নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুব সাধারন ভাবে চলাফেরা করতে ভালোবাসি। আর নিজের সম্পর্কে এর চেয়ে বেশী কিছু বলার নেই। কারন প্রতিনিহিত নিজের মাঝে কিছু না কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করি।

মোঃ হৃদয় শেখ

স্বপ্ন দেখি নিজ চোখে......... আকাশ দেখি আপন মনে। আমি হে আমি আমার কৃতিকরমের জন্য গর্বিত।

মোঃ হৃদয় শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষনিকের এক মিনিট গোটা চার বছরের সৃতিগুলোর সামনে আমাকে দাড় করিয়ে দিল !

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

আজ হঠাৎ একি হলো, ক্ষনিকের এক মিনিট গোটা চার বছরের সৃতিগুলোর সামনে আমাকে দাড় করিয়ে দিল !

২ বছর হয়েগেছে সেই সৃতিগুলো মনের বুক সেলফের এক কোনে রেখে দিয়েছিলাম। ঘরের সৌখিন আসবাবপত্র গুলো যতই দামি বা মূল্যবান হকনা কেন, একটা সময় যখন অকেজ হয়ে যায় এগুলো বাড়ীর এক কোনে ফেলে দেয়া হয়। মানুষের মনটা বুক সেলফের মতন। সেই বুক সেলফে সাড়ি সাড়ি করে সৃতি গুলো সাজিয়ে রাখা থাকে। সৃতি গুলো কখনই ধুয়ে মুছে ভেনিশ করে দেয়া যাইনা।

যেমনটা হয় প্রতিদিন আজও তার ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি। সকাল ভোরে আজান দিয়ে ভোরের বার্তা জানিয়ে দিয়েছেন মসজিদের মোয়াজ্জিন। পূর আকাশে আজও সূর্য উঠেছে যেমনটা ওঠে প্রতিনিয়ত। বাসা থেকে বের হতেই কেমন যেন করছিল বুকের ভিতরটা। আজ প্রতিদিনের চেয়ে অন্য রকম লাগছে হয়তো কিছু একটা ঘটবে আজ। আজে বাজে কথা ভাবতে ভাবতে চলে আসলাম স্টেনে। যখন ঠিক স্টেনের কাছা কাছি কেমন জানি বুকে একটা চাপ অনুভব করলাম। সামনে যতন যেতে চাচ্ছি পারছিনা। পেছনে কেউ হয়তো একজন আছে যে আমার খুব চেনা। তার থাকে গভীর একটা সম্পর্ক আছে আমার। কে সে ? খুব ইচ্ছে করছে জানতে। কিছু পথ পিছনে ফিরে আসি। একটা সময়ের জন্য মনে হয়েছিল পকৃতিতে হয়তো অক্সিজেনের পরিমান কমে গেছে শ্বাস নিতেও পারছিলাম না। আমি হয়তো নেয়ার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার ইন্দ্রিয় নিতে দিচ্ছে না। ছোট বেলার ভুল আজ ২ বছর পর আমার সকল সৃতি গুলর সামনে দাড় করিয়ে দিল!

মাস খানিক হয়েছে নতুন কেউ জীবনের গুরুত্বপূন হওয়ার তীব্র ইচ্ছা এখনো প্রকাশ করতে পারেনি। পার হয়ে যাওয়া চার বছরের অনেক কিছুই তার জানা। অনেক সময় অনেক কথায় শেয়ার করা হয়েছে। হঠাৎ করে একদিন অপ্রস্তুত প্রশ্ন করে বসে ! আবার যদি ফিরে আসে ?

বছর খানিক আগের কথা বন্ধুর "মা" গ্রামের বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পরেন। তাতক্ষিনক ভাবে তাকে ইমবুলেন্স করে বারডেম হসপিটানে নিয়ে আশা হয়। সেই দিন গুলার কথা আমার প্রাই মনে পরে। অবস্থা অনেকটা খারাপ থাকাই তাকে I.C.U তে ভর্তি করানো হয়। সকল আত্নীয় স্বজন ফোন করছে তার খবর নিচ্ছে কি বলছেন ডাক্তার। যতবার ছেলেটা তার আত্নীয়দের বলছে "মা I.C.U তে ডাক্তার এখনো কিছু বলেনি আমরা বাহিরে ভিরতে ডুকার অনুমতি নেই" ঠিক ততবারি চোখ ছল ছল করে টলমল করে পানি ঘরিয়ে পরছে। একটু পর একে একে বন্ধুরাও ফোন দিয়ে খবর নিতে শুরু করে দিল। একটা সময় আর ছেলেটার আর চোখ ছল ছল করে চোখ টলমল করে পানি আসছে না। এমন ভাবে কথা গুলো বলে দিচ্ছে যেন স্বাভাবিক কিছু।

মানুষের দেহে একটা মন রয়েছে আর সেই মনের রয়েছে হাজারো রং। আমাদের অন্ধকার ভালোবাসা যখন চোখ খুলে দেই তখন সে সকল বাঁধা সকল মায়া ছিন্ন করে চলে আসতে পারে। হয়তো অনেক কষ্ট হয়। আমারও হয়েছিল একটা সময় হতাশার চাদরে ঢেকে গিয়েছিল আমার সব অনুভূতি গুলো। ছেরে আসাটা যন্ত্রনাদায়ক হলেও খুব বেশি কষ্টকর ছিলনা। আমার শিখতে হয়ত কষ্ট হয়েছে তবুও শিখেছে কি করে ভুলে থেকে বাঁচতে হয়।

তবুও আজ কেন জানি এতবড় পৃথিবীটাতে ক্ষনিকের এক মিনিটে শ্বাস নেয়ার মতন অক্সিজেন খুজে পাচ্ছিলাম না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.