নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারন ভাবে চলাফেরা করতে ভালোবাসি। আর নিজের সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই। কারন প্রতিনিহিত নিজের মাঝে কিছু না কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি।

মোঃ হৃদয় শেখ

স্বপ্ন দেখি নিজ চোখে......... আকাশ দেখি আপন মনে। আমি হে আমি আমার কৃতিকরমের জন্য গর্বিত।

মোঃ হৃদয় শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার লজ্জা ঢাকবি কি দিয়ে মা

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

আমাদের সমাজে যখন একটি মেয়ে সন্তান জম্ম নেই ঠিক তখন থেকে মায়ের মন ভয় বিরাজ মান করে থাকে। এযে মেয়ে ইজ্জত তার সব। যখন মেয়েটা একটু বড় হয় ঠিক মতন বুক গজায়নি তখন থেকেই মায়ের করা সাসন শুরু হয়ে যায় কাপড় চোপড় ঠিক করে পর, ঠিক করে চল। মেয়েদেরকে সম সময় মা বুঝান মেয়েরে তোরা সামলে চলতে হয়। যার অর্থ মেয়েটা কিছুই বুঝত না।

মেয়েটা যখন বড় হল বুক গজালো ডাঙ্গগর হলো, মায়ের আদেশ গুলোও দিন দিন বেড়ে দিগুন হয়ে গেল। তখন যেন মায়ের চোখে মুখে ভয় থাকত সারাক্ষন তার ঘরে জম্ম নিয়েছে মে! মেয়েদের ঘর থেকে বের হওয়াটা মায়ের মন মানেনা গোলির মোড়ের ছেলে গুলো এদিক ওদিক তাকিয়ে থাকে এটা ছিল তাদের যেন নিত্য দিনের পেশা। গায়ে পরে বলতো কথা চোখে থাকত ছল ছল! মেয়েটা সব সময় চুপ করে থাকতো মায়ের বারন ছিল। মাইয়া মাইনষের নাকি সর্বদা চুপ থাকতে হয়।

বালিকার কত ইচ্ছে হয় পাখির মতন তাহার ডানা মেলে উরতে নীল আকাশে। মায়ের কথা শুনে চুপ করে থাকতো বালিকা জম্মের সাথে সাথে সমাজের সকলে তাকে দেখিয়ে দিয়েছে ঘরের কোন। কি করে উড়বে পাখির মতন করে !

মেয়েটি প্রতিদিন বান্ধবীদের সাথে একসাথে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরে। লাইব্রেরী থেকে বই কিনতে কিনতে দেরি হওয়াতে আজ আর আশা হয়ে ওঠেনি সকলের সাথে। সমাজের সেই দুষ্ট লোক গুলো খোপ পেতে বসে ছিল এই দিনটির আশায়। মেয়েটার মুখে থাকতো সব সময় লজ্জা আর বুকে থাকতো ভয়। ভয় নিয়ে বুকে স্কুল থেকে বাড়ী ফিরছিল। সেদিন সেই বুক গজিয়ে ওঠা ডাঙ্গগর শরীর যেটা নিয়ে ছিল মায়ের এত ভয় সেই শরীর নিয়ে তাদের সাথে দেখা। মেয়েটা শরীর যেন হায়নাদের কাছে একটা মাংস পিন্ড। হায়নার মতন জাপিয়ে পড়লো মেয়েটির উপর। যে শরীর নিয়ে মায়ের মনে লজ্জা ছিল আজ সব ভুল বলে প্রমান করে দিল এই হায়নার দল। মেয়েটার সারা শরীর যেন চিবিয়ে খেল, জম্ম তাদের যেই তল দিয়ে ফাটিয়ে দিল সেই তল রক্তে গেল তনা তনা। চুষে খেল শরীর খানা একের পর এক। চিৎকার দিবে তাও হলোনা সমাজের কেউ তার ডাকে সারা দেইনি সবাই দেখেছে ।

বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে প্রশ্ন। এবার লজ্জা ঢাকবি কি দিয়ে মা ?



অনেক সময় সমাজ , সম্মান, পারিবারিক সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে অনেকে চুপ করে থাকে সমাজের অনেক জঘন্য অপরাধ দেখে শুনে এবং কি ভোগ করেও। সমাজের যেই সকল লোকেদের ভয়ে চুপ করে থাকা তারাই খোপ পেতে বসে থাকি কখন সুযোগ পাবে চিবিয়ে খাবে শরীর খানা। আর কতদিন এইভাবে লুকিয়া বেঁচে থাকা ? বাঁচতে হলে বাঁচার মতন বাঁচা দরকার। লুকিয়ে লুকিয়ে বেঁচে থাকা মরার সমান!

জাগুক জাতি, জাগুক সমাজ
জাগুক যত বোন
বেরিয়ে আসো নারী তুমি
ছাড়ো ঘরের কোন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সমাজে হায়েনার চাইতে ভদ্রতার মুখোশধারী হায়েনা অনেক বেশি ভয়ংকর।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: হুম তা ঠিক বলেছেন। ভদ্রতার আড়ালে যারা খোপ পেতে বসে থাকে তারা বেশী ভয়ংকর হয়ে থাকে।সমাজের গোল মিটিং এ তারা নারী সম্মান নিয়ে অনেক মাতা মাতি করে থাকে, আবার তাদের মুখেই এক সময় নারীরা হয়ে যাই মাল। এই ভদ্রতার মুখোশধারী লোক গুলো অনেকটা কেচুর মতন মাটি খুতে খুতে ঘরে প্রবেশ করে থাকে।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

প্রামানিক বলেছেন: বিপদই বটে!

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নির্মমতা!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: যে সমাজে আমরা বড় হয় একদিন এই সমাজ আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাড়ায় এটাই হলো নির্মমতা :(

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

সমাজে বিশৃংখলা এমন পর্যায়ে গেছে যে, মানুষের গুণাবলী আর নেই; শক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রশাসন এর সমাধান করতে পারবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: সমাজের সকলে যদি আমরা নিজেদের ভালোর জন্য নিজেদের সুন্দর জীবনের জন্য কাজ করি তাহলে আর দেশ নিয়ে কারও চিন্তা করতে হবে। সকলে যখন সুন্দর জীবন গড়ে তুলবে তখন দেশ নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যাবে।
নারীরা তখন আর ঘরের কোনে বসে থাকতে হবে না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.