নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন গাধামানব

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন

ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।

মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন্মৃত

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

আমি ভূত দেখার মতো চমকে উঠলাম।

ইন্টারমিডিয়েট পড়ার পর থেকে কমলের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। কে যেন বলল, ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ চান্স পেয়েছে, আবার শুনেছিলাম ও নাকি মালয়েশিয়ায় স্কলারশীপে গিয়েছে। ও সময় ফেসবুক তো ছিলই না, মোবাইল ফোন ছিল দুষ্প্রাপ্য। স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখা বেশ কঠিন ছিল। তবু অনেকের সাথে যোগাযোগ থেকেছে, আমাদের সবার ভুবন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল সবচেয়ে তুখোড় মেধাবী ও হাসিখুশি বন্ধুটি। আজ চেম্বারে রোগী দেখার ফাঁকে সহকারী এসে কানে কানে যখন বলল, পুরনো এক বন্ধু এসেছে দেখা করতে, আমি ধারনাও করতে পারিনি সেটা কে হতে পারে। এক যুগ বাদে কমল যখন আমার সামনে এসে দাঁড়ালো, দাড়িগোঁফের আড়ালে লুকানো মলিন চেহারাটা হয়তো চিনতাম না, কিন্তু ঐ চোখ! ম্যাথমেটিক্সের স্ট্যানলি স্যারের সাথে বুক চিতিয়ে সমীকরণ নিয়ে তর্ক করা কমলের তেজস্বী চোখ দুটো যারা দেখেছে, তারা অন্ধকারে চিতাবাঘের চোখ না চিনলেও ভিড়ের মধ্যে সোবহান চৌধুরী কমলকে চিনবে নিশ্চয়ই।

- তুই! আমি প্রায় চিৎকার করে উঠলাম। কমল হাসলো, সে হাসিতে মুখের মলিনতা যেন স্নিগ্ধতর হয়ে উঠছে। কমলকে পাশের রুমে বসিয়ে সিরিয়ালের বাকি দুজন রোগীকে দেখতে বসলাম। সহকারীকে আজ আর নতুন রোগী নিতে নিষেধ করলাম। পাশেই আরেকজন মেডিসিনের ডাক্তার আছেন, রোগীদের সমস্যা হবে না।

রোগীদের বিদায় করে যখন কমলের কাছে ফিরলাম, রুমটা ততক্ষণে ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। একের পর এক তাম্রকূট সেবন করে চলেছে সে।
- পুরনো অভ্যেসটা ছাড়তে পারিস নি?
: আমি ধরেছিলাম কবে, যে ছাড়বো! ওটা আপনাতেই এসেছে, গেলে আপনাতেই যাবে। তাছাড়া মরলে তো তোরা আমায় কবর দিয়ে ফেলবি, হিন্দুদের মতো কেউ তো মুখাগ্নি করবে না, তাই নিজেই নিজের মুখাগ্নি করে বেড়াই সারাদিন। হা হা হা।
কমলের হাসিটা আগের মতোই আছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে কী যে মজা পেত ও! মুখাগ্নির কথায় মনে পড়ল, কলেজে একবার রাধাকৃষ্ণের কাহিনী বলছিল কমল, মহাভারত থেকে শুরু করে কোরআন বাইবেল বিস্তর পড়ে বেড়াতো, সব মিলেমিশে আড্ডার ফাঁকে দুয়েকটা গল্প শুনিয়ে দিত। ও আমলে চ্যাট নামক বস্তু না থাকায় আড্ডাগুলোর প্রাণ ছিল ভরপুর, প্রাচুর্য ছিল অনন্ত। সেদিন রাধাকৃষ্ণের ব্যাপারে কমল বলেছিল, 'কৃষ্ণ যখন কদমতলায় দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাচ্ছিলেন তখন একদিক থেকে রাধিকা অন্যদিক থেকে চন্দ্রাবলী ছুটে এসেছিল, তারপর পাঁচজনে মিলে মহা গণ্ডগোল বাঁধিয়ে দিল।' উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী এক বন্ধু বলে বসল, 'এক আর দুয়ে মিলে পাঁচজন হয় কিভাবে?' কমল না জেনে বলেনি, সহাস্যে ও জবাব দিল, 'কৃষ্ণ একাই কি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর নন?' বলা বাহুল্য, প্রশ্নকারী উত্তরে প্রসন্ন হয়েছিল।

সে কালের কমল শখের বশে দুয়েক টান ধূম্রসেবন করত বটে, কিন্তু ওকে এভাবে একের পর এক ধূম্রকাষ্ঠ জ্বালাতে দেখিনি কখনো। বসতে বসতে বললাম, 'চা কফি চলবে?'
- দুটোই খাওয়াবি নাকি?
: তুই চাইলে চলবে মানে, দৌড়াবে।
- তাহলে কোল্ড কফি চলুক।
: এখনো বড় ডাক্তার হয়ে পারিনি, কোল্ড কফি নগণ্য এমবিবিএসের চেম্বারে বিলাসমাত্র। গরমে অরুচি না হলে ধূমায়িত কফি বলা যেতে পারে।
- তবে তাই হোক, চিনি বেশি করে দিতে বলিস। আমরা তো তোদের মতো স্বাস্থ্য সচেতন নই যে চিনি কমিয়ে খাবো। জগতের ছিটেফোঁটা রস যা পাই নিংড়ে নেই।
কফির অর্ডার দিয়ে কমল-সঙ্গ উপভোগ করতে বসলাম। বিজ্ঞরা বলে গেছেন, সংসারে বন্ধুসঙ্গের চেয়ে মূল্যবান বস্তু তৃতীয়টি নেই, দ্বিতীয়টি হচ্ছে কাব্যামৃতরসাস্বাদন।
- কোথায় হারিয়েছিলি বল দেখি? কতদিন পর দেখলাম তোকে!

আমার প্রশ্ন শুনে কমল যেন আবার হারিয়ে গেল। ধূম্রজালের আবহে অতীতের সমুদ্রসৈকত থেকে যেন বলতে লাগল-

'ইন্টারমিডিয়েটের পর তোরা যখন মেডিকেল বুয়েট করে বেড়াচ্ছিস, তখন আমি রাঙ্গামাটির পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তখন ওদিকে মোবাইলের নেটওয়ার্ক একবিন্দুও ছিল না, ফলে চৌধুরী বংশের আশা-ভরসার কারাগার থেকে পুরো মুক্ত হয়ে আমি উড়ে বেড়াচ্ছি আকাশে। আরে ভাই, পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আকাশের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করা আর উড়ে বেড়ানো তো আলাদা কিছু না! ওখানে যাবার আগে বুয়েটের পরীক্ষাটা দিয়েছিলাম, বসেছিলাম আইবিএ'র টেস্টেও। আমার অজান্তেই ফল প্রকাশিত হয়েছে, চান্সও পেয়েছিলাম, ভর্তির তারিখও পার হয়ে গিয়েছিল। কেউ না বুঝলেও চৌধুরী সাহেব, মানে আমার বাবা জানতেন কেন ও কাজ করেছিলাম। আমাকে আর খাঁচায় আটকানো চলবে না- এ কথা সোজাসুজি বলার কোন পথ ছিল না। তাই 'রাঙ্গামাটির পথে' রওনা হয়েছিলাম।
ফেরার পর বাড়ীতে সুনসান নীরবতা, যেন কেউ মারা গেছে। আমার ক্যারিয়ারের মৃত্যুশোক এতো ভয়াবহ, তা দেখে মুগ্ধ হলাম। সে মুগ্ধতাকে 'হরিষে বিষাদ' বানিয়ে আমার মা ব্রহ্মাস্ত্র ছুঁড়লেন, দেশে থাকলে আমি আরও বখে যাবো- সুতরাং আমায় বিদেশ পাড়ি দিতে হবে। আমি ততদিনে কী পরিমাণ বখে গেছি সেটা জানলে অবশ্য তাঁরা ওকথা বলতেন না। যাই হোক, আমি রাজি হলাম, কারন বিদেশে আর যাই হোক, চৌধুরী সাহেবের সাথে দু'বেলা দেখাটা অন্তত হবে না।'

আমি কমলের বিখ্যাত 'পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব' জানতাম। হেসে জিজ্ঞেস করলাম, 'তারপর?'

'বিলেতে যোগাযোগ করা হল, সাথে মালয়েশিয়াতেও। দু'জায়গায়ই সুযোগ হল, কিন্তু খ্রিষ্টানদের দেশে এই পাপীকে পাঠালে আরও বিগড়ে যাবার শঙ্কা থেকে মালয়েশিয়ায় গন্তব্য স্থির হল। আমি গাঁটবস্তা নিয়ে রওনা হলাম। তিন বছর বাদে একটা ঘটনা ঘটল, বলতে পারিস আমার জীবনের একমাত্র ঘটনা।'
'কী?' আমি সাগ্রহে জানতে চাইলাম।

কমল বলতে লাগল-
'মা অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ফোনে প্রতিদিন বলতে লাগলেন আমার বিয়ের কথা। আমি যতই না করি, তিনি যেন ততই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রবাসী বাঙালীর যা হয়, আমারও তাই হল, ফোনে কলমা হয়ে গেল, মেয়ে মায়ের বান্ধবীর মেয়ে, বাপ-মরা। আমার পরিবারে এসে রাহেলা নতুন বাপ পেল, চৌধুরী সাহেব পুত্রের প্রতি বিদ্বেষের সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সবটুকু ভালোবাসা রাহেলাকে দিলেন।'
'ভাবীর নাম তাহলে রাহেলা?'
'হ্যাঁ, রাহেলা খানম ছিল, বিয়ের পর নিজেই রাহেলা চৌধুরী করে নেয়', কমল উত্তর দিল।
'তারপর?'
'ফোনে এসব সুখের সংবাদ নিয়মিত পৌঁছে যাচ্ছিল। আমিও সে সুখের ভাগ নিতে খুবই উৎসাহী ছিলাম, কিন্তু মায়ের কড়া নির্দেশ ছিল, পড়ালেখা শেষ না করে যেন আমি বাড়ীতে না ফিরি, তিনি মরে গেলেও না। এমন দিব্যির কারনে ফিরতে পারছিলাম না। রাহেলার সাথে ফোনে কথা হত, প্রথমদিকে প্রচণ্ড লজ্জা ওর, আস্তে আস্তে আমরা বন্ধু হয়ে উঠলাম। আমার উড়ুউড়ু মন, অথচ ও ভীষণ শান্ত। আমার মনে হত, মানুষ বৃথাই মিলসম্পন্ন জীবনসঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। চুম্বকের সমমেরু যেভাবে পরস্পরকে বিকর্ষণ করে কিন্তু বিপরীত মেরুকে আকর্ষণ করে, ঠিক ওরকম আমাদের জীবনেও একেবারে উল্টো প্রকৃতির মানুষ এসে যেন জীবনটাকে স্থির অথচ অভাবনীয় সুন্দর করে দেয়। হাতের পাঁচ আঙ্গুলের মাঝে অন্য হাতের পাঁচটি আঙ্গুল এসে কিন্তু মিলে যায় না, স্রেফ শূন্যতাটাকে পূরণ করে। রাহেলা আমার জীবনকে পূর্ণ করেছিল। সুখ কাকে বলে, আমি জেনেছিলাম বন্ধু।' বলে ধূম্রশলাকায় টান দেয় কমল। এতক্ষণ খেয়াল করিনি, ওর মুঠোতে একটা বেলীফুলের মালা ছিল, ধূম্র সেবনের ফাঁকে ফাঁকে ফুলের ঘ্রাণ শুকছিল ও। আমার দৃষ্টি অনুসরণ করে বলল, 'বেলীফুল ওর খুব প্রিয়, তাই প্রতিদিন একটা বেলীফুলের মালা কিনে নিই। আর তুই তো বুঝবি না, তামাকের ধোয়ার সাথে সাথে ফুলের ঘ্রাণ নিলে নেশাটা অন্যরকম হয়।'

'সেটা বুঝে লাভ কী! রোগীকে প্রেসক্রিপশানে লিখে দেব, ধূমপানের সাথে ফুলের ঘ্রাণ সেবন করুন?' আমি হাসতে হাসতে বললাম। কমলও হাসতে লাগলো। ততক্ষণে কফি চলে এসেছে, কফি খেতে খেতে কমল ফিরে গেল তার জীবনেতিহাসে-

'এরমধ্যে মা একদিন মারা গেলেন। মায়ের দিব্যি থাকায় আমাকে জানানো হল দাফনের পর। রাহেলা কাঁদতে কাঁদতে যখন খবরটা দিল, আমি পাথর হয়ে গেলাম। মাকে শেষ দেখাটাও দেখতে পেলাম না? মায়ের মৃত্যুশোক কাটানো অসম্ভব ছিল, তারপরও পড়াটা চালিয়ে যেতে পেরেছিলাম রাহেলার জন্য। প্রায়ই ও স্মরণ করিয়ে দিত মায়ের শেষ ইচ্ছের কথা। ছেলে যেন ইঞ্জিনিয়ার না হয়ে বাড়ি না ফেরে। আমি বুক বেঁধে পড়তে লাগলাম। রাহেলা সংসারের হাল ধরল, প্রবল প্রতাপশালী চৌধুরী সাহেব কেমন যেন নিশ্চুপ হয়ে গেলেন, বাড়ির কারো সাথে কথা বলতেন না। রাহেলা বাবাকে দেখাশোনা, ব্যবসার সিদ্ধান্ত নেয়া, আমাকে ফোনে দিনে দু'বার করে খবর নেয়া, বিশাল বাড়ি সামলানো- সব করে যাচ্ছিল। গরীব ঘরের মেয়ে হলেও সুশিক্ষা পেয়েছিল সে, তার উপর ছিল ঠাণ্ডা মাথা। রাহেলাকে মনে হত যেন ঈশ্বরের প্রেরিত দূত, অন্তত আমার জীবনে, আমাদের সংসারে।'

বলে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল কমল। হাতের সিগারেটের ছাই ফেলতে যেন ভুলে গেছে, আপনাতেই ছাই খসে পড়ল মেঝেতে। ঠাণ্ডা গলায় ধীরে ধীরে বলল, 'তারপর একদিন রাহেলাও চলে গেল।'

আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কি বলব খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
কমল আপনমনেই বলতে লাগলো, 'ওর হৃদপিণ্ডে ফুটো ছিল, সেটা কেউ জানত না। একদিন সিঁড়ি দিয়ে উঠবার সময় হুট করে অজ্ঞান হয়ে গেল, হাসপাতালে নেয়ার পর জানা গেল জন্মগত সেই ত্রুটির কথা। আচ্ছা দোস্ত, তুই তো ডাক্তার, বল দেখি আমার ভাগ্যটা এমন কেন? আমার জন্মদাত্রী মা'কে হারালাম, জনম জনমের সঙ্গীকে জীবিত দেখতে পেলাম না। যে আমাকে মায়ের মৃত্যুতেও দেশে আসতে দেয়নি, তার নিজের মৃত্যুতেও আমার আসাটা তার আত্মাকে শান্তি দেবে না নিশ্চয়ই। আমি এলাম না। ওর নামের অর্থ জানিস? রাহেলা শব্দের মানে- 'the one who travels', মহাবিশ্বের অনন্তযাত্রায় সে তো যাবার ঘোষণা নিয়েই জন্মেছিল, মাঝখানে আমার ছোট্ট জীবনটাকে যেন সত্যিই জীবনে পরিণত করে ফেলেছিল ও। মরণের মহাযাত্রায় একত্রে সঙ্গী হতে আমার একবিন্দু আপত্তি ছিল না, কিন্তু বিধাতা তা মানেননি, পাপীকে বাঁচিয়ে রেখে ভালো মানুষটাকে তুলে নিলেন। এরপর পড়াশোনাটা আর হয়ে উঠল না, বিদেশের রাস্তায় বাউন্ডুলের মতো ঘুরে বেড়াতাম। স্রেফ ফাইনাল পরীক্ষাটা বাকি ছিল, ওটাতে হাজিরা দিলাম। আগের রেজাল্ট ভালো থাকায় ফাইনালে যাচ্ছেতাই করেও পাশ করলাম। মায়ের আশা পূরণ করে দেশে ফিরলাম। পারিবারিক গোরস্তানে পাশাপাশি দুটো কবর, আমি বেলীফুল হাতে নিয়ে রোজ দু'হাত আকাশের দিকে তুলে ধরি। আমার জীবনের কিছুমাত্র পুণ্যও যদি থাকে, আমি সেই পাপপুণ্যের মালিকের কাছে জবাব চাই, এমন নরক যন্ত্রণা এই নশ্বর জীবনে কেন? কেন?'

আমি নির্বাক হয়ে শুনছিলাম। জীবনে বহু মৃত্যু দেখেছি, কিন্তু অদেখা দুটো মৃত্যু আজ যেন আমার সমস্ত সত্ত্বাকে নাড়িয়ে দিল। ভুল বললাম, হয়তো তিনটি মৃত্যু, যে কমলকে আজ দেখলাম, সেটা ইঞ্জিনিয়ার কমল হতে পারে, কিন্তু জীবিত কমল নয়। মানুষের আত্মাটা যদি ছেড়ে যায়, তবে যে শূন্যতা নেমে আসে তা মৃত্যুর চেয়ে কম নয়।

কমল চলে যাবার পরও তামাকের ধোঁয়া ও বেলীফুলের সুঘ্রাণ মিশে যেন সেই শূন্যতার ওঙ্কার হয়ে প্রতিধ্বনিত হতে লাগল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.