নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।
রাস্তায় এক তরুণ হাউমাউ করে কাঁদছে, কানে ফোন ধরা। পাশ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় কিছু কথা না চাইলেও কানে ভেসে এলো। আহামরি কিছু না। যা হয়।
ছেলেবেলায় বেশ কিছু সময় পাহাড়ে কাটিয়েছি। আমার বয়েসী অনেকে পাহাড় থেকে বাচ্চা টিয়া ধরে আনতো, কেউ পুষত, কেউ বিক্রি করতো। সেসব অভিযানে কখনো যাইনি, কিন্তু বাচ্চা টিয়া দেখতে বেশ লাগতো। ভাবতাম একটা পাখি পুষবো, কিন্তু খাঁচায় বন্দি করে নয়। হাতে কাঁধে রেখে ঘুরবো, কাঁচা ছোলা খাইয়ে দেবো, আমার সামনে উড়তে শিখবে, হয়তো একদিন চাইলে উড়েও যাবে। মুক্ত জীবন থেকে তাকে দূরে রাখার অধিকার কি আমার আছে?
সেই মুহূর্তটা কল্পনা করে কষ্ট লাগলো। পাখি পোষার আইডিয়া বাদ দিলাম। মায়ার বাঁধন ছিন্ন হবার কষ্ট পেতে চাইনি বলেই পাখি পোষা হয়নি। আজও সময়ে অসময়ে আকাশে মুক্ত পাখি দেখি, রমনার ডালে চেনা সুরে গাইতে দেখলে খুঁজে ফিরি গায়ক পাখিটাকে। স্বাধীন পাখিরা ভালো থাকুক, আমার কাছে না থাকলেও ভালো তো আছে! এটা তো কম না!
বাঁধন গড়তে যে আনন্দ, সেটা ছিন্ন হবার দুঃখ তারচেয়ে কম হবার কথা নয়। এ কথা বাঁধন গড়ার আগেই বোঝা উচিৎ। পাখি হোক আর মানুষ হোক, যা আগামীতে কাঁদাবে তাকে পূর্বাহ্ণেই মুক্ত আকাশে উড়তে দেয়াটা শ্রেয়।
জীবনটা এমনিতেই ছোট, তাতে দুঃখের ভার বাড়িয়ে জীবনটাকে অহেতুক ভারাক্রান্ত করে কি লাভ? তারচেয়ে যে যা ভেবে কিংবা যা নিয়ে সুখে থাকতে চায়, থাকুক না!
বাঙালীর মননশীলতা ভালো বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অশ্রুসিক্ত নয়নেও শান্ত প্রেয়সীর ভাষ্যে তিনি বলিয়েছিলেন সে অমোঘ সত্য-
'দেখো, সখা, ভুল করে ভালবেসো না।
আমি ভালোবাসি বলে কাছে এসো না।'
তবুও মানুষ ভুল করে। আগুনের দিকে পোকা যেভাবে ছুটে যায়, মৃত্যু না জেনেও, ঠিক সেভাবে মানুষও এগিয়ে যায় অন্তরাত্মার ডাকে। ক্ষমাহীন সে আহ্বান উপেক্ষার শক্তি সবসময় তার থাকে না।
পথেঘাটে এর দৃষ্টান্ত অজস্র।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪
ঘুমন্ত ভবঘুরে বলেছেন: স্বাধীন পাখিরা ভালো থাকুক, আমার কাছে না থাকলেও ভালো তো আছে! এটা তো কম না
ভালো লাগলো