নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি 'হিটাকাঙ্ক্ষী' নই 'হিতাকাঙ্খী'

হিতাকাঙ্খী

আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)

হিতাকাঙ্খী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওষুধ কেনার সময় লক্ষণীয় বিষয় !

১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০০

খাদ্যে ভেজাল, আবহাওয়ার দূষণ আর নানা কারণে প্রতিনিয়তই আমরা কোনও না কোনও রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আর সে কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় অনেক সময়। কিন্তু ডাক্তারের লিখে দেয়া ওষুধ খেয়েও অনেক সময় ফলাফল পেতে দেরি হয় বা পাওয়া যায় না। হয়তো এর জন্য ডাক্তার নন, আপনিই দায়ী। হয়তো আপনার কেনা ওষুধটি ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ, অথবা অন্য কোনও ওষুধ। এটা কেবল রোগমুক্তিতে দেরিই ঘটায় না বরং কখনো কখনো আপনার জীবন চলে যেতে পারে হুমকির মুখে। আপনার সামান্য ভুলের কারণে প্রাণ বাঁচাবার ওষুধ কেড়ে নিতে পারে আপনার জীবনও। তাই জেনে নিন ওষুধ কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতেই হবেঃ

মেয়াদকাল দেখে নিনঃ ওষুধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদকাল দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হবার আর কয়েক মাস বা সপ্তাহ বাকি এ ধরনের ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।

প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কিনুনঃ প্রেসক্রিপশানে যে ওষুধের নাম ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, ঠিক সেই ওষুধটিই কিনুন। অনেক সময় দোকানদার নতুন বা নিম্নমানের কোন কোম্পানির ওষুধ কমিশনের লোভে আপনাকে ধরিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবেন না।

ইচ্ছে মতন ভিটামিন নয়ঃ অনেকেই শরীর দুর্বল লাগলেই নিজে থেকে ভিটামিন কিনে খেয়ে থাকেন। এটি ভুলেও করবেন না। শারীরিক দুর্বলতার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ওষুধটি খেতে হবে।

একটু কম করে কিনুনঃ ডাক্তার যদি আপনাকে তিন মাসের ওষুধ খেতে বলেন এবং এক মাসের ভেতর আবারো দেখা করতে বলেন, সেক্ষেত্রে এক মাসের ওষুধই কিনুন। কারণ, এরপর হয়তো ডাক্তার কোনও কোনও ওষুধ বদলে দিতে পারেন। এছাড়াও পেইনকিলার বা স্যালাইন জাতীয় যে ওষুধগুলো সচরাচরই প্রয়োজন হয় সেগুলো একগাদা কিনে বাসায় রেখে দেবেন না। কয়েকটি কিনে রাখুন। নয়তো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে।

দাম যাচাই করুনঃ ওষুধের প্যাকেটের গায়ে দাম লেখাই থাকে। তাই দাম পরিশোধ করার আগে যাচাই করে নিন।

সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখে নিনঃ কিছু ওষুধ আছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয় কেননা সূর্যের তাপমাত্রায় এগুলোর কার্যকারিতা কমে আসে বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেনার সময় দেখুন ওষুধটি কী অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।

ছেঁড়া, খোলা বা ফুটোযুক্ত প্যাকেট নয়ঃ কেনার সময় খেয়াল করুন ওষুধের প্যাকেট বা পাতাটি ছেড়া, ফুটোযুক্ত বা খোলা কিনা। এ ধরনের কিছু হলে কিনবেন না।

ব্যবহারবিধি জেনে নিনঃ প্রেসক্রিপশানে ওষুধের ব্যবহারবিধি লেখাই থাকে। তবুও আরেকবার ওষুধ বিক্রেতার কাছ থেকেও নিশ্চিত হয়ে নিন কখন, কয়বার, খাবার আগে না পরে ওষুধটি খাবেন।

শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ কিনুনঃ শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ কিনুন। পরিচিত, একই রোগের রোগী বা ফার্মেসির কম্পাউন্ডারের পরামর্শে কখনোই ওষুধ কিনবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি।

একটু সচেতন থাকলেই আমরা এড়াতে পারি নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি। তাই সচেতন হন, সুস্থ থাকুন।

লিখেছেনঃ রোজেন

(সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.