নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাল দিয়ে ভাত খাই, রাস্তা দিয়ে হাঁটি, মানুষ আমি ভেজাল হলে'ও আমার লেখাগুলো খাঁটি ।
হাবশী গোলাম হিসেবে হজরত বিলাল যখন বড় হচ্ছিলেন, তখন থেকেই তাঁর আচরণ অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিল। আরবের নিয়ম ছিল, যুদ্ধে পরাজিত বাহিনীর সবাইকে দাস বানিয়ে ফেলা হত। বিলালের মা ছিলেন আবিসিনার রাজকন্যা। বিনম্র, সচ্চরিত্র ও শান্ত স্বভাবের বিলালকে দেখে উচ্চশ্রেণীর(!) আরবরা কি সেই রাজরক্তের মহিমা টের পেত?
প্রফেট ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করলে বিলাল দূর থেকে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ঈশ্বরের আনুগত্য স্বীকার করেন। এই তথ্য তাঁর মুনিব জানার পর তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন নেমে আসে। তাঁকে গরম বালিতে শুইয়ে বেঁধে রাখা হয়, মক্কার পথে পথে দড়িতে বেঁধে টেনে নেয়া হয়। শত অত্যাচারেও তিনি নিজের বিশ্বাসে অটল থাকেন। এই অত্যাচারের খবর প্রফেটের কাছে পৌঁছালে তিনি আবু বকরকে তৎক্ষণাৎ পাঠিয়ে দেন, আবু বকর বিলালকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন।
ঈশ্বরপ্রেম, সদাচরণ ও নম্রতার দিক থেকে বিলাল অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিলেন। তাঁকে বায়তুল মালের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করা হয়। এক সময়কার গোলাম হওয়ার কারনে তিনি গরীবের দুঃখ খুব ভালভাবে জানতেন, নিজের দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন নিবেদতপ্রাণ। প্রফেট যখন আজান দেয়ার রীতি চালু করলেন, তখন বিলাল প্রথম মুয়াজ্জিন হবার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এ প্রসঙ্গে একটা ঘটনা প্রচলিত আছে। হজরত বিলালের কণ্ঠস্বরে কিছুটা তোতলানোর অভ্যেস ছিল। কয়েকজন সাহাবী প্রফেটকে বললেন, বিলালের পরিবর্তে ভালো উচ্চারণের অন্য কেউ আজান দিলে হয় না! প্রফেট জানতেন বিলালের ঈশ্বরপ্রেম কতো প্রবল, তাঁর আজান ঈশ্বরের কতো পছন্দের, তবু তিনি তাদের অনুমতি দিলেন। হজরত বিলালের পরিবর্তে সেদিন অন্য মুয়াজ্জিন আজান দিলেন।
আজানের পর অনেকখানি সময় কেটে গেল, কিন্তু সেদিন আর ভোর হল না।
তখন জিব্রাইল ফেরেশতা বার্তা নিয়ে এলেন (মূল আরবী পাইনি, ইংরেজি অনুবাদ এরকম)-
God loves your slave! (Bilal), and the sun shall not rise until Bilal, deliver's the Adhan
হজরত বিলাল আজান দিলেন।
অন্ধকার দূর হয়ে ভোরের আলো ফুটল। অনুষ্ঠানসর্বস্বতার বিপরীতে প্রেমের জয় হল।
প্রফেটের মৃত্যুর পর বিলাল আর কখনো আজান দেননি। সন্ন্যাসীর বেশে মদিনা ত্যাগ করে চলে যান দূর সিরিয়ায়।
কাগজে কলমে ইসলামের ইতিহাসের সিংহভাগই উমাইয়া রাজবংশের তলোয়ারের ইতিহাস। প্রেমের সত্য ইতিহাস সে তুলনায় অপ্রতুল।
হয়তো হৃদয়হীন এ পৃথিবীতে সেটা প্রয়োজনহীন বলেই তার চর্চা নেই।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: কি করুণ কাহীনি দিন ছিলো
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আজানের পর অনেকখানি সময় কেটে গেল, কিন্তু সেদিন আর ভোর হল না। "