নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন গাধামানব

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন

ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ন্যায়বিচারের সামাজিক যুদ্ধ

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৮

ধর্ষণ, হত্যা, গুম, লুট ইত্যাদি যেকোনো অপরাধ যারা করে, তাদের ধর্মীয়, রাজনৈতিক পরিচয় বলে কিছু নেই। তাদের পরিচয় তারা 'অপরাধী'। মেয়ের পোশাক কেমন ছিল, গুম হওয়া লোকের কি ইতিহাস- এইসব হচ্ছে অপরাধকে আড়াল করে অপরাধীকে রক্ষার চেষ্টা।
যারা এই ঘৃণ্য চেষ্টায় লিপ্ত হয়, ইংরেজিতে তাদের motherfucker বলে। এই শব্দের দুটো গভীর শানে নুজুল আছে। কেউ কেউ বলেন, এরা সুযোগ পেলে নিজের মাকেও ছাড়ে না। আবার কেউ কেউ বলেন, এরা হচ্ছে সেই বদমায়েশ, যারা নিজেদের কুলহীন মায়ের দেহবিক্রিত অর্থ চুরি করে নিজেরা আয়েশ করে, অথচ তার মা থাকে অভুক্ত। এসব মনগড়া কথা না। বইপত্রে আছে।

এই দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকেরা সংখ্যায় কম না। এরা সরাসরি অন্যায় করে না, কিন্তু অন্যায় দেখলে মজা পায়। এরা সামনা সামনি ঘুষ খায় না, টেবিলের তলা দিয়ে খায়। এরা শেষ বয়সে হজে এবং তাবলীগে যায়, 'আল্লাহ সীমাহীন ক্ষমাশীল, আমারে মাফ করবেন না ক্যান?'-টাইপের আবাল্য যুক্তিতে এরা পরপারে বেহেশতে যাওয়ার আশায় থাকে। এদের কানে যদি কোন ফেরেশতা এসে বলে,'বেহেশতের আশা ছাড়ো। সাম্প্রতিক নীতিমালা অনুযায়ী বেহেশত বরাদ্দ বন্ধ করা হয়েছে। যদি ইবাদত করতেই হয় তাহলে স্রেফ আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার জন্য ইবাদত করো, বেহেশত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।' এ কথা শুনলে এই লোকেরা চোখ কপালে তুলবে, কারন এদের মূল ধান্দা বেহেশতে যাওয়া, স্রষ্টাকে এরা শর্তহীনভাবে ভালোবাসে নাই।

প্রকাশ্য অপরাধীদের বিচার হওয়া দরকার এজন্য যে, তাতে এসব 'ছুপা' অপরাধমনস্কদের শোধরানোর সুযোগ থাকে। বাঙালী সংকর জাতি, ওলন্দাজ-পর্তুগীজ-ফরাসী-ইংরেজ নানা জাতির যৌবনধন্য এই বাঙালী নিখাদ চরিত্রবানের জাত, এটা ভাবার কোন কারন নেই। যে দেশে বদমায়েশ কম, সেদেশে আইনের প্রয়োগ করার দরকারই হয় না। বাংলাদেশে প্রচুর বদমায়েশ আছে, অথচ আইনের প্রয়োগ নাই, এটা দুঃখজনক।

শাসকগোষ্ঠীর চরিত্র দুর্বল, তারা নিজেরাও নানা অপরাধে লিপ্ত ছিলেন/আছেন/থাকবেন বলেই তারা ন্যায়বিচার কায়েম করতে ভয় পান। এরচেয়ে বড় ভয় দেয়ার ক্ষমতা আছে জনগণের হাতে, সেই সুবিশাল জনতাও বিবেকহীন পঙ্গু হয়ে আছে। জনতার অন্যায় সহ্য করার এই পঙ্গুত্বের শিকার হাজার হাজার তনু। আগের তনুদের বিচার হয়নি বলেই আজকের তনুর বিচার হচ্ছে না। তনুর বিচার ঠিকভাবে হলে আরও অনেক বিচার ঠিকমতো হতে হবে- এই ভয়ে বড় অপরাধীরাও তনুর বিচার চায় না।

আজ তনুর এবং অতীত তনুদের বিচার চাইতে হবে জনতাকে। সেই সব মানুষকে, যারা দেশের ফায়দালোটা ৫% নয়, শোষিত দাস হিসেবে বেঁচে থাকা ৯৫% মানুষকে। যাদের ঘরে মা আছে, বোন আছে, বউ আছে, মেয়ে আছে। ক্ষমতাবানদের মা-বোন থাকতে নেই। তাদের নাম ঐ ইংরেজি শব্দ। গরীব জনতাকে নিজের মা-বোন-বউ-মেয়ের ইজ্জত ও জীবনের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।
একবার ন্যায়বিচারের রাস্তা ঠিক করতে পারলে সেই রাস্তায় প্রিজন ভ্যানে অনেক বড় বড় শেয়ারচোর, রিজার্ভ ডাকাত, ক্ষমতাদস্যু, ভূমি তস্করদের বিচারের কাতারে দাঁড় করানো যাবে।

যুদ্ধটা যে ছোট না, ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যা বুঝি বড় লেখায় তা বলার চেষ্টা করলাম।

এই যুদ্ধের দেখা/অদেখা সকল সহযোদ্ধাকে সেলাম ও অভিবাদন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
+++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.