নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তন্দ্রাকুমারী একটি কাল্পনিক চরিত্র যার সন্ধানে আছি নিশিদিন!!
আজও আমি সমুদ্রের উদ্দাম নৃত্য দেখি
পৃথিবীর সব ডাহুক কানে কানে আজও বলে,
ওরা আমায় খুঁজে পায় শাপলা-শালুকের দলে
ঐ গম্ভীর রজনীগন্ধাও দেখা দেয় একাকী;
কী কথা বলে যায় ওরা ভোরের...
মাঝে মাঝে নিজেকে খুব বস্তাপচা সস্তা মনে হয়। জানা নাই কিছুই অথচ ভাব ধরতে হচ্ছে সবজান্তা সমশের! লোকের একটানা ছি! ছি! ছি! শুনতে প্রস্তুত নই বলেই এমন হয়- অতীতে বাস...
মনে কর, ভালবাসায় বান ডেকেছে
খড়কুটো সব শাপলা শালুকে ভরে গেছে
বুকেও সুখ উষ্ণ প্রেমের ঘর গড়েছে
স্তুপের মত চোখের ভিতর চোখ ফুটেছে।
স্বপ্নগুলো ঝাঁক বেঁধে সব উড়ে এসেছে
শাদা-কালো-নীল আকাশটা গান গেয়েছে
আমার আমি...
আমি আঁধার ছুঁতে ছুঁতে তোমায় ছুঁয়ে ফেলি
জলের প্রয়োজনে,
আঙুলেরাও সেদিন তোমায় ছুয়েঁ
যেন শিশিরের উপর মাথা দিয়ে
শিরিষের দীর্ঘশ্বাসগুলোতে,
তোমায় আমায় ঘিরে রেখেছিল।
রাতের বিশ্বস্ততা যেভাবে ভালোবাসার
লাল মেঘ হয়ে...
স্বপ্নবীজ বুনেছি তোমার চোখের কোণে,
চাইলে তুমি বলতে পার যা খুশি আজ-
মনের সাথে মন মিশিয়ে করবে কারুকাজ?
ভিডিও কল দিতেই পার আজকে আমার ফোনে।
আমি জানি তোমার মুখের কতখানি পাঠ?...
অন্য এক শ্লোগান খেলা করে ধমনীতে,
সেই ঘৃতনদীতেই আমাদের আবগাহন-
তবু বুঝবার ভার পরেছে বোঝার বোঝাতে
মরুচারী কবিকুলের পদাঙ্ক অনুসরণ!
সে আমাকে চায় না, চায় না মধুভুবন?
আমি দোসর মরণের, তাই লিখি ছাই
হঠাৎ কিছু ধবধবে...
আর কতবার ঘাসফুল আর জবা হবে?
আমি তোমকে কোনদিন চিনি নাই-
জামের কচি উল্টাসিধা পাতার ধার হয়ে রবে?
তারপরও খুঁজে পাই, তবুও ভালবেসে যাই!
এক অন্তর্ঘাতী বয়ানে অন্ধ-বোবা মৌমাছিদের
ঘুম ভেঙে গেলে আজ ভোরের বাতাসে...
নির্মম সত্যের কুঠারাঘাতে ছিন্ন স্বপ্নমালা,
রাতের কোমল জগতে সন্দিঘ্ন নয় তবুও
পূর্বেকার বুকচেরা ভোর আর উষ্ণতাও
আজ মনে হয় অনন্ত পথের জ্বালা।
আজ এতটাই দুঃখবাদী আমি আর যমুনা
দুজনেই যেন দু’জনের জগতে নমুনা।
প্রেম...
তোমায় আমি দেখেছিলাম তাই
বুকের মাঝে তোমার গন্ধ পাই,
তোমার নামের শব্দে ভিজে ভিজে
হারিয়ে গেছি নিজের ভিতর নিজে-
তবুও আমি তোমার জন্যে খুঁজি
ভুলে যাওয়া কোন গানের সুর
তোমার ভীষণ জ্বরের কারণ বুঝি
কেন তুমি রয়েছ...
তুমি বলতে, আমি নাকি সম্পূর্ণ অচেনা কেউ-
তবুও বললে সেদিন কত কি কথা!
দীর্ঘ আখের খেতের ভিতর জমানো নিরবতা
আর দু’জনের হৃদয়ের উপচে পড়া ঢেউ
আঁছড়ে পড়ছিল তখনো কথার উপরে
তোমার...
আমার যেতে ইচ্ছে করে,
অনেক দূরের পথ পেরিয়ে-
মাঠ পেরিয়ে, বন পেরিয়ে,
দিন কাটাতে তোমার বালুচরে।
তুমি আমায় জড়িয়ে ধরে,
জানি রাখছো চিরদিন
নীল আকাশ ভেজানো একদিন-
ধূসর সে আলো-আঁধারী ঘরে
আমরা পরস্পর তবু ভুলে...
সেদিনের কিছুদিন পর
অবসর পেছনে পড়ে রয়,
নিগূঢ় জ্যোস্নাতে ভয়-
আছি যেন চাঁদের উপর!
সবছকিছু গান হয়ে যায়
বাতাসেরা দিশেহারা বয়,
প্রবাহিত আজও সে নিশ্চয়-
আমাকে সে আঁকে আয়নায়?
সে নামের ঝড়ে দীর্ঘশ্বাস,
আমাকে...
আলো আসবেই প্রেমী,
গোলাপের রঙে ঝিলমিল,
তন্নতন্ন করে খোঁজা আলো-
ডাকবেই ভোর হলে আজ।
উষর রাত্রির ঢেউ পাড়ি দিয়ে,
শোনাবেই স্বাগত সংবাদ।
তোমার বুকে আজও কি নেই
সর্বনাশী সে বাঁশীর আওয়াজ?
স্বাপ্নিক বুননে গড়া বিশুষ্ক বলয়ে
হারিয়ে...
তুমি কী আজও শুনতে পাও, ঝিরি ঝিরি বাতাসের সে প্রতিধ্বনি? যে বাতাস আজও বলে চলেছে, \'না বাবা, পচা শামুকে পা কাটতে চাই না।\' অথবা, সে নদীর নির্মল তরঙ্গ এখনো কি...
আমায় তুমি যত ভুলই বোঝ না কেন,
ফিরে তাকাই ক্রমাগত
মুখে হয়তো বলতে নেই
অনেক কিছুই এখন যেন!
তবে আজও বসন্তের এই ভরদুপুরে,
সবকিছুতেই আদিখ্যেতা
সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি
হয়তো তখন অনেক বেলা অনেক দূরে!
হাজার বছর...
©somewhere in net ltd.