নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন গাধামানব

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন

ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন বৈশাখের আকাশে পুরনো কালবৈশাখী

১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ফেসবুক গরম হওয়া শুরু হয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটা পালনের বিরোধিতা যেমন দেখা যাচ্ছে, তেমনি সংস্কৃতির দৃষ্টিকোণ থেকে এটা পালনের স্বপক্ষে যৌক্তিকতাও আছে।

যা নিয়ে আলোচনা নেই, তা হচ্ছে বিগত পয়লা বৈশাখে দেশের কিছু সোনার ছেলে নিজেদের বিকৃত রুচিবোধ থেকে পাবলিক প্লেসে যে কাণ্ড ঘটিয়েছিল। সে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কারো বিচার হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

পয়লা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন বেশিদিনের না। পান্তার সাথে ইলিশ খাওয়া বোধহয় বছরে একদিনই হয়ে থাকে, এ এমনই এক বিরল খাদ্য। তবু এটা একটা ট্র্যাডিশানে পরিণত হয়েছে, কারন প্রথম থেকে কেউ এটার প্রতিবাদ করেনি। যখন ইলিশের বদলে জাটকা ধরা শুরু হল, সেই জাটকার দাম আকাশ ছুঁয়ে গেল, তখন শুরু হল কানাঘুষা, ইলিশ কি আদৌ পয়লা বৈশাখ উদযাপনের অংশ? ততদিনে ইলিশকে বাদ দেয়ার আর উপায় নেই, দেদারসে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, ফুলেফেপে উঠছে একটি অযৌক্তিক বাণিজ্য।

যে দেশে নারীর নিরাপত্তা নেই, সেদেশে না থাকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মর্যাদা, না থাকে বাঙালীর আবহমান সংস্কৃতির সম্ভ্রম। এবারের পয়লা বৈশাখে যদি গতবারের মতো নারীকে নিগৃহীত করা হয়, তাহলে এটা ইলিশ খাওয়ার মতোই ট্র্যাডিশানে পরিণত হবে। নারীর সম্মান রক্ষায় পোশাক যে কোন ইস্যু না, ধর্মান্ধ সমাজপতিদের সেটা বোঝানোর জন্য একটি হিজাব পরিহিতা মেয়েকে জীবন দিতে হল, তাতেও তাদের শিক্ষা হয়েছে কিনা আমি জানি না।

সবার ঘরেই কন্যা-স্ত্রী-বোন আছে। তারা কেউ না থাকলে অন্তত জন্মদাত্রী মা তো আছে! তার সম্মানে হলেও দেশটা নিরাপদ করতে এগিয়ে আসুন। ধর্ম কিংবা সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক করতে চাইলে করুন। আমরা মুসলিম নাকি বাঙালী- সেই বিতর্ক পরে, আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার আমরা মানুষ কি না।

মানুষ হলে মায়ের সম্মান রক্ষা করাটা সবার আগে জরুরী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

আহলান বলেছেন: সাবাই তো আর মা হতে পারে না ভাইসাব .... মায়ের জাতকে মায়ের মতোই থাকতে হয় .... সেটাও তো ঠিক , তাইনা?

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০০

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন বলেছেন: কে কেমন আছে, সে বিবেচনায় আমার আচরণও যদি বদলায়- সেটা কি কম ভয়ের?
নিজের নৈতিকতা স্থির না হলে সামান্য সুযোগেই অনর্থ ঘটতে পারে।
সকলে নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিমিত আচরণ করলে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।

শুভেচ্ছা।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই মুল্যবান কথা ।
"সবার ঘরেই কন্যা-স্ত্রী-বোন আছে। তারা কেউ না থাকলে অন্তত জন্মদাত্রী মা তো আছে! তার সম্মানে হলেও
দেশটা নিরাপদ করতে এগিয়ে আসুন। ধর্ম কিংবা সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক করতে চাইলে করুন। আমরা মুসলিম
নাকি বাঙালী- সেই বিতর্ক পরে, আগে স্পষ্ট হওয়া দরকার আমরা মানুষ কি ন।

আল্লাহ মানুষ সৃস্টি করে তারপর তার জীবনাচার সম্পর্কে শিক্ষনীয় ও পালনীয় বিষয়ের জ্ঞান দান করেছেন । একে্‌ই আমরা সাধারনত বলি ধর্ম । আসলে মানুষ সহজাতভাবে যা পায় ও সহজাত করে সেটাই মানুষের ধর্ম । আর জ্ঞান প্রাপ্তির পর অাল্লাতে বিশ্বাস কে Religious faith হিসাবেই এখন অভিহিত করা হয় । মানুষ হিসাবে আমরা জম্ম লগ্নেই বাংগালী । তারপর যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কেও মুসলমান কেও হিন্দু কেও খ্রিষ্টান কেও বৌদ্দ ইত্যাদি ইত্যাদি । যাহোক, যখন থেকেই ১লা বৈশাখ শুরু হোক না কেন ঐদিন দেশের মানুয়ের চিত্তে বাংগালিত্ব বোধের যে বিকাশ ঘটে তা শুধু সাময়ীক কোন উত্তেজনা নয় এটা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভুত ভাবনার প্রকাশ । তার সুপ্ত চিত্তভাবনা শুধু ফলে ফুলে ভরে উঠেছে উপযুক্ত পরিবেশ এবং সামাজিক চৈতন্নে একে ম্লান করে বাংগালীর নিজস্ব সাঙস্কৃতিক একটি উৎসবকে ছোট ও বিতর্কিত করার জন্য একটি মহল বিশেষ অতিচাতুরতার সহিত বিভিন্ন ধরণের প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে । কথায় বলে ছলের কলের অভাব হয়না । সোনার দাম তো ইলিশের চাইতে কম নয় তার পরেওতো কেও বলছেনা সোনা পরুনা । ইলিশের দাম বেশী , বেশ ভাল কথা, ইলিশ বাদ দিয়ে এখন যদি পান্তা লংকা ( পান্তাভাত + কাঁচা মরিচ) দিয়া শুরু করা হয় একুশে উদযাপন, তখন হয়ত বলবে গরীবের খাবার পান্তা লংকা কে উপহাস করা হচ্ছে । আবার ধরে নিলাম ১লা বৈশাখ একদিন ইলিশ খাওয়ায় এর দাম বেড়ে গেছে , তাহলে কৈ শিং মাগুরের দামটাই বা বজারে বাড়ল কেন । আসলে বাংগালী সঙস্কৃতিটাকে একটি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায় কিনা সেটাই মুল লক্ষ । তবে দেশের মানুষ সচেতন হলে ঐসমস্ত লোকের গালভরা কথার ফুলজুরীতে সাময়ীক একটু ধাক্কা খেলেও কিন্ত বছর ঘুরে না আসতেই বাধভাংগা জোয়ারের মত আবার রমনার বটমূলে হাজির হবে হাজারে হাজারে লাখে লাখে বাংগালী। কেও কোন ভাবেই তা রুখতে পারবেনা । একটি জাতীয় সংস্কৃতি কেহ একতভাবে বা দলীয় সংকির্নতায় জম্ম দিতে পারেনা , এ জম্ম নেয় সহজাতভাবে , আর সহজাতভাবে জম্ম নেয়া কোন কিছুকেই কেহ রুখতে পারেনা বরং তা আরো বিকসিত হয় দুর্বার গতিতে ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৬

শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23

অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।

ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.