসির › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইয়্যামে জাহেলিয়াত ও বর্তমান বাস্তবতা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগেও বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্ব এবং ওমরাহ্ চালু ছিলো ৷ সে যুগে ইসাফ ও নায়েলা নামে এক অবৈধ প্রেমিক জুটি ছিলো ৷ বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করতে এসে বায়তুল্লাহ শরীফের ভিতরেই তারা অনৈতিক কাজ শুরু করে দেয় ৷ সাথে সাথেই আল্লাহর গজবে তারা পাথরের মূর্তিতে পরিণত হয়ে গেল ৷ মক্কাবাসী তাদের এ কুকর্মের কথা জানতে পেরে ক্রোধে ফেটে পড়ল ৷ একে তো আল্লাহর নাফরমানী, দ্বিতীয়ত তাও আবার বায়তুল্লাহ শরীফের ভিতরে!
.
তারা এই পাথর খন্ডগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে পরামর্শ করলো ৷ একজন বললো, তাদের একজন কে "ছাফা"এবং অপরজনকে "মারওয়া"পাহাড়ে রাখা হোক ৷ হজ ও ওমরার মধ্যে যারাই "সায়ী "করতে সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে যাবে তারা তাদের জুতা দিয়ে তাদের কপালে আঘাত করবে ৷ একবারও শরিয়তের বিধিবিধানের চিন্তা না করে তারা নিজেদের মনগড়া এক ব্যবস্থার প্রচলন করলো ৷
.
"সায়ী "করার কথা তো তৎকালীন শরীয়তেও ছিল, কিন্তু জুতা মারাকে "সায়ী"র একটা অংশ হিসেবে তারা দাঁড় করিয়ে দিল ও প্রচলন ঘটালো ৷ ফলাফল এই দাঁড়াল যে, দু'এক প্রজন্ম পর্যন্ত এই পন্থা চালু ছিল বটে, তবে যাদের কাছে জুতা ছিল না, তারা সায়ী করার সময় তাদের গালে চপেটাঘাত করতে লাগলো ৷
.
তাদের পরবর্তী বংশধররা এই দৃশ্য দেখে ভাবতে লাগলো হয়তো তাদের স্পর্শ করাটাই আসল উদ্দেশ্য ৷ তাই তারা এগুলোকে শুধু স্পর্শ করতো ৷
.
তাদের পরবর্তী প্রজন্মের লোকজন মনে করল, তারা হয়তো কোন বুযুর্গ ব্যক্তিই হবেন ৷ তা না হলে লোকজন কেন তাদের স্পর্শ করছে! কিছু কিছু অতি উৎসাহি লোকজন বেশি বরকতের আশায় তাদের চুমোও দিতে লাগলো ৷ কেউ কেউ আবার তাদের কাছে গিয়ে প্রার্থনাও করতে লাগলো!
.
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইসলাম প্রচারের পূর্বে আরবের মুশরিক ও কাফেরেরা "সাফা-মারওয়া" পাহাড়ে গিয়ে তাদের সিজদাও করতে লাগলো ৷ধাপে ধাপে এভাবেই অজ্ঞ মানুষদের কাছে পাপাচারীরা সম্মানিত হয়ে গেলো ৷
.
যেদিন থেকে মুসলিম শাসনের সূর্য অস্ত হলো, সেদিন থেকেই উপমহাদেশে জাহেলিয়াতের দিন শুরু ৷ আমরা বাঙ্গালীরা যেহেতু সব দিক থেকেই প্রথম হতে চাই, তাই জাহেলিয়াতে পিছিয়ে থাকবো কেন!
.
ইংরেজ শাসনামলে মুসলমানদের প্রথম প্রজম্মকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে ৷ পরের প্রজন্মকে তাদের প্রণীত শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়েছে ৷ তারপরের প্রজন্মের মাঝে গোলামীর মানসিকতা তৈরী করা হয়েছে ৷ পরের প্রজন্মের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার বীজ ডুকিয়ে মারামারিতে লিপ্ত করা হয়েছে ৷ এরপরের প্রজন্মের মাঝে ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব তৈরী করা হয়েছে ৷
.
এভাবে ধাপে ধাপে আমাদেরকে মেরুদন্ডহীন নামের মুসলমান বানানো হয়েছে ৷ এখানে আপনার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে চাইলেই যে কেউ ধর্ষণ করতে পারবে, কিন্তু বিয়ে করতে পারবে না ৷
.
আপনার সন্তান রবী ঠাকুর, কীটস সহ বিভিন্ন লেখকদের কবিতা পারে কিন্তু একটা সূরা পারে না! ইংরেজী পড়তে পারে, কিন্তু আরবী পারে না! তার পাঠ্যসূচীতে এসব রাখা হয় নি ৷
.
আপনি দল বেঁধে মিছিল, মিটিং, সিনেমা হলে যেতে পারবেন, তাফসীর মাহফিলে যেতে পারবেন না ৷ আপনার স্ত্রী ঘরে বসে টিভি দেখতে পারবে, এ বাড়ি ও বাড়ি কূটনামী করতে পারবে কিন্তু কারো কাছে গিয়ে একটু কোরআন শিক্ষার তালীম নিতে পারবে না ৷
.
আপনি ইসলামের কোন কথা বলতে গেলেই আপনাকে আপনারই মুসলমানই ভাই বাঁধা দিবে ৷ কারন আইনের কাছে তার হাত-পা বাঁধা ৷ এসব আইন যারা তৈরী করে থাকে প্রত্যেকেই মিথ্যাবাদী, মাতাল, জেনাখোর, সমাজের নিকৃষ্ট পাপাচারী ব্যক্তি ৷ কিন্তু অজ্ঞতার কারনেই তারা আজ আমাদের কাছে সম্মানিত ৷
.
আমাদের অজ্ঞতা দূর করার জন্য পৃথিবীতে আর কোন নবী আসবেন না, কিন্তু তাঁদের ওয়ারিশগণ আছেন ৷ তারা যদি দলাদলি বাদ দিয়ে আমাদের সচেতন না করেন; তাহলে শুধু হাইকোর্টে নয়, অচিরেই বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আমাদের মত অজ্ঞ মানুষেরা এসব নিকৃষ্ট লোকদের মূর্তি তৈরী করে পূজা-অর্চনা শুরু করবে ৷

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এমন ভাবে লিখলেন দেশে না থাকলে আমিও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়তাম। সব কিছু কেবল সরকারের ঘারে চাপাচ্ছেন কেন? বাসায় কতটুকু ধর্মচর্চা করছেন? সন্তানকে নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা বাসাতেই দেয়া হয়। আমিও পেয়েছি আপনিও পেয়েছেন।
ধর্ম শিখতে এ দেশে কোথাও বাঁধা দেয়া হয় না। ধর্মাচরনেও নেই কোন প্রতিবন্ধকতা। দল বেধে যারা রাতের আধারে একত্রিত হন তাদেরকে নিয়ে তো প্রশ্ন উঠবেই। এ দেশে মসজিদের অভাব নেই। সত্যিই যদি ধর্মীয় আলোচনা করতে চান তা তো মসজিদে বসে প্রকাশ্যেই করতে পারেন। এমন কি মহিলারাও চাইলে অনেক মসজিদেই সেই ব্যবস্থা আছে।
তাহলে কেন রাতের আধারে লোক চক্ষুর অন্তরালে আলচনায় বসতে হবে?
সন্তানকে কোরাআন শেখাবেন?
কে বাঁধা দিল? কোথায় বাঁধা দিল?
অতএব বিভ্রান্ত করবেন না। বিভ্রান্ত হবেনও না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.