নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।
রুমি বলেছিলেন, গোলাপকে কেউ 'বেলিফুল' বলুক আর 'কাঁটা' বলুক, তাতে গোলাপের কিছু যায় আসে না।
সবাই না হলেও কিছু বিপথগামী মানুষ অন্যের ছাঁচে নয়, বরং নিজের মতো করে প্রস্ফুটিত হয়। এদের থামিয়ে রাখা যায় না, তবে হ্যাঁ, খুব সহজেই মেরে ফেলা যায়। একবার এ গোছের এক ভদ্রলোককে (সম্ভবত বিবেকানন্দের পিতামহ) উড়নচণ্ডী স্বভাবের জন্য ঘরে তালা মেরে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি বেরিয়ে যেতে পারেননি বটে, কিন্তু দু'দিন বাদে তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা যায়; আর কেউ সাহস করে তাকে আটকাতে চায়নি। সমাজচ্যুত হয়ে যদি কেউ বেঁচে থাকতে চায়, তা সমাজ মেনে নিতে চায় না, বলা ভালো- পারে না। ফলে লোকোত্তরের সাথে লৌকিকের সংঘাত ঘটে। লৌকিক পরাজয় বরণ করতে জানে না, আর লোকোত্তর জয় চায় না। ফলে সংঘাতের ফলাফল খুব সহজ হয়। ঈশ্বরের মাঝে নিজেকে লীন করে ফেলা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মনসুর হাল্লাজের কানে কানে তাঁর বন্ধু (খোদ বাদশাহ) বলেছিল, 'তুমি তোমার অবস্থান বদলাও, তোমাকে কিছুই করা হবে না।' ঈশ্বরের প্রেমে মত্ত মনসুর উত্তর দিয়েছিলেন, 'তা যে হয় না!' মৃত্যু পরম মমতায় তাকে আলিঙ্গন করেছিল।
যে ফুল বাগানে সারিবদ্ধভাবে জন্মায়নি, তাকে একাকী সূর্যবন্দনার কোমল প্রহরে নিষ্ঠুরভাবে পদদলিত করার ইতিহাস পুরাতন। তবু কিছু ফুল টিকে যায়, গানের বুলবুলি হারিয়েও কেউ কেউ হয়ে ওঠে নজরুল, 'নিতে চাও বলে ফিরাও আমায়' গেয়ে কেউ কেউ মহাদানের যোগ্য হয়ে ওঠেন, আমরা তখন ডাকি গুরুদেব। বলা বাহুল্য, তাঁরা কেউই প্রাপ্তিযোগের আশায় কিছু করেননি।
মনুষ্যরূপী এই প্রাণগুলো প্রস্ফুটিত হয়েছিল স্রেফ বনফুলের মতো, স্বেচ্ছায়, স্বমহিমায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: জ্ঞানী বক্তব্য।
+++