নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারন ভাবে চলাফেরা করতে ভালোবাসি। আর নিজের সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই। কারন প্রতিনিহিত নিজের মাঝে কিছু না কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি।

মোঃ হৃদয় শেখ

স্বপ্ন দেখি নিজ চোখে......... আকাশ দেখি আপন মনে। আমি হে আমি আমার কৃতিকরমের জন্য গর্বিত।

মোঃ হৃদয় শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের সম্মান

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

রোকেয়া সাখাওয়াত বলেগেছে অর্ধেক তার নর অর্ধেক তার নারী ......... টেলিভবিশনের পর্দায় দেখি...... না থেকে নারীর শক্তি বেশী। আরও অনেক কথা ..................



সমাজে পদে পদে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষার হার, বেড়েই চলছে আমাদের মেদা, উন্নতির চরম সীমাকে আমরা ছুতে চাই............ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের কথা যদি মিথ্যা না হয়ে থাকে “অর্ধেক যার নর অর্ধেক তার নারী” তাহলে আজ আমরা কোথায় আছি। এখন পিছিয়ে পড়ে আছি সেই যুগে যেখান আমরা নারীদের দেখতাম বাম চোখ দিয়ে । আজও আমরা নারীদের বাম চোখেই দেখে আসছি।



খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় স্বামীর হাতে অত্যাচারিত গৃহবন্ধু। রাস্তার কোন এক কিনারায় খোলা আকাশের নিছে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তার বস্ত্র সমাজের কিছু দুষ্ট লোকেরা কিংবা চারদেয়ালের ভিতরে। বইয়ের পাতায় তাকে শিক্ষানো হয়েছে নারীদের সম্মান সবার উপরে, সমাজে তাদের অধিকার সমান সমান। এই তাদের সম্মান আর অধিকার ? বাস্তবাতা আজ তাদের দিচ্ছে নতুন শিক্ষা।



ছোট মাথায় বড় কথা “ আর কত কাল অত্যাচারিত হবে তারা” ?

নারীদের অধিকারের কথা যখন আলোচনার গোল টেবিলে সবার মুখে শুনা যায় হাজারো বিদ্রোহ নারী অধিকার বৃদ্ধি নিয়ে তাদের সংগ্রাম যে করেই হোক নারী সম্মান বৃদ্ধি করতে হবে। তারাই আআর অনেক সময় বলে থাকেন মেয়েদের উচিত না অফিসে চাকরী করা। কোন কোন সময় তাদের ভাষায় মেয়েরা হয়ে যায় “মাল”। নারী স্বাধীনতা তাদের অধিকার নিয়ে তারা যতই গলাবাজী করেননা কেন নারীদের অধিকার দিতে পুরুষরা আসলেই নারাজ।





ব্যাপারটা আমার কাছে আসলেই অনেক মজা হাস্য কর কারন তারা ভুলে গেছেন হইতো একজন পরুষের জম্ম কিন্তু একজন নারীর গর্ভেই।



আমাদের সমাজের অনেক উচ্চ শ্রেনীর লোক আছে যারা মাসে মাসে বাজে খরচ করে থাকে হাজার হাজার টাকা, মদ খেয়ে জুয়া গেলে আরও অনেক অসামাজিক কাজকর্ম করে। অথচ গার্মেন্টসের একটা মেয়ের মাসিক আয় ১৬০০ টাকা। তাদেরকে আমরা নিম্ম চোখে দেখি আর সমাজের উচ্চ শ্রেনীর সেই লোকদের সম্মান করে থাকি।



১৪০০ বছর আগে ইসলাম সমাজে মূল্যহীন আর অসম্মানের জীবন থেকে মেয়েদের প্রতিষ্টিত করেছিল সম্মানের আসনে। বলেছিলেন একজন নারীর পায়ের নীচে একজন পুরুষের বেহেশত। নিশিচ করা হয়েছিল সমাজিক জীবনে নারীদের অধিকারকে। পর্দা পথা দিয়ে মেয়েদের বৈষম্যের শিকার করা হয়নি, করা হয়েছিল সম্মানিত। আর আজ মেয়েদের নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয় পাশবিকভাবে। গৃহকত্রীরা মেয়ে পরিচারিকাদের খাটায় দাসীবাদির মত, বের করে নির্যাতনের অভিনব সব পন্থা। শুধু তাই নয় ফ্রি মিকসিংয়ের নামে মেয়েদের বানানো হয় বিছানার খেলনার পুতুল। অফিস এ চাকরী রত নারীদের সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হয় এই সমাজে। তারাই আবার গোল টেবিলে বসে গলাবাজী করে থাকে নারীদের সম্মান নিয়ে। মেয়েদের অসম্মানের কোন কিছুই বাকী রাখা হয়নি আজ আর।



আর আমরা আধুনিক মানুষেরা আমাদের দায়ত্ব পালক করি একটা পোস্ট দিয়ে আর জনমত গড়ে তুলি বছরের পর বছর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.