নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।
জিপিএ ৫ পাওয়া ছেলেটিকে নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে, সেই হাস্যরসের সাথে করুণ রসের মিশ্রন ঘটিয়ে কেউ কেউ শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে ফোড়ন কাটছেন।
আনন্দের খোরাক এবং সৃষ্টির সাধ্য আমাদের এতোই কম যে একটা ছোট্ট ছেলে কী বলল, তাই হয়ে দাঁড়ালো পুরো জাতির আলোচনার বিষয়, গবেষণার নিয়ামক। ঐ ছেলেটার কী অপরাধ, যাকে পুরো দেশের সামনে হাস্যস্পদ করা হলো? কোন 'চতুষ্পদীর বাচ্চা' দাবি করতে পারে, সে পীথাগোরাস সম্পর্কে বেশ ভালো করে জানে? নেপালের রাজধানী কোথায়- তা দিয়ে নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছেন জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে? আসুন মশাই, রমনা রেস্তোরাঁয় দু'ঘণ্টা সাধারন জ্ঞান খেলি, দেখি কোন চু**র ভাই ক'টা প্রশ্ন পারে। আপনার বড়াই 'আজকের বিশ্ব' নিয়ে? বেশ, তবে 'নলেজ ওয়ার্ল্ড' থেকে প্রশ্ন টুকে দেব না দেখে। দুটোই জানেন, তো খেলে দেব 'এমপিথ্রি' থেকে, আমি অধিকারী নই কিন্তু ক্ষুদ্র জ্ঞানে নিজের লজ্জা ও অন্যের অধিকার নিয়ে কথাটুকু বলতে পারি নিশ্চয়ই। যেদেশে বিসিএসে প্রশ্ন আসে- 'বাংলাদেশের রাজধানী কোথায়- উত্তর ঢাকা নাকি দক্ষিণ ঢাকা' সেদেশে ঐ বাচ্চাকে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার দোষগুণ মাপছেন? ওকে অপদস্থ করা এবং সাময়িক হাস্যরসের আস্বাদ নেয়া ছাড়া ঐ অনুসন্ধান কোন 'হিন্দী চুলের' কাজে লাগবে মশাই?
সভ্য দেশ হলে ঐ সাংবাদিক ও মিডিয়ার বিরুদ্ধে ছেলেটার পরিবার আইনিভাবে মানহানির মামলা করত, তার অজ্ঞানতার জন্য দায়ী শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ লজ্জায় ঘৃণায় ফুঁসে উঠত। আমরা যেহেতু সভ্য নই কাজেই আমরা স্রেফ হাসাহাসি করবো, সেটাই আমাদের ভালো মানায়।
সন্ধ্যায় একজন বিসিএস কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করলাম, চাঁদের ভৌগলিক অবস্থা কেমন? তিনি বললেন- বরফে ঢাকা। ফের জিজ্ঞেস করলাম- এভারেস্ট আবিষ্কার করেন কে? তিনি বিজ্ঞের হাসি হেসে বললেন, হিলারি ও তেনজিং। আমার অভ্যেস খারাপ, মজা নিতে ছাড়ি না। জিজ্ঞেস করলাম- গাছের প্রাণ আছে কে আবিষ্কার করেন? তিনি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন- জগদীশচন্দ্র বসু।
হে জ্ঞানী বঙ্গবাসীসকল,
উত্তর তিনটিই ভুল।
আপনি জানতেন নিশ্চয়ই।
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: ভালো কথাই বলেছেন। ধন্যবাদ
৩| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৩০
কলাবাগান১ বলেছেন: হাস্য রস করা বেশীর ভাগ লোক ই নেমেছে ঘোলা জলে মাছ ধরতে.....তাদের কিছুই এসে যায় না এই বাচ্চা ছেলে/মেয়ে গুলোর পাবলিক 'অপমানে'... এই চান্সে তো সরকার কে এক হাত নেওয়া যাচ্ছে।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:০৩
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: আপনি বলতে পারতেন তাদের চেহারা স্পষ্ঠ দেখানো অন্যায় হয়েছে, কিন্তু যে ছাত্র সাইন্সে পড়ে পীথাগোরাসকে ঔপন্যাসিক বলে, বা মাতৃভাযা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস কবে জানে না, জাতীয় স্মৃতিসৌধ কোথায় জানে না, তার পক্ষ নিয়ে বাড়তি প্রশ্ন করা আমাদের দুর্বল শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাপোর্ট করার আরেক নাম।
৩১ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:০০
মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন বলেছেন: এই লেখায় দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থাকে সমর্থন নয়, বরং সংবাদ উপস্থাপনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধিতা করা হয়েছে। গৎবাঁধা মুখস্থভিত্তিক পড়াশোনা স্রেফ এসএসসি নয়, উচ্চ পর্যায়েও আছে- সেকথাও লিখেছি।
আসল জায়গা বাদ দিয়ে অন্যত্র সহাস্য বিচরণ নিরর্থক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৪২
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: ঠিক বলেছেন