নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় সীমাহীন

হুমায়রা হারুন

তিমির ঘন আঁধারে জ্বলিছে ধ্রুবতারা

হুমায়রা হারুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ণিল নক্ষত্রগুচ্ছ NGC- 602

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭


সেই অনন্ত মহাকাশের মাঝ থেকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ প্রতিনিয়ত আমাদের কাছে যে সকল চমকপ্রদ ছবি তুলে পাঠাচ্ছে তার মধ্যে একটি হলো নক্ষত্রগুচ্ছ NGC-602 বা স্টার ক্লাস্টার NGC-602. আমরা জানি অসংখ্য নক্ষত্র যখন গুচ্ছবদ্ধ হয়ে অবস্থান করে তখনই সৃষ্টি হয় নক্ষত্র গুচ্ছ। এই চিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে নবজন্ম লাভকারী নীল বর্ণের নক্ষত্রসমূহ অসম্ভব শক্তি সঞ্চয় করে চারদিকে ছিটকে পড়ে কেন্দ্রে তৈরী করেছে একটি বিশাল গহ্বর। এই খালি জায়গাটির চারপাশ ঘিরে তাদের অবস্থান। ছবিটি হাবল টেলিস্কোপ আমাদের কাছে এনে দিয়েছে Small Magellanic Cloud (SMC) নামক ছায়াপথ থেকে। এই ছায়াপথের অভ্যন্তরে নক্ষত্র তৈরির এ স্থানটিকে আখ্যায়িত করা হয়েছে NGC-602 অঞ্চল হিসেবে। আমাদের পৃথিবী থেকে এই গ্যালাক্সীটি মাত্র দুই লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত বলে একে আমরা প্রতিবেশী গ্যালাক্সী হিসেবেই মনে করি।

SMC কে বামুন (dwarf) গালাক্সীও বলা হয়। কারণ বামুন গ্যলাক্সীগুলো অন্যান্য ছায়াপথ থেকে আকারে ছোট হয় এবং স্বল্প পরিসরে কয়েক বিলিয়ন নক্ষত্র ধারণ করতে সক্ষম হয়। SMC যে শুধুমাত্র আকারে বামুন সদৃশ তা নয় এটি বৈশিষ্ট্যগত দিক দিয়েও অসম (irregular) আকৃতির অর্থাৎ ছায়াপথটি গতানুগতিক সর্পিল (spiral) বা উপবৃত্তাকার (elliptical) ছায়াপথ নয়। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন বামুন গ্যলাক্সীগুলো হয়তো বা বিশালাকার গ্যালাক্সী তৈরীর আদি হোতা। আর তাই বামুন গ্যলাক্সীতে উৎপন্ন হতে থাকা নীল নক্ষত্রগুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা করা মানে এমন সকল নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করা যেখানে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে কয়েক প্রজন্ম ধরে উৎপাদিত ভারী ধাতুসমূহের উপস্থিতি অনেকাংশে কম। এ যেন নক্ষত্র গবেষণার আরো একটি দিকের উন্মোচন।

এই চিত্র বিশ্লেষণে তাদের ধারণা, স্টার ক্লাস্টার NGC-602 উচ্চমাত্রার বিকিরণ জনিত শক্তি নির্গত করে চলেছে সর্বক্ষণ।উজ্জ্বল বর্ণিল শিখায় ছায়াপথের এ স্থানটি যেন সবসময় আলোকজ্জ্বল ও শোভিত মন্ডিত।ছবিটির উপরের বাঁ দিকে এবং নীচের ডানদিকে স্তরবিশিষ্ট ধূলিকণা ও গ্যাসীয় আবরণ লক্ষ্য করা যায়।চিত্রটি থেকে তাই বিজ্ঞানীরা ধারণা করতে পারছেন কিভাবে দুই লক্ষ আলোক বর্ষ দূরে সৃষ্ট হয়ে চলেছে নীল দীপশিখার আবরণে মোড়া এসব নক্ষত্রসমূহ,যারা কিনা নব জন্ম লাভের পর প্রচন্ড শক্তি ও গতি নিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে আকাশ মন্ডলে।ছবিটি আমাদের কাছে হাবল টেলিস্কোপ মাত্র এক দশক আগে এনে দিয়েছে,অথচ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ এ ছবিটি না দেখেই যেন এর দেখা পেয়েছিলেন।তাই হয়তো তিনি তাঁর বিখ্যাত সংগীত (আনন্দ মঙ্গলালোকে )-এর একটি চরণে বলেছিলেন
‘গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান,করিছে স্নান,অক্ষয় কিরণে
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে
বিরাজ সত্যসুন্দর’

গানটির লিংক
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া, STSci

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষ তার সীমার চেয়েও অনেক অনেক অনেক অসীম.....

যার খুলেছে জ্ঞানাখি দেখেছে তৃতীয় নয়নে
বলেছে হৃদয় ভরে-
‘গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান,করিছে স্নান,অক্ষয় কিরণে
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে
বিরাজ সত্যসুন্দর’
:)

দারুন ভাল লাগল +++

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৩

হুমায়রা হারুন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর বলেছেন...

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০০

মেরিনার বলেছেন: যারা ব্যাপারগুলো জানতে/বুঝতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য একটা দারুন ডক্যুমেন্টরী:

view this link

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৭

হুমায়রা হারুন বলেছেন: ডক্যুমেন্টরী টি চমৎকার।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

হুমায়রা হারুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

তিতাস মলম বলেছেন:

আপুনিইইইইইইইইইইইইইইইই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

এত্ত কঠিন নাম!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

কঠিন নাম ভুই পাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


:(

২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৫৯

হুমায়রা হারুন বলেছেন: আসলেই তো!

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

জুন বলেছেন: কাল আমার ছেলে আমাকে একটা মুয়ভি দেখালো ভ্যালেরিয়ান নামে । রেটিং ও ভালো সাতের উপর । তাতে দেখলাম আজ থেকে কয়শো বছর পরে মহাকাশের চিত্র। যা নোংরা দশা হাজার লক্ষ মহাকাশ যান আর স্টেষন ঘিরে । পুরোই লোহা লক্করের বর্জ্যে ভরে ফেলেছে এই নীল মহাকাশ ।
তাই এখনো আমরা যা দেখার দেখে নেই হুমায়রা হারুন ।
অনেক ভালোলাগা রইলো
+

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬

হুমায়রা হারুন বলেছেন: Hi জুন!
কতদিন পর । আপনাকেই খুঁজছিলাম। আমার ম্যাগাজিনের রুবাইয়াৎ সংখ্যায় আপনার লেখাটি পড়লে আপনাকে খুব miss করতাম। আমাদের ফেসবুক গ্রুপে ভ্রমণ করবেন। লিংক Click This Link

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২০

কালীদাস বলেছেন: অনেক টার্মই ভুলে গেছি এত বছর পরে, কিন্তু লেখাটা ইন্টারেস্টিং নিঃসন্দেহে। ডিপার্টমেন্টে একটা ছোট গ্রুপ স্টারের ক্লাসিফিকেশনে মডেল ডেভেলপ করে, ওদের সেমিনারে গেলেই কেবল টাচ পাই এই টার্মগুলোর।
চমৎকার পোস্ট।

আশ্চর্য, আপনি এত পুরান ব্লগার, আগে খেয়াল করিনি কেন?
আপনাদের ম্যাগাজিনটা কিসের উপর? মানে, টপিক?

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৪

হুমায়রা হারুন বলেছেন: কেন? আপনি তো আসতেন আমার ব্লগে।
বাংলা গল্প কবিতা নিয়ে ম্যগাজিন বানাতাম।
দেখবেন সময় পেলে । লিংক Click This Link

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: আমিও নক্ষত্র মন্ডলী নিয়েই লিখেছি আপুনি! :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

হুমায়রা হারুন বলেছেন: তাই দেখলাম লেখাটায়। অসাধারণ! শেয়ার করেছি তাই।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: আমার মনে পড়ে স্কুল লাইফে অনেক আগ্রহ নিয়ে মহাকাশ নিয়ে লেখা গুলো পড়তাম। সে সময় খুব কম ম্যাগাজিন পাওয়া যেত ১৯৯৫/৯৭ সালের কথা। আপনার লেখা দেখে সে দিন গুলো আবার মনে পড়ে গেল।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

হুমায়রা হারুন বলেছেন: আগে প্রায়ই লিখতাম। দেখি আবার শুরু করতে পারি কিনা । অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০০

মেহেদী হাসান তামিম বলেছেন: informative. thanks a ton.

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১১

হুমায়রা হারুন বলেছেন: you are most welcome.
অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: হাবলের জীবনায়ু তো আর মাত্র কয়েক বছর। এরপর কি হবে? দূরের নক্ষত্রগুলোর ছবি কিভাবে আমাদের কাছে পৌঁছাবে?

লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪৪

হুমায়রা হারুন বলেছেন: হাবল্‌ সবার পরিচিত। কিন্তু আরো অনেক স্পেস প্রোব পাঠানো হয়েছে যা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে হয়তোবা। স্পেস প্রোগ্রাম কখনই মানুষের কাছে সবটুকু দেয়া হয় না পাছে আমরাও জেনে ফেলি বিশ্বসৃষ্টির গোপন রহস্য।

১১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আসলেই তাই! এতো রাখ-ঢাক!

তবে, নাসা'র ওয়েবসাইটে গেলে অনেক কিছু জানা যায়।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৫

হুমায়রা হারুন বলেছেন: যা তথ্য পায় তা সব দেয় না।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক কঠিন কথা খুব সহজ করে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষ কথাটা শুনলেই আমার ঘুম আসে। আমি ভাবি, আমি স্বল্পায়ু মানুষ, এ নিয়ে ভাবনা আমার কম্ম নয়। তার চেয়ে বরং আমি হারিয়ে যাই অনন্ত অন্তরীক্ষে, ছায়াপথে। এই যে মহাযজ্ঞ চলছে, সেখানে আমি এক সামান্য ধুলিকণা মাত্র। আমার কাজ শুধু ভেসে বেড়ানো। গতি, শক্তি, সময়- এসব আমার বোধশক্তির পরিধির বাইরে!
অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন! পোস্টের শেষে এসে কবিগুরু'র কথাগুলো জুড়ে দেয়াতে এ পোস্ট একটি অনন্য মাত্রা পেল বলে মনে হয়েছে। কবিগুরু'র গানটি নিয়েও ভাবতে হলো। পাঠকের জন্য বোধকরি ভাল হতো, যদি গানটির একটি লিঙ্কও এখানে জুড়ে দিতেন। আমি অবশ্য গানটির কথাসহ একটি লিঙ্ক এখানে দিয়ে দিলামঃ

"আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর।।

মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে।।

গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে।।

ধরণী’পরে ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা
ফুলপল্লব-গীতবন্ধ-সুন্দর-বরনে।।

বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা,
করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে।।

স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ,
কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে।।

জগতে তব কী মহোৎসব, বন্দন করে বিশ্ব
শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে।।"

https://www.youtube.com/watch?v=rrBDK4If09E

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১

হুমায়রা হারুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহসান ভাই। একদিন হঠাতই এই চিন্তাটা মাথায় এসেছিল, গানটা তখন প্রায়ই শুনতাম। কথার উপলব্ধি খুব গভীর কিনা তাই বহুবার শোনার পর মনে হল রবিঠাকুর যেন জ্যোতির্বিজ্ঞানের সকল তথ্য এই কয়েকটি লাইনেই প্রকাশিত করেছেন। আমি অবাক হলাম! লিখে ফেললাম এই লেখাটি।
লিংক দেয়ার জন্য আর লেখায় তা যুক্ত করবার আইডিয়াটা চমৎকার। আমি যুক্ত করে দেব লেখায়।
আমরা মহাজগতের সৃষ্টির তুলনায় অতি ক্ষুদ্র নিঃসন্দেহে। কিন্তু তারপরও এই রিয়্যালিটিতে আমাদের এন্ট্রি, আমাদের এক্সিট, আমাদের উপলব্ধি খুব জটিল প্রক্রিয়ায় সংঘটিত হয়। আর সারা বিশ্বব্রহ্মান্ডে না জানি কত জটিল হিসাবে বিরাজমান।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

হুমায়রা হারুন বলেছেন: যেহেতু একটু চার্চ সংগীতের স্টাইল আছে গানটিতে তাই বন্যার কোরাস এর লিংকটি দিলাম লেখাতে।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৪

হুমায়রা হারুন বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.